গুলশান চাঁদাবাজি
গুলশান চাঁদাবাজি ঘটনায় উপদেষ্টার সম্পৃক্ততা খোলাসা করা জরুরি: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজধানীর গুলশানে সংঘটিত চাঁদাবাজির সাম্প্রতিক ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা জড়িত আছেন কি না এ বিষয়ে স্পষ্ট তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং জনগণের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা জরুরি, নইলে উপদেষ্টাদের ভাবমূর্তি নিয়ে আরও প্রশ্ন তৈরি হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) নিজের গুলশান বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা সম্পৃক্ত কি না, সেটি খোলাসা করা প্রয়োজন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া এই প্রশ্নের অবসান হবে না।” তিনি উল্লেখ করেন, জনগণকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত রাখতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা বজায় রাখতে এই ধরনের তদন্ত অপরিহার্য।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গেও বিএনপির এই নেতা সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও প্রোপাগান্ডা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করবে কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাঁড়াবে, তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে মাইনাস হয়ে যাবে।”
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। ভিডিওতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে দেখা যায় ভোররাতে গুলশানের একটি হোটেলের সামনে এক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলতে। এই বক্তব্য দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাটি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
এ বিষয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীর ওই স্বীকারোক্তি জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছে এবং এর পেছনে একজন বিএনপি নেতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই অভিযোগের পর ঘটনাটি আরও জটিল রূপ নেয় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।
-রাফসান
ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়: হান্নান মাসউদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ভারত শেষ ‘ট্রাম্পকার্ড’ খেলে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। তিনি অভিযোগ করেন, একটি ভুয়া ধর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের সাইফুল মার্কেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত ঐক্য ও সংহতির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তরুণ নেতৃত্ব ও নির্বাচন
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, “আমরা এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেব না। ১৯৭১ সালে যেমন পাকিস্তানের মোকাবেলা করেছি, এ দেশের মানুষ তেমনি ২০২৫ সালে ভারতকে মোকাবেলা করবে।”
তিনি বলেন, দেশের তরুণ নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যেই পথ দেখিয়েছে, সেই পথেই ইন্দোনেশিয়া ও নেপাল নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বয়স মাত্র ৩৫ বছর। বাংলাদেশেও ৩৫ বছর বয়সী একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদ বলেন, “ভোটের সময় বিভিন্ন অতিথি পাখি আপনাদের কাছে এসে মায়াকান্না করবে। আমি আপনাদের সন্তান, তাই কখনো আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না। আপনারা বিপদে-আপদে যাকে কাছে পাবেন, তাকেই ভোট দেবেন।”
স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সামনে জামায়াতের নতুন লোগো, শুরু হলো আলোচনা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নতুন লোগো প্রকাশ করা হতে পারে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ঠিক রেখেই লোগোটিকে কিছুটা জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি করা হতে পারে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে নতুন লোগোর একটি ছবি সামনে আসে। এ সময় জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি জামায়াতে ইসলামীর একটি নতুন লোগো সেখানে দেখা যায়। এরপরই জামায়াতের লোগো নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
যে কারণে লোগো পরিবর্তন
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমিরের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি লোগো ডিজাইন করা হয়েছে। তবে কোনো লোগোটি ব্যবহার করা হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।” তিনি জানান, যে লোগোটি ছবিতে দেখা গেছে, সেটি ভুলবশত চলে এসেছে।
মাওলানা আব্দুল হালিম আরও বলেন, তাদের আগের লোগোটি তারা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করেননি, বরং বিভিন্ন গণমাধ্যম সেটি ব্যবহার করত। এই কারণেই লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত হলে সেটি দলের অফিসিয়াল লোগো হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন: ছাত্রদল সভাপতি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের একটি মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। জামায়াত নেতার এই বক্তব্যটি একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে ফেসবুকে শেয়ার করে ছাত্রদল সভাপতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আবদুল্লাহ তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছিলেন, “অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি, দোয়া করতেছি—এরা যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাব।”
ছাত্রদল সভাপতির পাল্টা অভিযোগ
ডা. তাহেরের এই বক্তব্যের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মীরা “খুনি হাসিনার ভয়ে বিগত সাড়ে পনেরো বছর সারা দেশে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের পতাকাতলে শুধু আশ্রয়ই নেয়নি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।”
রাকিবুল ইসলাম রাকিব আরও অভিযোগ করেন:
যে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পরও আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আঁতাত করে কর্মসূচি পালন করত।
যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রমাণ পর্যন্ত নেই।
যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে বিগত সাড়ে পনেরো বছর বাংলাদেশের কোনো থানায় একটা জিডি পর্যন্ত নেই।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, এই ধরনের বক্তব্য বিগত সাড়ে পনেরো বছরের লড়াই-সংগ্রামের প্রতি ‘নির্মম পরিহাস’।
ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ক আবারও উত্তেজনায়। কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর ভিসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে পেট্রো এক বিক্ষোভে অংশ নেন এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উদ্দেশে বলেন, “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না। মানবতার আদেশ মানুন।” এই বক্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্র ‘উসকানিমূলক ও সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
জাতিসংঘে ভাষণে পেট্রো ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে সাম্প্রতিক মার্কিন নৌ-অভিযানকে ‘অবৈধ হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্ত দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ডজনখানেক নিরস্ত্র যুবক নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই কলম্বিয়ান নাগরিক হতে পারে। তবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এগুলো ছিল মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ, যা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পরিচালিত ড্রাগ কার্টেল ভেঙে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছে।
পেট্রো শুক্রবার নিউইয়র্কের এক প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে মেগাফোন হাতে বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, “এমন এক বাহিনী গড়ে তুলুন যা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়।” তাঁর এ বক্তব্যকে ঘিরেই কূটনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, “পেট্রো নিউইয়র্কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনাদের আদেশ অমান্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক।”
শনিবার দেশে ফিরে প্রেসিডেন্ট পেট্রো জানান, ভিসা বাতিলে তিনি বিচলিত নন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি বোগোতায় ফিরে এসেছি। আমার আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা নেই। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না। আমি একজন স্বাধীন মানুষ।” তিনি আরও বলেন, তিনি ইউরোপীয় নাগরিকও বটে, তাই চাইলে ইএসটিএ (ESTA) ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ঘটনায় কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে জাতিসংঘ সনদ ১৯৪৫-এর পরিপন্থী ‘কূটনৈতিক অস্ত্র’ বলে আখ্যা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের কার্যক্রমকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে এমন পদক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি, নতুবা “জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জন্য নিরপেক্ষ কোনো স্বাগতিক দেশ খুঁজে বের করতে হবে।”
এদিকে কলম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্মান্দো বেনেদেত্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “পেট্রোর ভিসা নয়, বরং নেতানিয়াহুর ভিসা বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ তাকে রক্ষা করছে, তাই একমাত্র সত্য বলার সাহসী প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দিচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, পেট্রোর এই অবস্থান কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নয়, লাতিন আমেরিকায় একটি নতুন বামপন্থী জোট গঠনের সম্ভাবনাকেও ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে নতুন বিতর্ক উসকে দিতে পারে।
-আলমগীর হোসেন
জামায়াত সুসংগঠিত, কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংস্কার, জুলাই সনদ এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে দলটি। তবে জামায়াত লাইমলাইটে এলেও জনগণের মধ্যে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
জামায়াতের সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় এবং জাতীয় পার্টিও কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকায় জামায়াত এখন সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “জামায়াত যেভাবেই হোক লাইম লাইটে এসে গেছে। মিডিয়া ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বদৌলতে একটা জায়গাতে তারা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এবং এটা তারা করবেই।”
তবে জনগণের মধ্যে জামায়াতের খুব বেশি প্রভাব বেড়েছে বলে মনে করেন না মির্জা ফখরুল। তার ভাষ্য, “আমি নিজে মাঠের রাজনীতি করি, যাতায়াত করি, বুঝতে পারি, (প্রভাব) খুব বেশি একটা নাই।”
তিনি জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি স্বীকার করে বলেন, “জামায়াতের সুবিধা হচ্ছে তারা খুবই সংগঠিত, রেডিমেন্টেড পলিটিক্যাল পার্টি। তাদের যথেষ্ট ফান্ডও আছে। এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট।” তবে তিনি মনে করেন, “জনগণের কাছে গিয়ে ইলেকশন পুরোপুরি জিতে যাবে; এমন কোনো কিছু আমার মনে হয় না।”
ডানপন্থি রাজনীতির উত্থান
মির্জা ফখরুল মনে করেন, গোটা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও ডানপন্থি রাজনীতির উত্থানের চেষ্টা হচ্ছে। বৈশ্বিক রাজনীতির গতিপ্রবাহ তুলে ধরে তিনি স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশও তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তবে সেই প্রচেষ্টা ভোটের মাঠে সফল হবে না বলেই বিশ্বাস তার। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সময়মতই দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড। আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ পাঠিয়ে মাঝেমধ্যে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে। এগুলো আওয়ামী লীগের মিছিল নয়।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় শহরের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে আয়োজিত বিতর্ক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা
সারজিস আলম বলেন, “আওয়ামী লীগ ৩০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ। আসলে এই পরিমাণ লোক কোনোকালেই আওয়ামী লীগে ছিল না। তারা প্রোগ্রামে যে লোক দেখাত, সেগুলো ভাড়া করা।” তিনি যুক্তি দেন, “এরা যদি তাদেরই লোক হতো, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানে তারা মাঠে থাকত।”
গণ অধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে সারজিস আলম জানান, আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা যেহেতু সমমনা ও কাছাকাছি আদর্শের এবং তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক দল, তাই সবার সঙ্গে কথা বলছিলাম কীভাবে নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করা যায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, “বাংলাদেশের মানুষ এই তরুণ প্রজন্মকে একসঙ্গে ইউনাইটেড দেখতে চায়। আমরা রাজনৈতিক দলের পর্যায়ে যদি ইউনাইটেড হতে পারি, মাঠ পর্যায়ের মানুষও ইউনাইটেড হয়ে যাবে। আমরা আশা করি, নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা অংশ নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করব।”
গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে বাংলাদেশে গুপ্ত স্বৈরাচারের উত্থান হতে পারে। তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর বাংলাদেশে ডাকাত পড়েছিল। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সেই ডাকাতকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে; স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি, যেভাবে দেশ স্বাধীনের পরে স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, ওয়ান ইলেভেনের পরে ২০০৮ সালে স্বৈরাচার বাংলাদেশে চেপে বসেছিল—যদি আমরা জনগণকে ঠিক বুঝাতে সক্ষম না হই—তাহলে বলা যায় না বাংলাদেশে আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটতে পারে। কাজেই গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।”
ইসলামকে বিভক্ত করতে চাওয়া শক্তির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “যারা আজকে বলছে, ইসলামের জন্য একটি আলাদা বাক্স বসাই, দেখি ওখানে কী হয়। কারা এই স্লোগান দিচ্ছে, আপনারা বুঝে নেন।” তিনি স্পষ্ট করেন, ইসলাম কোনো কোটা রাজনীতি নয়, ইসলাম কোনো রাজনৈতিক বাক্স নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতি দিয়ে ইসলামকে বিভক্ত করতে চায় যে শক্তি, সে শক্তিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “যারা একটি কিতাব নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে, জান্নাতের টিকিট নাকি তারা বিক্রি করতে চায়। যারা এই টিকিট বিক্রি করছে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী।”
তিনি আহ্বান জানান, ১৯৭১ সালের চেতনার মতো ২০২৪ সালের চেতনাও যেন কেউ বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা
সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের দুরবস্থা তুলে ধরে বলেন, “অঘোষিতভাবে আমরা জানি, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর ৫ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণে জর্জরিত।”
সম্মেলনের শেষ দিকে জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি এবং আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ফ্যাসিবাদী দালাল মিডিয়ার প্রয়োজন নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য হলেও গত ১৬-১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর দমন করা হয়েছে। তবে, যারা ফ্যাসিবাদের দালালি করেছে এবং গুম-খুনের সাফাই গেয়েছে, সেসব গণমাধ্যম টিকে থাকার অধিকার রাখে না।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দৈনিক বার্তার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিটি গুম-খুনকে আড়াল করেছে এবং ভিন্নমতের মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে দমন করেছে।” তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার থেকে বোমা হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাও আন্দোলনকারীদের হত্যা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ইতিহাস টেনে এনে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদী ইতালি কিংবা নাৎসি জার্মানিতেও স্বৈরাচারের দালাল মিডিয়াগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিকে থাকতে পারেনি। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সাফাই গাওয়া মিডিয়ারও প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, “এমন একটি দায়িত্বশীল পত্রিকা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভাজনের সময় খুব জরুরি। গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হলেও সত্য বলার একটি স্পেস থাকা দরকার।”
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে ছাপা হচ্ছে—এমন সন্দেহ অমূলক নয়। অথচ চিফ রিটার্নিং অফিসার আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর।”
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সত্য তুলে ধরা, শাসকের বন্দনা করা নয়। তিনি দৈনিক বার্তাকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কণ্ঠস্বর হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্তব্য করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পতিত সরকারের ছেঁড়া জুতো পায়ে দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তাদের কারও কারও মধ্যে ছোট ছোট ‘হাসিনা হয়ে ওঠার কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা’ দেখা যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে তরুণ-যুবারা দ্রোহের যে আগুন জ্বেলে দিয়েছিল, গত ১৪ মাস ধরে সরকার তাতে কেবল পানি ঢেলে চলেছে এবং তরুণ-যুবারা ধারাবাহিকভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিপ্লবী যুব সংহতির আহবানে জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশ থেকে আট শতাধিক যুব প্রতিনিধি এই দিনব্যাপী কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
তরুণদের হতাশা ও বিপদের আশঙ্কা
সাইফুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যুবারা অধিকার প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিল, গত এক বছরে তা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, অনেকেই তরুণদের ব্যবহার করেন, কিন্তু তাদের অধিকার দিতে চান না। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়লে দেশ অভূতপূর্ব বিপদের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি সরকারকে তাদের জানা-অজানা এজেন্ডা গুটিয়ে এনে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানেই যাবতীয় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার আহ্বান জানান।
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান বলেন, গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয়, তার জন্য যুবশক্তিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, বৈষম্য বিলোপ করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থানসহ মানবিক জীবনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানান।
বিশিষ্ট নৃ-বিজ্ঞানী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোশরেকা অদিতি হক বলেন, “বিপ্লবের নামে আমাদের গৌরবের অর্জনকে অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দেশকে পিছনে টানার অপচেষ্টা চলছে। যুবশক্তিকে এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে।”
কনভেনশনের দ্বিতীয় অধিবেশনে যুব অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ‘জাতীয় যুব কনভেনশনের ঘোষণা’ দাবিনামা গ্রহণ করা হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে একটি র্যালি বের হয়, যা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পাঠকের মতামত:
- ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়: হান্নান মাসউদ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
- অমর একুশে বইমেলা স্থগিত ঘোষণা
- খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ, রামসু বাজারে আগুন
- আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
- চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দেড় কোটি টাকার কাপড় উধাও
- গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ; আমরা এখন নিজে খেলব: ড. ইউনূস
- ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড
- বিএনপি-জামায়াত প্রশাসনকে ভাগাভাগি করে নিয়েছে: মাহফুজ আলম
- যেকোনো কেন্দ্রে কারচুপি হলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত: সিইসি
- হজ ২০২৬: তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা, বিমান ভাড়াও কমল
- আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ
- নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য
- স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
- নীরবে বাড়ে চোখের ক্যানসার, যে লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
- স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সামনে জামায়াতের নতুন লোগো, শুরু হলো আলোচনা
- উপদেষ্টার পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাহফুজ আলম
- যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
- জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন: ছাত্রদল সভাপতি
- শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
- কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে ফোন ধরেন না সিইসি
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে সামগ্রিক বাজার চিত্র
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মৃত ভোটার বাদ, নারী ভোটারের অতিরিক্ত সংখ্যা কমানো হয়েছে: সিইসি
- হাজী সেলিমের বাড়ি ঘিরে যৌথবাহিনীর অভিযান
- উজবেকিস্তানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ
- মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল আতলেতিকো, নায়ক আলভারেজ
- সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা, লেনদেন ১০০ কোটি টাকা
- দোহা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিলেন তৌহিদ হোসেন
- এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত
- বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
- ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
- নাটোর: মাদ্রাসার টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার তিন খাদেম
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
- জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন: প্রবাসীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
- ফাইনালের আগেই উত্তাপ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল বিতর্কে
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: সেনা পাহারায় সাজেক থেকে ফিরলেন পর্যটকরা
- জামায়াত সুসংগঠিত, কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল
- ছোট কম্পন কি বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?
- প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করলেন ড. ইউনূস
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
- বিসিবি নির্বাচন: তামিম-বুলবুল সমঝোতায় জটিলতা, আলোচনায় ফাটল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল: টাইব্রেকারে থামল বাংলাদেশের স্বপ্ন
- আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
- ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী