২৮ বছরের প্রাপ্তি না কি বঞ্চনা: পার্বত্য চুক্তির আমূল পরিবর্তনে ৫ দফা দাবি

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তিতে আজ এই চুক্তির প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বড় ধরণের প্রশ্ন উঠেছে। ‘পাঠশালা সিএইচটি রিসার্চ সেল’-এর পরিচালনা সদস্য ওমর ফারুক এক পর্যালোচনায় দাবি করেছেন, ১৯৯৭ সালের এই চুক্তিটি আসলে একটি অসম ও অসাংবিধানিক রাজনৈতিক আপস, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশের এক-দশমাংশ জুড়ে বিস্তৃত এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ বাঙালিকে নিজ ভূখণ্ডেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়, এই চুক্তির মাধ্যমে একটি অঞ্চলকে ‘উপজাতীয় অধ্যুষিত’ ঘোষণা করা সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা দেশের ৬১টি জেলা থেকে এই অঞ্চলকে আলাদা করে ফেলেছে। চুক্তির পর থেকে পাহাড়ে জেএসএস, ইউপিডিএফ এবং কেএনএফের মতো সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, গুম ও হত্যার মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। অভিযোগ উঠেছে যে, কিছু বিতর্কিত সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক তহবিল একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে, যেখানে পাহাড়ের ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অধিকাংশরাই বঞ্চনার শিকার।
গবেষণা সেলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বহু ধারা সংবিধানের ১, ৫৯, ৮০ ও ১২২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। একটি অনির্বাচিত আঞ্চলিক পরিষদ বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করছে এবং সার্কেল চিফরা নাগরিকত্ব ও ভূমির মালিকানা নির্ধারণের মতো ক্ষমতা লাভ করেছেন, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নজিরবিহীন। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতিবিজড়িত এই জনপদ রক্ষায় তাই ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সকল অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক ধারা অবিলম্বে পুনর্গঠন বা বাতিল করতে হবে।
২. অনির্বাচিত আঞ্চলিক পরিষদ ও তার অবৈধ ক্ষমতার অবসান ঘটাতে হবে।
৩. পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল নাগরিকের জন্য সমান ভূমি, ভোট ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে কঠোর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যে প্রত্যাহাকৃত ২৪৬ টি সেনাক্যাম্প পুনরায় স্থাপন করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম কোনো আলাদা রাষ্ট্র নয়, কোনো পরীক্ষাগার নয়, কোনো গোষ্ঠীর একচেটিয়া সম্পত্তিও নয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্ষার্থে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম একজন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ শহিদ হয়েছেন এবং তার সমাধি রয়েছে রাঙ্গামাটি নানিয়াচরে। এটি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং এখানকার প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়—ভিক্ষা নয়, ন্যায্য অধিকার।
বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে চট্টগ্রামে ভিন্ন নামে কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব ও আতঙ্ক
খবর চট্টগ্রাম নগরীতে নতুন নতুন নামে কিশোর গ্যাং গ্রুপ বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি চালাচ্ছে তাণ্ডব। চাঁদাবাজি ও ছিনতাই থেকে শুরু করে দখলবাজি ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তারা। কোনো এলাকায় নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হলে ভবন মালিক কিংবা ঠিকাদারের কাছে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। এমনকি গ্রুপিং দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে নিয়মিত ঘটছে খুনখারাবির ঘটনা।
অভিযোগ রয়েছে বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে নতুন করে ভিন্ন নামে বিভিন্ন গ্রুপে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। একাধিক সূত্রে জানা যায় গ্রুপ ঠিক থাকলেও নাম ও নেতৃত্বের বদল হয়েছে। এক সময়কার নেতৃত্বদানকারীরা এখন লাপাত্তা হওয়ায় অন্য বড় ভাইয়েরা হাল ধরেছে। এই চক্রে যুক্ত হয়েছে নতুন মুখ যারা মূলত মাদক সেবনের টাকা জোগাতে এ পথে আসছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযানে কিশোর সদস্যরা গ্রেপ্তার হলেও অধরা থেকে যান মূল হোতা বা বড় ভাইয়েরা। তারা বরং সদস্যদের ছাড়াতে থানায় তদবির করেন এবং আদালতে আইনজীবী নিয়োগ করে জামিনের ব্যবস্থা করেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক জরিপে দেখা গেছে নগরে প্রায় ২০০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে যাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন। এসব গ্রুপ বিঙ্গো কমার্ড আয়রন পেটন ও এমবিবিএস সহ নানা অদ্ভুত নামে পরিচিত। গত ছয় বছরে ৫৪৮টি অপরাধের ঘটনায় কিশোর গ্যাং জড়িত ছিল এবং তাদের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে ৬৪ জন বড় ভাই রয়েছেন। গত ১৬ মে হালিশহরের নয়াবাজারে দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে ওয়াহিদুল নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দন্তচিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনাটি কিশোর গ্যাংয়ের নিষ্ঠুরতার এক বড় উদাহরণ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে চট্টগ্রামের স্কুলগুলোয় অনুপস্থিত থাকা ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর বড় একটি অংশই এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী এই কিশোররা পর্নোগ্রাফি সাইবার অপরাধ ও অনলাইন জুয়ার মতো অপরাধে জড়াচ্ছে এবং এর জন্য তারা মূলত স্কুলের সময়টাকেই বেছে নেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। হামজারবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া মো. সাদিক হোসেন জানান কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় টেনশনে থাকতে হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আমিনুর রশিদ জানিয়েছেন নগরীতে কিশোর গ্যাং থানাভিত্তিক এবং সিএমপির প্রতিটি থানায় এই গ্রুপগুলোর তালিকা আছে। কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ দমন ও গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে কোনো দলের ব্যানারে তারা সক্রিয় হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে রাজনৈতিক নেতারা মিছিল মিটিংয়ে শিশু কিশোরদের ব্যবহার করলেও পুলিশ অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখবে।
সূত্র:কালবেলা
চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ১ বা মীরসরাই আসনে ভোটের রাজনীতি এখন তুঙ্গে। এই আসনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এই দুই নেতার লড়াই মীরসরাইয়ের নির্বাচনী মাঠকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
মাঠের রাজনীতিতে নুরুল আমিন বেশ পোড় খাওয়া নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কাজ এবং তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেশ গভীর। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন নুরুল আমিনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা সহজেই এই আসনে জয় ঘরে তুলতে পারবেন। বিশেষ করে ধানের শীষের বিশাল ভোটব্যাংক এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ভোটারদের টানতে সহায়ক হবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানও ছেড়ে কথা বলছেন না। পেশায় আইনজীবী সাইফুর রহমান ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। জামায়াতের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী এবং নিজস্ব ভোটব্যাংকের পাশাপাশি তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন নুরুল আমিন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও সাইফুর রহমানের কৌশলী প্রচারণায় ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
মীরসরাইয়ের সাধারণ ভোটাররা এই লড়াইকে বিএনপি বনাম জামায়াতের মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখছেন। একদিকে নুরুল আমিনের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও দলের সাংগঠনিক শক্তি অন্যদিকে সাইফুর রহমানের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও জামায়াতের নীরব ভোট বিপ্লবের কৌশল এই দুইয়ের মধ্যে কে শেষ হাসি হাসবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে পুরো চট্টগ্রামবাসী। কার্যত নৌকা না থাকায় মীরসরাইয়ের ভোটের মাঠ এখন পুরোপুরি নুরুল আমিন বনাম সাইফুর রহমানের দ্বৈরথে পরিণত হয়েছে।
মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বায়েজিদ আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ ছাড়াও সারোয়ার বাবলাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ আহত এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি দুজনকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তবে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় দুর্বৃত্তরা সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার খবর পাওয়ার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করে।
ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, "এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।"
এদিকে আজ সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত সোমবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি হামজারবাগ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন এবং বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেন।
বিএনপি অফিসে ‘জয় বাংলা’ লিখে পালাল দুই যুবক
চট্টগ্রামের পটিয়ায় গভীর রাতে হেলমেট পরা দুই যুবক উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ ও ‘শেখ হাসিনা’ লিখে পালিয়ে গেছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পৌর সদরের কলেজ গেট এলাকায় অবস্থিত বিএনপি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক অফিসের সামনে এসে এই স্লোগানগুলো দ্রুত লিখে পালিয়ে যান।
রাজনৈতিক উসকানি ও ভিডিও ফুটেজ
শনাক্তকরণ: মুখ হেলমেটে ঢাকা থাকায় কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দুই যুবক মোটরসাইকেল থামিয়ে দ্রুতগতিতে অফিসের দেয়ালে স্লোগান লিখছেন—তা দেখা যায়।
বিএনপির অভিযোগ: পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, “হেলমেট পরে দুই যুবক বিএনপির কার্যালয়ের সিঁড়ির দেয়ালসহ কয়েকজন নেতার বাড়ির দেয়ালেও ‘জয় বাংলা’, ‘শেখ হাসিনা’ লিখে গেছেন। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।” তিনি মনে করেন, বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা।
পুলিশের তৎপরতা
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কারখানা থেকে ১০৫০ জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আশেক মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অগ্নিকাণ্ড ও উদ্ধার কাজ
সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাডামস ক্যাপে ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা দ্রুত ভবনটি থেকে বেরিয়ে যান।
নিরাপত্তা: অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগুন প্রথমে ওপরের তলায় লাগার কারণে শ্রমিকরা দ্রুত এবং নিরাপদে বের হয়ে যান। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা: ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে এবং আশপাশের ভবনগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, সিইপিজেডের অভ্যন্তরের পুকুর থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
উৎপাদিত পণ্য: কারখানাটিতে ক্যাপ, তোয়ালে ও মেডিকেল গাউন তৈরি হতো।
সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের ওই কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আগুন ও উদ্ধার অভিযান
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগরীর সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদের মোট ১৫টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট এবং ইপিজেড, সিইপিজেডে নিয়মিত সেনাবাহিনীর দল আগুনকবলিত এলাকায় উপস্থিত রয়েছে।
উদ্ধার: আগুনকবলিত কারখানা থেকে অন্তত ২০-২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। কারখানায় মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন।
ছড়িয়ে পড়া: চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটতলা ভবনটির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এবং ভেতরে ঢোকা কঠিন।
দাহ্য বস্তু: ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু থাকতে পারে। আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
উদ্বেগ ও নিরাপত্তা
সিইপিজেড সূত্র জানায়, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কারো হতাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কালো ধোঁয়া। আগুনকবলিত ভবনটির চারপাশ ঘিরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, যাতে অহেতুক লোকজন ভিড় না করে।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, “যে জায়গা থেকে আগুনের সূত্রপাত, সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ।” তিনি দুপুরে খাওয়ার পর ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুনে নিচে নেমে আসেন। ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, হুড়োহুড়ি করে নারীদের নামতে দেখা গেছে, তবে গুরুতর কেউ আহত হননি।
চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এই টেস্ট বোরিং সফল হলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনা মূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
বর্জ্য থেকে সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তা
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামকে একটি ‘ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে’ পরিণত করতে চান।
বর্জ্য সংগ্রহ: প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় ২২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়। এজন্য ‘ডোর-টু-ডোর’ প্রকল্প চালুর মাধ্যমে শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চান তিনি।
লক্ষ্য: মেয়র জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, বি অ্যান্ড এফ কম্পানি লিমিটেডের প্রধান সি ডব্লিউ পার্কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প, ফিল্ড সার্ভে শুরু
চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফিল্ড সার্ভে বা মাঠ পর্যায়ের জরিপ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এই প্রকল্পের ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়। এর পর পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
‘বাণিজ্যিক রাজধানীর জন্য মনোরেল অপরিহার্য’
এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে টাইগারপাস্থ চসিক কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী এবং আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের প্রধান প্রতিনিধি কাউসার আলম চৌধুরী।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম শহরকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যানজট ও পরিবহন সংকটের সমাধান করতে হবে। এ জন্য মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান।” তিনি জানান, মনোরেল নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রকল্পটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত তৈয়বকে। বিডাসহ সব সংস্থার সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের দেড় কোটি টাকার কাপড় উধাও
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিলামে কেনা দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুটি কনটেইনার উধাওয়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের একটি দল বন্দরের চেয়ারম্যান, কাস্টম হাউসের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ
দুদক সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম থেকে প্রায় ২৭ টন কাপড় ৮৫ লাখ টাকায় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। মূল্য, শুল্ককর ও চার্জ মিলিয়ে তিনি মোট ১ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজির পর তাকে জানানো হয় কনটেইনারটি নেই। সাত মাস ধরে তার কোটি টাকা আটকে আছে।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বিডার ইয়াকুব চৌধুরীর পার্টনার তপন সিংহ। তিনি অন্য এক নিলাম থেকে কাপড়ের কনটেইনার খালাস করতে গেলে সেটিরও খোঁজ মেলেনি। তিনি ৪২ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলেন কাস্টম হাউসে।
দুদকের সহকারী কমিশনার সৈয়দ ইমরান বলেন, “দুজন বিডার নিলামে পণ্য কিনেছেন। সব চার্জ পরিশোধ করে ডেলিভারির জন্য গেলে জানানো হয় কনটেইনারগুলো নেই। তারা এখনো পণ্য বা টাকা ফেরত পাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছি।”
দুদকের অবস্থান
দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ ইমরান বলেন, “এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” জানা গেছে, এই ঘটনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার প্রধান পরিচালক (নিরাপত্তা)।
পাঠকের মতামত:
- ২৮ বছরের প্রাপ্তি না কি বঞ্চনা: পার্বত্য চুক্তির আমূল পরিবর্তনে ৫ দফা দাবি
- ২৯ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ১০ দরহারানো শেয়ার
- বাজারে উত্থান: সেরা ১০ শেয়ারের তালিকা
- সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প
- ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
- এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পিছাল, নতুন তারিখ ঘোষণা
- শীতের সুপারফুড মূলার অজানা উপকারিতা
- রাতে ঘুমানোর আগে শক্তিশালী আমল জেনে নিন
- ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ঈদের ছুটি থাকবে যতদিন
- গাজর খেলেই সুস্থতা, জানুন ৫টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
- একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি
- শেয়ারবাজারে মার্জিন সুবিধা পাচ্ছে কোন কোম্পানিগুলো
- ডায়েট না কি চিকিৎসা: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার গোপন টিপস
- ডিএসই মধ্যাহ্ন বাজারে শীর্ষ ২০ শেয়ারের চিত্র
- শীতে দীর্ঘমেয়াদী কাশি এড়াতে জাদুকরী ৪ টিপস
- হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা
- ডিএসই পরিদর্শন যে পাঁচ কোম্পানির কারখানা বন্ধ
- আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ডক্টর ডুম বনাম এক্স-মেন: ফাঁস হওয়া টিজারে মার্ভেলের সবচেয়ে বড় ধামাকা
- আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ
- মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে
- বছরের শেষ প্রান্তে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা
- হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে মুক্তি কবে? যা জানাল আবহাওয়া অফিস
- গত ৪৮ ঘণ্টার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল যশোর
- এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
- অপরাধী পালানো রুখতে সীমান্তে লাল সতর্কতা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ
- পারমাণবিক শক্তি হবে সীমাহীন: কিম জং উনের নতুন নির্দেশে কাঁপছে বিশ্ব
- কেন আর সিনেমায় দেখা যাবে না বিজয়কে: বিদায়বেলায় বড় রহস্য ফাঁস
- ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে জেনে নিন আজকের আবহাওয়ার হালচাল
- সোমবারের ঢাকা: যেসব কর্মসূচির কারণে অচল হতে পারে রাজপথ
- রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস
- এক নজরে টিভিতে আজকের খেলা: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
- আজ ২৯ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
- একই দলে রোনালদো ও মেসি: অবিশ্বাস্য খবরের আসল রহস্য ফাঁস
- পৃথিবী থেকে সাহায্য ছাড়াই মঙ্গলে থাকা সম্ভব: বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য দাবি
- শীতে ত্বক উজ্জ্বল করার জাদুকরী ৩ উপায়
- চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল
- কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ
- নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী
- প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ
- ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ
- লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার
- শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের হুংকার: অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি
- নির্বাচনের আগে নয়া মেরুকরণ: জামায়াতের জোটের পরিধি বেড়ে হলো ১০
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ








