নির্বাচনের দিনই গণভোট: গণভোটের প্রশ্নে যা থাকছে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৫:১৬:১৯
নির্বাচনের দিনই গণভোট: গণভোটের প্রশ্নে যা থাকছে
ছবি: সংগৃহীত

জাতির উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেল আড়াইটায় দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেনআসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিনই দেশজুড়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই সনদের আলোকে প্রস্তাবিত চারটি মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে ব্যালটে থাকবে একটিমাত্র প্রশ্ন, যেখানে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোট পেলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যারা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদে যে কাঠামোগত রাজনৈতিক সংস্কারের নকশা উপস্থাপিত হয়েছে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণ সম্মতি দিলে সেই ভিত্তিতেই ভবিষ্যতের রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠন করা হবে। তিনি জানান, গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনযোগ্য চারটি মূল বিষয়ের সারমর্ম হলো-

১. নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো

তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠিত হবে। লক্ষ্য নির্বাচনকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

২. দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ

আগামী সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে।

  • ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে।
  • সংবিধান সংশোধনে এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্মতি বাধ্যতামূলক হবে।এটি ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক স্থাপত্যের ইঙ্গিত দেয়।

৩. জুলাই সনদের ৩০ দফা রাজনৈতিক সংস্কার বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন

নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল সীমাবদ্ধকরণ, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা পুনঃনির্ধারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিস্তৃত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো আইনি বাধ্যবাধকতার আওতায় থাকবে।

৪. জুলাই সনদের অন্যান্য সংস্কারসমূহ বাস্তবায়ন

রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার অনুযায়ী জুলাই সনদে উল্লেখিত বাকি সংস্কারসমূহ ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যেই তারা সংবিধান পুনঃগঠনের কাজ সম্পন্ন করবেন।


জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১২:৪৯:৩১
জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: ড. ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতি গঠনে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আনন্দঘন পরিবেশে শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

সৃজনশীল বিকাশে জোর

ড. ইউনূস মনে করেন, শিশুদের মেধার বিকাশ শুধু গতানুগতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।

ক্ষেত্র সম্প্রসারণ তিনি প্রশ্ন রাখেন, “শিশুরা শুধু নাচ-গানে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন?”—এই প্রশ্ন রেখে ড. ইউনূস শিশুদের রচনা, প্রযুক্তি, খেলাধুলা ও উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন পর আবারও ‘নতুন কুঁড়ি’ আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন কুঁড়ির মতো অন্যান্য ক্ষেত্রেও মন্ত্রণালয়কে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানের আগে প্রতিযোগিতার দুটি বিভাগের দুই বিজয়ীর হাতে ৩ লাখ টাকার চেক ও ট্রফি তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানান।


সিইসি’র হুঁশিয়ারি সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:২১:০০
সিইসি’র হুঁশিয়ারি সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে খেলবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকা পালন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দলগুলো সহযোগিতা না করলে নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা হারাবে এবং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

পোস্টার অপসারণ এবং কমিশনের চাপ

পোস্টার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন পোস্টার নিষিদ্ধ করলেও সারা ঢাকা শহর এখনো পোস্টারে ছেয়ে আছে। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ইসি পোস্টার নিষিদ্ধ করার পরেও শহরের যে চিত্র, তা অনভিপ্রেত। পোস্টারগুলো যদি দলগুলো নিজেরাই স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে ফেলে, তবে এটাই হবে সবচেয়ে ভদ্র আচরণ। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে কমিশন কোনোভাবেই ছাড় দেবে না।

চাপের মুখে কমিশন সিইসি জানান, একটি ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ এবং বিশেষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে গিয়ে কমিশনের ওপর নানা ধরনের চাপ আসছে। এ কারণে তিনি আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সহযোগিতা চেয়েছেন নির্বাচনে অংশীজনদের কাছে।


শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১০:৩৯:১৫
শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা
ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে এই রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন।

ট্রাইব্যুনাল চত্বরে যৌথ বাহিনীর অবস্থান

এদিন সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ-র‌্যাব, বিজিবি-সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। একইসঙ্গে আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। তল্লাশি চালিয়ে জনসাধারণ ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা বলয় সরেজমিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাইকোর্ট মাজার-সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের ফটকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান ছিল সেখানে। ৮টার পর সেখানে আসে সেনাবাহিনীর টহল দল।

লক্ষ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে কেউ যেন উসকানিমূলক কার্যকলাপ বা বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে, সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা জুড়ে নিরাপত্তা

রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আজ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন থাকছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।

তল্লাশি অভিযান নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বুধবার থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোয় বিভিন্ন চেকপোস্টে গণপরিবহণ আর সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়েছে। গত রাতে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও মেসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।

যান চলাচল সকালে রাজধানীর রাস্তার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক দেখা গেলেও সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। বাংলামোটর মোড়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।


আজ জারি হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:১৩:০৮
আজ জারি হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে 'জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫'-এর ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন। এর আগে বেলা এগারোটায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের পর আদেশ জারি করা হবে।

আদেশে ভারসাম্য আনার চেষ্টা

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, একই আদেশের ভিত্তিতে একদিনেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থান দূর করতে প্রস্তাবিত আদেশে একধরনের ভারসাম্য আনা হয়েছে, যাতে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতের উদ্বেগও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

সংকট সমাধানে সরকারের কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় ছিল:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা।

সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে।

গণভোটে 'নোট অব ডিসেন্ট' বা ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ রাখছে না সরকার। পাশাপাশি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতার সুপারিশও বাতিল করা হতে পারে।

তবে সরকার পরিকল্পনা করেছে, নতুন সংসদে এই আদেশকে ভিত্তি করে একটি বিল আকারে প্রস্তাব পেশ করা হবে। গণভোটের ব্যালটে একাধিক প্রশ্নও রাখা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে টানাপোড়েন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র টানাপোড়েন এখনো চলছে। বুধবারও বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরেননি।

জামায়াতসহ আটটি ইসলামি দল সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দিয়ে বলেছে, আগামী রবিবারের মধ্যে আদেশ জারি না হলে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবে।

অপরদিকে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বক্তব্যে এই আদেশের বিষয়ে পালটা হুঁশিয়ারিও রয়েছে।

সনদের প্রক্রিয়াকরণ

১৭ অক্টোবর ২৫টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৮ অক্টোবর সরকারকে তাদের সুপারিশপত্র দেয়। তবে এর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দেওয়ায় ৩ নভেম্বর ডক্টর ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত মত জানাতে বলা হলেও কোনো ঐকমত্য হয়নি।

সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রথম দিকে উপদেষ্টা পরিষদও এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। পরবর্তীকালে সিদ্ধান্তের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইন উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল এবং জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানসহ কয়েকজন উপদেষ্টাকে।

ড ইউনূসের ষষ্ঠ ভাষণ

আজকের এই ঘোষণাটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ডক্টর ইউনূসের ষষ্ঠ জাতির উদ্দেশে ভাষণ। এর আগে তিনি গত বছরের ২৫ আগস্ট প্রথম ভাষণ দেন এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দেন।


কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২৩:৪১:৫৯
কি আছে ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’-এ? সম্পূর্ন ভিডিও সহ দেখুন 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত বহুল আলোচিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়েছে। ২১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্যচিত্রটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমননীতির চিত্র তুলে ধরেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ বুধবার প্রামাণ্যচিত্রটি প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানায়, “পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। সত্য প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা ন্যায়বিচার ও মানবতার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।”

প্রামাণ্যচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের সময়কার আর্কাইভ ফুটেজ, স্বাধীন সাংবাদিকদের ভিডিওচিত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিবৃতি। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতার দৃশ্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহতদের তালিকা বিশ্লেষণাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা জানিয়েছেন, এটি শুধুমাত্র ইতিহাসের রেকর্ড নয়, বরং জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার একটি উদ্যোগ—কীভাবে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া একটি গণআন্দোলন রাষ্ট্রীয় সহিংসতার মুখে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। একইসঙ্গে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফ্যাসিবাদ ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে সচেতন করার উদ্দেশ্যও এতে নিহিত।

প্রামাণ্যচিত্রটি অনলাইনে সরকারী পোর্টাল ও জাতীয় টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে দেশ–বিদেশের দর্শক সহজে দেখতে পারেন।

দেখুন সম্পূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রটি (দৈর্ঘ্য: ২১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড):


নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে যা হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ড ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৬:৫১:৪৬
নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে যা হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত ড ইউনূস
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে। তিনি উল্লেখ করেন, তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডীয় সাত সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

ডক্টর ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন

"তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় বারো লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।"

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ডক্টর ইউনূসকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাঁর অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনিধিদলের সদস্য সামির জুবেরি, যিনি পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যও, তিনি জানান কানাডা বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বহুমুখী করার চেষ্টা করছে।

সামির জুবেরি বলেন, "আমরা বাণিজ্যের বৈচিত্র্য আনতে কাজ করছি। বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে গভীর মানবিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এশিয়া সফরে গিয়েছিলেন—বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্য নিয়ে।"

সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ পোশাক, কৃষি ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য সুযোগ এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি শিল্পে কানাডার বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ, সামির জুবেরি, মাহমুদা খান, মাসুম মাহবুব, আহমদ আতিয়া এবং উসামা খান। সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।


সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ অক্টোবর মাসের চিত্র উদ্বেগের জন্ম দিল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৪:৩৬:৫৯
সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ অক্টোবর মাসের চিত্র উদ্বেগের জন্ম দিল
ছবিঃ সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৪৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৮০ জন। এটি গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ জনের মৃত্যুর হার।

বুধবার ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সংগঠনটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৩২টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১০ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে ১২৬টি ঘটনায় ১৩০ জন নিহত এবং ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত এবং ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬ শতাংশ, যা মোটরসাইকেলের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুসহ সমাজের নানা শ্রেণির মানুষ রয়েছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে:

সড়কের গর্ত ও ফিটনেসবিহীন যান

অদক্ষ চালক ও উল্টোপথে যানবাহন চলাচল

সড়কে প্রয়োজনীয় রোড ডিভাইডার না থাকা

ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামত করা

দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া

সড়কে প্রয়োজনীয় রোড সাইন স্থাপন করা

সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা


নতুন পে স্কেলের কাঠামো দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৪:০৮:৫৪
নতুন পে স্কেলের কাঠামো দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

পে কমিশনের জন্য গঠিত আলাদা কমিশন কাজ করছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো তৈরি করবে। তবে চূড়ান্তভাবে এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর।

বুধবার ১২ নভেম্বর সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পে কমিশন নিয়ে সরকারের উদ্যোগ

ডক্টর সালেহউদ্দিন বলেন, পে কমিশনের জন্য একটি আলাদা কমিশন কাজ করছে। তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে কমিশন দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "গত আট বছরে পে কমিশন নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।"

"বর্তমান সরকার কেবল একটি কাঠামো তৈরি করবে, যা পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে।" তিনি আরও বলেন, বাজেট ও সামাজিক খাতের অন্যান্য দিকও বিবেচনায় রাখতে হবে। পরবর্তী সরকার পে কমিশন বাস্তবায়ন করবে এটা যৌক্তিক।

বাজারে সরবরাহ ও নির্বাচন প্রস্তুতি

অর্থ উপদেষ্টা একইসঙ্গে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং আসন্ন নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়েও জানান।

তিনি জানান, রোজার আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তেল ও চিনি আমদানি করা হবে।

এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণের জন্য ৪০ হাজার 'বডি অন ক্যামেরা' কেনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পুরোনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করার নির্দেশ

ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, পরিবেশের ক্ষতি এড়াতে বন্দরে আটকে থাকা পুরোনো গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ করে বা ধ্বংস করে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি যাচ্ছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৪:০৪:২১
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি যাচ্ছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে
ছবিঃ সংগৃহীত

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। বুধবার ১২ নভেম্বর এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর।

শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল ও নিলামে ব্যর্থতা

এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এই উচ্চমূল্যের গাড়িগুলো আমদানি করা হয়েছিল। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এনবিআরের কাছে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, তা জানতে চেয়েছিল।

২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়, এসব গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য নয় এবং আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ককর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা শুল্ক-কর পরিশোধ না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪ (৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য প্রস্তাব না করায় সেগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ও কারণ

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনস্বার্থে এসব উচ্চমূল্যের গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা এই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক ও করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। এর মধ্যে একক গাড়ির সর্বোচ্চ শুল্ক-কর ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

ভবিষ্যতের ব্যবস্থা

এনবিআর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা যদি আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য শুল্ক-কর পরিশোধ করেন, তাহলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়ন সম্পন্ন করে গাড়িগুলো তাদের অনুকূলে খালাস দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, এই গাড়িগুলো দীর্ঘদিন বন্দর এলাকায় খালাসহীন অবস্থায় পড়ে ছিল। ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর।

এর আগে সেপ্টেম্বরে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো আবদুর রহমান খান বলেছিলেন, দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করা ৩০টি গাড়ি সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। নিলামে ভালো দর না পাওয়ায় এসব গাড়ি এখন সরকারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

যেভাবে ইউরোপের ধ্বংসস্তূপে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হয়ে উঠলো আমেরিকা!

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ইতিহাসের এক এমন প্রলয়ঙ্করী অধ্যায় যা কেবল লক্ষ লক্ষ প্রাণই কেড়ে নেয়নি, বদলে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীর মানচিত্র ও... বিস্তারিত