সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া

জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে (রিপন ভিডিও) নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। একদিকে রিপনকে নিয়ে টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মা-বাবার অভিযোগ, অন্যদিকে মায়ের কাছে গিয়ে কান্না করা রিপনের ভিডিও—দুই বিপরীত দৃশ্য একসঙ্গে নাড়া দিয়েছে পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে।
অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড়
সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে রিপনের মাকে বলতে শোনা যায়, “খুব কষ্ট করে মানুষ করছি, এখন পরিচয়ও দেয় না। আমরা গরিব, পরিচয় দিলে যদি ওর মান-ইজ্জত না থাকে!” প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রিপন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং মা-বাবার খরচ বহন করেন না।
এই প্রতিবেদনের পরই স্যোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই রিপনকে ‘অহংকারী’ এবং ‘অবজ্ঞাকারী সন্তান’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন।
কান্নার ভিডিওতে নাটকীয় মোড়
তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় আরেকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিপন মিয়া এবং মাও ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। রিপন মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, “তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!”
ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হলে সমালোচনার সুর পাল্টে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেন, “মা-ছেলের সম্পর্ক পবিত্র। এই সম্পর্ক নিয়ে বিচারের আগে ভাবা দরকার।”
রিপনের বক্তব্য
রিপন মিয়া জানান, “এই মুহূর্তে কথা বলার মানসিক অবস্থায় নেই। তবে খুব শিগগিরই সব প্রশ্নের উত্তর দেব।” তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। তবে যাঁরা আমার সরল মা–বাবাকে নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”
রিপন আরও অভিযোগ করেন, কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করেন।
নেত্রকোনার এক কাঠমিস্ত্রির ছেলে রিপন মিয়া ২০১৬ সালে ‘বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক’—এই ভিডিও দিয়ে প্রথম জনপ্রিয় হন। তবে রিপন মিয়াকে ঘিরে এই ঘটনার পর এক প্রশ্ন আবার সামনে চলে এসেছে—ভাইরাল সংবাদের আড়ালে সত্যটা কোথায়? মা-ছেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিপূর্ণ ছবি কি কখনো জানতে পারি?
"আইআরআই ঐতিহাসিকভাবে ভ্রান্ত ডাটা দিয়েছে"

জিয়া হাসান
অর্থনীতিবিদ ও লেখক
আইআরআই–এর সার্ভের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে—এই সার্ভেতে কোন দলকে ভোট দেবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তহীন বা বলতে অনিচ্ছুক মানুষের সংখ্যা মাত্র ২২%। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ ও জুলাই মাসে করা ইনোভিশন কনসাল্টিং–এর দুইটি সার্ভে এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স–এর অক্টোবর ’২৪ ও ২০২৫-এর জুলাই মাসে করা মোট চারটি সার্ভেতে ‘বলতে অনিচ্ছুক’ ও ‘সিদ্ধান্ত নেয়নি’—এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৫০%–এর উপরে ছিল। ইনোভিশন ও বিআইজিডি সার্ভের একটি শক্ত ভ্যালিডিটি হলো—দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের করা চারটি ভিন্ন সার্ভের মূল অনুসিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত কনসিস্টেন্ট।
কিন্তু এই বছর সেপ্টেম্বর–অক্টোবরের আইআরআই সার্ভের সিদ্ধান্তগুলো বিআইজিডি ও ইনোভিশনের ফলাফলের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে বলতে অনিচ্ছুক/সিদ্ধান্তহীন মানুষের সংখ্যা ৫০%–এর বেশি থেকে ২২%–এ নেমে এসেছে—এর সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত।আমি ও তৌকির ইনোভিশনের সর্বশেষ সার্ভেটি খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে কিছু সিরিয়াস ফাইন্ডিং পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেটি প্রকাশ করিনি—কারণ সার্ভের উত্তরগুলো অনেক জায়গায় নিজেদের সাথে কনট্রাডিক্ট করছিল।
এক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, এটি অত্যন্ত জটিল একটি সার্ভে, এবং এত বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে যে উত্তরদাতাদের ফ্যাটিগ আসা একদম স্বাভাবিক। ফলে সার্ভেটি জেনারেলি কনসিস্টেন্ট হলেও, আমি ইনোভিশনের ফাইন্ডিংস থেকে কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। এবং যে সার্ভেতে ৫০% মানুষের সিদ্ধান্ত জানা নেই, এবং যার ডাটা–কালেকশনের ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ–ওয়ারি, সেই সার্ভে থেকে ন্যাশনাল ইলেকশন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না—এটাই আমাদের অবস্থান।
তবে ইনোভিশন ও বিআইজিডির উভয়ের ডাটার কনসিস্টেন্সি দেখে আমরা বুঝতে পারি—তাদের ডাটা–কালেকশন ভালো এবং ডিরেকশনালি কারেক্ট, কিন্তু সেখান থেকে কোনোভাবেই কনস্টিটুয়েন্সি–লেভেলের রেজাল্ট অনুমান করা যায় না। অন্যদিকে আইআরআই–কে নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ ও ‘সিদ্ধান্ত নেয়নি’—এই ক্যাটাগরির পরিমাণ নিয়ে। পরপর চারটি সার্ভের তুলনায় এই সংখ্যাটি এত বেশি ভিন্ন যে—এটা থেকে কোনো সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যাবে না।
দ্বিতীয়ত, আইআরআই ঐতিহাসিকভাবে ভ্রান্ত ডাটা দিয়েছে। মনে পড়ে, ২০১৩ ও ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে আইআরআই শেখ হাসিনার ৭০% এপ্রুভাল রেটিং দেখিয়েছিল। উভয় সময়ই আওয়ামী লীগ আইআরআই–এর এই এপ্রুভাল রেটিং ব্যবহার করে ডিপ্লোম্যাটদের মধ্যে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে—অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য। আরাফাত রা টক শোতে টুইটারে আইআরএর সার্ভের রেজাল্ট দিয়ে দেখায় যে, নির্বাচন না হইলেও দেশের মানুষ হাসিনাকে চায়। ২০২৩ সালের সার্ভের পর আমরা কয়েকজন আইআরআই–কে যাতা দিয়ে ধরেছিলাম। আমার যতদূর মনে পড়ে, আইআরআই সার্ভে কারা করেছে—তাদের পরিচয় রিসার্চ করে দেখা যায়, তারা প্রচণ্ডভাবে আওয়ামী–ব্যাকড ইন্টেলিজেনসিয়া।
জুলকারনাইন সায়ের এ বিষয়ে বহু এভিডেন্স ছিল—যা নিয়ে টুইটারে বড় বিতর্ক হয়েছিল। জেফ্রি ম্যাকডোনাল্ডসকে একসময় বেশ ডিফেন্সিভ হতে হয়েছিল। বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে প্রফেশনাল সার্ভে হওয়া—এটা গণতন্ত্র ম্যাচিউর হওয়ার একটি ভালো লক্ষণ। কিন্তু এই সার্ভেগুলোর মেথডোলজি, আউটকাম, কনসিস্টেন্সি ও ভ্যালিডিটি নিয়ে আমাদের নিয়মিত প্রশ্ন করতে হবে।
কম্প্রোমাইজড হওয়ার ঐতিহাসিক এভিডেন্স এবং বিআইজিডি ও ইনোভিশন সার্ভের সাথে ইনকনসিস্টেন্সির কারণে আইআরআই সার্ভের উপর আমার আস্থা মাত্র ১১%। ১১% দিয়েছি শুধু কিছু দিতে হয় বলে। এনজিওগুলো বিদেশ থেকে টাকা আনছে, খরচ করছে—দেশের মন্দা অবস্থায় জিডিপিতে ব্যয় হচ্ছে—সেইটার একটু ক্রেডিট দিলাম।
আমরা কি ক্যাডারভিত্তিক সিস্টেম চাই, নাকি খোলা, প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্র চাই?

আসিফ বিন আলী
শিক্ষক ও স্বাধীন সাংবাদিক
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামি, ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতালসহ প্রায় ২০০-র বেশি ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং নিয়ন্ত্রণ করছে। জামাত এটাকে তাদের বিশাল সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে। বাস্তবে বিষয়টা গণতন্ত্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি। কোনো রাজনৈতিক দল যখন ব্যাংক বা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে, “সেবা”র নামে সেখানে নিজের ক্যাডারদের চাকরি দেয়, আর নির্বাচনী রাজনীতিতে সেই নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে, তখন তা আসলে গণতন্ত্র ও প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়। জামাত মুখে “সৎ মানুষের রাজনীতি”র কথা বললেও, এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা ও লাভজনক করার জন্য ২০০১–২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় যে ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, এবং ৫ আগস্টের পরে যেভাবে আবার নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করেছে, তা নিয়ে দুদকের তদন্ত হওয়া দরকার। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য মোটেও শুভ নয়, যদিও ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির জন্য এটি খুবই লাভজনক। প্রশ্নটা সোজা: আমরা কি ক্যাডারভিত্তিক সিস্টেম চাই, নাকি খোলা, প্রতিযোগিতামূলক গণতন্ত্র চাই, যেখানে ব্যাংক ও হাসপাতাল জনগণের, কোনো দলের নয়।
ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন ঘন ঘন ভূমিকম্প শুধু ভূতাত্ত্বিক নড়াচড়ার ফল নয় বরং এটি আমাদের জন্য একটি গভীর সতর্কবার্তা। তিনি মন্তব্য করেন যে ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিপরীতে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি একেবারেই অপ্রতুল। সোমবার ২৪ নভেম্বর ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমাদুল্লাহ বলেন বড় কোনো বিপদ আসন্ন থাকতে পারে যা আমরা এখনো জানি না। এই সময় তাওবার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবিক প্রস্তুতি গ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন যে আমরা এমন এক ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করি যেখানে জনঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঢাকার বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন এখানে প্রতিটি অট্টালিকা যেন একেকটি সম্ভাব্য সমাধিসৌধ। তিনি বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যে ঢাকায় যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে তাহলে এক লক্ষের বেশি ভবন ধসে যেতে পারে যা অত্যন্ত ভীতিজাগানিয়া।
রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন দুঃখজনক হলো এমন ভয়াবহ ঝুঁকির বিপরীতে রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি একেবারেই অপ্রতুল। আধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা নগণ্য এবং বড় ধরনের উদ্ধারযুদ্ধ চালানোর মতো ভারী যন্ত্রপাতিও অপর্যাপ্ত। তিনি আক্ষেপ করে বলেন অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সীমিত সক্ষমতা দিয়ে হাজার হাজার ভগ্ন স্থাপনা সামলানো কেবলই কল্পনা। অথচ বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন ভাস্কর্য নির্মাণ বা অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পেই নয় বরং নেতা নেত্রীদের জন্য তোরণ নির্মাণ রাজনৈতিক সভা সমাবেশ শোভাযাত্রা ও ক্ষমতার প্রদর্শনীতেও বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের যে অপচয় ঘটে তা এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কাঠামোকে আরও প্রসারিত করে তোলে। তাঁর মতে সেই অর্থের সামান্য অংশও যদি দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও উদ্ধার সরঞ্জামে ব্যয় করা হতো তবে সেটিই হতো সবচেয়ে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।
তবে কেবল রাষ্ট্রকে দায়ী না করে তিনি সাধারণ মানুষের দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমরা যারা বাড়ি নির্মাণ করি তারা সামান্য আর্থিক লাভ বা অদূরদর্শিতার বশবর্তী হয়ে নির্মাণ বিধিমালা উপেক্ষা করি। প্রকৌশলীদের পরামর্শকে তুচ্ছজ্ঞান করে আমরা নিজ হাতে তৈরি করি আমাদের প্রিয়জনদের জন্য মৃত্যুফাঁদ। তিনি প্রশ্ন রাখেন এটি কি একপ্রকার সামাজিক আত্মহত্যা নয়। বিপর্যয় পরবর্তী বিলাপের চেয়ে বিপর্যয়রোধী প্রস্তুতিই বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল মানুষের কাজ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রের করণীয় সম্পর্কে তিনি পরামর্শ দেন যে এখনই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। উদ্ধারকাজ চিকিৎসা জরুরি আশ্রয় খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ সবকিছু নিয়ে একটি সুস্পষ্ট জাতীয় রোডম্যাপ তৈরি করা জরুরি। শায়খ আহমাদুল্লাহ জাগতিক প্রস্তুতির পাশাপাশি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়ে বলেন আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তিনি বলেন প্রতিটি দুর্যোগ আমাদের প্রতি সতর্কবার্তা তাই আমাদের সমাজের বিস্তৃত দুর্নীতি জুলুম ও অশ্লীলতা থেকে গণতাওবা করা জরুরি।
শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শরিফ ওসমান হাদি এবং তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি নিজের প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ঘোষণা দেন যে তাঁর এলাকার ৫০০০ শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় ইংরেজি শেখাবেন। তবে তাঁর এই জনহিতকর ঘোষণা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুমুল সমালোচনাও শুরু হয়েছে।
বিশেষ করে সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষা এতো খারাপ সে জাতিকে কী শেখাবে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ফেসবুকে হাদির ফ্রিতে পড়ানোর ঘোষণার ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে নীলা ইসরাফিল লিখেছেন যে শিক্ষকের মুখের ভাষাই এত নোংরা সে জাতিকে কী শেখাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে হাদির নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু তিনি এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
নীলা ইসরাফিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন দেশের ট্র্যাজেডি এখানেই যে অশিক্ষিত আচরণই যেখানে যোগ্যতার মাপকাঠি সেখানেই ক্ষমতার চাবি সবচেয়ে নোংরা হাতে চলে যায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সংসদে বসে নীতি ঠিক করবেন এমন ব্যক্তি যিনি নিজের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তিনি আরও যোগ করেন যে শিক্ষকতার মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে গালিগালাজকে পাঠ্যবই বানায় তার রাজনীতি যে কতটা নোংরা হবে তা হিসাব করার জন্য কারও গণিত জানার দরকার পড়ে না।
ঢাকায় লাশের মিছিল হতে পারত বলে ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন আজহারী
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকালে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। নরসিংদীর মাধবদী থেকে উৎপত্তি হওয়া কয়েক সেকেন্ডের সেই কম্পনে দিশেহারা হয়ে পড়েন নগরবাসী। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন ও আত্মসমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
শুক্রবার রাতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং দুলে ওঠায় কয়েক মুহূর্তের জন্য তিনি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং আতঙ্কে তাঁর বুক কেঁপে উঠেছিল। তিনি মনে করেন যদি আরও কয়েক সেকেন্ড জোরে ঝাঁকুনি হতো তবে ঢাকায় হয়তো লাশের মিছিল হতে পারত। তাঁর মতে তখন নিমেষেই গোটা শহর পরিণত হতো নিস্তব্ধ এক গোরস্থানে কিন্তু দয়াময় আল্লাহ এই যাত্রায় সবাইকে রক্ষা করেছেন।
মিজানুর রহমান আজহারী ঢাকার বর্তমান অবস্থার সমালোচনা করে লেখেন এমন অপরিকল্পিত নগরী সারি সারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আল্লাহর দয়া ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নেই। তিনি মন্তব্য করেন যে এই দুর্যোগগুলো মানুষের জন্য গভীর সতর্কবার্তা। গোটা জনপদবাসীকে সামান্য এক ঝাঁকুনি দিয়ে আল্লাহ রিমাইন্ডার বা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এবং বোঝাতে চাচ্ছেন যে মানুষ যতই বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন করুক না কেন নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই। তিনি চাইলে যেকোনো মুহূর্তে সবাইকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারেন এবং তছনছ করে দিতে পারেন এই চোখ ধাঁধানো সভ্যতা।
কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আসলে ভূমিকম্প মানুষের অহংকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে আসে এবং মানুষের অক্ষমতা দেখিয়ে দিতে আসে। এটি প্রমাণ করে যে মহাশক্তিধর আল্লাহর সামনে মানুষ কতটা অসহায় ও নিরুপায়। জুমার দিনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন অনেকে অনেক পরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল কিন্তু এখন তারা না ফেরার দেশে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন মৃত্যু জীবনের পরিকল্পনায় থাকে না অথচ মৃত্যুর নির্ধারিত সময় আসলে সব ব্যস্ততা শেষ হয়ে যাবে।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি সবাইকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন কার মৃত্যু কখন কীভাবে আসবে সেটা কেউ জানে না তাই সবার উচিত তওবা করে রবের কাছে ফিরে আসা এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁর কাছে সমর্পিত হওয়া। সবশেষে তিনি সূরা আল ওয়াকিয়াহর ৪ থেকে ৬ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আসল ভূমিকম্প তো সেটাই যখন জমিন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে আর পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।
এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত বেশি অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ মাসে করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবি জানান।
শফিকুল আলম তার পোস্টে এই সরকারকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, "অন্তর্বর্তী সরকার নামেই শুধু সরকার, আসলে এক প্রকার এনজিও-গ্রাম। অনেকের দৃষ্টিতে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন—এতটাই দুর্বল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত এর সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি করতে আগ্রহী হয়নি।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই সরকারের নেতাদের প্রায়ই 'ভীত বা অদক্ষ' বলে মনে করা হয় এবং ৫০০ দিনে ১,৭০০টির বেশি বিক্ষোভের সময়েও তারা রাস্তাঘাটে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি লেখেন, "তারা যেন নতুন ও অদক্ষ, আইন পাস করতেও হিমশিম খাচ্ছেন, প্রয়োগ তো দূরের কথা। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার তুলনামূলক ছোট বা অখ্যাত গোষ্ঠীর চাপের সামনে নতি স্বীকার করেছে।"
প্রেসসচিব আরও লেখেন, "গত ১৫ মাসে, এই সরকারকে অক্রিয়তা ও অযোগ্যতার অভিযোগে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অনেকেই এটিকে ব্যঙ্গ করে বলেন, এটি এক ‘কিছু না করা, মাখন-খাওয়া দল’—যারা কাকতালীয়ভাবে ক্ষমতায় এসেছে, কিছুই করতে পারেনি, আর এখন অপমানজনক নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে।"
এসব সমালোচনার জবাবে শফিকুল আলম তার পোস্টে লেখেন, "তবুও, পেছনে তাকিয়ে আমি দৃঢ়ভাবে বলি—এটি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি। তারা তাদের প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জন করেছে।"
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা থামানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি কোনো লবিং ফার্ম ভাড়া না করেই মার্কিন শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
আইন পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্র ১৫ মাসে রেকর্ড সংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার আইনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি 'জুলাই ঘোষণা'কে একটি ঐতিহাসিক নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, 'জুলাই চার্টার' (July Charter) এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরি করেছে যা আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।
বিচার বিভাগের সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের পক্ষে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামিন বা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অনেক কঠিন হবে।
অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক অর্জনের বিষয়ে শফিকুল আলম জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটরের সঙ্গে লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বিনিয়োগ। নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে এবং পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরেছে। ব্যাংকিং খাতের লুটপাট রোধ করা হয়েছে, টাকার মান স্থিতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশেষ করে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
জবাবদিহিতার বিষয়ে প্রেসসচিব বলেন, আদালতের কার্যক্রম অনুযায়ী, অতীতের নিপীড়নের জন্য জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছে এবং "শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, র্যাব এখন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়, কোনো অনানুষ্ঠানিক মতবাদে নয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি করা থেকে সরে এসেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত ১৬ মাসে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
পোস্টের শেষে শফিকুল আলম লেখেন, "আমি আরো বলতে পারতাম... আমাদের ইতিহাসের এক আগ্রহী পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস— বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত কিছু অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার (IG) এই ১৫ মাসে করেছে।"
আওয়ামী লীগের নাম মোছা যাচ্ছে না ভীতিই এখন মূল শক্তি: গোলাম মাওলা রনি
সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে পারছে না। উল্টো গত ১৪ মাস ধরে প্রচারণার কারণে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক দিক এবং শেখ হাসিনার ভীতি ক্রমশ বাড়ছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি এই বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।
ভাইরাল হচ্ছে নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য
গোলাম মাওলা রনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো একজন নেতা বক্তব্য দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, যদিও সেই বক্তব্যের আগা বা মাথা নেই। তিনি উদাহরণ দেন:
"আমি নাম বললাম না, সেদিন দেখলাম যে আওয়ামী লীগের এক নেতা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন—মদ খেয়ে মদ খেয়ে পুরো মাতাল অবস্থায় তিনি থ্রেট দিচ্ছেন। ১৩ তারিখ এটা করবো ওটা করবো।"
তিনি সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বলেন, "অসুস্থ অবস্থায় তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেই বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। তিনি সেখান থেকে হুমকি দিচ্ছেন ১৩ তারিখে এটা করবো, ওটা করবো। আর আমরা সবাই বাংলাদেশে বসে ভয় পাচ্ছি।"
শেখ হাসিনার পরিবর্তন ও কৌশল
রনি গত ১৪ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার ধরনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম ছয়-সাত মাস শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে কথাগুলো বলেছেন, তা ছিল তাঁর আবহমান বাংলার স্বাভাবিক চরিত্র।
"কিন্তু লক্ষ্য করুন, গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি এখন আর যার তার সঙ্গে কথা বলছেন না। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এখন তিনি অনেক পরিমার্জিত এবং তিনি সহজলভ্য নন।"
আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এখন ত্রাস
গোলাম মাওলা রনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মধ্যে এখন একটি ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে এবং এই ভয়টাই এখন দলটির মূল শক্তি।
তিনি লগি বৈঠার মতো নিষ্ঠুরতা এবং প্রকাশ্য রাজপথে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মারা এবং রামদা দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যার মতো ঘটনার উদাহরণ টেনেছেন।
তিনি বলেন, "এই ভয়টাই হলো আওয়ামী লীগের এখন মূল শক্তি। সে দূরবর্তী স্থান থেকে যত বেশি তার প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে পারবে, ততটাই তাদের সফলতা।"
রনি বিশ্লেষণ করেন, আদালতের রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসছে এবং নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে যত বেশি কথাবার্তা হচ্ছে, ততই আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক পলিসি হিসেবে ভীতি সঞ্চারকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এই পলিসি ব্যবহার করে তারা বারবার বিজয়ী হয়েছে, কখনো পরাজিত হয়নি।
জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত ও দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারতের পদক্ষেপ। সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি দাবি করেছেন, ভারত এখন শেখ হাসিনাকে পুনরায় “বিশ্বদরবারে বৈধ নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করে বাংলাদেশে ফেরানোর একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশা নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণমূলক আলোচনায় তিনি বলেন, “ভারত এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে প্রমোট করতে তাদের সর্বশক্তি এবং সব কূটনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করছে।”
রনির মতে, এই পরিকল্পনা হঠাৎ নেওয়া হয়নি, বরং এটি ভারতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কৌশলের ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক তিনটি আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকার রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট ও এএফপির সঙ্গে ছিল ভারতের সহযোগিতায় পরিচালিত এক ধরনের “ইমেজ রিহ্যাবিলিটেশন প্রচারণা”। রনি দাবি করেন, “বিবিসির তথ্য অনুযায়ী ভারতের কয়েকটি সূত্র এই সাক্ষাৎকার আয়োজনের পেছনে সরাসরি সহায়তা করেছে।” এর লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে “অন্যায়ভাবে অপসারিত, কিন্তু এখনও প্রভাবশালী নেতা” হিসেবে উপস্থাপন করা এবং পশ্চিমা বিশ্বে তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা পুনর্নির্মাণ করা।
তার বিশ্লেষণে বলা হয়, শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থানকে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা “সফট লকডাউন” হিসেবে দেখছেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যতদিন ভারতে অবস্থান করছেন, দিল্লি সেই সময়টাকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মনোভাব বিশ্লেষণের জন্য। রনির ভাষায়, “ভারতের থিংকট্যাংকগুলো এখন পর্যবেক্ষণ করছে, বাংলাদেশে জনমত কেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সংগঠন কী অবস্থায় আছে, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা কতটা প্রশমিত হয়েছে।”
রনি বলেন, ভারতের কাছে এখন দুটি বিষয় একেবারে পরিষ্কার প্রথমত, আওয়ামী লীগের বিকল্প কোনো “বন্ধু সরকার” তাদের নেই, এবং দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের ভেতরে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্বও তারা খুঁজে পায়নি। এই উপলব্ধিই এখন ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের মূল ভিত্তি। তিনি আরও বলেন, গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মনোভাবেও বড় পরিবর্তন এসেছে। “জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে আওয়ামী লীগবিরোধী মনোভাব তীব্র হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে গিয়ে এখন অনেকটাই নিরপেক্ষ অবস্থায় এসেছে,” মন্তব্য করেন রনি। ভারতের নীতি নির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন এবং সেই মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রনি জানান, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে ভারতের মধ্যস্থতায় পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র অনুসারে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইতোমধ্যেই তার সঙ্গে দেখা করেছেন। রনির মতে, এই সাক্ষাৎ ছিল ভারতের পরিকল্পিত “রাজনৈতিক পুনঃসংযোগ প্রক্রিয়ার” অংশ। তিনি বলেন, দিল্লিতে এখন নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগপন্থী প্রবাসী রাজনীতিক ও কূটনৈতিক মহল শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি শেখ হাসিনা নিজেও প্রযুক্তিগত উপায়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন এবং ভারতে বসেই তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
তার মতে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনরাগমনের জন্য ভারতের পরিকল্পনা শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক পুনর্গঠন কৌশলও অন্তর্ভুক্ত করছে। এ উদ্দেশ্যে আসন্ন মাসগুলোতে শেখ হাসিনা একাধিক মার্কিন ও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন। রনি বলেন, “ভারত ও তাদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট নেটওয়ার্ক এই সাক্ষাৎকারগুলো সাজাচ্ছে, যাতে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।”
ভারতের এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দিল্লি প্রথমে নীরব ছিল, কিন্তু এখন তারা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। রনি মনে করেন, ভারতের বর্তমান পদক্ষেপ শেখ হাসিনার প্রতি কেবল আনুগত্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি প্রয়াস। তার ভাষায়, “ভারতের কাছে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যাদের সঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখতে পারে।”
রনির মতে, যদি ভারতের এই নীলনকশা সফল হয়, তবে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক এক নতুন মোড়ে পৌঁছাতে পারে। এটি কেবল একজন নেত্রীর পুনরাগমন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে একটি নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি করবে। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন সহজ হবে না কারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশ এখনও অস্থির এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সবশেষে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ভারতের এই তৎপরতা মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক বিনিয়োগ, যেখানে শেখ হাসিনাকে শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নয়, বরং একটি “নীতিগত অংশীদার” হিসেবে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে যেখানে অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের ফলাফল আন্তর্জাতিক পরিসরে পুনর্লিখিত হচ্ছে।
-রফিক
নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক, মুখোমুখি ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ পক্ষ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে গণভোট আয়োজন করা হবে কি না—এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের অনুসারীদের পোস্ট করা ‘হ্যাঁ’ (পক্ষে) এবং ‘না’ (বিপক্ষে) লেখা স্ট্যাটাসে অনলাইন অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে।
বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), যখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের ১৮ দফা সুপারিশমালা জমা দেয়। ওই সুপারিশমালায় দলটি প্রস্তাব করে যে, ভোটারদের মতামত স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করার জন্য আগামী নভেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা উচিত।
তবে জামায়াতের এই প্রস্তাবের সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো। জানা গেছে, তারা ফেসবুকের মাধ্যমে 'না' লিখে প্রচারণা শুরু করেছে। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘না’ লিখে একটি পোস্ট দিলে সেই প্রচারণা আরও গতি পায়।
অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে গঠিত হওয়া অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণভোটের পক্ষে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও 'হ্যাঁ' লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের মতামত জানাতে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন।
এদিকে, গণভোটের পক্ষে নিজস্ব অবস্থান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও। কমিশন তাদের সুপারিশে নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে এবং বিষয়টি দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের 'জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা' মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ সেদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আজই (মঙ্গলবার) সব রাজনৈতিক দলের কাছে এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়—এমন বিষয়গুলো দ্রুত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ড. রীয়াজ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, কমিশন সংবিধানসংক্রান্ত ৪৮টি বিষয়ে জনগণের মতামত জানার জন্য গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে।
পাঠকের মতামত:
- কুয়াশা আর ভোরের ঠান্ডা বাতাসে কাঁপছে উত্তরের জনপদ
- লা লিগা ও প্রিমিয়ার লিগের রোমাঞ্চ নিয়ে আজকের টিভি গাইড
- রোববার সকালে বের হওয়ার আগে জেনে নিন ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি
- পার্শ্ববর্তী দেশের সেবাদাস হয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা: সালাহউদ্দিন
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
- সিন্ডিকেটের কারসাজি ভাঙতে রোববার থেকে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার সুযোগ
- আজ থেকে জুলাই আন্দোলনে নিহত ১৮২ মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু
- ভারতে নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন
- শীতের অনুভূতি বাড়ার দিনে কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া
- নির্বাচন নিয়ে বাইরে পজিটিভ দেখালেও ভেতরে ভেতরে চলছে নেগেটিভ তৎপরতা
- ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়
- প্রিয় খাবারই যখন কিডনির শত্রু, কিডনি সুস্থ রাখতে পাত থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার
- ২০২৫ সালের জন্য গুগলের ফ্রি অনলাইন কোর্স, ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি
- শরীয়তপুর ১: বিএনপির কোন্দল বনাম জামায়াতের চ্যালেঞ্জ
- নির্বাচনে ডিসটার্ব করতে আসলে লেজ গুটিয়ে পালাতে হবে ভারতকে: পাটওয়ারী
- প্রস্তুতি থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ নিয়ে এখনো অন্ধকারে কমিশন
- শেখ হাসিনা আসন ও টাকা অফার করলেও আপোষ করিনি: নুরুল হক
- যথাসময়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: রিজভী
- লন্ডন বা দিল্লি বসে আর কোন রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম
- বাঁকাপথে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেই সূর্য আর উঠবে না: জামায়াত আমির
- ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন থাকবেন তা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর
- খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিদেশ নিতে দেরি হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন
- ডিএনএ আসলে কীভাবে কাজ করে, সহজ ব্যাখ্যা জানুন
- মূল বোর্ডে জমজমাট লেনদেন, বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বৃদ্ধি
- দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক
- ২১০০ সালের মধ্যে ২০ কোটি মানুষ ঘরহারা হতে পারে, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ চিত্র
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ওপেনিংয়ে ধুরন্ধর নিয়ে রণবীর সিংয়ের নতুন রেকর্ড
- বাগদানের তিন মাস পর ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হলো হান্নান ও জেদনীর বিয়ে
- নূর হোসেন ও ডা. মিলনের আত্মত্যাগের পর যেভাবে এসেছিল ৯০ এর বিজয়
- চিকিৎসার হাল ধরতে এভারকেয়ারে ডা. জোবাইদা
- আজকের নামাজের সময়সূচি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার
- আজ স্বর্ণ কিনতে হলে ভরিপ্রতি খরচ কত হবে জানাল বাজুস
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- শনিবার সকালে বের হওয়ার আগে জেনে নিন ঢাকার আজকের কর্মসূচি ও ট্রাফিক আপডেট
- স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে মাইনাস টু ফর্মুলা ভেস্তে দেওয়া এক অদম্য নেত্রীর গল্প
- শান্তি আলোচনা বিফলের পরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলির খবর
- মাইনর অপারেশনের পরেও ঝুঁকিমুক্ত নন বিএনপি চেয়ারপারসন
- তীব্র শীতে কাঁপছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা, হাসপাতালে রোগীর ভিড়
- ক্রিকেট ও ফুটবলের ঠাসা সূচি নিয়ে আজকের টিভি গাইড
- দক্ষিণ পূর্বের বাতাসে কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া জানাল অধিদপ্তর
- ক্যাম্পের বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেতে সাগরে ভাসছে রোহিঙ্গাদের স্বপ্ন
- আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগেই জানা গেল বিপিএলের ৬ দলের অধিনায়কের নাম
- মানবিক সংকটে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাই জাতিকে এগিয়ে নেয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শনিবার টানা ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- গাজার মানবিক সংকট লাঘবে চীনের বিশাল অনুদান
- সব সংস্কার সম্ভব নয় তাই নির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা দিয়েই বিদায় নিতে চায় সরকার
- কুড়িগ্রামে হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
- ফিউচার স্টার বনাম ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা, দেখুন সূচি
- তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানালেন ইসি সচিব
- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংকটাপন্ন অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করল বিশ্ব গণমাধ্যম
- আজকের রাশিফল: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- এবার টাকার ঝনঝনানি আর কৌশলের লড়াইয়ে বিপিএল নিলাম
- খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন যা ভালো লক্ষণ: ডা. জাহিদ
- এসএসএফ নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া: কী সুবিধা থাকছে
- চট্টগ্রামে দাপুটে জয়ে আয়ারল্যান্ড বধ
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি
- একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় পতন
- ঢাকায় রবিবার দোকান–মার্কেট বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ব্যথানাশক নিয়েই খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার
- শরীরের নীরব শত্রু থাইরয়েড ক্যানসার চেনার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ
- আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে ঢাকার সর্বশেষ পূর্বাভাস








