পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৭:৪০:৪২
পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ছবি: সংগৃহীত

ভালো গন্ধ শুধু অন্যকে আকর্ষণ করে না, নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। তাই অনেকেই প্রতিদিন পারফিউম ব্যবহার করেন। কিন্তু বাজারে এত ব্র্যান্ড আর সুবাসের ভিড়ে নিজের জন্য একদম পারফেক্ট পারফিউমটি বেছে নেওয়া কঠিন। একজন অভিজ্ঞ পারফিউমার ক্যাটেরিনা কাতালানি আপনার ব্যক্তিত্ব ও পছন্দ অনুযায়ী সঠিক পারফিউম বেছে নেওয়ার সহজ ও কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন।

সঠিক পারফিউম বাছাইয়ের কৌশল

ক্যাটেরিনা বলেন, পারফিউম শুধু গন্ধই নয়, এটা আপনার মেজাজ, স্টাইল এবং আত্মপরিচয়ের একটি অংশ। এটি আমাদের প্রিয় স্মৃতি বা আবেগের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে। তাই পারফিউম নির্বাচনকে হালকা করে দেখা উচিত নয়।

১. ত্বকে ব্যবহার করে পরীক্ষা করুন

দোকানে গিয়ে বোতলের মুখ থেকে শুঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল পদ্ধতি। পারফিউম আসলে আপনার ত্বকের সঙ্গে মিশে কেমন ঘ্রাণ ছড়ায়, সেটা বোঝা জরুরি। কারণ একেকজনের ত্বকের সঙ্গে পারফিউমের রসায়ন ভিন্ন হয়।

পরামর্শ: হাতের কব্জিতে একটু স্প্রে করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ঘ্রাণটা কেমন লাগে, বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।

২. ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখুন

পারফিউম একটি ‘স্টেটমেন্ট’। আপনি যদি শান্ত স্বভাবের হন, তবে হালকা, ফুলেল সুবাস আপনার জন্য মানানসই। আবার যদি আপনি প্রাণবন্ত ও সাহসী হন, তবে একটু গাঢ় বা মসলাদার ঘ্রাণ মানাবে ভালো।

৩. একাধিক ঘ্রাণ ব্যবহার করুন

ক্যাটেরিনা পরামর্শ দেন, একটি পারফিউমে আটকে না থেকে ভিন্ন ভিন্ন ঘ্রাণও ব্যবহার করা উচিত। কারণ একেক দিন একেক মুড, একেক পরিবেশ—একেক সুবাস আপনার আলাদা দিক ফুটিয়ে তুলতে পারে।

৪. চুলের জন্য আলাদা পারফিউম

চুলে পারফিউম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঘ্রাণটা যাচাই করে নেওয়া উচিত। কারণ চুলে দেওয়া পারফিউমের ঘ্রাণও আপনার আশপাশের মানুষের কাছে পৌঁছায়।

পারফিউম কেনার আগে যা খেয়াল রাখবেন

স্থায়িত্ব: এসেনসিয়াল অয়েল বেশি থাকলে ঘ্রাণ দীর্ঘসময় ধরে থাকবে।

অ্যালকোহল: অ্যালকোহল বেশি থাকলে দাম কম হলেও সুবাস তাড়াতাড়ি উবে যায়।

উপাদান: উপাদানগুলো দেখে নিন—আপনার ত্বকে বা নাকে অ্যালার্জি হয় কি না বুঝে নিন।

ব্র্যান্ডেড পারফিউম: ব্র্যান্ডেড পারফিউম কেনার আগে টেস্টার ব্যবহার করে যাচাই করে নিন।

পারফিউম বেছে নেওয়া মানে শুধু ভালো ঘ্রাণ খোঁজা নয়, এটা নিজের একটি ছাপ রেখে যাওয়ার বিষয়। তাই সময় নিয়ে, নিজের পছন্দ ও ব্যক্তিত্ব বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান


বয়স বাড়লেও তারুণ্য থাকবে অটুট, যদি পাতে থাকে এই শীতের সবজি!

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৮:২৯:৪৬
বয়স বাড়লেও তারুণ্য থাকবে অটুট, যদি পাতে থাকে এই শীতের সবজি!
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকাল অল্প বয়স থেকেই নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের হাতের কাছেই এমন কিছু সহজলভ্য খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকে। এর মধ্যে মিষ্টি আলু বা রঙিন আলু অন্যতম।

গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলু খাওয়ার পরও রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। এর প্রধান কারণ হলো এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। এই ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে তা কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে, যার ফলে হার্টও সুস্থ থাকে।

ফাইবার সমৃদ্ধ এই সবজিটি হজম হয় ধীরে ধীরে। এর ফলে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় বা ঘনঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমায়। একারণে, যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য মিষ্টি আলু একটি চমৎকার খাবার হতে পারে। ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও বেশ কার্যকরী।

মিষ্টি আলুতে থাকা বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান শরীরে যাওয়ার পর তা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন এ চোখ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া, মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এবং কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।

এই রঙিন আলুতে আরও রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করতে এবং শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরভাবে কাজ করে।

শীতের এই মৌসুমে নিয়মিত এই রঙিন সবজিটি খাদ্যতালিকায় রাখলে তা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়াবে না, স্বাস্থ্যেরও ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে। এটি সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু—দুটোই অর্জনে সহায়তা করতে পারে।


শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:০২:৩৫
শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
ছবি: সংগৃহীত

শীতের সময় প্রকৃতির বাতাস হয়ে ওঠে শুষ্ক, ঠান্ডা এবং আর্দ্রতাহীন। এই পরিবর্তিত পরিবেশের কারণে ত্বকের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ত্বক তার স্বাভাবিক তেল উৎপাদন কমিয়ে ফেলে এবং দ্রুত আর্দ্রতা হারায়, যার ফল হিসেবে দেখা দেয় রুক্ষতা, টানটান অনুভূতি, চুলকানি, খোসা ওঠা, ফাটল এবং নিস্তেজ ভাব। শীতে ত্বকপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়, ফলে সামান্য ধুলাবালু বা ঠান্ডা বাতাসেই ত্বক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাই এই মৌসুমে ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর।

শীতকালের প্রথম প্রয়োজন ত্বকের পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ধরে রাখা। ত্বকের ভেতরের জলীয় অংশ রক্ষা করার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মধু ত্বকের জন্য একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। মধু ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জ্বালা কমায়, রুক্ষতা দূর করে এবং ত্বককে নরম রাখে। শিয়া বাটার প্রাকৃতিক চর্বিতে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে এবং ঠান্ডা বাতাসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং টানটান ভাব দূর করে।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা শুধু শরীরের জন্য নয় বরং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পানি ত্বকের টিস্যুকে আর্দ্র রাখে এবং ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি কমলা, শসা, আপেল, তরমুজ, লেটুস এবং সবুজ শাকসবজি খেলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র থাকে। এসব খাবার ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পানি সরবরাহ করে, যা ত্বকের প্রাকৃতিক গঠনকে শক্তিশালী করে।

ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য ঘরেই প্রাকৃতিক ফেসমাস্ক প্রস্তুত করা যায়। দই ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে। মধু ও দই মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক মসৃণ হয়। অ্যাভোকাডো ম্যাশ করে ত্বকে লাগালে তার ভিটামিন ই এবং প্রাকৃতিক তেল ত্বককে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। ওটস ও দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করলে সংবেদনশীল ত্বকও আরাম পায় এবং রুক্ষতা কমে।

শীতকালে ঘরের ভেতরের বাতাসও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ঘরে হিটার বা বন্ধ জানালার কারণে বাতাস আর্দ্রতাহীন হয়ে পড়ে। এই শুষ্ক বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং ত্বক সহজে ফেটে যায়। তাই ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে বাতাসে আর্দ্রতা ফিরে আসে এবং ত্বক নরম থাকে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ত্বক রাতে আর্দ্রতা পায়।

শীতে গোসলের সময় ত্বকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। অনেকেই শীতে গরম পানি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ গোসল করতে পছন্দ করেন, কিন্তু এটি ত্বকের ক্ষতি করে। গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে দেয় এবং ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই গোসল করতে হবে লুকো উষ্ণ পানিতে এবং সময় সীমিত রাখতে হবে। গোসল শেষে ত্বক শুকানোর সময় তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি না করে আলতোভাবে চাপ দিয়ে পানি মুছে ফেলা উচিত। এরপর ত্বক একটু ভেজা থাকতে থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা ভালোভাবে শোষিত হয়।

ত্বক পরিষ্কারের সময়ও কিছু পরিবর্তন দরকার হয়। শীতে সালফেটযুক্ত ক্লিনজার বা ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। এর পরিবর্তে ক্রিমি ক্লিনজার বা মৃদু উপাদানযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহে একবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। তবে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করলে ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব এবং রুক্ষতা তৈরি হতে পারে, যা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

ঠান্ডা বাতাসে বাইরে বের হলে ত্বক সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ে। তাই হাতের ত্বক রক্ষা করতে গ্লাভস পরা উচিত। ঠান্ডা পরিবেশে বারবার হাত ধোয়া বা পানি ব্যবহার করা হাতের ত্বককে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে। তাই গ্লাভস ব্যবহার করলে হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকে। ঠোঁটের ত্বক খুবই সংবেদনশীল, তাই ঠোঁট ফেটে যাওয়া প্রতিরোধে নিয়মিত লিপবাম ব্যবহার করা জরুরি। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি শীতেও সক্রিয় থাকে, তাই এসপিএফযুক্ত লিপবাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

গোসল বা মুখ ধোয়ার পর ত্বক মুছতে হবে আলতোভাবে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি হয়, যা পানি ধরে রাখে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

সব মিলিয়ে শীতকালে প্রাকৃতিক উপাদানভিত্তিক ত্বকচর্চা ত্বককে নরম, উজ্জ্বল, সুস্থ এবং প্রতিরোধী রাখে। নিয়মিত যত্ন, পর্যাপ্ত পানি পান, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মৃদু পরিচর্যার মাধ্যমে শীতকালেও ত্বক থাকে প্রাণবন্ত এবং সুন্দর।


শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:৫২:১৬
শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
ছবি: সংগৃহীত

শীতকাল আমাদের চুল এবং ত্বকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়। ঠাণ্ডা হাওয়া, শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঘরের গরম পরিবেশ চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে চুলকে ভঙ্গুর, রুক্ষ এবং দুর্বল করে তোলে। তাই শীতকালে নিয়মিত ও সচেতন চুলের যত্ন অপরিহার্য। ঘরে বসেই সামান্য যত্নে চুলকে রাখা যায় মসৃণ, কোমল এবং প্রাণবন্ত।

চুলে আর্দ্রতা যোগ করুন

শীতে চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আর্দ্রতা হারানো। আবহাওয়া যত শুষ্ক হয়, চুল ততই শক্ত, রুক্ষ এবং ভেঙে যায়। তাই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং পণ্য ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু

সাধারণ শ্যাম্পুর বদলে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা অক্ষুণ্ণ রাখে। মৃদু উপাদানযুক্ত শ্যাম্পু চুলকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তেল ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সমৃদ্ধ কন্ডিশনার

প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে পুষ্টিকর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলের ক্ষতিগ্রস্ত স্তরকে মেরামত করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে চুল থাকে নরম, উজ্জ্বল এবং বাউন্সি।

চুলের মাস্ক

শীতকালে সপ্তাহে এক বা দুইবার গভীর পুষ্টিকর চুলের মাস্ক ব্যবহার করা খুবই উপকারী। বাজারে পাওয়া পুষ্টিকর মাস্কের পাশাপাশি ঘরোয়া মাস্কও বেশ কার্যকর। দই, কলা, মধু এবং নারকেল তেল দিয়ে তৈরি করা ঘরোয়া মাস্ক চুলে গভীর পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্রতা অনেকক্ষণ ধরে রাখে।

চুলের তেল এবং লিভ ইন কন্ডিশনার

হালকা তেল চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং শুষ্কতা কমায়। লিভ ইন কন্ডিশনার চুলকে সারাদিন নরম এবং আর্দ্র রাখে। বিশেষ করে যাঁরা বেণি বা প্রটেকটিভ স্টাইল করেন তাঁদের জন্য এটি খুবই কার্যকর।

শরীরকে আর্দ্র রাখুন

শীতে পানি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, ফলে শরীর যেমন শুষ্ক হয়, চুলও তেমন রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই নিয়মিত পানি পান করা চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক।

চুলকে পরিবেশের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দিন

শীতকালে ঠাণ্ডা হাওয়া, ধুলোবালি এবং ঘরের শুষ্ক গরম পরিবেশ চুলের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। তাই চুলকে যতটা সম্ভব পরিবেশগত ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।

মাথা ঢেকে রাখুন

বাইরে বের হলে টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। শীতের শুষ্ক বাতাস চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে। উলের টুপি ব্যবহার করলে এর ভেতরে সাটিন বা সিল্কের কাপড় লাগিয়ে নিতে পারেন যাতে চুলে ঘর্ষণ কম হয়।

বাড়িতে আর্দ্রতা বৃদ্ধি করুন

শীতের সময় ঘরের গরম পরিবেশ বাতাসকে শুষ্ক করে তোলে। এতে চুল এবং ত্বক আরও শুষ্ক হয়। ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে বাতাসে আর্দ্রতা ফিরে আসে যা চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন

অনেকেই শীতে গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়ার অভ্যাস করেন। কিন্তু খুব গরম পানি স্কাল্পের স্বাভাবিক তেল কমিয়ে দেয়। তাই চুল ধোয়ার সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

ভেজা চুল নিয়ে বাইরে না যাওয়া

শীতকালে ভেজা চুল দ্রুত শক্ত হয়ে যায় এবং এতে চুলের ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে চুল পুরোপুরি শুকিয়ে নিন।

ধোয়া এবং স্টাইলিং অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন

চুলের যত্নে সঠিক অভ্যাস বজায় রাখা খুব প্রয়োজন। শীতে এই অভ্যাসগুলো আরও সচেতনভাবে পালন করতে হবে।

চুল ধোয়ার সংখ্যা কমান

বারবার শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল কমে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি চুল ধোয়া উচিত নয়।

হিট স্টাইলিং কমান

ব্লো ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার এবং কার্লিং টুল চুলকে শুষ্ক করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই যতটা সম্ভব চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন এবং হিট স্টাইলিং কম ব্যবহার করুন।

নিয়মিত চুল কাটুন

শীতকালে চুলের ডগা ছেঁড়া বেশি দেখা যায়। তাই ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরপর চুলের ডগা ছেঁটে নিলে চুল থাকে স্বাস্থ্যকর, সুশৃঙ্খল এবং ভঙ্গুরতা কমে।

শীতকালে চুলের জন্য অতিরিক্ত টিপস

  • সাটিন বা সিল্কের বালিশকভার ব্যবহার করুন যাতে ঘর্ষণ কম হয়।
  • চুলে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা কমিয়ে দিন, কারণ এগুলো চুলকে আরও শুষ্ক করে।]
  • অতিরিক্ত চিরুনি ব্যবহার করবেন না, এতে ভঙ্গুরতা বাড়ে।
  • দিনে বেণি বা বান ধরনের স্টাইল করলে চুল কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শীতকালে চুলের যত্ন নেওয়া মানে শুধু এক বা দুইটি পণ্য ব্যবহার করা নয়। বরং এটি একটি সামগ্রিক যত্ন পদ্ধতি যেখানে আর্দ্রতা যোগ করা, সুরক্ষা দেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই গাইডে বর্ণিত প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করলে শীতেও আপনার চুল থাকবে নরম, উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সুস্থ।


শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৪৯:৫৪
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল মানেই ঠান্ডা হাওয়া, কাঁপুনি আর গরম কম্বলের আরাম। এমন একটি ঋতুতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের কথা মনে হলেই বেশিরভাগ মানুষের গা শিউরে ওঠে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, বিশ্বের অনেক দেশেই বহু মানুষ নিয়মিত এই কাজটি করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এতে শরীর আরও শক্তিশালী হয় এবং মন সতেজ থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের মধ্যে ‘কোল্ড শাওয়ার’ নামে এই অভ্যাসটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই দাবি করেন, ঠান্ডা পানি শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে, মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো, শীতের এই সময়ে সবাই কি এই অভ্যাসটি মেনে চলতে পারবেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর খুব দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। নিয়মিত ঠান্ডা পানি সহ্য করার অভ্যাস গড়ে তুললে তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা পানি ত্বকের ছিদ্র (পোরস) টাইট রাখে এবং চুলকেও মজবুত করে। হঠাৎ করে শরীরে লাগা এই ঠান্ডা ঝাঁকুনি মস্তিষ্ককে সজাগ করে তোলে, যার ফলে মন সতেজ হয় এবং এনার্জি বাড়ে।

তবে এই অভ্যাসের যেমন উপকার আছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষ করে যারা দুর্বল, অসুস্থ অথবা সর্দি-জ্বর, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন, ঠান্ডা পানি তাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। শীতের আবহাওয়ায় এমনিতেই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তার ওপর ঠান্ডা পানির ব্যবহার শরীরকে আরও দ্রুত ঠান্ডা করে ফেলে। এছাড়া, হঠাৎ ঠান্ডার এই ঝটকা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও শীতকালে এই অভ্যাস সবার জন্য উপযুক্ত নয়। যাদের শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো এবং ঠান্ডাজনিত কোনো বড় সমস্যা নেই, তারা চাইলে এই অভ্যাসটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে, যাদের শরীর দুর্বল, অসুস্থ বা যাদের হার্ট ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ঠান্ডা পানির গোসল এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ হবে।


শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২১:৩৯:৪২
শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটা ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নানা ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং ঐতিহ্যবাহী ঠোঁটের যত্নের পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, ব্যবহার করা সহজ এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারকও নয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই শীতে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট নরম রাখা যায়

১. নাভিতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ

বয়স্করা নাভিকে শরীরের অনেক স্নায়ুর কেন্দ্র বলে মনে করেন। এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি শীতকালে ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে দুই বা তিন ফোঁটা সরিষার তেল আলতো করে ম্যাসাজ করুন।

এই ঘরোয়া প্রতিকারটি শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতা ও ফাটার মতো সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। নিয়মিত এটি অনুসরণ করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

২. ঘিয়ের ব্যবহার

পাহাড়ি বাড়িতে ব্যবহৃত ঘি কেবল ভোজ্যই নয়, এর ঠোঁটের জন্য অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

ফাটা ঠোঁটে গরম ঘি লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে আর্দ্রতা পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে যদি ঘি লাগান, তাহলে সকালে ঠোঁটের স্তর নরম থাকবে এবং ফাটা কমবে।

৩. মধুর প্রলেপ

মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনার ঠোঁট যদি ফাটা ও শুষ্ক থাকে, তাহলে সামান্য মধু লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। মধু কেবল আপনার ঠোঁটকে আর্দ্রতা দেয় না বরং দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে।

৪. দুধের ক্রিম বা সর

শীতকালে ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য দুধের ক্রিম বা সর ব্যবহার করা হয়।

এই ক্রিমটি ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করা উচিত। ক্রিমের প্রাকৃতিক চর্বি ঠোঁটের হারানো রং পুনরুদ্ধার করে এবং নরম করে।

উপরন্তু, ফাটা ঠোঁটের জন্য গুড় ও সরিষার তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করাও উপকারী।

সূত্র : নিউজ ১৮


রাশিফল: আজকের দিনে আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:১০:৩৩
রাশিফল: আজকের দিনে আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

আপনার আর্থিক ভিত মজবুত হবে। কর্ম ব্যবসায় তরতাজা উন্নতি করবেন। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালংকার আসতে পারে। হারানো পিতৃমাতৃ ধন সম্পদ ফিরে পাবেন। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীরা মনের মতো কলেজ-ভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

জীবনসাথী ও শ্বশুরালয় থেকে সহযোগিতা পাবেন। ধৈর্য সাহস মনোবল বাড়বে। গৃহবাড়িতে অনুষ্ঠান হওয়ায় সাজ সাজ রব করবে। মামলা মোকদ্দমা মীমাংসার দিকে ধাবিত হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি জাগ্রত হবে।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

গৃহবাড়িতে অনুষ্ঠান হবে। কর্ম অর্থ মোক্ষ লাভের পথ খুলে দেবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। ভাইবোনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা আপনার স্বপ্ন পূরণ করবে। লটারি, জুয়া, রেস, শেয়ার হাউসিং এড়িয়ে চলুন।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

গৃহবাড়ি, যানবাহন ও বস্ত্রালংকার ক্রয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। হাতে থাকা প্রতিটা কাজ সহজে সম্পন্ন হবে। মনোবল, জনবল, অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হবে। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে। প্রেম, রোমান্স, বিনোদন মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

আয় উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা কঠিন হবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা আসতে পারে। ধারকর্জ ঋণের জালে আটকে পড়তে হবে। পরিবারের কোনো বয়স্কলোকের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

ব্যবসায় মজুত মালের দাম বাড়বে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। আটকে থাকা কাজ সচল হবে। নিত্যনতুন সুযোগ আসবে হাতের মুঠোয়। পাওনা টাকা আদায় হবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণের জন্য দিনটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। কর্ম, অর্থ, যশ, খ্যাতি, প্রতিষ্ঠা হাতের মুঠোয় আসবে। বাড়ি, গাড়ি, ভূ-সম্পত্তি ক্রয়ের পথ খুলবে। শত্রু ও বিরোধী পক্ষের প্রায় সিংহভাগ কুপরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। ধার, কর্জ, ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। গোটা পরিবারে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত হবে। বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কর্ম ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। বাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা কমবে। পিতা-মাতার সহযোগিতা ও আশীর্বাদ পাবেন।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দাম্পত্য সুখ শান্তি বজায় রাখতে জীবন সঙ্গীর মতকে গুরুত্ব দিন। অর্থ কড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্য উদ্ধার করুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক, ইউটিউব, প্রেম প্রসঙ্গ ও অনুচিত কাজবাজের প্রতি ঝুঁকবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। অংশীদারি ব্যবসার বহুল প্রচার ঘটবে। দাম্পত্য কলহ-বিবাদের মীমাংসা হবে। জীবন সঙ্গীর কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে। কন্যা সন্তানরা অধিক প্রতিষ্ঠা পাবে। প্রেমীযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক প্রমাণিত হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্য উদ্ধার করতে হবে। বিষাক্ত কীট পতঙ্গের দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন।


শীতকালে কমলা খাওয়ার ৫ উপকারিতা যা আপনার জানা নেই

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:৫৯:৩৮
শীতকালে কমলা খাওয়ার ৫ উপকারিতা যা আপনার জানা নেই
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বক, চুল ও হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য কমলা ভীষণ একটি উপকারী ফল। এতে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট—এই ফলটির উপকারিতার মূল কারণ। প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খাওয়া একটি আদর্শ অভ্যাস। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে কমলালেবু সহজে পাওয়া যায় এবং গুণমানও ভালো থাকে।

ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারিতা

১. উজ্জ্বল ত্বক ও বলিরেখা হ্রাস

কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক দেখায় তারুণ্য ও উজ্জ্বল্যতা।

২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সুরক্ষা

কমলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে, যা অকাল বার্ধক্যের একটি অন্যতম কারণ। এটি ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।

৩. ব্রণ ও দাগ দূরীকরণ

কমলার খোসাতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। কমলার রস বা খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করলে কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

৪. চুল ও শক্তি বৃদ্ধি

কমলাতে থাকা ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং পুষ্টি জোগায়, যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে ও চুল পড়া রোধ করে।

৫. খুশকি নিয়ন্ত্রণ

কমলার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। চুলের তেল বা শ্যাম্পুর সাথে কমলার রস বা খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

হার্ট ও সার্বিক স্বাস্থ্যে ভূমিকা

১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

কমলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

এতে থাকা পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ভিটামিন সি-ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৩. রক্তনালি সুস্থ রাখা

কমলা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তনালি সুস্থ রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. ইমিউনিটি বৃদ্ধি

কমলার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।


প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২১:২৮:২৭
প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা হু এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৯০ সালে যেখানে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি, সেখানে ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ কোটি। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।

চিকিৎসকদের মতে, অনেকেই বুঝতেই পারেন না, তারা আসলে প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়ে আছেন—অর্থাৎ এমন এক অবস্থায়, যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে তা পূর্ণ ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে। তবে সুখবর হলো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন মানলে মাত্র ২১ দিনেই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যগ্রহণ এবং দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়:

১. ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রোটিনযুক্ত জলখাবার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রোটিন-সমৃদ্ধ জলখাবার খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোটিন হজম হতে সময় নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এবং অযথা মিষ্টির প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এতে দিনের পরবর্তী অংশে গ্লুকোজ স্পাইক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।

২. প্রতি খাবারের পর ১০ মিনিট হাঁটা

প্রতিটি খাবারের পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধারণভাবে কার্যকর। হাঁটার মাধ্যমে শরীর গ্লুকোজ ব্যবহার করে ফেলে, যা খাবারের পরের 'ব্লাড সুগার স্পাইক' প্রতিরোধে সাহায্য করে। ২০২৫ সালের এক র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়ালে এই তথ্যের প্রমাণ মিলেছে।

৩. খাবার খাওয়ার সঠিক ক্রম

খাবার খাওয়ার ক্রম বা অর্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো:

খাবার শুরু করুন সবজি দিয়ে।

তারপর প্রোটিন খান।

সবশেষে কার্বোহাইড্রেট খান।

এতে শরীর ধীরে ধীরে শর্করা শোষণ করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

৪. ফাইবারযুক্ত শস্য নির্বাচন

শুধুই খাওয়ার ক্রম নয়, খেয়াল রাখতে হবে কী খাচ্ছেন। সাদা চাল, সাদা রুটি বা ময়দার তৈরি খাবারের পরিবর্তে বেছে নিন ফাইবারযুক্ত শস্য। যেমন ওটস, বাজরা বা কুইনোয়া। এগুলো ধীরে হজম হয়, দীর্ঘ সময় তৃপ্ত রাখে এবং হঠাৎ করে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস


রক্তকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৭:২১:০৪
রক্তকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করবে যেসব খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের শরীরের প্রাণশক্তি হলো রক্ত। এই রক্তের মাধ্যমেই পুষ্টি ও অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছায়। কিন্তু বর্তমান সময়ের দূষিত পরিবেশ এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়, যা রক্তের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এর ফলে ত্বকে ব্রণ, ক্লান্তি এবং হজমে সমস্যার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে রক্ত বিশুদ্ধ রাখা জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে চাইলে প্রকৃতির খাবারই সবচেয়ে বড় ওষুধ।

নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই রক্ত পরিষ্কার রাখা সম্ভব। সেইসব খাবার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

১. বিট

লালচে এই সবজিটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। বিটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও নাইট্রেট রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং রক্তে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতাজাতীয় সবজি

পালংশাক, ধনে পাতা, কেলে বা ব্রকলির মতো পাতা জাতীয় সবজির মধ্যে থাকা ক্লোরোফিল শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক শোষণ করে শরীর থেকে বের করে দেয়।

৩. রসুন ও হলুদ

রসুন হলো রক্ত পরিষ্কারের দারুণ উপাদান। এতে থাকা 'অ্যালিসিন' যৌগ লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, হলুদের 'কারকিউমিন' উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং রক্তকে জীবাণুমুক্ত রাখে।

৪. সাইট্রাস ফল

লেবু বা অন্যান্য সাইট্রাস ফলও রক্ত পরিষ্কারে কার্যকর। ভিটামিন সি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে অম্ল পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।

রক্ত পরিশোধনে অন্যান্য টিপস

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এতে কিডনি সহজে বর্জ্য ফিল্টার করতে পারে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য ফাস্টফুড বা অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তার পরিবর্তে তাজা সবজি, ফল, বাদাম, ডাল ও শস্যজাত খাবার খাওয়া উচিত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শরীরের নিজস্ব পরিশোধন ব্যবস্থা অর্থাৎ লিভার ও কিডনিকে সুস্থ রাখা। কোনো তথাকথিত 'ব্লাড পিউরিফায়ার ডিটক্স ড্রিংক' বা ওষুধের ওপর ভরসা না করে প্রাকৃতিক খাবার ও সুষম ডায়েটই হতে পারে রক্ত পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত