নেতানিয়াহুকে ‘গ্রেফতারের’ ঘোষণা

গাজায় ইসরাইলের চলমান সামরিক অভিযান ও গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সুখী ও মানবাধিকারসম্মত নীতি অনুসরণকারী দেশ নরওয়ে। দেশটির সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নরওয়েতে প্রবেশ করলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে। নরওয়ের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইন ও জবাবদিহির প্রশ্নে একটি শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার নরওয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিচ নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতি সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু যদি নরওয়ের মাটিতে অবতরণ করেন, তাহলে আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।
ক্রাভিচের ভাষ্য অনুযায়ী, আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নরওয়ের এ ধরনের পরোয়ানা বাস্তবায়নের স্পষ্ট আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই পদক্ষেপ কেবল আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি নরওয়ের অঙ্গীকারকেই নয়, বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনকেও প্রতিফলিত করে।
২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আইসিসি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই পরোয়ানায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের তিন শীর্ষ নেতাকেও অভিযুক্ত করা হয়।
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আইসিসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং এর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরিহার্য।
এর আগে, ২০২৪ সালের মে মাসে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এবং হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২১ নভেম্বর এই পরোয়ানা জারি করা হয়, যা এখন নরওয়ের মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক।
-রাফসান
সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে ইসরায়েলের বড় আঘাত
সিরিয়ার উত্তর কুনেইত্রা প্রদেশের তারাঞ্জা গ্রামে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অনুপ্রবেশের ফলে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখন অগ্নিগর্ভ। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার ছয়টি উন্নত সামরিক যান নিয়ে গঠিত একটি ইসরায়েলি ইউনিট তুলুল আল-হুমর অঞ্চল দিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এই সামরিক বহরটি বেইত জন্ন ও হাদার এলাকার মধ্যবর্তী পথ অতিক্রম করে সরাসরি তারাঞ্জা গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং সেখান থেকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জাবাথা আল-খাশাব শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
তদন্তকারী সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী জাবাথা আল-খাশাবের দক্ষিণ প্রান্তে একটি উঁচু টিলায় অবস্থান নিয়েছে, যেখান থেকে পুরো শহরটির ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব। এই অনুপ্রবেশের সময় আকাশজুড়ে ইসরায়েলি ড্রোনের কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। পরবর্তীতে ইসরায়েলি বাহিনী উফানিয়া গ্রামের দিকে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। এর মাত্র একদিন আগেই দক্ষিণ কুনেইত্রার পূর্ব তেল আল-আহমার এলাকায় তিনটি ভারী গোলা এবং মাঝারি পাল্লার মেশিনগান থেকে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি সেনারা, যা এই আগ্রাসনের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ১৯৭৪ সালের ডিসএঙ্গেজমেন্ট এগ্রিমেন্ট বা অনাক্রমণ চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে সিরিয়ার ভূখণ্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের শেষে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপ কয়েক গুণ বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন সিরিয়ার ভেতরে ঢুকে ঘরবাড়ি তল্লাশি করছে এবং বুলডোজার দিয়ে জমি দখল করে নতুন নতুন চেকপোস্ট বসাচ্ছে। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কুনেইত্রার বিভিন্ন শহরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলেও ইসরায়েলি বাহিনী তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
সিরিয়ার নতুন প্রশাসন এই অনুপ্রবেশকে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই অভিযানকে 'নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ' ও 'ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর তৎপরতা বন্ধের' অজুহাত দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কুনেইত্রার এই অস্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলে একটি বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নাইজেরিয়ায় ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বিমান হামলা
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। নাইজেরিয়া সরকারের সরাসরি অনুরোধে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান যে কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে তাঁর আদেশে নাইজেরিয়ায় আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই ‘শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী’ হামলা চালানো হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, এই জঙ্গিরা নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে এমন ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল যা আধুনিক ইতিহাসে বিরল।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ড (আফ্রিকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে সকোতো অঙ্গরাজ্যে আইএসের একাধিক ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। পেন্টাগন থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের সফলতায় নাইজেরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্সে লিখেছেন— ‘আরও আসছে’। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে গত অক্টোবরে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাম্প যে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছিলেন, এটি তারই চূড়ান্ত বাস্তবায়ন।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই নির্ভুল বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তবে নাইজেরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কিছুটা ভিন্ন সুরও পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছে যে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মুসলিম ও খ্রিষ্টান—উভয় সম্প্রদায়কেই সমানভাবে লক্ষ্যবস্তু করে। শুধুমাত্র একটি বিশেষ ধর্মের ওপর জোর দেওয়া হলে দেশের জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আফ্রিকার এই জনবহুল দেশটির উত্তরাঞ্চল দীর্ঘকাল ধরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের অস্থিরতায় ভুগছে। হামলার দিনই নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বড়দিনের বার্তায় সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সিরিয়ার পর নাইজেরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে জঙ্গি দমনে আগের চেয়েও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করছে।
পুতিনের মৃত্যু নিয়ে জেলেনস্কির বিস্ফোরক উক্তি
পবিত্র বড়দিনের উৎসবের আবহেও থামেনি ইউক্রেন-রাশিয়া রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। বড়দিন উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরাসরি নাম উচ্চারণ না করে তাঁর চরম পরিণতি বা মৃত্যু কামনা করেছেন। জেলেনস্কি তাঁর বার্তায় বলেন যে ইউক্রেনীয়দের জন্য রাশিয়া অবর্ণনীয় দুর্ভোগ বয়ে আনলেও তাঁরা ইউক্রেনীয়দের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ—পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস এবং ঐক্য কেড়ে নিতে পারেনি। তিনি দাবি করেন যে রাশিয়া ভূমি দখল করতে পারলেও ইউক্রেনীয়দের মন ও সাহস জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জেলেনস্কি তাঁর বক্তব্যে এক গভীর আক্ষেপ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে আজ প্রতিটি ইউক্রেনীয় নাগরিকের মনে একটিই স্বপ্ন এবং একটিই অভিন্ন প্রত্যাশা তা হলো— ‘তাঁর (পুতিনের) ধ্বংস বা মৃত্যু হোক’। বড়দিনের ঠিক আগ মুহূর্তে ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে রাশিয়া ব্যাপক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান এবং ইউক্রেনের বিশাল একটি অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে যায়। উৎসবের দিনে এমন নৃশংস হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে জেলেনস্কি রাশিয়াকে ‘ধর্মহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রুশ বাহিনীর এই সাম্প্রতিক হামলার চিত্র তুলে ধরে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন যে বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় রাশিয়া আবারও বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন করেছে। রুশ সেনারা শত শত শহীদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং ভয়ংকর কিনঝাল মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে শুরু হওয়া এই পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রায় তিন বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী, তবে জেলেনস্কি তাঁর বার্তায় জয়ী হওয়ার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে জেলেনস্কির এই সরাসরি ‘ধ্বংস’ কামনার সুর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে যুদ্ধ এখন এক চরম সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে যেখানে সমঝোতার পথ ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। রাশিয়ার ক্রমাগত বিমান হামলার মুখেও ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধের শক্তিই এখন কিয়েভের একমাত্র ভরসা। জেলেনস্কি বিশ্বাস করেন যে আকাশপথে বোমা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ধ্বংস করা গেলেও ইউক্রেনের স্বাধীনতার চেতনাকে দমানো অসম্ভব। বড়দিনের এই বার্তা কেবল একটি আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা নয় বরং বিশ্বমঞ্চে পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক তীব্র কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিবাদ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
নাইজেরিয়ায় রক্তাক্ত মাগরিব: নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুরিতে মাগরিবের নামাজের সময় এক আত্মঘাতী বা আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) হামলায় অন্তত সাতজন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় গাম্বোরু মার্কেট এলাকার একটি মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র নাহুম দাসো জানিয়েছেন যে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান এবং অন্তত ৩৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মিলিশিয়া নেতারা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। মাওলানা আবুনা ইউসুফ নামক এক ইমাম এএফপিকে জানিয়েছেন যে নিহতের সংখ্যা আটজনে পৌঁছাতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে যে বিস্ফোরণের পরপরই মার্কেট এলাকায় ব্যাপক ধুলোবালি ও ধোঁয়া ওড়ছে এবং আতঙ্কিত মানুষজন প্রাণভয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করছেন। হামলার পরপরই পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি শুরু করে।
মাইদুগুরি শহরটি প্রায় দুই দশক ধরে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম এবং আইএস পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশের (আইএসডব্লিউএপি) প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে এই অঞ্চলে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বোকো হারামের সশস্ত্র অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যদিও ২০২১ সালের পর থেকে মাইদুগুরি শহরটি তুলনামূলক শান্ত ছিল তবে গত রাতের এই হামলা ফের বড় ধরণের জঙ্গি তৎপরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এই ন্যাক্কারজনক হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বর্নো প্রদেশে জনাকীর্ণ স্থানে এ ধরণের হামলার ধরণটি মূলত বোকো হারামের চিরচেনা কৌশল। জাতিসংঘের হিসেবে গত ১৫ বছরে এই সহিংসতা নাইজেরিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী নাইজার, চাদ ও ক্যামেরুনেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সামরিক অভিযানের পরও এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী জনবহুল এলাকাগুলোতে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর সক্ষমতা ধরে রাখায় সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পুরো এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছে।
ইমরান খানের দলের সাথে শর্তসাপেক্ষ সংলাপে রাজি শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর সাথে আলোচনার আহ্বান গ্রহণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ইসলামাবাদে ফেডারেল মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই ঘোষণা দেন। তবে এই সংলাপের জন্য তিনি পিটিআই-এর সামনে বিশেষ শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বিরোধী দল যদি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় সত্যিকার অর্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় এবং সংলাপে আন্তরিক থাকে তবেই সরকার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শাহবাজ শরিফ স্পষ্ট করে বলেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের সাথে আলোচনা এগিয়ে নিতে চান। এর আগেও তিনি একাধিকবার ইমরান খানের দলের প্রতি আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে সংলাপের নামে কোনো ধরণের অবৈধ দাবি কিংবা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণ করা হবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই সংলাপ সফল হলে পাকিস্তানে গত কয়েক বছর ধরে চলা চরম উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে এবং আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।
বৈঠকে কেবল রাজনীতি নয় বরং দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনর্গঠনেও দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য নেওয়া প্রতিটি ইতিবাচক উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানাবেন তবে তা অবশ্যই জাতীয় স্বার্থে হতে হবে। সংস্কারের অংশ হিসেবে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ-এর বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শুরুকে তিনি এক ঐতিহাসিক ধাপ হিসেবে অভিহিত করেন। এই প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাহবাজ শরিফ জানান যে সর্বোচ্চ দরদাতাকেই সফল ঘোষণা করা হবে যাতে জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
বর্তমানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পিটিআই এবং সরকারের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে তা নিরসনে এই সংলাপের প্রস্তাবকে একটি ইতিবাচক মোড় হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। শাহবাজ শরিফ পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন যে দেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরকার আলোচনার পথ সবসময় খোলা রেখেছে। এখন বল মূলত পিটিআই-এর কোর্টে যে তারা শাহবাজের শর্ত মেনে সংলাপে ফিরবে কি না। যদি দুই পক্ষ একটি সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তবে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তুরস্কে বিমান বিধ্বস্তে লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত
লিবিয়ার সেনাপ্রধান মুহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে উড্ডয়নের অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে বহনকারী প্রাইভেট জেটটি বিধ্বস্ত হয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদসহ আরও চারজন উচ্চপদস্থ লিবীয় সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। লিবিয়ার জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দবেইবা এই মৃত্যুকে ‘দেশ ও সেনাবাহিনীর জন্য এক মহাবিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তুরস্কের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে যে দ্যাসো ফ্যালকন-৫০ মডেলের ওই বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বৈদ্যুতিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানালেও আঙ্কারার হায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে পৌঁছানোর পর রাডার থেকে বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যায়। লিবিয়ার সেনাপ্রধান আঙ্কারায় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দেশে ফিরছিলেন। উদ্ধারকারীরা রাজধানী আঙ্কারা থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দূরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে উড্ডয়নের প্রায় ৪২ মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন লিবীয় স্থলবাহিনীর প্রধান আল-ফিতুরি ঘারিবিল এবং সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাওই দিয়াব। আল-হাদ্দাদ ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম প্রধান সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ২০২০ সাল থেকে দেশটির সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিভক্ত লিবিয়ায় জাতীয় ঐক্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় তার ছিল ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। তার এই আকস্মিক মৃত্যু লিবিয়ার বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করেছে।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং কারিগরি ত্রুটির কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে তারা ধারণা করছেন। আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয় ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে এবং লিবিয়া থেকেও একটি প্রতিনিধি দল এই তদন্তে যোগ দিতে আঙ্কারায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। লিবিয়া সরকার এই বীর সেনানায়কের স্মরণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের সাথে লিবিয়ার সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন আরও গভীর হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে এই দুর্ঘটনাটি দুই দেশের সামরিক সহযোগিতায় একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রিটেনে গ্রেপ্তার হলেন গ্রেটা থুনবার্গ
বিশ্বখ্যাত জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের সমর্থনে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে রাখার সময় তাকে আটক করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ব্রিটেনের বিতর্কিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের অধিকার নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। থুনবার্গের গ্রেপ্তারের খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো ব্রিটিশ সরকারের কঠোর সমালোচনা শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রচারণাকারী গোষ্ঠী ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ জানিয়েছে যে থুনবার্গ এমন একটি প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন যা ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামক সংগঠনের বন্দি সদস্যদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে। উল্লেখ্য যে ব্রিটিশ সরকার এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল যে তিনি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দিদের সমর্থন করেন এবং যেকোনো ধরণের গণহত্যার বিরোধিতা করেন। সিটি অব লন্ডন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে প্রতীকী সামগ্রী প্রদর্শনের অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০-এর ধারা ১৩ অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায় যে বিক্ষোভকারীরা একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় লক্ষ্য করে এই কর্মসূচি পালন করছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি অনুযায়ী ওই বীমা প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘এলবিট সিস্টেমস’-এর ব্রিটিশ শাখাকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে দুজন ব্যক্তি ওই ভবনের দেওয়ালে লাল রঙ নিক্ষেপ করেন যাদের পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পরেই ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ সেখানে উপস্থিত হয়ে তার সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের সমর্থনে বার্তা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন শুরু করলে তাকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
গ্রেটা থুনবার্গের এই গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। পরিবেশ আন্দোলনের পরিচিত এই মুখ গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে সরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। তবে এবার সরাসরি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাকে অভিযুক্ত করায় ব্রিটিশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা মনে করছেন যে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে সরকার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ পুলিশের দাবি তারা কেবল দেশের প্রচলিত আইন এবং অপারেশনাল শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে গ্রেটা থুনবার্গকে লন্ডনের একটি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দিল্লি ও কলকাতায় উত্তাল বাংলাদেশ মিশন
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে উগ্র বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে উত্তেজিত স্লোগান দিতে শুরু করে। তারা পুলিশের তৈরি করা অন্তত দুটি নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রায় একই সময়ে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনেও অনুরূপ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায় যা সামলাতে কলকাতা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দল এই বিক্ষোভের ডাক দেয়। ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামক এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীরা গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। নয়াদিল্লিতে হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হলেও উত্তেজিত জনতা তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
মিশনগুলোতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালেই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে হাজির হন। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত এই বৈঠকে দিল্লি ও কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য স্থানে থাকা বাংলাদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দিল্লির প্রতি কড়া আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য যে গত মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে এটি ভারতীয় হাইকমিশনারকে দ্বিতীয়বারের মতো তলবের ঘটনা যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান টানাপোড়েনকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
এর আগে গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কলকাতায় বাংলাদেশবিরোধী একটি বড় ধরণের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। গত ১৪ ডিসেম্বরও প্রণয় ভার্মাকে তলব করে ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল ঢাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দিল্লির বাংলাদেশ মিশনে হামলার এই চেষ্টা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর নতুন করে ছায়া ফেলেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভিয়েনা কনভেনশন মেনে কূটনীতিক ও মিশনগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের দায়িত্ব।
ট্রাম্পের নজর এখন গ্রিনল্যান্ডে: উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ডেনমার্কের এই স্বায়ত্তশাসিত আর্কটিক দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। সম্প্রতি দ্বীপটিতে বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোপেনহেগেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ফ্লোরিডার পাম বিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার প্রশাসনের কৌশলী অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন যে গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সম্পদের চেয়েও এর ভৌগোলিক ও কৌশলগত গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আগামী জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প বারবার গ্রিনল্যান্ড ইস্যুতে কথা বলছেন। তিনি এমনকি এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাকেও পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। গত রবিবার লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিকে গ্রিনল্যান্ড বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর ডেনমার্ক সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই পদক্ষেপকে ডেনমার্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে কোপেনহেগেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
ট্রাম্পের মতে গ্রিনল্যান্ডের আশপাশের জলসীমায় সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও চীনের জাহাজের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন যে আর্কটিক অঞ্চলে বেইজিং ও মস্কোর প্রভাব রুখতে গ্রিনল্যান্ডের ওপর ওয়াশিংটনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। তবে ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় নেতারা ট্রাম্পের এই মনোভাবকে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তারা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে গ্রিনল্যান্ড বিক্রির কোনো পণ্য নয় এবং এর ভবিষ্যৎ কেবল দ্বীপটির জনগণই নির্ধারণ করবে। একটি সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে গ্রিনল্যান্ডের মানুষ ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে মোটেও আগ্রহী নয়।
বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং দ্বীপটি বিরল খনিজ সম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ডেনমার্ক সরকারও বসে নেই বরং তারা আর্কটিক অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ট্রাম্পের এই আগ্রাসী নীতি দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ছায়া ফেলছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। গ্রিনল্যান্ডকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও কোপেনহেগেনের এই রশি টানাটানি ভবিষ্যতে আর্কটিক অঞ্চলের রাজনীতিতে নতুন কোনো মোড় নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।
পাঠকের মতামত:
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- কোরআন ও সুন্নাহই হবে আইনের ভিত্তি: মির্জা ফখরুল
- টাঙ্গাইল-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত, জমা পড়ল মনোনয়ন
- কোন মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি হচ্ছে
- রেকর্ড ডেট শেষে চার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেনের সময়সূচি প্রকাশ
- দুই ব্যাংকের সব শেয়ার বাতিল, কার্যকর রেজোলিউশন আদেশ
- ইউনিয়ন ব্যাংক নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডিএসই ডেইলি টার্নওভার: আজকের বাজার চিত্র
- ২৮ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৮ ডিসেম্বরের ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৮ ডিসেম্বরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তাসনিম জারার পর এবার তাজনূভা: এনসিপিতে বিদ্রোহের আগুন থামছেই না
- ভারতে ধরা পড়ল হাদির খুনিদের সহায়তাকারীরা
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট
- কেন শীতেই কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং বাঁচার উপায় কী?
- বৃত্তি পরীক্ষা শুরু আজ: হলে প্রবেশের আগে মানতে হবে ৯ নির্দেশনা
- ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ
- দিল্লির তাবেদারি ও ফ্যাসিবাদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: ডাকসু ভিপি
- জামায়াত নির্ভরযোগ্য মিত্র নয়: এনসিপি নেত্রী সামান্তা
- আজ থেকেই বিচার বিভাগে নতুন যুগ
- শীতে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল রাখার ৫টি সহজ উপায়
- এক নজরে টিভিতে আজকের খেলা: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- জামায়াত সমঝোতা নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি সদস্যসচিব
- সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে ইসরায়েলের বড় আঘাত
- আজ রোববার ঢাকার রাজপথে যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচি
- আজ ২৮ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- ভোটের আগে রাজনীতিতে চলছে ভাঙাগড়ার নতুন খেলা
- হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু দেশ: সূর্যের দেখা মেলাই এখন ভার
- কর্মকর্তাদের পকেটে বইয়ের টাকা: নতুন বছরেও খালি হাতেই ক্লাসে ছাত্ররা
- অত্যন্ত জটিল ও সংকটময় মুহূর্তে খালেদা জিয়া
- ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি
- ৯ কোটির মুস্তাফিজকে নিয়ে বিপাকে শাহরুখের দল: উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশ
- স্ট্রেস থেকে উচ্চ রক্তচাপ: হার্ট অ্যাটাক রুখতে মেনে চলুন ৫ নিয়ম
- বিদেশের মাটিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা: ২০২৬ সালের জন্য সেরা স্কলারশিপ
- এনসিপি কি দুই ভাগ হচ্ছে: জামায়াত জোট ঠেকাতে ৩০ নেতার কঠোর বার্তা
- গোপালগঞ্জের নৌকার ১৭ মাঝি এখন ধানের শীষের সারথি
- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা: আজই দেখে নিন রুটিন
- কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন তাসনিম জারা: নিজেই জানালেন নেপথ্য কারণ
- চট্টগ্রামের ৩ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত চমক
- গণমাধ্যমে যারা আগুন দেয় তারা সরকারেরও প্রতিপক্ষ: তথ্য উপদেষ্টা
- ৬ মাসের পরিকল্পনা ও এক মিনিটের অপারেশন: হাদি হত্যার নতুন রহস্য
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- এনআইডি পেতে তারেক রহমানের হাতে সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা
- গণঅধিকার পরিষদ ছেড়ে বিএনপিতে রাশেদ খাঁনের নাটকীয় যোগদান
- আবহাওয়া অফিসের স্বস্তির বার্তা: সন্ধ্যার পূর্বাভাসে মিলল নতুন সংকেত
- সংসদ নির্বাচনে লড়তে আর বাধা নেই তারেক রহমানের
- বিপিএলের মাঠেই ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচের মৃত্যু
- অজান্তেই পিত্তথলিতে পাথর জমাচ্ছে আপনার এই ৫টি ভুল অভ্যাস
- শীতে বাড়ছে মাইগ্রেনের তীব্র যন্ত্রণা: বাঁচার উপায় জানালেন চিকিৎসকরা
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
- জামায়াত ও চরমোনাই পীরের দলের বড় টানাপোড়েন,অস্থির জোট








