প্রধান উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, যারা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিরোধী এবং রাতের নির্বাচনের পক্ষে, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, যারা পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র) এবং সংস্কার চান, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করবেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর জনগণের আন্দোলনের ফলে যারা ক্ষমতায় বসেছিল, তারা এখন ‘রাবণে’ পরিণত হয়েছে। জনগণের জীবন দেওয়া, রক্ত দেওয়া শেষ হচ্ছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড. তাহের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিতের পর নির্বাচন হবে। কিন্তু এখন সংস্কার নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আপনি যদি খেলা মনে করে আমাদের এঙ্গেইজ করেন, তাহলে আপনি ঠিক করেন নাই।”
তিনি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন না, বরং চান এই সময়কে এগিয়ে ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ আনা হোক। তিনি আরও বলেন, জামায়াত ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে প্রস্তুত।
তিনি সংস্কার নিয়ে গণভোটের দাবি জানিয়ে বলেন, “জনগণ যা বলবে, আমরা তা মেনে নেব।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য বিএনপি সহ সব দলের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, “আমরা ইন্টার পার্টি ডায়ালগ, বৈঠক করি। সবাই মিলে রাউন্ডটেবিল করি। সত্যিকারে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার সমোঝোতায় আসি, এবং উৎসবমুখর একটি নির্বাচন জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করি।”
সামেন ও ব্র্যাকের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পার্থক্য কমে আসছে। আরও ৫ মাস আছে সামনে। আরও অনেক চাঁদাবাজি ও দখল আছে, মানুষ মেরে ফেলার সম্ভাবনা আছে, তখন পার্সেন্টেজ আরও কমবে।
ইসির সংলাপে নাটক: ঐক্যজোটের এক অংশকে বের করে দিল আরেক পক্ষ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে এসে দলীয় কোন্দলের জেরে ইসলামী ঐক্যজোটের একটি অংশকে সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংলাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটে।
ওই সময় অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং সংলাপে আমন্ত্রিত ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সংলাপ শুরুর কয়েক মিনিট আগে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হলরুমে প্রবেশ করে। তারা দেখতে পান, হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন দলটির অন্য অংশের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে আগে থেকেই বসে আছে।
এ সময় মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি অন্য অংশটিকে 'ফ্যাসিবাদের দোসর' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ইসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, "তারা বিগত নির্বাচনে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিয়েছে, তাই তারা এই সংলাপে থাকলে আমরা অংশ নেবো না।"
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উভয় পক্ষের কাছেই আমন্ত্রণপত্র দেখতে চান। মুফতি সাখাওয়াত রাজির নেতৃত্বাধীন অংশটি আমন্ত্রণপত্রের শারীরিক কপি বা হার্ডকপি দেখাতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, হাসানাত আমিনীর অনুসারীরা শুধু মোবাইলে থাকা আমন্ত্রণপত্রের কপি দেখান।
তখন ইসি সচিব ঘোষণা করেন, "হার্ডকপি না থাকলে আপনাদের চলে যেতে হবে।" এ সময় আমিনীর অনুসারীরা একাধিকবার অনুরোধ করলেও নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। ফলে, হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন অংশটিকে সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে হয়।
সংলাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই অংশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্তে আমাদের বের করে দিয়েছে। অথচ আমাদের নামেই দল নিবন্ধিত এবং আমাদেরই আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। ব্ল্যাকমেল করে আমন্ত্রণপত্র অন্য অংশটি নিয়ে গেছে।"
এই ঘটনার পর সংলাপ শুরু হয়। সংলাপের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আচরণবিধি ঠিকভাবে মেনে চললে সংলাপ এবং ভোট প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। তিনি দলগুলোকেও এই আচরণবিধি প্রচারে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
রোববার সকালের এই সংলাপে যে দলগুলো অংশ নেয়, সেগুলো হলো— গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট (রাজি অংশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।
২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তার মূলে লুকিয়ে ছিল কয়েকটি গোপন বৈঠক, বিশ্লেষণ কক্ষ এবং একটি বিশেষ টিম যারা নির্বাচনের সার্বিক ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছিল বলে একাধিক সূত্র দাবি করছে। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হয় সেই বছরের অক্টোবর মাসে, যখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় দেশের সব প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এক ব্যতিক্রমধর্মী বৈঠক।
বৈঠকে সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাঠামোর সব শীর্ষ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের প্রথম অংশে বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি এবং নির্বাচনে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে শেষ দিকে তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীর বক্তব্য বৈঠকের গতিপথই বদলে দেয়। তিনি সেখানে বলেন, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশ মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী এবং চাইলে ২৯০টি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসন, থানাসমূহে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং কেন্দ্রভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের জন্য সহজলভ্য হওয়ায় “ফলাফল পরিবর্তন” করতে কোনো বড় বাধা দেখা দেবে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা যিনি দায়িত্ব হারানোর আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করতে চাননি জানান, এই বৈঠকের পর জাবেদ পাটোয়ারী এক ধরনের নীরব চুক্তিতে বা বার্গেইনে ‘অপারেশন’-এর সামগ্রিক দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বেই গঠিত হয় একটি কার্যকর ও গোপন বিশেষ দল, যার পরিচিতি পরে ‘টিম জাবেদ’ নামে ছড়ায়।
এই সময়েই পুলিশ সদর দপ্তরের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কপোতাক্ষ’ কক্ষের অস্বাভাবিক ব্যবহার শুরু হয়। সাধারণ অফিস কক্ষটি পরিণত হয় ভোট বিশ্লেষণ, কৌশল প্রণয়ন এবং কেন্দ্রভিত্তিক ভোট নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কক্ষটিতে বসানো হয় আধুনিক কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ ডিজিটাল ডেটা অ্যানালাইসিসের সব সরঞ্জাম। সেখানে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা চারটি ভিন্ন জাতীয় নির্বাচনের (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮) কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করেন। লক্ষ্য ছিল প্রতিটি কেন্দ্রে কত ভোট “কাস্ট” করতে হবে, কোন কেন্দ্র ঝুঁকিগ্রস্ত এবং কোন এলাকায় কত প্রভাব প্রয়োগ করতে হবে এগুলো নির্ধারণ করা।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এএসপি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত মোট ৫৪ জন কর্মকর্তা কপোতাক্ষ কক্ষে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত অংশ নেন। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে তারা নির্বাচনের পরিকল্পিত ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন।
এই পুরো অপারেশনের সূত্রপাত আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একটি গোপন প্রতিবেদনে। ডিআইজি (পলিটিক্যাল) মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে প্রণীত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ১৪টি আসন পেতে পারে। এই রিপোর্ট ক্ষমতাসীন মহলকে হতবাক করে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত হয় নির্বাচনী মাঠকে নিয়ন্ত্রিত করার। এরপরই পুলিশ সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুম স্থাপন, টিম গঠন এবং নির্বাচনী কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়।
কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা সিটি এসবির ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, এজেডএম নাফিউল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার (পলিটিক্যাল), বিশেষ পুলিশ সুপার (গোপনীয়)সহ আরো অনেকে। নির্বাচনের রাতে কোথায় কত ফোর্স যাবে, কোন কেন্দ্র আগে ‘নিরাপদ’ করতে হবে, কোথায় বিরোধীদলের এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হবে না এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো এখান থেকেই।
‘টিম জাবেদ’ ছিল পুরো পরিকল্পনার কেন্দ্রে। এই টিমে ছিলেন সিটিটিসির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, এসবির অ্যাডিশনাল আইজিপি নাফিউল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি কাজী জিয়া উদ্দিন, এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি আনজুমান কালাম, এআইজি মিলন মাহমুদ, এআইজি মাহফুজুর রহমান আল–মামুন, আইজিপির স্টাফ অফিসার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনসুর আলম কাদেরী এবং কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের রাতে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেন।
সূত্রঃআমার দেশ
“আমার ভাই মেয়র হবে না, ভাগিনা চেয়ারম্যান নয়”
নোয়াখালী–৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট ও সদরের আংশিক) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির নেতা মো. ফখরুল ইসলাম নির্বাচনি গণসমাবেশে দাবি করেছেন, জনগণ ধানের শীষে ভোট দিলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই নদীভাঙন–কবলিত নোয়াখালী রূপান্তরিত হবে আধুনিক সিঙ্গাপুরে।
শনিবার বিকেলে কবিরহাটে অনুষ্ঠিত বিশাল নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেন, এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আরও অনেকেই, তবে যোগ্যদের মধ্য থেকেই দল তাঁকে বেছে নিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ভোট দেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দেওয়া, কারণ সেটি হচ্ছে তারেক রহমানের নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা।
সমাবেশে মো. ফখরুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেন যে নির্বাচিত হলে তিনি তাঁর এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থান নেবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাঁর কোনো ভাই মেয়র হবে না, কোনো ভাগিনা চেয়ারম্যান হবে না; বরং যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে এবং তাঁর বাসায় কাউকে দধি, মাছ বা মাংস নিয়ে যেতে হবে না। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, জনগণের সঙ্গে দেখা করতে কাউকে মামা বা খালুর শরণাপন্ন হতে হবে না এলাকার সাধারণ মানুষ যেকোনো সময় তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, দল তাঁকে মনোনয়ন দিলেও সবার কাছে তিনি সমানভাবে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারেন, কিন্তু সেই ব্যক্তিগত মতপার্থক্য ভুলে নোয়াখালীকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ধানের শীষকে জয়ী করতে হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন।
সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ এবং কবিরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
-রফিক
বিএনপির মনোনয়ন সংকট ও আসন–সমঝোতা
তরুণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে। চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে ২৩৭ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও দ্রুতই দলটি অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও সমন্বয় সংকটের মুখে পড়ে। ঘোষণার একদিন পরই মাদারীপুর–১ আসনের মনোনয়ন স্থগিত হয়, যা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিএনপির মনোনয়ন বণ্টন এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। বর্তমানে ৬৪টি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, যা নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি চলছে।
দলীয় সূত্র বলছে, যেসব আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, তার পেছনে দুটি বড় কারণ রয়েছে। প্রথমত, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য কিছু আসন ছাড়ার কৌশল; দ্বিতীয়ত, একাধিক হেভিওয়েট নেতার মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা। দলে দলে বিভাজন এড়াতে এবং মিত্রদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছাতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সচেষ্ট। তারা আশাবাদী তফসিল ঘোষণার আগেই, অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যেই সব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা যাবে।
৩ নভেম্বর ঘোষিত প্রাথমিক তালিকার পর প্রায় ২৩টি আসনে মনোনয়ন–বঞ্চিত নেতাদের ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গেছে। অনেক এলাকায় বিক্ষুব্ধ নেতারা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এই অভ্যন্তরীণ আক্ষেপ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বেশ চিন্তায় ফেলেছে। তাই বিভাগীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিরোধ থামাতে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারাও মনোনয়ন–প্রাপ্ত ও বঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে।
দলীয় নীতিনির্ধারকদের আরেকটি কৌশল হলো বিবাদপূর্ণ আসনগুলোতে মনোনীত প্রার্থীদের মাঠপর্যায়ের অবস্থান নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই। এ যাচাই শেষে কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিএনপি মনে করছে যথাযথ যাচাইই নির্বাচনি বিভ্রান্তি ও ভেঙে পড়া সংগঠনের ঝুঁকি কমাবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সব বিরোধপূর্ণ আসনে সমঝোতা আনার চেষ্টা চলছে। এখনো যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, সেগুলোও শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। তার ভাষায়,“আমরা নভেম্বরের মধ্যেই সব আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে সক্ষম হবো।”
দলটির সিনিয়র নেতারা মনে করেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা থাকায় সব ধরনের রাজনৈতিক সমন্বয় খুব দ্রুত করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যকে বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখার কৌশল হিসেবে। দলের উচ্চপর্যায়ের অভিমত তফসিল ঘোষণার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত এবং মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতা ছাড়া উপায় নেই।
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা শরিক দলগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তাদের দাবি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিনই মাঠে শোডাউন, গণসংযোগ ও নানা কর্মসূচি করছেন। কিন্তু জোটের প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক তালিকা না পাওয়ায় প্রচারে নামতে পারছেন না। এতে একই আসনে উত্তেজনা বাড়ার পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও বিভ্রান্ত হতে পারেন বলে তাদের আশঙ্কা।
বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, বিএনপি মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকায় প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন,“জোটের প্রার্থী তালিকা দ্রুত প্রকাশ করলে মাঠে কাজ শুরু করা সহজ হবে।”
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, বিএনপি আসন সমঝোতায় অগ্রগতি না করায় শরিকদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তিনি সতর্ক করেন এ অবস্থার অবসান না হলে গণতন্ত্র মঞ্চ বিকল্প রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
সাইফুল হক বলেন, জোট রাজনীতিতে ‘বিজয়ী হওয়া’ এবং ‘আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখা’ উভয়টিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি নিজ দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি শরিকদেরও জেতাতে সহায়তা না করলে ‘সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, শরিকদের সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। সমঝোতা হলে তা উভয় পক্ষই ঘোষণা করবে। তিনি আরও বলেন, যদি আরপিও সংশোধন না হয়, তাহলে নিবন্ধিত শরিকদের তাদের নিজ প্রতীকেই নির্বাচনে অংশ নিতে হতে পারে যা জোট রাজনীতিতে আরও নতুন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
সমগ্র রাজনৈতিক বাস্তবতা বলছে বিএনপি একদিকে অভ্যন্তরীণ মনোনয়ন সংকটে আছে, অন্যদিকে আসন–সমঝোতা নিয়ে মিত্রদের চাপ বাড়ছে। তফসিলের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রতিটি দিন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির ওপর চাপ -
- অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো,
- মিত্রদের সাথে সমঝোতা চূড়ান্ত করা,
- এবং নির্বাচনের আগে একীভূত রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করা।
এই তিনটি সমান্তরাল চ্যালেঞ্জ কত দ্রুত ও সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে সেই দিকেই এখন রাজনৈতিক মহলের দৃষ্টি।
-রফিক
"বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধানে সর্বপ্রথম ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসও জিয়াউর রহমানই যুক্ত করেছিলেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বহাল নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা মুসলমান। আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ—এ বিশ্বাস করি। নবীজি শেষ নবী, তাঁর পরে কোনো নবী আসবেন না। কেউ নিজেকে নবী দাবি করলে তিনি এ আকিদার বাইরে।”
মহাসম্মেলনের দায়িত্বশীল মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী জানান, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও খতমে নবুওয়তের আকিদা রক্ষার দাবিতে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শীর্ষ আলেমরা অংশ নেন।
মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে মতিঝিলের এ জি বি কলোনিতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি যখন ওই এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখন তার গায়ে ময়লা পানি ছুড়ে মারা হয়। তবে এই ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। ওই ভিডিওতে শরিফ ওসমান হাদিকে কথা বলতে শোনা যায়। তিনি উল্লেখ করেন, তার গায়ে তিনবার ময়লা পানি ছোড়া হয়েছে।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, "ভাই ময়লা পানি যে মারছেন আরও মারতে পারেন, সমস্যা নেই মারেন...।"
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনটি শাহবাগ, মতিঝিল, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর এলাকা নিয়ে গঠিত। ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র ঢাকা-৮ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।
এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো 'যুক্তফ্রন্টে'র আদলে একটি নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি নভেম্বর মাসেই একটি 'কনভেনশনে'র মাধ্যমে দেশের প্রধান প্রধান বাম ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর সমন্বয়ে এই নতুন জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
জানা গেছে, এই বৃহত্তর বাম জোট 'জুলাই জাতীয় সনদে'র মতো একটি 'জনতার সনদ' বা জনগণের সনদ নিয়ে মাঠে নামবে। 'একসঙ্গে আন্দোলন ও নির্বাচন'—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা দেশের গণতন্ত্র এবং জনজীবনের নানা সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
শুধু তাই নয়, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে ৩০০ আসনেই ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই জোট। জোটের সম্ভাব্য শরিক দলগুলো এরই মধ্যে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটেই বামপন্থীরা এই নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
এই বৃহত্তর জোট গঠনের পেছনে মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে ছয়টি বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত 'বাম গণতান্ত্রিক জোট' এবং শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন 'বাংলাদেশ জাসদ'। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলো হলো— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বাসদ (মার্কসবাদী)।
জোটের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গত আট-নয় মাসের আলোচনার পর এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আরও কয়েকটি বাম ও প্রগতিশীল দল একমত হয়েছে। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ এবং জাতীয় গণফ্রন্ট রয়েছে।
এছাড়া, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বামপন্থীদের আরেকটি জোট 'ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা'র শরিক দলগুলোর সাথেও আলোচনা চলছে। এই মোর্চার চারটি দল হলো— বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, বাসদ (মাহবুব) এবং গণমুক্তি ইউনিয়ন। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও নতুন এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।
বামপন্থী নেতারা জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একটি 'কনভেনশনে'র মাধ্যমে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন একই স্থানের কাছাকাছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্য একটি সংগঠনের মহাসমাবেশ থাকায় কনভেনশনটি স্থগিত করা হয়। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, চলতি মাসের মধ্যেই সুবিধাজনক সময়ে কনভেনশন করে অথবা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে, নতুন এই জোটের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কোনো কোনো দলের নেতা 'নয়া যুক্তফ্রন্ট' বা 'গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট' নাম রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে অনেকেই এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, ১৯৫৪ সালের 'যুক্তফ্রন্ট' যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে, জোটের নাম কী হবে বা এটি কোন কাঠামোতে চলবে, তা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা উচিত। এ কারণে, কনভেনশনেই জোটের নাম এবং 'জনতার সনদ' চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নতুন জোট শুধু আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তারা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই একযোগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। তপশিল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য শরিক দলগুলো নিজ নিজ প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। জোট গঠনের পর সব দলের প্রার্থীদের তালিকা এক করে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে জোটগত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে, শুধু দলীয় নেতাই নন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমমনা বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শ্রেণি-পেশার পরিচিত মুখগুলোকেও প্রার্থী করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর 'নব্য ফ্যাসিবাদের' পুনরুত্থান ঠেকাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাম, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্য জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিবেচনা থেকেই তারা বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, তারা শাসক শ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে একটি বিকল্প বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে যাচ্ছেন। এই জোটের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করা হবে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে দক্ষিণপন্থী, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তা ঠেকাতেই বাম, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো এক হচ্ছে। তারা একসঙ্গে নির্বাচন করার পাশাপাশি 'জনতার সনদ' নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার বিভিন্ন সংকট সমাধানে মাঠেও সক্রিয় থাকবেন।
'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি তার দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে, তবে বাংলাদেশের ওপর 'ভারতের দাদাগিরি' বন্ধ করার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর ওপর একটি রাবার ড্যাম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, "আমরা চাই যে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ, ইচ্ছে করলেই তারা আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে।" তিনি বিশেষ করে ভারতের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমি মনে করি, যেহেতু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা আমাদের সহায়তা করেছেন, তাহলে তো আরও বেশি করে আপনাদের বাংলাদেশকে সহায়তা করা দরকার।"
তবে তিনি গত সরকারের সময়ের সম্পর্কের ধরণ নিয়ে সমালোচনা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গত সরকার ও মোদি সরকারের সময় দেখেছি, উল্টো তারা বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে, সব নিয়ে গেছে, কিন্তু বিনিময়ে আমাদের কিছু দেননি।" তিনি এটিকে আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারের 'ব্যর্থতা' হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, "তারা কিছু নিতে পারেনি।"
বিএনপির এই নেতা তাদের দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "তবে আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটা আমাদের রাজনীতি।" তিনি বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, "আমরা বাংলাদেশ নামে যে ভূ-অঞ্চলে বাস করি, এখানকার পুরো পানির হিস্যা, আমাদের সীমান্তে হত্যা, আমাদের ব্যালেন্স অব ট্রেডের (বাণিজ্যিক ভারসাম্য) সব কিছু ঠিক করা, এই জিনিসগুলোকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই।"
মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, "ওদের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রীদের বক্তব্য তো আপনারা শুনেছেন, তারা দেন-দরবার করতে যায় ভারতে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের কথা বলে। এভাবে তারা পুরো বিষয়টাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "ইক্যুয়াল ফুটিংয়ের (সমানে-সমানে) কথা বলতে হবে। সমমর্যাদা রাখতে হবে। এ দেশের স্বার্থকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, আগামী নির্বাচন যদি ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচনের মতো হয়, তবে তা জাতির জন্য 'চরম দুর্ভোগ' বয়ে আনবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেখানকার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার বলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চায়।' তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা স্বাভাবিকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ 'শান্তির বাংলাদেশ' গড়ার জন্য তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।
এসময় তিনি প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নিরপেক্ষ থাকুন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিন এবং সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।'
জামায়াতের এই নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই পরে আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অন্যায় করলে কারও পালানোর পথ খোলা থাকবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, 'নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকেই পরিবর্তনের এই ধারা শুরু হয়েছে।'
নির্বাচনে 'কালো টাকার প্রভাব' বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, যারা শত কোটি টাকা খরচ করে মনোনয়ন নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে দেশে দুর্নীতি আরও বাড়বে।
শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে এটি শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পথের দুপাশে গ্রামবাসীরা হাত নেড়ে গোলাম পরওয়ারকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় নেতাকর্মীরা 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
পথসভাটিতে সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানা আমীর জি এম আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা-১ আসনের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
পাঠকের মতামত:
- ইসির সংলাপে নাটক: ঐক্যজোটের এক অংশকে বের করে দিল আরেক পক্ষ
- গাজা–ইরান ইস্যুতে রহস্যময় ফোনালাপ নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের
- শেখ হাসিনাদের রায় সরাসরি দেখতে পাবেন যেভাবে
- ২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
- তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
- ২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
- ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
- নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
- শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
- শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
- রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
- সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
- ১,৪৪৪ টন সোনার সবচেয়ে বড় স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার
- “আমার ভাই মেয়র হবে না, ভাগিনা চেয়ারম্যান নয়”
- বিএনপির মনোনয়ন সংকট ও আসন–সমঝোতা
- ১৬ নভেম্বর সকালে ঢাকার বাতাসের মান নেমে গেল বিপজ্জনক পর্যায়ে
- রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত
- ঢাকা ও আশপাশে আজ নামাজের নির্ধারিত সময় জানুন
- আজ বন্ধ ঢাকার প্রধান যেসব মার্কেটগুলো
- এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে
- নতুন দামে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্যও কমল
- আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
- ধূমপান ছাড়ার পর শরীর যেভাবে নিজেকে 'মেরামত' করে, জানুন বিস্তারিত
- সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
- বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
- "বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
- রেকর্ড ভাঙল সরকারের ঋণ, অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে নতুন তথ্য
- প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
- মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
- ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
- টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
- পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
- 'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
- আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
- ১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
- ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী কি সর্বশক্তিমান?
- ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
- নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
- ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
- সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
- শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
- বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
- ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড








