টিপস

পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ২১:০৮:৫০
পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার সময় তাড়াহুড়ো বা মনোযোগ কম থাকলে অনেক সময় খাবার পুড়ে যায়। যদিও পোড়া অংশ ফেলে দেওয়া যায়, তবুও সেই গন্ধ প্রায় সবসময় থেকে যায়, যা খুব কষ্টদায়ক। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা দিয়ে সহজেই পোড়া গন্ধ কমানো সম্ভব।

পোড়া গন্ধ দূর করার কৌশল

১. ভাত পুড়ে গেলে: ভাত পুড়ে গেলে সাধারণত তা তলার দিকে জমে যায় এবং গন্ধ ছড়ায় পুরো ভাতে। এমন সময় ভাত চামচ দিয়ে তলা থেকে আলাদা করে তুলে নিন।

টিপস: ভাতের ওপর একটা পাউরুটির স্লাইস রেখে দিন। পাউরুটিটি পোড়া গন্ধ শুষে নেবে এবং ভাতের গন্ধ অনেকটা কমে যাবে।

২. মাছ বা তরকারি পুড়ে গেলে: মাছ বা অন্য তরকারি রান্নার ঝোল পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঝোলটা আলাদা পাত্রে তুলে নিন।

টিপস: এরপর ঝোলের মধ্যে এক টুকরো কুমড়ো বা আলু দিয়ে রান্না করুন। এটি পোড়া গন্ধ কমাতে বেশ কার্যকর।

৩. মাংসের তরকারি পুড়ে গেলে: যদি মাংসের তরকারি পুড়ে যায়, তবে প্রথমেই মাংসগুলো তুলে নিন।

টিপস: তারপর অন্য পাত্রে পেঁয়াজ ভেজে মাংস আর আলু দিয়ে ভালো করে কষান। পেঁয়াজের টক-ঝাঁঝা গন্ধ পোড়া গন্ধ ঢেকে দিতে সাহায্য করবে।

খাবার পুড়ে গেলে আতঙ্কিত হবেন না। একটু সাবধানতা এবং এই ছোট ছোট ঘরোয়া টিপসগুলো মেনে চললেই দ্রুত পোড়া গন্ধ কমানো যায়।

Holiday Village

উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৯:০৯:০৯
উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
ছবিঃ সংগৃহীত

বিছানার আরামকে গায়ে মেখে উপুড় হয়ে শোওয়ার সুখ আলাদাই। এই ভঙ্গিতে কারও শ্বাস নেওয়ার সুবিধা হয়, আবার কারও নাকডাকার সমস্যা দূরে থাকে। কিন্তু যদি সার্বিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হয়, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ওইভাবে না ঘুমোনোই ভালো। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বেন্টলির কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা অনুযায়ী, উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ঘুমের সময় শরীরের উপর মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তাই ভুলভাবে ঘুমোলে শরীরে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তা শুধরে নেওয়ার উপায় থাকে না। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর ক্ষেত্রে তেমন সম্ভাবনাই বেশি।

উপুড় হয়ে শোয়ার ৪টি প্রধান বিপদ

১. ঘাড় ও পিঠে ব্যথা: উপুড় হয়ে শুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুবিধার জন্য মাথাকে কোনো এক দিকে ঘুরিয়ে রাখতে হয়। গবেষণা বলছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই অবস্থায় মাথা একটা দিকে ঘুরিয়ে রাখলে তার চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের ওপর। যা থেকে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি হতে পারে।

২. স্নায়ুর সমস্যা: উপুড় হয়ে শুলে পিঠ সোজা থাকলেও কোমর এবং ঘাড় বেঁকে থাকে। মেরুদণ্ড অদ্ভুতভাবে দু’দিকে মুচড়ে থাকে, যার প্রভাব পড়ে স্নায়ুতেও। গবেষণা বলছে, এর ফলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে, পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা বা পা অসাড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

৩. ত্বকে বলিরেখা: উপুড় হয়ে শুলে মুখের ওপর চাপ পড়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে মুখের চামড়া ঝুলে পড়ার বা ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।

৪. অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঝুঁকি: গবেষণা জানাচ্ছে, সন্তানসম্ভবা মহিলাদেরও ওইভাবে শোয়া উচিত নয়, কারণ তা শরীরে রক্ত চলাচলে বাধা দিতে পারে, যা অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পেটের উপর চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়া ঘুমোনোর সব থেকে খারাপ ‘ধরন’গুলোর মধ্যে একটি।


নীরব শক্তি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি গোপন বৈশিষ্ট্য

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৬:১৩:১২
নীরব শক্তি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি গোপন বৈশিষ্ট্য
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে আমরা নিজেদের জীবনের রঙিন অংশগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখাতে ব্যস্ত। টাটকা সেলফি, ভ্রমণের ভিডিও, রেস্তোরাঁয় মজার রিল বা বিরাট সাফল্যের দীর্ঘ স্ট্যাটাস—কিছুই বাদ পড়ছে না। তবে একটি ছোট গোষ্ঠী এসব থেকে পুরোপুরি দূরে থাকে। সম্পর্কবিষয়ক গবেষকদের মতে, সবকিছু জানাতে না চাওয়াতেও থাকে একধরনের নীরব আত্মবিশ্বাস। আর যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা অসামাজিক নন, বরং অন্যরকম মূল্যবোধে জীবনকে দেখেন।

গবেষকরা এ ধরনের মানুষের মধ্যে সাধারণত ৭টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন, যা তাদের আলাদা করে তোলে।

নীরব কিন্তু সফল—৭টি বৈশিষ্ট্য

১. নিজের ভেতরের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত: তাঁরা অনেকটাই আত্মমুখী। নিজেদের চিন্তা, অনুভূতি আর লক্ষ্য নিয়ে সময় কাটান। বাইরের প্রতিক্রিয়া বা লাইক–কমেন্ট তাঁদের কাছে জরুরি নয়। তাঁদের কাছে নিজের মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাসই আসল বিষয়।

২. সময়কে মূল্য দেন: অকারণ স্ক্রল, ট্রেন্ড ফলো করা বা অন্যের জীবনের আপডেট দেখা—এসব থেকে তাঁরা দূরে থাকেন। তাঁরা বুঝে ফেলেছেন, সময় অমূল্য। এই সময় তাঁরা ব্যবহার করেন পড়াশোনায়, প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলায় বা নিজের সঙ্গ উপভোগে।

৩. সম্পর্কের গভীরতা খোঁজেন: তাঁরা বন্ধু চান, ফলোয়ার নয়। সংখ্যার চেয়ে মান তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এমন সম্পর্ক চান, যা সত্যিকারের; যেখানে বোঝাপড়া আর বিশ্বাস থাকে, শুধু অনলাইনে সুন্দর দেখানোর জন্য নয়।

৪. শান্ত ও স্থির মেজাজের মানুষ: অনলাইন বিতর্ক, আবেগতাড়িত পোস্ট বা ঝগড়ায় তাঁরা জড়ান না। নিজেদের আবেগ তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে ভাবেন, এটা কি সত্যিই প্রয়োজন?

৫. আত্মনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী: তাঁরা কারও প্রশংসা বা অনুমোদনের অপেক্ষা করেন না। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। বাইরের স্বীকৃতির চেয়ে নিজের সন্তুষ্টিই তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

৬. ব্যক্তিগত সীমারেখা মানেন: কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন—সবকিছু সবাইকে জানানো তাঁদের পছন্দ নয়। তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেন। তাঁদের কাছে নিজের বিষয় নিজের কাছেই রাখা এক ধরনের মানসিক শান্তি।

৭. বর্তমানে থাকতে জানেন: তাঁরা পোস্ট করার চেয়ে মুহূর্তটা অনুভব করেন। সূর্যাস্ত দেখার সময় ছবি তোলার চেয়ে সূর্যাস্তটা উপভোগ করাই তাঁদের কাছে বেশি মূল্যবান।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

গবেষকেরা বলেন, যাঁরা এসব থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা যে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না, তা নয়। বরং তাঁরা হয়তো সচেতনভাবেই অন্যে ফিডে শান্তি না খুঁজে নিজের ভেতরেই শান্তি খোঁজেন। ব্যক্তিগত জীবনে আরেকটু গোপনীয়তা এবং কম প্রদর্শনের অভ্যাস করলে হয়তো জীবনটা আরও সহজ হতো।

সূত্র: এক্সপার্ট এডিটর


শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২০:৫১:৩৫
শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে গরম এবং শক্তিশালী রাখতে আমন্ড (কাঠবাদাম) বাদামকে খুবই উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই বাদামে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ক, হার্ট ও ত্বক—তিনটির জন্যই লাভদায়ক। কিন্তু অনেকেই দ্বিধায় থাকেন—শীতকালে বাদাম ভিজিয়ে খাবেন, নাকি শুকনো খাওয়াই ভালো?

চলুন, জেনে নেওয়া যাক শীতকালে এই বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় এবং উভয় পদ্ধতির উপকারিতা।

ভেজানো বনাম শুকনো আমন্ডের উপকারিতাআসলে, দুটি পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। আপনি সঠিক উপায়ে এবং সঠিক সময়ে এই বাদাম খেলে এর পুষ্টিগুণের প্রভাব বহুগুণ বেড়ে যায়।

ভেজানো আমন্ড খাওয়ার উপকারিতা

সহজে হজম: ভিজিয়ে রাখলে এই বাদামের বাইরের স্তর নরম হয়ে যায়, ফলে এটি চিবানো এবং হজম করা সহজ হয়।

পুষ্টির ভালো শোষণ: ভেজানোর ফলে এই বাদামে থাকা এনজাইম সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে শরীর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সহজে শোষণ করতে পারে।

ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: ভেজানো বাদামে ভিটামিন ই-এর প্রভাব বেশি দেখা যায়, যা ত্বককে নরম এবং চুলকে শক্তিশালী করে।

শুকনো বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

উষ্ণতা প্রদান: শীতকালে শুকনো বাদাম খেলে শরীর গরম থাকে।

দীর্ঘ সময় শক্তি: শুকনো বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে, যার ফলে সারা দিন সক্রিয় থাকা যায়।

স্ন্যাকিং: দৈনন্দিন স্ন্যাকিং, ভ্রমণের সময় বা চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য এগুলো খুব ভালো।

সঠিক উপায় ও পরিমাণ

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, আপনার হজমশক্তি যদি দুর্বল হয় বা ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে ভেজানো বাদাম খাওয়াই ভালো। আর যদি শক্তি ও উষ্ণতা চান, তবে সকালে দুধের সঙ্গে ২-৩টি শুকনো বাদাম খান।

পরিমাণ: ভালো ফলাফলের জন্য শীতকালে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি বাদাম খাওয়া উচিত।

উপসংহার: ভেজানো বাদাম সহজে হজম হয় এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সম্পূর্ণ সুবিধা দেয়। তবে, সীমিত পরিমাণে শুকনো বাদামও শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি উভয় পদ্ধতিতেই বাদাম খেতে পারেন।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২০:৪৩:৪৮
মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
ছবিঃ সংগৃহীত

সকালে ঘুম ভাঙার পর কিংবা অফিসের কাজের চাপে—মাথাব্যথা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। অনেকেই মনে করেন, ‘মাথা থাকলে ব্যথা হবেই।’ কিন্তু এই চরম সত্যের মূল কারণ হচ্ছে আপনার ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা, পানিশূন্যতা কিংবা চোখের ক্লান্তি। এই সমস্যাগুলো সমাধান করলে মাথাব্যথা অনেকটাই কমে আসতে পারে। তবে যদি মাথাব্যথা নিয়মিত হয়, অত্যধিক তীব্র বা চোখ ঝাপসা দেখায়, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, হালকা মাথাব্যথা কমাতে ৫টি ঘরোয়া টিপস:

মাথাব্যথা কমানোর ৫ ঘরোয়া উপায়

১. ইয়োগা (Yoga): ইয়োগা আপনার মাথাব্যথার সমাধান দিতে পারে। বিশেষ করে চোখের চাপ, স্ট্রেস বা ঘুমের অভাবজনিত মাথাব্যথার ক্ষেত্রে ইয়োগা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইয়োগার ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাস মনকে শান্ত করে, কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) কমিয়ে দেয় এবং মাথায় রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে।

২. বিশ্রাম ও ঘুম: ঘুম কম হলে বা পরিশ্রম বেশি হলে মাথাব্যথা শুরু হয়। মাথাব্যথা শুরু হলে সামান্য কিছু সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করে নিরিবিলি অন্ধকার রুমে বিশ্রাম নিন। যখন-তখন কিছুক্ষণের জন্য চোখকে আরাম দিন।

৩. পানি পান: সাধারণত পানিশূন্যতা মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই সাধারণ মাথাব্যথা হলে প্রথমেই ১–২ গ্লাস পানি পান করুন। দিনে পর্যাপ্ত পানি (অন্তত ১০ গ্লাস) পান করলে শরীর ডিহাইড্রেশনমুক্ত থাকে এবং মাথাব্যথা দূর করা যেতে পারে।

৪. আদা চা: আদা প্রদাহ কমিয়ে দেয় এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তোলে। মাথাব্যথা অনুভূত হলে এক চামচ কুচানো আদা এককাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে চা তৈরি করে খান। চা খাওয়া অভ্যাস না থাকলে কেবল আদাযুক্ত হালকা গরম পানিও খেতে পারেন।

৫. লেবুপানি ও অন্যান্য: অতিরিক্ত গ্যাস কিংবা হজমের সমস্যা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লেবুপানি আপনার মাথাব্যথা দূর করতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া পুদিনা তেল কপালে ও কানের পাশে হালকা মালিশ করলেও আরাম পাওয়া যেতে পারে।


চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১৯:১৯:৫৪
চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা

চিয়া সিড—এই ছোট্ট দানাগুলো আজকাল স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এক অনন্য নাম। ‘সুপারফুড’ খেতাব পাওয়া এই বীজে আছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে, ত্বক হয় উজ্জ্বল, চুল থাকে ঘন ও সুস্থ, এমনকি সামগ্রিকভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চিয়া বীজ সঠিক সময়ে না খেলে এর যথাযথ উপকার পাওয়া যায় না।

কখন খাওয়া উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিয়া বীজ সাধারণ পানি, ডাবের পানি বা দুধের সঙ্গে ওয়ার্কআউটের ৩০-৪৫ মিনিট আগে ভিজিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

উপকারিতা: ওয়ার্কআউটের আগে চিয়া বীজ খেলে শরীরে এনার্জি জোগায়, পেশির শক্তি বাড়ায়, হাইড্রেশন বজায় রাখে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং প্রদাহ কমায়।

কখন খাওয়া উচিত নয়?

রাতে বা ঘুমের আগে চিয়া বীজ খেলে হজমে সমস্যা বা পেট ফাঁপা হতে পারে। তাই রাতে খাওয়ার পরিবর্তে সকালে বা ব্যায়ামের আগে খাওয়া উচিত।

কীভাবে খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়?

১. ভিজিয়ে রাখা: এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ এক গ্লাস পানি, ডাবের পানি বা দুধে অন্তত ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২. যোগ করুন: ইচ্ছে হলে লেবুর রস, পুদিনা পাতা বা মধু যোগ করতে পারেন। এতে চিয়া বীজের পানি জেলির মতো হয়ে যায় এবং স্বাদ ভালো হয়।

৩. সেবন: ওয়ার্কআউটের ৩০-৪৫ মিনিট আগে পান করুন।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১৬:০১:৪৯
পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের সময় বা নিয়মিত যত্নের অভাবে অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এতে শুধু ব্যথাই হয় না, বরং পায়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পায়ের নিচের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। তবে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি পায়ের ফাটা দূর করে ত্বককে মসৃণ ও নরম রাখতে সাহায্য করবে।

উপকরণ:

১ টেবিল চামচ লবণ

আধা কাপ লেবুর রস

২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন

২ চা চামচ গোলাপজল

প্রয়োজনমতো গরম পানি

একটি পিউমিস স্টোন

ব্যবহারের নিয়ম:

১. পা ভিজিয়ে রাখুন: প্রথমে একটি বড় পাত্রে সহনীয় গরম পানি নিন। তাতে লবণ, ১০ ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে দিন। পা সেই পানিতে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

২. পরিষ্কার করুন: এরপর পিউমিস স্টোন দিয়ে গোড়ালির ফাটা অংশ হালকা ঘষে পরিষ্কার করুন।

৩. ধুয়ে মুছে নিন: ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

৪. মিশ্রণ প্রয়োগ: এরপর ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ গোলাপজল ও ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। মিশ্রণটি আঠালো হওয়ায় রাতে সুতির মোজা পরে ঘুমাতে পারেন।

৫. সকালের যত্ন: সকালে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে নিন।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

যদি পায়ের ফাটার সমস্যা খুব বেশি হয় বা ঘা হয়ে যায়, তাহলে লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভালো।

এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে পায়ের ফাটা দূর হবে এবং ত্বক থাকবে মসৃণ ও নরম।

সূত্র : টিপস ২৪


মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১১:০৪:০১
মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মেথি ভেজানো পানি—শুনতে যতটা সাধারণ, এর উপকারিতা ততটাই গভীর। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ঘরোয়া পানীয়টি হজমশক্তি উন্নত করা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শরীরকে ভেতর থেকে ডিটক্স করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক পুষ্টিবিদ্যার দৃষ্টিতেও এখন মেথির বীজকে ‘সুপারফুড’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে ১৫ দিন মেথি পানি পান করলে শরীরে আসে কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।

১৫ দিনে শরীরে যে ৬ পরিবর্তন আসে

১. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আসে: মেথি দানায় রয়েছে গ্যালাক্টোম্যানান নামের দ্রবণীয় আঁশ, যা রক্তে গ্লুকোজ শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ১৫ দিন মেথি পানি খেলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক ধাপে বিশেষ উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।

২. বাড়ে বিপাকক্রিয়া, হজম হয় সহজ: মেথি পানি শরীরের বিপাকক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ হজম এনজাইমকে উত্তেজিত করে এবং চর্বি ভাঙার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

৩. পেট পরিষ্কার থাকে, সতেজ হয় হজমতন্ত্র: মেথি প্রাকৃতিক অন্ত্র পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এর আঁশ শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে পান করলে এটি পাকস্থলীর আবরণে সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে।

৪. ত্বকে দেখা দেয় দৃশ্যমান উন্নতি: মেথি পানির ডিটক্স ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকেও প্রতিফলিত হয়। শরীর যখন ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়, তখন ব্রণ বা ফুসকুড়ি কমে আসে, ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও সতেজ। কয়েক সপ্তাহেই ত্বকের রঙে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসতে পারে।

৫. হরমোন নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য: মেথি দানায় এমন কিছু যৌগ থাকে, যা ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো কাজ করে। ফলে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি হরমোনজনিত ওঠানামা কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত পান করলে মন-মেজাজ স্থির থাকে।

৬. শরীর থাকে আর্দ্র ও কর্মশক্তিতে ভরপুর: ভেজানো মেথি দানা থেকে বের হওয়া জেলি জাতীয় আঁশ শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। সকালে খালি পেটে পান করলে ত্বক ও শরীর দুই-ই আর্দ্র থাকে, ক্লান্তি ও শুষ্কতা কমে।

তৈরি ও সেবনের নিয়ম

রাতে এক চা চামচ মেথি দানা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে সেই পানি খালি পেটে পান করুন। চাইলে হালকা গরম করে খাওয়া যায়, আবার ভেজানো দানাগুলোও চিবিয়ে খাওয়া যায়। নিয়মিত ১৫ দিন এভাবে খেলে এর সুফল স্পষ্ট অনুভব করা যায়।


বিলাসবহুল জীবন থেকে জনকল্যাণ: দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরার যত কীর্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৮:৩৫:৫৬
বিলাসবহুল জীবন থেকে জনকল্যাণ: দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরার যত কীর্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

পুরো নাম শেখ মাহরা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, তবে তিনি দুবাইয়ের রাজকন্যা শেখ মাহরা নামেই পরিচিত। ত্রিশের কোঠায় থাকা এই রাজকন্যা বিপুল সম্পদ, বিলাসবহুল জীবন, নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল এবং বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে রাজকন্যা পরিচয় ছাপিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র এক ব্যক্তিত্ব। তিনি গোটা মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক অঙ্গনের তরুণীদের কাছে অনুপ্রেরণার এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সম্পদ ও আয়ের উৎস

শেখ মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাই আমিরাতের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা। তাঁর পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।

ব্যক্তিগত সম্পদ: বিভিন্ন সূত্রমতে, মাহরার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে।

বিনিয়োগ: পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের পাশাপাশি তার আয়ের উৎস হলো বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায় উদ্যোগ। তিনি রিয়েল এস্টেট এবং প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন।

ফ্যাশন আইকন: ফ্যাশন আইকন হিসেবে বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রচারণা কার্যক্রমের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততাও আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

জীবনযাত্রা ও মানবিক দিক

শেখ মাহরা অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। তার গ্যারেজে রোলস-রয়েস, ল্যাম্বরগিনি ও ফেরারি ব্র্যান্ডের বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে। তিনি সব সময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাকে দেখা দিলেও, তাঁর পোশাকে ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি পোশাকের সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনের মিশ্রণ দেখা যায়, যা তাঁর স্টাইলের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি মাহরার মানবিক দিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক কার্যক্রমে তাঁকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। বিশেষত নারীর ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তার মতো নানা জনহিতকর কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত।

সূত্র: ম্যাশেবল


শখের পোশাক বারবার ধোয়ার পরেও উজ্জ্বল থাকবে যে ৮ উপায়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৭:০৪:৪৯
শখের পোশাক বারবার ধোয়ার পরেও উজ্জ্বল থাকবে যে ৮ উপায়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

পছন্দের পোশাক যেন বারবার ধোয়ার পরেও ঠিক আগের মতোই উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে, তার জন্য দরকার সঠিক যত্ন। কাপড়ের রং ও গুণমান দীর্ঘদিন ধরে রাখতে কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস গড়ে তোলাই যথেষ্ট। চলুন, জেনে নিই সেই ৮টি অভ্যাস:

পোশাকের যত্ন ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ৮ উপায়

১. ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়ার অভ্যাস: গরম পানিতে কাপড় ধোয়ার ফলে রং দ্রুত ফিকে হয়ে যায়। তাই সম্ভব হলে সবসময় ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ধুতে চেষ্টা করুন।

২. কাপড় উল্টে ধোয়া: কাপড় ধোয়ার আগে উল্টো দিক করে নিন। এতে বাইরের দিকের রঙে ডিটারজেন্ট সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে না, ফলে রং অনেক দিন টিকে থাকে।

৩. নরম ও রাসায়নিকমুক্ত ডিটারজেন্ট: হার্শ কেমিক্যাল বা কড়া রাসায়নিক ব্যবহার করলে কাপড়ের তন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নরম ও মাইল্ড ডিটারজেন্ট কাপড়কে কোমল ও উজ্জ্বল রাখে।

৪. ডিটারজেন্টে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন না: কাপড় অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে রং ও তন্তু দুর্বল হয়ে যায়। তাই খুব বেশি সময় ভিজিয়ে না রেখে সময়মতো ধুয়ে ফেলাই ভালো।

৫. সূর্যের তাপে নয়, ছায়ায় শুকান: কাপড় সরাসরি কড়া রোদে শুকালে রঙ ফিকে হয়ে যেতে পারে। তাই ছায়ায় শুকানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৬. ভিনেগার ব্যবহার: কাপড় ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে নিলে রং ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং কাপড় থাকে টাটকা ও ঝকঝকে।

৭. নির্দিষ্ট নিয়ম মানুন: প্রতিটি ফ্যাব্রিকের ধোয়ার পদ্ধতি আলাদা। তাই ট্যাগে থাকা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাপড় ধোয়া উচিত।

৮. ভেজা কাপড় জমিয়ে রাখবেন না: ভেজা কাপড় বেশি সময় জমিয়ে রাখলে তাতে ছত্রাক জন্মায় ও দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে ফেলুন।

এই সাধারণ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার প্রিয় পোশাকের রং, উজ্জ্বলতা ও গুণমান অনেক দিন ধরে ঠিক রাখা সম্ভব।

সূত্র : এবিপি

পাঠকের মতামত: