Banner

কেন তিনি ‘আপসহীন’? খালেদা জিয়ার জীবনের অজানা অধ্যায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৮:২৮:০৬
কেন তিনি ‘আপসহীন’? খালেদা জিয়ার জীবনের অজানা অধ্যায়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়াকে আলাদা করে চেনা যায় তাঁর অটল সিদ্ধান্তের দৃঢ়তায়। ১৯৮১ সালে স্বামী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর যখন বিএনপি এক টালমাটাল পরিস্থিতির মুখোমুখি, তখন এক সাধারণ গৃহবধূ থেকে ১৯৮৪ সালে দলের হাল ধরেন তিনি। তবে তাঁর রাজনৈতিক চরিত্রের আসল পরীক্ষা শুরু হয় স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের আমলে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে যেখানে অন্য দলগুলো অংশ নিয়েছিল, সেখানে খালেদা জিয়া একচুলও নতি স্বীকার করেননি। তাঁর সেই আপসহীন অবস্থানই ১৯৯১ সালে তাঁকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসায়।

খালেদা জিয়ার জীবনে ‘আপসহীন’ অভিধাটি কেবল একটি তকমা নয়, বরং এটি তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা কার্যকর করার চেষ্টা চলছিল, তখন খালেদা জিয়াকে দেশ ছাড়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিদেশে তাঁর কোনো জায়গা নেই। এই অনমনীয় মনোভাবের কারণেই তৎকালীন সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ কারাবাস ও রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করলেও তিনি কখনো ক্ষমতার লোভে আদর্শ বিসর্জন দেননি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তাঁর ওপর পাহাড়সম চাপ ছিল। ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হওয়ার আগে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে বিরোধীরা রটিয়েছিল যে তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু সব রটনা ভুল প্রমাণ করে তিনি দেশে ফেরেন এবং আইনি লড়াই ও কারাবরণ বেছে নেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে অংশ না নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, সরকারের বৈধতা দেওয়ার চেয়ে গণতান্ত্রিক দাবিতে অনড় থাকা তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ তাঁর ‘খালেদা’ বইয়ে যথার্থই লিখেছেন যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দলীয়ভাবে অনেক চড়া মূল্য দিতে হলেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পূর্ণ মুক্তি পেলেও তাঁর এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রমাণ করে—সব আপস রাজনৈতিক লাভ আনে না, আর সব অনমনীয়তাও পরাজয় নয়। তাঁর জীবন ও রাজনীতি বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরকাল এক অপরাজেয় শক্তির প্রতীক হয়ে থাকবে।


জনসেবা ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস রেখে গেলেন তিনি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৮:১৯:১০
জনসেবা ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস রেখে গেলেন তিনি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এক আবেগঘন ও স্মৃতিবিজড়িত বার্তা দিয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তাঁর মাকে ‘এক মমতাময়ী মা’ এবং ‘দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তারেক রহমান লিখেছেন যে, বেগম জিয়ার কাছে তাঁর নিজের পরিবারের চেয়েও এই দেশ এবং দেশের মানুষ ছিল অনেক বড় সত্তা ও অস্তিত্ব।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়া আজীবন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি বারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং দীর্ঘ সময় সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চরম একাকিত্ব আর অনিশ্চয়তার মাঝে থেকেও তিনি অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম নিয়ে টিকে ছিলেন। তারেক রহমানের মতে, মা হিসেবে তিনি ছিলেন পরিবারের অভিভাবক আর দেশনেত্রী হিসেবে ছিলেন জাতির পথপ্রদর্শক। এমন একজন আলোকবর্তিকাকে হারিয়ে আজ পুরো দেশ শোকাহত।

তারেক রহমান তাঁর পোস্টে আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, দেশের স্বার্থে খালেদা জিয়া স্বামী হারিয়েছেন এবং আদরের সন্তানকেও হারিয়েছেন। নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে তিনি রেখে গেছেন জনসেবা আর ত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যেভাবে দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন, তা তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য শক্তির উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি জানান।

পোস্টের শেষ অংশে তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁর মায়ের প্রতি সাধারণ মানুষের এই অকৃত্রিম আবেগ, ভালোবাসা আর বিশ্বজুড়ে যে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে, তার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবার চিরকৃতজ্ঞ। তিনি দেশবাসীকে তাঁর মায়ের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। এই শোকাবহ সময়ে তারেক রহমানের এমন সহজ অথচ গভীর বার্তায় নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয়েছে আবেগঘন পরিবেশ।


কত টাকার মালিক হাসনাত? সম্পদের হিসাব প্রকাশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৩:০৭:৪৮
কত টাকার মালিক হাসনাত? সম্পদের হিসাব প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা–৪ (দেবিদ্বার) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা সোমবার দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলামের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং বার্ষিক আয়ের সমন্বয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি তাঁর নামে ব্যাংকে জমাকৃত সোনার মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা, যা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরে তাঁর ঘোষিত বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। পেশাগত পরিচয়ে তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর কোনো কৃষিজমি নেই এবং তিনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নন।

ব্যক্তিগত সম্পদের খতিয়ান অনুযায়ী, তাঁর মালিকানায় রয়েছে আনুমানিক ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং ৬৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। এ ছাড়া তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত মূলধনের পরিমাণও দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা বা অভিযোগ বিচারাধীন নেই। একই সঙ্গে তাঁর পিতা-মাতা, স্ত্রী কিংবা সন্তানের নামে কোনো ব্যাংক ঋণ বা আর্থিক দায় নেই বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে গৃহিণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

-রাফসান


জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন: মানিক মিয়ার পথে বেগম জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১২:০৩:৪৪
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন: মানিক মিয়ার পথে বেগম জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার রাজপথ এখন এক ঐতিহাসিক শোকযাত্রার সাক্ষী। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের গুলশানের ১৯২ নম্বর বাসভবন থেকে জানাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। কড়া পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় এই গাড়িবহরটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে, যেখানে আজ বাদ জোহর দুপুর ২টায় তাঁর শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এই শোকাবহ যাত্রাটিতে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরাও শরিক হয়েছেন। গাড়িবহরে থাকা একটি বিশেষ লাল-সবুজ বাসে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। এছাড়া প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর পরিবার এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও এই বহরে রয়েছেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গুলশানের এই বাসভবনে আত্মীয়-স্বজন ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা বরেণ্য এই নেত্রীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু করে খেজুরবাগান ও বিজয় সরণি পর্যন্ত এলাকায় বিজিবির ২৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কয়েক লাখ মুসল্লি ইতিমধ্যেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।


শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তারেক রহমানের বাসায় নেতাকর্মীদের ভিড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১১:০৯:৩৫
শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তারেক রহমানের বাসায় নেতাকর্মীদের ভিড়
ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায় এক বিশেষ পরিবর্তন দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করার পর প্রাথমিকভাবে তাঁর দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের ১৯২ নম্বর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনটি বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি কড়া পুলিশ পাহারায় এই বাসভবনে প্রবেশ করে।

তারেক রহমানের গুলশানের এই বাসভবনেই এখন দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, ঘনিষ্ঠ স্বজন ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা বরেণ্য এই নেত্রীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এর আগে সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করার সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরোটা পথ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পাহারায় মরদেহবাহী গাড়ি বহর নিয়ে আসা হয়। ভোর থেকেই এভারকেয়ার ও গুলশান এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ করা গেছে।

গুলশানের বাসায় সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেগম জিয়ার মরদেহ জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জোহর দুপুর ২টায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে, যাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। প্রিয় নেত্রীকে শেষবার দেখার জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে করে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।


এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ২০:১০:১১
এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নির্বাচনী লড়াই শুরুর আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান যে, একটি বিশেষ বিদেশি নম্বর থেকে তাঁকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ডা. মিতু তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, তিনি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট গল্প বানিয়ে চরিত্র হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে আমি ভয় পাচ্ছি না এবং বিচলিতও নই।” তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে তাঁর বিরুদ্ধে এআই (AI) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও বা আপত্তিকর ছবি তৈরি করে অপপ্রচার চালানো হতে পারে। তাঁর স্বামীও বিষয়টি নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছেন বলে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন।

এই হুমকির ঘটনায় ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে একজন নারী প্রার্থীর নিরাপত্তা ও সাইবার বুলিংয়ের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ডা. মিতু তাঁর অনুসারীদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তিনি এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন।

এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বিষয়টি তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ডা. মাহমুদা মিতু বা তাঁর পক্ষ থেকে থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ওসি আরও যোগ করেন যে, অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব বলে তিনি মন্তব্য করেন।


ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৯:১৮:৩০
ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ (বাম থেকে) ও তার বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক। কোলাজ: ইত্তেফাক

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবা ও ছেলের প্রার্থী হওয়ার খবর এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে তাঁরা স্ব-স্ব দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ আব্দুল হান্নান মাসউদ তাঁর নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। অন্যদিকে তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ‘একতারা’ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। একই পরিবার থেকে এবং একই আসন থেকে বাবা-ছেলের এই দ্বৈরথকে সাধারণ মানুষ নবীন ও প্রবীণের এক প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন।

এই ব্যতিক্রমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন যে, তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও সংসদীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য একেবারেই নতুন। তিনি আরও জানান যে, হাতিয়া আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তাঁর বাবা একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ব্যক্তি এবং বাবার এই সাহসকে তিনি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। মাসউদের মতে, ভোটের ময়দানে বাবার কাছ থেকে তাঁর নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে এবং তিনি এই লড়াইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তাঁর বাবা আব্দুল মালেকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতিয়া আসনে এবার মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হকও রয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাবা-ছেলের এই প্রার্থিতা ভোটের মাঠে জনসমর্থনের মেরুকরণে এক বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।


প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে এক বিশাল হৃদয়: খালেদা জিয়ার মানবিক দর্শনের আড়ালে যা ছিল 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৯:০৩:০৮
প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে এক বিশাল হৃদয়: খালেদা জিয়ার মানবিক দর্শনের আড়ালে যা ছিল 
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে বেগম খালেদা জিয়া কেবল একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নন, বরং তিনি একটি আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের জীবন্ত প্রতীক। ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জলপাইগুড়িতে জন্ম নেওয়া এই মহীয়সী নারীর শৈশব কেটেছে উত্তরবঙ্গের শান্ত জনপদ দিনাজপুরে। তাঁর বাবা ইসকান্দার মজুমদার ছিলেন একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং মা তৈয়বা মজুমদার ছিলেন অত্যন্ত উদার ও আধুনিকমনা নারী। পারিবারিক পরিমণ্ডল থেকেই খালেদা জিয়া পেয়েছিলেন সততা, আদর্শবাদ এবং এক দৃঢ়চেতা মানসিকতা। বিদ্যালয়ের দিনগুলোতে তিনি যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর পারদর্শিতা ছিল প্রশংসনীয়। শিক্ষকদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ছোটবেলা থেকেই সকলের নজর কেড়েছিল।

১৯৬০ সালে তৎকালীন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে তাঁর সাহসিকতা ইতিহাসের এক অমূল্য ও রোমাঞ্চকর অধ্যায়। অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে অস্ত্র রক্ষা করতে তিনি যে তাৎক্ষণিক ও সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা আজও কিংবদন্তি হয়ে আছে। মেজরের অনুপস্থিতিতে তাঁর সেই অমোঘ নির্দেশ—“মেজর জিয়ার হুকুম ছাড়া একটা সুঁইও বাইরে যাবে না”—পুরো রেজিমেন্টকে কেবল ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষাই করেনি, বরং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথকে আরও সুগম ও শক্তিশালী করেছিল। সেই মুহূর্তের সিদ্ধান্তটি না হলে হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধের গতিপথ ভিন্ন হতে পারত।

১৯৮১ সালে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যখন বিএনপি এক মহাসংকটের মুখোমুখি, তখন অন্দরমহলের সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাজপথের সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন খালেদা জিয়া। তাঁর এই রাজনৈতিক রূপান্তর ছিল পুরো বিশ্বের জন্য এক বিস্ময়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আপোষহীন নেত্রী’। দীর্ঘ ৯ বছরের রাজপথের লড়াইয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে বন্দুকের নলের চেয়ে জনগণের ভালোবাসা অনেক বেশি শক্তিশালী। ১৯৯১ সালে জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তিনি রক্ষণশীল বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এক বিশাল মাইলফলক হিসেবে গণ্য হয়। প্রথাগত রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষের নির্ভরতার এক ‘বাতিঘর’।

ব্যক্তিগত জীবনে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অত্যন্ত রুচিবান ও মিতব্যয়ী। রাষ্ট্র পরিচালনার সময়ও তিনি অপচয় এবং বড় বড় প্রদর্শনমূলক প্রকল্প পছন্দ করতেন না, যা তিনি মূলত শিখেছিলেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিহিংসা দিয়ে দেশ গড়া সম্ভব নয়। এমনকি গত দেড় দশকে তাঁর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চরম নির্যাতন, কারাবরণ এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদের মতো ঘটনাও তাঁকে তাঁর আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। দুই সন্তানের নির্বাসন এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুও তাঁকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি করাতে পারেনি। আজ তাঁর এই মহাপ্রয়াণে বাংলাদেশ কেবল একজন রাজনীতিবিদকে হারায়নি, বরং হারিয়েছে দেশের আত্মমর্যাদার এক অকৃত্রিম অভিভাবককে। তাঁর এই শূন্যতা দীর্ঘ সময় ধরে এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনুভূত হবে।


দল থেকে ছিটকে গেলেন রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৮:৫৬:২০
দল থেকে ছিটকে গেলেন রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঘটনার মূলে রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব। বিএনপি এবার এই আসনটি তাদের দীর্ঘদিনের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই লক্ষ্যে জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে জোটের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে এই আসন থেকে বিএনপির শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। জোটের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

রুমিন ফারহানা এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি দল থেকে সম্মানজনকভাবে পদত্যাগ করেই নির্বাচনের মাঠে নামবেন। তবে পদত্যাগ করার আগেই দল তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিএনপি এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ এখন এক ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে রুমিন ফারহানার অনুসারীরা এই বহিষ্কারের পর কী ভূমিকা পালন করবেন, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১২:৫৭:১২
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন হবে যেখানে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপসহীন নেতৃত্ব ও দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই নেত্রী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৬টায় ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেত্রীর প্রস্থানকে একটি যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজধানীর জিয়া উদ্যানে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুসরণ করেই সম্পন্ন করা হবে।

বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি ছিলেন দেশের রাজনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তার মৃত্যুতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত