পিকাসো থেকে নিকোলস: প্রতিভা, সংগ্রাম আর অর্থপূর্ণ জীবনের দিশা

ইতিহাসের যেসব শিল্পী, সাহিত্যিক ও গবেষক তাঁদের প্রতিভা ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বিশ্বকে আলো দেখিয়েছেন, তাঁদের জীবন কেবল সাফল্যের গল্পে ভরপুর নয়; বরং সেখানে আছে ত্যাগ, কষ্ট, সংগ্রাম এবং গভীর আত্মদর্শন। তাঁদের জীবন আমাদের শেখায় যে, সফলতার মঞ্চে আলো যেমন উজ্জ্বল, তেমনি তার আড়ালে থাকে কঠিন ছায়াও। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিশেষ ফিচারে পিকাসো, লুই আগাসিজ, জোসেফ ব্রডস্কি, মার্থা গ্রাহাম এবং নিকেল নিকোলসের জীবন থেকে নেওয়া অনন্য জীবনপাঠ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিভার আড়ালে পিকাসোর ছায়াপাশ
বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোকে আধুনিক শিল্পকলার সবচেয়ে বিপ্লবী রূপকার বলা হয়। কিন্তু তাঁর এই প্রতিভার পেছনে ছিল বিশাল এক মূল্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অস্থির, সম্পর্কগুলো ছিল জটিল, এবং সৃজনশীলতার প্রতি অদম্য সাধনা তাঁকে প্রায়শই নিঃসঙ্গ করে তুলত। ফিচারে বলা হয়েছে, পিকাসোর সাফল্য প্রমাণ করে যে, মহান প্রতিভা অর্জনের পেছনে প্রায়শই থাকে মানসিক টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত ত্যাগ, যা সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে না।
পর্যবেক্ষণের শক্তি: লুই আগাসিজের শিক্ষা
প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী লুই আগাসিজ ছাত্রদের শিখিয়েছিলেন, পর্যবেক্ষণই হলো শিক্ষার মূল হাতিয়ার। তিনি বিশ্বাস করতেন, বই বা বক্তৃতা নয়, প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়েই শেখা যায় জীবনের আসল পাঠ। তাঁর মতে, আত্মসচেতনতা ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ছাড়া সাফল্য কখনো টেকসই হয় না। এই শিক্ষা কেবল জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য—যেখানে মনোযোগ, ধৈর্য ও আত্মবিশ্লেষণই এগিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি।
সমালোচকদের মোকাবিলায় ব্রডস্কির কৌশল
রুশ কবি জোসেফ ব্রডস্কি রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। প্রিয়জনকে হারান, মাতৃভূমির মাটি থেকেও দূরে থাকতে হয় তাঁকে। তবুও তিনি ভেঙে পড়েননি। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রকাশ্যে বলেন, সমালোচক ও বিরূপ মানুষদের মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হলো ধৈর্য, মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস। তিনি শিখিয়েছিলেন, সমালোচনার জবাব রাগ দিয়ে নয়, বরং নিজের কাজের উৎকর্ষ দিয়ে দিতে হয়। জীবনের প্রতিকূলতা মোকাবিলার এই কৌশল আজকের প্রতিযোগিতামূলক ও চাপপূর্ণ সমাজেও সমান প্রাসঙ্গিক।
তুলনার ফাঁদ এড়িয়ে সৃজনশীলতা: মার্থা গ্রাহামের শিক্ষা
২০শ শতাব্দীর প্রভাবশালী নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার মার্থা গ্রাহাম বলেছিলেন, “নিজের কাজের বিচার করা আপনার দায়িত্ব নয়।” তাঁর মতে, শিল্পীর দায়িত্ব হলো নিজের সৃষ্টিশীলতাকে প্রকাশ করা, বিচার করার দায়িত্ব অন্যের। তিনি ব্যাখ্যা করেন, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা কেবল হতাশা ও আত্মবিনাশ ডেকে আনে। এই শিক্ষা শুধু শিল্পীর জন্য নয়, বরং প্রতিটি মানুষের জন্য সমান জরুরি—কারণ জীবনে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে হয়।
অর্থপূর্ণ জীবনের অনুপ্রেরণা: নিকেল নিকোলস
বিখ্যাত অভিনেত্রী নিকেল নিকোলস জনপ্রিয় সিরিজ স্টার ট্রেক-এ অভিনয়ের মাধ্যমে অজান্তেই নাগরিক অধিকার আন্দোলনে প্রভাব ফেলেছিলেন। তাঁর চরিত্র আফ্রো-আমেরিকান নারী সমাজকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি দেখিয়েছেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য সবসময় আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকতে হয় না; বরং নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েও পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাঁর জীবন প্রমাণ করে, অর্থবহ জীবন মানে কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং সমাজ ও মানবতার প্রতি দায়িত্বশীল অবদানও।
গবেষণায় উন্মোচিত খারাপ সিদ্ধান্তের মনস্তাত্ত্বিক কারণ
আমরা অনেকেই নিজেদের যুক্তিবাদী মানুষ মনে করি, কিন্তু বাস্তবে তা নই—এমনকি বিজ্ঞান বলছে, আমরা সবাই কমবেশি অযৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নেই। দীর্ঘদিন ধরে গবেষক ও অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করতেন, মানুষ সুপরিকল্পিত ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মনোবিজ্ঞানীরা একাধিক মানসিক ভুলের সন্ধান পেয়েছেন, যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে ভুল পথে পরিচালিত করে। বিভিন্ন গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী, এই ভুলগুলো আমাদের দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাতেও প্রভাব ফেলে।
৫টি সাধারণ মানসিক ভুল যা সঠিক সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট মানসিক ভুল আমাদের জীবনে নিয়মিতভাবে দেখা দেয় এবং সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে রয়েছে—
Survivorship Bias (টিকে থাকার পক্ষপাত): শুধুমাত্র সফল উদাহরণ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ব্যর্থতার তথ্য উপেক্ষা করা।
Loss Aversion (ক্ষতি এড়ানোর প্রবণতা): লাভের চেয়ে ক্ষতির ভয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
Availability Heuristic (সহজে মনে পড়া তথ্যের ওপর নির্ভরতা): যে তথ্য সহজে মনে আসে, সেটিকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধরে নেওয়া।
Anchoring (প্রথম তথ্যের প্রভাব): কোনো বিষয়ে প্রথম পাওয়া তথ্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া।
Confirmation Bias (নিজের মতামতকে সমর্থনকারী তথ্য খোঁজা): যা আমরা আগে থেকেই বিশ্বাস করি, শুধু সেটিকেই সমর্থনকারী প্রমাণ খোঁজা।
ভুল ধারণা সনাক্ত করার উপায়
মনোবিজ্ঞানের শত শত গবেষণা প্রমাণ করেছে, আমরা যে ঘটনাগুলো সহজে মনে করতে পারি, তাদের গুরুত্ব অনেক সময় অতিমূল্যায়ন করি; আর যেগুলো মনে আনা কঠিন, সেগুলোকে অবমূল্যায়ন করি। এই প্রবণতাকে Illusory Correlation (ভ্রমমূলক সম্পর্ক) বলা হয়। এই ভুল এড়াতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন—গোপন অনুমান চিহ্নিত করার চেষ্টা করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এভাবে আমরা ভ্রান্ত সম্পর্কের ফাঁদ থেকে বের হতে পারি।
প্রকাস্টিনেশন বা কাজ ফেলে রাখার মনস্তাত্ত্বিক কারণ
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক জানিয়েছেন, আমাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে বর্তমান সত্ত্বাকে ভবিষ্যতের সত্ত্বার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়। এর ফলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের চেয়ে তাৎক্ষণিক আরামের দিকে ঝুঁকে পড়ি, যা প্রকাস্টিনেশনের অন্যতম বড় কারণ। এই প্রবণতা কাটাতে এবং ভবিষ্যতের স্বার্থে বর্তমান সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তিনটি কৌশল কার্যকর হতে পারে-
১. ভবিষ্যতের লক্ষ্যকে বর্তমানের সঙ্গে যুক্ত করা
২. ছোট ছোট পদক্ষেপে বড় লক্ষ্য পূরণ করা
৩. বর্তমান সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কল্পনা করা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের মানসিক প্রবণতাগুলো বুঝে এবং এগুলোর প্রভাব কমানোর জন্য সচেতনভাবে কাজ করলে আমরা শুধু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেই পারব না, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে আরও সফল হতে পারব।
মনোযোগ বাড়াতে ৬টি সেরা কৌশল
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে মনোযোগ ধরে রাখা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে একাগ্র হওয়া অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত ডিজিটাল যুগে নানা রকম নোটিফিকেশন, ইমেইল, ফোনকল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রলোভন আমাদের মনোযোগকে বারবার ভেঙে দেয়। উৎপাদনশীলতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করলে এই মনোযোগ বিভ্রাট কমানো সম্ভব এবং দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা যায়।
প্রতিদিন একটি “অ্যাঙ্কর টাস্ক” বেছে নিন
প্রতিদিনের কাজের তালিকায় অনেক কিছুই থাকতে পারে, তবে দিনের জন্য একটি অগ্রাধিকারমূলক কাজ ঠিক করে নেওয়া কার্যকর পদ্ধতি। এটিকেই বলা হয় “অ্যাঙ্কর টাস্ক”। এটি এমন একটি কাজ, যা যেকোনো অবস্থাতেই সম্পন্ন করতে হবে। এই একটিমাত্র অগ্রাধিকার মূলত সারাদিনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্রবিন্দুতে ধরে রাখে এবং অন্যান্য কাজের বিন্যাস সেই অনুযায়ী গড়ে ওঠে।
সময় নয়, শক্তি ব্যবস্থাপনা করুন
বেশিরভাগ উৎপাদনশীলতা কৌশল সময় ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল বিষয়টি হলো শক্তি ব্যবস্থাপনা। যেসব কাজ সর্বোচ্চ মনোযোগ ও সৃজনশীলতার দাবি রাখে, সেগুলো দিনের সেই সময়টিতে করুন যখন আপনার শক্তি ও মানসিক সতেজতা সবচেয়ে বেশি থাকে। যেমন, সকালে সৃজনশীলতা বেশি থাকলে সকালেই লিখন, কৌশলগত পরিকল্পনা বা জটিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজগুলো সম্পন্ন করুন এবং বিকেলে অপেক্ষাকৃত কম মনোযোগসাপেক্ষ কাজগুলো রাখুন।
দুপুরের আগে ইমেইল এড়িয়ে চলুন
দিনের শুরুতে ইমেইল চেক করা মানে নিজের এজেন্ডা বাদ দিয়ে অন্যের এজেন্ডায় সাড়া দেওয়া। তাই অন্তত সকালবেলার কয়েক ঘণ্টা ইমেইল থেকে দূরে থেকে নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করা উচিত। যদিও অনেকের জন্য দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করা কঠিন, তবুও সম্ভব হলে সকাল ৮:৩০, ৯টা বা অন্তত ১০টা পর্যন্ত ইমেইল চেক না করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ফোন অন্য কক্ষে রেখে দিন
দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টা ফোন থেকে দূরে থাকলে মনোযোগের ঘনত্ব অনেক বেড়ে যায়। ফোনকল, বার্তা বা অ্যাপ নোটিফিকেশন সবকিছুই মনোযোগ ভাঙতে পারে। তাই মনোযোগসাপেক্ষ কাজের সময় ফোন দূরে রাখা ভালো।
ফুলস্ক্রিন মোডে কাজ করুন
কম্পিউটারে কাজ করার সময় ফুলস্ক্রিন মোড ব্যবহার করলে দৃষ্টি অন্য কোনো অ্যাপ বা আইকনের দিকে সরে যায় না। যেমন, ব্রাউজারে পড়া, এভারনোটে লেখা বা ফটোশপে ছবি সম্পাদনার সময় পুরো স্ক্রিন জুড়ে সেই অ্যাপ রাখলে মনোযোগের ঘাটতি কমে যায়।
সকালের গুরুত্বপূর্ণ সময় থেকে বিভ্রান্তি সরিয়ে ফেলুন
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সকালে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ সময় জরুরি কাজের চাপ বা বাইরের প্রভাব এখনো তেমনভাবে প্রবেশ করে না। কেউ কেউ এমনকি সকালের খাবারও বিলম্বিত করে দুপুরে খান, যাতে সকালে অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো কৌশলই হোক, মূল বিষয় হলো একটি কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিবেদন করা। শুরুতে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন না হলেও মনোযোগ ধরে রাখার অনুশীলন ধীরে ধীরে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা দুই-ই বাড়িয়ে তুলবে।
সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই বুক ধড়ফড়ায়? সমস্যা বাড়ার আগে যা করণীয়
অফিস কিংবা কাজের জায়গায় লিফট ব্যবহার করা এখন অনেকেরই স্বাভাবিক অভ্যাস। সিঁড়ি বেয়ে হেঁটে উঠা কিংবা নামার চর্চা কমে গেছে। কিন্তু যদি অল্প সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় হাঁপিয়ে যাচ্ছেন, বুক ধড়ফড় করছে, তাহলে সেটি অবহেলা করার মতো নয়। বিশেষ করে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে এমন সমস্যা দেখা দিলে তা হৃদরোগের সম্ভাবনার সংকেত হতে পারে।
আগে ধারণা ছিল, হার্টের রোগ বেশি হয় বয়সের সঙ্গে। কিন্তু এখনকার তথ্য বলছে, হৃদরোগ যে কোনো বয়সেই আসতে পারে এবং এর প্রবণতা কম বয়সির মধ্যেও বাড়ছে। এর পেছনে প্রধান কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব।
হার্ট বিশেষজ্ঞ দিলীপ কুমার জানান, যদি সিঁড়ি বেয়ে কয়েক ধাপ ওঠার সময় বুক ধড়ফড় করে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। এই লক্ষণগুলো হার্টের পেশির পুরু হওয়া বা ‘কার্ডিয়াক হাইপারট্রফি’র ইঙ্গিত দিতে পারে।
কার্ডিয়াক হাইপারট্রফি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হার্টের পেশি অতিরিক্ত শক্ত ও পুরু হয়ে যায়, বিশেষ করে বাম পেশির দেয়াল। এর ফলে হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায় এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন দেখা দেয়। এর প্রভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি যেমন বাড়ে, তেমনই আচমকা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি, পরিবারের ইতিহাসে হৃদরোগ থাকা এবং অতিরিক্ত ওজন থাকা কার্ডিয়াক হাইপারট্রফির ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া হৃদযন্ত্রের ধমনী যদি সরু হয়, তখন রক্ত সঠিকভাবে চলতে পারে না, যা রক্তজমাট বাঁধার কারণ হতে পারে।
এই সমস্যাগুলো এড়াতে জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করা জরুরি। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা হলে হার্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
/আশিক
মাসিক আয় থেকে সঞ্চয় করার সহজ ছয়টি উপায়
আপনার মাসিক আয়ের থেকে সঞ্চয় করতে চান, কিন্তু সেটি কঠিন মনে হচ্ছে? বেতন থাকলেও খরচের অনিয়ন্ত্রণে মাস শেষে হাত খালি হয়ে যায়? ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় না থাকায় জরুরি মুহূর্তে অর্থসংকট দেখা দিতে পারে। তাই চাকরির আয়ের একটি অংশ অবশ্যই সঞ্চয়ের জন্য আলাদা রাখা জরুরি। পরিকল্পনা করে খরচ করলে সঞ্চয় সহজ হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫০/৩০/২০ নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন, যেখানে আয়ের ৫০% দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খরচে, ৩০% ইচ্ছামতো খরচে এবং ২০% সঞ্চয় ও বিনিয়োগে রাখবেন।
সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন—স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অনুযায়ী সঞ্চয়ের পরিমাণ ঠিক করুন। প্রথম মাসে মাসিক খরচ হিসেব করলে পরের মাস থেকে সঞ্চয় শুরু করা সহজ হবে। অপ্রত্যাশিত ব্যয় যেমন চিকিৎসা বা উৎসবের জন্য আলাদা অর্থ জমিয়ে রাখাটাও জরুরি।
মাসিক বেতনের থেকে সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এই ছয়টি উপায় অনুসরণ করুন—
১. মাসিক বাজেট তৈরি করুন: আপনার আয়ের সব উৎস ও মাসিক খরচ লিখে রাখুন। এতে খরচের অপ্রয়োজনীয় অংশ চিহ্নিত করে কমানো সম্ভব হবে।
২. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয় শুরু করুন: প্রথম মাস থেকে যেটুকু জমাতে পারেন সেটাই নিয়মিত করুন। বছর শেষে বড় অঙ্ক জমবে।
৩. প্রতিদিনের খরচ লিখে রাখুন: কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে নজর রাখলে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো যাবে।
৪. বিল কমান: গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, মোবাইল বিল কমানোর চেষ্টা করুন। শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।
৫. ঘরেই রান্না করুন: বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরোয়া খাবার সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর। সপ্তাহের খাবারের পরিকল্পনা করে রান্না করলে খরচ কমে।
৬. গণপরিবহণ ব্যবহার করুন: ব্যক্তিগত বা অ্যাপভিত্তিক পরিবহণের চেয়ে গণপরিবহণে যাতায়াত অনেক সাশ্রয়ী হয়। সময় বুঝে বাস কিংবা ট্রেন ব্যবহার করুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে সঞ্চয় হবে সহজ ও নিয়মিত। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও সচেতনতা অপরিহার্য।
/আশিক
ছবিতে প্রথমে যা দেখলেন, সেটাই বলে দেবে আপনার চরিত্র
অপটিক্যাল ইলিউশন: চোখের ধাঁধা ও মনের ছায়া
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃষ্টিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবি এবং ভিডিও খুবই জনপ্রিয়। অপটিক্যাল ইলিউশন হল এমন এক ধরণের ছবি যা দেখতে এক রকম হলেও, প্রত্যেক ব্যক্তির চোখে তার ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ফুটে ওঠে। এটি মূলত চোখ ও মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বয়ের অসঙ্গতির কারণে সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এই ছবি শুধুমাত্র দৃষ্টিভ্রমই তৈরি করে না, বরং মানুষের মনোভাব ও ব্যক্তিত্বের আভাসও দেয়।
এক জনপ্রিয় অপটিক্যাল ইলিউশন হলো ‘রুবিন ভেস’ (Rubin Vase)। এই ছবিতে দুইটি ভিন্ন ছবি দেখা যায়—একদিকে একটি ফুলদানি, অন্যদিকে দুইজন মুখো মুখে বসে আছে। আপনি প্রথমে যা দেখেন, তা আপনার চিন্তার ধরন ও ব্যক্তিত্বের একটি সংকেত হতে পারে।
যদি প্রথমে আপনি ফুলদানি দেখেন, তাহলে এর মানে আপনি সাধারণত বিষয়ভিত্তিক এবং বিস্তারিতভাবে চিন্তা করেন। আপনি সমস্যা বা বিষয়কে সরল এবং স্পষ্টভাবে বুঝতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, যদি আপনি প্রথমে দুইটি মুখ দেখতে পান, তাহলে আপনি সামাজিক ও পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতি বেশি মনোযোগী। আপনি পটভূমি বা পরিবেশ বুঝতে চান এবং মানুষের অনুভূতি ও সম্পর্ককে গুরুত্ব দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অপটিক্যাল ইলিউশনভিত্তিক কুইজের জনপ্রিয়তার পেছনে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো কেবল বিনোদন নয়, নিজের অবচেতন মনের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে। যখন আমাদের মস্তিষ্ক অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক কোনো ছবি দেখে, তখন প্রথম যে উপাদানটি চিনতে পারে, তা আমাদের মানসিক অগ্রাধিকার সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।
ছবি দেখে আপনি প্রথমে কী দেখলেন—মহিলা না মোরগ? মজা মনে হলেও, এটির মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার ব্যক্তিত্ব ও পছন্দের নানা দিক। এটি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করেও জানতে পারেন তারা কোন দলে পড়েন।
নিজেকে চিনতে এবং মজার ছলে বন্ধুদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করার জন্য এখনই সময়।
/আশিক
কিশমিশের পানির বহুমুখী উপকারিতা: স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সঙ্গী
শুকনো ফলের তালিকায় কিশমিশ এক অনন্য উপাদান, যা ডেজার্টের স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়াতে অপরিহার্য। কিন্তু এর গুণ শুধু স্বাদে সীমাবদ্ধ নয়, স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর রয়েছে অসাধারণ ভূমিকা। বিশেষত, কিশমিশের তৈরি পানি শরীরের জন্য একটি প্রাকৃতিক টনিকের মতো কাজ করে, যা নানা অসুখ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে এর সর্বোচ্চ উপকার পেতে জানতে হবে সঠিক প্রস্তুত প্রণালি ও নিয়মিত সেবনের পদ্ধতি।
কিশমিশের পানি তৈরির প্রণালি
কিশমিশের পানি তৈরি খুব সহজ, তবে নিয়ম মেনে করতে হবে। প্রথমে পরিষ্কার কিশমিশ নিয়ে পরিমাণমতো পানিতে দিন এবং ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফুটানো শেষ হলে পানি ঠান্ডা করে সারারাত ঢেকে রেখে দিন। পরদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করাই সবচেয়ে উপকারী। এতে কিশমিশের ভেতরে থাকা প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ দ্রবীভূত হয়ে পানির সঙ্গে মিশে যায়, যা শরীরে দ্রুত শোষিত হয়।
কিশমিশের পানি নিয়মিত সেবনের বিস্তারিত উপকারিতা
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি
কিশমিশে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়ায়, ফলে দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা উপকৃত হন। সকালে খালি পেটে এটি পান করলে হজমের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়, অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কমে, এবং খাবার হজমের পর ক্লান্তি বা ভারীভাবও দূর হয়।
২. কোলেস্টেরল ও হৃদ্স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ
কিশমিশের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ শরীরের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এর ফলে ধমনিতে চর্বি জমে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩. ত্বকের তারুণ্য ও সৌন্দর্য রক্ষা
কিশমিশ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বিশেষত ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ত্বকের কোষের ক্ষয়রোধ করে এবং বলিরেখা গঠনের গতি ধীর করে। নিয়মিত কিশমিশের পানি পান করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল, কোমল এবং টানটান, যা প্রাকৃতিকভাবে বয়সের ছাপ লুকাতে সহায়তা করে।
৪. লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি
কিশমিশের পানি লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে। এটি শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখে। একইসঙ্গে মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখায় শরীরের শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া সুষম হয়।
৫. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং বি-ভিটামিন থাকায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। এর পানীয় রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে এবং শরীরকে সারাদিন সতেজ রাখে।
সতর্কতা
যাদের ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা রয়েছে, তাদের কিশমিশের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও তা রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুটা বাড়াতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন সকালে কিশমিশের পানি সেবন একটি সহজ কিন্তু কার্যকর স্বাস্থ্যচর্চা, যা ওষুধ ছাড়াই শরীরের নানা সমস্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
যানবাহন পানিতে পড়লে বাঁচার উপায়: বিশেষজ্ঞের জরুরি পরামর্শ
বাংলাদেশে প্রতিদিনই কমবেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে বহু ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে। বিশেষ করে বাস, মাইক্রোবাস বা অন্যান্য যানবাহন সড়ক থেকে ছিটকে পানিতে পড়ে গেলে যাত্রীদের মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ ভয় ও বিভ্রান্তিতে পড়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হক জানান, গাড়ি পানিতে পড়ে গেলে যাত্রীর হাতে থাকে মাত্র ৩০ থেকে ১২০ সেকেন্ড। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। তিনি সাতটি করণীয় নির্দেশনা দিয়েছেন, যা মেনে চললে প্রাণরক্ষার সুযোগ বাড়বে।
১. শান্ত থাকুন
আতঙ্কিত হলে সঠিকভাবে চিন্তা ও পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই পরিস্থিতি যতোই ভয়াবহ হোক না কেন, মন শান্ত রাখুন।
২. সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন
এই পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট করা যাবে না। উদ্ধার পাওয়ার জন্য ফোন করা বা অপেক্ষা না করে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. সিটবেল্ট ও জানালা
যদি সিটবেল্ট বাঁধা থাকে, সঙ্গে সঙ্গে খুলুন। সিটবেল্ট না থাকলে জানালা খুলে ফেলুন, যাতে বের হওয়ার পথ তৈরি হয়।
৪. দরজা বা জানালা দিয়ে বের হন
গাড়ি পানিতে পড়লে অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। দরজা খোলার চেষ্টা করুন, না হলে জানালা ব্যবহার করুন।
৫. কাচ ভাঙুন
গাড়ির জানালার কাচ ভাঙতে বিশেষ যন্ত্র যেমন গ্লাস-ব্রেকিং হ্যামার বা হেডরেস্টের ইস্পাত রড ব্যবহার করুন। এসব না পেলে যেকোনো শক্ত বস্তু বা লাথির আঘাতে চেষ্টা করুন।
৬. পানি ঢোকা রোধ করুন
দম আটকে রেখে নাক-মুখে পানি ঢোকা বন্ধ করুন। সঙ্গে শিশু থাকলে আগে তাদের বের করে দিন।
৭. সাঁতরে ওপরে উঠুন
বের হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব সাঁতরে ওপরে উঠুন। পানির বুদবুদ লক্ষ্য করুন, যা আপনাকে উপরের দিক চিনতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়মগুলো জানা ও প্রয়োগের প্রস্তুতি থাকলে এমন দুর্ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। মূল বিষয় হলো আতঙ্ক এড়িয়ে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
সকালে গরম না ঠান্ডা পানি? জানুন কোনটা বেশি উপকারী
সকালে ঘুম ভেঙেই অনেকের অভ্যাস এক গ্লাস পানি পান করার। কেউ ঠান্ডা পানি খান, কেউ আবার কুসুম গরম। কিন্তু কোনটা শরীরের জন্য বেশি ভালো?
গরম পানির উপকারিতা
হালকা গরম পানি সকালে পান করলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে। ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রক্রিয়াকে সক্রিয় করতে গরম পানি বেশ উপকারী।
হজমে সহায়ক: পাকস্থলীতে জমে থাকা খাবার দ্রুত গলাতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায়।
ডিটক্সে সহায়ক: রাতের বেলায় শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
যন্ত্রণা উপশমে কার্যকর: শীতকালে কব্জি ও জয়েন্টে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে গরম পানি।
২০১৯ সালে Journal of Neurogastroenterology and Motility-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, গরম পানি পাকস্থলীর কার্যক্রম সক্রিয় করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
ঠান্ডা পানির দিক
সকালে ঠান্ডা পানি পান করাও একেবারে খারাপ নয়, তবে এটি নির্ভর করে শরীরের অবস্থা ও আবহাওয়ার ওপর।
মন সতেজ রাখে: ঠান্ডা পানি ব্রেইনকে জাগিয়ে তোলে, বিশেষ করে ঘুমচোখে দিনের শুরুতে কাজে নামলে এটি কাজে আসে।
ব্যায়ামের পর উপকারী: যারা সকালে ব্যায়াম করেন, তারা কিছুটা গরম হয়ে যান। তখন ঠান্ডা পানি শরীরকে স্বস্তি দেয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কী করা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং উপকারী। তবে যদি শরীর খুব গরম বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকে, তাহলে কক্ষতাপমাত্রার ঠান্ডা পানি গ্রহণ করা যেতে পারে। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি—দুটোই এড়িয়ে চলাই ভালো।
সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে পিতামাতার ১০টি কার্যকর কৌশল
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে পিতামাতার ভূমিকা অপরিসীম। সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারলে তার সামগ্রিক প্রতিভা ও মননশক্তি দৃঢ় হয়। শিশুদের বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল করে তোলার জন্য পিতামাতাদের সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রেক্ষিতে ১০টি কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো, যা পিতামাতাদের সন্তানের মননশীলতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে:
১. বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
বিভিন্ন বয়সের জন্য উপযোগী গল্প, বিজ্ঞানভিত্তিক ও নৈতিক শিক্ষা সমৃদ্ধ বই পড়ানো শিশুর শব্দভাণ্ডার বাড়ায়, কল্পনাশক্তি বিকাশে সহায়ক হয় এবং চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধি করে।
২. সন্তানের প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন
যখন সন্তান কোনো বিষয় জানতে চায়, তখন ধৈর্য সহকারে তার প্রশ্নের উত্তর দিন। এতে তার কৌতূহল ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. শেখার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করুন
বাসায় পড়াশোনা ও সৃজনশীল কাজের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, নিরিবিলি পরিবেশ নিশ্চিত করুন। প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত রেখে বাস্তব জীবন থেকে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করুন।
৪. খেলনা ও গেমের মাধ্যমে শেখানো
শিক্ষামূলক খেলনা যেমন পাজল, লেগো, রুবিক্স কিউব ও মেমোরি গেম শিশুর যুক্তি বিকাশ, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. নিয়মিত গল্প বলা ও আলোচনা
রাতের বেলায় ছোট ছোট নৈতিক গল্প শোনানো ও পরে তাদের বিষয়ে আলাপচারিতা করার মাধ্যমে ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং চিন্তাশীল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৬. নিজে সদৃশ ভূমিকা পালন করুন
পিতামাতার আচরণ সন্তানদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। শৃঙ্খলা, মনোযোগ ও জিজ্ঞাসু মনোভাব নিজেদের মধ্যে গড়ে তুললে সন্তানও তা অনুসরণ করে।
৭. সঙ্গী নির্বাচন ও সময় ব্যবস্থাপনায় নজর দিন
সন্তান কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, তা লক্ষ্য রাখা জরুরি। সুস্থ ও উন্নত মানসিক বিকাশের জন্য ভালো পরিবেশ ও সঙ্গীর প্রয়োজন।
৮. শারীরিক ও মানসিক খেলাধুলার গুরুত্ব দিন
দৌড়, দাবা, ক্যারাম এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা মন ও শরীরকে সক্রিয় রাখে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
৯. সঙ্গতিপূর্ণ প্রশংসা দিয়ে উৎসাহ দিন
অতিরিক্ত বা অবাস্তব প্রশংসার পরিবর্তে সন্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। এতে আত্মবিশ্বাস ও মনোযোগ বাড়ে, যা শিখতে উৎসাহিত করে।
১০. পারিবারিক আলোচনা ও মতামত প্রদানের সুযোগ দিন
পরিবারে নিয়মিত আলোচনায় সন্তানকে মতামত দিতে উৎসাহিত করলে সে দায়িত্বশীলতা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা অর্জন করে, যা তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক।
সন্তানের মেধা বিকাশে এসব কৌশল প্রয়োগ করলে সে কেবল পড়াশোনায় সফল হবে না, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও যুক্তিবদ্ধ চিন্তা করতে সক্ষম হবে। এজন্য পিতামাতাদের সচেতন হওয়া ও ধারাবাহিকভাবে শিশুর মানসিক বিকাশের প্রতি মনোযোগ দেয়া অত্যাবশ্যক।
পাঠকের মতামত:
- পিকাসো থেকে নিকোলস: প্রতিভা, সংগ্রাম আর অর্থপূর্ণ জীবনের দিশা
- ঢাকা ব্যাংকের হাল ধরলেন নতুন এমডি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য জরুরি ঘোষণা
- জনগণ ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়: এ্যানি
- অসুস্থ ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক: একাকী জীবনের দীর্ঘ সংগ্রাম
- অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন: গাইবান্ধা বিএনপি
- ডিএসইতে সূচকের উত্থান, প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন যত
- দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন চিত্র
- হোয়াইট হাউজে আজ ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক, পাশে ইউরোপীয় মিত্ররা
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রেট
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ ধান-চাল সংগ্রহ করল খাদ্য অধিদপ্তর
- খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে প্রবীণদের মাঝে উপহার বিতরণ
- চট্টগ্রামে সিএমপি কমিশনারের বার্তা ফাঁস: কনস্টেবল অমি দাশ গ্রেফতার
- দুই দশকের বেশি সময় ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কৌশলে আটকে রেখেছেন পুতিন
- তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারে ২৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম
- সাড়ে ৫ মাস পর বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ: আমদানি শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে ক্রেতারা
- পাতাল মেট্রোরেল ব্যয় বাড়ল প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা
- ‘মুজিব আমল ছিল স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকার’: ইতিহাসের ভিন্ন চিত্র তুলে ধরলেন সায়ের
- ক্রিকেট ব্যাটের ভেতরে ইয়াবা: অভিনব কৌশলেও ধরা পড়লেন ২ যাত্রী
- প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির
- গ্রেপ্তার হলেন মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী
- ‘ধর্মব্যবসায়ীদের কোনো জায়গা হবে না বাংলাদেশে’: রুমিন ফারহানার হুঁশিয়ারি
- মহাখালীর পেট্রোল পাম্পে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট
- জুলাই সনদ জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়: যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক
- দুদকের জালে সাবেক আইজিপি: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ নিয়ে তদন্তে নামল দুদক
- ‘না ভোট’ বিএনপির প্রস্তাব নয়, দাবি নজরুল ইসলাম খানের
- এবার বিশ্বমঞ্চে হানিয়া আমির,পাকিস্তানের জন্য গৌরবের নতুন অধ্যায়
- রেকর্ড ভাঙছে রেমিট্যান্স: আগস্টে কি নতুন মাইলফলক?
- গাজায় মানবিক সংকট: ত্রাণ বিতরণে বাধা, দুর্ভিক্ষে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
- এনবিআরের নতুন নির্দেশনা, আয়কর অডিটে ঝুঁকিভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় বাছাই
- ফেসবুকে বিনা খরচে রিচ বাড়াবেন যেভাবে: জেনে নিন ৫ সহজ কৌশল
- আবারও দুই প্রতিবন্ধীকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
- সিলেটে মাটিচাপা দেওয়া ১১ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
- জুলাই সনদের খসড়ায় ‘অসামঞ্জস্য’ আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
- জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম
- জাবি ছাত্রদলে তুমুল উত্তেজনা: কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
- ১৪.৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আর্টসেলেকে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাবেক সমন্বয়কের
- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক জামিনে মুক্ত
- সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন: রিজওয়ানা হাসান
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ১৭ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- এক পোস্টে শেষ সব সম্ভাবনা? সাকিবের জন্য বন্ধ হলো জাতীয় দলের দরজা
- মেহেন্দিগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট
- বিদেশে সব কূটনৈতিক মিশন থেকে সরানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ছবি
- শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
- সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন স্থগিতের ঘোষণা
- তারেক রহমানের ৩১ দফা তুলে ধরার আহ্বান এস এ জিন্নাহ কবিরের
- শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ও: এ্যানি চৌধুরী
- উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সর্বশেষ খবর
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- ১৪ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- আন্দোলন থামাতে চাঁদা দাবি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল, শোকজ এনসিপি নেতা
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি