Banner

আয়ের দৌড়ে শীর্ষ নেতাদের পেছনে ফেললেন নুর, হলফনামায় নতুন চমক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ২১:৪৮:২৭
আয়ের দৌড়ে শীর্ষ নেতাদের পেছনে ফেললেন নুর, হলফনামায় নতুন চমক
ছবি: কোলাজ ইত্তেফাক

বাংলাদেশের রাজনীতির উদীয়মান মুখ এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বার্ষিক আয়ের হিসাবে দেশের অনেক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে লড়াই করতে যাওয়া নুরের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাঁর বর্তমান বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা। এই আয়ের অঙ্ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের ঘোষিত আয়ের চেয়েও অনেক বেশি।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নুরের আয়ের প্রধান উৎস হলো ব্যবসা, যেখান থেকে তিনি বছরে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা আয় করেন। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে তাঁর ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা আয় আসে। বিপরীতে তারেক রহমানের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা এবং ডা. শফিকুর রহমানের আয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে বার্ষিক আয়ে এগিয়ে থাকলেও মোট সম্পদের হিসাবে নুর অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। নুরের মোট সম্পদ ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪১ টাকা দেখানো হলেও তারেক রহমানের সম্পদ রয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার কাছাকাছি।

নুরুল হক নুরের সম্পদের খতিয়ানে উল্লেখ রয়েছে, তাঁর কাছে নগদ ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা এবং ব্যাংকে প্রায় ৩ লাখ টাকা জমা আছে। পৈতৃক সূত্রে তিনি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকার আমানত লাভ করেছেন। এছাড়া পটুয়াখালীতে তাঁর নামে ৮২ ডেসিমেল এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের নামে ৩ একর কৃষিজমি রয়েছে। পেশায় শিক্ষিকা মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা। নুরের বিরুদ্ধে বর্তমানে বিভিন্ন আদালতে ৬টি মামলা চলমান রয়েছে এবং এর আগে তিনি ৮টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

জোটগত সমঝোতার কারণে নুরের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি, যার ফলে নুরের জয়ের পথ অনেকটা সুগম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেখানে সাবেক বিএনপি নেতা হাসান মামুন স্বতন্ত্র হিসেবে এবং নুরেরই দলের শহিদুল ইসলাম ফাহিম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় লড়াই হবে ত্রিমুখী। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের আগে নুরের এমন উচ্চ আয়ের তথ্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে।


ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুলের সম্পদের পাহাড়? হলফনামায় মিলল বড় তথ্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৯:১৩:৫৮
ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুলের সম্পদের পাহাড়? হলফনামায় মিলল বড় তথ্য
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে, তাতে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ টাকা। এছাড়া হলফনামায় তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৩ টাকা।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মির্জা ফখরুলের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৫ একর কৃষি জমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া ঢাকার পূর্বাচলে তাঁর মালিকানায় রয়েছে ৫ কাঠা জমি, যার আনুমানিক মূল্য ৮৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। ভবন ও আবাসিক সম্পদের তালিকায় রয়েছে ঢাকায় ১৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট (মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা) এবং ৪ শতাংশ জমি। তাঁর স্ত্রীর নামেও ঠাকুরগাঁওয়ে অকৃষি জমি এবং পৈতৃক বাড়ি রয়েছে, যার সম্মিলিত মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকার উপরে।

অস্থাবর সম্পদের বর্ণনায় দেখা যায়, মির্জা ফখরুলের হাতে নগদ ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১৬ টাকা রয়েছে এবং তাঁর স্ত্রীর কাছে রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩০ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে জমা রয়েছে প্রায় ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এছাড়া তাঁর ২টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ১০ ভরি সোনা এবং ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা (হুরমত আলী মার্কেটের শেয়ার), ইজাব গ্রুপের পরামর্শক সম্মানী এবং নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সম্মানী ভাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

হলফনামার অন্যতম আলোচিত অংশ হলো তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা। মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মোট ৫০টি মামলা হয়েছিল। তবে এর বেশিরভাগই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এবং বর্তমানে আদালতের নির্দেশে স্থগিত, প্রত্যাহার বা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে এসব মামলার কোনোটিই তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নয় বলে তিনি হলফনামায় অঙ্গীকার করেছেন।


খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় থেকে হাসিনা মুক্তি পাবেন না: নজরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৮:৫৭:৫৪
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় থেকে হাসিনা মুক্তি পাবেন না: নজরুল
জানাজার আগে খালেদা জিয়ার জীবনের নানা ঘটনার বর্ণনা দেন নজরুল ইসলাম খান। বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজার আগে সমবেত লাখো মানুষের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, “দেশনেত্রীকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় থেকে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা কখনও মুক্তি পাবেন না।” বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার আগে তিনি বেগম জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং কারাজীবনে তাঁর ওপর হওয়া অমানবিক আচরণের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, দেশবাসী সাক্ষী—খালেদা জিয়া হেঁটে কারাগারে প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু নির্জন কারাগারে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে তিনি চরম অসুস্থ হয়ে বের হয়েছিলেন।

নজরুল ইসলাম খান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত করেছিলেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা কেবল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য দেশনেত্রীকে তাঁর শহীদ স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।” তিনি আরও যোগ করেন, যারা খালেদা জিয়াকে গৃহহীন করেছে, তারা আজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং অনেকে রান্না করা খাবার পর্যন্ত খেতে পারেনি। অন্যদিকে, খালেদা জিয়া সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে আজ কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।

বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কথা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান জানান, তিনি খুব পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন এবং ফুলের প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ। ১৯৬০ সালে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া থেকে শুরু করে ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে তাঁর অনিবার্য যোগদানের ইতিহাস বর্ণনা করেন তিনি। তাঁর ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ৪১ বছরই তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে থেকে ৯ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছেন।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়াকে তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কেউ আপসে বাধ্য করতে পারেনি। তিনি সবসময় বলতেন, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই।’ তাঁর এই অটল দেশপ্রেম এবং অনমনীয়তার কারণেই তিনি আজ ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রইলেন। জানাজায় উপস্থিত লাখো মানুষ এই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং হাত তুলে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


কেন তিনি ‘আপসহীন’? খালেদা জিয়ার জীবনের অজানা অধ্যায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৮:২৮:০৬
কেন তিনি ‘আপসহীন’? খালেদা জিয়ার জীবনের অজানা অধ্যায়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়াকে আলাদা করে চেনা যায় তাঁর অটল সিদ্ধান্তের দৃঢ়তায়। ১৯৮১ সালে স্বামী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর যখন বিএনপি এক টালমাটাল পরিস্থিতির মুখোমুখি, তখন এক সাধারণ গৃহবধূ থেকে ১৯৮৪ সালে দলের হাল ধরেন তিনি। তবে তাঁর রাজনৈতিক চরিত্রের আসল পরীক্ষা শুরু হয় স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের আমলে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে যেখানে অন্য দলগুলো অংশ নিয়েছিল, সেখানে খালেদা জিয়া একচুলও নতি স্বীকার করেননি। তাঁর সেই আপসহীন অবস্থানই ১৯৯১ সালে তাঁকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসায়।

খালেদা জিয়ার জীবনে ‘আপসহীন’ অভিধাটি কেবল একটি তকমা নয়, বরং এটি তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা কার্যকর করার চেষ্টা চলছিল, তখন খালেদা জিয়াকে দেশ ছাড়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিদেশে তাঁর কোনো জায়গা নেই। এই অনমনীয় মনোভাবের কারণেই তৎকালীন সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ কারাবাস ও রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করলেও তিনি কখনো ক্ষমতার লোভে আদর্শ বিসর্জন দেননি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তাঁর ওপর পাহাড়সম চাপ ছিল। ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হওয়ার আগে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে বিরোধীরা রটিয়েছিল যে তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু সব রটনা ভুল প্রমাণ করে তিনি দেশে ফেরেন এবং আইনি লড়াই ও কারাবরণ বেছে নেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে অংশ না নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, সরকারের বৈধতা দেওয়ার চেয়ে গণতান্ত্রিক দাবিতে অনড় থাকা তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ তাঁর ‘খালেদা’ বইয়ে যথার্থই লিখেছেন যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দলীয়ভাবে অনেক চড়া মূল্য দিতে হলেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পূর্ণ মুক্তি পেলেও তাঁর এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রমাণ করে—সব আপস রাজনৈতিক লাভ আনে না, আর সব অনমনীয়তাও পরাজয় নয়। তাঁর জীবন ও রাজনীতি বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরকাল এক অপরাজেয় শক্তির প্রতীক হয়ে থাকবে।


জনসেবা ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস রেখে গেলেন তিনি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৮:১৯:১০
জনসেবা ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস রেখে গেলেন তিনি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এক আবেগঘন ও স্মৃতিবিজড়িত বার্তা দিয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তাঁর মাকে ‘এক মমতাময়ী মা’ এবং ‘দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তারেক রহমান লিখেছেন যে, বেগম জিয়ার কাছে তাঁর নিজের পরিবারের চেয়েও এই দেশ এবং দেশের মানুষ ছিল অনেক বড় সত্তা ও অস্তিত্ব।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়া আজীবন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি বারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং দীর্ঘ সময় সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চরম একাকিত্ব আর অনিশ্চয়তার মাঝে থেকেও তিনি অদম্য সাহস ও দেশপ্রেম নিয়ে টিকে ছিলেন। তারেক রহমানের মতে, মা হিসেবে তিনি ছিলেন পরিবারের অভিভাবক আর দেশনেত্রী হিসেবে ছিলেন জাতির পথপ্রদর্শক। এমন একজন আলোকবর্তিকাকে হারিয়ে আজ পুরো দেশ শোকাহত।

তারেক রহমান তাঁর পোস্টে আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, দেশের স্বার্থে খালেদা জিয়া স্বামী হারিয়েছেন এবং আদরের সন্তানকেও হারিয়েছেন। নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে তিনি রেখে গেছেন জনসেবা আর ত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যেভাবে দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন, তা তাঁর পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য শক্তির উৎস হয়ে থাকবে বলে তিনি জানান।

পোস্টের শেষ অংশে তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাঁর মায়ের প্রতি সাধারণ মানুষের এই অকৃত্রিম আবেগ, ভালোবাসা আর বিশ্বজুড়ে যে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে, তার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবার চিরকৃতজ্ঞ। তিনি দেশবাসীকে তাঁর মায়ের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। এই শোকাবহ সময়ে তারেক রহমানের এমন সহজ অথচ গভীর বার্তায় নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয়েছে আবেগঘন পরিবেশ।


কত টাকার মালিক হাসনাত? সম্পদের হিসাব প্রকাশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১৩:০৭:৪৮
কত টাকার মালিক হাসনাত? সম্পদের হিসাব প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা–৪ (দেবিদ্বার) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা সোমবার দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলামের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং বার্ষিক আয়ের সমন্বয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি তাঁর নামে ব্যাংকে জমাকৃত সোনার মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা, যা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরে তাঁর ঘোষিত বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। পেশাগত পরিচয়ে তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর কোনো কৃষিজমি নেই এবং তিনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নন।

ব্যক্তিগত সম্পদের খতিয়ান অনুযায়ী, তাঁর মালিকানায় রয়েছে আনুমানিক ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং ৬৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। এ ছাড়া তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত মূলধনের পরিমাণও দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা বা অভিযোগ বিচারাধীন নেই। একই সঙ্গে তাঁর পিতা-মাতা, স্ত্রী কিংবা সন্তানের নামে কোনো ব্যাংক ঋণ বা আর্থিক দায় নেই বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকে গৃহিণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

-রাফসান


জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন: মানিক মিয়ার পথে বেগম জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১২:০৩:৪৪
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন: মানিক মিয়ার পথে বেগম জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার রাজপথ এখন এক ঐতিহাসিক শোকযাত্রার সাক্ষী। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী জাতীয় পতাকায় মোড়ানো গাড়িটি বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ০৪ মিনিটে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের গুলশানের ১৯২ নম্বর বাসভবন থেকে জানাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। কড়া পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় এই গাড়িবহরটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে, যেখানে আজ বাদ জোহর দুপুর ২টায় তাঁর শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এই শোকাবহ যাত্রাটিতে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরাও শরিক হয়েছেন। গাড়িবহরে থাকা একটি বিশেষ লাল-সবুজ বাসে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। এছাড়া প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর পরিবার এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও এই বহরে রয়েছেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গুলশানের এই বাসভবনে আত্মীয়-স্বজন ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা বরেণ্য এই নেত্রীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু করে খেজুরবাগান ও বিজয় সরণি পর্যন্ত এলাকায় বিজিবির ২৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কয়েক লাখ মুসল্লি ইতিমধ্যেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হয়েছেন। জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।


শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তারেক রহমানের বাসায় নেতাকর্মীদের ভিড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩১ ১১:০৯:৩৫
শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তারেক রহমানের বাসায় নেতাকর্মীদের ভিড়
ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায় এক বিশেষ পরিবর্তন দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করার পর প্রাথমিকভাবে তাঁর দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশানে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের ১৯২ নম্বর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনটি বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি কড়া পুলিশ পাহারায় এই বাসভবনে প্রবেশ করে।

তারেক রহমানের গুলশানের এই বাসভবনেই এখন দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, ঘনিষ্ঠ স্বজন ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা বরেণ্য এই নেত্রীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এর আগে সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করার সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরোটা পথ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ পাহারায় মরদেহবাহী গাড়ি বহর নিয়ে আসা হয়। ভোর থেকেই এভারকেয়ার ও গুলশান এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ করা গেছে।

গুলশানের বাসায় সীমিত পরিসরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেগম জিয়ার মরদেহ জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জোহর দুপুর ২টায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে, যাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। প্রিয় নেত্রীকে শেষবার দেখার জন্য মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে করে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।


এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ২০:১০:১১
এবার এনসিপি প্রার্থী ডা. মিতুকে হত্যার হুমকি
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নির্বাচনী লড়াই শুরুর আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী এবং দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. মাহমুদা মিতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান যে, একটি বিশেষ বিদেশি নম্বর থেকে তাঁকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ডা. মিতু তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, তিনি জোটের হয়ে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট গল্প বানিয়ে চরিত্র হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জোটের খবর আওয়ামী লীগের পুচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে আমি ভয় পাচ্ছি না এবং বিচলিতও নই।” তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে তাঁর বিরুদ্ধে এআই (AI) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও বা আপত্তিকর ছবি তৈরি করে অপপ্রচার চালানো হতে পারে। তাঁর স্বামীও বিষয়টি নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছেন বলে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন।

এই হুমকির ঘটনায় ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে একজন নারী প্রার্থীর নিরাপত্তা ও সাইবার বুলিংয়ের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ডা. মিতু তাঁর অনুসারীদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তিনি এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন।

এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বিষয়টি তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ডা. মাহমুদা মিতু বা তাঁর পক্ষ থেকে থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ওসি আরও যোগ করেন যে, অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব বলে তিনি মন্তব্য করেন।


ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৯:১৮:৩০
ভোটের মাঠে বাবার মুখোমুখি হান্নান মাসউদ
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ (বাম থেকে) ও তার বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক। কোলাজ: ইত্তেফাক

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবা ও ছেলের প্রার্থী হওয়ার খবর এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে তাঁরা স্ব-স্ব দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ আব্দুল হান্নান মাসউদ তাঁর নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। অন্যদিকে তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ‘একতারা’ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। একই পরিবার থেকে এবং একই আসন থেকে বাবা-ছেলের এই দ্বৈরথকে সাধারণ মানুষ নবীন ও প্রবীণের এক প্রতীকী লড়াই হিসেবে দেখছেন।

এই ব্যতিক্রমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন যে, তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও সংসদীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য একেবারেই নতুন। তিনি আরও জানান যে, হাতিয়া আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তাঁর বাবা একজন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ব্যক্তি এবং বাবার এই সাহসকে তিনি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। মাসউদের মতে, ভোটের ময়দানে বাবার কাছ থেকে তাঁর নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হবে এবং তিনি এই লড়াইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তাঁর বাবা আব্দুল মালেকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাতিয়া আসনে এবার মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হকও রয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাবা-ছেলের এই প্রার্থিতা ভোটের মাঠে জনসমর্থনের মেরুকরণে এক বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত