বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা

বিশ্ব অর্থনীতিতে মুদ্রার শক্তি সাধারণত পরিমাপ করা হয় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার দিয়ে। অর্থাৎ, একটি মুদ্রার একক দিয়ে কত মার্কিন ডলার ক্রয় করা যায়, সেটিই মূলত সেই মুদ্রার শক্তিমত্তার সূচক। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রার তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় লক্ষণীয়ভাবে প্রথম চারটি স্থানই দখল করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মুদ্রা, যা অঞ্চলের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক সুস্পষ্ট প্রমাণ।
১. কুয়েতি দিনার — বিশ্বের শীর্ষ মুদ্রা
তালিকার শীর্ষে রয়েছে কুয়েতি দিনার (KWD), যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। এক কুয়েতি দিনারের বিপরীতে পাওয়া যায় প্রায় ৩.২৬ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯৭ টাকার সমান। কুয়েতের এই অর্থনৈতিক ক্ষমতার মূল উৎস হলো তেল রপ্তানি থেকে অর্জিত বিপুল রাজস্ব, যা দেশটিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে।
২. বাহরাইনি দিনার — দ্বিতীয় স্থানে
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনি দিনার (BHD), যার এক ইউনিটের মূল্য ২.৬৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩২২ টাকা। যদিও বাহরাইনও একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ, তবে এর অর্থনীতি বহুমুখী খাতের ওপর নির্ভরশীল, যেমন ফাইন্যান্স, বাণিজ্য এবং পর্যটন। এই বৈচিত্র্য মুদ্রাটিকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. ওমানি রিয়াল — তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা
ওমানি রিয়াল (OMR) বর্তমানে ২.৬০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩১৬ টাকার সমমূল্যের, যা একে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে স্থান দিয়েছে। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির পাশাপাশি কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ও স্থিতিশীল নীতিমালা ওমানের মুদ্রার মান ধরে রাখতে সহায়তা করে।
৪. জর্ডানি দিনার — মধ্যপ্রাচ্যের চতুর্থ প্রতিনিধি
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জর্ডানি দিনার (JOD), যার এক ইউনিটের মূল্য ১.৪১ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৭১ টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জর্ডান তেল ও গ্যাসের উপর তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরশীল, বরং এটি সেবা খাত, পর্যটন এবং বৈদেশিক সহায়তার ওপর বেশি নির্ভর করে।
৫ থেকে ১০ নম্বর — পশ্চিমা মুদ্রার আধিপত্য
পঞ্চম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP), যার এক ইউনিটের মান ১.৩৩ মার্কিন ডলার। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জিব্রাল্টার পাউন্ড, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে সমমান। সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাঁ (CHF) ১.২১ ডলার মূল্যে, যা স্থিতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য পরিচিত। অষ্টম স্থানে রয়েছে কেম্যান ডলার (KYD), যার মান ১.২০ মার্কিন ডলার। নবম স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ মুদ্রা ইউরো (EUR), যা ১.১৩ মার্কিন ডলারের সমান।
দশম স্থানে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত মুদ্রা মার্কিন ডলার (USD) নিজেই। যদিও আন্তর্জাতিক লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে ডলারের ব্যবহার সর্বাধিক, তবুও বিনিময় হার বিচার করলে এটি বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় শেষ স্থানে রয়েছে।
হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৩৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রবৃদ্ধি ও কারণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ, রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬.২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গত বছরের রেকর্ড রেমিট্যান্স
গত আগস্ট মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার এসেছিল, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে এককালীন সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৩২৯ কোটি ডলার এসেছিল, যা ছিল সেই বছরের রেকর্ড।
স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
চলতি মৌসুমে ইলিশের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি ইলিশের আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। বাজারে ইলিশের অস্বাভাবিক দামের কারণে তৈরি হওয়া অস্থিরতার ভিত্তিতে সমীক্ষা শেষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ট্যারিফ কমিশন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
রপ্তানি মূল্য ও স্থানীয় মুনাফায় অসঙ্গতি
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে ইলিশের স্থানীয় বাজারমূল্য এবং রপ্তানি মূল্যের মধ্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম যেখানে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা, সেখানে চলতি মাসে ভারতে রপ্তানি করা প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে গড়ে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, ব্যবসায়ীরা উৎপাদন মূল্যের তুলনায় স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেশি মুনাফা করছেন।
ট্যারিফ কমিশন ইলিশের দাম বাড়ার পেছনে ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:
বাজারের ভারসাম্যহীনতা: চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা।
সিন্ডিকেট: মজুত ও সিন্ডিকেট।
পরিচালনা ব্যয়: জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মাছ ধরার খরচ বৃদ্ধি।
পরিবেশ ও পদ্ধতি: নদীর নাব্যতা সংকট, পরিবেশগত সমস্যা এবং অবৈধ জালের ব্যবহার।
ব্যবসায়িক সমস্যা: দাদন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং রপ্তানির চাপ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। গত চার মাসে ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি বেশ লক্ষণীয় ছিল। এই ধারাবাহিকতা রোধ করতে ট্যারিফ কমিশন এবার দাম বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বক্তৃতা দেন। “Advancing Reform, Resilience and Growth” শিরোনামের এই আয়োজনটি করেছে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।
নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক বৈঠকে প্রফেসর ইউনুস মার্কিন কোম্পানি মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলারেট এনার্জির মতো শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের বাংলাদেশে নতুন ও সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ও উদীয়মান, যেখানে জ্বালানি, আর্থিক খাত, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনী শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের জানান, প্রফেসর ইউনুসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গী ছয়জন রাজনৈতিক নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বৈঠক বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারে বলে তারা মনে করেন।
-নাজমুল হোসেন
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শেষ দিকে ক্রেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও, শেষ এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই কমেছে।
ডিএসই’র চিত্র
লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির।
ভালো কোম্পানি (১০% বা বেশি লভ্যাংশ): ১৬১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৭টির কমেছে।
মাঝারি মানের কোম্পানি (১০% এর কম লভ্যাংশ): ৭১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৪টির কমেছে।
জেড গ্রুপ: ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৯টির কমেছে।
মিউচুয়াল ফান্ড: ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে, ১টির কমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুটি সূচক, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচকও যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে।
লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে মোট ৫৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। এরপর রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ (১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) এবং সামিট এলায়েন্স পোর্ট (১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা)।
শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সোনালী পেপার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, ই-জেনারেশন এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সিএসই’র চিত্র
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে, ৮৩টির কমেছে এবং ১১টির অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কম
বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়
দেশের সড়কে বর্তমানে অন্তত আড়াই লাখ নিবন্ধনহীন গাড়ি চলাচল করছে। এতে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৬,২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কিউআর কোড সংবলিত ই-ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত সম্প্রতি হওয়া একটি সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোট যানবাহন সংখ্যা ৬৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৭৩টি। এতে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে।
বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, "এখনো আমাদের দেশে দুই থেকে আড়াই লাখ গাড়ির নিবন্ধন নেই। এই গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, ই-ট্যাক্স টোকেন ও আরএফআইডি ট্যাগ ব্যবহার করা গেলে গাড়ির যাবতীয় তথ্য সহজে সংগ্রহ করা যাবে।
কর ফাঁকি ও নতুন উদ্যোগ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সম্প্রতি ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির কর নথি যাচাই করে। এতে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩৩৯ জন মালিক তাদের গাড়ির তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনবিআরের ধারণা, এসব গাড়ি থেকে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য কর নথিতে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এটি না করলে জরিমানা ও ফৌজদারি বিধান প্রযোজ্য। বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক অগ্রিম কর নির্ধারিত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নিবন্ধনহীন গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং ই-ট্যাক্স টোকেন চালু করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। এনবিআরের প্রতিনিধি জানান, এতে কর আদায় বাড়বে এবং নিবন্ধনহীন গাড়ি শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে মফস্বলে ট্যাক্স টোকেন জমা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করতে ব্যাংকিং ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলেও সভায় আলোচনা হয়েছে।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি। এত দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা।
মঙ্গলবার থেকে কার্যকর নতুন দাম
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিভিন্ন ক্যারেটের নতুন দাম
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।
রুপার দাম অপরিবর্তিত
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সঞ্চয়পত্রকে ‘লেনদেনযোগ্য’ করার পথে সরকার? আসছে নতুন বাজার
সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সঞ্চয়পত্র এখন বাজারের সঙ্গে আংশিক যুক্ত, কিন্তু এটিকে পুরোপুরি লেনদেনযোগ্য করতে হবে। এতে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন এবং সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তারল্যও বাড়বে।
বন্ড ও সুকুক বাজার উন্নয়ন
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সরকারি বন্ড কিনতে পারছে, এ বিষয়টিও ইতিবাচক। এখন বেসরকারি বন্ডও লেনদেনযোগ্য করতে হবে ও সঠিক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। এতে রাতারাতি বন্ড মার্কেট দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং বাজার অনেক প্রাণবন্ত হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক বাজার উন্মোচন: রাজস্ব স্থিতি, অবকাঠামো বাস্তবায়ন ও ইসলামি মানি মার্কেট উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্সের অধ্যাপক এম কবীর হাসান। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
পেনশন ফান্ড ও বিমা খাতের গুরুত্ব
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বন্ড কেনার ক্ষেত্রে সরকারের পেনশন-ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হতে পারে। এ ছাড়া করপোরেট পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড—এসবকেও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। সরকার চাইলে এসব বিষয়ে খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। সে জন্য পেনশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ দরকার। সব প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে তহবিল গড়ে তুলছে, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামোর বৈশ্বিক তুলনা
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো বৈশ্বিক অর্থনীতির তুলনায় আলাদা। এক অর্থে এটি উল্টো। বাংলাদেশে আর্থিক কাঠামো ব্যাংকনির্ভর; কিন্তু বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা মূলত বন্ডনির্ভর। বৈশ্বিকভাবে প্রায় ১৩০ ট্রিলিয়ন বা ১৩০ লাখ কোটি ডলারের বন্ড ইস্যু করা হয়েছে; এটি বৈশ্বিক জিডিপির ১৩০ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো স্টক মার্কেট; এই বাজারে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৯০ ট্রিলিয়ন বা ৯০ লাখ কোটি ডলার। তৃতীয়ত, মানি মার্কেট (ব্যাংক ঋণসহ সবকিছু) মোট ৬০ ট্রিলিয়ন বা ৬০ লাখ কোটি ডলারের, অর্থাৎ এটি বন্ড বাজারের অর্ধেকেরও কম। ফলে আমাদের কাঠামোটি একেবারেই উল্টো। পেনশন বা বিমা খাতের কথা বলছি-ই না, সেগুলো এতই ছোট যে বাংলাদেশে জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ গণনায় ধরার মতোও নয়। এই হলো বাস্তব চিত্র।
সুকুক বাজার ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ
সুকুকের বাজার খুবই ছোট উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার কোটি টাকার ছয়টি সুকুক ইস্যু হয়েছে। অথচ আমাদের অনেক প্রকল্প থেকে আয় হচ্ছে। সেসব সম্পদ সিকিউরিটাইজ করলে দ্রুত সুকুক বাজার বড় করা সম্ভব। যেমন যমুনা বা পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায়ের প্রবাহ ব্যবহার করে নতুন সেতু নির্মাণে বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। একইভাবে মেট্রোরেল, টোল রোড, ফ্লাইওভার—এসব প্রকল্প থেকেও যে আয় হয়, তা সিকিউরিটাইজ করে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের অর্থ জোগাড় করা সম্ভব। সে জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ কার্যকরী বিভাগ দরকার; এর কাজ হবে শুধু এই বিষয়গুলো দেখা। বর্তমানে বাংলাদেশে বিমার বাজার জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতে এটি ৪ শতাংশ—উন্নত দেশে ১২ শতাংশ। ফলে বিমা খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য।
গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিগগিরই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ তা উপস্থাপন করা হবে। সুপারিশগুলোতে বন্ড মার্কেটের বিভিন্ন খাত—কনভেনশনাল ও সুকুক (ইসলামি বন্ড) দুটোই অন্তর্ভুক্ত আছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে, তবে কত?
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পর সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কত টাকা বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি’
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর তাদের সঙ্গে আবার বসে ভোজ্যতেলের দাম কত টাকা বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ও পূর্বের দাম
এর আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোজ্য তেলের দাম যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা: কী প্রভাব পড়বে রপ্তানিকারকদের ওপর?
চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক ও সেবা খাতে সম্প্রতি ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের জোরালো দাবির মুখে এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ ঘোষণা দেন নৌপরিবহন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত এই কর্মশালায় উপদেষ্টা জানান, এক মাসের স্থগিতাদেশের পর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। তিনি বলেন, “পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি এবং বে-টার্মিনালসহ চলমান প্রকল্পগুলো বন্দরের চার্জ বাড়াতে বাধ্য করেছে। তবে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপ কিছুটা কমাবে।”
ব্যবসায়ীদের দাবি
কর্মশালায় ব্যবসায়ী নেতারা বর্ধিত শুল্ক অন্তত ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা এবং কিছু চার্জ কমানোর দাবি জানান। তারা বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের সহায়তা জরুরি। তারা সেবার সংকট নিরসনে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দ্রুত করার জন্য আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেন।
নতুন শুল্ক কাঠামোতে বন্দর এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) সেবার চার্জ গড়ে ৪০-৪৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানিকারকরা অভিযোগ করেন, আইসিডিগুলো সেবার মান বা সক্ষমতা না বাড়িয়েই চার্জ বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাননিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন তারা।
বন্দরের সক্ষমতা ও সংস্কার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দরটি নকশা অনুযায়ী ধারণক্ষমতার বাইরে পরিচালিত হচ্ছে। এটি এখনও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল এবং সীমিত গভীরতার কারণে বৈশ্বিক মানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কনটেইনার দ্রুত খালাস, কাস্টমস স্বয়ংক্রিয়করণ এবং আগামী পাঁচ বছরের সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সামলাতে আইন সংস্কারের প্রয়োজন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান জানান, বন্দরে আটকে থাকা সব নিলামযোগ্য কনটেইনার এই মাসেই দ্রুত নিলাম করা হবে। তিনি আরও জানান, সাবেক এমপিদের ফেলে রাখা ৩০টি গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, লজিস্টিকস পারফরম্যান্স, বাণিজ্য ব্যয় এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দক্ষতার দিক থেকে চট্টগ্রাম বন্দর এখনও বিশ্বের শীর্ষ বন্দরের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
- অমর একুশে বইমেলা স্থগিত ঘোষণা
- খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারার মধ্যে সংঘর্ষ, রামসু বাজারে আগুন
- আমার স্ত্রী ঠিক করেন কখন হামলা হবে : নেতানিয়াহু
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা
- চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দেড় কোটি টাকার কাপড় উধাও
- গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ; আমরা এখন নিজে খেলব: ড. ইউনূস
- ঘুষের দায়ে চীনের সাবেক মন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড
- বিএনপি-জামায়াত প্রশাসনকে ভাগাভাগি করে নিয়েছে: মাহফুজ আলম
- যেকোনো কেন্দ্রে কারচুপি হলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত: সিইসি
- হজ ২০২৬: তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা, বিমান ভাড়াও কমল
- আফগানিস্তানের বাগরাম দখলে ট্রাম্পের পাঁয়তারা, বাগড়া দিচ্ছে চার দেশ
- নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর কথা স্বীকার করলেন উপাচার্য
- স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
- নীরবে বাড়ে চোখের ক্যানসার, যে লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
- স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সামনে জামায়াতের নতুন লোগো, শুরু হলো আলোচনা
- উপদেষ্টার পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় মাহফুজ আলম
- যুদ্ধ থামিয়ে বন্দি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
- জামায়াত নেতারা জাতির সঙ্গে নির্মম রসিকতা করছেন: ছাত্রদল সভাপতি
- শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
- কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে ফোন ধরেন না সিইসি
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে সামগ্রিক বাজার চিত্র
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মৃত ভোটার বাদ, নারী ভোটারের অতিরিক্ত সংখ্যা কমানো হয়েছে: সিইসি
- হাজী সেলিমের বাড়ি ঘিরে যৌথবাহিনীর অভিযান
- উজবেকিস্তানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ
- মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিল আতলেতিকো, নায়ক আলভারেজ
- সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা, লেনদেন ১০০ কোটি টাকা
- দোহা কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দিলেন তৌহিদ হোসেন
- এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত
- বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী জাপান
- ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র, পেট্রোর হুঁশিয়ারি: “আমি স্বাধীন মানুষ”
- নাটোর: মাদ্রাসার টাকা তুলতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার তিন খাদেম
- থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদদলন: ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যে কী?
- জাতিসংঘে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কূটনৈতিক বাগ্যুদ্ধ তুঙ্গে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন: প্রবাসীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
- ফাইনালের আগেই উত্তাপ, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল বিতর্কে
- খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: সেনা পাহারায় সাজেক থেকে ফিরলেন পর্যটকরা
- জামায়াত সুসংগঠিত, কিন্তু ভোটে জিতে যাওয়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল
- ছোট কম্পন কি বড় বিপর্যয়ের পূর্বাভাস?
- প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন অ্যাপ ‘শুভেচ্ছা’ উদ্বোধন করলেন ড. ইউনূস
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
- বিসিবি নির্বাচন: তামিম-বুলবুল সমঝোতায় জটিলতা, আলোচনায় ফাটল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল: টাইব্রেকারে থামল বাংলাদেশের স্বপ্ন
- আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
- ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
- গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী