ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি: ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে মাঠে নামা যাবে না

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৪ ২২:০৮:১৫
ডিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি: ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে মাঠে নামা যাবে না
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা তাদের অঙ্গসংগঠন ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যদের সড়কে নামতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সজাগ আছে। এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গনভোট প্রশ্নে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৫:৫১:৫৩
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গনভোট প্রশ্নে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

প্রিয় দেশবাসী, শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ, নবীন-প্রবীণ সবাইকে আমার সালাম জানাচ্ছি।

আসসালামু আলাইকুম।

গত বছর আগস্ট মাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিবলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছিলাম। এরপর আমরা এখন আমাদের মেয়াদে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছি।

আমাদের সরকারের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব ছিল মূলত তিনটি। হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, একটি জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের আয়োজন করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই বিচারের উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের প্রথম রায় শীঘ্রই দিতে যাচ্ছে।ট্রাইব্যুনালে আরও কয়েকটি মামলার বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ ফৌজদারি আদালতগুলোতেও জুলাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কিছু বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আমরা একইসাথে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুমের মতো নৃশংস অপরাধের বিচারকাজ শুরু করেছি।

আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই যে সংস্কারের ক্ষেত্রেও আমরা ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার নিজ উদ্যোগে বা বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিছু প্রস্তাবিত সংস্কারের কাজ এখনও চলমান আছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে বা বিদ্যমান আইন সংশোধন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন সম্প্রসারণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সুশাসনের জন্য এসব সংস্কার বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। আশা করি, আগামী নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসব সংস্কার গ্রহণ করবে।

আমাদের আরেকটি গুরুদায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। আমি ঘোষণা করেছি যে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা সঠিকভাবে পালন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রিয় দেশবাসী,রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে গত প্রায় নয় মাস ধরে কাজ করেছে। এসময় কমিশন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করেছে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ধৈর্য্যসহকারে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশন কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। মতের পার্থক্য থাকলেও তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। অনেক বিষয়েই ঐকমত্যে আসতে পেরেছেন। দেশবাসী সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই পুরো কার্যক্রম দেখতে পেরেছেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে তো বটেই, পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এটি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্যও আশাব্যঞ্জক। আমি ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে গণতান্ত্রিক চর্চার এই আসাধারণ আয়োজনকে সফল করার জন্য আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধান বিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত আছে। বাকি অল্প কিছু প্রস্তাবে আপাতদৃষ্টে মনে হয় অনেক দূরত্ব আছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, এসব প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রেও আসলে মতভিন্নতা খুব গভীর নয়। কেউ সংস্কারটা সংবিধানে করতে চেয়েছেন, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছেন। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীতা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারো মধ্যে মতভেদ নেই। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য বক্তব্য যতখানি পরস্পরবিরোধী অবস্থান আছে বলে মনে হয়, জুলাই সনদ সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে ততখানি মত পার্থক্য দেখা যায় না। এটি আমাদের অনন্য অর্জন। এতে জাতি এগিয়ে যেতে সাহসী হবে।

এসব বিবেচনায় রেখে এবং রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজকের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এটি বিরাট খবর। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে এটি ইতোমধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধান বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবণার ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।

আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।

জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি।আমি প্রশ্নটি এখন আপনাদের সামনে পাঠ করে শোনাচ্ছি। প্রশ্নটি হবে এরকম:“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”

ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।”

গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।

গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রিয় দেশবাসী,অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে অর্থনীতিকে গভীর গহ্বর থেকে উদ্ধার করা ছিল আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ১৫ মাসে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে সক্ষম হয়েছি। রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রিজার্ভসহ অর্থনীতির সবগুলো সূচকে দেশ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। লুট হয়ে যাওয়া ব্যাংকিং খাত ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নানামুখী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস পেলেও বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ অর্থাৎ এফডিআই ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে এক অনন্য অর্থনৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আগামী সপ্তাহে ডেনমার্কভিত্তিক মায়ার্স্ক গ্রুপের মালিকানাধীন এপিএম টার্মিনালস বি.ভি.-এর সঙ্গে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় এই কোম্পানি ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটি এযাবৎকালে বাংলাদেশে ইউরোপের সর্বোচ্চ একক বিনিয়োগ। লালদিয়া হবে দেশের প্রথম বিশ্বমানের গ্রিন পোর্ট।

প্রিয় দেশবাসী,প্রায় দেড় যুগ ধরে আমাদের জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তাঁরা আজ আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে জাতি এক মহাবিপদের সম্মুখীন হবে। এ সম্পর্কে আমি আগেও একাধিকবার আমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছি।ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪-এর জুলাইয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে দেশবাসী যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল, আমরা জীবিতরা যেন অল্পস্বল্প ভিন্নমত ও লঘু বিবাদে জড়িয়ে তার মর্যাদা ক্ষুন্ন না করি।

১৩৩ শিশু, শত শত তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানির যে আত্মত্যাগ সেটিকে আমাদের সম্মান জানাতেই হবে।

দেশের আপামর জনগণ সামান্য যা চায় তা হচ্ছে, এই অগুনিত হতাহতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সবাই যেন ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতা দেখাই। দলীয় স্বার্থ অতিক্রম করে, সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা ও জাতীয় চাওয়াকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। তাই আমি আশা করি আমাদের এই সিদ্ধান্ত জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে। একটি উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের দিকে জাতি এগিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করব।

আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছালাম।মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমাদের আশা মহান আল্লাহ পূরণ করুন।

আল্লাহ হাফেজ।সবাইকে ধন্যবাদ।


নির্বাচনের দিনই গণভোট: গণভোটের প্রশ্নে যা থাকছে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৫:১৬:১৯
নির্বাচনের দিনই গণভোট: গণভোটের প্রশ্নে যা থাকছে
ছবি: সংগৃহীত

জাতির উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেল আড়াইটায় দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেনআসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিনই দেশজুড়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই সনদের আলোকে প্রস্তাবিত চারটি মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে ব্যালটে থাকবে একটিমাত্র প্রশ্ন, যেখানে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোট পেলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যারা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদে যে কাঠামোগত রাজনৈতিক সংস্কারের নকশা উপস্থাপিত হয়েছে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণ সম্মতি দিলে সেই ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠন করা হবে। তিনি জানান, গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনযোগ্য চারটি মূল বিষয়ের সারমর্ম হলো-

১. নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো

তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠিত হবে। লক্ষ্য নির্বাচনকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

২. দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ

আগামী সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে।

  • ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে।
  • সংবিধান সংশোধনে এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্মতি বাধ্যতামূলক হবে।এটি ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক স্থাপত্যের ইঙ্গিত দেয়।

৩. জুলাই সনদের ৩০ দফা রাজনৈতিক সংস্কার বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন

নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল সীমাবদ্ধকরণ, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা পুনঃনির্ধারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিস্তৃত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো আইনি বাধ্যবাধকতার আওতায় থাকবে।

৪. জুলাই সনদের অন্যান্য সংস্কারসমূহ বাস্তবায়ন

রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার অনুযায়ী জুলাই সনদে উল্লেখিত বাকি সংস্কারসমূহ ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যেই তারা সংবিধান পুনঃগঠনের কাজ সম্পন্ন করবেন।


জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১২:৪৯:৩১
জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: ড. ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আনন্দঘন পরিবেশে শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

সৃজনশীল বিকাশে জোর

ড. ইউনূস মনে করেন, শিশুদের মেধার বিকাশ শুধু গতানুগতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।

ক্ষেত্র সম্প্রসারণ তিনি প্রশ্ন রাখেন, “শিশুরা শুধু নাচ-গানে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন?”—এই প্রশ্ন রেখে ড. ইউনূস শিশুদের রচনা, প্রযুক্তি, খেলাধুলা ও উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন পর আবারও ‘নতুন কুঁড়ি’ আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন কুঁড়ির মতো অন্যান্য ক্ষেত্রেও মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানের আগে প্রতিযোগিতার দুটি বিভাগের দুই বিজয়ীর হাতে ৩ লাখ টাকার চেক ও ট্রফি তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানান।


সিইসি’র হুঁশিয়ারি সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:২১:০০
সিইসি’র হুঁশিয়ারি সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে খেলবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকা পালন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দলগুলো সহযোগিতা না করলে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারাবে এবং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

পোস্টার অপসারণ এবং কমিশনের চাপ

পোস্টার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন পোস্টার নিষিদ্ধ করলেও সারা ঢাকা শহর এখনো পোস্টারে ছেয়ে আছে। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ইসি পোস্টার নিষিদ্ধ করার পরেও শহরের যে চিত্র, তা অনভিপ্রেত। পোস্টারগুলো যদি দলগুলো নিজেরাই স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে ফেলে, তবে এটাই হবে সবচেয়ে ভদ্র আচরণ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে কমিশন কোনোভাবেই ছাড় দেবে না।

চাপের মুখে কমিশন সিইসি জানান, একটি ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ এবং বিশেষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে গিয়ে কমিশনের ওপর নানা ধরনের চাপ আসছে। এ কারণে তিনি আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সহযোগিতা চেয়েছেন নির্বাচনে অংশীজনদের কাছে।


শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১০:৩৯:১৫
শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা
ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে এই রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন।

ট্রাইব্যুনাল চত্বরে যৌথ বাহিনীর অবস্থান

এদিন সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ-র‌্যাব, বিজিবি-সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। একইসঙ্গে আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। তল্লাশি চালিয়ে জনসাধারণ ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা বলয় সরেজমিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাইকোর্ট মাজার-সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের ফটকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান ছিল সেখানে। ৮টার পর সেখানে আসে সেনাবাহিনীর টহল দল।

লক্ষ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে কেউ যেন উসকানিমূলক কার্যকলাপ বা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা জুড়ে নিরাপত্তা

রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আজ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন থাকছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।

তল্লাশি অভিযান নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বুধবার থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় বিভিন্ন চেকপোস্টে গণপরিবহণ আর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়েছে। গত রাতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও মেসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।

যান চলাচল সকালে রাজধানীর রাস্তার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক দেখা গেলেও সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। বাংলামোটর মোড়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।


আজ জারি হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:১৩:০৮
আজ জারি হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে 'জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫'-এর ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন। এর আগে বেলা এগারোটায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের পর আদেশ জারি করা হবে।

আদেশে ভারসাম্য আনার চেষ্টা

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, একই আদেশের ভিত্তিতে একদিনেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থান দূর করতে প্রস্তাবিত আদেশে একধরনের ভারসাম্য আনা হয়েছে, যাতে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতের উদ্বেগও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

সংকট সমাধানে সরকারের কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় ছিল:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা।

সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে।

গণভোটে 'নোট অব ডিসেন্ট' বা ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ রাখছে না সরকার। পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতার সুপারিশও বাতিল করা হতে পারে।

তবে সরকার পরিকল্পনা করেছে, নতুন সংসদে এই আদেশকে ভিত্তি করে একটি বিল আকারে প্রস্তাব পেশ করা হবে। গণভোটের ব্যালটে একাধিক প্রশ্নও রাখা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে টানাপোড়েন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র টানাপোড়েন এখনো চলছে। বুধবারও বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরেননি।

জামায়াতসহ আটটি ইসলামি দল সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দিয়ে বলেছে, আগামী রবিবারের মধ্যে আদেশ জারি না হলে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবে।

অপরদিকে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বক্তব্যে এই আদেশের বিষয়ে পালটা হুঁশিয়ারিও রয়েছে।

সনদের প্রক্রিয়াকরণ

১৭ অক্টোবর ২৫টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৮ অক্টোবর সরকারকে তাদের সুপারিশপত্র দেয়। তবে এর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দেওয়ায় ৩ নভেম্বর ডক্টর ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত মত জানাতে বলা হলেও কোনো ঐকমত্য হয়নি।

সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রথম দিকে উপদেষ্টা পরিষদও এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। পরবর্তীকালে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইন উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল এবং জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানসহ কয়েকজন উপদেষ্টাকে।

ড ইউনূসের ষষ্ঠ ভাষণ

আজকের এই ঘোষণাটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ডক্টর ইউনূসের ষষ্ঠ জাতির উদ্দেশে ভাষণ। এর আগে তিনি গত বছরের ২৫ আগস্ট প্রথম ভাষণ দেন এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেন।


কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২৩:৪১:৫৯
কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত বহুল আলোচিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়েছে। ২১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্যচিত্রটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমননীতির চিত্র তুলে ধরেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ বুধবার প্রামাণ্যচিত্রটি প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানায়, “পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। সত্য প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা ন্যায়বিচার ও মানবতার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।”

প্রামাণ্যচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের সময়কার আর্কাইভ ফুটেজ, স্বাধীন সাংবাদিকদের ভিডিওচিত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিবৃতি। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতার দৃশ্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতদের তালিকা বিশ্লেষণাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা জানিয়েছেন, এটি শুধুমাত্র ইতিহাসের রেকর্ড নয়, বরং জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার একটি উদ্যোগ—কীভাবে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া একটি গণআন্দোলন রাষ্ট্রীয় সহিংসতার মুখে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। একইসঙ্গে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফ্যাসিবাদ ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে সচেতন করার উদ্দেশ্যও এতে নিহিত।

প্রামাণ্যচিত্রটি অনলাইনে সরকারী পোর্টাল ও জাতীয় টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে দেশ–বিদেশের দর্শক সহজে দেখতে পারেন।

দেখুন সম্পূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রটি (দৈর্ঘ্য: ২১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড):


নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে যা হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ড ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:৫১:৪৬
নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে যা হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ড ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। তিনি উল্লেখ করেন, তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডীয় সাত সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

ডক্টর ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন

"তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় বারো লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।"

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ডক্টর ইউনূসকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাঁর অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধিদলের সদস্য সামির জুবেরি, যিনি পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যও, তিনি জানান কানাডা বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বহুমুখী করার চেষ্টা করছে।

সামির জুবেরি বলেন, "আমরা বাণিজ্যের বৈচিত্র্য আনতে কাজ করছি। বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে গভীর মানবিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এশিয়া সফরে গিয়েছিলেন—বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্য নিয়ে।"

সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ পোশাক, কৃষি ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য সুযোগ এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি শিল্পে কানাডার বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ, সামির জুবেরি, মাহমুদা খান, মাসুম মাহবুব, আহমদ আতিয়া এবং উসামা খান। সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।


সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ অক্টোবর মাসের চিত্র উদ্বেগের জন্ম দিল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৪:৩৬:৫৯
সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ অক্টোবর মাসের চিত্র উদ্বেগের জন্ম দিল
ছবিঃ সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৪৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৮০ জন। এটি গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ জনের মৃত্যুর হার।

বুধবার ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৩২টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১০ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে ১২৬টি ঘটনায় ১৩০ জন নিহত এবং ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত এবং ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬ শতাংশ, যা মোটরসাইকেলের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুসহ সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ রয়েছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে:

সড়কের গর্ত ও ফিটনেসবিহীন যান

অদক্ষ চালক ও উল্টোপথে যানবাহন চলাচল

সড়কে প্রয়োজনীয় রোড ডিভাইডার না থাকা

ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামত করা

দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া

সড়কে প্রয়োজনীয় রোড সাইন স্থাপন করা

সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাসের এক এমন প্রলয়ঙ্করী অধ্যায় যা কেবল লক্ষ লক্ষ প্রাণই কেড়ে নেয়নি, বদলে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীর মানচিত্র ও... বিস্তারিত