গরমে শিশুর যত্নে করছেন না তো এই বিপজ্জনক ভুলগুলো?

সত্য নিউজ: প্রচণ্ড গরমে শিশুরা থাকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। বিশেষ করে তাপপ্রবাহে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে তাদের শরীরে, আর তারা অনেক সময় তা বোঝাতেও পারে না ঠিকভাবে। তাই শিশুর যত্নে সামান্য অসতর্কতা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. তাসনুভা খান সতর্ক করেছেন কিছু সাধারণ কিন্তু মারাত্মক ভুলের বিষয়ে, যেগুলো গরমে শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পানি নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়শিশুরা যেন যথেষ্ট পানি পান করে, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি, কিন্তু জোর করে নয়। ছয় মাস বয়সের পর পানি দেওয়া শুরু করা গেলেও, দুই বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ থেকেও শিশু পর্যাপ্ত পানি পেতে পারে। দিনে দিনে হালকা ফলের রস, স্মুদি বা তরল খাবারে অভ্যস্ত করানো ভালো। কিন্তু খুব মিষ্টি পানীয় বা ঠান্ডা খাবারে অতিরিক্ত চাপ না দিলেই ভালো।
যা খুশি তাই নয়, খাবারেও সচেতনতাগরমকালে খাবার ও পানীয় থেকে অনেক রোগ ছড়ায়। রাস্তার খাবার বা অস্বাস্থ্যকর পানীয় থেকে শিশুদের দূরে রাখা দরকার। তবে একেবারে কড়াকড়ি না করে, বাড়িতে নিরাপদ উপায়ে আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। বাইরে থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা কিছু না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোশাক ও পরিচ্ছন্নতায় খুঁত না রাখাই শ্রেয়শিশুকে বাইরে নেওয়ার সময় হাতাকাটা নয়, ফুলহাতা পাতলা সুতি জামা-পায়জামা পরানো ভালো। গাঢ় রঙের বা আঁটসাঁট পোশাক পরালে গরমে অস্বস্তি বাড়ে। খাবার প্রস্তুতকারীর হাত না ধোয়া কিংবা দুধ ও অন্যান্য খাবার বেশি সময় বাইরে রাখা—এগুলো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
খেলাধুলাতেও নিয়ম মানা জরুরিরোদচড়া দুপুরে ছাদে বা পার্কে খেলতে দেওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। ধাতব খেলার সরঞ্জাম গরম হয়ে থাকতে পারে, যা শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি, জলাশয়ের পাশে খেললে শিশু যেন একা না থাকে, ঝোপঝাড়ে যেন হাত না দেয়—সেটিও নিশ্চিত করা জরুরি।
ডা. তাসনুভা খান বলেন, “শিশুর প্রস্রাবের রং ও পরিমাণ খেয়াল রাখলে সহজেই বোঝা যায়, সে পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না।” তাই অভিভাবকদের প্রতি তার পরামর্শ, শিশুর সুরক্ষায় সবসময় সচেতন ও সাবধান থাকুন।
ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো শরীরে একধরনের আড়ষ্টতা অনুভব করেন। বিছানা ছেড়ে মেঝেতে পা ফেললে পায়ের তালুতে ব্যথা হয়। মনে হয় হাত, পাসহ পুরো দেহের ভাঁজে ভাঁজেই যেন ব্যথা লুকিয়ে আছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই যদি প্রায়ই এমনটা হয়, তাহলে তা একদমই শরীরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ছোট ছোট সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে অনেক সময় বড় ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। টেক্সাসের হেলথ কেয়ার অ্যাসোসিয়েটস এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথার ৫টি প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হলো:
১. ভুল ঘুমানোর অবস্থান
মানুষ ভেদে ঘুমের ধরন আলাদা হয়ে থাকে। ঘুমের অবস্থান খারাপ হলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। পাশ ফিরে ঘুমানো অনেক ক্ষেত্রে ভালো হতে পারে, বিশেষ করে যাদের ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea)। এই রোগে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং ঘুম ভালো না হলে শরীর ব্যথা হতে পারে।
২. নিম্নমানের বিছানা
যেখানে ঘুমাবেন, সেটি ভালো ও আরামদায়ক হওয়া উচিত। বিছানা খারাপ হলে সেটিই হতে পারে শরীর ব্যথার কারণ। নিম্নমানের বিছানা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে না। তাই নিজের ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভালো মানের বিছানা ব্যবহার করা জরুরি।
৩. অতিরিক্ত ওজন
মাত্রাতিরিক্ত ওজন থাকলে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। অতিরিক্ত ওজন থাকলে ঘুমানোর সময় পিঠ ও ঘাড়ে ওজনের চাপ পড়ে। এ থেকে শরীর ব্যথা হয় এবং অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. শ্বাসকষ্টের রোগ
শ্বাসকষ্ট রোগীদের ঘুমের সময়ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় মানুষের শ্বাস নেওয়া কিছুটা কমে এবং শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। ফলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। এই কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. অন্যান্য উপসর্গ
ঘুম ভালো না হলে বা শ্বাসকষ্টের রোগ থাকলে ঘুমের সময় নাক ডাকা, দম বন্ধ হওয়া বা হাঁপানো, সকালে মাথাব্যথা, দিনের বেলায় তন্দ্রাভাব, ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন, হতাশা অনুভব ও অমনোযোগী হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণ চেপে ফাটানো: হতে পারে যে ভয়াবহ রোগ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ব্রণ চোখে পড়লে অনেকেই অস্থির হয়ে পড়েন, “চেপে ফাটিয়ে ফেলি!” তবে এই অভ্যাস পরিণামে ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের বিশেষ একটি অংশের ব্রণ ফাটালে সেটি সরাসরি মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমনকি হতে পারে প্যারালাইসিসও।
আমেরিকান হলিস্টিক প্লাস্টিক সার্জন ড. অ্যান্থনি ইউন সতর্ক করে বলেছেন, “দুই ভ্রুর মাঝের ব্রণ কখনোই ফাটানো উচিত নয়। কারণ, এটি এমন এক জায়গা, যেখানে দেহের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু ও রক্তনালির সংযোগ রয়েছে, যা সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত।”
ডেঞ্জার জোন’ বা মৃত্যুর ত্রিভুজ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের উপরের ঠোঁট থেকে নাক পর্যন্ত যে ত্রিভুজাকার অংশ, সেটিই হলো ‘ডেঞ্জার জোন’ বা ‘মৃত্যুর ত্রিভুজ’। এই অঞ্চলের শিরাগুলো ক্যাভারনাস সাইনাস নামের একটি রক্তনালির মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে এই অংশে থাকা ব্রণ বা ফুসকুড়ি হাত দিয়ে চেপে ফাটালে সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পরিণতিতে পক্ষাঘাত, খিঁচুনি বা এমনকি জীবনহানির ঝুঁকিও আছে।
একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সময়মতো চিকিৎসা না পেলে সংক্রমণের প্রভাবে মস্তিষ্কের কিছু অংশ স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেছে।
বিপদ এড়ানোর উপায়
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্রণ ফাটানোর পরিবর্তে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তা শুকিয়ে ফেলাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
১. গরম সেঁক: একটি পরিষ্কার তোয়ালে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে ব্রণের ওপর ১০ মিনিট রাখুন। এতে ভেতরের পুঁজ সহজে বের হবে এবং ব্রণ নিজে থেকেই শুকিয়ে যাবে।
২. টি ট্রি অয়েল: ১ চা চামচ নারিকেল বা জলপাই তেলে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। এটি ব্রণের সংক্রমণ কমায়।
৩. মধু ও অ্যালোভেরা: খাঁটি মধু বা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের ওপর ২০ মিনিট রাখলে প্রদাহ কমে এবং ত্বক দ্রুত সেরে ওঠে।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি ব্রণ বড় আকারের হয় বা বারবার ফিরে আসে, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ড. অ্যান্থনি ইউন যোগ করেন, “মুখের ব্রণ ফাটানো মানে ঝুঁকি ডেকে আনা। বিশেষ করে দুই ভ্রুর মাঝে বা নাকের চারপাশে ব্রণ খোঁটানো একেবারেই নয়।”
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হেলথ লাইন
একটানা চিয়া সিড খাচ্ছেন?অতিরিক্ত খেলে যে ৪টি স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনতে পারে
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ ভেজানো পানি খাওয়া অনেক দিন ধরেই ট্রেন্ডে রয়েছে, যার মধ্যে চিয়া সিড সবার ওপরে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, চিয়া সিড ভেজানো পানি বা এই বীজ খেলে শুধু ওজনই কমে না, এটি শরীর-স্বাস্থ্যের আরও অনেক উপকার করে। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন সতর্ক করেছে যে, একটানা অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরে কিছু সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে:
১. পেটের সমস্যা ও বদহজম: একটানা অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খেলে মারাত্মকভাবে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে শরীর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে এবং হরমোনের ক্ষরণে অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।
২. অ্যালার্জির সমস্যা বৃদ্ধি: আপনি যদি এমনিতেই অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে থাকেন, তাহলে চিয়া সিড থেকে মারাত্মকভাবে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া, চিয়া সিড খাওয়ার সময় অসাবধান হলে গলায় আটকে বিষম খাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।
৩. রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার অসামঞ্জস্য: একটানা অনেক দিন চিয়া সিড খেলে রক্তচাপ (ব্লাড প্রেশার) স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কমে যেতে পারে। এছাড়া, নাগাড়ে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার (ব্লাড সুগার) মাত্রাতেও অসামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
৪. অন্ত্রের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য: অনেক দিন ধরে চিয়া সিড খেলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করবে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে, এমনকি তলপেটে ব্যথাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
উল্লিখিত সমস্যাগুলো শরীরে দেখা দিলে আপাতত কিছুদিন চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ রাখুন। চিয়া সিডের প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি অনেকক্ষণ পেট ভরে রাখে এবং খাইখাই ভাব কমায়। পুষ্টিগুণ থাকলেও, যেকোনো খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এখন শিশু-কিশোরদেরও ঝুঁকি, নীরব ঘাতক থেকে বাঁচার উপায়
একসময় যা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে মনে করা হতো, সেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড স্টিটোটিক লিভার ডিজিজ (MASLD)-এ এখন আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু-কিশোরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ফাস্টফুড, চিনিযুক্ত পানীয় এবং শারীরিক অনক্রিয়াশীলতা এই রোগকে দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।
ফ্যাটি লিভার কী এবং কেন হয়?
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো লিভারে চর্বি জমে যাওয়া। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়: অ্যালকোহলিক এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)। অ্যালকোহল পান না করেও লিভারে চর্বি জমলে সেটিই নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।
যেসব অভ্যাস বাড়ায় ঝুঁকি:
চিনি ও ফাস্টফুড: নিয়মিত চিনিযুক্ত পানীয়, সোডা, ক্যান্ডি, প্যাকেটজাত মিষ্টান্ন খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত বাড়ে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: পাউরুটি, ময়দার পাস্তা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বিপাকের ভারসাম্য নষ্ট করে।
স্থূলতা: অতিরিক্ত তেল ও প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অতিরিক্ত ওজন ও পেটের মেদ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়িয়ে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
অ্যালকোহল ও ধূমপান: সামান্য অ্যালকোহল বা ধূমপানও লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে রোগকে জটিল করে তোলে।
নীরব ঘাতক থেকে বাঁচতে করণীয়
চিকিৎসকদের ভাষায়, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ একটি নীরব ঘাতক। তাই উপসর্গ না থাকলেও সচেতন জীবনযাপনই একমাত্র প্রতিরোধ। সুস্থ থাকতে করণীয়:
ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
খাদ্যাভ্যাস: চিনিযুক্ত পানীয় ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
পুষ্টি: পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেতে অভ্যস্ত হোন।
পরিহার: ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
সচেতনতা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে লিভারের অবস্থা জেনে নিন।
সিঁড়ি ভাঙতে গেলেই বুক ধড়ফড়? কখন বুঝবেন এটি হৃদরোগের সংকেত?
অফিসের লিফট খারাপ বা মেট্রোর সিঁড়ি বন্ধ? দু-চার তলা উঠতেই বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্ট হওয়াকে অনেকেই ক্লান্তি বা শারীরিক সক্ষমতার অভাব মনে করে এড়িয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন বুক ধড়ফড় সব সময় স্বাভাবিক নাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হৃদরোগের সংকেত হতে পারে।
সিঁড়ি চড়া হলো এক ধরনের কার্ডিও ব্যায়াম। পায়ের মাংসপেশী বেশি কাজ করলে হৃদযন্ত্রকে দ্রুত রক্ত পাম্প করতে হয়, ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এটি কম শারীরিক সক্ষমতার কারণে হতে পারে, যা সাধারণত স্বাভাবিক।
কখন সতর্ক হওয়া জরুরি?
যদি নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তবে অবহেলা করা চলবে না, কারণ এগুলি বিপদের সংকেত হতে পারে:
১. বুকে ব্যথা বা চাপ: বুকে চিনচিনে অনুভূতি বা চাপ অনুভব করা করোনারি আর্টারি ডিজিজের ইঙ্গিত হতে পারে।
২. তীব্র শ্বাসকষ্ট: সামান্য পরিশ্রমেও শ্বাসকষ্ট হওয়া, যা বিশ্রামের পরেও কমছে না—এটি হৃদরোগ বা ফুসফুসের বড় সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৩. মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা: মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছালে এমনটা ঘটতে পারে, যা অ্যারিদমিয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের লক্ষণ।
৪. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: মাঝে মাঝে হৃদযন্ত্র লাফিয়ে ওঠা বা ছন্দ হারানোর মতো অনুভূতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. বিশ্রামের পরও সমস্যা: সিঁড়ি ভাঙার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট বিশ্রামের পরও যদি বুক ধড়ফড় বা শ্বাসকষ্ট না কমে, তবে এটি বিপদের সংকেত।
সম্ভাব্য কারণ ও করণীয়
বুক ধড়ফড় কেবল হৃদরোগের কারণেই হয় না। এর পেছনে রক্তাল্পতা, থাইরয়েড সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ বা ফুসফুসের রোগও থাকতে পারে।
যদি সিঁড়ি ভাঙার সময় এই উপসর্গগুলো প্রায়শই দেখা দেয়, দেরি না করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ট্রেডমিল টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করবেন।
শরীর সব সময় সংকেত পাঠায়। সাধারণ ক্লান্তি ভেবে বড় বিপদকে আমন্ত্রণ না জানাতে বিশেষজ্ঞরা সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হাজার বছর ধরে লোকঔষধ ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত। মিসরীয় প্যাপিরাস থেকে ভারতীয় আয়ুর্বেদ, গ্রিক ও আরব চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র এর উপস্থিতি দেখা যায়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বলছে পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল প্যারেনকাইমা, মিউকোপলিস্যাকারাইড, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। একই পাতা আবার হলুদাভ তিক্ত ল্যাটেক্সও বহন করে যাতে প্রাকৃতিক রেচক অ্যান্থ্রাকুইনোন থাকে। এই দুই স্তরের আলাদা প্রোফাইল বোঝা জরুরি, কারণ জেল তুলনামূলক নরমাল ব্যবহারে নিরাপদ হলেও কাঁচা ল্যাটেক্স বেশি খেলে সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিগুণের ভিত
অ্যালোভেরার জেল ভিটামিন এ, সি, ই সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। বি গ্রুপের মধ্যে বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং কিছু প্রজাতিতে বি১২ রিপোর্ট করা হয়। খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। জেলে পলিস্যাকারাইড যেমন অ্যাসেম্যানান, এনজাইম এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি ভাল মিশ্রণ থাকে। এই সমন্বয় ত্বককে হাইড্রেট করে, ক্ষতস্থানে স্যুত্র তৈরি সহায়তা করে, মৌখিক শ্লেষ্মা শান্ত করে এবং পরিপাকে স্বস্তি দিতে পারে।
জেল বনাম ল্যাটেক্স
পাতা কাটলে যে স্বচ্ছ জেল বের হয় সেটিই সাধারণত ত্বক, চুল এবং পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত। পাতার খোসার ঠিক ভেতরের হলুদাভ তরলটি হলো ল্যাটেক্স, যার ল্যাক্সেটিভ প্রভাব প্রবল। বাজারে ডিকলোরাইজড বা ফিল্টারড জুস বলতে সাধারণত ল্যাটেক্স অপসারিত জেল-ভিত্তিক পণ্য বোঝায়। গৃহে ব্যবহার করলে পাতার সবুজ অংশ ও হলুদ স্তর ভালোভাবে ছেঁটে ফেলে কেবল স্বচ্ছ জেল নিন।
হজম ও ডিটক্স: কীভাবে কাজ করে
জেলে থাকা এনজাইম শর্করা ও চর্বি ভাঙতে সহায়তা করে, যা হজমের আরাম বাড়ায়। পানি ও মিউকোপলিস্যাকারাইড অন্ত্রের মিউকোসা শান্ত করে। ল্যাটেক্সের অল্প মাত্রায় রেচক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বা বেশি পরিমাণ ল্যাটেক্স খেলে ক্র্যাম্প, ডিহাইড্রেশন এবং পটাশিয়াম কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই দৈনন্দিন সেবনে জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মৌখিক স্বাস্থ্য
অ্যালো জেল মুখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, হালকা জ্বালা ও আলসার শান্ত করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্লাক কমাতে সহায়ক হয়। টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশে অ্যালোর উপস্থিতি তাই জনপ্রিয়। ঘরে জেল ব্যবহার করলে পরিষ্কার হাত দিয়ে আলতোভাবে লাগিয়ে দিন এবং খাবার বা গরম পানীয়ের আগে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে অ্যালোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
সূর্যদগ্ধ ত্বকে ঠান্ডা জেল আরাম দেয়, লালভাব কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরামের উপর অ্যালো জেল লাগালে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে। সংবেদনশীল ত্বকে আগে কানের পেছনে প্যাচ টেস্ট করুন। পচা গন্ধ, রঙ বদলে যাওয়া বা দূষিত জেল কখনো ব্যবহার করবেন না।
চুল ও স্ক্যাল্প কেয়ার
অ্যালো জেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে, খুশকি ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের জট ছাড়াতে সহায়ক। তিনটি সহজ পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন। এক, শ্যাম্পুর আগে স্ক্যাল্পে জেল লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দুই, জেল, দই এবং এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক করুন। তিন, পানি মিশিয়ে স্প্রে করে লিভ ইন কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ব্যবহার চুল শুষ্ক করতে পারে, তাই ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ করুন।
কৌতূহল জাগানো ৫টি ব্যবহারযোগ্য রেসিপি
- সকালের হালকা পানীয়। ২০০ মিলিলিটার পানি, এক টেবিলচামচ তাজা অ্যালো জেল, আধা চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবু।
- হজমে স্বস্তি স্মুদি। কিউই বা আনারস, দই, এক টেবিলচামচ অ্যালো জেল, অল্প পুদিনা।
- সান-সুথিং জেল। অ্যালো জেল, শসার রস, অল্প রোজ ওয়াটার। ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনে লাগান
- স্ক্যাল্প প্যাক। অ্যালো জেল, মেথি বাটা, এক চা চামচ কালোজিরা তেল। ২০ মিনিট।
- মুখের দাগে স্পট জেল। অ্যালো জেল, হলুদের অতি অল্প গুঁড়া, মধু। রাতের বেলায় স্পটে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে নিন।
কতটা খাবেন এবং কীভাবে নেবেন
খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ দিক হলো জেল-ভিত্তিক, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি। সাধারণত দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিলিলিটার ডিকলোরাইজড অ্যালো জুস বা এক থেকে দুই টেবিলচামচ তাজা জেল পানি বা স্মুদিতে মেশানো যেতে পারে। টপিক্যাল প্রয়োগে দিনে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর যথেষ্ট। ক্যাপসুল, টিংচার বা কনসেনট্রেট নিলে পণ্যে উল্লেখিত ডোজ অনুসরণ করুন এবং প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ডোজে সহনশীলতা দেখুন।
কে সাবধান হবেন
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, কিডনি বা লিভারের ক্রনিক সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স, হূদ্রোগে ডাইউরেটিক বা কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড ব্যবহারকারী, অ্যান্টিকোগুল্যান্ট, অ্যান্টিপ্লেটলেট, অ্যান্টিডায়াবেটিক বা স্টেরয়েড ব্যবহারকারী। ল্যাটেক্সের রেচক অংশ এসব ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়াতে পারে। অস্ত্রোপচারের আগে পরে নিজের মতো করে কোনো হার্বাল শুরু বা বন্ধ করবেন না। অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বকে প্যাচ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
ঘরে কেনার সময় কী দেখবেন
ল্যাটেক্স-মুক্ত বা ডিকলোরাইজড লেখা আছে কি না খেয়াল করুন। তৃতীয় পক্ষের গুণমান পরীক্ষার সিল, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণতার স্পষ্ট তারিখ, গাঢ় কাঁচের বোতল এবং অ্যালো কনটেন্টের শতাংশ উল্লেখ আছে কি না দেখুন। তাজা পাতা নিলে মোটা ও টানটান পাতা নিন। কাটার পর হলুদাভ রস ঝরিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কেবল স্বচ্ছ জেল গ্রহণ করুন।
দ্রুত প্রশ্নোত্তর
অ্যালো কি ওজন কমায়?
-সরাসরি চর্বি পোড়ায় না। জেল-ভিত্তিক পানীয় হাইড্রেশন ও হালকা তৃপ্তি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে।
প্রতিদিন খাওয়া যায় কি?
-কম পরিমাণ, জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সহনীয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং শরীরের সাড়া দেখুন।
ব্রণে কি লাগানো যায়?
-হ্যাঁ, পাতলা স্তর, পরিষ্কার ত্বকে, দিনে এক থেকে দুইবার। জ্বালা হলে বন্ধ করুন।চুলে রাতভর রাখা ঠিক কি না। সূক্ষ্ম চুলে শুষ্ক হতে পারে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট যথেষ্ট, পরে ধুয়ে ফেলুন।
সাইড ইফেক্ট এবং কখন বন্ধ করবেন
পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, মাথা হালকা লাগা, লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা জ্বালা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন। লাল প্রস্রাব, তীব্র দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ত্বকে প্রচণ্ড জ্বালা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার পার্সোনাল মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী পেশাদার পরামর্শ নিন।
অ্যালোভেরা একটি বহুমুখী ভেষজ। জেল ত্বক, চুল, মৌখিক স্বাস্থ্য এবং হালকা হজমে আরাম দিতে পারে। সঠিক অংশ বাছাই, ডোজ নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত পণ্য নির্বাচন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকলে অ্যালোর উপকার নিরাপদে পাওয়া যায়। রান্নাঘরের সহজ রেসিপি থেকে স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ারের কাস্টম রুটিন পর্যন্ত সবখানেই এর প্রয়োগ সম্ভব। ব্যবহার শুরু করুন কম পরিমাণে, শরীরের সাড়া দেখুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য? একটানা বসে থাকা নয়তো এর কারণ!
দীর্ঘসময় অফিসে ডেস্কে বসে কাজ করাকে এখন চিকিৎসকরা ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দেখছেন। এটি শুধু পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং হৃদরোগ, স্থূলতা, বিপাকজনিত সমস্যা এবং এমনকি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের (Gat Health) ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চেন্নাইয়ের সিমস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. সেন্টিল গণেশন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দীর্ঘ সময় স্থির হয়ে বসে থাকা অন্ত্রে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি করে। এটি হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং শরীরজুড়ে ক্লান্তি ও প্রদাহ বাড়ায়।
কেন ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্ত্র?
ড. গণেশন ব্যাখ্যা করেন, আমাদের পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য অন্ত্রের নিয়মিত নড়াচড়ার (পেরিস্টালসিস) ওপর নির্ভর করে। এই নড়াচড়া খাবারকে ধাপে ধাপে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু যখন আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নড়াচড়া না করে বসে থাকি, তখন অন্ত্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। এর ফলে গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি দেখা দেয়।
তিনি বলেন, অন্ত্র কেবল খাবার সরানোর একটি নল নয়। এটি একটি জটিল, স্নায়ু-নিয়ন্ত্রিত পেশি কাঠামো। শারীরিক কার্যকলাপ কমে গেলে এই পুরো ব্যবস্থাটি ব্যাহত হয়। বিশেষ করে যারা উচ্চ-ক্যালোরি ও চর্বিযুক্ত খাবার খান কিন্তু পর্যাপ্ত নড়াচড়া করেন না, তাদের অন্ত্রে সহজেই ‘স্থবিরতা’ তৈরি হয়।
ড. সেন্টিল গণেশনের পরামর্শ:
নিয়মিত বিরতি: প্রতিদিন হালকা ওয়ার্কআউট করুন। অফিসেও ৪৫ মিনিটের বেশি একটানা বসে থাকবেন না।
সচল থাকুন: নিয়মিত বিরতি নিন। অফিসে হাঁটুন, স্ট্রেচিং করুন এবং ফোন কল রিসিভ করুন দাঁড়িয়ে থেকে।
পর্যাপ্ত পানি পান: প্রচুর পানি পান করুন। কারণ পানির অভাব অন্ত্রের গতি কমিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সৃষ্টি করে।
খাবারের সঙ্গে নড়াচড়া: শুধু ফাইবার খেলেই হবে না, হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে শারীরিক নড়াচড়াও জরুরি।
ড. গণেশন সতর্ক করে বলেন, কাজের চাপে শরীরের প্রয়োজনীয় নড়াচড়াকে উপেক্ষা করলে তা ভবিষ্যতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই কাজের মাঝে অল্প অল্প নড়াচড়া ও সচল অভ্যাসেই আপনার অন্ত্র ও শরীর সুস্থ থাকবে।
সূত্র : আজকাল
মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
মেথি(Trigonella foenum-graecum) আমাদের রান্নাঘরের সুগন্ধি মসলা, আবার ভেষজ চিকিৎসায় বহু শতাব্দীর সঙ্গী। বীজ, পাতা—দুটিই খাওয়া যায়। বীজের হালকা তেতো স্বাদ ও উষ্ণ সুবাস, পাঁচফোড়নের অপরিহার্য অংশ, আর পাতার শাক গ্রাম-শহরদুইজায়গাতেই জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে “মেথি ভেজানো পানি”—ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদির সহায়ক হিসেবে ব্যাপক আলোচনায়। তবে সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে জানতে হবে—কোন দাবির পেছনে কতটা প্রমাণ আছে, কারা খাবেন, কতটুকু খাবেন, কাদের জন্য সতর্কতা জরুরি।
মেথির বীজ ও পাতায় থাকে দ্রবণীয় ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা পুষ্টি; সঙ্গে গ্যাল্যাক্টোম্যানান, স্যাপোনিনস, পলিফেনল ও 4-হাইড্রোক্সি-আইসোলিউসিনের মতো সক্রিয় উপাদান। এসব যৌগ মিলেই মেথিকে হজমে সহায়ক, তৃপ্তি বাড়ানো ও বিপাক প্রক্রিয়া সমর্থনকারী এক “ফুড-এজ-মেডিসিন” করে তোলে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে মেথি বিশেষভাবে আলোচিত। এর দ্রবণীয় ফাইবার খাবারের কার্বোহাইড্রেট ধীরে শোষিত হতে দেয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্রতি সাড়া বাড়াতে সাহায্য করে। ভেজানো পানি জনপ্রিয় হলেও, অনেকের জন্য খাবারের সঙ্গে বা ঠিক আগে সামান্য মেথি বীজ/গুঁড়ো নেওয়াই খাবারের পর গ্লুকোজ-উল্লম্ফন কমাতে কার্যকর হতে পারে। ডায়াবেটিসে ওষুধ চললে অবশ্যই শর্করা নিয়মিত মাপা ও চিকিৎসকের সঙ্গে ডোজ সামঞ্জস্য করা জরুরি।
কোলেস্টেরল ও হৃৎস্বাস্থ্যের দিক থেকেও মেথি সহায়ক হতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার পিত্ত অ্যাসিডের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে ভূমিকা রাখে, যা ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে যুক্ত হলে ভালো ফল দেয়। হজমের ক্ষেত্রে মিউসিলেজ ও ফাইবার স্টুল-বাল্ক বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, অ্যাসিডিটি-ব্লোটিংয়ের অস্বস্তিও উপশম করতে পারে—তবে এটি কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার বদলি নয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে মেথির ভূমিকা আসে তৃপ্তি বাড়ানো ও ক্যালরি গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। নিয়মিত ব্যবহার, পরিমিত ক্যালরি ও নড়াচড়ার সঙ্গে মিললে ধীরে-সুস্থে ওজন নেমে আসে। ত্বক-চুলের যত্নেও এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ উপকারী বলে ধরা হয়; স্ক্যাল্পে ভেজানো বীজের পেস্ট বা মেথি-তেল ব্যবহার করা যায়—তবে আগে ছোট্ট প্যাচ-টেস্ট করলে অ্যালার্জির ঝুঁকি কমে। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মেথি ঐতিহ্যগতভাবে গ্যালাক্টাগগ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, সবার ক্ষেত্রে সমান ফল নাও মিলতে পারে; তাই শিশু-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিরাপদ পথ।
পুরুষস্বাস্থ্যে শক্তি, উদ্দীপনা বা টেস্টোস্টেরন-সম্পর্কিত কিছু উপকারের ইঙ্গিত ছোট আকারের গবেষণায় থাকলেও প্রমাণ এখনো সীমিত; তাই বাড়াবাড়ি প্রতিশ্রুতির বদলে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশাই যুক্তিসঙ্গত। জয়েন্ট/প্রদাহ ও রোগপ্রতিরোধে মেথি সহায়ক হতে পারে—কিন্তু এগুলো সম্পূরক, মূল চিকিৎসা নয়।
নিরাপত্তা বা সতর্কতার কথা বলতে গেলে—শুরুতে অনেকেরই হালকা গ্যাস, পেটফাঁপা বা “মেথি-ঘ্রাণ” ঢেঁকুর হতে পারে; ডোজ ধীরে বাড়ান। ডালজাতীয় খাদ্যে অ্যালার্জি থাকলে সতর্ক থাকুন। গর্ভাবস্থায় উচ্চ ডোজ/সাপ্লিমেন্ট এড়ানো ভালো। ওয়ারফারিন/অ্যাসপিরিনের মতো রক্তপাত-প্রবণতা বাড়ানো ওষুধ বা অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধের সঙ্গে একসঙ্গে নিলে ইন্টারঅ্যাকশনের সম্ভাবনা থাকে—চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নিন। শিশুদের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট ডোজ না দিয়ে রান্নায় অল্প ব্যবহারই নিরাপদ।
কীভাবে খাবেন—ব্যবহার ও ডোজ গাইড
- ভিজানো পানি (Soaked Water)
পদ্ধতি: ১–২ চা–চামচ বীজ ধুয়ে ২০০–২৫০ মি.লি. পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন।
খাওয়ার সময়: সকালে/খাবারের ১৫–৩০ মিনিটআগেধীরে ধীরে পান করুন; বীজগুলো চিবিয়ে খাওয়াও যায়।
কাদের জন্য: হজম, তৃপ্তি, শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- মেথি চা/ডিকোকশন
১ চা–চামচ মেথি গুঁড়ো/বীজ ১ কাপপানিতে ৫–१० মিনিট সেদ্ধ, ছেঁকে পান করুন। ইচ্ছে করলে আদা/দারুচিনি যোগ করাযায়।
- পাউডার
ডোজ (সাধারণ নির্দেশিকা): ১–৩ গ্রাম/দিন দিয়ে শুরু, সহনশীলতা অনুযায়ী ৫ গ্রাম পর্যন্ত।
টিপস: খাবারের সাথে মিশিয়ে নিলে শর্করা-স্পাইক কমাতে বেশি সাহায্য করে।
- শাক/অঙ্কুর
পাতার শাক ভাজি/ডাল/পরোটায়; অঙ্কুরিত বীজ সালাদ/স্যান্ডউইচে। রান্নায় নিয়মিত ব্যবহারে “লো-ডোজ, লং-টার্ম” উপকার।
- টপিকাল (চুল/ত্বক)
বীজ ভিজিয়ে পেস্ট/তেল বানিয়ে মাথার ত্বক/মুখে—প্যাচ টেস্ট করে নিন; সপ্তাহে ১–২ বার।
উপযুক্ত দৈনিক সীমা (খাদ্যোপযোগী ব্যবহারে): সাধারণত ১–৫ গ্রাম বীজ/পাউডার। হার্বাল ক্যাপসুলের লেবেল-ডোজ মেনে চলুন। অতিরিক্ততা বাঞ্ছনীয় নয়।
বাস্তব পরিকল্পনা (উদাহরণ)
- সকাল: নাশতার ১৫ মিনিটআগে ১ চা–চামচ ভেজানো মেথির পানি।
- দুপুর: ভাত/রুটির সঙ্গে মেথি-শাক ভাজি বা ডালে ½-১ চা–চামচ বীজ।
- রাত: কার্বোহাইড্রেট বেশি হলে খাবারের সঙ্গে ½–১ চা–চামচ মেথি পাউডার দই/লাসিতে।
- সাপ্তাহিক: ১–২ বার স্ক্যাল্পে মেথি-পেস্ট মাস্ক (১০–১৫ মিনিট)।
সুতরাং বলা যায়, মেথি ভিজানো পানি, চা, গুঁড়ো বা রান্না—সবই গ্রহণযোগ্য। ব্যবহারিকভাবে রাতে ১–২ চা-চামচ বীজ পানিতে ভিজিয়ে সকালে পানি চুমুক দিয়ে খাওয়া এবং বীজ অল্প চিবিয়ে নেওয়া যায়; বিকল্প হিসেবে ১–৩ গ্রাম গুঁড়ো খাবারের সঙ্গে মেশানো যায়, সহনশীলতা থাকলে ৫ গ্রাম পর্যন্ত নেওয়া যায়। পাতার শাক নিয়মিত ডাল/সবজিতে দিলে “লো-ডোজ, লং-টার্ম” উপকার পাওয়া যায়। শুকনা, বায়ুরোধী পাত্রে রোদ-আর্দ্রতা থেকে দূরে রেখে সংরক্ষণ করুন; পাউডার ৩–৪ মাসে শেষ করা ভালো।
সব মিলিয়ে, মেথি সহজলভ্য ও বহুমুখী—কিন্তু এটি কোনো “ম্যাজিক কিউর” নয়। ডায়েট-ব্যায়াম-ঘুম-স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হলে এটি রক্তে শর্করা, তৃপ্তি-বোধ, হজম, কোলেস্টেরল—এসব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটি ওষুধের বিকল্প নয় এবং সবার জন্য একইভাবে কাজ নাও করতে পারে। সঠিক ডোজ, সময়, ধারাবাহিকতা—এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ—এই তিনটি মানলেই মেথির বাস্তব উপকার টেকসইভাবে পাওয়া সম্ভব।
- ডাঃ মুনতাসির চৌধুরী।
কালো দাগকে অবহেলা নয়: জেনে নিন চোখের নিচের কালো দাগের স্বাস্থ্যঝুঁকি
চোখের নিচে কালো দাগ বা ‘ডার্ক সার্কেল’ এখন একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত রাত জাগা, ক্লান্তি বা ঘুমের অভাবকে এর জন্য দায়ী করা হয় এবং অনেকেই এটিকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি চোখের নিচে স্থায়ীভাবে কালো দাগ থেকে যায়, তবে তা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা জটিল সমস্যার ইঙ্গিত বহন করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি ও লিভারের কর্মহীনতা, দুর্বল রক্ত সঞ্চালন, হরমোনের পরিবর্তন কিংবা হজমের সমস্যার মতো কারণগুলোও চোখের নিচের কালো দাগের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকতে পারে। অর্থাৎ, এটি শুধু ক্লান্তি নয়, অনেক সময় বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকিরও বার্তা দেয়।
যেসব রোগের পূর্বাভাস হতে পারে
১. কিডনির দুর্বলতা বা ফেইলিউর
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের নিচের কালো দাগ বা পেরিওরবিটাল হাইপারপিগমেন্টেশন কিডনির সমস্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হতে পারে। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়। এর ফলে চোখের চারপাশে তরল জমা ও রঙের পরিবর্তন হতে পারে, যা কালো দাগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিডনির সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও চাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
২. লিভারের রোগ
চোখের নিচে কালো দাগ দীর্ঘস্থায়ী লিভারের সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে। দুর্বল লিভার রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান ফিল্টার করতে ব্যর্থ হয়, ফলে ত্বক ফ্যাকাশে ও নিস্তেজ হয়ে যায়। গবেষণা বলছে, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত প্রায় এক-পঞ্চমাংশ মানুষের চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়। লিভার ফুলে যাওয়া বা চর্বি জমার কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয়, চোখ ক্লান্ত ও কালচে দেখায়।
৩. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অনিয়মিত মাসিক
নারীদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক বা হরমোনের অসামঞ্জস্যও চোখের নিচে কালো দাগের কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়, ফলে মুখের ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় না। এর ফলে চোখ ক্লান্ত ও বয়সের তুলনায় বেশি বয়স্ক দেখানোর প্রবণতা তৈরি হয়। মাসিকের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
সমাধান ও সতর্কতা
চোখের নিচের কালো দাগের চিকিৎসা নির্ভর করে এর মূল কারণের ওপর। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জীবনযাত্রার উন্নয়ন বড় ভূমিকা রাখে। পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, সুষম খাবার (ফলমূল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন)—সবই ত্বকের সুস্থতার জন্য জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের নিচে কালো দাগকে হালকাভাবে না দেখে প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এটি শুধু সৌন্দর্যগত সমস্যা নয়, কখনো কখনো ভয়াবহ রোগের আগাম সতর্কবার্তাও হতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
পাঠকের মতামত:
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন