দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন চিত্র

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১১:৫৬:১১
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে সোমবারও (১৮ আগস্ট) পূর্বনির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, সর্বশেষ সমন্বিত মূল্য অনুযায়ী আজকের বাজারে ভরিতে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। সর্বশেষ ২৪ জুলাই রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই দাম কার্যকর হয় এবং এখনও একই দামে বাজারে লেনদেন চলছে।

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়। অন্যদিকে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভরিপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা।

বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে ২৩ জুলাই বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেদিন ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২৪ জুলাই থেকে। সেই সময় ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ভরিপ্রতি ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তবে এবার স্বর্ণের দাম সামান্য কমানো হলেও রূপার বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়, ২১ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ভরিপ্রতি ১ হাজার ৭২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে মোট ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ বার দাম বেড়েছে এবং মাত্র ১৬ বার কমেছে। তুলনায় ২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম সমন্বয় হয়েছিল ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।


বাংলাদেশি টাকায় আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ১১:৪৪:২০
বাংলাদেশি টাকায় আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রার রেট
ছবিঃ সংগৃহীত

১৮ আগস্ট ২০২৫: আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার সর্বশেষ বিনিময় হার প্রকাশ করেছে। প্রতিদিনের মতো এদিনও আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাবে বিভিন্ন মুদ্রার দামে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাবশালী মুদ্রার দামে উল্লেখযোগ্য তারতম্য দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধরনের ওঠানামা শুধু বৈদেশিক বাণিজ্যেই নয়, বরং প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা: রিয়াল, দিরহাম ও দিনারে পতন

সৌদি রিয়াল (SAR) সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৩৭ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়সা কম। প্রবাসী আয়ের বড় অংশ সৌদি আরব থেকে আসে বলে এ হার রেমিট্যান্স প্রাপকদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। একইভাবে দুবাই দিরহাম (AED)ও ৩ পয়সা কমে ৩৩ টাকা ৬ পয়সায় নেমে এসেছে। কাতারি রিয়াল (QAR)ও কমেছে ৩ পয়সা। তবে ওমানি রিয়াল (OMR) ও বাহরাইন দিনার (BHD)-এর পতন তুলনামূলকভাবে বেশি, উভয়ের দামই একদিনে ২৫ পয়সা হ্রাস পেয়েছে। বিপরীতে, কুয়েতি দিনার (KWD) অপরিবর্তিত থেকে ৩৯৭ টাকা ৫২ পয়সায় স্থিতিশীল রয়েছে।

এশীয় মুদ্রা: রিংগিত ও রেন্ডের পতন, রুপি সামান্য বেড়েছে

এশিয়ার বাজারে মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR) ৯ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৬ পয়সায়। চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB)ও ২ পয়সা কমে হয়েছে ১৬ টাকা ৯১ পয়সা। মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR) সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সায়। দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR)-এ সবচেয়ে বড় পতন লক্ষ্য করা গেছে, যা একদিনেই ১৯ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭৩ পয়সায়। তবে ভারতীয় রুপি (INR) সামান্য বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ন (KRW), জাপানি ইয়েন (JPY) এবং ইরাকি দিনার (IQD)-এর ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ইউরোপ ও আমেরিকার মুদ্রা: ডলার ও পাউন্ড কমেছে, ইউরো বেড়েছে

মার্কিন ডলার (USD) সামান্য কমেছে। গতকাল যেখানে এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৫৫ পয়সা, আজ তা নেমে এসেছে ১২১ টাকা ৪২ পয়সায়। যদিও পতন সীমিত, তবে আমদানি ব্যয়ের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে। ইউরো (EUR) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়সা বেশি। অন্যদিকে ব্রিটিশ পাউন্ডে (GBP) উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। একদিনেই ২ টাকা ২০ পয়সা কমে বর্তমানে এর মান দাঁড়িয়েছে ১৬২ টাকা ২৭ পয়সায়। আর কানাডিয়ান ডলার (CAD) ৭ পয়সা কমে হয়েছে ৮৭ টাকা ৯১ পয়সা।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুদ্রা: অস্ট্রেলিয়ান ডলার বেড়েছে

অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD) ১৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা ৪ পয়সায়। সিঙ্গাপুর ডলার (SGD)ও বেড়েছে ৭ পয়সা, আর ব্রুনাই ডলার (BND) বেড়েছে ৫ পয়সা। এসব পরিবর্তন এ অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভূমিকা রাখতে পারে।

তুরস্ক ও লিবিয়ার মুদ্রা:

তুরস্ক লিরা (TRY) বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়সা বেশি। লিবিয়ান দিনার (LYD)ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৮ পয়সায়। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা এই পরিবর্তনের কারণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


রেকর্ড ভাঙছে রেমিট্যান্স: আগস্টে কি নতুন মাইলফলক?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৮:৩৪:১৪
রেকর্ড ভাঙছে রেমিট্যান্স: আগস্টে কি নতুন মাইলফলক?
ছবি: সংগৃহীত

আগস্ট মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে এসেছে ১৬১ কোটি ৯০ হাজার ডলার। রোববার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই ১৬১ কোটি ৯০ হাজার ডলারের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে একটির (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি ছিল।


৪ বছরে টাকার বড় দরপতন, ইউরো ও ডলারের বিপরীতে কতটা কমল?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১২:৩২:০০
৪ বছরে টাকার বড় দরপতন, ইউরো ও ডলারের বিপরীতে কতটা কমল?
সত্য নিউজ গ্রাফিক্স

গত চার বছরে প্রধান বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত মার্কিন ডলারের দর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এই সময়ে ইউরোর দাম ৩৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, পাউন্ডের ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দর ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে এই অস্থিরতা তীব্র হয়েছে। সরবরাহ বিঘ্ন ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে টাকার মান দ্রুত কমতে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক একসময় ডলারের দর বেঁধে দেয়, যা মুক্তবাজার অর্থনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, সংকটকালে কিছু নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তবে দাম সরাসরি বেঁধে দেওয়া বাজারের স্বাভাবিকতাকে ব্যাহত করে এবং সংকট বাড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দাবি করেন, বাজার শিথিল করার পরও অনেকে আশঙ্কা করেছিল ডলারের দর ১৬০-১৭০ টাকা ছাড়াবে, কিন্তু তা হয়নি। এতে মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া—দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন অনুযায়ী হস্তক্ষেপ করছে।


বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৪ ১৫:৪৭:০০
বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব অর্থনীতিতে মুদ্রার শক্তি সাধারণত পরিমাপ করা হয় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার দিয়ে। অর্থাৎ, একটি মুদ্রার একক দিয়ে কত মার্কিন ডলার ক্রয় করা যায়, সেটিই মূলত সেই মুদ্রার শক্তিমত্তার সূচক। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস বিশ্বের শীর্ষ ১০ শক্তিশালী মুদ্রার তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় লক্ষণীয়ভাবে প্রথম চারটি স্থানই দখল করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মুদ্রা, যা অঞ্চলের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক সুস্পষ্ট প্রমাণ।

১. কুয়েতি দিনার — বিশ্বের শীর্ষ মুদ্রা

তালিকার শীর্ষে রয়েছে কুয়েতি দিনার (KWD), যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। এক কুয়েতি দিনারের বিপরীতে পাওয়া যায় প্রায় ৩.২৬ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯৭ টাকার সমান। কুয়েতের এই অর্থনৈতিক ক্ষমতার মূল উৎস হলো তেল রপ্তানি থেকে অর্জিত বিপুল রাজস্ব, যা দেশটিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে।

২. বাহরাইনি দিনার — দ্বিতীয় স্থানে

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনি দিনার (BHD), যার এক ইউনিটের মূল্য ২.৬৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩২২ টাকা। যদিও বাহরাইনও একটি তেলসমৃদ্ধ দেশ, তবে এর অর্থনীতি বহুমুখী খাতের ওপর নির্ভরশীল, যেমন ফাইন্যান্স, বাণিজ্য এবং পর্যটন। এই বৈচিত্র্য মুদ্রাটিকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৩. ওমানি রিয়াল — তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা

ওমানি রিয়াল (OMR) বর্তমানে ২.৬০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩১৬ টাকার সমমূল্যের, যা একে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে স্থান দিয়েছে। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির পাশাপাশি কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ও স্থিতিশীল নীতিমালা ওমানের মুদ্রার মান ধরে রাখতে সহায়তা করে।

৪. জর্ডানি দিনার — মধ্যপ্রাচ্যের চতুর্থ প্রতিনিধি

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে জর্ডানি দিনার (JOD), যার এক ইউনিটের মূল্য ১.৪১ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৭১ টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জর্ডান তেল ও গ্যাসের উপর তুলনামূলকভাবে কম নির্ভরশীল, বরং এটি সেবা খাত, পর্যটন এবং বৈদেশিক সহায়তার ওপর বেশি নির্ভর করে।

৫ থেকে ১০ নম্বর — পশ্চিমা মুদ্রার আধিপত্য

পঞ্চম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP), যার এক ইউনিটের মান ১.৩৩ মার্কিন ডলার। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জিব্রাল্টার পাউন্ড, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে সমমান। সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাঁ (CHF) ১.২১ ডলার মূল্যে, যা স্থিতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য পরিচিত। অষ্টম স্থানে রয়েছে কেম্যান ডলার (KYD), যার মান ১.২০ মার্কিন ডলার। নবম স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ মুদ্রা ইউরো (EUR), যা ১.১৩ মার্কিন ডলারের সমান।

দশম স্থানে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত মুদ্রা মার্কিন ডলার (USD) নিজেই। যদিও আন্তর্জাতিক লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে ডলারের ব্যবহার সর্বাধিক, তবুও বিনিময় হার বিচার করলে এটি বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় শেষ স্থানে রয়েছে।


দেশে রেমিট্যান্সের জোয়ার: আগস্টে প্রথম ১২ দিনে আয় বাড়ল ৩৪ শতাংশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২০:১৮:৪৮
দেশে রেমিট্যান্সের জোয়ার: আগস্টে প্রথম ১২ দিনে আয় বাড়ল ৩৪ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনেই দেশে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৮৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ের (আগস্ট ২০২৪) তুলনায় এই রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। বুধবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরিফ হোসেন খান জানান, গত বছরের আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে দেশে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সে তুলনায় এ বছর প্রায় ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বেশি এসেছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর গত অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছিল মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

এই সময়ের মধ্যে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। এছাড়া বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।


নির্বাচনে কালো টাকার লাগাম টানতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কিন্তু বাধা রাজনীতিবিদরা: ড. সালেহউদ্দিন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৮:০৮:০১
নির্বাচনে কালো টাকার লাগাম টানতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কিন্তু বাধা রাজনীতিবিদরা: ড. সালেহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে এবং এই নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তবে এটি নির্ভর করবে রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছার ওপর। বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের 'ইউ পেনশন অ্যাপ' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কিমটি চালু হলেও এখনও চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ এতে অংশ নিচ্ছেন না। কেন এই অনীহা, সেটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, যদি স্কিমে কোনো ভুল বা ত্রুটি থাকে, তবে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আরও প্রচারের উদ্যোগ বাড়াতে হবে।


জানুন আজকের সোনার বাজারদর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১২:১৮:০১
জানুন আজকের সোনার বাজারদর
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাজারে আজ বুধবার স্বর্ণের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক সর্বশেষ সমন্বয়কৃত দামেই মূল্যবান ধাতুটি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারিত আছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।

বাজুসের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায়। বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে অবশ্যই সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

এর আগে গত ২৪ জুলাই বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা। নতুন দাম কার্যকর হয়েছিল ওই দিনের মধ্যেই।

এদিকে, স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪৫ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ বার দাম বেড়েছে এবং ১৬ বার কমেছে। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।

-শরিফুল


খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৯:২৬:৩৫
খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, গত এক বছরে দেশের অর্থনীতি ‘খাদের কিনারা’ থেকে ‘আইসিইউ’ হয়ে বর্তমানে ‘হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)’ অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারের এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশের অর্থনীতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে—এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি এখনো ‘কেবিনে’ ফেরার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তার ভাষায়, “গরিব দেশের অর্থনীতি কেবিনে ফিরবে না; পেয়িং বেড বা সাধারণ ওয়ার্ডে ফিরবে, তারপর বাড়ি যাবে।”

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে অর্থনীতি ‘ওয়ার্ডে’ ফেরার মতো সুস্থ অবস্থায় পৌঁছাবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থনীতিতে কিছু মৌলিক সংস্কার করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংস্কার কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনীতিবিদদের বলেছি, এসব সংস্কার কার্যক্রমে যদি তোমরা বাধা দাও, তাহলে এর দায় তোমাদের সরকারের ওপর পড়বে।”

/আশিক


বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৭:৫৮:৫৮
বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের সব পক্ষ থেকে যৌথ প্রচেষ্টা চলছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এ মাসের শেষে চুক্তির খসড়া তৈরি করবে বলে জানা গেছে।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই আমদানি উন্মুক্ত করা হবে। যে দেশে সস্তায় পেঁয়াজ পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই আমদানি আনা হবে বলে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান।

পাটপণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন বিধিনিষেধের প্রভাব লক্ষ্যণীয় হবে না বলেও তিনি জানান। যদিও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ঘাটতির বিষয়টি বিদ্যমান, ব্যবসায়ীরা তা মোকাবিলা করছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে, তবে এখনো সাড়া মেলেনি।

এসব কথা তিনি মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান।

/আশিক

পাঠকের মতামত: