ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:২৫:১৭
ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৫ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা দ্রুত বাড়ছে। এই আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। একই সঙ্গে একই আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফলে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণে নির্বাচনী লড়াই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। মো. ইউনুচ আলী একই সঙ্গে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মনোনয়ন দাখিলের সময় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জামায়াতের আমিরের মতো প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করতে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন বলেন, তিনি বিএনপির পক্ষ থেকেই নির্বাচন করছেন এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো ধরনের চাপ বোধ করছেন না। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেই তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন এবং ভোটারদের সমর্থনের ওপরই তিনি আস্থা রাখছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শুধু বিএনপি ও জামায়াত নয়, আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা বা সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আলমগীর ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এস এম ফজলুল হক, গণফোরামের একেএম শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তানজিল ইসলাম এবং খান শোয়েব আমান উল্লাহ।

-রফিক


হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:২৫:২২
হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে এক নজিরবিহীন জোটবদ্ধ লড়াইয়ের দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের (শহিদ) সরে দাঁড়ানোর ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের সঙ্গে এনসিপির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী সমঝোতা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসে।

সাইফুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিচরণ ও এলাকায় শক্তিশালী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থ ও জোটের ঐক্য রক্ষায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। রোবাবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক আবেগঘন পোস্টে তিনি লেখেন, “কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্ত সর্বদা কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

উল্লেখ্য, কুমিল্লা-৪ আসনটি হাসনাত আবদুল্লাহর নিজের এলাকা এবং গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। একই সময়ে জামায়াতের পক্ষেও সাইফুল ইসলামের জন্য মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছিল, যা নিয়ে দেবীদ্বারের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে জামায়াতের এই আত্মত্যাগী সিদ্ধান্তের ফলে এখন এই আসনে নির্বাচনী মেরুকরণ সম্পূর্ণ হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে চলে গেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসনাত আবদুল্লাহর মতো তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্বের জন্য জামায়াতের এই ছাড় দেবীদ্বারে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও দেবীদ্বারের মানুষের কল্যাণে সর্বদা পাশে থাকবেন এবং সংগঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এখন থেকে হাসনাত আবদুল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় জোটবদ্ধভাবে কাজ করবেন। এই সমঝোতা কেবল দেবীদ্বারে নয়, বরং সারা দেশের আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে এক নতুন নজির স্থাপন করল।


এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১১:৩৭:০১
এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রথম দৃশ্যমান আত্মত্যাগ দেখা গেল ঢাকা-১১ (রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা ও হাতিরঝিল আংশিক) আসনে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জন্য এই আসনটি ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ ও আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আতিকুর রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, সংগঠনের নির্দেশে গত ১০ মাস ২২ দিন ধরে তিনি এই আসনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের পক্ষে জনমত গঠন করতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। জরিপে তাঁর পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন উঠে আসলেও বৃহত্তর জোটের স্বার্থে এবং ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি একটি বড় জবাবদিহিতার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থা রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলামের জয়ের পথ সুগম করতে এই আসন সমঝোতা করা হয়েছে। আতিকুর রহমান তাঁর প্রচারণায় যুক্ত নারী কর্মীসহ সকল সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এখন থেকে তাঁর পুরো টিম নাহিদ ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় ঝাপিয়ে পড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের ভোটব্যাংক নাহিদ ইসলামের পক্ষে গেলে এটি বিএনপির প্রার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জামায়াতের এই ছাড় দেওয়ার নীতি জোটের অন্যান্য শরিকদের মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের এই সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে নাহিদ ইসলাম কতটা সফল হতে পারেন।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৮:৫৯:৫৮
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য সময়টা যেন মোটেও ভালো যাচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই দলটির ভেতরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন ও বিদ্রোহ। নওগাঁ-৫ আসনের প্রার্থী মনিরা শারমিনের পর এবার খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসন থেকে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মনজিলা ঝুমা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এনসিপি প্রাথমিকভাবে তাঁকে খাগড়াছড়ি থেকে ‘শাপলা কলি’ মার্কা নিয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করেছিল এবং গত ২৪ ডিসেম্বর তাঁর পক্ষে দলের জেলা আহ্বায়ক মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনজিলা বলেন, “আমি প্রায় দুই ঘণ্টা আগে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।”

এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেত্রীর সরে দাঁড়ানোর ফলে খাগড়াছড়িতে দলটির নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। এর আগে জামায়াত-জোটের বিরোধিতা করে দলটির শীর্ষ নেত্রী তাজনূভা জাবীন ও তাসনিম জারা পদত্যাগ করেছেন এবং নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে নিষ্ক্রিয় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি এবং আদর্শিক মিল না থাকাকেই এই বিদ্রোহের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এনসিপি এই জোটে ৩০-৩৫টি আসন পাওয়ার কথা থাকলেও যোগ্য প্রার্থীদের একের পর এক সরে যাওয়া দলটিকে চরম অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে।

সবশেষে মনজিলা ঝুমা এক আশাবাদী বার্তার মাধ্যমে তাঁর পোস্ট শেষ করেন। তিনি লিখেন, “আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।” তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণ নেতৃত্বাধীন এই দলটির ইমেজ এবং ভোটারদের আস্থা কতটুকু বজায় থাকবে, তা নিয়ে খোদ এনসিপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে।


দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৮:৪৬:২০
দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নজিরবিহীন মেরুকরণ ঘটেছে। মূলত দুটি শক্তিশালী নির্বাচনি বলয় এখন মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে ২৯টি রাজনৈতিক দলের একটি বিশাল বলয় তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি দলের সঙ্গে সরাসরি আসন সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদ, বিজেপি, নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের মতো দলগুলো রয়েছে। বিশেষ চমক হিসেবে মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ববি হাজ্জাজের মতো নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি এলডিপি ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজেদের দল বিলুপ্ত করে সরাসরি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ১০ দলের এক নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গত কয়েক মাস ধরে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৮টি দলের সঙ্গে গতকাল রোববার যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি ও আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, এটি কেবল নির্বাচনের নয় বরং দেশ গঠনের একটি দীর্ঘমেয়াদী জোট। তবে এই জোটকে কেন্দ্র করে এনসিপির ভেতরে চরম গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার প্রতিবাদে তাজনূভা জাবীন ও মনিরা শারমিনের মতো প্রার্থীরা পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোটে থাকলেও কিছুটা ভিন্ন সুর বজায় রেখেছে। তারা ৩০০ আসনেই মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও আসন সমঝোতার আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতেই সবাই সবার হাতে আসন তুলে দেবেন। তবে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনের মতো এবার ভোট চুরির চেষ্টা হলে জাতি তা বরদাশত করবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এলডিপি ও এনসিপির মতো দলগুলোর জামায়াতমুখী হওয়া বিএনপির জন্য একটি বড় ধাক্কা। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদের মতো নেতার জামায়াত জোটে উপস্থিতি নির্বাচনি সমীকরণকে জটিল করে তুলেছে। অন্যদিকে, বিএনপি তাদের পুরোনো মিত্রদের ধরে রাখতে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি ও সাইফুল হককে গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়ে দিয়ে পাল্টা চাল দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই আসন সমঝোতা কতটা টেকসই হয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দিতে দলগুলো কতটা সফল হয়।


চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২১:০৫:১৮
চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশজুড়ে চলমান অস্থিরতা এবং নির্বাচনের আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। কিছু চক্রান্তকারী পেছন থেকে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা যাতে কোনোভাবেই সফল হতে না পারে।

সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর আগমনে সারা দেশে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। আলেম সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রতিটি বক্তব্যে ইসলাম ও আল্লাহর প্রতি যে গভীর অনুরাগ ফুটে উঠেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আলেম সমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় গেলে ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক সম্মানী নির্ধারণ করা হবে এবং মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই সুবিধাগুলো কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় প্রধানদের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

সভার শেষ পর্যায়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় যখন মির্জা ফখরুল তাঁর রাজনৈতিক অবসরের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “বয়স হয়ে গেছে, এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। পরবর্তীতে আর নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না জানি না।” তাঁর এই মন্তব্যের পর উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে বিষণ্নতা নেমে আসে। মির্জা ফখরুল আলেমদের কাছে কেবল ভোট নয়, বরং অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্যও দোয়া চান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুলের এই ‘শেষ নির্বাচনের’ ঘোষণা নির্বাচনী প্রচারণায় এক নতুন আবেগীয় মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে আলেম সমাজের জন্য মাসিক সম্মানীর এই ঘোষণা গ্রামীণ এবং ধর্মীয় ভোটব্যাংককে বিএনপির দিকে টানতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে একটি সুশৃঙ্খল নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।


কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২০:৪৯:৩৯
কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গত কয়েক দিনের সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগদানের ঘোষণা দিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। নাহিদ ইসলাম জানান, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁরা জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে জোটের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কেবল নির্বাচনেই নয়, বরং আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কার ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে জোটবদ্ধভাবে কাজ করব।’ তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, আসন সমঝোতার পর জোটের বাইরে এনসিপির আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না এবং মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে বাকি সবাই জোটের প্রার্থীর জয়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামবে। তবে কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করবেন, সেই তালিকাটি আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে আজ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ১০ দলীয় জোটের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি এলডিপি এবং এনসিপি-কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশ এক কঠিন বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যেই এই জোট গঠিত হয়েছে। এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপির এই যোগদান একদিকে যেমন জোটকে শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে দলের ভেতরে চলা বিদ্রোহকে আরও উসকে দিতে পারে। ইতোমধ্যে তাজনূভা জাবীন, তাসনিম জারা এবং মনিরা শারমিনের মতো শীর্ষ নেত্রীরা জামায়াত-জোটের বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন অথবা স্বতন্ত্র লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। তবুও নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ১৮৪ জন কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থনে গঠিত এই জোট নির্বাচনী মাঠে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে কতটা সফল হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।


নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২০:১৮:৩৪
নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচনী পরিকল্পনায় বড় ধরণের ধস নেমেছে। জামায়াতে ইসলামীর সাথে ৩০টি আসনের সমঝোতা নিয়ে দলের ভেতরে চলমান বিদ্রোহের অংশ হিসেবে এবার নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক আবেগঘন ও কড়া বার্তার মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। মনিরা স্পষ্ট করেছেন যে, দল তার মৌলিক অবস্থান পরিবর্তন করায় তিনি আর এই ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নন।

মনিরা শারমিন তাঁর পোস্টে লিখেন, এনসিপি গঠিত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্বতন্ত্র ও মধ্যপন্থী রাজনৈতিক ভরসাস্থল হিসেবে। ৩শ আসনে একক নির্বাচনের কথা বলে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পর্দার আড়ালে জামায়াতের সাথে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি তাঁর কাছে গোপন রাখা হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন, “দলের প্রতি আমার কমিটমেন্টের চেয়ে গণঅভ্যুত্থান ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট এখন অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ক্ষমতার লোভে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করতে পারব না।” যদিও তিনি এখনই দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেননি, তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

এনসিপির নওগাঁ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ মনিরা শারমিনের এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত ও আদর্শিক কারণে মনিরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে দলের হেভিওয়েট নেত্রী ডা. তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীনও একই কারণে দল ও নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ২১৬ জন সদস্যের মধ্যে একটি বড় অংশ এই জোটের বিরুদ্ধে থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের অনড় অবস্থানে দলের ভবিষ্যৎ এখন খাদের কিনারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণ ও মেধাবীদের নিয়ে গঠিত এই দলটির ভেতরে ‘আদর্শ বনাম কৌশল’ এর এই লড়াই শেষ পর্যন্ত এনসিপিকে বড় ধরণের ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে জামায়াতের মতো একটি ধর্মভিত্তিক দলের সাথে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়াকে সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং দলের তৃণমূল কর্মীরা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছে না। মনিরা শারমিনের এই ঘোষণা নওগাঁর নির্বাচনী মাঠে এনসিপির অস্তিত্বকে সংকটে ফেলে দিল।


লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৮:৫১:৫৪
লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক দেখাল বিএনপি। এই আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরপরই এই আসন থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। পার্থ জানিয়েছেন, তারেক রহমানের মতো বড় নেতার প্রতি সম্মান জানাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে নিজের পৈতৃক আসন ভোলা-১ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি এই আসনটি আন্দালিভ রহমান পার্থকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। পার্থ নিজেও বেশ কিছুদিন ধরে এই এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন। তবে আজ রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে সব জল্পনার অবসান ঘটে। পার্থ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ঢাকা-১৭ আসনের জন্য তারেক ভাই-ই সেরা প্রার্থী। তাঁর সম্মানে আমি এই আসন থেকে ফরম সংগ্রহ করিনি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের এই আসনে প্রার্থী হওয়া বিএনপির নির্বাচনী কৌশলের একটি বড় অংশ। দলের শীর্ষ নেতা সরাসরি ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচন করলে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। অন্যদিকে, আন্দালিভ রহমান পার্থের এই সরে দাঁড়ানোকে জোটের সংহতির একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ভোলা-১ আসন থেকে লড়াই করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন ঢাকা-১৭ আসনটি পুরোপুরি তারেক রহমানের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল।

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেবল ঢাকা-১৭ নয়, তারেক রহমান আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তবে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রের এই আসনে তাঁর লড়াই জাতীয় রাজনীতিতে একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১৮:৪৫:২৪
আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার
ছবি: কালবেলা

রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পৃথক দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এবং জশিতা ইসলামের পৃথক দুটি আদালত এই জামিন আদেশ দেন। এর আগে সকালে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালত পৃথক দুই মামলায় মোট এক হাজার পাঁচশত টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেছেন।

আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছিল ২০২১ সালে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শাহবাগ এলাকায় আন্দোলন এবং পবিত্র রমজান মাসে দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় তাঁকে আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও দাঙ্গার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মোট ৬টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪টি মামলা থেকে তিনি আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন এবং আজকের দুই মামলায় জামিন পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বর্তমানে সব মামলায় মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।

আইনজীবীদের দাবি, মূলত রাজনৈতিক কণ্ঠরোধ করার লক্ষ্যেই বিগত সরকার এই কাল্পনিক ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো করেছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন রাজনৈতিক আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় এবং বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা ফেরায় তিনি আজ ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আখতার হোসেনের এই জামিন পাওয়ার খবরটি এনসিপি এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে তিনি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোটের নির্বাচনী দরকষাকষি এবং দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আর কোনো আইনি বাধার সম্মুখীন হবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত