‘না ভোট’ বিএনপির প্রস্তাব নয়, দাবি নজরুল ইসলাম খানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৯:২৩:০৪
‘না ভোট’ বিএনপির প্রস্তাব নয়, দাবি নজরুল ইসলাম খানের
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ‘না ভোটের’ প্রস্তাব বিএনপি করেনি বলে জানান।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোট’ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘না ভোটের’ প্রস্তাব বিএনপি করেনি, এটি কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির পরামর্শে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আরপিওতে আসলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানাবে, তখন এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ইসি কাজ করছে, এমন তথ্য জানার পর নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা জানতে এসেছেন এটি কিসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। তিনি প্রবাসী ভোটারদের বিষয়ে বলেন, সিইসি জানিয়েছেন যাদের এনআইডি এবং ই-পাসপোর্ট আছে তাদের সবাইকেই ভোটের আওতায় আনা যাবে। বিএনপি নরমাল পাসপোর্টধারীদেরও ভোটারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো দলের ভেতরে আলোচনা হয়নি এবং তফসিল ঘোষণার পরে আলোচনা হবে।

নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


জুলাই সনদের খসড়ায় ‘অসামঞ্জস্য’ আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৭:৩৭:০৭
জুলাই সনদের খসড়ায় ‘অসামঞ্জস্য’ আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।ছবি: সংগৃহীত

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় কিছু বিষয়ে বিএনপি ‘অসামঞ্জস্য’ দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে শিগগিরই মতামত জানানো হবে।

রবিবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমকে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারা গত শনিবার খসড়া হাতে পেয়েছেন। তার মতে, “কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা আছে এবং কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।” তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের মতামত জানানোর কথা বলেন।

একই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জুলাই সনদে ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি ছাড় দিয়েছে এবং সহযোগিতা করেছে। এখন বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, সনদকে সাংবিধানিক রূপ দিতে হলে সংসদে যেতে হবে। যারা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নানা দাবি তুলছেন, তারা আসলে ব্যর্থ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছেন।

গত শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠিয়েছে। এতে সাংবিধানিক ও আইনি বৈধতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সনদে রয়েছে রাজনৈতিক ঐকমত্যে গৃহীত ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের আটটি অঙ্গীকারনামা। তবে এতে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার স্পষ্ট কোনো উল্লেখ নেই।

উল্লেখ্য, কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস বাড়ানো হয়েছে। সনদ চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক করার কথা রয়েছে।


তারেক রহমানের ৩১ দফা তুলে ধরার আহ্বান এস এ জিন্নাহ কবিরের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৩:০৯:৫০
তারেক রহমানের ৩১ দফা তুলে ধরার আহ্বান এস এ জিন্নাহ কবিরের
ছবিঃ সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার রোহা বাজারে খলশী ইউনিয়ন বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত এক প্রচারণা সভায় কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট চাইতে গিয়ে কৃষক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জর্জরিত করেছে। পাশাপাশি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কটূক্তি করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এ জিন্নাহ কবির আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও জনগণ প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফার মধ্যেই কৃষক, শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, আন্দোলনের সময়ে যারা মাঠে অনুপস্থিত ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন মনোনয়নের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল মেম্বার। এতে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা হাবিব উল্লাহ নোমানী, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন, জেলা যুবদল নেতা আসিফ ইকবাল রনি, আখতারুজ্জামান আখতার, মমিনুল ইসলাম মমিনসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

-রাফসান


শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ও: এ্যানি চৌধুরী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১২:৫৭:৫৩
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ও: এ্যানি চৌধুরী
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ কেবল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নয়, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকেও রেহাই দেয়নি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তার নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও হত্যার শিকার হয়েছেন। এমনকি নিরপরাধ শিশুরাও সেই দমননীতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে লক্ষ্মীপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই ভূখণ্ডে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সবাই বাংলাদেশী পরিচয়ে আবদ্ধ। আর পশ্চিমবঙ্গে যারা আমাদের মতো বাংলায় কথা বলেন, তারা বাঙালি।”

এ্যানি চৌধুরী দাবি করেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরাই পাহারা দিয়েছেন। তার মতে, বিএনপি সবসময়ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থেকেছে।

এদিন জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রাটি শহরের শ্যামসুন্দর জিউ আখড়ার সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মী, ভক্ত, নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শিশু-কিশোরদের অনেকে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার সাজে শোভাযাত্রায় যোগ দিলে তা দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।

সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শৈবাল কান্তি সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্লাহ, লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন মণ্ডল, ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ সখাবেশ বলরাম গোপাল দাস ব্রহ্মচারী, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাজ বিজয় চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক জুটন কুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভানু নাগ এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা প্রতীতি প্রমা।

বক্তারা বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সমাজ গঠনের জন্য সব ধর্মের মানুষকে নিজ নিজ ধর্মচর্চার মাধ্যমে জীবন দর্শন আয়ত্ত করতে হবে। ধর্মের মূল শিক্ষাগুলো লোভ, হিংসা ও অসততা থেকে মুক্ত হয়ে একজন মানুষকে পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত করে।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল গীতাযজ্ঞ, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কৃষ্ণকথা আলোচনা, মহা অভিষেক এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ। এসব আয়োজন ধর্মীয় উৎসবকে শুধু আধ্যাত্মিকতায় নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত করে।

-রাফসান


ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর সতর্ক বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১১:৫০:৫২
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর সতর্ক বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ রাজধানীর বাংলামোটরে এক আলোচনা সভায় বলেন, আগের মতো প্রশাসননির্ভর বা ওসিনির্ভর নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ আর চায় না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা দেন, এনসিপি কখনোই আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার রাজনীতিতে যাবে না, কারণ এমন নির্বাচন মানে হবে “মধ্যরাতের ভোট” পুনরাবৃত্তি। তার মতে, জনগণের সামনে প্রকৃত বিকল্প থাকা অপরিহার্য, আর সেই বিকল্পই গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এনসিপি কোনো অবস্থাতেই কেনাবেচার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমাদের আসন সমঝোতার লোভ দেখিয়ে কেনা যাবে না, আমরা বিক্রি হতে আসিনি। আমাদের লক্ষ্য নতুন বাংলাদেশ গড়া।” তিনি উল্লেখ করেন, জনগণের আস্থাই এনসিপির শক্তি, আর সেই আস্থা থাকলেই তারা টিকে থাকবে।

তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক তীব্র সমালোচনা করে বলেন, অতীতে সচিবালয়ে বিকেল ৫টায় অফিস শেষ হওয়ার আগেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে গুলশান, পল্টন কিংবা ধানমন্ডি ৩২-এ “লাইন ধরা” শুরু হতো। এ ধরনের প্রথা কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারেনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, ৫ আগস্টের যে পরিস্থিতি পরিবর্তনের সূচনা করেছে, যদি সেই কারণগুলো বিদ্যমান রাখা হয়, তবে ৫ বা ১০ বছর পর দেশে আবারও গণপ্রতিরোধ দেখা দিতে পারে।

দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্ট অবস্থান নেন। তিনি বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, আমরা নাকি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নেই। দেশের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিকের সামনে আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি—কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে, আমি বা আমার সহযোদ্ধারা এক টাকার দুর্নীতি করেছি, তবে আমি রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেব।” তার অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে, অথচ কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির করা হয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকায়ও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কি কখনো দেখা গেছে যে একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন? তার মতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কার্যত লন্ডনে থেকেই এ সরকারকে “বিক্রি করে দিয়েছেন।”

ভবিষ্যৎ নির্বাচনী কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু নির্বাচন ঘোষণাই যথেষ্ট নয়; বরং রাজনৈতিক খেলার নিয়মই বদলাতে হবে। অতীতে দেখা গেছে, রেফারি নিজেই গোল দিয়েছেন, প্রশাসন খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। এবার নিয়ম এমন হতে হবে—রেফারি রেফারি থাকবে, খেলোয়াড় খেলোয়াড় থাকবে, প্রশাসন থাকবে নিরপেক্ষ। এ ছাড়া জনগণের সামনে প্রকৃত বিকল্প দাঁড় করানো না গেলে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফিরে আসবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত। সেটা নভেম্বর, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতেই হোক না কেন। তবে অবশ্যই এটি হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন, যেখানে জনগণ আসলেই বিকল্প পাবে। জনগণ যদি এনসিপিকে প্রত্যাখ্যান করে, তবে তারা সেই রায় মেনে নেবে। কিন্তু কোনো ধরনের সমঝোতা বা সাজানো নির্বাচনকে তারা মেনে নেবে না।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব জহুরুল ইসলাম, আরিফ সোহেল ও ফরিদুল হক। বক্তাদের অভিমত ছিল এক—বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জনগণকে কেন্দ্র করেই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে, আর সেই পথই হবে প্রকৃত গণতন্ত্রের পথ।

-রাফসান


“বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যায় না”- ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১১:২১:০৭
“বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যায় না”- ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সমাজে অনেকেই ধর্মের কথা বলেন, কিন্তু তাদের কথার সঙ্গে কাজের সামঞ্জস্য থাকে না। এ ধরনের ভণ্ডামি তাকে ব্যথিত করে। তিনি বলেন, আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন এবং প্রশ্ন করুন—জনগণের মধ্যে আপনাদের অবস্থান কী? জনগণ কখনও কি সত্যিই আপনাদের প্রতি আস্থা রেখেছিল? বিএনপি সেই দল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পালায়নি বা আত্মসমর্পণ করেনি; বরং অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশকে স্বাধীন করেছে।

শনিবার মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বেলা ১১টায় সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাকশালের কবরের ওপর বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এ দলই সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষার জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দল নয়। তাই বিএনপির সমালোচনা করা হোক, তবে সেটি হতে হবে তথ্যভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত, বিভ্রান্তিকর নয়।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন। তার সুস্থতার জন্য যারা দোয়া, রোজা, সাদকা, ওমরাহ ও তাওয়াফ করেছেন তাদের প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করেন এবং বলেন, আমরা ইলিয়াস আলী, দিনার, জুনেদসহ হাজার হাজার ভাইকে হারিয়েছি। অনেকেই গুম হয়েছেন, অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তাদের পুনর্বাসনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকাল অনেকে এমন ভাষায় কথা বলেন যা গণতন্ত্রের ভাষা নয়; বরং কর্তৃত্ববাদী শাসকের ভাষা। কিন্তু বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে গণতন্ত্রে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তিনি বলেন, ছাত্র-যুবসমাজের ভবিষ্যৎ, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য, বিচারব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।

জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ধর্মের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আমরা চাই, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শামিল আছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ আসবে এবং ইনশাআল্লাহ বিএনপি সেই লক্ষ্য অর্জন করবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে যে আশ্বাস দিয়েছেন, বিএনপি তাতে আস্থা রাখতে চায়। তাই বিভেদ নয়, কাদা ছোড়াছুড়ি নয়; বরং জনগণের ভাষা বুঝে তাদের কাছে যেতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই ৩১ দফা রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরেছে। অন্যরাও তাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জনগণের কাছে যাক। শেষ পর্যন্ত জনগণ যাকে ভালোবাসবে, তাকেই গ্রহণ করবে।

-রফিক


"বিএনপি ভোটাধিকার রক্ষায় আপসহীন"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১১:১৫:০৮
"বিএনপি ভোটাধিকার রক্ষায় আপসহীন"
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, দেশে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, তবে বিএনপি কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি সবসময় মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলন করে আসছে এবং সেই গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই অব্যাহত থাকবে। তার মতে, সাধারণ মানুষের ভোটের মাধ্যমেই একটি সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, আর সেই লক্ষ্যেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার ইউনিয়নের আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া কখনো আপস করেননি, বরং সবসময় জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও”। তার এই অবস্থান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আজও দলের জন্য প্রেরণার উৎস।

বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার ন্যায়ভিত্তিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বারবার বলেছেন, রাষ্ট্রের কাঠামো যদি ন্যায়ভিত্তিক না হয় তবে জনগণ কখনো তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে না। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তারেক রহমান “৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো” প্রস্তাব করেছেন, যার লক্ষ্য একটি আত্মনির্ভরশীল ও শক্তিশালী জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দেওয়া।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সহ-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ। তিনি সরকারের দমননীতি ও বিচার ব্যবস্থার সংকটের সমালোচনা করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আইনজীবী সমাজেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম শফিউল আজম শাহিনের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের বহু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

-শরিফুল


গাইবান্ধায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১০:৫৪:২০
গাইবান্ধায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
ছবিঃ সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক নেতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, যা পুরো এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের বাগুরার বিলের ধারে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৩৪)। তিনি শীতলগ্রাম ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন এবং গ্রামের মৃত তোফাজ্জল ইসলামের ছেলে। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য শীতল গ্রাম বাজারে একটি মুদি দোকান চালাতেন এবং বিকাশ এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, নজরুল ইসলাম প্রায়ই দোকানেই রাত কাটাতেন। শনিবার রাতেও ধারণা করা হয়েছিল তিনি দোকানে ছিলেন। কিন্তু রবিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন পথচারী বিলের ধারে রক্তাক্ত এক মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে সেখানে এগিয়ে যান এবং পরে বুঝতে পারেন নিহত ব্যক্তি নজরুল ইসলাম। খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তার ছোট ভাই নাজিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নজরুলের ব্যবসার কারণে অনলাইন জুয়াড়ি ও হ্যাকার চক্রের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এসব চক্র অবৈধভাবে বিকাশ থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করত, কিন্তু নজরুল তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করতেন। এ কারণে তারা নজরুলকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। নাজিরুলের দাবি, শনিবার রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে ওই চক্রের সদস্যরাই তার ভাইকে গলা কেটে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেসব অনলাইন জুয়াড়ি ও হ্যাকার সক্রিয় রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারলেই হত্যার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।

নাকাই ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইসলাম ছিলেন সংগঠনের একজন নিবেদিতপ্রাণ ও পরিশ্রমী কর্মী। তিনি শুধু সংগঠনের কাজে সক্রিয় ছিলেন না, বরং সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডে সংগঠন ও এলাকাবাসীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আশরাফুল এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। হত্যার পেছনের কারণ উদঘাটন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

একজন রাজনৈতিক কর্মী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অনেকের মতে, অনলাইন জুয়া ও হ্যাকিং চক্র দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সক্রিয়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। নজরুল ইসলামের মৃত্যু সেই অপরাধী নেটওয়ার্কের ভয়াবহতারই প্রতিফলন। এখন এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, দ্রুত তদন্ত শেষ করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হবে এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়।

-রফিক


জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে রাজপথে নামব: আখতার হোসেন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ২১:২৫:৩৬
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে রাজপথে নামব: আখতার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

টেবিলের আলোচনায় নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হলে রাজপথে নামতে দেরি করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদকে কাগুজে বাঘ হিসেবে দেখতে চায় না এনসিপি। বর্তমান সরকারের সময়েই এর বাস্তবায়ন চান তারা। তিনি মনে করেন, লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকেই সংস্কার শুরু করতে হবে এবং পরবর্তী সরকার এসে তা সম্পন্ন করবে।

এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনেক বিষয়ে একমত হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ম্রিয়মাণ। তিনি মনে করেন, কমিশন একটি বা দুটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাও অপূর্ণাঙ্গ, কারণ এতে সংস্কার করা সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আখতার হোসেন জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। যদি টেবিলের আলোচনায় নতুন সংবিধানের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে তারা রাজপথে নামতে দেরি করবেন না। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি পুরনো নিয়ম ভেঙে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন যেকোনো সময় হতে পারে, তবে তা পুরনো ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে নয়, নতুন ব্যবস্থায় হতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, আরিফ সোহেল প্রমুখ।


সরকারকে লন্ডনে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে:হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ২১:১৭:৩৯
সরকারকে লন্ডনে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে:হাসনাত আব্দুল্লাহ
বাংলামোটরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারপ্রধান লন্ডনে গিয়ে একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে ‘সিজদা’ করে এসেছেন এবং সেদিনই সরকারকে সেখানে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার বাংলামোটরে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, বর্তমান মিডিয়া বেশিরভাগই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করছে। তিনি প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে বলেন, এখন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা অফিস শেষ হওয়ার আগেই গুলশান বা পল্টনের দিকে রওনা হন, যা আগে ধানমন্ডি ৩২ বা গুলিস্তানে দেখা যেত। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে এনসিপির প্রতি বৈরিতা থাকলেও তা রাজনৈতিক বাস্তবতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে তিনি মনে করেন।

দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন, তবে তিনি ও তার সহকর্মীরা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নয়, তবে নির্বাচনের নিয়ম (‘রুলস অব দ্য গেম’) বদলাতে হবে এবং নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ পুরোনো সংবিধানকে ‘ফ্যাসিবাদের পাঠ্যবই’ আখ্যায়িত করে একটি নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, তাদের দলকে আসন দিয়ে কেনা যাবে না এবং তারা বিক্রি হন না।

পাঠকের মতামত: