আক্রাসিয়া ইফেক্ট: কেন আমরা পরিকল্পনা করেও কাজ করি না

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বৈপরীত্যগুলোর একটি হলো- আমরা জানি আমাদের কী করা উচিত, কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীতটাই করি। এই প্রবণতা শুধু আধুনিক যুগের নয়, প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এমন করে আসছে। দার্শনিক সক্রেটিস ও এরিস্টটল এই আচরণের জন্য বিশেষ একটি শব্দ তৈরি করেছিলেন আক্রাসিয়া (Akrasia)। এর অর্থ হলো নিজের উত্তম বিচারবুদ্ধি জেনেও সেটিকে অমান্য করা, অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি লাভকে উপেক্ষা করে তাত্ক্ষণিক আনন্দে ঝুঁকে পড়া। আজকের দিনে আমরা যেটিকে প্রসক্রাস্টিনেশন বা কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা বলি, সেটিই মূলত আক্রাসিয়া।
ভিক্টর হুগোর গল্প: দেরির বিরুদ্ধে অদ্ভুত কৌশল
১৮৩০ সালে খ্যাতিমান ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো এমন এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন যেখানে তাকে স্বল্প সময়ে অসম্ভব এক কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছিল। এক বছর আগে তিনি নতুন বই লেখার অঙ্গীকার করেছিলেন, কিন্তু বছরের পর বছর তা পিছিয়ে দিয়েছেন নানা অজুহাতে—অন্য কাজ, অতিথি আপ্যায়ন, অবসর সময় নষ্ট করা। প্রকাশক যখন বিরক্ত হয়ে কঠোর সময়সীমা বেঁধে দিলেন—ছয় মাসের কম সময়ে বই শেষ করতে হবে—তখন হুগো নিলেন এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত।
তিনি তার সমস্ত পোশাক সহকারী দিয়ে একটি বড় বাক্সে তালাবদ্ধ করে রাখলেন। বাইরে যাওয়ার মতো পোশাক না থাকায় তিনি ঘরে আবদ্ধ থাকলেন এবং বাধ্য হয়ে লেখায় মন দিলেন। সেই অদ্ভুত কৌশলের ফলেই দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটরডেম বইটি নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকাশিত হয়। এই উদাহরণ প্রমাণ করে, মানুষ যখন নিজের ভবিষ্যৎ আচরণকে বেঁধে ফেলে, তখন আক্রাসিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব।
আক্রাসিয়ার শিকড়: সময়গত অসঙ্গতি (Time Inconsistency)
আক্রাসিয়ার মূল কারণ হলো আমাদের মস্তিষ্কের একটি দুর্বলতা, যাকে বলা হয় টাইম ইনকনসিসটেন্সি। আমরা যখন কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করি, যেমন—ওজন কমানো, নতুন ভাষা শেখা, বা বই লেখা তখন আসলে আমরা পরিকল্পনা করি আমাদের ভবিষ্যৎ সত্তার জন্য। ভবিষ্যতের কথা ভেবে মস্তিষ্ক দীর্ঘমেয়াদি লাভকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
কিন্তু যখন কাজ করার সময় আসে, তখন সিদ্ধান্ত নেয় আমাদের বর্তমান সত্তা। আর বর্তমান সত্তার কাছে ভবিষ্যতের পুরস্কারের চেয়ে বর্তমানের ছোট আনন্দ বেশি মূল্যবান মনে হয়। এ কারণেই আমরা রাতের বেলা দৃঢ় সংকল্প করি সকালে ব্যায়াম করব, কিন্তু সকালে ঘুম ভেঙে আবার বিছানায় ফিরে যাই।
এই বৈপরীত্যের কারণেই আক্রাসিয়া আমাদের জীবনে প্রবল প্রভাব ফেলে। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে আমরা বারবার তাত্ক্ষণিক আনন্দকে বেছে নিই।
আক্রাসিয়া জয় করার কাঠামো
আক্রাসিয়া জেতা যায় না শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে; বরং কার্যকর কিছু কৌশল ব্যবহার করতে হয়। মনোবিজ্ঞানীরা তিনটি বড় উপায় প্রস্তাব করেছেন:
১. ভবিষ্যৎ কাজের নকশা করুন (Commitment Device তৈরি করুন):
ভিক্টর হুগোর মতো, নিজের ভবিষ্যৎ আচরণকে আগে থেকেই সীমাবদ্ধ করে ফেলুন। এটাই কমিটমেন্ট ডিভাইস।
- অতিরিক্ত খাওয়া বন্ধ করতে খাবার ছোট প্যাকেটে কিনুন।
- জুয়া বন্ধ করতে স্বেচ্ছায় ক্যাসিনোর ব্ল্যাকলিস্টে নাম লিখান।
- ব্যায়াম নিশ্চিত করতে আগে থেকেই জিমে সেশন বুক করে রাখুন।
কমিটমেন্ট ডিভাইস আপনাকে ভবিষ্যতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে এবং দুর্বল মুহূর্তে ভুল করা থেকে বিরত রাখে।
২. শুরু করার বাধা কমান (Reduce Friction):
প্রসক্রাস্টিনেশনের সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো শুরু করা। একবার শুরু করলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে শুধু কাজ শুরু করার অভ্যাস তৈরি করুন।
- পড়াশোনা শুরু করতে পুরো এক ঘণ্টা নয়, বরং পাঁচ মিনিটের জন্য বসুন।
- ব্যায়ামের লক্ষ্য না ধরে শুধু জুতার ফিতা বাঁধার অভ্যাস করুন।
- লেখালেখি শুরু করতে বড় অধ্যায় নয়, একটি ছোট অনুচ্ছেদ লেখার প্রতিশ্রুতি দিন।
- শুরুটা যত সহজ করবেন, আক্রাসিয়ার ফাঁদ ততটাই দুর্বল হয়ে যাবে।
৩. ইমপ্লিমেন্টেশন ইন্টেনশন ব্যবহার করুন (Implementation Intention):
শুধু লক্ষ্য স্থির করাই যথেষ্ট নয়; সেটিকে নির্দিষ্ট সময়, স্থান ও কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করুন। যেমন—“আগামীকাল সকাল ৭টায় লেক পার্কে আমি ৩০ মিনিট দৌড়াব।”
গবেষণা বলছে, এভাবে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে কাজ নির্ধারণ করলে সেই কাজ করার সম্ভাবনা ২ থেকে ৩ গুণ বেড়ে যায়। এমনকি অফিসে ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, যারা দিন-তারিখ লিখে রেখেছেন তারা বেশি সফল হয়েছেন।
আক্রাসিয়া বনাম এংক্রাটেইয়া
এরিস্টটল আক্রাসিয়ার বিপরীতে ব্যবহার করেছিলেন এংক্রাটেইয়া শব্দটি, যার অর্থ নিজের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা। আক্রাসিয়া আমাদেরকে তাত্ক্ষণিক আনন্দের বন্দি করে রাখে, আর এংক্রাটেইয়া আমাদের দেয় দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণের ক্ষমতা।
আক্রাসিয়ার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের শিখতে হবে-
- ভবিষ্যৎ আচরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা,
- কাজ শুরু করার সহজ পদ্ধতি তৈরি করা,
- এবং পরিকল্পনাকে বাস্তবে প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
আক্রাসিয়া মানবজীবনের এক প্রাচীন সমস্যা। ভিক্টর হুগোর গল্প যেমন প্রমাণ করে, মানুষের দুর্বলতা জয় করতে মাঝে মাঝে অদ্ভুত কৌশলও কাজে আসে। আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, কমিটমেন্ট ডিভাইস, ঘর্ষণ কমানো, এবং ইমপ্লিমেন্টেশন ইন্টেনশন ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রাসিয়া থেকে মুক্ত হয়ে আমরা এংক্রাটেইয়ার পথে হাঁটতে পারি—যেখানে আমরা নিজের জীবন ও অভ্যাসের নিয়ন্ত্রক।
এই প্রবন্ধটি অ্যাটমিক হ্যাবিটস-এর ১৪তম অধ্যায়ের একটি অংশ।
জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
বর্তমান সময়ে খাবারের প্লেটে বৈচিত্র্য আনা এবং টেকসই জীবনযাপন (Sustainable Lifestyle) দুটোই সমান জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’ বা ‘শূন্য অপচয়ের রান্না’ ট্রেন্ড। একসময় যেসব জিনিস কোনো কাজে লাগবে না ভেবে ফেলে দেওয়া হতো—যেমন সবজির খোসা, ডাঁটা বা বীজ—এখন সেগুলোকে ব্যবহার করেই তৈরি হচ্ছে দারুণ সব রেসিপি। এর ফলে শুধু খাবারের অপচয়ই কমানো হচ্ছে না, বরং মিলছে অতিরিক্ত পুষ্টিও।
কেন এই রন্ধন প্রণালী জনপ্রিয়?
জিরো-ওয়েস্ট কুকিং জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
অপচয় রোধ: ফুড ওয়েস্ট বা খাবারের অপচয় কমানো সম্ভব হয়।
পুষ্টির ব্যবহার: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সবজির ফেলে দেওয়া অংশগুলোও কাজে লাগে।
সৃজনশীলতা: নতুন রেসিপির এক্সপেরিমেন্টে চমক পাওয়া যায়।
পরিবেশবান্ধব ও বাজেট-ফ্রেন্ডলি: এটি পরিবেশের জন্য যেমন ভালো, তেমনি রান্নার খরচও কমায়।
ফেলে দেওয়া খোসা দিয়ে ৫ সুস্বাদু পদসবজির খোসা ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় এমন ৫টি রেসিপি নিচে তুলে ধরা হলো:
১. আলুর খোসার চিপস: অলিভ অয়েল, লবণ ও মশলা দিয়ে মেখে ওভেনে ক্রিস্পি (Crispy) করে নিলেই তৈরি হয় সুস্বাদু আলুর খোসার চিপস।
২. লাউয়ের খোসার চাটনি: লাউয়ের খোসা সিদ্ধ করে নারকেল, সরিষা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বেটে তৈরি করা যায় দারুণ এক চাটনি।
৩. গাজরের খোসার পাকোড়া: গাজরের খোসার সঙ্গে বেসন ও মশলা মিশিয়ে গরম তেলে ভেজে নিলে চায়ের সঙ্গে দারুণ পাকোড়া জমে উঠবে।
৪. পটোলের খোসার ভর্তা: সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ম্যাশ করে পটোলের খোসার ভর্তা বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৫. করলার খোসার ফ্রাই: করলার খোসার সঙ্গে হালকা বেসন মাখিয়ে ভেজে নিলে মেলে ক্রাঞ্চি এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স।
জরুরি টিপস: সবজির খোসা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কীটনাশকমুক্ত সবজি হলে সবচেয়ে ভালো, তাতে শরীরে কোনো ক্ষতি হবে না।
জিরো-ওয়েস্ট কুকিং এখন শুধু একটি ফুড ট্রেন্ড নয়, বরং পরিবেশ সচেতন জীবনযাপনের অংশ। এই রেসিপিগুলো প্রমাণ করে যে, খাবারের কোনো অংশই আসলে অপচয় করার নয়। একটু সৃজনশীলতা থাকলে প্রতিটি টুকরোই হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু পদ।
সূত্র : টিভি৯ বাংলা
ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আশার খবর দিয়েছে বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ঘুমের মান উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো হতে পারে। গবেষকদের দাবি, অন্য যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে এই ব্যায়ামটাই বেশি কাজে দেয়—বিশেষ করে যদি তা হয় একটু বেশি তীব্রতার।
চীনের হারবিন স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৩০টি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন। এই গবেষণায় ঘুমের সমস্যা থাকা প্রায় আড়াই হাজার মানুষের ওপর বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের প্রভাব দেখা হয়েছে। গবেষণাটি ‘Sleep and Biological Rhythms’ নামের বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
ঘুমের মান উন্নয়নে যা সবচেয়ে কার্যকর
গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র দু’বার, ৩০ মিনিটেরও কম সময় ধরে তীব্র যোগব্যায়াম করলে ঘুমের মান সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়। এর পরেই আছে হাঁটাহাঁটি, আর তারপর রেজিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ (যেমন: পুশ-আপ, স্কোয়াট বা ভারোত্তোলন)। এই ব্যায়ামগুলোর সুফল মাত্র ৮-১০ সপ্তাহেই মিলতে পারে।
আগের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক ব্যায়াম (যেমন: দৌড়, সাইক্লিং) সপ্তাহে তিনবার করলে ঘুমে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। যদিও সেই গবেষণাতেও যোগব্যায়ামের প্রভাব অনেকটাই ইতিবাচক ছিল।
যোগব্যায়াম কেন সেরা?
গবেষকরা বলছেন, যোগব্যায়ামের প্রভাব একরকম নয়—এর ধরন ও কৌশলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যোগব্যায়াম শুধু শরীরকে সচল রাখে না, বরং শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এমনভাবে, যা শরীরকে আরাম দিতে ও ঘুমে সাহায্য করতে পারে। এমনকি কিছু গবেষণা বলছে, যোগব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গের গতিতে প্রভাব ফেলে, যেটা গভীর ঘুমের জন্য সহায়ক।
তবুও বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, সবার ঘুমের সমস্যা একরকম না এবং সমাধানও সবার জন্য এক নয়। তবে যোগব্যায়াম একটি সম্ভাব্য কার্যকর উপায় হতে পারে—বিশেষ করে যারা ওষুধ ছাড়াই ঘুমের মান বাড়াতে চান, তাদের জন্য।
থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন
থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের অস্বাভাবিকতা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। থাইরয়েডের ধরন সাধারণত দুই রকমের হতে পারে—হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম। এই দুটি অবস্থাতেই শুধু শারীরিক নয়, গুরুতর মানসিক পরিবর্তনও দেখা দিতে পারে।
থাইরয়েডের দুই ধরন ও তাদের মানসিক প্রভাব
১. হাইপোথাইরয়েডিজম
এই অবস্থায় থাইরয়েড হরমোন ‘থাইরক্সিন’-এর মাত্রা কমে যায়, কিন্তু টিএসএইচ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
মানসিক লক্ষণ: দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, অবসাদ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব, অতিরিক্ত ঘুম বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
শারীরিক লক্ষণ: ওজন বেড়ে যাওয়া, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাংসপেশির ব্যথা, চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হওয়া এবং অনিয়মিত মাসিকের মতো সমস্যাও থাকতে পারে।
২. হাইপারথাইরয়েডিজম
এই ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোন টি৩ বা টি৪, কিংবা উভয়ের মাত্রা বেড়ে যায়, আর টিএসএইচের মাত্রা কমে যায়।
মানসিক লক্ষণ: অস্থিরতা, ঘুম না হওয়া, সারাক্ষণ উত্তেজিত থাকা, এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীনতা বা ম্যানিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
শারীরিক লক্ষণ: বুক ধড়ফড়, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, চোখ স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া ও মাসিকের সমস্যা হতে পারে।
উভয় অবস্থাতেই অনেক রোগীর গলায় গলগণ্ড দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা ও সতর্কতা
রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর ইতিহাস, শারীরিক লক্ষণ, গলার থাইরয়েড ও লিম্ফ নোড পরীক্ষা, ওজন, রক্তচাপ, চোখ, ত্বক, হৃৎস্পন্দন ও রিফ্লেক্স পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে অটোইমিউন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি এবং বিভিন্ন হরমোন পরীক্ষাও করা হয়।
থাইরয়েডের ওষুধ কারও ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে, আবার কারও ক্ষেত্রে সারা জীবন চলতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার আগে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে যদি সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজম ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ চালিয়ে যেতে হয়।
এ ছাড়া গর্ভকালীন বা প্রসব-পরবর্তী সময়ে অনেক নারীর বিষণ্নতা বা সাইকোসিস দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো জরুরি। থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতাও ফিরে আসে—তাই মানসিক পরিবর্তনকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ত্বককে বিষমুক্ত রাখতে চান? জেনে নিন ৫টি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি
তীব্র রোদ, ধোঁয়া, ধুলা ও দূষণের কারণে ত্বকে ময়লা জমে, যা ত্বককে দিনকে দিন কালচে করে দেয় এবং বলিরেখা ফেলে। ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত যত্নের পাশাপাশি জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনা জরুরি। শোভন’স মেকওভারের কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা জানান, ত্বক ভেতর থেকে বিষমুক্ত করার জন্য ফলমূল, সবজি এবং প্রচুর পানি পান করা উচিত।
ত্বক দূষণমুক্ত রাখার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়:
১. পর্যাপ্ত পানি ও ডিটক্স ওয়াটার: ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে ভেতরের সব বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যায়। রোজ সকালে বিভিন্ন ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। আপেল সিডার ভিনেগারও এক্ষেত্রে খুব উপকারী। দিনের শুরুতেই এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করা যায়।
২. ডাবল ক্লিনজিং (Double Cleansing): ঘর ও বাইরের ময়লা, তেল পরিষ্কার করতে প্রথমে অয়েল বেইজড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর ক্লিনজিং ক্রিম দিয়ে আবার ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। ডাবল ক্লিনজিং ত্বকের তেল, ময়লা ও দূষণ দূর করবে।
৩. এক্সফোলিয়েট (Exfoliate): মাঝে মাঝে, অর্থাৎ সপ্তাহে এক বা দুই বার, ত্বকে আলতোভাবে এক্সফোলিয়েট করতে হবে। তবে সেনসিটিভ ও ব্রণপ্রবণ ত্বকে এক্সফোলিয়েট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. গরম পানির ভাপ: ডাবল ক্লিনজিং ও এক্সফোলিয়েটের পর ত্বকে গরম পানির ভাপ নিন। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ১০-১৫ মিনিট ভাপ নিলে লোমকূপের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার হবে।
৫. ডিটক্স ফেস প্যাক: ত্বক ডিটক্স করার জন্য ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন:
* বেসনের প্যাক: এক চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ নিম পাতার গুঁড়ো, গোলাপজল ও দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
* কফি প্যাক: কোকো পাউডার, কফি, মধু ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
খাদ্যাভ্যাস ও পরিবর্তন
শোভন সাহা জানান, ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, টমেটো, বিটা ক্যারোটিনযুক্ত গাজর এবং বিভিন্ন সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া, ফেসওয়াশ বা ফেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া এবং মাঝে মাঝে স্ক্রাবিং করাও জরুরি।
ঘর পরিষ্কারে বেকিং সোডার ম্যাজিক! জেনে নিন ৩টি অসাধারণ ব্যবহার
বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট কেবল কেক বা ভাজার কাজে নয়, এটি ঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকর। এই সস্তা অথচ বহুমুখী উপাদানটি প্রতিদিনের ব্যবহারে সহজেই ঘরের নানা দাগছোপ দূর করতে পারে। চলুন, জেনে নিই বেকিং সোডার ৩টি চমৎকার ব্যবহার:
১. দেওয়ালের দাগ সহজে পরিষ্কার
দেওয়ালে দাগ বা ছোপ পড়লে অনেক সময় সাবান দিয়ে ঘষলে দেওয়ালের রং বা টেক্সচার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর বদলে বেকিং সোডা ব্যবহার করা নিরাপদ ও কার্যকর।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: এক চা চামচ বেকিং সোডা অর্ধেক কাপ পানিতে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দাগের ওপর মিশ্রণটি লাগিয়ে একটি নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন। এটি ক্ষারীয় সাবানের মতো দেওয়ালের ক্ষতি করে না।
২. টাইলস বা মার্বেলের দাগ তুলতে
ঘরের মেঝে টাইলস বা মার্বেল হলে সেখানে দাগ, আঁচড় বা কালচে ছোপ পড়ে যাওয়া সাধারণ বিষয়। সাবান বা ফিনাইল দিয়েও অনেক সময় সেগুলো তোলা কঠিন হয়। তবে বেকিং সোডা এই সমস্যায় ভালো কাজ করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: যেখানে দাগ আছে, সেখানে কিছুটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। এরপর একটি ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষুন। দাগ সহজেই দূর হবে।
৩. কাচের বাসনের হলদে ছোপ দূর করতে
পুরোনো কাচের গ্লাস, জার বা পাত্রে অনেক সময় হলদে দাগ বা আঁচড় পড়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কারের পরেও এই ছোপগুলো পুরোপুরি যায় না। বেকিং সোডা ব্যবহার করে সহজেই সেগুলো ঝকঝকে করে তোলা যায়।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: কাচের পাত্রে সরাসরি বেকিং সোডা ছড়িয়ে ঘষে নিন অথবা বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে দাগের ওপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র : আনন্দবাজার
বন্ধ নাক খুলতে নেজাল ড্রপ নয়, কাজে লাগান এই ৭ ঘরোয়া উপায়
ধুলাবালিতে অ্যালার্জি বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা-সর্দি লাগা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলেই অনেকে নেজাল ড্রপ ব্যবহার করেন। যদিও এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করলে সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
বন্ধ নাক খুলতে যা যা করতে পারেন
১. বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation): বাষ্প গ্রহণ শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এটি নাকের ভেতরের ফোলাভাব কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। ভালো ফল পেতে একটি তোয়ালের নিচে গভীরভাবে শ্বাস নিন।
২. কপালে গরম সেঁক দিন: কপাল বা নাকের আশেপাশে গরম সেঁক দিলে বন্ধ নাক থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে নাকের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৩. এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার: ইউক্যালিপটাস বা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল তেলে মেন্থলের মতো যৌগ থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ খুলে দেয়। এই প্রয়োজনীয় তেলগুলো একটি বাহক তেলের (carrier oil) সঙ্গে মিশিয়ে নাকের কাছে বা বুকে লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়।
৪. গরম মধু-লেবুর পানি: মধু এবং লেবুর পানি শরীরকে আর্দ্র রাখে, গলার জ্বালা বন্ধ করে এবং শ্লেষ্মা তরল করতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং লেবুর ভিটামিন সি একসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি দেয়।
৫. হলুদ দুধ: হলুদে থাকা কারকুমিন একটি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এই মিশ্রণ নাকের বন্ধভাব দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলালেবু, কিউই, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য ফল বন্ধ নাক সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে ঠান্ডা ও নাকের বন্ধভাব কমবে।
৭. আদা চা: আদায় থাকা অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ আদা চা পানে গলার খুশখুশে ভাব কমে। একইসঙ্গে নাকের ফোলাভাব কমায় এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
শীতের আগে থেকেই যে ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তাই জীবনযাপনে এই পরিবর্তনগুলো আনা জরুরি:
১. পর্যাপ্ত পানি পান: শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি কম পান করেন, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই।
২. সকালের খাবার মিস করবেন না: সুস্থ থাকতে সকালে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে এনার্জি কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩. মেপে খান কফি: অতিরিক্ত কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন, অ্যাংজাইটি, বদহজম এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই কফি পানে লাগাম টানুন।
৪. জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবার সব ঋতুতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এসব খাবারে বেশি ক্যালরি, সুগার ও ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়ায়। রান্না এড়াতেও এসব প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. অ্যালকোহল পরিহার: শীতকালে বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন বেড়ে যায়। এসময় অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যা শীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুস্থ থাকতে অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হাজার বছর ধরে লোকঔষধ ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত। মিসরীয় প্যাপিরাস থেকে ভারতীয় আয়ুর্বেদ, গ্রিক ও আরব চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র এর উপস্থিতি দেখা যায়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বলছে পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল প্যারেনকাইমা, মিউকোপলিস্যাকারাইড, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। একই পাতা আবার হলুদাভ তিক্ত ল্যাটেক্সও বহন করে যাতে প্রাকৃতিক রেচক অ্যান্থ্রাকুইনোন থাকে। এই দুই স্তরের আলাদা প্রোফাইল বোঝা জরুরি, কারণ জেল তুলনামূলক নরমাল ব্যবহারে নিরাপদ হলেও কাঁচা ল্যাটেক্স বেশি খেলে সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিগুণের ভিত
অ্যালোভেরার জেল ভিটামিন এ, সি, ই সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। বি গ্রুপের মধ্যে বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং কিছু প্রজাতিতে বি১২ রিপোর্ট করা হয়। খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। জেলে পলিস্যাকারাইড যেমন অ্যাসেম্যানান, এনজাইম এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি ভাল মিশ্রণ থাকে। এই সমন্বয় ত্বককে হাইড্রেট করে, ক্ষতস্থানে স্যুত্র তৈরি সহায়তা করে, মৌখিক শ্লেষ্মা শান্ত করে এবং পরিপাকে স্বস্তি দিতে পারে।
জেল বনাম ল্যাটেক্স
পাতা কাটলে যে স্বচ্ছ জেল বের হয় সেটিই সাধারণত ত্বক, চুল এবং পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত। পাতার খোসার ঠিক ভেতরের হলুদাভ তরলটি হলো ল্যাটেক্স, যার ল্যাক্সেটিভ প্রভাব প্রবল। বাজারে ডিকলোরাইজড বা ফিল্টারড জুস বলতে সাধারণত ল্যাটেক্স অপসারিত জেল-ভিত্তিক পণ্য বোঝায়। গৃহে ব্যবহার করলে পাতার সবুজ অংশ ও হলুদ স্তর ভালোভাবে ছেঁটে ফেলে কেবল স্বচ্ছ জেল নিন।
হজম ও ডিটক্স: কীভাবে কাজ করে
জেলে থাকা এনজাইম শর্করা ও চর্বি ভাঙতে সহায়তা করে, যা হজমের আরাম বাড়ায়। পানি ও মিউকোপলিস্যাকারাইড অন্ত্রের মিউকোসা শান্ত করে। ল্যাটেক্সের অল্প মাত্রায় রেচক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বা বেশি পরিমাণ ল্যাটেক্স খেলে ক্র্যাম্প, ডিহাইড্রেশন এবং পটাশিয়াম কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই দৈনন্দিন সেবনে জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মৌখিক স্বাস্থ্য
অ্যালো জেল মুখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, হালকা জ্বালা ও আলসার শান্ত করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্লাক কমাতে সহায়ক হয়। টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশে অ্যালোর উপস্থিতি তাই জনপ্রিয়। ঘরে জেল ব্যবহার করলে পরিষ্কার হাত দিয়ে আলতোভাবে লাগিয়ে দিন এবং খাবার বা গরম পানীয়ের আগে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে অ্যালোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
সূর্যদগ্ধ ত্বকে ঠান্ডা জেল আরাম দেয়, লালভাব কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরামের উপর অ্যালো জেল লাগালে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে। সংবেদনশীল ত্বকে আগে কানের পেছনে প্যাচ টেস্ট করুন। পচা গন্ধ, রঙ বদলে যাওয়া বা দূষিত জেল কখনো ব্যবহার করবেন না।
চুল ও স্ক্যাল্প কেয়ার
অ্যালো জেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে, খুশকি ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের জট ছাড়াতে সহায়ক। তিনটি সহজ পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন। এক, শ্যাম্পুর আগে স্ক্যাল্পে জেল লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দুই, জেল, দই এবং এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক করুন। তিন, পানি মিশিয়ে স্প্রে করে লিভ ইন কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ব্যবহার চুল শুষ্ক করতে পারে, তাই ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ করুন।
কৌতূহল জাগানো ৫টি ব্যবহারযোগ্য রেসিপি
- সকালের হালকা পানীয়। ২০০ মিলিলিটার পানি, এক টেবিলচামচ তাজা অ্যালো জেল, আধা চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবু।
- হজমে স্বস্তি স্মুদি। কিউই বা আনারস, দই, এক টেবিলচামচ অ্যালো জেল, অল্প পুদিনা।
- সান-সুথিং জেল। অ্যালো জেল, শসার রস, অল্প রোজ ওয়াটার। ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনে লাগান
- স্ক্যাল্প প্যাক। অ্যালো জেল, মেথি বাটা, এক চা চামচ কালোজিরা তেল। ২০ মিনিট।
- মুখের দাগে স্পট জেল। অ্যালো জেল, হলুদের অতি অল্প গুঁড়া, মধু। রাতের বেলায় স্পটে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে নিন।
কতটা খাবেন এবং কীভাবে নেবেন
খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ দিক হলো জেল-ভিত্তিক, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি। সাধারণত দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিলিলিটার ডিকলোরাইজড অ্যালো জুস বা এক থেকে দুই টেবিলচামচ তাজা জেল পানি বা স্মুদিতে মেশানো যেতে পারে। টপিক্যাল প্রয়োগে দিনে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর যথেষ্ট। ক্যাপসুল, টিংচার বা কনসেনট্রেট নিলে পণ্যে উল্লেখিত ডোজ অনুসরণ করুন এবং প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ডোজে সহনশীলতা দেখুন।
কে সাবধান হবেন
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, কিডনি বা লিভারের ক্রনিক সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স, হূদ্রোগে ডাইউরেটিক বা কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড ব্যবহারকারী, অ্যান্টিকোগুল্যান্ট, অ্যান্টিপ্লেটলেট, অ্যান্টিডায়াবেটিক বা স্টেরয়েড ব্যবহারকারী। ল্যাটেক্সের রেচক অংশ এসব ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়াতে পারে। অস্ত্রোপচারের আগে পরে নিজের মতো করে কোনো হার্বাল শুরু বা বন্ধ করবেন না। অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বকে প্যাচ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
ঘরে কেনার সময় কী দেখবেন
ল্যাটেক্স-মুক্ত বা ডিকলোরাইজড লেখা আছে কি না খেয়াল করুন। তৃতীয় পক্ষের গুণমান পরীক্ষার সিল, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণতার স্পষ্ট তারিখ, গাঢ় কাঁচের বোতল এবং অ্যালো কনটেন্টের শতাংশ উল্লেখ আছে কি না দেখুন। তাজা পাতা নিলে মোটা ও টানটান পাতা নিন। কাটার পর হলুদাভ রস ঝরিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কেবল স্বচ্ছ জেল গ্রহণ করুন।
দ্রুত প্রশ্নোত্তর
অ্যালো কি ওজন কমায়?
-সরাসরি চর্বি পোড়ায় না। জেল-ভিত্তিক পানীয় হাইড্রেশন ও হালকা তৃপ্তি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে।
প্রতিদিন খাওয়া যায় কি?
-কম পরিমাণ, জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সহনীয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং শরীরের সাড়া দেখুন।
ব্রণে কি লাগানো যায়?
-হ্যাঁ, পাতলা স্তর, পরিষ্কার ত্বকে, দিনে এক থেকে দুইবার। জ্বালা হলে বন্ধ করুন।চুলে রাতভর রাখা ঠিক কি না। সূক্ষ্ম চুলে শুষ্ক হতে পারে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট যথেষ্ট, পরে ধুয়ে ফেলুন।
সাইড ইফেক্ট এবং কখন বন্ধ করবেন
পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, মাথা হালকা লাগা, লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা জ্বালা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন। লাল প্রস্রাব, তীব্র দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ত্বকে প্রচণ্ড জ্বালা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার পার্সোনাল মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী পেশাদার পরামর্শ নিন।
অ্যালোভেরা একটি বহুমুখী ভেষজ। জেল ত্বক, চুল, মৌখিক স্বাস্থ্য এবং হালকা হজমে আরাম দিতে পারে। সঠিক অংশ বাছাই, ডোজ নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত পণ্য নির্বাচন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকলে অ্যালোর উপকার নিরাপদে পাওয়া যায়। রান্নাঘরের সহজ রেসিপি থেকে স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ারের কাস্টম রুটিন পর্যন্ত সবখানেই এর প্রয়োগ সম্ভব। ব্যবহার শুরু করুন কম পরিমাণে, শরীরের সাড়া দেখুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
রাশিফল: ৩ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ৩ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আজ আপনার সময় ভালো কাটবে। কোনো খবর আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে। আয়ের নতুন উৎস পেতে পারেন। বন্ধুর সহযোগিতায় কাজের অগ্রগতি হবে। কাছের মানুষদের সুন্দর অনুভূতি প্রদর্শন করুন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থের জোগান ভালো হবে। আপনার দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ রয়েছে। দিনটি আনন্দের মধ্যে কাটবে। বিদেশ থেকে শুভ সংবাদ পেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করুন এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। কারো অসুস্থতায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। মুড বা স্থিতিশীল ভাবাবেগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাজে বাধা এলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব বাড়তে পারে। সম্মিলিত কাজে অগ্রগতির সম্ভাবনা। বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তির সাহচার্য আনন্দ দেবে। নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসবে। উপযুক্ত কাজ করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): সম্ভাবনাময় কিছু কাজ নিয়ে ভাবতে পারেন। বেকারদের চাকরি সংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবে। প্রকাশিত কাজে বাধা এলে বুদ্ধিবলে তা অতিক্রম করতে হবে। ধীরগতিতে চলা কাজে গতি বাড়াতে হবে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): শুভ কোনো পরিবর্তন হতে পারে। কঠিন কোনো কাজ আজ অনেক সহজ মনে হবে। প্রিয়জনের সমস্যায় কাছে থাকতে হবে। ভালো সময়কে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করা সহজ হবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): নতুন পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত রয়েছে। কোনো যোগাযোগে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। ভাই-বোনের সহযোগিতা পাবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো প্রচেষ্টার ফল পেতে পারেন। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হতে পারে। আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একটি নতুন উদ্যোগ চালু করতে পারেন। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করুন। যোগাযোগ ও ভ্রমণ শুভ।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কোনো কাজের জন্য সম্মানিত হতে পারেন। সর্বত্র শুভ যোগাযোগ থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে। মানসিকভাবে ভালো বোধ করবেন। সংকল্পের দৃঢ়তা অগ্রগতির পথ দেখাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবেন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কোনো খবর উৎসাহিত করবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে গতি আসবে। নতুন যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। কর্মক্ষেত্রে বাধা সত্ত্বেও আপনি নির্ধারিত কাজগুলোতে সফল হবেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না।
পাঠকের মতামত:
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- ৫০ বছরের সম্পর্ক: সৌদি আরবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে ঐতিহাসিক চুক্তি সই
- বিসিবি নির্বাচনের প্রাথমিক ফল ঘোষণা, পরিচালক পদে জয়ী যারা
- মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
- ঘুম থেকে উঠেই শরীর ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
- ঘুম না হলে ওষুধ নয়, মিলতে পারে সহজ ব্যায়ামে সমাধান
- এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
- ভোট দিয়েছেন তামিম? ফল ঘোষণার আগে নিজের অবস্থান জানালেন
- এ সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটবে: গুম মামলা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরের ইঙ্গিত
- চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
- আদালতে দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপ্রধান: তিন রাষ্ট্রের সাক্ষী ড. ইউনূসের অবিশ্বাস্য জীবনগাঁথা
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছর: মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র
- আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
- হংকং ম্যাচের আগে দেশে পৌঁছে যা বললেন হামজা
- নির্বাচনী আয়োজনে নতুন পদক্ষেপ, ভোটারদের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে ইসি
- আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- চ্যাম্পিয়নের দুর্দিন: সেভিয়ার মাঠে ৪–১ গোলে হার বার্সেলোনার
- যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি
- “যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে
- আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ–মালদ্বীপ সম্পর্ক
- বিসিবি নির্বাচন আজ: নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আমিনুল-বাহিনীর
- তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
- নতুন পে স্কেলে বেতন কত বাড়তে পারে, জানাল কমিশন
- ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
- আধুনিক বিজ্ঞান ও কোরআনের আলোকে জিন: রহস্যময় অস্তিত্বের এক নতুন দিগন্ত!
- ‘শাপলা’ প্রতীক না দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি
- প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
- ঐকমত্য থাকলেও সংকট: বিএনপি-জামায়াতের দ্বন্দ্ব সনদ বাস্তবায়নে বাধা?
- সূর্যও যেখানে বামন: মহাবিশ্বের দানব নক্ষত্রদের সামনে আমাদের অস্তিত্ব কতটুকু?
- থাইরয়েডের সঙ্গে হতাশা: মানসিক স্বাস্থ্যের এই গোপন সংযোগটি জানুন
- মুক্তা থেকে রিয়েল এস্টেট: যেভাবে ৫০ বছরে মরুভূমিকে সম্পদে পরিণত করলো দুবাই
- সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী