Banner

বছর শেষে স্বর্ণের দামে বড় ধস, কাল থেকে কার্যকর নতুন রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ২০:৫৪:১৯
বছর শেষে স্বর্ণের দামে বড় ধস, কাল থেকে কার্যকর নতুন রেট
ছবি : সংগৃহীত

নতুন বছরের প্রথম প্রহরেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরণের সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানিয়েছে যে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা কমিয়ে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস উল্লেখ করেছে যে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৬ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫৭ টাকা। তবে স্বর্ণের এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি অতিরিক্ত হিসেবে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিদায়ী ২০২৫ সালে স্বর্ণের বাজারে অস্বাভাবিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, এই এক বছরে মোট ৯৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ বার দাম বেড়েছে এবং ২৯ বার কমেছে। সর্বশেষ গত ২৯ ডিসেম্বরও স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৫০৮ টাকা কমানো হয়েছিল। স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার বাজারে কোনো পরিবর্তন আসেনি; ২২ ক্যারেটের রুপা এখনো ভরিপ্রতি ৬ হাজার ৬৫ টাকাতেই স্থির রয়েছে। বছর শেষে স্বর্ণের এই দর পতন সাধারণ ক্রেতা ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন বছরের বিশেষ উপহার হিসেবেই দেখা হচ্ছে।


৩১ ডিসেম্বরের হালনাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার দর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১১:২৪:০১
৩১ ডিসেম্বরের হালনাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার দর
ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার হালনাগাদ বিনিময় হার প্রকাশ করা হয়েছে। বছরের শেষ দিনে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়েছে দেশের মুদ্রাবাজারে। বিশেষ করে মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইউরোর দর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমদানি, প্রবাসী আয় ও বৈদেশিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

ব্যাংকিং সূত্র জানায়, এসব বিনিময় হার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও বৈদেশিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্ধারিত হলেও, নির্দিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার কারণে হার কিছুটা কমবেশি হতে পারে। ফলে বিদেশ ভ্রমণ, আমদানি-রপ্তানি কিংবা রেমিট্যান্স সংক্রান্ত লেনদেনের আগে সর্বশেষ হার জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আজকের তালিকায় সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইউরো। একদিকে ডলার ছাড়িয়েছে ১২২ টাকা, অন্যদিকে ইউরো ও পাউন্ড যথাক্রমে ১৪৩ ও ১৬৫ টাকার ঘর স্পর্শ করেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক সুদের হার, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আমদানি ব্যয়ের চাপ এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে বড় কারণ।

আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার (প্রতি একক)

আজকের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে টাকার দর নিম্নরূপ—

সৌদি রিয়াল ৩২.৬০ টাকা,

মালয়েশিয়ান রিংগিত ৩০.১৫ টাকা,

সিঙ্গাপুর ও ব্রুনাই ডলার ৯৫.১২ টাকা,

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম ৩৩.২৮ টাকা,কুয়েতি দিনার ৩৯৭.২৩ টাকা,

মার্কিন ডলার ১২২.২৫ টাকা,

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন ০.০৮ টাকা,

জাপানি ইয়েন ০.৭৯ টাকা,

ওমানি রিয়াল ৩১৭.৩৪ টাকা,

লিবিয়ান দিনার ২২.৬০ টাকা,

কাতারি রিয়াল ৩৩.৫৮ টাকা,

বাহারাইন দিনার ৩২৫.১৩ টাকা,

কানাডিয়ান ডলার ৮৯.৩২ টাকা,

চীনা রেনমিনবি ১৭.৪৫ টাকা,

ইউরো ১৪৩.৯৩ টাকা,

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮২.০২ টাকা,

মালদ্বীপিয়ান রুপি ৭.৯০ টাকা,

ইরাকি দিনার ০.০৯ টাকা,

দক্ষিণ আফ্রিকান র‌্যান্ড ৭.৩৩ টাকা,

ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৫.১২ টাকা,

তুর্কি লিরা ২.৮৪ টাকা,

এবং ভারতীয় রুপি ১.৩৫ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি আমদানি ব্যয় বাড়াতে পারে, যা সরাসরি মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। তবে একই সঙ্গে প্রবাসী আয়ে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত সিদ্ধান্ত এই বাজারের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সোনার বাজারে সুখবর! কমল দাম যত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১১:১৫:৩৫
সোনার বাজারে সুখবর! কমল দাম যত
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে টানা অস্থিরতার পর দেশের স্বর্ণবাজারে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। সংগঠনটি স্থানীয় বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০৮ টাকা পর্যন্ত দাম হ্রাস পাচ্ছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বাজুস প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মূল্য সমন্বয়ের বিষয়টি জানানো হয়।

বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশোধিত এই মূল্যতালিকা আগামী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে দেশের সব জুয়েলারি দোকানে কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিশুদ্ধ বা তেজাবি সোনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারেও এই মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিশ্ববাজারের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। আন্তর্জাতিক স্বর্ণবাজার পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট goldprice.org-এর তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম নেমে এসেছে প্রায় ৪ হাজার ৩৩২ মার্কিন ডলারে। মাত্র কয়েক দিন আগেও, ২৬ ডিসেম্বর আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। এই দরপতনের প্রভাব সরাসরি পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে।

ক্যারেটভিত্তিক সোনার নতুন দাম

বাজুস ঘোষিত সর্বশেষ মূল্যতালিকা অনুযায়ী, ভরিপ্রতি সোনার দাম এখন নিম্নরূপ-

২২ ক্যারেটের সোনা, যা সর্বোচ্চ মানের হিসেবে বিবেচিত, বিক্রি হবে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ টাকায়।

২১ ক্যারেট সোনার নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা।

১৮ ক্যারেট সোনা কিনতে ভরিপ্রতি গুনতে হবে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯১ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

রুপার দামে নেই কোনো পরিবর্তন

সোনার দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এলেও রুপার বাজারে কোনো ধরনের সমন্বয় করা হয়নি। আগের নির্ধারিত দরেই রুপা বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে বাজুস। বর্তমানে বাজারে-

২২ ক্যারেট রুপার দাম ভরিপ্রতি ৬ হাজার ৬৫ টাকা।

২১ ক্যারেট রুপা বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৭৭৪ টাকায়।

১৮ ক্যারেট রুপার দাম ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা।

এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম রয়েছে ৩ হাজার ৭৩২ টাকা।

দেশীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণালঙ্কারের উচ্চমূল্যের চাপের মধ্যে এই দামের সামান্য হলেও নিম্নগতি ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে বিয়ের মৌসুম ও সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে এই মূল্যহ্রাস বাজারে কিছুটা গতি আনবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

-রফিক


বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:৪২:১৯
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বা টাকার রেট প্রবাসীদের জীবনযাত্রা এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং রিজার্ভ শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বাজার থেকে ডলার ক্রয় করছে। গত কয়েক মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকায় ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ পরিস্থিতি এখন বেশ সন্তোষজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টারব্যাংক রেট এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আজকের (৩০ ডিসেম্বর) মুদ্রার গড় বিনিময় হার নিচে তুলে ধরা হলো:

বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার (গড়)
ইউএস ডলার ১২২.৩০ ৳
সৌদি রিয়াল ৩২.৫৯ ৳
ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৫.১৮ ৳
ইউরোপীয় ইউরো ১৪৪.০১ ৳
সংযুক্ত আরব আমিরাত দেরহাম ৩৩.২৯ ৳
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০.১২ ৳
সিঙ্গাপুর ডলার ৯৫.৩০ ৳
কুয়েতি দিনার ৩৯৭.৬৪ ৳
কাতারি রিয়াল ৩৩.৫৮ ৳
ওমানি রিয়াল ৩১৭.৬৫ ৳
বাহরাইনি দিনার ৩২৫.১১ ৳
ভারতীয় রুপি ১.৩৬ ৳

(বি.দ্র.: ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জ ভেদে এই রেট সামান্য কম-বেশি হতে পারে। লেনদেনের আগে আপনার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের রেট যাচাই করে নিন।)

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের বড় অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ কমে আসায় এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি কমে যাওয়ায় মুদ্রাবাজারে এখন আগের মতো অস্থিরতা নেই। বিশেষ করে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের বিপরীতে টাকার মান এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডি বা অবৈধ পথ পরিহার করে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ এতে একদিকে যেমন সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ (২.৫%) নগদ প্রণোদনা পাওয়া যায়, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়।


আট দফা বাড়ার পর অবশেষে কমল স্বর্ণের দাম: আজ থেকে কার্যকর হবে নতুন মূল্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:২২:৪০
আট দফা বাড়ার পর অবশেষে কমল স্বর্ণের দাম: আজ থেকে কার্যকর হবে নতুন মূল্য
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে টানা আট দফা মূল্যবৃদ্ধির পর অবশেষে স্বর্ণের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) স্বর্ণের দাম কমানোর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যা মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে কার্যকর হয়েছে। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নতুন নির্ধারিত দর অনুযায়ী, এখন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ টাকায়। সোমবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ভরিতে স্বর্ণের দাম কমেছে ২ হাজার ৫০৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

তবে স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজুস জানিয়েছে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম আগের মতোই ৬ হাজার ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা আছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের এই দাম কমা ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। উল্লেখ্য, স্বর্ণের এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকারি ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার নকশা ও মান ভেদে এই মজুরি ভিন্ন হতে পারে।


একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:৫০:৪১
একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সব পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে এবার প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার সীমা অতিক্রম করেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন এই দর ঘোষণা করেছে, যা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

বাজুসের পক্ষ থেকে রোববার রাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক দফায় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা। দেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য হিসেবে নথিভুক্ত হলো।

নতুন দামের তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকায়। একই সঙ্গে ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩২ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা।

তবে ক্রেতাদের জন্য এই দামে এখানেই ব্যয় শেষ নয়। ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত হবে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি। ফলে সব মিলিয়ে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে সাধারণ ক্রেতার মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকারও বেশি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাত্র এক দিন আগেই অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যা কার্যকর হয় ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এর ঠিক পরদিন আবারও নতুন করে মূল্য সমন্বয় বাজারে চমক তৈরি করেছে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে টানা মূল্যবৃদ্ধিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে বিস্ময় ও উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে।

বাজুস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং দেশের অভ্যন্তরে তেজাবি স্বর্ণের সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে এই মূল্য সমন্বয় অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ডলারের গতিবিধিও এই মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।

স্বর্ণের দামে এমন উল্লম্ফনের বিপরীতে রুপার বাজারে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম আগের মতোই ৬ হাজার ৬৫ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।

-শরিফুল


সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৯:৫৫:২৬
সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল এবং এবার তা সব রেকর্ড ভেঙে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার ঘর ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর করার জন্য নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে। রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানায়, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য।

নতুন নির্ধারিত দরের তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়াও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা। উল্লেখ্য যে, এই নির্ধারিত মূল্যের সাথে ক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি প্রদান করতে হবে। ফলে মজুরি ও ভ্যাটসহ এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে সাধারণ ক্রেতার খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি।

সবশেষ গত ২৭ ডিসেম্বরও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর ছিল। কিন্তু মাত্র একদিনের ব্যবধানে আবারও দামের এই ঊর্ধ্বমুখী উল্লম্ফন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিস্ময় তৈরি করেছে। বাজুস জানিয়েছে, বিশ্ববাজার ও স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে এই সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তবে স্বর্ণের দামের এই মাতামাতির বিপরীতে রুপার দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বর্তমানে ৬ হাজার ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের এই নজিরবিহীন মূল্য বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর করে তুলেছে।


রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৯:১৩:০৮
রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস
ছবি : সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতি এখন এক জটিল ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, স্থবির মজুরি প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের ভয়াবহ খেলাপি ঋণের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। যদিও সরকারি তথ্যে ২০২৫ সালের নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে চাল, তেল ও সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একই সময়ে মজুরি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ০৪ শতাংশে স্থবির হয়ে পড়ায় মানুষের প্রকৃত আয় গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতির সবচেয়ে ক্ষতবিক্ষত অংশটি হলো ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৬ দশমিক ৪৪ লাখ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের প্রায় ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ সুদের হার এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের চাপে নতুন কোনো ব্যবসা বা শিল্প স্থাপনের সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এর ফলে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিনিয়োগ স্থবিরতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি জানান, বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে ২২-২৩ শতাংশে আটকে আছে। বিনিয়োগ না বাড়লে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে। বর্তমানে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের ২০ শতাংশই কোনো ধরণের শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের বাইরে রয়েছে, যা এক সামাজিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যদিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ ২৭৮৮ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে কিছুটা বাহ্যিক স্বস্তি মিলেছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং খাতের আস্থার সংকট অর্থনীতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল পরিসংখ্যানের জাদুকরী উন্নতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে না; এজন্য প্রয়োজন দ্রুত ও কঠোর সংস্কার, সুশাসন এবং বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।


প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২০:১৩:২৪
প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এক শক্তিশালী ভিত্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা শুরু হয়েছিল, তা চলতি ডিসেম্বর মাসে এক বিশাল রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। গত বছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এই ইতিবাচক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করেছেন। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এই গতি বজায় থাকে, তবে ডিসেম্বর শেষে প্রবাসী আয় প্রথমবারের মতো ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে। এর আগে গত নভেম্বরে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৭৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৩৫৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ডলারের বিনিময় হারে নমনীয়তা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা এই উল্লম্ফনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

এই বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। রেমিট্যান্সের এই জোয়ারের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তৈরি হয়েছে স্বস্তি। ডলারের সংকট কাটিয়ে দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আস্থাও ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং ডলারের বাজারে অস্থিরতা চিরতরে দূর হবে।


বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১২:০৪:১৯
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সচল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক বিনিময় হার জানা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার নতুন দর নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন এই হার নির্ধারিত হয়। আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ১২২ টাকা ৩৬ পয়সা হিসেবে স্থিতিশীল রয়েছে।

ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরোর মান আজ দাঁড়িয়েছে ১৪৪ টাকা ৬ পয়সা। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হার ১৬৫ টাকা ২৩ পয়সা। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সৌদি রিয়ালের দর আজ ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা এবং মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০ টাকা ১৯ পয়সা। তবে বরাবরের মতো আকাশচুম্বী মান ধরে রেখেছে কুয়েতি দিনার, যার আজকের বিনিময় হার ৩৯৭ টাকা ৭২ পয়সা।

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (এক নজরে):

বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা (বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র)
ইউএস ডলার ১২২ টাকা ৩৬ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো ১৪৪ টাকা ০৬ পয়সা
ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৫ টাকা ২৩ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮২ টাকা ১৭ পয়সা
জাপানি ইয়েন ০.৭৮ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা
সিঙ্গাপুর ডলার ৯৫ টাকা ২২ পয়সা - ৯৫ টাকা ৩৪ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০ টাকা ১৯ পয়সা
সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা
কুয়েতি দিনার ৩৯৭ টাকা ৭২ পয়সা
ভারতীয় রুপি ১ টাকা ৩৬ পয়সা

উল্লেখ্য, ব্যাংকভেদে এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর ক্ষেত্রে এই বিনিময় হার সামান্য কম-বেশি হতে পারে। প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সব সময় বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে বা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে আয়ের সুরক্ষা এবং বোনাস সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত হয়।

(সূত্র : গুগল)

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত