বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার সর্বশেষ বিনিময় হার প্রকাশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১০:৩৩:৪৫
বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার সর্বশেষ বিনিময় হার প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো আজ শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫) সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার প্রকাশ করেছে। বৈশ্বিক বাজারে মার্কিন ডলার, ইউরো এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে এসব মুদ্রার দর বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দামের ওঠানামা, আমদানি ব্যয়, বৈদেশিক রিজার্ভ এবং প্রবাসী আয়ের প্রভাবেই এ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, বৈশ্বিক তেলের দাম বৃদ্ধি এবং মার্কিন অর্থনীতির নীতিগত কড়াকড়ির কারণে ডলারের দাম বিশ্বজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী। ফলে টাকার মান তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমেছে। দেশের ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিনের ভিত্তিতে নিজেদের রেট সামঞ্জস্য করছে। তাই বিদেশ ভ্রমণ, বাণিজ্যিক লেনদেন বা রেমিট্যান্স গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সর্বশেষ হার যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার (৮ নভেম্বর ২০২৫)

মুদ্রা নাম প্রতি ইউনিটে বিনিময় হার (৳)

USD মার্কিন ডলার ১২২.১২ টাকা

GBP ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬০.৫৮ টাকা

EUR ইউরো ১৪১.২৮ টাকা

SAR সৌদি রিয়াল ৩২.৫৬ টাকা

AED দুবাই দিরহাম ৩৩.২৫ টাকা

QAR কাতারি রিয়াল ৩৩.৫৪ টাকা

KWD কুয়েতি দিনার ৩৯৭.৬৬ টাকা

OMR ওমানি রিয়াল ৩১৭.৩৭ টাকা

BHD বাহরাইনি দিনার ৩২৪.৭৮ টাকা

MYR মালয়েশিয়ান রিংগিত ২৯.২৩ টাকা

SGD সিঙ্গাপুর ডলার ৯৩.৮৬ টাকা

BND ব্রুনাই ডলার ৯৩.৮৬ টাকা

CAD কানাডিয়ান ডলার ৮৬.৯৩ টাকা

AUD অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৯.২৬ টাকা

CNY চাইনিজ ইউয়ান (রেন্মিন্বি) ১৭.১৪ টাকা

JPY জাপানি ইয়েন ০.৭৯ টাকা

KRW দক্ষিণ কোরিয়ান ওন ০.০৮ টাকা

TRY তুর্কি লিরা ২.৮৯ টাকা

INR ভারতীয় রুপি ১.৩৭ টাকা

ZAR দক্ষিণ আফ্রিকান র‍্যান্ড ৭.০৭ টাকা

LYD লিবিয়ান দিনার ২২.৩৯ টাকা

MVR মালদ্বীপিয়ান রুফিয়া ৭.৯২ টাকা

IQD ইরাকি দিনার ০.০৯ টাকা


তেজাবি স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজারে নতুন সমন্বয়, জানুন আজকের রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ০৯:২২:০১
তেজাবি স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজারে নতুন সমন্বয়, জানুন আজকের রেট
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। সর্বশেষ সমন্বয় অনুযায়ী, প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা, ফলে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রবিবার (২ নভেম্বর) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে এবং আজ রবিবার (৯ নভেম্বর) পর্যন্তও একই দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই সমন্বয় করা হয়েছে।

এটি চলতি বছরের মধ্যে স্বর্ণের দামে পঞ্চম বারের মতো বৃদ্ধি, যা বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজুসের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ক্যারেট অনুযায়ী স্বর্ণের দাম হলো—

২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২,০১,৭৭৬ টাকা

২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৯২,৫৯৬ টাকা

১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৬৫,০৮১ টাকা

সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১,৩৭,১৮০ টাকা

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন, মান ও কারুকাজের ভেদে মজুরি পরিবর্তন হতে পারে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবারও নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের বাজারেও।

একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী জানান, “আমরা বাধ্য হয়েই স্বর্ণের দাম বাড়াতে হয়, কারণ পিওর গোল্ডের বাজারমূল্য প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রাহকরা এখন ছোট পরিমাণে ক্রয় করছেন, কিন্তু চাহিদা কমেনি।”

অন্যদিকে, সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন, ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি তাদের নাগালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে স্বর্ণ কেনা। কেউ কেউ পুরনো গয়না বিক্রি করে দামি নতুন ডিজাইন নিতে দ্বিধায় পড়ছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, স্বর্ণের এই ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতিরও প্রতিফলন। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারি পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

অন্যদিকে, বাজুস জানায়, “আমরা বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে স্থানীয় দাম সমন্বয় করা হয়েছে।”

-রফিক


আর্থিক খাতের রক্তক্ষরণ: আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের মাশুল গুনছে ২৪টি ব্যাংক

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ০৯:৩৮:৫৪
আর্থিক খাতের রক্তক্ষরণ: আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের মাশুল গুনছে ২৪টি ব্যাংক
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন লুটপাটের মাশুল গুনতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। খেলাপি ঋণ, নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকটা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে এ খাতের মূলধন ঘাটতিও, যা দেশের পুরো আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের মোট ২৪টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে বিশাল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। গত মার্চ শেষে ২৩ ব্যাংকের ঘাটতি ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এই সময়ে নতুন করে এনআরবিসি এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ঘাটতিতে পড়েছে, তবে বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক ঘাটতি থেকে বেরিয়ে গেছে।

ঘাটতি বাড়ার কারণ

ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত সরকারের সময় অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা ঋণের নামে বের করে নেওয়া হয়। সেসব ঋণ তখন খেলাপি হলেও যথাযথভাবে খেলাপি দেখানো হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর লুকানো খেলাপি ঋণগুলো সামনে নিয়ে আসে। বর্তমানে খেলাপি ঋণের অঙ্ক প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের বিপরীতে ব্যাংকগুলো চাহিদামতো নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে পারছে না, ফলে ব্যাংকগুলো মূলধন হারাচ্ছে।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলী হোসেন প্রধানিয়া যুগান্তরকে জানান, গত বছরের ডিসেম্বরেও তাদের খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ৫ শতাংশ, কিন্তু এখন তা সাড়ে ২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এতে বড় অঙ্কের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকটি মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে।

ঝুঁকি অনুপাত ও খাতভিত্তিক চিত্র

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংক খাতে মূলধন ঝুঁকিজনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক কাঠামো অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ শতাংশ থাকা উচিত। গত মার্চ শেষে এই অনুপাত ছিল ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

জুন শেষে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, দশটি বেসরকারি ব্যাংক, আটটি ইসলামি ধারার ব্যাংক এবং দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে।

১. বিশেষায়িত ব্যাংক (সর্বোচ্চ ঘাটতি)

পুরো ব্যাংক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি দেখা গেছে কৃষি ব্যাংকের। জুন শেষে এই ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

২. শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংক (উদ্বেগজনক)

শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি ইউনিয়ন ব্যাংকের (২১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা)। এরপর রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ (১৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (১০ হাজার ৫০১ কোটি টাকা), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (৫ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা), সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (২ হাজার ৭৯ কোটি টাকা), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা), এক্সিম ব্যাংক (৯০১ কোটি টাকা) এবং আল-আরাফাহ্ ব্যাংক (২৫৪ কোটি টাকা)।

৩. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি জনতা ব্যাংকের (১৭ হাজার ২৫ কোটি টাকা)। এরপর অগ্রণী ব্যাংক (৭ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা), রূপালী ব্যাংক (৪ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা) এবং লুটপাটের শিকার বেসিক ব্যাংক (৩ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা)। বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে জানালেও, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বেসিক ব্যাংকের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং দীর্ঘদিন লোকসান বহন করার চেয়ে বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।

৪. বেসরকারি ব্যাংক

বেসরকারি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি ন্যাশনাল ব্যাংকের (৮ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা)। এরপর এবি ব্যাংক (৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা), পদ্মা ব্যাংক (৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা), আইএফআইসি ব্যাংক (৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা), প্রিমিয়ার ব্যাংক (১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (১ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা), এনআরবিসি ব্যাংক (৩১৬ কোটি টাকা), সিটিজেন ব্যাংক (৮৬ কোটি টাকা) ও সীমান্ত ব্যাংক (৪৫ কোটি টাকা) ঘাটতিতে পড়েছে।


বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন চুক্তি: কি কারণে ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হলো?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৯:০৮:৪৩
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন চুক্তি: কি কারণে ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কা তৈরি হলো?

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমদানির চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার বাজার ও কূটনৈতিক সমীকরণে নতুন দিক তৈরি করেছে। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের তিনটি শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান আগামী এক বছরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সয়াবিন আমদানি করবে।

এই চুক্তি শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক প্রভাবের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।

ভারতের প্রধান সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই চুক্তি ভারতের জন্য বড় ধরনের আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের তেল ও সয়ামিল রপ্তানি ইতিমধ্যেই কমছিল। বাংলাদেশের এই নতুন চুক্তি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের বাজার হারানোর ঝুঁকি ভারতের জন্য বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরে ভারতের সয়ামিল রপ্তানি বাংলাদেশের বাজারে ১.৬৩ লাখ টনে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ কম।

ভারতের সয়াবিন প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ডি.এন. পাঠক মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বল্পমূল্যে প্রচুর সয়াবিন কিনছে। আমাদের রপ্তানি ২০২৪-২৫ তেলবছরে তীব্রভাবে কমেছে। এক বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি স্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে যে বাংলাদেশ আর ভারতের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেবে না। এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়।”

এর আগে, ৪ নভেম্বর ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের তিনটি শীর্ষ সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান আগামী ১২ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমদানি করবে।

এই চুক্তি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক শক্তি উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একতিমাত্র প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তি শুধু খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও কূটনীতির মানচিত্রকেও পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা নতুন কৌশল নিতে বাধ্য হবেন।


৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১১:৪০:৩৯
৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত
ছবিঃ সংগৃহীত

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর আগেই বিনিয়োগকারীদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসি-র এই সিদ্ধান্তের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক—এই পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন আজ থেকে বন্ধ থাকবে।

বুধবার এই পাঁচটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে তাদের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে এই ব্যাংকগুলোতে প্রশাসকও নিয়োগ দেয়।

গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংকগুলোর শেয়ারের মূল্য 'শূন্য' ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলোর বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে শেয়ারধারীরা কোনো অর্থ পাবেন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের এই ঘোষণার পর থেকেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ দেখা দেয়। এর একদিন পরই আজ লেনদেন শুরুর আগেই বিএসইসি ব্যাংক পাঁচটির লেনদেন স্থগিতের কথা জানালো।

তবে শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসি বেশ বিলম্ব করেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের মত হলো, সরকারের পক্ষ থেকে যখন এসব ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন যদি বিএসইসি ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে নতুন করে কোনো বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না।


লক্ষ্যপূরণ কঠিন: মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের ব্যয় এখন গ্রামের চেয়ে বেশি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৮:১৫:৩২
লক্ষ্যপূরণ কঠিন: মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের ব্যয় এখন গ্রামের চেয়ে বেশি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর লোগো। ছবি : সংগৃহীত

চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের অক্টোবর মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি আবারও কিছুটা কমেছে। সরকারি হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মূলত খাদ্য পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসার কারণেই গড় মূল্যস্ফীতিতে এই প্রভাব পড়েছে। তবে এই সময়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) মূল্যস্ফীতির এই তথ্য তুলে ধরেছে।

বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশের অর্থ হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, একই পণ্য কিনতে গত অক্টোবরে খরচ হয়েছে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিও দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড় মূল্যস্ফীতিকে ৬.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা। তবে, মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকায় এই অর্থবছরের জন্য এই লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।

সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এক বছর আগে একই সময়ে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও এ সময় দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে কমে ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এখন বেশি।

গ্রামে: অক্টোবর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। গ্রাম এলাকায় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

শহরে: একই সময়ে শহরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শহরের নাগরিকদের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এটি আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় একটি ভিন্ন চিত্র, যখন শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল।


দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৫:১০:৫৪
দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
ছবি: সংগৃহীত

আর্থিক সংকটে পতিত পাঁচটি শারিয়াভিত্তিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কার্যক্রম অকার্যকর ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো, এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং দেশের ইসলামী ব্যাংকিং খাতে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে একটি নতুন সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠন করা হচ্ছে। নতুন ব্যাংকের নাম রাখা হয়েছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ পদক্ষেপ ব্যাংকগুলোর দীর্ঘদিনের আর্থিক দুরবস্থা এবং ধারাবাহিক ক্ষতির প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছে।

সংযুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। এই ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ আজই ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের অধীনে পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (৫ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রেরণ করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে, ব্যাংকগুলোর নীতিনির্ধারণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

গভর্নর এই ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের জরুরি বৈঠকের জন্য তলব করেছেন। বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার বিশদ অবস্থা ও একীভূতকরণের পরিকল্পনা জানানো হবে। এর আগে, কোম্পানি সচিবদের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

এর পেছনের কারণ স্পষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ব্যাংকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে তারল্য সংকট, বড় পরিমাণ শ্রেণীকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতি সমস্যায় ভুগছে। বহুবার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা উন্নতি পায়নি।

শেয়ারবাজারেও ব্যাংকগুলোর মূল্য মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে, যা দেখায় যে তারা কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে। এ পরিস্থিতিতে, একীভূতকরণের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার এবং নীতি-নিয়ন্ত্রণের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি মালিকানাধীন নতুন ইসলামি ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতেই আজকের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন। ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের এই উদ্যোগ দেশের শারিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

-রাফসান


রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৯:০৬:৫৮
রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের তৃতীয় মাস অর্থাৎ অক্টোবরে সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে পতন অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ৭.৪৩ শতাংশ কম। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানিও এই সময়ে কমেছে ৮.৩৯ শতাংশ।

সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

টানা তিন মাস রপ্তানি কমার হার

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রপ্তানি খাতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমার হার ছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর আগস্টে রপ্তানি কমেছিল ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে রপ্তানি খাতে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

এই এক মাসের বড় প্রবৃদ্ধির প্রভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) সামগ্রিক রপ্তানি খাতে ২ দশমিক ২২ শতাংশের একটি ক্ষীণ প্রবৃদ্ধির ধারা দেখাচ্ছে। যা অর্থবছরের শুরুতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও চার মাস পর এসে তা মাত্র ২ দশমিক ২২ শতাংশে ঠেকেছে।

তৈরি পোশাক খাতে তীব্র পতন

দেশের মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। টানা তিন মাস ধরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমলেও অর্থবছরের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। গত জুলাইয়ে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ২৪ শতাংশ। পরের মাসে এই রপ্তানি কমে পৌনে ৫ শতাংশ হয় এবং সেপ্টেম্বরে কমেছিল প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। গত মাসে, অর্থাৎ অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩০২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক, যা গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।

ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ২৮১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।

রপ্তানি কমার নেপথ্যে একাধিক কারণ

তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের প্রধান দুই বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি কমেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক রপ্তানিতে।

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসানোর ফলেই রপ্তানি কমেছে। শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার ফলে সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা সতর্কতা হিসেবে বেশি বেশি তৈরি পোশাক সংগ্রহ করে রেখেছিল। এর ফলে এখন তারা কম পোশাক আমদানি করছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বাংলাদেশের বড় বাজার ইউরোপে চীন বেশি মনোযোগ দিয়েছে। এতে ইউরোপের বাজারে চীনের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপে বাড়তি মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রেতারা তাদের ক্রয় কমিয়েছে। মহিউদ্দিন রুবেল যোগ করেন, এসবের সম্মিলিত প্রভাব পড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে।

অন্যান্য প্রধান খাতের চিত্র

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক ধারায় আছে। জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ৪১ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।

তবে পণ্য রপ্তানিতে তৃতীয় শীর্ষ খাত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। এই সময়ে ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৭২ শতাংশ কম। শুধু গত মাস, অর্থাৎ অক্টোবরে, ১০ কোটি ২২ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা ৯.৫৭ শতাংশ কম।


বাজারে স্বর্ণের পুনরায় উত্থান, দাম ছুঁতে পারে ৪,০০০ ডলার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৮:১৭:০৩
বাজারে স্বর্ণের পুনরায় উত্থান, দাম ছুঁতে পারে ৪,০০০ ডলার
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিনের শুরুতে সামান্য পতনের পর বাজারের সক্রিয়তা বাড়ায় স্পট এবং ফিউচার উভয় ধরনের স্বর্ণের দাম পুনরায় উত্থান লক্ষ্য করেছে। তবে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতির পরও স্বর্ণের দাম এখনও সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড স্পর্শ করেনি এবং বাজার সামগ্রিকভাবে এখনও নিম্নমুখী ধারা থেকে পুরোপুরি বেরোতে পারেনি।

দিনের মধ্যভাগে স্পট গোল্ডের দাম আউন্সপ্রতি ৩,৯৯৬.৬৮ ডলারে পৌঁছায়, যা সেশনের শুরুতে ০.৯ শতাংশ কমেছিল। পাশাপাশি, ডিসেম্বরের সরবরাহযোগ্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারের দাম আউন্সপ্রতি ৪,০০৭.৭০ ডলার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সুইসকোট ব্যাংকের স্বাধীন বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো ডি কাসা জানিয়েছেন, স্বর্ণের দাম বর্তমানে প্রায় ৪,০০০ ডলারের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে বাজারের চিত্র বোঝা গুরুত্বপূর্ণ হবে কতটা বৃদ্ধি সম্ভব এবং কোনো বড় সংশোধন আসছে কি না তা তখনই স্পষ্ট হবে।

কার্লো আলবার্তো ডি কাসা আরও বলেন, বর্তমানে আমরা মার্কিন ডলারের দৃঢ় অবস্থান লক্ষ্য করছি। ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর আশা ধীরে ধীরে কমছে, এবং বেড়ে যাওয়া ইল্ড স্বর্ণের দামের ওপর চাপ ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা মার্কিন অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা সুদের হার নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করবে।

গত তিন মাসে ডলারের মান শীর্ষ পর্যায়ে উঠেছে। ফেডের মধ্যে সুদের হার কমানোর বিষয়ে ভিন্নমত থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কে-সিএম ট্রেডের প্রধান বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, মার্কিন ডলারের দৃঢ় অবস্থান এখন স্বর্ণের বৃদ্ধির পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগকারীরা বছরের শেষের দিকে আরেকটি সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা পুনর্মূল্যায়ন করছেন।

গত সপ্তাহে ফেড এই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সুদের হার হ্রাস করেছে। তবে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন, এখনই আরেকটি সুদের হার কমানো নিশ্চিত নয়। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমার সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ হিসেবে দেখছেন, যা পাওয়েলের বক্তব্যের আগে ৯০ শতাংশের বেশি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শক্তিশালী ডলার, বেড়ে যাওয়া ইল্ড এবং ফেডের অনিশ্চয়তা স্বর্ণের বাজারকে অত্যন্ত সংবেদনশীল করে তুলেছে। সামনের কয়েক সপ্তাহে মার্কিন অর্থনৈতিক সূচক এবং ফেডের নীতি স্বর্ণের দামের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।


নির্বাচিত সরকারের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৮:২১:৪৭
নির্বাচিত সরকারের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত
ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি এবং অর্থনীতির গতিশীলতা আনতে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। তারা মনে করছেন, শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিক সংগঠন গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আগামী নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকা উচিত। এছাড়াও, জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে গুলশানের একটি হোটেলে ইংরেজি দৈনিক ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস আয়োজিত অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ। বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা সেমিনারে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, "দায়িত্ব নেওয়ার সময় ব্যবসা পরিবেশ প্রায় ৯৯ শতাংশ খারাপ ছিল। এখন সম্ভবত এটি ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি ৯০ শতাংশে উন্নত হবে। তবে দ্রুত উন্নতি না হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার এনবিআরের সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবস্থা চালু করেছে। এর ফলে দুই মাসে প্রায় ১২ লাখ সরাসরি সাক্ষাৎ কমেছে, অর্থাৎ ১২ লাখ বার কাগজপত্র এনবিআরে আনা হয়নি।" তিনি বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যের উল্লেখও করেন।

বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, "শ্রম আইন এবং শ্রমিক সংগঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখন কেন নেওয়া হচ্ছে? নির্বাচিত সরকার তিন মাসের মধ্যে দায়িত্ব নেবে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের হাতে থাকা উচিত। আমরা অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু কোনো মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) কার্যকর হচ্ছে না।"

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, "বর্তমান ব্যবসা পরিস্থিতিতে এলডিসি উত্তরণের উপযুক্ত সময় নয়। ইতিমধ্যেই ১৬টি ব্যবসায়ী সংগঠন সরকারের কাছে আবেদন করেছে যাতে জাতিসংঘ বাংলাদেশির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এবং এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।"

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, "এখন আমাদের নির্বাচিত সরকার দরকার। আগামী ১০–১৫ বছর জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকলে অনেক সমস্যা সমাধান হবে না।"

সিরামিকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, "সুশাসন ছাড়া কোনো দেশের ব্যবসা বা অর্থনীতি এগোবে না। ক্রেতারা আতঙ্কিত, পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান নির্বাচন।"

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান-উজ জামান এবং আকিজ বশির গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, "বিদেশি বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে, কিন্তু দেশের অবকাঠামো দুর্বল। বিমানবন্দর আগুনে পুড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মনে করবে না।"

ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, "ব্যাংক খাতের বর্তমান অবস্থা যদি না বদলায়, তবে খাতটি দুই বছরের বেশি টিকে থাকতে পারত না। খেলাপি ঋণের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না নিলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।"

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

বোহেমিয়ার অরণ্যমালায় একটি দুর্গ, হাউসকা ক্যাসেল, আর তার কয়েক মাইল দূরে এক সন্ন্যাসীর লেখা বিশাল এক পুঁথি, কোডেক্স গিগাস। শতাব্দীজুড়ে... বিস্তারিত

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের Q3 প্রতিবেদন প্রকাশ

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের Q3 প্রতিবেদন প্রকাশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (ILFSL) ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ... বিস্তারিত

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি... বিস্তারিত