ঠাকুরগাঁওয়ে এনসিপির দাবি: জুলাই-আগস্টেই ঘোষণাপত্র, বন্ধ হোক সীমান্ত হত্যা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ এক পথসভায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই-আগস্টের মধ্যেই একটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করার জন্য, যা গণ-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একটি নতুন সাংবিধানিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এই পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র, মৌলিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং একটি নতুন সংবিধান প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এই ঘোষণাপত্র হবে সাংবিধানিক ভিত্তিতে দেশের নতুন নির্মাণের রূপরেখা। এটা হবে সেই বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে—তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথনির্দেশ।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, “জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁও-সহ সারা দেশেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে এসে ফ্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু সেই ফ্যাসিস্ট কাঠামো আজও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়নি। আগের ব্যবস্থাই আজও অনেকাংশে টিকে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই পুরনো, দমনমূলক ব্যবস্থাকে চিরতরে বিলুপ্ত করে একটি নতুন গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গঠনের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, যেখানে তরুণ নেতৃত্ব, বিকল্প চিন্তা এবং মানুষের স্বপ্নই হবে প্রাধান্যপ্রাপ্ত।”
পথসভায় নাহিদ ইসলাম ঠাকুরগাঁওবাসীর স্থানীয় সমস্যা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের কৃষক সমাজ বছরের পর বছর ধরে অবহেলার শিকার। তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। অথচ এই কৃষকদের সন্তানরাই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, এবং তারাই কিন্তু এই অভ্যুত্থানের ভিত্তি নির্মাণ করেছে।”
সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় পুশইন প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি
ঠাকুরগাঁও সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “সীমান্ত হত্যা একটি জাতীয় লজ্জা। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, এই হত্যা বন্ধ করতেই হবে—যেকোনো মূল্যে। এটি শুধুই ঠাকুরগাঁওয়ের সমস্যা নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রশ্ন।”
তিনি ভারতের মুসলিমদের অবৈধ অভিবাসী আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টারও তীব্র প্রতিবাদ জানান। তার কণ্ঠে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “এটা আর হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এটা গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। এই দেশ চলবে বাংলাদেশপন্থী জনগণের দ্বারা, কোনো বিদেশি এজেন্ডার দ্বারা নয়।”
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের বার্তা
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। সঞ্চালনার দায়িত্বও তিনিই পালন করেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা (সেলিম), দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
বক্তারা একযোগে জানান, এনসিপি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংগঠনিক বিস্তার লাভ করছে এবং জনগণের অংশগ্রহণে একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করছে।
এনসিপি নেতারা জনগণকে আহ্বান জানান বিকল্প রাজনীতির এই যাত্রায় তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান, ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পথে যাত্রা নিশ্চিত করতে।
এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
মান্নার মন্তব্য ও অঙ্গীকার
ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে মাহমুদুর রহমান মান্না লেখেন, তিনি এনসিপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন,
“যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”
তবে মান্না এই শর্তও জুড়ে দেন যে, যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে তাকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে এই প্রতীক দিতে পারে না।
ইসি’র চিঠি ও জটিলতা
এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে চিঠি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এই চিঠি পাঠান।
প্রতীকের তালিকা: চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এনসিপির পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিকল্প বেছে নেওয়ার নির্দেশ: এই জটিলতা নিরসনে ইসি এনসিপিকে তাদের দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে, যা এখনও বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে পছন্দ করে নিতে অনুরোধ করেছে।
শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) এবার তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টির বেশি প্রতীক থেকে নিজেদের মার্কা বাছাই করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সংস্থাটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
শাপলা প্রতীকে ইসির আপত্তি
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানায়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) মোতাবেক প্রার্থীর প্রতীক ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, শাপলা প্রতীক না পেলে তা আদায় করে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তাতে কর্ণপাত করেননি। সিইসি বলেন, “আমরা মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ তারা তো দেশদ্রোহী না, দেশপ্রেমিক।” তিনি বলেন, ইসি যথারীতি আইন মোতাবেক কাজ করেই যাবে।
৫০টি প্রতীক থেকে বাছাইয়ের নির্দেশ
চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে ইসি’তে বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে বাছাই করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, মোবাইল ফোন, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ও প্রতীক
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পর মোট ৫৬টি দল নিবন্ধন পেলেও, পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপাসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের বাইরের প্রতীকগুলো নতুন দল ও সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আরও ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান।
বেলা পৌনে ১০টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সফরসঙ্গীরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফেরেন। তাদের সফর নিয়ে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
যেভাবে ঘটল লাঞ্ছনার ঘটনা
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে যখন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ব্রিফিং করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতারা উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন একজন গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন।
এই অনুরোধের পর এনসিপি নেতাকর্মীরা উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
সফরে ছিলেন যারা
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ ও দুর্নীতি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে যদি আবারও লুটপাট, জুলুমবাজি, ধর্ষণ ও ব্যভিচার হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় পটুয়াখালীর ঝাউবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতার নয়, নীতির পরিবর্তন দরকার
মুফতি ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে নিরপরাধ মানুষ খুন হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, কিন্তু সেই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জনগণ তা মানবে না।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, যেখানে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। বৈষম্য দূর হবে, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। কেউ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে না, চিকিৎসার অভাবে মরবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না।” তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এজন্য শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন প্রয়োজন।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধাক্ষ্য মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ছবি, ভিডিও এবং ফটোকার্ড তৈরি করে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই অপপ্রচারের পেছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ডিসমিসল্যাব চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৬২টি পোস্ট বিশ্লেষণ করেছে। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পোস্ট আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজ থেকে করা হয়েছে।
যেভাবে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার
ডিসমিসল্যাব বলছে, তাসনিম জারাকে টার্গেট করতে ভুয়া ছবি, মূলধারার গণমাধ্যমের আদলে বানানো বিভ্রান্তিকর ফটোকার্ড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মিত ভিডিও ও অডিও ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ, যা ফেসবুকের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। এমনকি কিছু পোস্টে জারার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে যৌনবাহিত রোগের ওষুধের ভুয়া বিজ্ঞাপনও চালানো হয়েছে।
প্রচারণার ব্যাপ্তি: পোস্টগুলো মোট ২৯ হাজার ৬৯৩ বার শেয়ার হয়েছে এবং ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ বার দেখা হয়েছে। এগুলোতে মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৪টি প্রতিক্রিয়া এসেছে।
প্রধান পোস্টদাতা: মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ‘জয় বাংলার সৈনিক’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং কভার ফটোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রেখেছেন, তিনি তাসনিম জারার বিকৃত ছবি সবচেয়ে বেশি শেয়ার করেছেন।
কারা ছড়াচ্ছে এই কনটেন্ট?
মোট ৬২টি পেজ ও প্রোফাইলের মধ্যে যেগুলোতে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে:
নির্দিষ্ট পেজ: আওয়ামী লীগ ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুজিবাবাদী লীগ বা স্বঘোষিত ‘মুজিব সৈনিক’।
পরিচালনাকারী: মোট ১৩৩ জন অ্যাডমিনের মধ্যে ১০২ জনই বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। বাকিরা মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছিলেন।
এনসিপি নেত্রীর প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে তাসনিম জারা বলেন, “আমাকে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে এ অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত প্রায় সব নারীই এর মুখোমুখি হন। এটা রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকার প্রধান একটি কারণ।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফেসবুক এখানে দায় এড়িয়ে চলে, কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের সরকারের উচিত এই বিষয়ে টেক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা।” তিনি নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন সহিংসতা বন্ধে দলমত–নির্বিশেষে একটি সাধারণ আচরণবিধি এবং দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করার পদ্ধতি বের করার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন: রাশেদ খান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ মাস ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, “আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো একজন উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও চাইলে দায়িত্ব নিতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে তারা কাজ করেছেন, এখন পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিক।” তিনি প্রশ্ন করেন, “সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে বিপ্লবী জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে লাভ কী?”
রাশেদ খান একটি সংবাদপত্রের ফটোকার্ড যুক্ত করেন, যেখানে ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ, তবে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ (Proportional Representation) পদ্ধতি দেশে সবসময় ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন:
“পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটা পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস (Permanent Restlessness) পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায়। এটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, যা জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।”
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নির্বাচন
এই বিএনপি নেতা বলেন, তার দল ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি দল এবং তাদের রাজনীতি সমন্বয়ের রাজনীতি। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চাইনি, চাইও না, করবও না।”
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশকে কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে কখনো কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে এবারও নাশকতামূলক কাজ করার অপচেষ্টা চলছে। তবে ঐক্যবদ্ধ জনগণ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অপশক্তিকে প্রতিহত করা হবে। এবারও দুর্গাপূজাকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল, তবে অতীতের মতো সেটি সফল হয়নি।”
পিআর পদ্ধতি নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশি-বিদেশি শক্তি যারাই ষড়যন্ত্র করবে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিপক্ষে। তিনি বলেন, “ধর্মে ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি। সব ধর্ম-বর্ণের সমন্বয়ে রাজনীতি করে বিএনপি।”
তিনি বলেন, “আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন বা জনসংযোগ। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।” তবে যারা ‘প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ মানে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা) প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি সব রাজনৈতিক দলকে বিভেদ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকেছে: ব্যারিস্টার খোকন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
রোববার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত ও পিআর পদ্ধতি
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকে আন্দোলন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ায় তারা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে।”
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনে মূল্যায়নের আশ্বাস
সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলা বিএনপির কমিটিতে অনেক ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি মন্তব্য করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে ত্যাগীদের যথাস্থানে মূল্যায়ন করা হবে।
পাঠকের মতামত:
- পৃথিবীর শেষ সীমান্ত: মহাসাগরের গহীনে অজানার খোঁজে
- বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ আজ: টিভিতে কোথায়, অনলাইনে কীভাবে দেখবেন?
- মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য? একটানা বসে থাকা নয়তো এর কারণ!
- নূহ (আ.)-এর প্রতি তার জাতির ৫টি অভিযোগের জবাব
- রাশিফল: ৩ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর, বন্ধ মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা
- মিরপুরে মেট্রোরেলের পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
- হাসিনাকে সমর্থন দেওয়ায় ভালো পরিবেশ নষ্ট হয়েছে : সাকিব প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা
- গাজাগামী শেষ ত্রাণবাহী নৌযানটিও ইসরায়েলের হাতে আটক
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়
- কালো দাগকে অবহেলা নয়: জেনে নিন চোখের নিচের কালো দাগের স্বাস্থ্যঝুঁকি
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- কেন ফেরাউনরা নিজেদের শরীর মমি করে রাখত? এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার লড়াইয়ের ইতিহাস
- নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশাল জয় বাংলাদেশের
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন: প্রতিবাদে আজ ইতালিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ইসরায়েলি বাহিনী আমাকে অপহরণ করেছে: গ্রেটা থুনবার্গ
- এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
- ছেলেদের পোশাকে ২০২৫ সালের সেরা ১০ কালার কম্বো
- ফ্লোটিলার কর্মীদের উচ্চ-নিরাপত্তা কারাগারে রাখতে পারে ইসরায়েল
- শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
- মারুফার জোড়া আঘাতে শুরুতেই ধসে গেল পাকিস্তানের ব্যাটিং
- আটক ফ্লোটিলা যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েলের বার্তা
- পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- রাতে বারবার পা নড়ে? সতর্ক হোন, হতে পারে ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’
- গাজার পথে ত্রাণ: ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে ছুটছে ৪ জাহাজ
- মরক্কোতে জেন-জি বিক্ষোভ: পুলিশ স্টেশনে আগুন
- ইসরায়েলের আক্রমণে পিছু হটব না: গাজামুখী নৌবহর থেকে শহিদুল আলম
- অর্ধেক মানবী, অর্ধেক জিন? কুরআনে বর্ণিত রাণী বিলকিসের রহস্য
- নারী বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজকের একাদশ
- এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
- কেউ একজন বিরাট কোহলিকে অভিযোগ দিয়েছে: ক্রীড়া উপদেষ্টা
- বিস্ময়কর সাফল্য: ত্বকের কোষ থেকে তৈরি হলো মানুষের ভ্রূণ!
- পোশাক রপ্তানিতে চীনের হারানো বাজার হিস্যা বুঝে নিচ্ছে বাংলাদেশ
- আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৭ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
- সাবধান! শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ত্বকে যে ৫টি লক্ষণ দেখা যায়
- যে পদ্ধতিতে খাবার থাকবে মাসের পর মাস অক্ষত
- নতুন জুতোয় ফোসকা? যন্ত্রণা দূর করবে এই ৫ ঘরোয়া উপাদান
- গাজামুখী ত্রাণবহরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী
- ঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত, কতদূর আগাল সুমুদ ফ্লোটিলা?
- ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভারতকে ডি ভিলিয়ার্সের সমালোচনা
- বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব শুরু
- গাজামুখী ত্রাণবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযান
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- গাজা অভিমুখী নৌবহর আটকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা
- মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে ইউরোপার রহস্য: ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানে নাসা
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য