আজানের পর দরুদ ও বিশেষ দোয়া: হাদিসে ক্ষমা ও সুপারিশের সুসংবাদ

ইসলামে আজান কেবল নামাজের আহ্বান নয়, বরং তা একটি মহান ইবাদত, যা শোনার পর মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আদব ও দোয়া পালনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। সহিহ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, আজানের সময় অযথা কথাবার্তা না বলে মনোযোগ দিয়ে আজান শোনা, মুয়াজ্জিন যা বলেন তা পুনরাবৃত্তি করে বলা, এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর জন্য বিশেষ মর্যাদা ওয়াসিলা কামনা করা এগুলোর রয়েছে অপরিসীম ফজিলত ও পুরস্কার।
সহিহ মুসলিমের (হাদিস: ৩৮৪) একটি বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন —
“তোমরা মুয়াজ্জিনের আজান শুনলে, সে যা বলে তুমিও তাই বলো। এরপর আমার ওপর দরুদ পাঠ করো। কারণ যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। তারপর আমার জন্য আল্লাহর কাছে ওয়াসিলা প্রার্থনা করো। ওয়াসিলা হলো জান্নাতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল একজনকে দেওয়া হবে, আর আমি আশা করি সেই ব্যক্তি আমিই হব। যে আমার জন্য ওয়াসিলা কামনা করবে, কেয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ অবশ্যম্ভাবী হবে।”
এছাড়া জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন -
“যে ব্যক্তি আজান শুনে এই দোয়া পড়বে, তার জন্য আমার সুপারিশ অবশ্যকরণীয় হয়ে যাবেاللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُঅর্থ: হে আল্লাহ! এ পূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাজের প্রভু! আপনি মুহাম্মাদ (সা.)-কে দান করুন ওয়াসিলা ও সুমহান মর্যাদা এবং তাকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছান, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।” (সহিহ বুখারি: ৬১৪)
আরেকটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আজান শুনে যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়ে, তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় —
وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًاঅর্থ: “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল। আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, মুহাম্মাদকে রাসুল হিসেবে এবং ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।” (সুনানে আবু দাউদ)
হাদিসগুলো স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, আজানের জবাব দেওয়া, দরুদ পাঠ করা এবং নবিজি (সা.)-এর জন্য ওয়াসিলা কামনা করা কেবল সুন্নতই নয়, বরং এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ, গুনাহ মাফ এবং কেয়ামতের দিন তাঁর সুপারিশ লাভের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়।ইসলামি আলেমদের মতে, এ আমলগুলো সহজ হলেও এর আধ্যাত্মিক পুরস্কার বিশাল এবং একজন মু’মিনের জন্য এটি দৈনন্দিন ইবাদতের অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত।
আজ বুধবার ১২ নভেম্বর: ঢাকার নামাজের সময়সূচি
আজ বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, বাংলা তারিখ অনুযায়ী ২৭ কার্তিক ১৪৩২ এবং হিজরি ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসল্লিদের জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
আজকের নামাজের সময় অনুযায়ী, জোহর শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে, মাগরিবের আজান হবে ৫টা ১৭ মিনিটে, এবং এশার নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে। অন্যদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৪টা ৫৮ মিনিটে।
আজ সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১৫ মিনিট, আর আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৯ মিনিটে।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী, এই সময়সূচি শুধু ঢাকা ও আশপাশের এলাকাগুলোর জন্য প্রযোজ্য। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নামাজের সময় ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে কয়েক মিনিট তারতম্য হতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে সূর্যাস্ত কিছুটা আগে হয়, আর দক্ষিণাঞ্চলে পরে। তাই মুসল্লিদের অনুরোধ করা হয়েছে স্থানীয় মসজিদ বা ইসলামিক কেন্দ্রের ঘোষণার সঙ্গে সময় মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে।
জেনে নিন বৃহস্পতিবারের সদাকাহর গোপন রহমত
ইসলামে সদাকাহ বা দান কেবল অর্থ ব্যয়ের বিষয় নয়, এটি আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার এক মহান ইবাদত। পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বারবার উল্লেখ আছে, সদাকাহ মানুষকে গুনাহ থেকে মুক্তি দেয়, রিজিক বৃদ্ধি করে, দুঃখ-দুর্দশা দূর করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। বিশেষত বৃহস্পতিবার রাতে বা বৃহস্পতিবার দিনে সদাকাহ প্রদান ইসলামী ঐতিহ্যে অতিরিক্ত ফজিলতপূর্ণ বলে বিবেচিত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন “সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিনে বান্দাদের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।” (তিরমিযী, হাদীস: ৭৪৭) অর্থাৎ এই দুই দিনে বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর সামনে উপস্থাপিত হয়, এবং যাদের মধ্যে দ্বেষ, হিংসা বা সম্পর্কচ্ছেদ নেই, তাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে সদাকাহ করা মানে নিজের আমলকে আল্লাহর দরবারে উপস্থাপনের আগে পবিত্র করা যেন তা রহমত ও মাফের যোগ্য হয়।
কুরআনের ভাষায়, “তোমরা যা কিছু আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করো, তিনি তার বদলা দেবেন।” (সূরা সাবা: ৩৯) এই আয়াতে আল্লাহ আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁর রাস্তায় ব্যয় করা প্রতিটি দানই বহুগুণে প্রতিদান লাভ করে। বৃহস্পতিবার রাতের সদাকাহ তাই শুধু অর্থনৈতিক সাহায্য নয়, বরং এটি আত্মার প্রশান্তি, জীবনের সংকট থেকে মুক্তি এবং রিজিক বৃদ্ধির দোয়ার এক মাধ্যম।
ইসলামী পণ্ডিতগণ বলেন, সদাকাহ আল্লাহর রাগ প্রশমিত করে, বিপদ ও রোগ থেকে রক্ষা করে, আর মানবসম্পর্কে করুণা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। বৃহস্পতিবার রাতে সদাকাহর এই গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায় কারণ এটি এমন এক সময়, যখন আল্লাহর দরবারে আমল উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলে যেন বান্দার নাম আমলনামায় কল্যাণের চিহ্নে উজ্জ্বল হয়।
তাছাড়া, বৃহস্পতিবার রাতে দান করলে তা পরের শুক্রবারের জুমা দিবসের প্রস্তুতিও হিসেবে ধরা হয়। কারণ, ইসলামী দৃষ্টিতে জুমার আগের রাত আত্মসমালোচনা ও ইবাদতের জন্য বিশেষ সময়। তাই এ রাতে দান করা মানে সপ্তাহের সেরা দিনে নিজের আত্মাকে ও সম্পদকে কল্যাণে উৎসর্গ করা।সদাকাহ কেবল ধনীদের দায়িত্ব নয়; সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিটি মানুষই দান করতে পারে তা অর্থ, খাদ্য, পোশাক কিংবা সদয় আচরণ যাই হোক না কেন। হাদীসে এসেছে, “হাসিমুখে ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাও সদাকাহ।” (তিরমিযী) অর্থাৎ সদাকাহর পরিধি বিস্তৃত, এবং এর মাধ্যমে সমাজে ভালোবাসা, সহযোগিতা ও ন্যায়বোধ প্রতিষ্ঠিত হয়।
অতএব, বৃহস্পতিবার রাতে সদাকাহর ফজিলত শুধু দুনিয়াবি বরকতের নয়, বরং আখিরাতের সওয়াবেরও নিশ্চয়তা। এটি এমন এক ইবাদত যা অদৃশ্যভাবে বান্দার জন্য মঙ্গল বয়ে আনে, মন থেকে হিংসা ও স্বার্থপরতা দূর করে, এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ উন্মুক্ত করে।
১০ নভেম্বর ২০২৫: আজকের নামাজের পূর্ণ সময়সূচি প্রকাশ!
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জীবনের অপরিহার্য ইবাদত। সময়মতো নামাজ আদায়ের প্রতি ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যারা নামাজের সময়ের আগেই মসজিদে এসে নামাজের অপেক্ষায় বসে, তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নামাজকে সময়মতো, মনোযোগসহকারে আদায় করা।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা এবং ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আজকের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো-
? ফজর: ৪টা ৫৩ মিনিট? জোহর: ১১টা ৪৬ মিনিট? আসর: ৩টা ৩৯ মিনিট? মাগরিব: ৫টা ১৮ মিনিট? ইশা: ৬টা ৩৪ মিনিট
এছাড়া, আজ সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে।
বিভাগীয় শহরগুলোর জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে কিছু সময় যোগ বা বিয়োগ করতে হবে, যা নিচে দেওয়া হলো-
সময় বিয়োগ করতে হবে:
চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট
সিলেট: -০৬ মিনিট
সময় যোগ করতে হবে:
খুলনা: +০৩ মিনিট
রাজশাহী: +০৭ মিনিট
রংপুর: +০৮ মিনিট
বরিশাল: +০১ মিনিট
তথ্যসূত্র: ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
আজকের নামাজের সময়সূচি ও নামাজের ফজিলত
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করা মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত এবং জান্নাতের চাবিকাঠি। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করেন এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে এসে অপেক্ষা করেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন-
“আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী মর্যাদা আছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা লটারি করত। জোহরের নামাজের মর্যাদা যদি তারা বুঝত, তবে তা আদায়ের জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর এশা ও ফজরের নামাজের মর্যাদা যদি তারা জানত, তবে হামাগুড়ি দিয়েও এসে নামাজে উপস্থিত হতো।”(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৬৭)
আজ রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
তারিখ: ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরিস্থান: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা
নামাজের সময়সূচি (ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুযায়ী)
ফজর: সকাল ৪:৫২ মিনিট
জোহর: দুপুর ১১:৪৩ মিনিট
আসর: বিকেল ৩:৪০ মিনিট
সূর্যাস্ত: বিকেল ৫:১৫ মিনিট
মাগরিব: বিকেল ৫:১৯ মিনিট
ইশা: সন্ধ্যা ৬:৩৩ মিনিট
ইফতার: বিকেল ৫:১৯ মিনিট
সোমবার, ১০ নভেম্বরের সময়সূচি:
ফজর: সকাল ৪:৫২ মিনিট
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়: সকাল ৪:৫১ মিনিট
সূর্যোদয়: সকাল ৬:১০ মিনিট
বিভাগীয় শহরগুলোর সময় পার্থক্য:
সময় বিয়োগ করতে হবে:
চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট
সিলেট: ৬ মিনিট
সময় যোগ করতে হবে:
খুলনা: ৩ মিনিট
রাজশাহী: ৭ মিনিট
রংপুর: ৮ মিনিট
বরিশাল: ১ মিনিট
নামাজের গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত
ইসলাম ধর্মে নামাজ শুধু ইবাদত নয়, এটি আত্মিক শুদ্ধিরও মাধ্যম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।” (সূরা আনকাবুত: ৪৫)। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী নামাজ আদায় করলে জীবনে শৃঙ্খলা, আত্মসংযম এবং আল্লাহর প্রতি ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আজকের নামাজের সময়সূচি
আজ বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা-এর সূত্র অনুযায়ী নিচে দেওয়া হলো।
আজ জোহরের সময় শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে। এরপর আসরের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪১ মিনিটে। সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় শুরু হবে ৫টা ২০ মিনিটে এবং এশার সময় শুরু হবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।
এছাড়াও, আগামীকাল শুক্রবারের (৭ নভেম্বর ২০২৫) ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৪টা ৫৪ মিনিটে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৬ মিনিটে।
ইতিহাসের একমাত্র অপরাজিত বীর খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ):তাঁর রণকৌশলে বদলে যায় পৃথিবীর মানচিত্র!
ইতিহাসে জুলিয়াস সিজার, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, বা চেঙ্গিস খানের মতো বহু বিখ্যাত সেনাপতির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। কিন্তু এমন একজন সেনাপতি ছিলেন, যিনি তার জীবনে ১০০টিরও বেশি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও একটিতেও পরাজিত হননি। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সাহাবী খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ), যিনি 'সাইফুল্লাহ' বা 'আল্লাহর তরবারি' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তার অবিশ্বাস্য সামরিক প্রজ্ঞা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অভিনব রণকৌশল আধুনিক সামরিক ইতিহাসেও এক বিস্ময়ের বস্তু।
খালিদ ইবনে ওয়ালিদের সামরিক প্রতিভার প্রথম ঝলক দেখা যায় মু'তার যুদ্ধে। মুসলিম দূতের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এই যুদ্ধের সূচনা হয়, যেখানে মাত্র ৩,০০০ মুসলিম সেনার বিপরীতে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় এক লক্ষ (বা তারও বেশি)। যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুসলিম বাহিনীর তিনজন সেনাপতি—জায়েদ ইবনে হারিসা, জাফর বিন আবু তালিব, এবং আব্দুল্লাহ বিন রাওয়া (রাঃ)—শাহাদাত বরণ করলে মুসলিম বাহিনী যখন প্রায় ধ্বংসের মুখে, তখন খালিদ (রাঃ) নিজ হাতে যুদ্ধের পতাকা তুলে নেন।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই অসম যুদ্ধে সরাসরি জয় অসম্ভব। তার লক্ষ্য ছিল মুসলিম বাহিনীকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। তিনি এক অভূতপূর্ব রণকৌশল অবলম্বন করেন। তিনি তার সৈন্যদের দলগুলোকে ক্রমাগত শাফলিং (সামনে থেকে পেছনে, পেছন থেকে সামনে) করতে থাকেন। এতে বাইজেন্টাইন বাহিনী মনে করে, মুসলিমদের জন্য নতুন নতুন সাহায্যকারী দল (রিইনফোর্সমেন্ট) আসছে। এই মনস্তাত্ত্বিক চাপের মুখে শত্রুপক্ষ দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তারা একটি ফাঁদে পা দেওয়ার ভয়ে পিছু হটতে শুরু করে। এই সুযোগে খালিদ (রাঃ) অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পুরো মুসলিম বাহিনীকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় মদিনায় ফিরিয়ে আনেন। এটি ছিল এক পরাজয় নিশ্চিত যুদ্ধকে কৌশলের মাধ্যমে ড্র করার এক অনন্য উদাহরণ।
পারস্য বিজয়
প্রথম খলিফা আবু বকর (রাঃ)-এর সময় খালিদ (রাঃ)-কে পারস্য (সাসানীয়) সাম্রাজ্য জয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পারস্য বাহিনীর প্রধান শক্তি ছিল তাদের ভারী বর্ম ও অস্ত্র, যা তাদের ধীরগতির করে তুলেছিল। অন্যদিকে, খালিদ (রাঃ)-এর বাহিনীর শক্তি ছিল উট ও ঘোড়ার আরোহী দলের অবিশ্বাস্য গতি (মোবিলিটি)।
ব্যাটল অফ চেইনস (শৃঙ্খলের যুদ্ধ)
খালিদ (রাঃ) পারস্য গভর্নর হরমুজকে চিঠি পাঠান এক পথ (কাজিমা) দিয়ে, কিন্তু নিজে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মরুভূমির পথ ধরে অগ্রসর হন। হরমুজ তার ভারী বর্ম পরিহিত সৈন্যদের নিয়ে কাজিমার দিকে অগ্রসর হয়ে মুসলিমদের না পেয়ে আবার হুফায়ারের দিকে ছোটেন। খালিদ (রাঃ) শত্রুকে এই মরুভূমিতে বারবার হাঁটিয়ে ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত করে তোলেন। যখন ক্লান্ত পারস্য বাহিনী কাজিমায় ফিরে আসে, তখন সতেজ মুসলিম বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ব্যাটল অফ রিভার (নদীর যুদ্ধ)
এই যুদ্ধে তিনি 'ফেইন্ড রিট্রিট' বা নকল পশ্চাদপসরণের এক নিখুঁত উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি তার বাহিনীকে এমনভাবে আক্রমণ করতে বলেন যেন তারা বিশৃঙ্খল এবং সহজেই পরাজিত হচ্ছে। পারস্য বাহিনী এই ফাঁদে পা দিয়ে মুসলিমদের ধাওয়া করতে গিয়ে তাদের সুশৃঙ্খল গভীর ব্যূহ (ফর্মেশন) ভেঙে ফেলে। ঠিক সেই মুহূর্তে খালিদ (রাঃ)-এর লুকিয়ে রাখা অশ্বারোহী বাহিনী দুই পাশ থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। পারস্য বাহিনীর সৈন্যরা পালানোর কোনো পথ না পেয়ে টাইগ্রিস (দজলা) নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বিশাল এক বাহিনী ধ্বংস হয়ে যায়।
ইয়ারমুকের যুদ্ধ
খালিদ (রাঃ)-এর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ যুদ্ধ মনে করা হয় ইয়ারমুকের যুদ্ধকে। পারস্য অভিযান শেষ না হতেই তাকে খলিফার আদেশে রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সিরিয়া রণাঙ্গনে যোগ দিতে হয়।
ইয়ারমুকের ময়দানে প্রায় ৪০,০০০ মুসলিম সেনার বিপরীতে রোমান বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার। রোমানরা খালিদ (রাঃ)-এর অশ্বারোহী বাহিনীর ফ্ল্যাঙ্কিং (পাশ থেকে আক্রমণ) সম্পর্কে সচেতন ছিল। তাই তারা মুসলিমদের ফজরের নামাজের সময় অতর্কিত হামলা করার পরিকল্পনা করে।
কৌশলের জবাব কৌশল খালিদ (রাঃ) এই আক্রমণের আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি তার বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রেই যুদ্ধের বিন্যাসে (ব্যাটল ফর্মেশন) দাঁড়িয়ে ফজরের নামাজ আদায় করার নির্দেশ দেন। ফলে রোমানরা সারপ্রাইজ অ্যাটাক করতে এসে উল্টো প্রস্তুত মুসলিম বাহিনীর সামনে পড়ে যায়।
যুদ্ধের চতুর্থ দিনটি ছিল মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, যা 'ডে অফ লস্ট আইজ' নামে পরিচিত। রোমান তীরন্দাজদের প্রবল আক্রমণে অসংখ্য মুসলিম সৈন্য তাদের চোখ হারান। মুসলিম বাহিনীর ডান ও বাম উভয় উইং যখন প্রায় ভেঙে পড়ছে, তখন ক্যাম্প থেকে মুসলিম নারীরাই কাপুরুষ বলে ভর্ৎসনা করে এবং পাথর ছুঁড়ে সৈন্যদের আবার যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠান।
খালিদের মাস্টারস্ট্রোক
যুদ্ধের পঞ্চম দিনে (বিশ্রামের দিন) খালিদ (রাঃ) তার চূড়ান্ত পরিকল্পনা সাজান। ষষ্ঠ দিনে তিনি তার সমস্ত অশ্বারোহী বাহিনীকে নিজের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তিনি একটি ছোট দলকে বিশাল মরুভূমি ঘুরপথে পাঠান রোমানদের ঠিক পেছনে অবস্থান নেওয়ার জন্য। এরপর তিনি মূল বাহিনী নিয়ে রোমানদের এক পাশে প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করেন। রোমানরা যখন তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে খালিদ (রাঃ)-এর সেই গোপন অশ্বারোহী দলটি রোমানদের পেছন থেকে আক্রমণ করে। তিন দিক থেকে আক্রান্ত হয়ে রোমান বাহিনী সম্পূর্ণ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং মুসলিমরা এক অবিশ্বাস্য বিজয় লাভ করে।
খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ) এমন একজন সেনাপতি ছিলেন যিনি শুধু তলোয়ারের জোরে নয়, বরং তার প্রখর বুদ্ধিমত্তা, শত্রুর মনস্তত্ত্ব বোঝার ক্ষমতা এবং প্রতিবার নতুন নতুন রণকৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে যুদ্ধ জয় করতেন। তিনি মরুভূমির পরিবেশকে নিজের শক্তির জায়গায় পরিণত করেছিলেন এবং প্রতিপক্ষের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তার ১০০% জয়ের রেকর্ড তাকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক কৌশলবিদদের কাতারে এক অনন্য স্থান দিয়েছে।
কারা পাবেন বিনা হিসাবে জান্নাত? হাদিসের আলোকে জানুন সৌভাগ্যবানদের বিশেষ গুণাবলী
মানবজীবনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা হলো চিরস্থায়ী মুক্তি ও জান্নাত লাভ করা। তবে জান্নাতের পথ সহজ নয়; সেখানে পৌঁছানোর জন্য হিসাব-নিকাশ, প্রশ্নোত্তর এবং আল্লাহর বিচারের কঠোরতা অতিক্রম করতে হয়। তবুও মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় রাসুল মুহাম্মাদ (সা.)-এর উম্মতের প্রতি বিশেষ দয়া প্রদর্শন করেছেন। কারণ এই উম্মতের মধ্যে এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ থাকবেন, যাদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যাবে বিনা হিসাবেই।
হজরত আবূ উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি—
" وَعَدَنِي رَبِّي أَنْ يُدْخِلَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعِينَ أَلْفًا لاَ حِسَابَ عَلَيْهِمْ وَلاَ عَذَابَ مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا وَثَلاَثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِهِ ""
অর্থাৎ, ‘আমার প্রভু আমার সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি আমার উম্মাতের মধ্যে সত্তর হাজার লোককে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যাদের কোনো হিসাবও নেওয়া হবে না এবং শাস্তিও প্রদান করা হবে না। আর প্রতি হাজারের সঙ্গে থাকবে আরও সত্তর হাজার। আর আমার পরোয়ারদিগারের তিনমুঠি পরিমাণ।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৩৭)
হাদিসের মর্মার্থ ও ব্যাখ্যা
এই হাদিসটিতে আল্লাহর রহমত ও উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি বিশেষ মর্যাদার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। মুহাদ্দিসগণ হাদিসের ব্যবহৃত সংখ্যাগুলোর প্রতীকি ও আক্ষরিক উভয় অর্থেই ব্যাপকতা তুলে ধরেছেন
আরবিতে "সত্তর হাজার" (سبعين ألفا) সংখ্যাটি কেবল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়, বরং প্রাচুর্য বা অসংখ্যতার প্রতীক। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তাঁর সীমাহীন দয়ার প্রকাশ ঘটিয়ে অসংখ্য মানুষকে বিনা হিসাবেই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
হাদিসে যখন বলা হয়েছে "مَعَ كُلِّ أَلْفٍ سَبْعُونَ أَلْفًا"—অর্থাৎ "প্রতি হাজারের সঙ্গে থাকবে আরও সত্তর হাজার", তখন এর অর্থ দাঁড়ায় এক গণনাযোগ্য বিশাল সংখ্যা।
এর পরেও বলা হয়েছে "وَثَلاَثُ حَثَيَاتٍ مِنْ حَثَيَاتِهِ"—অর্থাৎ "আর আমার প্রভুর তিন মুঠো পরিমাণ"—এই অংশ দ্বারা এমন অসংখ্য অতিরিক্ত লোককে বোঝানো হয়েছে, যাদের সংখ্যা কেবল আল্লাহই জানেন। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, এই ‘মুঠি’ হচ্ছে রহমতের রূপক প্রকাশ।
ইবনে হাজার (রহ.) তাঁর ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেন, এই হাদিসে আল্লাহর রহমতের ব্যাপকতা ও নবী ﷺ-এর উম্মতের বিশেষ মর্যাদা প্রতিফলিত হয়েছে।
বিনা হিসাবে জান্নাত লাভের গুণাবলী
এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা কারা, তা অন্য একটি সহিহ হাদিসে (বুখারি ও মুসলিমে) স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। এরা এমন লোক—
"لاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَكْتَوُونَ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ"
অর্থাৎ, “যারা রুকইয়া করাতে বলে না, দগ্ধ চিকিৎসা নেয় না, অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করে না এবং সর্বাংশে তাদের রবের ওপর ভরসা রাখে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৭২; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২০) এই গুণাবলী প্রমাণ করে যে, তারা সম্পূর্ণভাবে তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর নির্ভরতা)-এর এক উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাদের অন্তর দুনিয়াবি ভরসা থেকে মুক্ত এবং তারা নিজেদের সর্বদা আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয়।
ইমাম নববী (রহ.) লিখেছেন, এই হাদিসটি আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি এমন একটি সম্মান, যা অন্য কোনো উম্মত পায়নি।
এই হাদিসটি মুমিনদের মাঝে আশার আলো জাগায় এবং আল্লাহর সীমাহীন দয়ার দলিল হিসেবে কাজ করে। এই হাদিস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগুলো হলো
বিনা হিসাবের জান্নাত পাওয়ার জন্য একমাত্র আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা (তাওয়াক্কুল), একান্ত ঈমান ও অবিচল আস্থা অর্জন করা জরুরি।
মানুষকে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখার শিক্ষা দেয়—অর্থাৎ চিকিৎসা, রুকইয়া বা ভাগ্যনির্ভর কুসংস্কারের উপর নির্ভর না করে একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে।
আমাদের উচিত—আমল ও তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে সেই সৌভাগ্য অর্জনের আন্তরিক প্রচেষ্টা করা এবং নবী ﷺ-এর শিক্ষা অনুসারে জীবন গঠন করা।
আজকের নামাজের সময়সূচি: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে নামাজ মুসলমান জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ibadah। নামাজ কেবল আল্লাহর সঙ্গে নৈকট্য স্থাপনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা, মনসংযম এবং সময়নিষ্ঠার প্রতীকও বটে। বিশেষ করে যারা নির্ধারিত সময়ে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন, তাদের জন্য ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, সময়মতো নামাজ আদায় কেবল ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক প্রতিদান অর্জনের এক মাধ্যম।
হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “যে ব্যক্তি মসজিদে নামাজের জন্য অপেক্ষা করে, সে যেন নামাজের মধ্যে অবস্থান করে। এবং যতক্ষণ সে মসজিদে থাকে, ফেরেশতারা তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকে, ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন।’ অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দোয়া অব্যাহত থাকে।” (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩০) এই হাদিস মুসলমানদের সময়মতো নামাজের গুরুত্ব এবং মসজিদে উপস্থিত থাকার মর্যাদা তুলে ধরে।
আজ মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭, ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ:
জোহর: ১১টা ৪৫ মিনিট
আসর: ৩টা ৪২ মিনিট
মাগরিব: ৫টা ২১ মিনিট
এশা: ৬টা ৩৬ মিনিট
আগামীকাল ফজর: ৪টা ৫৩ মিনিট
ঢাকায় সূর্যাস্ত আজ ৫টা ১৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ৬টা ০৬ মিনিটে।
অন্যান্য অঞ্চলের জন্য নামাজের সময় সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। চট্টগ্রামে ৫ মিনিট বিয়োগ করতে হবে, সিলেটে ৬ মিনিট বিয়োগ। খুলনায় ৩ মিনিট, রাজশাহীতে ৭ মিনিট, রংপুরে ৮ মিনিট এবং বরিশালে ১ মিনিট সময় যোগ করতে হবে।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী
০৪ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৯ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৬টা ০৩ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৫ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৪৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ২৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৩৮ মিনিটে (PM)।
(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৪৩ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ২৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)
অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ০৪ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৪ মিনিটে।
খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৫১ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০৪ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০০ মিনিটে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৫০ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৭ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০২ মিনিটে।
সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫০ মিনিটে।
রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।
বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।
পাঠকের মতামত:
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন
- সনি সিনেমা হলের সামনে বাসে অগ্নিসংযোগ রাজধানীতে আতঙ্ক
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- নতুন পে স্কেলের কাঠামো দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
- শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি যাচ্ছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে
- কেবিপিপিডব্লিউবিআইএল দেখাল সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- রাজধানীতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: লকডাউন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
- ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
- লন্ডনের কমনওয়েলথ ফেয়ারে বাংলাদেশ: ঐতিহ্যের রঙে মুগ্ধ বিশ্ব
- ঋণপত্রে বিনিয়োগ স্থবির, পুঁজিবাজারে নতুন উদ্বেগের সঞ্চার
- রোহিঙ্গা সহায়তায় কোরিয়ার নতুন চাল অনুদান: বাংলাদেশের পাশে সিউল
- যেভাবে উদ্ধার হলেন নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
- গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা
- মোহাম্মদপুরে স্কুলে ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলা
- ইউরোপে নতুন দিগন্তে রেনাটা পিএলসি
- সোনালী লাইফের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইবনে সিনা ফার্মার প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ
- এনার্জিপ্যাকের প্রথম প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- বিকন ফার্মার প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেডের লভ্যাংশ ঘোষণা
- রপ্তানি বাজারে নতুন কৌশল নিচ্ছে মেট্রো স্পিনিং
- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- ওরিয়ন ফার্মার নতুন লভ্যাংশ ঘোষণা
- ১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে
- আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যে এলাকায়
- আজ বুধবার ১২ নভেম্বর: ঢাকার নামাজের সময়সূচি
- এক লাফে বেড়ে গেল স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর নতুন মূল্য
- বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও এলাকা বন্ধ থাকবে
- আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আজকের আবহাওয়া যেমন
- টানাপোড়েনের মধ্যেও সুখবর নভেম্বরের শুরুতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন
- ভারত বধের ছক চূড়ান্ত সেরা ১৭ জনকে পরখ করবেন কাবরেরা
- ইউনেস্কোর সভাপতি নির্বাচিত হওয়া আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের বড় অর্জন: শিক্ষা উপদেষ্টা
- আইনস্টাইনও কি ভুল ব্ল্যাক হোলের ছায়া নিয়ে নতুন তত্ত্বে চাঞ্চল্য
- বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন
- শীতে অতিরিক্ত শীত লাগে কোন ভিটামিন কম থাকলে এই সমস্যা বাড়ে জানেন কি
- বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন ৭ নভেম্বরের চেতনায় ৫ আগস্ট অর্জিত: রিজভী
- বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয় সব সংস্কার এখনই করা সম্ভব না আসিফ নজরুল
- থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ৫টি ঘরোয়া পানীয় ক্লান্তি দূর করে ওজন রাখবে স্বাভাবিক
- গণভোট নিয়ে টালবাহানা যারা করছেন তারা পালাবেন কোথায়: চরমোনাই পীর
- ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিপক্ষে জোট এনসিপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
- ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেব মির্জা ফখরুল
- শীতের বাতের ব্যথা কমাতে ৫ খাবার রাখুন পাতে
- আগে গণভোট চাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব জামায়াত আমির
- শীতকালে কেন স্ট্রবেরি খাবেন জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এটি জরুরি
- নির্বাচন সামনে বিশেষ ক্ষমতা পেলেন সামরিক কর্মকর্তারা
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
- ইতিহাস সৃষ্টিকারী কে এই জোহরান মামদানি? যিনি প্রথম মুসলিম ও সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হতে চলেছেন








