রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স: আগস্টে প্রবাসী আয়ে স্বস্তি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৯:৩৩:৫৮
রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স: আগস্টে প্রবাসী আয়ে স্বস্তি
ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। রোববার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগের মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) মিলিয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মোট ৪৯০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের ৪১৪ কোটি ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেই অর্থবছর শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রবাসী আয়ের এমন ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এবং ডলারের জোগানে স্বস্তি এনে দিয়েছে।

/আশিক


বিইআরসির সিদ্ধান্তে কমলো এলপিজির দাম, নতুন মূল্য কার্যকর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:১৪:০৯
বিইআরসির সিদ্ধান্তে কমলো এলপিজির দাম, নতুন মূল্য কার্যকর
ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে এর দাম ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন। নতুন নির্ধারিত এই দাম সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

একইসঙ্গে গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছে। লিটারে ১৩ পয়সা কমে এর নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা। বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির প্রতি কেজির দাম মূল্য সংযোজন করসহ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা।

বিইআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করা হয়। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি।

/আশিক


স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১০:২৭:৫৬
স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। দুদিনের ব্যবধানে ভরিপ্রতি ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২ টাকা। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার ভরিপ্রতি দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা।

এর আগে ৩১ আগস্ট বাজুস যে দাম নির্ধারণ করেছিল, তখন ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি দাম ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ টাকা। একই সময়ে ২১ ক্যারেটের দাম ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪২ হাজার ৬২৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮ টাকা। আরও আগে, ২৬ আগস্ট নির্ধারিত দামে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণ ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকা।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিই সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ।

-রফিক


দেশে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ল

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ২১:৩৫:৩৬
দেশে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ল
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বেড়ে আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা।

নতুন দামের তালিকা

সোমবার রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম:

২২ ক্যারেট: ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা

২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৮ টাকা

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২ টাকা

তবে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে সবশেষ গত ৩০ আগস্ট দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যা ৩১ আগস্ট থেকে কার্যকর ছিল। সে সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ টাকা।

/আশিক


স্বর্ণের দামে স্বস্তি নেই: ফের বাড়ল দাম, নতুন মূল্য কার্যকর আজ থেকে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ১১:১৬:২৯
স্বর্ণের দামে স্বস্তি নেই: ফের বাড়ল দাম, নতুন মূল্য কার্যকর আজ থেকে
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বেড়ে আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকায়। সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেঁজা‌বি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দামের তালিকা

নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে:

২২ ক্যারেট: ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকা

২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০১ টাকা

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৪১ হাজার ২৬৩ টাকা

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫০ টাকা

বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল, যা ২৫ জুলাই থেকে কার্যকর ছিল। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।

/আশিক


জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৮ ২১:৪৬:২৮
জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৪৪৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত অর্থবছরের (অর্থবছর-২৫) জুলাই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৮৫.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে এটি প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

ইআরডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ পরিশোধ করেছে ৩২৭.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ২৬৪.৮৮ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১১৮.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের জুলাইয়ের ১২০.৭৯ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় সামান্য কম।

বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়লেও, একই সময়ে ঋণ গ্রহণ কমেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ২০২.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পরিশোধের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

তবে, একই মাসে নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে নতুন প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮৩.৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের জুলাইয়ের ১৬.৪০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশ আসল ও সুদ বাবদ মোট ৪.০৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭৪.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।

তবে, গত অর্থবছরে নতুন ঋণ চুক্তি এবং ঋণ বিতরণের পরিমাণ উভয়ই কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ নতুন ঋণ চুক্তি করেছে ৮.৩২৩ বিলিয়ন ডলারের, যা তার আগের অর্থবছরের ১০.৭৩৯ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। একইভাবে, ঋণ বিতরণও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৬৮ বিলিয়ন ডলারে, যা তার আগের অর্থবছরের ১০.২৮৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), যার পরিমাণ ৭৭.৫০ মিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক (৫৯.০৭ মিলিয়ন ডলার), জাপান (১৭.২৪ মিলিয়ন ডলার), ভারত (১৩.৬২ মিলিয়ন ডলার) এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা (৩৫.৩৩ মিলিয়ন ডলার)।

/আশিক


দেশের ইতিহাসে রিজার্ভের উত্থান-পতন: যা ছিল এবং এখন কী অবস্থা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৭ ২১:৫৭:১৩
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভের উত্থান-পতন: যা ছিল এবং এখন কী অবস্থা
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। গত রোববার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।

গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করার পর দেশের গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে আসে ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলারে।

প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে গত জুনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৭২ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ।

এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। গত জুন শেষে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৬৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করছে। ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার।

দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে তা ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

সরকার পতনের পর থেকে অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কারণে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। হুন্ডি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯.৬০ শতাংশ বেশি।

/আশিক


বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫: কী কী পরিবর্তন আসছে নতুন আইনে?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ১৮:০১:৪৭
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫: কী কী পরিবর্তন আসছে নতুন আইনে?
ছবিঃ সংগৃহীত

দশকের পর দশক ধরে চলা ব্যাংক লুটপাটের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দায়ী করা হয়েছে, কারণ প্রায়শই রাজনৈতিক চাপ ও ক্ষমতার কাছে সংস্থাটি নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অনেক সময় আইনের বাইরে গিয়েও নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনকে খুণ্ন করেছে।

এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছেন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। ড. সাবেত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২’ সংশোধন করে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে এবং তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের কোনো বিকল্প নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করতে খসড়া আইনে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে:

বোর্ডে সরকারি সদস্য: সরকার মনোনীত সদস্য সংখ্যা কমানো হবে।

নিয়োগের ক্ষমতা: গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির হাতে যাবে।

জবাবদিহি: গভর্নরকে যেকোনো বিষয়ে সরাসরি সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

চাকরির মেয়াদ: গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের চাকরির মেয়াদ চার বছরের পরিবর্তে ছয় বছর করা হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার চালায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক চালায়—এমন দ্বৈত নীতি পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই খসড়া তৈরি করেছি।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং অনিয়ম রোধে কোম্পানি আইনেও সংশোধনী আনা হচ্ছে।

/আশিক


গুজবে কান দেবেন না: ব্রাজিল থেকে মাংস আমদানি নিয়ে সরকারের বার্তা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ১৪:২৭:২৯
গুজবে কান দেবেন না: ব্রাজিল থেকে মাংস আমদানি নিয়ে সরকারের বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়লে তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’—এমন খবর পুরোপুরি মিথ্যা। সরকার বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে, গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। মন্ত্রণালয় জানায়, ভিত্তিহীন ও যাচাইবিহীন এই ধরনের সংবাদ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। জনসাধারণকে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং দেশের চাহিদা দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমেই পূরণ করা সম্ভব। প্রাণিসম্পদ খাত শুধুমাত্র মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৬ লাখের বেশি মৌসুমি খামারি গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দেশের শতভাগ কোরবানির পশুর চাহিদা দেশীয় উৎস থেকেই পূরণ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের মতে, মাংস একটি অত্যন্ত পচনশীল পণ্য, যার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত একটি কার্যকর কোল্ড চেইন অবকাঠামো থাকা জরুরি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। কোল্ড চেইনের দুর্বলতা মাংসের গুণগত মান নষ্ট করে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করা হলে ক্ষুরারোগ (এফএমডি), ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি), যক্ষ্মা, ব্রুসেলোসিস এবং অ্যানথ্রাক্স-এর মতো জীবাণু দেশে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। এতে জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। সরকার দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা এবং জনগণকে মানসম্মত মাংস সরবরাহের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

/আশিক


তিন বছরে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ০৮:০২:৪৫
তিন বছরে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার গত তিন বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রতি চারজনের একজন এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। করোনার আগে তিন দশক ধরে দারিদ্র্য কমলেও বর্তমানে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

‘ইকোনমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউসহোল্ড লেভেল ইন মিড ২০২৫’ শীর্ষক এই গবেষণায় বলা হয়, ২০২৫ সালের মে মাসে দেশে দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। অথচ ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে এ হার ছিল মাত্র ১৮.৭ শতাংশ। এ হিসাব অনুযায়ী এখন প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যে কোনো দুর্যোগ বা সংকটে হঠাৎ করেই দারিদ্র্যের নিচে নেমে যেতে পারে। অতি বা চরম দারিদ্র্যের হারও ২০২২ সালের ৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৯.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

দারিদ্র্য বৃদ্ধির কারণ:

পিপিআরসি বলছে, দারিদ্র্যের এই উল্লম্ফন মূলত তিনটি বড় সংকটের প্রভাবে ঘটেছে:

  1. করোনা মহামারির দীর্ঘস্থায়ী ধাক্কা
  2. উচ্চ মূল্যস্ফীতি
  3. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাবার, চিকিৎসা, বাসাভাড়া ও শিক্ষা খাতে ব্যয় বেড়েছে। শহরে গড় আয় কমলেও ব্যয় বেড়ে গেছে। বর্তমানে শহরের পরিবারের মাসিক গড় আয় ৪০ হাজার টাকার সামান্য বেশি হলেও ব্যয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। ফলে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয়ে পড়ছে এবং অনেক পরিবার ঋণের ফাঁদে পড়ছে।

বৈষম্য ও ঝুঁকি

পিপিআরসির জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় মাত্র ৮ হাজার টাকা, আর শীর্ষ ১০ শতাংশ পরিবারের আয় এক লাখ টাকার ওপরে। ফলে আয়বৈষম্য আরও প্রকট হচ্ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী রোগ, নারীপ্রধান দরিদ্র পরিবার, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, ঋণ বৃদ্ধি এবং অনিশ্চিত কর্মসংস্থান—এসব নতুন ঝুঁকির কারণে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।

হোসেন জিল্লুর রহমানের মন্তব্য

গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন ধারাবাহিক সংকটজনক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেবল জিডিপি নয়, বরং সমতা, ন্যায়বিচার ও বৈষম্য হ্রাসকে গুরুত্ব দিতে হবে।” তিনি প্রবাসী আয়, স্থানীয় ভোক্তা বাজার ও ডিজিটাল ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রগুলোকে টিকে থাকার শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন।

সুপারিশ

পিপিআরসি স্বল্পমেয়াদে দরিদ্র পরিবারের জন্য জরুরি সহায়তা, মধ্যমেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৌশলগত টাস্কফোর্স এবং দীর্ঘমেয়াদে জনমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত: