খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০০:৫২
খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার স্বাদ বাড়ানোতে মসলা হিসেবে এলাচের তুলনা নেই। কিন্তু স্বাদ ছাড়াও এলাচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হওয়াসহ আরও পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়।

এই পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাচের পানি খুব কার্যকর:

১. হজম ও অ্যাসিডিটি দূর: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলেন, এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে।

২. শরীরকে বিষমুক্ত করা: এলাচের পানি পান করলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে সাহায্য করে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।

৩. মুখের স্বাস্থ্য: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী হতে পারে।

৪. রক্ত সঞ্চালন: এলাচের পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জরুরি।

৫. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

এলাচের পানি পান করার পদ্ধতি খুবই সহজ:

তৈরির নিয়ম: চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।

সেবনের সময়: সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।

সতর্কতা: পানি পান করার পর এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।


আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:২৭:০২
আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ রবিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বৃহস্পতি বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতু ও গ্রহপিতা রবির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃশ্চিক রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে সঞ্চয়ী মিতব্যয়ী ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে এবং দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৭ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য উদিত হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। মন সুর সংগীতের প্রতি ঝুঁকবে তবে স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

টাকা পয়সা হাতে আসার আগে খরচের খাত তৈরি হবে। অংশীদারদের সঙ্গে মতানৈক্য চলতে পারে এবং ব্যবসায় মন্দা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দাম্পত্য কলহ সামাজিক কলহে পরিণত হতে পারে। রাগ জেদ ও হঠকারী সিদ্ধান্ত ঘাতক প্রমাণিত হবে। নেশা ও দুই নম্বরি কাজবাজ থেকে বিরত থাকুন।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে এবং দূর থেকে শুভ সংবাদ আসবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্য চমকে দেবে। শিক্ষার্থীদের মনোবাসনা পূরণ হবে এবং সব মিলিয়ে রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। মামলা মোকদ্দমায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

জীবিকা অর্জনের ভিত মজবুত হবে। কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বাণিজ্যিক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। দাম্পত্য ঐক্য বজায় থাকবে এবং মন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের মুখে হাসির ঝলক ফোটাবে। নতুন গৃহবাড়ি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন আলোর মুখ দর্শন করবে। রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা পাবেন এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সতর্ক থাকুন। কর্মস্থলে অশান্তির পরিবেশ বিরাজ করতে পারে। আয় বুঝে ব্যয় করুন নচেৎ সঞ্চয়ে হাত পড়বে। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হতে পারে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

নিত্যনতুন প্ল্যান প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হবে। শ্রম প্রযুক্তি কৌশল ও অধ্যবসায় জাগ্রত হবে। প্রেমীযুগলের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে এবং সপরিবারে কাছেপিঠে ভ্রমণে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাহযোগ্যদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক হতে পারে। আগুন বিদ্যুৎ ও দ্বিচক্রযান বর্জন করুন। দীর্ঘদিনের ভোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব ও প্রেম প্রসঙ্গে আকৃষ্ট থাকবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

সঞ্চয়ের গ্রাফ চাঙা হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন মুখের আগমন ঘটবে। কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্ব পাবেন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে এবং পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে। অংশীদারি ব্যবসা আলাদা করার উপক্রম তৈরি হতে পারে। অর্থকড়ির ব্যাপারে কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। প্রেমীযুগলের মনে অভিমান দানা বাঁধবে তবে সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে। ক্যারিয়ার ব্যবসা ও অর্থভাগ্য চমকে দেবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। হারানো ধনসম্পদ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির পথ খুলবে। ধারকর্জ ও ঋণমুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে।


ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:৫৩:২২
ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়
ছবি : সংগৃহীত

ভারী খাবারের পর বুকজ্বালা রাতে মুখে টক স্বাদ ওঠা কিংবা বারবার বদহজমের মতো সমস্যাকে অনেকেই তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলোই অ্যাসিড বুকজ্বালা বা জিইআরডির সাধারণ লক্ষণ। ওষুধ অবশ্যই কাজ করে কিন্তু সামান্য কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তন বিশেষ করে পানীয় নির্বাচনে সচেতনতা অনেক সময় ওষুধের আগেই উপশম এনে দিতে পারে।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টরা বলছেন বুকজ্বালা কমানোর ক্ষেত্রে চারটি সাধারণ ও প্রাকৃতিক পানীয়ই বহু মানুষের জন্য কার্যকর সমাধান হতে পারে। এর মধ্যে অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বিকল্প চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার বহুদিনের এবং পাকা পেঁপে বা তার রস পাকস্থলীর অম্লতা কমাতে সাহায্য করে। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয় অ্যালোভেরা কিংবা পেঁপের রস খাদ্যনালির আবরণকে শান্ত রাখতে এবং অ্যাসিডের প্রভাব কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা খাবারের পর প্রায় ১০০ মিলিলিটার চিনি ছাড়া অ্যালোভেরা জুস পান করার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা প্রয়োজন কারণ এগুলো বুকজ্বালা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আদা চা বুকজ্বালা কমানোর আরেকটি পরীক্ষিত উপায়। আদার প্রদাহনাশক গুণ বমি ভাব কমায় এবং হজমপ্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে আদাভিত্তিক প্রাকৃতিক উপাদান হজমনালি সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যাসিড নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ আদা চা তৈরির জন্য এক চা চামচ তাজা আদা গরম পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবারের পরে ধীরে ধীরে পান করা যেতে পারে। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।

বুকজ্বালায় ভোগা অনেকেই জানেন না যে পুরো চর্বিযুক্ত গরুর দুধ বা ফুল ফ্যাট ডেইরি পণ্য সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বাদাম ওট বা ফ্ল্যাক্স দুধের মতো উদ্ভিদভিত্তিক দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এসব দুধ কম অম্লীয় এবং হজমে সহজ। গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্তে এসব দুধ ব্যবহার করলে বুকজ্বালার তীব্রতা কমে। সকালে কফির পরিবর্তে বাদাম বা ওট দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মুদিতেও এটি ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় তবে চিনি বা সাইট্রাস ফল না দেওয়াই ভালো।

ক্ষারধর্মী মিনারেল ওয়াটার বা কম অম্লীয় পানি পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরাময় করতে সক্ষম। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে বাইকার্বনেটসমৃদ্ধ মিনারেল ওয়াটার নিয়মিত পান করলে বুকজ্বালা ও অম্লতার পুনরাবৃত্তি কমে। দিনে প্রায় ৫০০ মিলিলিটার ধীরে ধীরে পান করার পাশাপাশি ভারী খাবারের পর ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার পান করলে উপকার মেলে। চিকিৎসকদের মতে এসব প্রাকৃতিক পানীয় শুধু উপশমই দেয় না বরং আধুনিক জিইআরডি চিকিৎসার অংশ হিসেবে জীবনযাপনের পরিবর্তনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয় খাবারের সময় শোয়ার ভঙ্গি এবং পানীয় নির্বাচনের মতো অভ্যাস ওষুধের পাশাপাশি বুকজ্বালা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে এসব পানীয় কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সপ্তাহে দুইবারের বেশি বুকজ্বালা হলে কিংবা রাতে বুকে জ্বালাপোড়ায় ঘুম ভেঙে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসাহীন বুকজ্বালা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যনালির প্রদাহ বা ব্যারেটস ইসোফেগাসের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। বুকে জ্বালাপোড়ায় অতিষ্ঠ হলে ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে চারটি পানীয় অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস আদা চা বাদাম দুধ এবং ক্ষারধর্মী পানি যোগ করতে পারেন। নিয়মিত অভ্যাসে অনেকেই দেখবেন বুকজ্বালা কমছে এবং ওষুধের প্রয়োজনও কমে আসছে।


দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১২:০৫:২৫
দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক
ছবি : সংগৃহীত

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কারণ প্রিয়জনকে হাসিখুশি এবং প্রশান্তিতে রাখতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দের। কারো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং একই সঙ্গে হৃদয়বান। এমনি এমনিই তো আর আপনার সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসবে না বরং তাঁকে ভালোবাসার অদৃশ্য সুতায় বন্দি করে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা এবং মনোবিজ্ঞানীরা সঙ্গীকে সারাজীবন প্রেমের জালে বন্দি রাখার কিছু বিশেষ কৌশলের কথা বলেছেন।

সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সবার আগে তাঁর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সঙ্গী কী খাবে কখন ঘুমাবে খিদে পেয়েছে কি না বা ক্লান্ত কি না এসব বিষয়ের নজর রাখাটা জরুরি। প্রতিদিনের একটু একটু আদর যত্নই ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। তাই জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিন তাঁর ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এছাড়া উপহার কে না ভালোবাসে। পৃথিবীর সব মানুষই জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার আশা করে। বিশেষ দিনে তো বটেই সাধারণ দিনগুলোতেও মাঝে মধ্যে কিছু একটা কিনে আনা উচিত। উপহার দামি হওয়া জরুরি নয় তবে তার মাঝে থাকতে হবে ভালোবাসার ছোঁয়া। আর কিছু না হোক একটি ফুল দিয়েও চমকে দেওয়া যায়।

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার কোনো বিকল্প নেই কারণ নিজেকে ভালোবাসলে তবেই আপনি অন্যকে ভালো রাখতে পারবেন। তাই প্রতিনিয়তই নিজের যত্ন নিন এবং জীবন সঙ্গীর পছন্দের সুন্দর পোশাক পরুন ও সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে গুছিয়ে রাখলে সঙ্গীর মন জিতে নেওয়া খুব সহজ হয়। একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা হওয়া। তাই সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তাঁর পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাঁদের বিপদে আপদে সব সময় সাহায্য করলে সঙ্গীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করা যায়।

মনে রাখা জরুরি যে একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তাঁর জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া নয়। জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত এবং তাঁকে তাঁর নিজস্ব জগতটা উপভোগ করতে দেওয়া প্রয়োজন। সারাক্ষণ পিছে পিছে না থেকে তাঁকে তাঁর মতো করে সময় কাটাতে দিলে সম্পর্কের বাঁধন আরও শক্ত হয়। এছাড়া সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজাড় করে দেওয়া নয়। সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজাড় করে দিলে একটা সময়ের পর সঙ্গী একঘেয়ে বোধ করতে পারেন। তাই সঙ্গীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হোন যা আপনার সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।


আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:৪২:০৫
আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ অঙ্গীরাজপুত্র বৃহস্পতি প্রেমের দেবতা শুক্রাচার্য ও ভূমিপুত্র মঙ্গলের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃষ রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার এবং হারানো বুকের ধন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাহযোগ্যদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ থাকবে তবে কর্ম ও ব্যবসাবাণিজ্যে ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। ভাইবোনদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৬ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

ভাইবোনদের সঙ্গে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত হবে। সফলতার চাবি আজ আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। ধৈর্য সাহস ও মনোবল পূর্ণ এক রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। সঞ্চয়ের গ্রাফ চাঙা হবে এবং প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। কর্ম ও ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে। ধারকর্জ বা ঋণমুক্ত হবেন এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ শুভ।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের পথ খুলবে। ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হবে এবং ধীরে ধীরে দুর্যোগ কাটতে আরম্ভ করবে। নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণ হবে এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে। পরিবারের ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

মামলা মোকদ্দমার রায় বিপক্ষে যেতে পারে। আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ায় সঞ্চয়ে হাত পড়বে। শিক্ষার্থীদের মন ভেঙে দিতে পারে এবং দূর থেকে কোনো অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে এবং প্রেমীযুগলকে সাবধানে চলতে হবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হবে। ব্যবসায় মজুতমালের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং দূর থেকে কোনো শুভ সংবাদ আসবে। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে এবং প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

কর্মপ্রত্যাশীদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ভ্রমণকালীন পরিচয় আত্মীয়তায় রূপ নিতে পারে। লটারি জুয়া রেস বা শেয়ার হাউজিং এড়িয়ে চলুন। সন্তানগণ আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। দাম্পত্য সুখ ও ঐক্য বজায় রাখতে জীবনসঙ্গীর মতকে গুরুত্ব দিন। মিথ্যা দুর্নাম বা বদনামের মধ্যে পড়তে পারেন। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে এবং বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সাবধান থাকুন। বাড়ির ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বৈদ্যুতিক মিটার বা জলের কল মেরামতে নাজেহাল হতে পারেন। দূর থেকে অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। সহকর্মী ও অংশীদারদের মন জুগিয়ে চলুন কারণ আজ ধন উপার্জনের চেয়ে ধনক্ষয় বেশি হবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

জীবনসঙ্গী ও শ্বশুরবাড়ি থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখুন। শত্রুরা পরাস্ত হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র আসতে পারে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কাজ উদ্ধার করতে হবে। আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। সহযোগীরা আজ সহযোগিতার হাত বাড়াবে। ভয় লজ্জা ও দুর্বলতা আপনাকে কুরে কুরে খেতে পারে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর দিন কারণ অত্যাবশ্যকীয় প্রাপ্তি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। চতুর্দিক থেকে উন্নতির জোয়ার বইবে। ভাঙা বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। পিতা মাতার কাছ থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। শিক্ষার্থীদের মন আনন্দে নাচবে এবং মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

গৃহবাড়িতে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। আগুন ও বিদ্যুৎ থেকে সাবধান থাকুন। অংশীদারদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। দাম্পত্য ঐক্য বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। শোক ও দুঃখের অশ্রুজল ঝরতে পারে তবে হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে।


আজকের রাশিফল: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:১৬:১৪
আজকের রাশিফল: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ শুক্রবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্য মতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ দেবগুরু বৃহস্পতি বুদ্ধির দেবতা বুধ ও কর্মফল দাতা শনির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে কন্যা রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে এবং প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিলন ঘটবে। নিত্যনতুন ব্যবসাবাণিজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আসবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৫ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

পিতা মাতার পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হবে এবং অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে। হারানো ধনসম্পদ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির পথ খুলবে এবং দাম্পত্য ঐক্য বজায় থাকবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে। জীবিকা অর্জনের ভিত মজবুত হবে এবং অমাবস্যার অন্ধকার দূর হবে। মনোবল জনবল ও অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের দিনটি গর্বের হবে এবং দুরারোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। টাকা পয়সা হাতে আসার আগেই খরচের খাত তৈরি হবে। দাম্পত্য জীবন কিছুটা কটুতায় ভরে উঠতে পারে। পরিবারের কোনো বয়স্ক লোকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রী মেরামতে প্রচুর ব্যয় হবে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করবেন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে এবং পরিবারের নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে এবং ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়বে। দ্রুতগতির বাহন বর্জনীয়। বিচ্ছেদকৃত দাম্পত্য জীবন জোড়া লাগবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

নিত্যনতুন ব্যবসার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। কর্মপ্রত্যাশীদের মুখে হাসি ফুটবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষরা পরাস্ত হবে এবং মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

সফলতার সূর্য ফোকাস মারবে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সন্তানদের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে। তবে লৌকিকতা পরিহার করুন। পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা পাবেন।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

টাকা পয়সা হাতে আসার আগেই খরচের খাত তৈরি হয়ে যাবে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে। নেশা মদ্য ও জুয়া থেকে দূরে থাকুন। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হতে পারে। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুর চাপ বাড়বে এবং দাম্পত্য সুখ বিনষ্ট হতে পারে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে। অংশীদারি ব্যবসায় বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। বিবাহযোগ্যদের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রেমীযুগলের মন আনন্দে নাচবে এবং নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে। সন্তানদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

লটারি জুয়া ও রেস এড়িয়ে চলুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কাজ উদ্ধার করতে হবে। ভয় লজ্জা ও দুর্বলতা কুরে কুরে খাবে। দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেদের গুটিয়ে রাখতে হবে। প্রেম ও বন্ধুত্বে সতর্ক থাকুন। কলকারখানায় উৎপাদন কমতে পারে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

পিতা মাতার সঙ্গে মতানৈক্য দূর হবে। হাত বাড়ালেই সফলতা পাবেন এবং কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্ব পাবেন। শত্রু ও বিরোধীরা পরাস্ত হবে। গৃহবাড়ি ভূসম্পত্তি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে। মন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে এবং মেধা প্রযুক্তি কৌশল জাগ্রত হবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

অংশীদারি ব্যবসায় বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে তবে লৌকিকতায় প্রচুর ব্যয় হতে পারে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে এবং সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির জোয়ার বইবে। জমিজমার ঝামেলা মিটবে। সন্তানগণ আজ্ঞাবহ থাকবে এবং দাম্পত্য কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ সুগম করবে। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে। স্বপ্ন পূরণ হাতের মুঠোয় আসবে। ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর রাখুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন এবং বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে।


ডায়াবেটিস থেকে পাইলস নিরাময়ে জাদুকরী লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২১:২৫:০৭
ডায়াবেটিস থেকে পাইলস নিরাময়ে জাদুকরী লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার

উদ্ভিদটিকে মিমোসা বা কোনো কোনো অঞ্চলে স্থানীয় ভাষায় জাদুকরী উদ্ভিদ বা টাচ মি নটও বলা হয়। স্পর্শ করলেই নুয়ে পড়া এই গাছটি অনেকের কাছে কেবল খেলার বস্তু মনে হলেও আয়ুর্বেদে লজ্জাবতী গাছের নানা উপকারিতার কথা বিস্তারিত বর্ণনা করা রয়েছে। এই গাছটি আঘাত পেটের পীড়া ও পাইলসসহ নানা জটিল রোগে ঔষধি রূপে ব্যবহার করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে লজ্জাবতী এমন একটি উদ্ভিদ যা সব ঋতুতেই পাওয়া যায় এবং একে চিরহরিৎ উদ্ভিদও বলা হয়। এই গাছ গ্রামাঞ্চলে যেকোনো স্থানে বা শহরাঞ্চলে ছোট ছোট খাল বিল ইত্যাদির চারপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয়। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যেমন লজ্জাবতী পাতা পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ডায়রিয়া কমাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে লজ্জাবতী গাছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগীর শরীরের ইনসুলিন নিঃসরণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর। এছাড়া যাদের মৃগীরোগ রয়েছে তারাও এই গাছ থেকে উপকার পেতে পারেন। এই গাছের পাতায় প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে যা ব্যথা বা ক্ষত উপশমে সাহায্য করে। শরীরের কোথাও আঘাত লাগলে বা কোনো অংশ ফুলে গেলে এই পাতার রস লাগালে ফোলা ভাব কমার পাশাপাশি আরামও পাওয়া যায়। লজ্জাবতী গাছের মূলের পেস্ট বা এর বীজ গুঁড়া করে লাগালেও ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যাদের পাইলসের মতো কষ্টদায়ক সমস্যা রয়েছে তারা লজ্জাবতী পাতা পিষে তার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। বর্তমানে অনেকেরই অ্যালোপেশিয়া বা অস্বাভাবিক চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় রোগীর বয়সের বিচার না করেই চুল ঝরে পড়তে থাকে। লজ্জাবতী এই রোগের চিকিৎসাতেও সমান সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর মূলের ক্বাথ বানিয়ে পান করলেও নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের পেটে পাথরের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর শিকড় সকাল ও সন্ধ্যায় পিষে রস বের করে পান করলে পেটে পাথরের সমস্যা দূর হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

সূত্র : নিউজ ১৮


মেথিকে গুণের ভান্ডার বলা হলেও এটি পানের ক্ষেত্রে যাদের সতর্ক থাকা জরুরি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২০:৫৩:০২
মেথিকে গুণের ভান্ডার বলা হলেও এটি পানের ক্ষেত্রে যাদের সতর্ক থাকা জরুরি
ছবি : সংগৃহীত

মেথি দানা বা মেথি ভেজানো পানি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় স্বাস্থ্য ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। আয়ুর্বেদিক গুণে সমৃদ্ধ এই উপাদানটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ পেটের সমস্যা দূর করা এবং হজম ভালো রাখা থেকে শুরু করে নানা উপকারে ব্যবহৃত হয়। ফাইবার প্রোটিন আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন ভিটামিনে ভরপুর এই মশলা শরীরের পুষ্টি নিশ্চিত করে।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন প্রতিটি উপকারী খাবারের মতো মেথি ভেজানো পানি সব মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। মেথির প্রকৃতি উষ্ণ হওয়ায় বিশেষ কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি খেলে বিপরীত প্রভাব দেখা দিতে পারে।

প্রথমত যাঁদের পিত্তের সমস্যা বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। আয়ুর্বেদ মতে মেথির প্রকৃতি উষ্ণ হওয়ায় পিত্তজনিত সমস্যা বেশি থাকলে এটি হজমে সমস্যা বা ইনডাইজেশন আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

দ্বিতীয়ত যাঁদের লিভারের সমস্যা বা লিভার ডিসঅর্ডার আছে তাঁদের জন্য মেথি পানি বিপজ্জনক হতে পারে। শরীর থেকে টক্সিন বের হওয়া ও মেটাবলিজম প্রভাবিত হওয়ায় ব্লোটিং এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তৃতীয়ত গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মেথি পানি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সেবন অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

চতুর্থত অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি ত্বকে লালচে ভাব চুলকানি বা ফোলাভাবের মতো সমস্যা থাকে তবে মেথি পানি খেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

পঞ্চমত যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাঁদের জন্য এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। মেথি বা এর পানি ব্যবহার ওষুধের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে।

ষষ্ঠত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেথি পানি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত মেথি ভেজানো পানি পান করলে পেট ফাঁপা বা ব্লোটিং গ্যাস পেট ভার লাগা ডায়রিয়া বা বমি এবং শরীরের ঘাম ও মুখ থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাস্থ্য ট্রেন্ড অনুসরণ করার আগে সবসময় একজন বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রত্যেকের শরীর আলাদা তাই যে খাবার একজনের জন্য উপকারী সেটি অন্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


শীতে পায়ের যত্নে ১০ জরুরি টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১২:৫৭:৫২
শীতে পায়ের যত্নে ১০ জরুরি টিপস
ছবি: সংগৃহীত

শীতের শুরুতেই অনেকেই পায়ের নানা সমস্যায় ভোগেন। তাপমাত্রা কমে গেলে রক্তসঞ্চালন কমে আসে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং পায়ের তলদেশে ফাটল, লালচে ভাব কিংবা অসাড়তা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ পডিয়াট্রিস্টরা জানিয়েছেন, সঠিক যত্ন নিলে শীতকালে পা সুস্থ রাখা সম্ভব এবং বড় ধরনের জটিলতাও সহজেই এড়ানো যায়।

শীতের মৌসুমে পা উষ্ণ ও শুষ্ক রাখা প্রথম শর্ত। এজন্য বিশেষজ্ঞরা উলের মতো ময়েশ্চার–উইকিং উপাদানে তৈরি মোজা ব্যবহারের পরামর্শ দেন, যা ঘাম শোষে নেয় এবং পা ঠান্ডা হতে দেয় না। তুলোর মোজা এড়াতে বলা হয়েছে, কারণ তুলো আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং পা আরও ঠান্ডা করে। পাশাপাশি সঠিক মাপের জলরোধী বুট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যা পা উষ্ণ রাখবে এবং ফোস্কা বা ইনগ্রোন নখের মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করবে।

শীতের আরেকটি বড় সমস্যা হলো শুকনো ত্বক। তাই প্রতিদিন নিয়মিত পা পরিষ্কার করে মোটা ক্রিম বা ফুট লোশন লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গোড়ালি ও পাতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, কারণ এসব জায়গাই সবচেয়ে বেশি ফাটে। রাতে ঘুমানোর আগে ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তুলার মোজা পরলে আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। যাদের ত্বক খুব বেশি শুষ্ক বা ক্যালাস আছে, তারা ইউরিয়া-সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, তবে ত্বকে জ্বালাপোড়া হলে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।

ভাল পরিচর্যার পাশাপাশি দৈনন্দিন স্বাস্থ্য–বিধিও জরুরি। পা প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ভালো করে শুকাতে হবে, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে যেন আর্দ্রতা না থাকে। নখ সোজা করে কাটার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলা হয়েছে, যা ইনগ্রোন নখের ঝুঁকি কমায়। একই সঙ্গে নিয়মিত নেলপলিশ ব্যবহার করলে কিছুদিন বিরতি দিলে নখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, শীতে পায়ের সমস্যা শুধু ত্বকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক সময় অসাড়তা, অতিরিক্ত ঠান্ডাভাব বা ক্ষত দ্রুত না শুকানো এমন জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। এজন্য নিয়মিত পা পরীক্ষা করা এবং গভীর ফাটল, লালচে ভাব বা সংক্রমণ হলে দ্রুত পডিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, শীতে হালকা ব্যায়াম করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, যা পা উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং জয়ন্টের নমনীয়তা বজায় রাখে। পাশাপাশি বুট প্রতি ব্যবহার শেষে ভালোভাবে শুকাতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ না পায়।

সার্বিকভাবে শীতের শুরু থেকেই সঠিক যত্ন নিলে পায়ের ত্বক, নখ এবং রক্তসঞ্চালন–সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পায়ের সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও যত্নই মূলমন্ত্র।


সোলমেট আসলে কী: রূপকথার বাইরে সম্পর্কের আসল বাস্তবতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১১:৪৮:০৭
সোলমেট আসলে কী: রূপকথার বাইরে সম্পর্কের আসল বাস্তবতা
ছবি : সংগৃহীত

আমরা সাধারণত সোলমেট শব্দটিকে রূপকথার প্রেমের গল্পের মতো ভাবি। কিন্তু সত্যি বলতে সোলমেট শুধু রোমান্টিক সঙ্গীই হবে বিষয়টি এমন নয়। এটি এমন একজন মানুষ যার সঙ্গে আপনার গভীর ও তীব্র একটি মানসিক সংযোগ থাকে এবং সেটি যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই হতে পারে। সোলমেট হলো এমন একজন যার সঙ্গে আপনার অসাধারণ রকমের মিল থাকে। মানুষ সাধারণত সোলমেটকে রোমান্টিক গল্পের নিখুঁত জুটি হিসেবে দেখলেও এই সম্পর্ক শুধু প্রেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

আপনার জীবনসঙ্গী বা প্রেমিক প্রেমিকা সোলমেট হতে পারে আবার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পরামর্শদাতা কিংবা কাজের সঙ্গীও সোলমেট হতে পারে। বিয়ে বা প্রেম ছাড়াও জীবনে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখবেন যেই ধরনের সোলমেটই হোক না কেন এই মানুষটি আপনার জীবনকে উন্নত করবে এবং আপনাকে গভীরভাবে পূর্ণতা দেবে।

সোলমেটের বিভিন্ন ধরণ

বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক সোলমেট হতে পারে এবং নিচে কয়েকটি শক্তিশালী সম্পর্কের ধরণ তুলে ধরা হলো

সেরা বন্ধু

একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও সোলমেট হতে পারে। এই বন্ধু হতে পারে স্কুলজীবনের পরিচিত কেউ কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে পাওয়া বন্ধু। সেরা বন্ধুদের মধ্যে গভীর বন্ধন থাকে এবং একসাথে সময় কাটানো সহজ ও আনন্দদায়ক হয়। তারা একসাথে ভ্রমণ করতে পারে একে অপরের পরিবার ও লক্ষ্যে পাশে থাকে এবং কঠিন সময়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।

কর্মফলজনিত বা কর্মিক

সোলমেট একজন কর্মিক সোলমেট আপনার জীবনে আসে আপনাকে কিছু শেখাতে বা আপনার কোনো প্রয়োজন পূরণ করতে। এই সম্পর্কের উভয়ই কিছু বিশেষ গুণ নিয়ে আসে কিন্তু দুজনের লক্ষ্য বা দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণ থাকে।

লাইফ পার্টনার

একজন জীবনসঙ্গী যেমন স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক প্রেমিকা আপনার রোমান্টিক সোলমেট হতে পারে। এই সম্পর্ক সাধারণত একসাথে ঘর পরিবার এবং ভবিষ্যৎ তৈরি করার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। নিঃশর্ত ভালোবাসা এই ধরনের সোলমেটের প্রধান লক্ষণ।

টুইন ফ্লেম

টুইন ফ্লেম হলো এমন একটি সম্পর্ক যেখানে দুজন মানুষ একে অপরের মধ্যে নিজেদের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়। তাদের মধ্যে একই রকম গুণ আগ্রহ বা দুর্বলতা থাকতে পারে। টুইন ফ্লেম প্রেম হতে পারে প্লেটোনিক আবেগী রোমান্টিক মানসিক বা সবকিছুর মিশ্রণ। কখনো এই সম্পর্ক একজন শিল্পসঙ্গী পরামর্শদাতা বা এমন একজন বন্ধুর সঙ্গে হতে পারে যার সঙ্গে আপনার গভীর আত্মিক সংযোগ থাকে।

আপনি সোলমেট খুঁজে পেয়েছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

নিচের লক্ষণগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন কেউ আপনার সোলমেট হতে পারে

একসাথে সময় কাটানো সহজ লাগে আপনারা একসাথে থাকলে অজান্তেই সময় দ্রুত কেটে যায় এবং কোনো অস্বস্তি থাকে না। তর্ক বা মতভেদ হতেই পারে কিন্তু আপনারা সবসময় ভালোবাসা থেকে আচরণ করেন এবং ক্ষমা করতে জানেন।

সুখ দুঃখ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আপনি সত্যিকারভাবে তাদের পরিবার স্বপ্ন লক্ষ্য ও ক্যারিয়ারের সাফল্য চান এবং তারাও আপনার জন্য একইভাবে ভাবে। একে অপরের ভালো থাকাটা আপনাদের কাছে প্রাধান্য পায়।

বিশেষ স্পার্ক বা উত্তেজনা অনুভব তাদের কাছে থাকলে এক ধরনের স্পার্ক বা উত্তেজনা অনুভব হয়। এটি রোমান্টিক হতে পারে আবার প্লেটোনিক বা মানসিকও হতে পারে। যাই হোক সেই অনুভূতি আপনাকে আরও সময় একসঙ্গে কাটাতে আকৃষ্ট করবে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এই ব্যক্তি আপনার জীবনে ইতিবাচক আলো এনে দেয়। তার সঙ্গে থাকলে আপনি নিজের সম্পর্কে ভালো অনুভব করেন এবং আত্মসম্মান বাড়ে। একইভাবে সেও আপনার কাছ থেকে নিরাপত্তা স্বস্তি ও মূল্যায়ন পাবে।

সোলমেট ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন ও একাকী লাগতে পারে। সোলমেট হারানো ভীষণ কষ্টদায়ক হতে পারে তাই এই মানুষটির প্রতি আপনার অনুভূতি মাঝে মাঝে মিশ্র হতে পারে। কারণ আপনি জানেন সোলমেট পাওয়া কতটা সৌভাগ্যের এবং এই মানুষটি আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : MasterClass

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত