ওজন কমাতে চিয়া বীজ: যেভাবে খেলে মিলবে সর্বোচ্চ ফল, কখন পান করবেন চিয়া ওয়াটার?

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৪ ১৪:৪৭:৪৩
ওজন কমাতে চিয়া বীজ: যেভাবে খেলে মিলবে সর্বোচ্চ ফল, কখন পান করবেন চিয়া ওয়াটার?
ছবিঃ সংগৃহীত

ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবে ওজন কমানোর হ্যাক খুঁজতে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই চিয়া বীজ দেখেছেন। এই ছোট কালো বীজগুলো এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে জনপ্রিয়। প্রশ্ন হলো, চিয়া বীজ কি সত্যিই ওজন কমাতে কার্যকর? ভালো খবর হলো, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে চিয়া বীজ সত্যিই কাজ করে। ভারত বা আমেরিকায়, এটি ওজন কমানোর একটি সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায়, যেখানে কোনো কঠোর ডায়েটের প্রয়োজন নেই।

চিয়া বীজ কেন ওজন কমাতে সাহায্য করে?

চিয়া বীজ ছোট হলেও অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলো ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটে সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা কমাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

১. পেট ভরা রাখা: ভেজালে চিয়া বীজ পানি শোষণ করে জেল-এর মতো ঘন হয়ে যায়, পেটে প্রসারিত হয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যালোরি গ্রহণ কমে যায়।

২. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: মাত্র দুই চামচ চিয়া বীজে প্রায় ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমায়।

৩. পুষ্টি: এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং শক্তি বাড়ায়।

চিয়া বীজ খাওয়ার ৩টি কার্যকরী উপায়

১. চিয়া ওয়াটার (Chia Water): এটি চিয়া বীজের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী ব্যবহার।

তৈরির নিয়ম:

১ চামচ চিয়া বীজ ২৫০–৩০০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫–৩০ মিনিট রাখুন, যাতে জেল-এর মতো ঘন হয়ে যায়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লেবুর রস বা কয়েকটি পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন।

সেরা সময়: খালি পেটে সকালে বা খাবারের ৩০ মিনিট আগে পান করুন।

২. চিয়া পুডিং: সকালের নাশতা বা হালকা ডেজার্ট হিসেবে চিয়া পুডিং খুবই স্বাস্থ্যকর।

তৈরির নিয়ম: ২ চামচ ভেজানো চিয়া বীজ ১ কাপ দুধ বা বাদামের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। দারুচিনি, মধু বা ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করে ৪–৬ ঘণ্টা বা রাতে ফ্রিজে রাখুন।

৩. চিয়া স্মুদি ও দই বোল: সকালের স্মুদি বা দই-ওটস বোলের সাথে ১–২ চামচ চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন। সালাদ, সূপ বা স্মুদি বোলের উপরে চিয়া বীজ ছিটিয়ে দিলে ফাইবার এবং পুষ্টি বৃদ্ধি পায়।

সঠিক পরিমাণ ও সতর্কতা

আদর্শ পরিমাণ: দিনে ১–২ চামচ চিয়া বীজ যথেষ্ট।

নিরাপত্তা পরামর্শ: খাওয়ার আগে চিয়া বীজ অবশ্যই ভিজিয়ে নিন, যাতে গলার সমস্যার ঝুঁকি কমে। শুকনো চিয়া ব্যবহার করলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কারণ ফাইবার কার্যকর হতে পানি প্রয়োজন।

মিথ ভাঙা: চিয়া বীজ একা রাতারাতি ওজন কমাবে না। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গেই এটি কার্যকর।


বারবার হাই তোলা শুধুই ক্লান্তি নয় বরং এটি হতে পারে হৃদরোগের আগাম বার্তা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:১৮:৫১
বারবার হাই তোলা শুধুই ক্লান্তি নয় বরং এটি হতে পারে হৃদরোগের আগাম বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

হাই তোলা মানেই শরীর ক্লান্ত বা ঘুম পাচ্ছে এমনটাই সাধারণত মনে করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন বারবার বা অস্বাভাবিকভাবে হাই তোলা সব সময় ঘুম বা ক্লান্তির ইঙ্গিত নয় বরং এটি হতে পারে হৃদরোগের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি বা রক্তচাপের ওঠানামা হলে মস্তিষ্কের হাই রিফ্লেক্স সক্রিয় হয়ে ওঠে যা হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপের বার্তা দেয়।

মস্তিষ্ক কেন সংকেত পাঠায়

মস্তিষ্কের ব্রেইনস্টেম অংশ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদস্পন্দন রক্তচাপ ও শ্বাসপ্রশ্বাস। যখন হৃদপিণ্ড ঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয় বা রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় তখন মস্তিষ্ক অস্থির হয়ে ওঠে। তখন শরীরের তাপমাত্রা সামঞ্জস্যে রাখতে মস্তিষ্ক হাই তোলার সংকেত পাঠায়। এই কারণেই অনেক সময় দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের আগে বা চলাকালীন রোগী বারবার হাই তুলছেন।

কখন সতর্ক হবেন

বিশেষজ্ঞদের মতে যদি বারবার হাই উঠছে অথচ ঘুম পাচ্ছে না এবং এর সঙ্গে বিশেষ কিছু উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। লক্ষণগুলো হলো বুকে চাপ বা অস্বস্তি অনুভব করা হালকা মাথা ঘোরা বা ভার লাগা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বমিভাব এবং চোয়াল ঘাড় বা কাঁধে ব্যথা। এছাড়া হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে তা হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত বা হার্ট অ্যাটাকের আগাম সতর্কতা হতে পারে।

করণীয় ও পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত হাই তোলা যদি নিয়মিত হয় তাহলে দ্রুত ইসিজি ইকোকার্ডিওগ্রাম বা ট্রেডমিল টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। ধূমপান মদ্যপান ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সব হাই হৃদরোগের ইঙ্গিত না হলেও হঠাৎ ঘন ঘন হাই এবং সঙ্গে বুকে অস্বস্তি দেখা দিলে বিষয়টি হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


এইচআইভি চিকিৎসায় বড় সুখবর, ওষুধ ছাড়াই ১৮ মাস সুস্থ থাকার রেকর্ড

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:১৮:৪০
এইচআইভি চিকিৎসায় বড় সুখবর, ওষুধ ছাড়াই ১৮ মাস সুস্থ থাকার রেকর্ড
ছবি : সংগৃহীত

এইচআইভি বা এইডস আজও এমন একটি রোগ যার পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য কোনো চিকিৎসা নেই। একবার সংক্রমিত হলে রোগীকে সারা জীবন ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিদিন ওষুধ খাওয়া এবং নিয়ম মেনে চিকিৎসা চালানো ও বিভিন্ন জটিলতা এড়িয়ে চলা সব মিলিয়ে রোগীর জীবন মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে আশার ঝলক। যেখানে এখন পর্যন্ত রোগীদের প্রতিদিন অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি বা এআরটি নিতে হয় সেখানে নতুন এক থেরাপি ব্যবহার করে কয়েকজন রোগী পুরো ১৮ মাস ওষুধ ছাড়াই সুস্থ ছিলেন। এটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও চিকিৎসা জগতে এক বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা প্রচলিত ওষুধের পরিবর্তে কম্বিনেশন থেরাপি ব্যবহার করছেন। এই বিশেষ থেরাপিতে রোগীদের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এবং ইমিউন অ্যাকটিভ ওষুধ ও বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে ১০ জন রোগীর ওপর এবং বিস্ময়করভাবে দেখা গেছে যে তাঁরা কেউই ১৮ মাস ধরে নিয়মিত এআরটি ছাড়াই সুস্থ ছিলেন। এমনকি যাদের অবস্থা আগে বেশি খারাপ ছিল তাঁরাও আলাদা কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো ছিলেন বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

এইচআইভি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার ফলে রোগী সহজেই বিভিন্ন সংক্রমণ ও জটিল রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে যক্ষ্মা ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এবং স্নায়ু সমস্যা ও কিছু ধরনের ক্যানসার অন্যতম। সংক্রমণ শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহ জ্বর বা সর্দি কাশির মতো হালকা উপসর্গ দেখা দিলেও পরে দীর্ঘ সময় কোনো লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। তবে শেষ পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে এবং নানা জটিলতা দেখা দেয়।

এখন পর্যন্ত মানুষের নির্ভরশীলতা মূলত এআরটির ওপর। এটি ভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না তবে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগীকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নতুন এই থেরাপির পরীক্ষায় দেখা গেছে ওষুধ ছাড়া রোগীরা দীর্ঘ সময় ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। গবেষকরা আশা করছেন এটি ভবিষ্যতে রোগীকে কঠিন চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ রাখার পথ খুলে দিতে পারে এবং এইডস নির্মূলের লক্ষ্যের দিকে বিশ্বকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে।


পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার 

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২১:৪০:৫৮
পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার 
ছবি : সংগৃহীত

পুরুষদের শরীরের জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি পেশি গঠনে ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে আধুনিক জীবনধারা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অনেকের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। অনেকেই তখন হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধের ওপর নির্ভর করেন যা সবসময় নিরাপদ নাও হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু সাধারণ খাবারের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানো সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে উদ্ভিজ দুধ যেমন সয়া আমন্ড বা ওটসের দুধ টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে তাঁদের জন্য উদ্ভিজ দুধ একটি নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্প হতে পারে। এছাড়া অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা শরীরে প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মানসিক চাপও হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে তাই নিয়মিত বেদানা খেলে মানসিক চাপ কমে যায় এবং টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ স্বাভাবিক থাকে।

খাদ্যতালিকায় তেলযুক্ত মাছ রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। রুই কাতলা আর বোয়াল বা চিতলের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়াতেও সহায়তা করে। প্রোটিন ভিটামিন ডি ও অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরপুর ডিম শরীরের টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখা পুরুষদের শক্তি ও পেশি গঠনের জন্য সহায়ক।

কলা নিয়মিত খেলে শরীরে শক্তি ও স্ফূর্তি আসে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখে। এই সহজ কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলেই পুরুষদের শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী থাকে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।


প্রিয় খাবারই যখন কিডনির শত্রু, কিডনি সুস্থ রাখতে পাত থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:৪৫:১২
প্রিয় খাবারই যখন কিডনির শত্রু, কিডনি সুস্থ রাখতে পাত থেকে বাদ দিন এই ৫টি খাবার
ছবি : সংগৃহীত

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি হলো কিডনি। দেহের বর্জ্য ছেঁকে ফেলা এবং মূত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন সবই নির্ভর করে এই অঙ্গটির ওপর। অথচ অনেকেই কিডনির যত্নে উদাসীন থাকেন। এর ফল হিসেবে অজান্তেই বাড়তে থাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজসহ নানা জটিলতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিচিত খাবারই কিডনির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে এবং নিয়মিত খেলে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই কোন খাবারগুলোতে সতর্ক থাকতে হবে তা জেনে নেওয়া জরুরি।

লবণ ও উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার

ভাত বা প্রিয় খাবারের সঙ্গে লবণ না হলে অনেকেরই যেন চলেই না। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ কিডনির ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। কাঁচা লবণ হোক বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা সোডিয়াম উভয়ই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড

কাজের ফাঁকে কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় ফাস্ট ফুড এখন খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু নিয়মিত এসব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং বাড়ায় কিডনি রোগের ঝুঁকিও। তাই অভ্যাসবশত প্রতিদিন ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম। এছাড়া বাজারে সহজলভ্য প্রসেসড ফুড দ্রুত ক্ষুধা মেটালেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং কিডনির টিস্যুতে ক্ষতি করে। তাই প্রসেসড ফুডকে নিয়মিত খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়াই কিডনির জন্য নিরাপদ।

আচার বা পিকেল

ভাত খিচুড়ি বা নাস্তার সঙ্গে আচার অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আচারে থাকা উচ্চমাত্রার লবণ কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নিয়মিত আচার খেলে কিডনি সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আচার রাখলে সতর্ক হতে হবে।

মিষ্টিজাতীয় খাবার

মিষ্টি শুধু ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায় না বরং কিডনির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য নষ্ট করে কিডনিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়। তাই কিডনির সুস্থতা চাইলে মিষ্টিজাত খাবার কমাতে হবে।

রোজকার খাবারের তালিকায় থাকা এই পরিচিত উপাদানগুলোই অজান্তে কিডনির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এগুলো কমিয়ে তাজা শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার বিষয়টিকে খাদ্য তালিকায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তাহলেই কিডনি থাকবে সুস্থ এবং আপনিও থাকবেন ঝুঁকিমুক্ত।


অজান্তেই স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে আপনার পছন্দের যে ৩টি পানীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২১:১৩:৫৩
অজান্তেই স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে আপনার পছন্দের যে ৩টি পানীয়
ছবি : সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনে বাইরে খাওয়াদাওয়ার সময় অনেকেই খেয়াল করেন না কী পান করছেন। অথচ আমাদের অজান্তেই কিছু পানীয় ধীরে ধীরে ক্ষতি করতে পারে মস্তিষ্কের এবং কমিয়ে দিতে পারে স্মৃতির ক্ষমতা। সম্প্রতি গবেষকরা এমনই এক ভীতিকর তথ্য সামনে এনেছেন। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নিউরোসায়েন্টিস্ট রবার্ট ডব্লিউ বি লাভ জানিয়েছেন তিনটি পরিচিত পানীয় রয়েছে যেগুলো দীর্ঘদিন নিয়মিত গ্রহণ করলে মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এতে স্মৃতি দুর্বল হওয়া ছাড়াও দেখা দিতে পারে নানা স্নায়বিক জটিলতা।

বিশেষজ্ঞের তালিকায় প্রথম পানীয়টি হলো অ্যালকোহল। মদ্যপানের ক্ষতি নতুন কিছু নয় তবে রবার্টের ব্যাখ্যা অনুযায়ী অ্যালকোহল মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় যার ফলে ঘুমের সমস্যা স্মৃতি দুর্বলতা ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তিনি আরও জানান অ্যালকোহল অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে যা পরোক্ষভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত পান করলে স্মৃতিভ্রষ্টতা বা অনিদ্রা পর্যন্ত হতে পারে।

দ্বিতীয় ক্ষতিকর পানীয় হিসেবে তিনি চিনি মেশানো সোডার কথা উল্লেখ করেছেন। সোডা পানীয়তে থাকে উচ্চমাত্রার চিনি যা শরীরে শর্করা বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত চিনি মেশানো সোডা পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এই প্রদাহ অ্যালঝেইমার্সসহ অন্যান্য নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি ডায়েট সোডাও মস্তিষ্কের জন্য নিরাপদ নয় বলে তিনি মত দিয়েছেন।

তৃতীয়ত অপরিশোধিত কলের পানি বা ট্যাপ ওয়াটার নিয়েও সতর্ক করেছেন এই বিজ্ঞানী। বর্ষাকালে ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ পেটের নানা রোগ বেড়ে যায় তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন কলের পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে খেতে হবে। কারণ অপরিশোধিত ট্যাপ ওয়াটারে থাকা ফ্লুয়োজাইড নামের রাসায়নিক উপাদান মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দাঁতের সুরক্ষায় ফ্লুয়োজাইড ব্যবহার হলেও এটি গিলে ফেলা বা দীর্ঘদিন অপরিশোধিত অবস্থায় গ্রহণ করলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে।

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে শুধু খাবার নয় পানীয় নির্বাচনের দিকেও সতর্ক থাকা জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। নিউরোসায়েন্টিস্টদের পরামর্শ হলো সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা এবং যথেষ্ট ঘুমের পাশাপাশি নিরাপদ পানীয় বেছে নেওয়া। আগেভাগে সতর্ক হলে ভবিষ্যতের অনেক মানসিক ও শারীরিক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।


নারীদের নীরব শত্রু জরায়ুমুখের ক্যানসার, কারা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে জেনে নিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ২১:০৮:৫০
নারীদের নীরব শত্রু জরায়ুমুখের ক্যানসার, কারা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

নারীর জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ এক শত্রুর নাম জরায়ুমুখের ক্যানসার। অনেক সময় এই রোগ শুরুতে কোনো তীব্র লক্ষণ দেখায় না বরং ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে। অথচ চাইলে একেবারে শুরুর দিকেই খুব সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করালে এ রোগ থেকে শতভাগ নিরাপদ থাকা যায়। বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যানসারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই ক্যানসার বাংলাদেশেও ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো শহর বা গ্রাম এবং শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সব শ্রেণির নারীর মধ্যেই এ রোগের ঝুঁকি রয়েছে।

গবেষণা বলছে জরায়ুমুখে প্রাথমিক পরিবর্তন থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসারে রূপ নিতে সময় লাগে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর। তাই চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ক্যানসার সাধারণত নারীদের জীবনের দুটি পর্যায়ে হতে পারে যার প্রথম পর্যায় ৩৫ থেকে ৩৯ বছর এবং দ্বিতীয় পর্যায় ৬০ থেকে ৬৯ বছর। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. পবিনা আফরোজ পারভীন জানান দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্রাব অনিয়মিত মাসিক সহবাসের সময় রক্তপাত মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি হওয়ার পর রক্ত যাওয়া এবং তলপেটে ব্যথা জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ।

কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন সে বিষয়ে ডা. পবিনা বলেন যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খাচ্ছেন কিংবা যাদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে এবং কম বয়সে সন্তান নিয়েছেন তাঁরা এই ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া ঘন ঘন ও পাঁচটির বেশি সন্তান জন্মদান এবং বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক থাকাও এই রোগের অন্যতম কারণ। মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভিকে জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয় যার মধ্যে ১৬ ও ১৮ সেরোটাইপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। যৌন সংসর্গের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়।

রোগ শনাক্তকরণের বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান গ্রামে ভায়া টেস্ট এবং শহরে বা বড় হাসপাতালে প্যাপস স্মিয়ার লিকুইড বেজড সাইটোলজি ও কলপোস্কোপি ইত্যাদির মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা যায়। সুস্থ সব নারীর জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং করা জরুরি এবং স্ক্রিনিংয়ে ক্যানসারের সন্দেহ হলে বায়োপসি ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। ক্যানসারটি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানার জন্য এমআরআই পেলভিস করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সব সুস্থ মেয়ে ও নারীর জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা নেওয়া জরুরি। এছাড়া ৩০ বছর বয়স থেকে সব সুস্থ নারীর নিয়মিত স্ক্রিনিং করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সার্জারি এবং পরে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


শীতে গলায় কফ জমে থাকলে তা পরিষ্কার করার ৫টি সহজ ঘরোয়া উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ১৯:১৩:৫৩
শীতে গলায় কফ জমে থাকলে তা পরিষ্কার করার ৫টি সহজ ঘরোয়া উপায়
ছবি : সংগৃহীত

শীতকালে কাশি হওয়া খুবই সাধারণ। তবে রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ, আদা, মধু ও হলুদের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলো দ্রুত উপশম দেয়। এই প্রতিকারগুলো গলার প্রদাহ কমায়, কফ বের করে দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এর ফলে আপনি সংক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।আদা

শীতের সময় বা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা দেয়। তবে রান্নাঘরে পাওয়া কিছু সাধারণ জিনিসই এই সময়ে আপনার বড় উপকারে আসতে পারে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আদা রসুন বা গোলমরিচের মতো উপাদানগুলো কাশির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কাশির ফলে গলায় যে প্রদাহ হয় তা কমাতে আদা বেশ কার্যকরী। এটি শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত মসৃণ পেশিগুলোকে শিথিল করে। এক কাপ গরম পানিতে ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম কুচি করা আদা মধু বা লেবুর রসে মিশিয়ে চা তৈরি করা যেতে পারে। এই আদা চা শুষ্ক ও হাঁপানিবিহীন কাশি প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং গলায় তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।

রসুন যদিও সবজির স্বাদ বাড়াতে কাজ করে সেই সঙ্গে এটি কাশির নিরাময়েও সহায়তা করে। রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আপনার যদি কাশি হয় তাহলে সকালে খালি পেটে রসুন খেতে পারেন অথবা সামান্য গরম করেও খাওয়া যায়। নিয়মিত রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

আমাদের রান্নাঘরে পাওয়া কালো মরিচ বা গোলমরিচ কাশির সময় ফুসফুস থেকে কফ পাতলা করে বের করে দিতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালির জ্বালা ও প্রদাহ কমায়। এই একই মরিচ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। কালো মরিচ পিষে দুধে মিশিয়ে পান করলে তা কফ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং গলা প্রশমিত করে।

ডালিমের বীজ কেবল শরীরকেই শক্তি যোগায় না বরং ডালিমের খোসাও উপকারী প্রমাণিত হয়। এগুলো ব্যবহার করার জন্য শুকনা ডালিমের খোসা পিষে গুঁড়া করে গরম পানি বা চায়ে যোগ করা যেতে পারে। এটি পান করলে কাশি উপশম হয় এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়। ডালিমের খোসা গলা ও শ্বাসনালি পরিষ্কার করার জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।

এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে মধুর জুড়ি নেই। কাশির সময় এটি শ্লেষ্মা বের করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কাশি কমাতে মধুর সঙ্গে আদা মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে যা গলা ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমাতেও বেশ কার্যকর।

সূত্র : নিউজ ১৮


হাঁটুর ব্যথা কমাতে ওষুধ নয় বরং সেরা সমাধান হতে পারে যে ব্যায়াম

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৮:২৫:৪১
হাঁটুর ব্যথা কমাতে ওষুধ নয় বরং সেরা সমাধান হতে পারে যে ব্যায়াম
ছবি : সংগৃহীত

হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস এখন বিশ্বজুড়ে চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করা অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুর হাড়ের শেষপ্রান্তের কার্টিলেজ ক্ষয়ে গেলে যে ব্যথা ফুলে যাওয়া ও শক্তভাব তৈরি হয় বিজ্ঞানীরা তার সমাধান খুঁজছেন বহুদিন ধরেই। বিশেষত ৪৫ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৩০ শতাংশের এক্স রেতে এর লক্ষণ দেখা যায় এবং তাদের প্রায় অর্ধেক দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও চলাচলে সীমাবদ্ধতায় ভোগেন।

এতদিনেও স্পষ্ট ছিল না যে কোন ধরনের ব্যায়াম হাঁটুর ব্যথা কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। অস্টিওআর্থ্রাইটিসে নিয়মিত নড়াচড়া জরুরি হলেও কোন ব্যায়াম পদ্ধতিটি সেরা তা নিয়ে চিকিৎসা নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যেত না। এই প্রশ্নের উত্তর বের করতে গবেষকেরা হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যায়ামপদ্ধতির ওপর বিস্তৃত বিশ্লেষণ চালিয়েছেন। বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত তাদের গবেষণা বলছে হাঁটুর ব্যথা কমাতে সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ রয়েছে এরোবিক ব্যায়ামের পক্ষে।

১৯৯০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পরিচালিত ২১৭টি র‍্যান্ডমাইজড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য পর্যালোচনা করে যেখানে মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১৫ হাজার ৬৮৪ জন গবেষকেরা দেখতে পান হাঁটা সাইক্লিং ও সাঁতারের মতো এরোবিক ব্যায়াম ব্যথা কমানো থেকে শুরু করে চলাফেরা দৈনন্দিন কাজের সক্ষমতা ও সামগ্রিক জীবনমান উন্নত করতে ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে। গবেষণায় এরোবিক ব্যায়ামের সঙ্গে তুলনা করা হয় নমনীয়তা বাড়ানোর ব্যায়াম শক্তিবর্ধক অনুশীলন মাইন্ড বডি পদ্ধতি নিউরোমোটর ব্যায়াম ও মিশ্র অনুশীলনের সঙ্গে।

ফলাফল মূল্যায়ন করা হয় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গ্রেড পদ্ধতিতে যেখানে চার সপ্তাহ ১২ সপ্তাহ ও ২৪ সপ্তাহ পর ব্যথা কমা এবং হাঁটার দক্ষতার উন্নতি বিশ্লেষণ করা হয়। প্রায় সব সূচকেই সময়ের বিভিন্ন পর্বে এরোবিক ব্যায়াম এগিয়ে ছিল। মধ্যম মানের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে যে এরোবিক ব্যায়ামে স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি ব্যথা কমে এবং দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে। অন্য ব্যায়াম পদ্ধতিগুলোরও কিছু উপকারিতা ছিল যেমন মাইন্ড বডি ব্যায়ামে স্বল্পমেয়াদি শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে এবং নিউরোমোটর পদ্ধতিতে স্বল্পমেয়াদি হাঁটার দক্ষতা উন্নত হয়। তবে এরোবিক ব্যায়ামের বিস্তৃত ও নিয়মিত সুবিধার সঙ্গে কোনো পদ্ধতিই তুলনীয় নয় বলে গবেষকরা মত দিয়েছেন।

গবেষণায় নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং দেখা গেছে কোনো ব্যায়ামপদ্ধতিই নিয়ন্ত্রণগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। গবেষকদের মতে হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ব্যথা কমানো ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রথম সারির চিকিৎসা হিসেবে এরোবিক ব্যায়ামকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতার কারণে যদি এরোবিক ব্যায়াম করা সম্ভব না হয় তাহলে গঠিত অন্যান্য শারীরিক অনুশীলনও উপকারী হতে পারে। হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ব্যায়াম শুরু করলে চলাফেরার সক্ষমতা রক্ষা ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়।


বিশ্বজুড়ে কেন জনপ্রিয় মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট, জানুন কারণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ০৮:৫৬:১১
বিশ্বজুড়ে কেন জনপ্রিয় মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট, জানুন কারণ
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘায়ু ও হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য সুপরিচিত মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের প্রাচীন খাদ্যাভ্যাস থেকে তৈরি। এই খাবার-পদ্ধতিতে লাল মাংস ও চিনি থাকে কম; বরং গুরুত্ব দেওয়া হয় জলপাই তেল, বিভিন্ন শস্য, বাদাম, ডাল, মাছ, ডিম, ফল এবং সবজিতে। বহু দশকের গবেষণা বলছে, এই ডায়েট অনুসরণ করলে হৃদ্‌রোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।

১৯৫০-এর দশকে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, ভূমধ্যসাগরের গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি দিন বাঁচেন, যদিও তাদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ছিল কম এবং জীবনযাত্রার মান ছিল সাধারণ। পরে গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ধূমপানের অভাব তাদের সুস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান কারণ।

পরবর্তী দশকগুলোতে পরিচালিত গবেষণা প্রমাণ করে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রদাহ কমায় এবং শুধু হৃদ্‌যন্ত্রই নয়, মস্তিষ্কেরও সুরক্ষা বৃদ্ধি করে। কিছু গবেষণা আরও ইঙ্গিত দেয় যে এই ডায়েট আলঝেইমার, জ্ঞানীয় অবক্ষয় এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকিও কমাতে পারে।

১৯৯০-এর দশকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ননপ্রফিট প্রতিষ্ঠান Oldways মিলিতভাবে মেডিটেরেনিয়ান ফুড পিরামিড তৈরি করলে এই ডায়েট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ২১শ শতকে এসে এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত ডায়েটগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, মেডিটেরেনিয়ান ডায়েটকে সফল করে তোলে এর স্থিতিশীলতা এটি কঠোর বিধিনিষেধ নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরণ। স্বাদ, পুষ্টি ও ভারসাম্যের সমন্বয়ে গঠিত এই খাদ্যাভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং টেকসই।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত