ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি যত টাকা নির্ধারিত হল

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০১ ১১:৩৮:২২
ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি যত টাকা নির্ধারিত হল

চলমান ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নতুন এই নীতিমালায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) জারি করা এক নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফি কাঠামো কার্যকর থাকবে। নির্দেশনায় সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে অধিদফতর।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত প্রধান পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে এনএসওয়ান (NS1), আইজিজি (IgG) এবং আইজিএম (IgM)। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে। এর বাইরে রক্তের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বিশ্লেষণ বা সিবিসি (CBC) পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত এই ফি এর বেশি অর্থ নেয়া যাবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যদি কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সীমার বাইরে গিয়ে বাড়তি ফি আদায় করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদফতরে অভিযোগ জানানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু সংক্রমণ মোকাবিলায় জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশেষ করে যেকোনো জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণ অনেক সময় সাধারণ ভাইরাস জ্বরের মতো মনে হলেও, অবহেলা করলে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

অধিদফতর আরও জানায়, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বেসরকারি অনেক ল্যাব ও ক্লিনিক অতিরিক্ত ফি আদায় করে সাধারণ রোগীদের আর্থিকভাবে চাপে ফেলে। এবার সেই অনিয়ম রোধেই নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা, সাশ্রয়ী খরচ এবং জনগণের আস্থা ফেরাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী ও জনবান্ধব পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, সরকারি নির্দেশনায় স্পষ্ট ফি নির্ধারণ করে দিলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষায় উৎসাহিত হবে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবার ওপর থাকা অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝাও কমবে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ