রায়পুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষের রাজত্ব!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১১:৩৩:৪২
রায়পুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষের রাজত্ব!

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ, জালিয়াতি ও অনিয়মে জর্জরিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, ঘুষ না দিলে কার্যত কোনো কাজই হয় না। সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউনুসের বিরুদ্ধে রয়েছে ঘুষ গ্রহণ, নিয়মবহির্ভূত দলিল রেজিস্ট্রি এবং কর ফাঁকি দিয়ে সম্পত্তির হস্তান্তরের মতো গুরুতর অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অফিসের ঝাড়ুদার মো. সোহেল এবং অফিস সহকারী আছমা বেগমের 'সংকেত'ই যথেষ্ট সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর আদায়ে।

সোহেল, যিনি একজন ঝাড়ুদার ও নৈশপ্রহরী, প্রায়শ অফিস সহায়কের দায়িত্বে বসে ঘুষের লেনদেন পরিচালনা করেন। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি আয়েশে গুণে গুণে টাকা নিচ্ছেন, যা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালায় এবং সোহেলকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।

মো. ইউনুস ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই রায়পুর কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিয়ম ভেঙে দাতার অনুপস্থিতিতে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন, এজলাসে না এসে ব্যক্তিগত কক্ষে বসেই কর ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। এমনকি দলিল টেম্পারিং, বায়না দলিল এবং আম মোক্তার দলিলের নামে ভুয়া রেজিস্ট্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক নাটকীয় ঘটনায় দেখা যায়, চর মোহনা ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে এনে জিম্মি করে জমি রেজিস্ট্রি করানো হয়। সাব রেজিস্ট্রার বিল্লালের উপস্থিতি ছাড়াই ২০ শতাংশ জমি হস্তান্তর করে দেন। এ ঘটনায় মামলা হলে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালত দলিল জব্দের নির্দেশ দেন।

রায়পুর দলিল লেখক ও ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানান, বছরজুড়ে প্রায় ৬ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয় এই অফিসে। এর মধ্যে অধিকাংশই নানা অনিয়ম ও ঘুষের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। অনেক দলিল লেখক, জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, সাব রেজিস্ট্রার নিয়মিত অফিস করেন না, আর অফিসে এলেও অল্প সময় অবস্থান করেন। সোহেল-আছমাই হয়ে ওঠেন মূল দালাল।

রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলেছেন এবং ঘুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার ইউনুস দাবি করেন, অফিসের বাইরে কেউ টাকা নিলে তিনি দায়ী নন। তার ভাষায়, “আমি এক কাপ চাও খাই না।” তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে ঘুষ ও জালিয়াতির কারণে কিছু দলিল লেখক ও নকলনবিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বদলি করলেও তিনি পরে আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে, অফিস সহকারী আছমা বেগম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক


ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২০:৫৯:০০
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এই মাসেই ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৬ জন। এমনকি বছরের একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডও হয়েছে এই মাসেই।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের এবং একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫৬ জন রোগী। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

মাসভিত্তিক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে:

জানুয়ারি: ১০ জন, ফেব্রুয়ারি: ৩ জন, মার্চ: কোনো মৃত্যু নেই, এপ্রিল: ৭ জন, মে: ৩ জন, জুন: ১৯ জন, জুলাই: ৪১ জন, আগস্ট: ৩৯ জন, সেপ্টেম্বর: ৭৬ জন (সর্বোচ্চ)

হাসপাতালে ভর্তির চিত্র

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৪২ জন রোগী। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। এছাড়া, চলতি বছর ৪৪ হাজার ৭৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।


জিন চিকিৎসা’র নামে প্রতারণা: জয়পুরহাটে রমরমা ব্যবসা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২০:৫১:৪৮
জিন চিকিৎসা’র নামে প্রতারণা: জয়পুরহাটে রমরমা ব্যবসা
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামে ‘জিন চিকিৎসার’ নামে চলছে এক রমরমা প্রতারণা ব্যবসা। টিউমার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের কথিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ঝাঁড়ফুঁক, তেল পড়া, পানি পড়া এমনকি জিন দিয়ে ‘অপারেশন’ করার নামে। এই ভুয়া চিকিৎসার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

প্রতারণার ধরন ও সহযোগীরা

স্থানীয়রা জানান, জাহেরা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিজেকে ‘বানেসা পরী’ পরিচয়ে জিন হাসিলকারী দাবি করে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাবার বাড়িতে গড়ে তোলা কথিত চিকিৎসালয়ে সপ্তাহে চার দিন—শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার রোগী দেখেন তিনি। তার বাবা আবুল হোসেন, ভাই আব্দুল মান্নান ও বোনের স্বামী জাহিদুল ইসলাম তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন।

প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। সিরিয়ালের জন্য প্রতি রোগীর কাছ থেকে নেওয়া হয় ৩০ টাকা। রোগের ধরন অনুযায়ী জিন দিয়ে অপারেশন করার নামে ফি নেওয়া হয় কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় তেল পড়া, পানি পড়া, ঝাড়ফুঁক এবং আঙুল দিয়ে ইনজেকশন দেওয়ার মতো হাস্যকর অপচিকিৎসা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ৮-১০ বছর আগে মাত্র ৫ টাকা ফি নিয়ে শুরু হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা। এই ব্যবসার টাকায় জমি কেনা ছাড়াও তিনি ভাইকে টাইলস করা অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ফ্ল্যাটবাড়ি করে দিয়েছেন।

প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞদের অবস্থান

স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রসুল এবং মহাতাব আলী প্রামাণিক এই কাজকে ইসলামবিরোধী ও প্রতারণামূলক উল্লেখ করে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মাহফুজ আলম বলেন, “জিন দিয়ে চিকিৎসা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও প্রতারণামূলক। এটা কোনোভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। শুধু নিবন্ধিত চিকিৎসকরাই চিকিৎসা করতে পারেন।”

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, “গ্রামে একজন ব্যক্তি ভিন্ন পরিচয়ে জিন দ্বারা ঝাঁড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছেন—এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কালাইয়ের নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ, এ ধরনের অন্ধবিশ্বাসে যেন কেউ প্রভাবিত না হন। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে যুদ্ধে নিহত বাংলাদেশি তরুণ, জানতেন না পরিবারও

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ২১:১৮:২৩
পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে যুদ্ধে নিহত বাংলাদেশি তরুণ, জানতেন না পরিবারও
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক–ই–তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রাণ হারানো বাংলাদেশি তরুণ ফয়সাল হোসেনের (২২) পরিবার এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না যে, তিনি দুবাইয়ে নয়, ছিলেন পাকিস্তানে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কারাক জেলায় গত শুক্রবার রাতে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে ফয়সাল নিহত হন। ওই অভিযানে আরও ১৬ জন টিটিপি সদস্য নিহত হয়।

ফয়সালের মা চায়না বেগম ভেবেছিলেন তার ছেলে দুবাইয়ে কাজ করছেন। সোমবার সকালে মাদারীপুরের ছোট দুধখালী এলাকায় নিজ বাড়িতে ছেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর তিনি জানতে পারেন, ফয়সাল আসলে পাকিস্তানে ছিলেন।

পরিবারের বিস্ময় ও অভিযোগ

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফয়সালের মা বলেন, “ছেলেকে দুই মাস আগে বলেছিলাম, দেশে ফিরে আসো, কাজের চেষ্টা করো। সে বলেছিল, ‘মা, আমি আসব’। কিন্তু সে আর ফিরল না। আমরা কেউই জানতাম না সে পাকিস্তানে আছে।”

পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, ফয়সাল দুই বছর আগে ‘দুবাই যাওয়ার কথা বলে’ বাড়ি থেকে চলে যান। ফয়সালের চাচা আবদুল হালিম বলেন, “কোরবানির ঈদের আগে কথা হয়েছিল। এরপর দুই মাস আগে পুলিশ জানায়, সে আসলে পাকিস্তানে গেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনতে পারিনি।”

ফয়সালের দাদা শুক্কুর মোড়ল বলেন, “নাতিটা খুব ভালো ছিল। কেউ তাকে বিপথে নিয়েছে। যারা এর পেছনে আছে, তাদের বিচার চাই।” ফয়সালের পরিবার ও স্থানীয়রা তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

জঙ্গিবাদ ও পুলিশের অবস্থান

সংবাদমাধ্যম দ্যা ডিসেন্ট জানিয়েছে, গত এক বছরের ব্যবধানে অন্তত চারজন বাংলাদেশি টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ২৭ এপ্রিল আরেক বাংলাদেশি তরুণ আহমেদ জোবায়ের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিহত হন।

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কেউ তরুণদের জঙ্গিবাদে যুক্ত করছে কিনা, সে বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। পরিবার যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা তা দেব। যদি লাশ ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকে, সেটিও চেষ্টা করব।”


চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প, ফিল্ড সার্ভে শুরু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৯:৩৯:৪৮
চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প, ফিল্ড সার্ভে শুরু
মনোরেল এক চাকার ট্রেন, এক চাকার ওপরই চলে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফিল্ড সার্ভে বা মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এই প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়। এর পর পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

‘বাণিজ্যিক রাজধানীর জন্য মনোরেল অপরিহার্য’

এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে টাইগারপাস্থ চসিক কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এবং আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের প্রধান প্রতিনিধি কাউসার আলম চৌধুরী।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম শহরকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যানজট ও পরিবহন সংকটের সমাধান করতে হবে। এ জন্য মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান।” তিনি জানান, মনোরেল নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রকল্পটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়বকে। বিডাসহ সব সংস্থার সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।


‘দুর্নীতিবাজ’ হারুনের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৯:৩৪:০৮
‘দুর্নীতিবাজ’ হারুনের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে তার দ্রুত প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার ঠিকাদার সমিতির ব্যানারে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন।

‘অফিস জিম্মি’, ‘মিস্টার ওয়ান পারসেন্ট’

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জনস্বাস্থ্য কার্যালয়কে জিম্মি করে রেখেছেন। তিনি গোপনে দরপত্রের রেট ফাঁস করে এখনো আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের কাজ দিচ্ছেন। ঠিকাদারদের বিল আটকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, তিনি দীর্ঘদিন বিল আটকে রেখে পরে চেক দেওয়ার সময় বিলের এক শতাংশ উৎকোচ দিতে বাধ্য করেন। এ কারণে তিনি ইতোমধ্যে ‘মিস্টার ওয়ান পারসেন্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

অন্যান্য অভিযোগগুলো হলো:

কর্মপরিবেশ: হারুন অফিসের সময়কে তোয়াক্কা করেন না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাতে বাসভবনে ডেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে বাধ্য করেন এবং পোষা কুকুর নিয়ে অফিসে ঢোকেন, যার ভয়ে সবাই তটস্থ থাকেন।

অর্থের লেনদেন: তার বিরুদ্ধে জামানতের টাকা ফেরত দিতে অনৈতিক সুবিধা আদায় এবং সেই টাকা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের এস্টিমেটর উম্মে সালমার স্বামী মামুনের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

দরপত্র দুর্নীতি: চলতি বছরের মার্চে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কামাল হোসেনের প্রতিষ্ঠানকে গোপন রেট জানিয়ে ১১ কোটি টাকার ১০টি কাজই দিয়েছেন তিনি।

আন্দোলনকারীরা প্রকৌশলী হারুনকে দ্রুত রাজশাহী থেকে বদলি এবং তার দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

প্রকৌশলী হারুনের পাল্টা দাবি

অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আজকেও অফিসে আছি। নিয়মিত অফিস করি। এ অভিযোগ বানোয়াট।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমি আওয়ামী লীগের দোসর না। দলমত নির্বিশেষে বিধি মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।”

প্রকৌশলী হারুন বলেন, ঠিকাদাররা সুপরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, কারণ তিনি ঠিকাদারদের তিন কোটি টাকা ওভার পেমেন্ট (বেশি) নেওয়ার বিষয়টি ধরে ফেলেছিলেন।


রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য এডিবি’র ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৮:৪৭:৩৪
রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য এডিবি’র ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
রোহিঙ্গা শরণার্থী। ফাইল ছবি

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয়দের মৌলিক অবকাঠামো ও জরুরি সেবার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় ৫৮.৬ মিলিয়ন ডলারের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এডিএফ) অনুদান এবং ২৮.১ মিলিয়ন ডলারের স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া হবে, যার মোট পরিমাণ ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ইআরডি কার্যালয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

স্থিতিশীলতা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ জোরদার

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, “মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের স্থিতিশীলতা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ জোরদারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। শরণার্থী শিবিরগুলোর বাসিন্দা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করছি।” তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে এডিবি এই খাতে মোট ১৭১.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ প্রদান করেছে।

‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিজ ইমপ্রুভমেন্ট’ শীর্ষক এই প্রকল্পের আওতায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ এবং দুর্যোগ সহনশীলতা উন্নত ও সম্প্রসারিত করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় যেসব কাজ হবে

এই প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচর অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের জন্য পৃথক পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হবে।

ভাসানচর ও কক্সবাজার: কক্সবাজারে সোলার-পাওয়ারড স্ট্রিটলাইট স্থাপন বা প্রতিস্থাপন করা হবে এবং ভাসানচরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন ও রান্নার জন্য বায়োগ্যাস উৎপাদনকে সমৃদ্ধ করা হবে।

দুর্যোগ সহনশীলতা: স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য হাতিয়ায় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে এবং কক্সবাজারের ৯টি উপজেলাজুড়ে ক্ষুদ্র পাইপযুক্ত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

পানি শোধনাগার: টেকনাফের পানি সংকটাপন্ন এলাকায় পরিশোধিত পানি সরবরাহের জন্য পালংখালী ইউনিয়ন ও উখিয়ায় একটি ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে মিয়ানমার থেকে আসা ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ বাস করছে। নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে ৩৬ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হয়েছে।


সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাস্টার ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৮:৩৪:১০
সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাস্টার ধসে শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরাতন পানির ট্যাংকির প্লাস্টার ধসে সুমন আহমদ (৪২) নামের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুমন নতুন বিল্ডিংয়ের ৩৬নং ওয়ার্ডে আউটসোর্সিংয়ের কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সোমবার দুপুরে এই দুর্ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ সহকর্মীরা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

জানা যায়, দুপুরের দিকে হাসপাতালের পুরাতন পানির ট্যাংকির এক অংশে হঠাৎ প্লাস্টারের একটি অংশ খসে পড়লে সুমন গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে বিক্ষোভ

ঘটনার পরপরই সহকর্মী ও অন্যান্য কর্মচারীরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে তারা হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে দোষীদের শাস্তি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবি জানান।

অবরোধের কারণে বর্তমানে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৭:৫২:০৬
২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
ছবি: সংগৃহীত

খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।

এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।

ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।

তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।


টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৬:১৯:১৯
টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য
ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকায় নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হতে যাচ্ছে। পণ্যগুলো হলো চা, লবণ, ডিটারজেন্ট এবং দুই ধরনের সাবান। আগামী নভেম্বর মাস থেকে এসব পণ্য যুক্ত হবে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড সক্রিয়করণবিষয়ক সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এই তথ্য জানান।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন পণ্য

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সরকার প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর ফলে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য তৈরি হয়।” তিনি বলেন, চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হলে দরিদ্র মানুষের স্বস্তি বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকারের লক্ষ্য এক কোটি প্রকৃত উপকারভোগীকে টিসিবির আওতায় আনা। দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছানো জরুরি।”

কার্ড সক্রিয়করণে চ্যালেঞ্জ

সভায় জানানো হয়, বর্তমানে টিসিবির সক্রিয় স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬টি। এ ছাড়া আরও ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪টি কার্ড সক্রিয়করণের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, উপকারভোগী শনাক্তকরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমেও কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই এসব সমস্যার সমাধান হবে।

পাঠকের মতামত: