প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১২:৩২:৩৬
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন দলের শীর্ষ নেতারা।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিদের মধ্যে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, খাইরুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সাইফুল আলম নিরব, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, আমিনুল হক ও তানভীর আহমেদ রবিন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতিতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরিবর্তন এনেছিলেন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জিয়াউর রহমান মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করে দেশের অর্থনীতিকে নতুন গতিপথে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার হাত ধরেই তৈরি পোশাক শিল্পের ভিত্তি স্থাপিত হয়, যা আজ বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রধান ভরসা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তনও ছিল জিয়ার অবদান, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছিল।

গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে টিকে আছে। এই সংগ্রামে তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন এবং জনগণ ও ছাত্রসমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় যেতে সক্ষম হয়, তবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও নতুন গতি সৃষ্টি হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় একটি মৌলিক পরিবর্তন আসবে।

-রাফসান


শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২১:১৪:১৩
শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর ২ বা নড়িয়া সখিপুর আসনের নির্বাচনী চালচিত্র দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এনামুল হক শামীমের অবর্তমানে এই আসনটি এখন বিএনপি ও জামায়াতের শক্তি পরীক্ষার ময়দানে পরিণত হয়েছে। এখানে বিএনপির অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণের মুখোমুখি হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিশিষ্ট চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল।

শফিকুর রহমান কিরণের রাজনৈতিক দুর্গ

এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ। তিনি ১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে নড়িয়া ও সখিপুরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন কিরণের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের আগলে রাখার বিষয়টি ভোটাররা ইতিবাচকভাবে নেবেন। তিনি ইতিমধ্যেই এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন এবং হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন।

ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলের চমক ও কৌশল

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলকে। পেশায় চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ায় এলাকায় তাঁর একটি নিজস্ব গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ রয়েছে। জামায়াত মনে করছে গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে একজন শিক্ষিত ও পেশাজীবী মানুষকে প্রার্থী করায় সাধারণ ও নিরপেক্ষ ভোটারদের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এবং ইসলামী মূল্যবোধ ও সমাজসেবার বার্তা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

ভোটের সমীকরণ ও চ্যালেঞ্জ

শরীয়তপুর ২ আসনটি নদীভাঙন কবলিত এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষের প্রধান দাবি টেকসই উন্নয়ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এই আসনে লড়াই হবে মূলত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বনাম নতুন নেতৃত্বের। শফিকুর রহমান কিরণ যেখানে তাঁর অতীত উন্নয়ন ও বিএনপির ভোটব্যাংকের ওপর নির্ভর করছেন সেখানে ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল নির্ভর করছেন জামায়াতের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির ওপর।

তৃণমূলের ভাবনা

সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত উভয়েই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউলের প্রার্থিতা বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্যে বড় ধরনের ভাগ বসাতে পারে। বিশেষ করে তরুণ ও ধর্মপ্রাণ ভোটারদের মধ্যে জামায়াতের প্রার্থীর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শরীয়তপুর ২ আসনে কিরণ বনাম বকাউলের এই লড়াই ততই জমে উঠছে।


নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২০:৫৬:১১
নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না
কুড়িগ্রামে নাগরিক ঐক্যের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি : কালবেলা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে। তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন আগে কমিশন বলেছিল চলতি মাসের ৭ বা ৮ তারিখের দিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তারপর শোনা গেল ১১ তারিখ তফসিল ঘোষণা হবে। কিন্তু এখন পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো কথা বলবে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি দাবি জানান যে রোজার আগেই নির্বাচন হতে হবে।

রোববার ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কুড়িগ্রামে নাগরিক ঐক্যের জেলা কার্যালয় উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন। মান্না বলেন এ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জোটে খালেদা জিয়ার অসাধারণ অবদান ছিল। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন এবং অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। সবাই চায় তিনিও এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকুন। তবে তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার মধ্যে একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে নির্বাচনের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় কি না এটা আমাদের মনের মধ্যে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে।

নির্বাচনী সমঝোতা ও জোটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মান্না বলেন ১৫ বছরের লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ছিল এবং তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা গড়ে ওঠেনি। তিনি স্পষ্ট করেন যে তাঁরা এককভাবে কিছু করতে চান না বরং ঐক্যের ভিত্তিতেই এগোতে চান।

এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্যা কায়সার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. আব্দুস সালাম এবং সদস্য সচিব জোহবাদুল ইসলাম বাবলুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা শহরের কলেজ মোড়ে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশেও বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না।


দুর্নীতির লাগাম একমাত্র বিএনপিই টানতে পারবে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২০:২৮:১৬
দুর্নীতির লাগাম একমাত্র বিএনপিই টানতে পারবে: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বাংলাদেশে একমাত্র বিএনপিই দুর্নীতির লাগাম টানতে পারবে। তিনি মন্তব্য করেন যে দেশের সব ক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে এবং দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবি। রবিবার ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সব উন্নয়ন পরিস্থিতি পিছিয়ে যাবে। এই দুই সংকট কাটানো না গেলে নারী কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে যেকোনো পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার সক্ষমতা বিএনপিরই আছে এবং এটিই দলের অঙ্গীকার।

জাতীয় সরকার গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন স্বৈরাচার পতনের দিন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় সরকার করা হবে কি না। আমরা বলেছিলাম আমরা জনগণের কাছে যাব। কারণ জনগণই আমাদের শক্তির উৎস। দু একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন যারা বলে আমাদের বা বিএনপিকে দেখেননি এবার দেখুন তাদের মানুষ ১৯৭১ সালেই দেখেছে। কীভাবে তারা হত্যা লুণ্ঠন আর নির্যাতন চালিয়েছে তা জাতি ভুলে যায়নি। সুতরাং নতুন করে তাদের দেখার কিছু নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন স্বৈরশাসকের মতো কিছু মানুষ বিএনপির সমালোচনা করছে। অথচ বিএনপি সরকারের আমলে তাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন। শেষ দিন পর্যন্ত তারা মন্ত্রিসভায় থেকে প্রমাণ করেছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থান ছিল স্পষ্ট। বিএনপির বিরুদ্ধে ওঠা কোনো অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন বিএনপি বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া কানাডা কিংবা আমেরিকা বানাতে চায় না বরং তারা একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চায়। তিনি উল্লেখ করেন বিভিন্ন সময়ে দেশ যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে তখন বিএনপি ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি করেছে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে এবং সেই দেশকে গড়তেও কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একমাত্র জনগণ ও গণতন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে বলেও তিনি মত দেন।


বিএনপি ক্ষমতায় এলে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৯:০৩:১৪
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে: সালাহউদ্দিন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সমকাল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার। তবে গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। রোববার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন এমন নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেবে।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন বিএনপি সরকার গঠন করলে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে কক্সবাজারে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ বিএনপির আমলেই শুরু হয়েছিল এবং আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে চালু হবে। তখন ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে উঠবে বলে তিনি মত দেন। এছাড়া তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।

পথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। সালাহউদ্দিন আহমদ আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন শিগগির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে এবং ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপির প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচারণায় নামবেন। তাঁর মতে দীর্ঘ দেড় যুগ পর জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন এবং এ নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন।

এর আগে আজ সকালে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নুনাছড়ি নয়াপাড়া রাখাইনপাড়া হারবাং বাজার কালা সিকদারপাড়া গুদারপাড়া ও সওদাগরপাড়া পাহাড়তলী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। স্থানীয় মানুষ তাঁকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং ভিড় জমান।


গায়ের জোর বা ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোটে জেতা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি নতুন জোটের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৮:৪৩:৫০
গায়ের জোর বা ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোটে জেতা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি নতুন জোটের
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিসহ তিন দল নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট। জোটের অন্য দুটি দল হলো আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। রবিবার ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন জোটের ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি এই নতুন জোটের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

জোট ঘোষণাকালে নাহিদ ইসলাম বলেন এটা কেবল নির্বাচনী জোট না বরং এটি একটি রাজনৈতিক জোট। তিনি ঘোষণা দেন যে তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবেন এবং আরও অনেকগুলো রাজনৈতিক শক্তি ও দলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। আগামী নির্বাচনে তাঁরা একসঙ্গে এবং এক মার্কায় নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন কেউ যদি মনে করে আগামী নির্বাচনে গায়ের জোরে জয়ী হবে কিংবা ধর্মের দোহাই দিয়ে জয়ী হবে তবে তারা সফল হবে না। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন চব্বিশের পরে গত দেড় বছরে আমাদের অনেক জায়গায় হতাশা রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা শক্তি নানাভাবেই সংস্কারের বিরোধিতা করেছে এবং বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। এ অবস্থায় সংস্কারের পক্ষে তিন দল আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এই ঐক্য প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা দিতে তিনটি দল এক হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রত্যাশা ব্যর্থ হয়েছে এবং তরুণদের প্রত্যাশাও ব্যর্থ হয়েছে। নতুনদের কর্মকাণ্ড অনেকের কাছে সমালোচিত হয়েছে। এ অবস্থায় আজকে একটা নতুন যাত্রা ঘোষণা করার জন্য আমরা এসেছি। জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটা নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেওয়ার লক্ষ্যে তিন দল হাতে হাত মিলিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন আমরা তিনটি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। তবে আমরা মনে করি না শুধু এই তিনটি দলই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে কিংবা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। নতুন এই জোট গঠনের ফলে ভোটের মাঠে নতুন সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।


সামনের সময়গুলো ভালো নয়,বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৮:২৬:০৭
সামনের সময়গুলো ভালো নয়,বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন আমাদের সামনের সময়গুলো ভালো নয় বরং কঠিন সময় অপেক্ষা করছে এবং বিভিন্নভাবে বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রবিবার বিকেলে বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন আজকে আমরা দেশ গড়ার পরিকল্পনা করছি। তিনি মন্তব্য করেন এই কাজটি যদি আমাদের সফল করতে হয় বা দেশকে যদি সামনে নিয়ে যেতে হয় এবং মানুষকে যদি তার অবস্থান পরিবর্তন করে ভালো অবস্থানে নিতে হয় তাহলে আমাদের সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন আমি গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় থেকে বলে আসছি আমাদের সামনের সময়গুলো কিন্তু খুব ভালো নয় বরং সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তিনি অভিযোগ করেন বিভিন্নভাবে বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে এই দেশের জনগণ এবং এই ষড়যন্ত্র জনগণকে সাথে নিয়ে রুখে দিতে পারে বিএনপি।


টাকা বা পেশিশক্তি নয় বরং জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি: তাসনিম জারা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১১:৩৮:১৩
টাকা বা পেশিশক্তি নয় বরং জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি: তাসনিম জারা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। একই সঙ্গে মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শনিবার ৬ ডিসেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানান যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আগ্রহীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তাসনিম জারা বলেন এটা প্রমাণ যে মানুষ নতুন ধরণের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত। যেখানে টাকা বা পেশীশক্তি নয় বরং জনগণের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি জানান আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম এক হাজার জনকে তাঁরা টিমে যুক্ত করবেন এবং ধাপে ধাপে তাদের রোল দায়িত্ব ও প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো জানাবেন। এরপর রোলিং বেসিসে এক হাজার করে নতুন ব্যাচ যুক্ত করা হবে। তিনি সবুজবাগ থেকে মাঠের কাজ শুরু করার ঘোষণা দেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৯ বা খিলগাঁও সবুজবাগ মুগদা ও মান্ডা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডা. তাসনিম জারা। তিনি এই আসনের ক্যাম্পেইনে দেশের যে কোনো জায়গার বাসিন্দা ও প্রবাসীদের সাহায্য চেয়েছেন। এর আগে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে সততার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের কথা বলেন। তিনি লিখেন আমাদের দেশে নির্বাচনে একজন প্রার্থী আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন কিন্তু বাস্তবে প্রায় কেউই এই আইন মানেন না। শোনা যায় একজন প্রার্থী ২০ থেকে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেন অথচ নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে মিথ্যা বলেন।

তাসনিম জারা দৃঢ়তার সঙ্গে লিখেন আমি এই অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করব না। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে আইনে অনুমোদিত ২৫ লাখ টাকার বাইরে তিনি এক টাকাও খরচ করবেন না। অনেকে এটাকে অসম্ভব বললেও তিনি প্রমাণ করতে চান যে এটা সম্ভব। তিনি শুধু নির্বাচনের পর নয় নির্বাচনের আগেই নিয়মিত কত টাকা পেয়েছেন এবং কত খরচ করেছেন তা স্বচ্ছভাবে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে কাজগুলো অন্য প্রার্থীরা টাকা দিয়ে করান সেগুলো তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের সময় শ্রম ও অংশগ্রহণ দিয়ে করতে চান। গ্রাফিক ডিজাইন ভিডিও এডিট উঠান বৈঠকের আয়োজন বা ফান্ড সংগ্রহের মতো কাজে তিনি সাধারণ মানুষের সহায়তা চেয়েছেন। তাসনিম জারা বিশ্বাস করেন যদি রাজনীতি দুর্নীতি পেশিশক্তি আর মিথ্যার বৃত্ত থেকে বের হয়ে সত্যিকারের জনগণের হাতে ফিরে আসে তাহলে অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


পার্শ্ববর্তী দেশের সেবাদাস হয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা: সালাহউদ্দিন 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:৩২:০৫
পার্শ্ববর্তী দেশের সেবাদাস হয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা: সালাহউদ্দিন 
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাকশালের মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন যে গণঅভ্যুত্থানে জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ইসলামনগর এলাকায় আয়োজিত এক মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতায় কখনো বিশ্বাস করেননি। তিনি পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সেবাদাস হিসেবে ক্ষমতা ধরে রেখে সেই দেশে সম্পদ পাচারে সহযোগিতা করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তার নির্ধারিত ঠিকানাও হয়েছে দিল্লি। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন গত ১৬ বছর দেশে গণতন্ত্র ছিল না তবে এবার তা ফিরে এসেছে। দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় এবং ন্যায়বিচার ও শান্তি চায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের অর্থনীতি প্রশাসন ও ন্যায়বিচারে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা পুনর্গঠন করা হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন জনগণ এখন নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। তারা নিজেরাই ভোটাধিকার পাহারা দেবে। তিনি এবারের নির্বাচন বিশ্বের কাছে স্বীকৃত সুষ্ঠু ও প্রশংসিত নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মহিলা সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক এমপি ও সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


শরীয়তপুর ১: বিএনপির কোন্দল বনাম জামায়াতের চ্যালেঞ্জ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:১১:০৬
শরীয়তপুর ১: বিএনপির কোন্দল বনাম জামায়াতের চ্যালেঞ্জ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর ১ আসনটি এখন রাজনৈতিক উত্তাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ভোটের মাঠে নতুন নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী ও অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ

এই আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলামকে। তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই পথসভা গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাঁর পথ মসৃণ নয়। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছেন দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর সমর্থকরা। গত ২৮ নভেম্বর জেলা শহরে মশাল মিছিল এবং ২৭ নভেম্বর জাজিরা উপজেলার কাজীর হাটে শরীয়তপুর ঢাকা সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন যা বিএনপির জন্য বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থী ও কৌশল

বিএনপির এই গৃহদাহের মধ্যে বেশ গুছিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। এই আসনে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ডক্টর মোশারফ হোসেন মাসুদ। উচ্চশিক্ষিত এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত এই নেতা বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াত তাদের সুশৃঙ্খল ভোটব্যাংক এবং সাধারণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। ডক্টর মোশারফ হোসেন মাসুদের ক্লিন ইমেজ এখানে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।

অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী

মাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই অন্য দলগুলোও। এই আসন থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি তোফায়েল আহম্মেদ কাসেমী গণঅধিকার পরিষদ থেকে ইমরান আল নাজির এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রিয়াজ মোর্শেদ প্রচারণায় রয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাজিরা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম রাসেলের নামও বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

ভোটের সমীকরণ

শরীয়তপুর ১ আসনটি মূলত সদর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন এবং জাজিরা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। অতীত পরিসংখ্যান বলছে ১৯৭৯ সালে একবার বিএনপি এবং ৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টি জিতলেও বাকি অধিকাংশ সময় এটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এবার আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় মূল লড়াইটা বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে বিএনপির বিদ্রোহী অংশ যদি শেষ পর্যন্ত নিস্ক্রিয় থাকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তবে ভোটের ফলাফল যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত