এবার ঈদে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থাকছেন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির শীর্ষ নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজ নিজ পরিবার ও রাজনৈতিক এলাকায় ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। দীর্ঘ সাত বছর পর এবার রাজধানীর গুলশানে ফিরোজা ভবনে মুক্ত পরিবেশে ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে তিনি কারাবাস, হাসপাতাল কিংবা নজরদারির মধ্যে ঈদ উদযাপন করেছিলেন। তবে এবার ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে গুলশানের বাসায় সময় কাটাবেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। যদিও শর্মিলা রহমান ইতোমধ্যে তাদের দুই কন্যার কাছে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে, ডা. জুবাইদা রহমান আজ বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, যেখানে তার স্বামী তারেক রহমান ও তাদের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান অপেক্ষা করছেন। তারা এবার ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে।
ঈদের দিন বিএনপির শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং ভার্চুয়ালি তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও দোয়ার আয়োজনেও অংশ নেবেন সিনিয়র নেতারা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এবং ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ঢাকাতেই ঈদ উদযাপন করবেন।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকার শাহজাহানপুরে এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জে ঈদের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকবেন। দলের আরেক নেতা ড. আবদুল মঈন খান ঈদ পালন করবেন নরসিংদীর পলাশে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জে। দলের তরুণ নেতা ইশরাক হোসেন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক ঢাকায় নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাই এবার ঈদ করবেন নিজ নিজ এলাকায়। যেমন, কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ঈদ করবেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোরে, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জামালপুরের মেলান্দহে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ থাকবেন বরিশালে। দলের সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করায় সেখানেই ঈদ উদযাপন করবেন।
দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাবেন এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এই ছুটির সময়কে নেতারা রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ বিরতি: যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন কৌশল নিচ্ছে?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ