গরমে হিটস্ট্রোক: বাঁচার উপায় কি?

সত্য নিউজ: হিটস্ট্রোক হলো শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বিপজ্জনকভাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হয়ে যাওয়ার একটি জরুরি অবস্থা, যেখানে শরীর ঘাম নির্গত করতে ব্যর্থ হয় এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। এর ফলে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কেন ঘটে হিটস্ট্রোক?১. অতিরিক্ত তাপ ও রোদে ঘোরাঘুরিদুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময়টিতে সূর্যের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। এই সময় বাইরে থাকা শরীরের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে।
২. গরমে কায়িক পরিশ্রমএই আবহাওয়ায় দৌড়ানো, ব্যায়াম, কৃষিকাজ বা নির্মাণ কাজের মতো পরিশ্রমী কাজ শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনগরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি না পেলে শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না।
৪. বয়স ও শারীরিক সমস্যাশিশু ও বয়স্কদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণক্ষমতা তুলনামূলক দুর্বল। এছাড়াও হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ কী?* অস্বাভাবিক শরীরের উত্তাপ (৪০° সেলসিয়াস বা তার বেশি)
* তীব্র মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা
* ঘাম না হওয়া বা খুব কম হওয়া
* শুষ্ক, লালচে বা গরম ত্বক
* বমি বমি ভাব বা বমি
* দ্রুত হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস
* অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা বিভ্রান্তি
এই লক্ষণ দেখা দিলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন১. রোদ এড়িয়ে চলুনবিশেষ করে দুপুরের দিকে জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ছাতা, হ্যাট বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
২. প্রচুর পানি ও তরল পান করুনপ্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ঘেমে গেলে স্যালাইন বা পানীয় শরবত খান।
৩. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুনসুতি এবং হালকা রঙের জামাকাপড় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
৪. ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুনপাখা বা এয়ার কন্ডিশনার চালু রাখুন। দরকার হলে ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা টানুন বা জানালা বন্ধ রাখুন।
৫. কায়িক পরিশ্রম কমানগরমে বেশি হাঁটা, দৌড়ানো বা ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন। বিকেল বা সন্ধ্যায় কাজ করার চেষ্টা করুন।
হিটস্ট্রোক হলে কী করবেন?১. আক্রান্ত ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ ছায়াযুক্ত বা ঠান্ডা স্থানে নিয়ে যান২. তার শরীরে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দিন বা ভিজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিন3. বরফের প্যাক দিয়ে শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করুন4. দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান
নীরব ঘাতক কিডনি ক্যানসার: এই ৫ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
কিডনি ক্যানসারকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ফলে দেরিতে ধরা পড়লে চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা অবহেলা করা বিপজ্জনক। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসার সাফল্যের হার অনেক বেশি থাকে।
সতর্কতা: যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি ক্যানসারের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
প্রস্রাবে রক্ত: প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল বা বাদামি হলে সতর্ক হতে হবে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে হেমেচুরিয়া নামে পরিচিত। ব্যথাহীনভাবে এটি ঘটলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
পিঠের নিচের দিকে বা পাশে ব্যথা: পিঠের নিচের দিকে বা পাশের অংশে (ফ্ল্যাংক) যদি কোনো আঘাত ছাড়াই স্থায়ী ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তবে তা কিডনির টিউমারের কারণে হতে পারে।
হঠাৎ ও অকারণে ওজন কমে যাওয়া: কোনো খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই যদি দ্রুত ওজন কমতে থাকে, তবে এটি কিডনি ক্যানসারের একটি লক্ষণ হতে পারে।
কিডনির আশপাশে চাকা বা ফোলাভাব: কিডনির পাশে বা পাঁজরের নিচে চাকা বা ফোলাভাব হলে সতর্ক হতে হবে। ক্যানসার হলে এই চাকা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ক্যানসার রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটালে অ্যানিমিয়া হয়, ফলে রোগী স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
হাঁসের মাংস: কী পরিমাণ এবং কোন পরিস্থিতিতে খাওয়া নিরাপদ?
হাঁসের মাংস সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় শীতকালে এটি একটি জনপ্রিয় খাবার। তবে এই মাংসে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকায় সবার জন্য এটি উপযুক্ত নয়। পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি জানিয়েছেন, কার জন্য হাঁসের মাংস নিরাপদ এবং কারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
হাঁসের মাংসের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন জানান, হাঁসের মাংস প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলসের একটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের মাংস থেকে প্রায় ৩০০ ক্যালরি পাওয়া যায়, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন), থায়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম ভালো পরিমাণে থাকে। রক্তস্বল্পতা এবং শীতকালে যাদের খাবারে অনীহা থাকে, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
কারা হাঁসের মাংস খাবেন, কী পরিমাণে খাবেন?
নিশাত শারমিন বলেন, হাঁসের মাংসে প্রচুর ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে, তাই যাদের হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার বা ডায়াবেটিস আছে তাদের এই মাংস খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, যাদের অ্যালার্জি আছে তাদেরও হাঁসের মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য সাধারণত ৬০-৭০ গ্রাম মাংস খাওয়া নিরাপদ। হাঁসের মাংসের ক্ষেত্রে ৩০ গ্রাম ওজনের দুটি টুকরা খাওয়া যথেষ্ট। রান্নার সময় চামড়া ফেলে দিলে চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব।
ইনসুলিনের দামে বৈষম্য: বন্ধের মুখে দেশীয় উৎপাদন
বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন রক্ষাকারী অন্যতম ওষুধ ইনসুলিন উৎপাদনে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ইনসুলিনের দামের তুলনায় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইনসুলিনের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় দেশীয় কোম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে, যার ফলে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ২০০৭ সাল থেকে দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইনসুলিন তৈরি করে আসছে। বিদেশি ওষুধের তুলনায় দেশীয় ইনসুলিন সাশ্রয়ী হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহার করে।
ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ১৪ বছর আগে দেশীয় ইনসুলিনের একটি ডোজের মূল্য ২২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আজও সেই একই দামে এটি বিক্রি হচ্ছে। অথচ একই সময়ে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইনসুলিনের দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৬৩৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই অস্বাভাবিক মূল্য বৈষম্যের কারণে দেশীয় উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে, ইনসুলিন আমদানির জন্য দেশ থেকে প্রচুর ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে।
দেশে প্রায় ১৩ লাখ ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত ইনসুলিন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ৬০ ভাগ দেশীয় ইনসুলিন এবং ৪০ ভাগ আমদানিকৃত ইনসুলিন ব্যবহার করেন। এই ৪০ ভাগ রোগীর পেছনে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়, যেখানে দেশীয় ইনসুলিন ব্যবহারকারী ৬০ ভাগ রোগীর খরচ মাত্র ৩২ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ওষুধ শিল্প সমিতির মতে, দেশে উৎপাদিত ইনসুলিনের গুণগত মান উন্নতমানের। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এটি অনেক দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের বৃহত্তর স্বার্থে এই মূল্য বৈষম্য দ্রুত নিরসন করা জরুরি। অন্যদিকে ওষুধ বিক্রেতারা মনে করেন, প্রচুর ডলার বিদেশে যাওয়া বন্ধ করতে চিকিৎসকদের মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং দেশীয় ইনসুলিনের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।
তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জনস্বার্থে ইনসুলিনের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।
মূত্রের রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত
আপনার মূত্রের রঙ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হতে পারে, বিশেষ করে কিডনির কার্যকারিতা সম্পর্কে। সুস্থ কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত তরল ছেঁকে মূত্র তৈরি করে, যা সাধারণত হালকা হলুদ থেকে অ্যাম্বার রঙের হয়। কিন্তু যখন কিডনি দুর্বল হতে শুরু করে, তখন মূত্রের রঙ, গন্ধ ও স্বরূপে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা দেয়। গাঢ় রঙ, ফেনাযুক্ত, লাল বা ঝাপসা মূত্র ক্রনিক কিডনি রোগ কিংবা আকস্মিক কিডনি আঘাতের মতো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
কিডনি রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে, শরীরের পানির মাত্রা, ইলেক্ট্রোলাইট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। সুস্থ অবস্থায় মূত্র সাধারণত হালকা হলুদ থেকে অ্যাম্বার রঙের হয়ে থাকে, যা শরীরের হাইড্রেশনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বর্জ্য পদার্থ জমে, মূত্রের রঙ ও পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।
কিডনি ব্যর্থতার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো গাঢ় বাদামী, চায়ের মতো বা কোলা রঙের মূত্র। এর পেছনে মূত্রে রক্তের উপস্থিতি, অতিরিক্ত পেশী ভাঙনের উপাদান, কিংবা কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া থাকতে পারে। লাল বা গোলাপি মূত্র মূলত মূত্রে রক্ত থাকার কারণে হয়, যা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, পলিসিস্টিক কিডনি রোগ, সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে হতে পারে। তবে বিট জাতীয় ফলমূল খাওয়ার পরেও লাল রঙ আসতে পারে; তাই ধারাবাহিক পরিবর্তন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফেনাযুক্ত মূত্র সাধারণত প্রোটিন (বিশেষ করে অ্যালবুমিন) উপস্থিতির লক্ষণ, যা ক্রনিক কিডনি রোগের প্রাথমিক সংকেত। প্রস্রাবের ফেনা দীর্ঘস্থায়ী হলে ‘প্রোটিনিউরিয়া’ হতে পারে এবং এটি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। ঝাপসা মূত্র সাধারণত ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিডনি পাথর বা প্রদাহের সঙ্গে যুক্ত, যা মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ বা প্রস্রাবে ব্যথা নিয়ে আসে। যদিও ঝাপসা মূত্র সব সময় কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ নয়, তবে চিকিৎসা না করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
অত্যন্ত স্বচ্ছ বা রঙহীন মূত্র সাধারণত শরীরের পর্যাপ্ত পানি পান করার ইঙ্গিত। কিন্তু ধারাবাহিক ফ্যাকাশে মূত্র হতে পারে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস বা ক্রনিক কিডনি রোগের উন্নত পর্যায়ের লক্ষণ। যদিও এটা সরাসরি কিডনি ব্যর্থতা নয়, অন্য কোনো উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করানো উচিত।
মূত্রের রঙ ছাড়াও কিডনি সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে পা বা গোড়ালি ফোলা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি, মুখে ধাতব স্বাদ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া। যদি এ ধরনের উপসর্গ ও অস্বাভাবিক মূত্রের রঙ দেখা দেয়, দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করার ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে মূত্রের রঙ ও গন্ধ পরিবর্তিত হয়। এর পেছনে ক্রনিক কিডনি রোগ, আকস্মিক কিডনি আঘাত, গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ও কিডনি পাথর অন্যতম কারণ।
হঠাৎ ও অজানা কারণে মূত্রের রঙ পরিবর্তন হলে, গাঢ় বা লাল মূত্র দীর্ঘদিন ধরে থাকলে, ফেনাযুক্ত মূত্র কয়েকদিন বেশি থাকলে, প্রস্রাবে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে এবং অন্যান্য কিডনি সমস্যা লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সুস্থ কিডনি রক্ষায় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান করা, রক্তচাপ ও রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা, ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ (NSAIDs) কম ব্যবহার করা, লবণ ও অ্যালকোহল সীমিত করা, ধূমপান ত্যাগ করা, উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা কিডনি রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর।
প্রথমবারের মতো ৫ কোটি শিশু পাচ্ছে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা
বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অংশ হিসেবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিশুদের জন্য টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। গত ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইপিআই প্রগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।
আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কার্যদিবস স্কুলগুলোতে ক্যাম্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্প শেষ হলে আরও আট দিন ইপিআই সেন্টারে গিয়ে স্কুলে না যাওয়া শিশুরাও টিকা নিতে পারবে। টিকা পেতে অনলাইনে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv/ এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করার সুবিধা রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদসহ নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।
টাইফয়েডের জন্য দেওয়া এই ইনজেকশনের এক ডোজ প্রাপ্ত শিশুকে তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় এই ভ্যাকসিন এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর মূলত স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, যা দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া থাকে। অনেক সময় এসব লক্ষণ অস্পষ্ট হওয়ায় অন্যান্য জ্বরের সঙ্গে বিভ্রান্তি হতে পারে।
গ্যাভির সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্বব্যাপী শতভাগ নিরাপত্তা নিয়ে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনার আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর সরকার গ্যাভিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে। আগে এই ভ্যাকসিন বেসরকারিভাবে পাওয়া যেত, এবার সরকার বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে এই ভ্যাকসিন দেবে।’
/আশিক
হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
হাইপোথাইরয়েডিজম একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। এই হরমোন শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে—যার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হৃদস্পন্দন, হজমসহ গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। হরমোনের ঘাটতি হলে শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
কারণ
হাইপোথাইরয়েডিজমের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
অটোইমিউন থাইরয়েডাইটিস (হাশিমোটো রোগ): ইমিউন সিস্টেম থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে, ফলে হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
থাইরয়েড অপারেশন বা রেডিওথেরাপি: গ্রন্থি আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ কিংবা ক্যানসার ও হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় রেডিওঅ্যাকটিভ আয়োডিন ব্যবহার হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
আয়োডিনের ঘাটতি বা অতিরিক্ততা: হরমোন তৈরিতে আয়োডিন অপরিহার্য, তবে অতিরিক্ত বা ঘাটতি—দুই অবস্থাই ক্ষতিকর।
ওষুধের প্রভাব: লিথিয়াম বা অ্যামিওডারোনের মতো ওষুধ হরমোন উৎপাদন কমাতে পারে।
জন্মগত কারণ: কিছু শিশু জন্ম থেকেই পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে অক্ষম।
লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ অস্পষ্ট হতে পারে, তবে হরমোন ঘাটতি বাড়লে দেখা দিতে পারে—
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
ওজন বৃদ্ধি
ঠান্ডা সহ্য না হওয়া
শুষ্ক ও খসখসে ত্বক
চুল পাতলা হওয়া ও পড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য
মুখমণ্ডল ও চোখের নিচে ফোলাভাব
গলায় ফোলাভাব (গয়েটার)
মনোযোগ কমে যাওয়া ও স্মৃতিভ্রংশ
বিষণ্নতা
হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া
মাসিক অনিয়ম বা বন্ধ্যত্ব (নারীদের ক্ষেত্রে)
কর্কশ কণ্ঠস্বর
ঘুম ঘুম ভাব
সব রোগীর ক্ষেত্রে সব লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে; কারও উপসর্গ হালকা, কারও ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে।
সম্ভাব্য জটিলতা
চিকিৎসা না হলে হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে হৃদরোগ, গভীর অবসাদ, বন্ধ্যত্ব, গর্ভাবস্থায় জটিলতা এবং গুরুতর মাইক্সিডিমা (জীবনহানিকর অবস্থা) হতে পারে।
রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা হয়—
TSH বেশি হলে রোগের ইঙ্গিত
Free T4 কম থাকলে নিশ্চিত
Anti-TPO অ্যান্টিবডি পজিটিভ হলে অটোইমিউন কারণ বোঝা যায়
চিকিৎসা
হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা সাধারণত আজীবন চলে।
হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি: লেভোথাইরক্সিন প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন।
ডোজ নির্ধারণ: বয়স, ওজন, উপসর্গ ও পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ঠিক করা হয়।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: প্রতি ৬-৮ সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষা করে ডোজ সমন্বয়।
জীবনযাপন পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাদ্য, শরীরচর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।
থাইরক্সিন সেবনের নিয়ম
সকালে খালি পেটে (৬-৮টার মধ্যে) সেবন
খাওয়ার পর অন্তত ৩০-৬০ মিনিট কিছু না খাওয়া
পানি ছাড়া অন্য কিছু না পান করা
আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টাসিড ইত্যাদির সঙ্গে অন্তত ৪ ঘণ্টা বিরতি রাখা
প্রতিদিন একই সময়ে ওষুধ খাওয়া
দুধ, কফি, সোয়া খাবার ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করা
বিশেষ সতর্কতা
গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে চিকিৎসককে জানানো
ডোজ পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
অতিরিক্ত ডোজে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অস্থিরতা, ওজন হ্রাস, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি হতে পারে—এসব হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
ছয় বছর পর ড্যাবের ভোটযুদ্ধ আজ, চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা
বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ছয় বছরেরও বেশি সময় পর আজ শনিবার আয়োজন করছে তাদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটন ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে নতুন নেতৃত্ব। ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিজন কান্তি সরকার জানান, কাউন্সিলের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হবে। এবারের নির্বাচন হবে পাঁচটি পদে—সভাপতি, মহাসচিব, সিনিয়র সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ১৩১ জন।
ভোটে মুখোমুখি হচ্ছে দুটি প্রধান প্যানেল—হারুন-শাকিল ও আজিজ-শাকুর। হারুন-শাকিল প্যানেল ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ড্যাবের নেতৃত্বে ছিল, যেখানে সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশীদ। অপরদিকে, আজিজ-শাকুর প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, যিনি ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।
হারুন প্যানেলে মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. আবুল কেনান, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. মো. মেহেদী হাসান এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. একেএম খালেকুজ্জামান দিপু।
অন্যদিকে, আজিজ প্যানেলে মহাসচিব পদে আছেন অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, সিনিয়র সহসভাপতি পদে ডা. সাইফ উদ্দিন নিসার আহমেদ তুষার, কোষাধ্যক্ষ পদে ডা. তৌহিদ উল ইসলাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে ডা. আবু মো. আহসান ফিরোজ।
দুই বড় প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ডা. ওবায়দুল কবির।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সর্বশেষ ড্যাব নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৪ মে, যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. হারুনুর রশীদ এবং মহাসচিব হয়েছিলেন ডা. আব্দুস সালাম। গত বছর কমিটির মেয়াদ শেষ হলে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়, যা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করেছে।
-রাফসান
মিটফোর্ড সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় ভেজাল ওষুধের সাম্রাজ্য
ভেজাল ও নকল ওষুধ সেবনে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন— এমন তথ্য সামনে আসার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ ও সমালোচনা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এসব ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে কিডনি বিকল, ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এমনকি এসব ওষুধ মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠছে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দুইটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ভেজাল ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়। এর পর বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক মহল, ওষুধ ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
বিশেষ করে রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ওষুধ মার্কেটকে ঘিরে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব উঠে এসেছে। একাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, এই সিন্ডিকেট শতাধিক সদস্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। এসব ওষুধ সারা দেশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে এসব ওষুধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন ব্যবসায়ী জানান, তিনি ২০ বছর মিটফোর্ডে ব্যবসা করেছেন। কিন্তু ভেজাল ওষুধ বিক্রির জন্য সমিতির চাপে পড়ে একপর্যায়ে দোকান গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, অনেক ওষুধ ব্যবসায়ী, এমনকি সমিতির কিছু নেতাও মাসোহারা নিয়ে এই অপরাধে জড়িত। বিশেষ করে ইনসুলিন ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নকল করে বাজারে ছাড়ছে তারা।
মিটফোর্ড থেকে পরিচালিত এসব কার্যক্রম বন্ধে মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালালেও কার্যকর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপুল ভেজাল ওষুধ জব্দ করলেও বাজারজাত বন্ধ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
আশির দশকে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২ হাজারের বেশি শিশু মারা যাওয়ার স্মৃতি এখনো জাতির মনে গাঁথা। কিন্তু সেই ভয়াবহ ঘটনার পরও আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যকর নজরদারি গড়ে ওঠেনি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি এবং ভেজাল ওষুধ সেবন নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান শাস্তির ব্যবস্থা ছাড়া কোনো স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, হঠাৎ বা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি বিকলের অন্যতম কারণ এই ভেজাল ওষুধ। তিনি এসব ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. শফি আহমেদ মোয়াজও একই কথা বলেন। তিনি মনে করেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
এক ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিদিন কত মানুষ ভেজাল ওষুধ খেয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রশাসনের কাছে নেই। এ বিষয়ে মনিটরিং ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা শ্যামলীর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ হাসপাতালের প্রধান উপপরিচালক ডা. আয়েশা বেগম বলেন, এসব ওষুধে রোগীরা জটিলতায় ভুগছেন, অথচ বাজারজাত বন্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এমএন হুদা বলেন, চুলকানি, দাদ ও খোসপাঁচড়ার মতো রোগেও ভেজাল ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। আমদানি করা প্রতিটি ওষুধ পরীক্ষার পরই বাজারজাত অনুমতি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট রোকন উদ-দৌলাহ মনে করেন, ভেজাল ওষুধ জব্দের পর তাৎক্ষণিক পরীক্ষার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এই নৈরাজ্য অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব।
/আশিক
মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন হোন, চিনে নিন লক্ষণ ও প্রকারভেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মানসিক রোগগুলি হলো এমন অবস্থা যা কোনো ব্যক্তির চিন্তা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ বা আচরণে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং সাধারণত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসুবিধা বা যন্ত্রণার কারণ হয়। মানসিক রোগ বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। ২০১৯ সালে বিশ্বের ৯৭০ মিলিয়ন মানুষ বা প্রতি আটজনের মধ্যে একজন মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল উদ্বেগ ও বিষণ্নতা জনিত সমস্যা। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা জনিত রোগের সংখ্যা যথাক্রমে ২৬% ও ২৮% বেড়ে গিয়েছিল। যদিও মানসিক রোগের জন্য কার্যকর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা বিদ্যমান, অধিকাংশ রোগী যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন এবং তারা সামাজিক কলঙ্ক, বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হন।
মানসিক রোগের বিভিন্ন প্রকার
উদ্বেগজনিত রোগসমূহ
২০১৯ সালে প্রায় ৩০১ মিলিয়ন মানুষ উদ্বেগজনিত রোগে ভুগছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৫৮ মিলিয়ন শিশু ও কিশোর। উদ্বেগজনিত রোগে অতিরিক্ত ভয়, চিন্তা ও আচরণগত ব্যাঘাত থাকে যা ব্যক্তি জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। সাধারণ উদ্বেগ, প্যানিক অ্যাটাক, সামাজিক উদ্বেগ, বিচ্ছেদের উদ্বেগসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্বেগজনিত রোগ রয়েছে। এসব রোগের জন্য মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
বিষণ্নতা (ডিপ্রেশন)
২০১৯ সালে ২৮০ মিলিয়ন মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছিলেন, যাদের মধ্যে ছিল ২৩ মিলিয়ন শিশু ও কিশোর। বিষণ্নতা সাধারণ মেজাজের ওঠানামার চেয়ে ভিন্ন, এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং ব্যক্তি অধিকাংশ সময় দুঃখী, বিরক্ত বা অবসন্ন বোধ করে। অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে মনোযোগের অভাব, অপরাধবোধ, ভবিষ্যতের প্রতি হতাশা, আত্মহত্যার চিন্তা, ঘুম বা খাওয়ার অভ্যাসের পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি অন্তর্ভুক্ত। বিষণ্নতা আক্রান্তদের আত্মহত্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে চিকিৎসা ও ঔষধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার
২০১৯ সালে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছিলেন। এই রোগে রোগী মনের অবস্থা পরিবর্তিত হয়, কখনো বিষণ্নতায় ডুবে যান আবার কখনো অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস বা রেগে যাওয়ার মতো ম্যানিক অবস্থায় চলে যান। ম্যানিক পর্যায়ে অতিরিক্ত কথা বলা, ঘুমের অভাব, আত্মবিশ্বাসের অতিরিক্ত বর্ধন, অস্থিরতা ও বেপরোয়া আচরণ দেখা যায়। বাইপোলার রোগীদেরও আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। চিকিৎসায় মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষাদান, চাপ কমানো, সামাজিক কার্যকলাপ বাড়ানো এবং ঔষধ অন্তর্ভুক্ত।
পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি)
যুদ্ধ ও সংঘর্ষ এলাকার মানুষের মধ্যে পিটিএসডি’র প্রাদুর্ভাব বেশি। কোনো ভয়াবহ বা আতঙ্কজনক ঘটনা পরবর্তী সময়ে এটি বিকাশ লাভ করে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি স্মৃতি, মেমরি এড়ানো, এবং বর্তমানেও হঠাৎ আতঙ্ক অনুভব অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী এই অবস্থায় ব্যক্তি সামাজিক ও শারীরিক জীবনে সমস্যায় পড়ে। কার্যকর মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা রয়েছে।
সিজোফ্রেনিয়া
বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৪ মিলিয়ন মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, যার জীবনকাল সাধারণ মানুষের চেয়ে ১০-২০ বছর কম। রোগীদের বোধের ভারসাম্যহীনতা, বিভ্রান্তিকর ধারনা, দৃষ্টিভ্রম, অগোছালো চিন্তা ও আচরণ লক্ষ্য করা যায়। জ্ঞানীয় দক্ষতা হ্রাস পেতে পারে। ঔষধ, পরিবারের সহায়তা ও পুনর্বাসন চিকিৎসায় উন্নতি সম্ভব।
খাদ্যাভাসজনিত রোগ
২০১৯ সালে ১৪ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যাভাসজনিত রোগে ভুগছিলেন, যার মধ্যে ছিল প্রায় ৩ মিলিয়ন শিশু ও কিশোর। এগুলো হলো অ্যানোরেক্সিয়া নেরোভসা, বুলিমিয়া নেরোভসা ইত্যাদি। রোগীরা খাবারের প্রতি অস্বাভাবিক দৃষ্টি ও শরীরের ওজন নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন থাকেন। গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি কার্যকর।
বিঘ্নকারী আচরণ ও সামাজিক ব্যাধি
২০১৯ সালে ৪০ মিলিয়ন মানুষ, যার মধ্যে অনেক শিশু ও কিশোর, কনডাক্ট ডিজঅর্ডার বা সামাজিক ব্যাধিতে ভুগছিলেন। এই রোগে ব্যক্তি অন্যের অধিকার বা সামাজিক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে চলেন। চিকিৎসায় পারিবারিক ও শিক্ষাগত সহায়তা, সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও মনস্তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
স্নায়ুবিকাশজনিত রোগ
এই রোগগুলো বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত, চলাচল ও সামাজিক দক্ষতায় দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করে। অটিজম, এডিএইচডি, বুদ্ধিমত্তার বিকাশজনিত ব্যাধি এগুলোর অন্তর্ভুক্ত। শিশুকাল থেকেই লক্ষণ দেখা যায়। মনস্তাত্ত্বিক ও চিকিৎসা পদ্ধতি, অকুপেশনাল থেরাপি, ভাষা থেরাপি এবং প্রয়োজনে ঔষধ ব্যবহৃত হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা
অধিকাংশ মানুষ মানসিক রোগের ঝুঁকি কম হলেও দারিদ্র্য, সহিংসতা, প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্যের মতো বিরূপ পরিবেশে যারা বসবাস করে, তাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্যক্তিগত ও জেনেটিক কারণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও সামাজিক সহায়তা
বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম নয়, এবং প্রাপ্ত সেবার মান অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল। উদাহরণস্বরূপ, মাত্র ২৯% সিজোফ্রেনিয়া রোগী এবং এক তৃতীয়াংশ বিষণ্নতা রোগীই যথাযথ চিকিৎসা পান। সামাজিক, শিক্ষাগত, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও পারিবারিক সহায়তাও অপরিহার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদক্ষেপ
ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০৩০ সালের মধ্যে চারটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে:১. মানসিক স্বাস্থ্য নীতি ও নেতৃত্ব শক্তিশালীকরণ;২. সমন্বিত, সম্প্রদায়ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান;৩. মানসিক স্বাস্থ্য প্রচার ও প্রতিরোধ কৌশল বাস্তবায়ন;৪. তথ্য ব্যবস্থা, গবেষণা ও প্রমাণভিত্তিক নীতি উন্নয়ন।
ডব্লিউএইচওর ‘মেন্টাল হেলথ গ্যাপ অ্যাকশন প্রোগ্রাম (mhGAP)’ মূলত দরিদ্র দেশগুলিতে অ-বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিস্তার ঘটায়। এর মাধ্যমে চিকিৎসা প্রণালী এবং রোগ নির্ণয়ে কার্যকর সমাধান প্রদান করা হয়।
পাঠকের মতামত:
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- সঙ্গীতশিল্পী থেকে অভিনেত্রী, নতুন রূপে পারশা মাহজাবীন পূর্ণী
- পাকিস্তানের হারের হতাশা কাটিয়ে: নেপালকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে রাজপথে নামব: আখতার হোসেন
- সরকারকে লন্ডনে ‘বিক্রি করে’ দেওয়া হয়েছে:হাসনাত আব্দুল্লাহ
- আলাস্কার আকাশে রহস্য: দুই নেতার সামনে কেন আচমকা মার্কিন বোমারু বিমান?
- নীরব ঘাতক কিডনি ক্যানসার: এই ৫ লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
- ৩২ নম্বরে ফুল দেওয়া সেই রিকশাচালক এবার জুলাই মামলায় কারাগারে
- আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল?: চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আসিফ নজরুলের ক্ষোভ
- নির্বাচনের বিরুদ্ধে যারা, তারা জনগণের শত্রু: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন চেষ্টা: এ বছরই বসছে ৩ আন্তর্জাতিক সম্মেলন
- গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে (জিসিএ) এর বার্ষিক পিকনিক প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রেমে বৃদ্ধের ঘরছাড়া, প্রাণঘাতী পরিণতি
- খুলনার ব্যাংকে দুর্ধর্ষ চুরি: ১৬ লাখ টাকা লুট
- বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না: আবারও ৫ দিনের বৃষ্টি বার্তা,৩ বিভাগে ভারি বর্ষণের শঙ্কা
- ৪ বছরে টাকার বড় দরপতন, ইউরো ও ডলারের বিপরীতে কতটা কমল?
- আকাশছোঁয়া দাম, ইলিশ এখন সাধারণের জন্য কেবল 'স্বপ্ন'
- রাজশাহীর কোচিং সেন্টার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার,ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
- টাইগারদের পাওয়ার হিটিংয়ে দুর্বলতা: সমাধান নিয়ে এসেছেন জুলিয়ান উড
- গাজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা: প্রতিদিনের বাস্তবতা
- মেলানিয়ার চিঠি নিয়ে রহস্য: ট্রাম্প কেন ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের হাতে দিলেন?
- গুজবের পর্দা ফাঁস: তারকাদের টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে পোস্ট? জানা গেল আসল সত্য
- পাথর পাচারের রুট পরিবর্তন: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ছাতকে নতুন রুট
- আবার সাইবার হামলা: ভারতীয় হ্যাকারদের টার্গেটে বাংলাদেশের শতাধিক ওয়েবসাইট
- ফুটবল দুনিয়ার দৌড়ঝাপ, রোনালদো ভারতের পথে!
- বক্স অফিস রিপোর্ট: ‘কুলি’র বাজিমাত, পিছিয়ে ‘ওয়ার ২’, আর ‘ধূমকেতু’র রেকর্ড
- শ্রীকৃষ্ণের বাণী থেকে প্রেরণা: জন্মাষ্টমীতে তারেক রহমানের রাজনৈতিক বার্তা
- আগামী নির্বাচন হবে বিশ্বাসযোগ্য: ড. ইউনূসের মন্তব্য, জানালেন সংস্কারের অগ্রগতি
- নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প: নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে কী জানতে চাইলেন?
- ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের পর হল রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন বিতর্ক
- ইরাকে আলেমের চমক: কোরআনের আয়াতেই মুহূর্তে সুস্থ হচ্ছেন রোগীরা
- নোয়াখালীতে শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ আটক ৩
- সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: যানজটে আটকে ফায়ার সার্ভিস,পুড়ে ছাই ২৫ দোকান
- তিন ঘণ্টার বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে অচলাবস্থা, কী বললেন পুতিন-ট্রাম্প?
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দুই বাংলায় সাড়া ফেলতে আসছে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন চমক
- নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- ‘জাতির পিতা’ নয়, মুজিববাদ ফ্যাসিবাদ: নাহিদ ইসলাম
- জেড আই খান পান্নার গৃহবন্দি স্ট্যাটাসে তোলপাড়
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- খালেদা জিয়ার জন্মদিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফুলেল শুভেচ্ছা
- শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- গবেষণায় উন্মোচিত খারাপ সিদ্ধান্তের মনস্তাত্ত্বিক কারণ
- ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প
- ৮১ বছরে খালেদা জিয়া: সংগ্রাম, কারাবাস ও রাজনৈতিক ইতিহাস
- শুটিংয়ে সালমান খানকে কষে চড়!
- ফ্রান্স থেকে ফিরে ‘ইন্টার্ন’ উপদেষ্টা দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন ইউনূস: রাশেদ খান
- ১৫ আগস্টের আগে ঢাবি হলে শেখ হাসিনা-আ.লীগ ব্যঙ্গ করে নৃত্য-উল্লাস
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের ভুল খুঁজে পেলেন বাংলাদেশের আফসার আলী
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার