বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

মানুষের হৃদস্পন্দন সাধারণত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো হৃদপিণ্ডের স্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত, জোরে বা অনিয়মিত অনুভূত হতে পারে। বুক, গলা বা ঘাড়ে এই ধড়ফড় বা দৌড়ঝাঁপের মতো অনুভূতি তৈরি হয়। কখনো আবার মনে হতে পারে যেন হৃদপিণ্ডের একটি স্পন্দন বাদ পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই উপেক্ষিত কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন।
পানিশূন্যতা যেভাবে হৃদস্পন্দন বাড়ায়
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শরীরে তরলের অভাব হলে হৃদপিণ্ডকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ হিসেবে দেখা হয়।
রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত পানি না পেলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়, ফলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: পানিশূন্যতা থাকলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়, বিশেষ করে পটাশিয়াম-এর মাত্রা কমে যায়। এই ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ। দ্রুত হৃদস্পন্দন তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণও হতে পারে, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের অন্যান্য সাধারণ কারণ
অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন সেবন
উদ্বেগ বা তীব্র মানসিক চাপ
রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া), হাইপারথাইরয়েডিজম বা অন্যান্য হৃদরোগ
ব্যায়াম বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম
রক্তে শর্করা বা অক্সিজেনের ঘাটতি
কিছু ধরনের ওষুধ, যেমন ডিকনজেস্ট্যান্ট-জাতীয় ওষুধ সেবন
পানিশূন্যতার লক্ষণ ও তীব্রতা
গাঢ় রঙের প্রস্রাব বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
মাথাব্যথা
পেশির টান
ত্বক শুষ্ক ও ঠান্ডা লাগা
মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি
তীব্র পানিশূন্যতা হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হলো:
বিভ্রান্তি বা প্রলাপ
মাথা ঘোরা, বিরক্তি ও দুর্বলতা
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
ডুবে যাওয়া চোখ, কুঁচকে যাওয়া ত্বক
খুব গাঢ় প্রস্রাব হওয়া
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা শকে চলে যাওয়া
হৃদস্পন্দন হলে করণীয় ও প্রতিরোধের উপায়
হালকা পানিশূন্যতা দূর করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন অথবা ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানীয়, যেমন নারকেলের জল বা ওআরএস (ORS) গ্রহণ করুন।
তবে তীব্র ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। সেখানে শিরাপথে দ্রুত তরল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
হৃদস্পন্দন প্রতিরোধে করণীয়
নিয়মিত পানি পান করুন, বিশেষ করে গরমের সময় বা শারীরিক পরিশ্রমের পরে।
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন সেবনের মাত্রা কমান।
খাদ্যতালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন কলা বা নারকেল পানি রাখুন।
যদি কোনো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের কারণে ধড়ফড় হয় বলে সন্দেহ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রথমবারের মতো হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে বা এর ধরন পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। তবে কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত এবং অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া আবশ্যক। যদি হৃদস্পন্দনের সঙ্গে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দেয়
বুকে তীব্র ব্যথা,শ্বাসকষ্ট,মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
সূত্র : হেলথ
রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন: এক মাস পর শরীরে দেখা যায় ৪টি আশ্চর্য পরিবর্তন
'রসুন' নামটি কানে এলেই সাধারণত মজাদার খাবারের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। রান্নায় ব্যবহৃত হলেও কাঁচা রসুনের তীব্র গন্ধ এবং ঝাঁঝালো স্বাদের কারণে অনেকেই এটি সরাসরি খেতে চান না। কিন্তু পুষ্টিবিদ ও গবেষকরা বলছেন, যদি প্রতিদিন মাত্র এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তাহলে এক মাসের মধ্যেই শরীরে বেশ কিছু আশ্চর্য ও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাতেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
কেন কাঁচা রসুনই বেশি কার্যকর?
রসুনকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক গবেষণায় নিশ্চিত হয়েছে যে, রসুনে থাকা সালফার–জাতীয় উপাদানই এর মূল 'গোপন শক্তি'। এই যৌগগুলো—যার মধ্যে অ্যালিসিন অন্যতম—তখনই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়, যখন রসুন কাটা বা পিষে ফেলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন রান্না করলে এই মূল্যবান সালফার–জাতীয় যৌগের একটি বড় অংশ তাপের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কাঁচা রসুন খেলে শরীর এই উপাদানগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। এই কারণেই অনেক পুষ্টিবিদ রসুনের ওষুধি গুণ পুরোপুরি পেতে কাঁচা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এক মাসে শরীরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে
১.রসুনের সক্রিয় উপাদানগুলো রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমাতে পারে। একইসঙ্গে, এটি খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।
২.রসুনে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীর আরও সক্ষম হয়ে ওঠে।
৩.নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং এতে থাকা শক্তিশালী উপাদানগুলো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক।
৪.রসুন হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী এবং শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
তবে বিশেষজ্ঞরা রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা সতর্ক করে বলছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খাওয়া বা একদম খালি পেটে খাওয়ার ফলে কিছু সংবেদনশীল মানুষের পাকস্থলীতে অস্বস্তি, গ্যাস বা ত্বকে জ্বালাপোড়ার মতো মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভূত হতে পারে। তাই এই প্রাকৃতিক ওষুধি গুণের সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে পরিমাণে সংযম এবং নিয়মিততা—এই দুটোই অত্যন্ত জরুরি।
সূত্র: এনডিটিভি।
সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম
সুস্থ শরীরকে সুখী জীবনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম শরীরকে সতেজ রাখে, মেদহীন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় জিমে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঘরে বসেই কিছু সহজ ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরকে সহজেই ফিট রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা মন ও শরীর উভয়কেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
জেনে নিন এমন ৫টি সহজ ব্যায়ামের কথা, যা ঘরে বসেই আপনাকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে পারে
সুস্থ থাকার ৫টি কার্যকরী অভ্যাস
১. নিয়মিত হাঁটা: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটলে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। হাঁটার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং বাড়তি ক্যালরি দ্রুত ঝরে যায়। সকালের দিকে বা বিকেলের আলো-আঁধারিতে দ্রুত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।
২. স্কোয়াট: এই ব্যায়ামটি মূলত শরীরের নিচের অংশকে শক্তিশালী করার জন্য দারুণ কার্যকর। নিয়মিত স্কোয়াট করলে উরু এবং কোমরের পেশি শক্ত হয় এবং এই অংশের জমা মেদ দ্রুত কমে যায়। শরীরের নিম্নভাগের গঠন দৃঢ় করার জন্য স্কোয়াট একটি অপরিহার্য ব্যায়াম।
৩. পুশ-আপ: পুশ-আপ হলো শরীরের উপরের অংশ, অর্থাৎ বুক, বাহু এবং কাঁধের পেশিগুলোর গঠনকে দৃঢ় করার জন্য একটি আদর্শ ব্যায়াম। নিয়মিত পুশ-আপ চর্চা করলে পেশিগুলো শক্ত হয় এবং সামগ্রিকভাবে শরীরের স্ট্যামিনা বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. প্ল্যাঙ্ক: পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে এবং শরীরের ভারসাম্য বা কোর স্টেবিলিটি বজায় রাখতে প্ল্যাঙ্ক ব্যায়ামটি দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র ৩০ সেকেন্ড প্ল্যাঙ্ক করার মাধ্যমে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিলে শরীরের কেন্দ্রীয় পেশি বা 'কোর মাসল' মজবুত হয়।
৫. যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম বা ইয়োগা শরীর ও মনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় ঘটায়। এই চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, ঘুম ভালো করে এবং শরীরের নমনীয়তা (ফ্লেক্সিবিলিটি) বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই শরীর ও মন উভয়কে সুস্থ ও শান্ত রাখতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শরীর সুস্থ রাখতে কেবল নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক প্রশান্তিও প্রয়োজন। এই সবকিছুর নিয়মিত চর্চাই শরীর ও মনকে প্রাণবন্ত এবং সতেজ রাখতে পারে।
সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় হালকা গরম পানি খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। তবে অনেকের জন্য খালি পেটে পানি খেলে বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে কিছু বিকল্প পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১. লেবু মধুর পানি: সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রয়োজনে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এই পানীয় ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
২. গ্রিন টি: সকালের প্রথম চায়ে গ্রিন টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুল ও ত্বকের জন্য উপকারি। পাশাপাশি এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩. নারকেল বা ডাবের পানি: সকালে অল্প পরিমাণে নারকেল বা ডাবের পানি খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ হয়। তবে অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
৪. সবজির রস, বিশেষ করে বিটের রস: সবজির রস গ্রহণ স্বাস্থ্যকর বিকল্প। নিয়মিত বিটের রস খেলে ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়, শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয় এবং শরীরের ভিতরে জমা দূষিত পদার্থ বের করার মাধ্যমে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
৫. আদা মিশ্রিত গরম পানি বা ভেষজ চা: আদা কুচি বা আদার রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ দিয়ে তৈরি চা, যেমন দারুচিনি ও গোলমরিচ যুক্ত চা, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে আরাম দেয়।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকালের এই পানীয়গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকবে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং দৈনন্দিন জীবনশৈলীতে সতেজতা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ ডিটক্সিফিকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ
নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, গভীরভাবে যাচাই এবং সঠিক প্রস্তুতি। কেবল একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা থাকলেই সফলতা আসে না, বরং কীভাবে সেই ধারণাটিকে বাজারে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটিই নির্ধারণ করে একজন উদ্যোক্তার ভাগ্য। তাই ব্যবসা শুরুর পথে প্রথম ধাপেই ভুল এড়াতে চাইলে নতুন উদ্যোগ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক।
উদ্যোক্তা হওয়ার পথে প্রথম ৫ ধাপ
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সফল এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসার ভিত্তি স্থাপনের জন্য এই পাঁচটি ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
১. নিজের শক্তি ও সীমা চিহ্নিত করা: একটি ব্যবসা শুরু করার আগে সবচেয়ে জরুরি কাজটি হলো নিজেকে জানা। আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতা, আগ্রহ এবং অভিজ্ঞতা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার কোন যোগ্যতা বা বিশেষ অভিজ্ঞতাটি প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। নিজের সক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা পরিষ্কারভাবে বোঝার মধ্য দিয়েই একটি দৃঢ় এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসার ভিত্তি গড়ে ওঠে।
২. পণ্যের অনন্য মূল্য বা উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা: আপনার ব্যবসাটি বাজারে কেন আলাদা বা ব্যতিক্রমী? গ্রাহক কেন আপনার পণ্য বা সেবা অন্য কারো কাছ থেকে না কিনে আপনার কাছ থেকে কিনবে? এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তরই আপনার ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আপনার পণ্য বা সেবা কীভাবে মানুষের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করবে বা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সহজতা আনবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। একটি পরিষ্কার এবং অনন্য মূল্য প্রস্তাব বা 'ভ্যালু প্রপোজিশন' আপনার ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বাজারের ভিড়ে আপনাকে একটি আলাদা পরিচয় এনে দিতে সাহায্য করে।
৩. টেকসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা: একটি সফল ব্যবসা কখনোই কেবল একটি চমৎকার আইডিয়ার ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ওপর। আপনার ব্যবসার আয় কীভাবে হবে, কোথায় কোথায় খরচ হবে, এবং কোন অংশীদার বা সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে আপনি কাজ করবেন—এসব বিষয় পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী ও বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক মডেলই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকিয়ে রাখবে এবং স্থিতিশীলতা দেবে।
৪. বাস্তব পরীক্ষায় ধারণা যাচাই করা: আপনার ব্যবসায়িক ধারণাটি যতই ভালো হোক না কেন, সেটি বাস্তবে বাজারে টিকবে কি না, তা পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। এই কারণে, একটি ন্যূনতম কার্যকরী পণ্য বা 'মিনিমাম ভায়াবল প্রোডাক্ট' (MVP) তৈরি করে ছোট পরিসরে বাজারে পরীক্ষা করা উচিত। সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করুন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে আপনার পণ্য বা সেবাটি উন্নত করুন। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন—আপনার ধারণাটি বাজারে সত্যিই কার্যকর ও গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা।
৫. এক অনুপ্রেরণাদায়ী দল গঠন করা: একটি দ্রুত সফল এবং বড় ব্যবসার পেছনে সবসময় থাকে একটি শক্তিশালী ও নিবেদিত দল। তাই এমন মানুষদের বেছে নেওয়া উচিত যারা আপনার ব্যবসার লক্ষ্য ও মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে। দক্ষ, উদ্যমী, এবং সহযোগিতাপূর্ণ একটি দলই আপনার ব্যবসাকে দ্রুত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সফল ব্যবসা কেবল আইডিয়া বা প্রচুর মূলধনের ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ের উপর। তাই উদ্যোগ নেওয়ার আগেই এই পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হলে, আপনার ব্যবসার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন
ব্যবহার করে ঠোঁট রক্ষা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা দিতে পারে ঠোঁট ফাটা এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠোঁটের যত্ন কেবল ঠান্ডা তীব্র হওয়ার পরই শুরু করলে চলে না, বরং শীতের শুরুতেই এই যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাই পুরো শীতকালজুড়ে ঠোঁট নরম, কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে ৪টি সহজ যত্নের অভ্যাস আজ থেকেই শুরু করা জরুরি।
শীতকালে ঠোঁটের যত্নে ৪টি অত্যাবশ্যকীয় অভ্যাস
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত অনুসরণ করলেই শীতের রুক্ষতা থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা সম্ভব।
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: ঠোঁটের যত্নের ক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরীণ হাইড্রেশন বা জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে ঠোঁটও দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই শীতকালে তাপমাত্রা কমলেও দিনে অন্তত আট গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। এতে ঠোঁট প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
২. গুণগত মানের লিপ বাম ব্যবহার: শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করলেই ঠোঁটের যত্ন সম্পূর্ণ হয় না। ঠোঁটের জন্য প্রয়োজন ভালো মানের লিপ বাম, যা দীর্ঘ সময় আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। লিপ বামে যেন শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা-র মতো উপাদান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, দিনের বেলায় রোদে বের হলে অবশ্যই এসপিএফ (SPF) যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করবে এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করবে।
৩. নিয়মিত ঠোঁট স্ক্রাব করা: মৃত কোষ জমে থাকার কারণে ঠোঁট দ্রুত রুক্ষ ও ফাটা দেখায়। এই সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে অন্তত একবার ঠোঁট স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এর জন্য এক চামচ চিনি বা কফির সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে হালকা হাতে ঠোঁটে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া ঠোঁটের উপরের মৃত কোষের স্তর দূর করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট থাকে মসৃণ ও নরম।
৪. ঠোঁটে জিভ বোলানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া: ঠোঁট শুকিয়ে গেলে অনেকে অভ্যাসবশত জিভ বোলান। আপাতদৃষ্টিতে এটি আরামদায়ক মনে হলেও, এই অভ্যাস ঠোঁটকে আরও দ্রুত শুকিয়ে দেয়। এর কারণ হলো, মুখের স্যালিভা বা লালারস বাষ্পীভূত হওয়ার সময় ঠোঁটের নিজস্ব আর্দ্রতাকেও শুষে নেয়। তাই ঠোঁট শুকিয়ে গেলে এই ক্ষতিকর অভ্যাসটি বাদ দিয়ে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকাল মানেই ত্বক শুকনো আর ঠোঁট ফাটা—এই ধারণা বদলানো সম্ভব সামান্য সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে। আজ থেকেই এই সহজ অভ্যাসগুলো শুরু করলে পুরো শীতজুড়ে ঠোঁট থাকবে হাসির মতোই সতেজ।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ সালের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বল্পমেয়াদী অনলাইন কোর্সের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। এই উদ্যোগের ফলে এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই অক্সফোর্ডের বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য একটি নিবন্ধন লিংক প্রকাশ করেছে।
শিক্ষার্থীরা যেভাবে উপকৃত হবেন
অক্সফোর্ডের এই অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সুবিধা লাভ করবেন, যার প্রধান আকর্ষণ হলো এটি শতভাগ বিনামূল্যে উপলব্ধ। এই কোর্সগুলো মূলত স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে শেখার স্বাধীনতা ও নমনীয় পরিবেশ পাবেন। ফলস্বরূপ, কর্মব্যস্ততা বা অন্যান্য বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা সহজে তাদের জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন।
এই কোর্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শিক্ষার্থীরা সরাসরি অক্সফোর্ডের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এটি একটি বিরল সুযোগ, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের একাডেমিক অভিজ্ঞতার অংশীদার করে তুলবে। বিনা খরচে এই সুযোগ পাওয়ায় বিশ্বমানের শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার প্রসারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আগ্রহীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। কোর্সে অংশগ্রহণ করতে এখানে ক্লিক করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে: https://bit.ly/47BodV4।
তথ্যসূত্র: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University)
ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়
আসছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধনবিহীন বা অনুমোদনবিহীন মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন থেকে কার্যকর হবে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর) ব্যবস্থা, যা দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।
বিটিআরসি জানায়, প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ব্যবহারকৃত সিমকার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই শনাক্তযোগ্য হবে।
১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন যে কোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। বৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের আলাদা কোনো নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন হবে না।
যদি গ্রাহকের হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে যায়, তবে তারা neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটের সিটিজেন পোর্টাল, এনইআইআর মোবাইল অ্যাপ অথবা মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোনো সময়ে সেটি লক বা আনলক করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ব্যবহারকারীরাও ইউএসএসডি চ্যানেল (*১২১# ডায়াল করে) অথবা নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিটিআরসি জানিয়েছে, এনইআইআর কার্যকর হওয়ার ফলে দেশের বাজারে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে, চুরি ও অবৈধ ফোন ব্যবহারের মাত্রা কমবে এবং নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মাণে সহায়ক হবে।
-শরিফুল
জানুন দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব
চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধের নিয়মিত সেবন আয়ু হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে, মধ্যবয়সী ও প্রবীণ ব্যক্তিরা যদি ঘুমের ওষুধ ব্যবহার কমান বা সম্পূর্ণ বন্ধ করেন, তবে তারা সুস্থভাবে বার্ধক্যকাল পার করতে পারেন এবং চিকিৎসা খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হবেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের ওষুধ বন্ধ করলে বিভিন্ন ঝুঁকি প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে, মানসিক অবক্ষয় বা কগনিটিভ দুর্বলতার হার ২ শতাংশ পর্যন্ত ধীর হয়, এবং গড় আয়ু অন্তত এক মাসেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসার খাতে হাজার হাজার ডলারের সাশ্রয় সম্ভব।
এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেফার সেন্টার ফর হেলথ পলিসি অ্যান্ড ইকনমিকসের গবেষক হেনকে হ্যাভেন জনসন। তিনি বলেন, বয়স্কদের মধ্যে ঘুমের ওষুধের ব্যবহার কমানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে দৃঢ় করে। এতে তারা আরও নিরাপদ, সক্রিয় ও স্বাবলম্বী জীবনযাপন করতে পারেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সির প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ নিয়মিত ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করেন। যদিও চিকিৎসকরা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে বারবার সতর্ক করে আসছেন, অনিদ্রা ও মানসিক সমস্যা এই বয়সিদের মধ্যে প্রচলিত। বিশেষত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সির মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ অনিদ্রায় ভোগেন, যা বিষণ্নতা, উদ্বেগ, হৃদরোগ ও ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের ফলে স্লিপওয়াকিং বা দুঃস্বপ্নের প্রবণতাও বেড়ে যায়।
ফেডারেল হেলথ অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট স্টাডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বন্ধ করার পর সবচেয়ে বেশি উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। এই বয়সিদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক সতর্কতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং গড় আয়ুও তুলনামূলকভাবে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ঘুমের ওষুধের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ফর ইনসমনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দেন। এই থেরাপি ঘুমের ধরণ, জীবনধারা ও চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনে, যা দীর্ঘমেয়াদে অনিদ্রা কমাতে সাহায্য করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। সিনিয়র গবেষক ড. জেসন ও তার সহকর্মীরা উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা নিয়ন্ত্রণে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা বিপজ্জনক হতে পারে।
তাদের পরামর্শ, প্রবীণদের উচিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নন-ড্রাগ পদ্ধতি গ্রহণ করা, বিশেষত কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি ফর ইনসমনিয়ার মতো নিরাপদ পদ্ধতি। গবেষণার ফলাফলের আলোকে দেখা গেছে, লাখো প্রবীণ যদি এই বিকল্প পথে হাঁটেন, তবে তাদের মানসিক সতর্কতা, শারীরিক নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক জীবনমান সব ক্ষেত্রেই দৃঢ় উন্নতি ঘটবে।
ত্বকের যত্ন মানে দামি ক্রিম নয়,আপনার দৈনন্দিন যে ৬টি ভুল ত্বককে ক্ষতি করছে
দেখতে বয়স কম, কিন্তু আয়নায় তাকালে চোখের নিচে কালি, মুখে ক্লান্ত ভাব—এমন অভিজ্ঞতা আজকাল অনেকেরই। অথচ এর পেছনে মূল কারণ থাকে আমাদেরই অজান্তে গড়ে তোলা কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসে। রাত জাগা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, খাবারে অনিয়ম এবং শরীরচর্চায় অলসতা—এসবই ধীরে ধীরে ত্বককে নিস্তেজ ও ঝুলে পড়া করে দেয়। ত্বকের যত দামি যত্নই নেওয়া হোক না কেন, এই ছোট ছোট ভুলগুলো না বদলালে তার ফলাফল দেখা দেবে আয়নায়, বয়সের আগেই।
ত্বকের তারুণ্য নষ্টকারী ৬টি অভ্যাস
১. রাত জেগে মোবাইল স্ক্রল করা রাতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করা এবং সকালে অ্যালার্মের শব্দে তাড়াহুড়া করে ওঠা—এই রুটিন ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। ঘুমের ঘাটতিতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না, ফলে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ ও ক্লান্ত।
২. বেশি মিষ্টি ও প্রসেসড খাবার খাওয়া চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের পাশাপাশি ত্বকেরও শত্রু। এগুলো ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়, ফলে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি ও বাদামজাতীয় খাবার রাখা জরুরি।
৩. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া দিনভর ব্যস্ততায় অনেকেই পানি খেতে ভুলে যান। পর্যাপ্ত পানি ত্বককে রাখে আর্দ্র, মসৃণ ও টানটান। শরীরে পানির ঘাটতি হলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৪. শরীরচর্চায় অনীহা একটানা বসে কাজ করা বা মোবাইল স্ক্রল করায় রক্তসঞ্চালন কমে যায়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতায়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ও ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।
৫. মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগা চাপ ও অবসাদ শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, ফলে ত্বকও ক্লান্ত দেখায়। নিজেকে কিছুটা সময় দিয়ে, গভীরভাবে শ্বাস নিলে মন ভালো থাকে এবং ত্বকও জ্বলে ওঠে।
৬. অতিরিক্ত ত্বকচর্চার সামগ্রী ব্যবহার বাজারের প্রতিটি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার মানেই যে ভালো ফল মিলবে—তা নয়। বরং অতিরিক্ত প্রসাধনী ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুকু দরকার, ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত।
এই ছয়টি বদভ্যাস যদি আপনারও থেকে থাকে, এখনই বদলে ফেলুন। ত্বকের যত্ন মানেই দামি ক্রিম নয়; বরং সঠিক ঘুম, সঠিক খাবার ও সঠিক অভ্যাসই পারে ত্বকে ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
পাঠকের মতামত:
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুদ ১০৬ বস্তা সরকারি সার জব্দ
- পদত্যাগ করে রাজনীতিতে: অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
- "বিএনপি নেতাদের হাতে হেনস্তার শিকার সালাউদ্দিন"
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এনসিপি’র প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা; এককভাবে ৩০০ আসনে লড়ার প্রস্তুতি
- জোহরান মামদানির জয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
- জাকির নায়েকের সফর স্থগিত করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- এদের সরাতে লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই: ডাকসু সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা
- আইনি লড়াইয়ে বড় মোড়: জিয়া অরফানেজ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- এবিবি ব্যাংক লিমিটেড এর কুপন পেমেন্ট ও রেকর্ড ডেট সম্পর্কিত ঘোষণা
- দেশের ছয় অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা, নৌবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত জারি
- APEXFOODS-এর Q1 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- জামায়াত আমিরের স্পষ্ট বার্তা ও দলের প্রস্তুতি
- মামদানির জয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি সত্যিই ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন এবার
- ইতিহাস সৃষ্টিকারী কে এই জোহরান মামদানি? যিনি প্রথম মুসলিম ও সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হতে চলেছেন
- উত্তর গাজার প্রবেশপথ এখনো বন্ধ,যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা
- এনসিপিকে যে কয়টি আসন দিতে পারে বিএনপি
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনী পরিকল্পনা ফাঁস
- জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত
- যুদ্ধ ও মহানুভবতা: সুলতান সালাউদ্দিন যেভাবে জেরুজালেম জয় ও শত্রুর মন জিতেছিলেন
- দুই বন্ধুর ক্ষমতার লড়াইয়ে রক্তগঙ্গা সুদানে: লাশের গন্ধে ভারী বাতাস, দেড় কোটি মানুষ ঘরছাড়া
- বিচার বিভাগে বড় পরিবর্তন: ২৬৭ জনকে জেলা জজ পদে পদোন্নতি
- রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন: এক মাস পর শরীরে দেখা যায় ৪টি আশ্চর্য পরিবর্তন
- কারা পাবেন বিনা হিসাবে জান্নাত? হাদিসের আলোকে জানুন সৌভাগ্যবানদের বিশেষ গুণাবলী
- শততম টেস্টের হাতছানি মুশফিকের: আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি
- ক্ষমতায় গেলে জনগণ বুঝবে কত ধানে কত চাল, বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ফয়জুল করীমের
- জুলাইয়ে হামলায় জড়িত ৪০৩ ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ নোটিশ দিল ঢাবি
- রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
- 'জয় বাংলা' বলে মনোনয়ন হারালেন বিএনপি প্রার্থী কামাল জামান
- খুলনার ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
- বিরাট কোহলির রেকর্ড ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে নজির গড়লেন যিনি
- আপনার সুরক্ষা এখন ক্রোমের হাতে: অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢুকতে দেবে না নতুন ফিচার
- বাজারে স্বর্ণের পুনরায় উত্থান, দাম ছুঁতে পারে ৪,০০০ ডলার
- চেঙ্গিস খানের অজানা গল্প: এক গরীব বালক যেভাবে পৃথিবীর ৪০% মানুষের যমদূত হয়ে উঠেছিল!
- ৩০০ আসন থেকে সরে এলো এনসিপি; সম্মান জানাল খালেদা জিয়ার আসনকে
- কালাত জেলায় অভিযান: পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত 'ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর' ৪ সদস্য
- সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম
- 'শাপলা কলি' প্রতীকে নিবন্ধন: নির্বাচন কমিশনের তালিকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি
- আইনজীবীর দাবি: অহেতুক হয়রানি করতেই কোমলমতি বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
- উপকূলীয় জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
- জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৩ দল
- আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আবার পেছাল
- ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বুক জ্বালা কমাতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক পানীয়ে; জেনে নিন ৪টি কার্যকর উপায়
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ








