আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।
এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক—এর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ—যেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছে—রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।
বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, শুধু নিরপেক্ষতা চেয়েছে: ড. আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, বরং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ আচরণ আশা করেছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নিরপেক্ষতা ও প্রধান উপদেষ্টার তদারকি
নিরপেক্ষতা: আইন উপদেষ্টা বলেন, “আমি বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় যেটা বুঝেছি, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি। তারা আমাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে।” তিনি মনে করেন, সব দলই অভিযোগ করছে যে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হলো—তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার তদারকি: অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার নিশ্চয়তা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন। জনপ্রশাসন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় বদলির ব্যাপারটা তিনি নিজে দেখবেন।”
দলীয়করণের অভিযোগ: জনপ্রশাসনে নিয়োগ-বদলি দলীয়ভাবে হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “না, আমরা মনে করি না দলীয়ভাবে হয়।”
নির্বাচন নিয়ে সংশয়
নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা পরিষদ ছোট হবে কি না, এই প্রশ্নে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “এ ধরনের কথা কোথাও আলোচনা হয়নি। এটা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার বিষয়।”
নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে থাকা অনৈক্যকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমার ধারণা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেভাবে অনৈক্য থাকে, তারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে বলে, ওটার কারণে হয়তো (নির্বাচন নিয়ে মানুষের সংশয়)।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “যখন আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব, এ সম্পর্কে সব সংশয় খুব দ্রুত কেটে যাবে।”
কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়, ইউএনওদের প্রতি সিইসি’র কঠোর নির্দেশ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইউএনওদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
সিইসি’র হুঁশিয়ারি ও দায়িত্বের পরিধি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নাসির উদ্দীন ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, “কেন্দ্র দখল করে, বাক্স দখল করে বাড়ি চলে গেছে, আর আপনি গিয়ে হাজির হলেন, সেটা যাতে না হয়।”
তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: তিনি বলেন, কোনো সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের চেষ্টা করতে হবে। ঘটনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হবে না।
কমিশনের অবস্থান: নাসির উদ্দীন জানান, নির্বাচন কমিশনও কারও চাপের কাছে নত হবে না এবং প্রচলিত আইন মেনেই সব নির্দেশনা দেবে। তিনি ইউএনওদের প্রতি ন্যায়, আইনসংগত ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
প্রবাসী ভোট ও আইন সংস্কার
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ইউএনওদের উদ্দেশ্য করে বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধির কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন আসতে পারে, সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে।
প্রবাসী ভোট: তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বরে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার অনলাইন অ্যাপ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য আইসিপিভি (ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট) সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা দেন।
নির্বাচনী আবহ: আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির কাজ এখন থেকেই করতে হবে। নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে হবে—এই আবহাওয়া এখন থেকে সৃষ্টি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, তাহমিদা আহমদ ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন: অ্যাপ চালু নিয়ে ইসি’র বড় ঘোষণা
আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য নির্বাচনী অ্যাপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং অ্যাপটিতে ভোট দিতে চান কি না, সেই সংক্রান্ত ‘হ্যাঁ অথবা না’-এর বিধানও থাকবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সিইসি’র হুঁশিয়ারি ও নিরপেক্ষতার আহ্বান
এই নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসের দৃষ্টান্তমূলক করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চাপ মোকাবিলা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন দায়িত্ব পালনের সময় কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করেন। সিইসি বলেন, বেআইনি কোনো নির্দেশনা কমিশন দেবে না এবং আইন অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: সিইসি বলেন, দেশের এই দূরবস্থা তৈরি হয়েছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকার কারণে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে, ভোট বাক্স দখলের আগেই ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ ও সমালোচনা
পুরস্কারের ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৫ আগস্টের পর ভয় কেটে গেছে। এবারের নির্বাচনে ভালো দায়িত্ব পালন করতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে। তিনি ইউএনওদের উদ্দেশ্যমূলক কাজ না করার সতর্ক করেন এবং জনগণের চাকর হিসেবে নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।
রাতের ভোট নিয়ে সমালোচনা: নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অসন্তোষ রয়েই গেছে। রাতের ভোট কে করেছে? নির্বাচন কমিশন কি গিয়ে ব্যালট মেরেছে?” তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই, কারণ “দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।”
আগের প্রশিক্ষণ ভুলে যেতে আহ্বান: আরেক নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, “আগের ভোটের প্রশিক্ষণ ভুলে গিয়ে এবারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। আগের নির্বাচন সবাই মিলে নষ্ট করেছি।”
ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন
দেশের সড়ককে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, লাইসেন্স নিতে হলে চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিপ্তরে জাতীয় সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক সংস্থা
৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করা হবে। এর মূল কাজ হবে প্রশিক্ষণ এবং তার জন্য যেসব আনুষঙ্গিক কমিটি আছে সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। আর ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে লাইসেন্স নিতে হলে।” প্রশিক্ষণকালীন ভাতাও দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রশিক্ষণের ধরন: দুই ধরনের প্রশিক্ষণ হবে—সড়কের সাইন বোঝা এবং গাড়িকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করা। এর সঙ্গে শারীরিক সামর্থ্য ও ডোপ টেস্ট করা হবে। তিনি আশা করেন, আগামী মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করা সম্ভব হবে।
বিআরটিএ সংস্কার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, তারা বিআরটিএকে নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা থেকে সেবামূলক সংস্থায় রূপান্তর করতে চান। প্রশিক্ষণ বিআরটিসি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা ও অন্যান্য উদ্যোগ
ফিটনেসবিহীন গাড়ি: ফিটনেসবিহীন গাড়িকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
হেলমেট: দেশে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার বাড়ায় মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সরকার সচেতনতা সৃষ্টি করতে আরোহীদের ১০ হাজার হেলমেট দেবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখশ চৌধুরী।
আইন উপদেষ্টা: রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির জবাব দিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই দায়িত্ব পালন করছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সরকার
বিএনপির দাবি: আইন উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি; বরং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ আচরণ আশা করেছে। বর্তমান সরকার সে অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টার নজরদারি: তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনের সব কার্যক্রম এখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
নির্বাচন ও আইনি প্রক্রিয়া
নির্বাচনে সংশয়: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগোলে সেই সংশয় কাটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেনা কর্মকর্তাদের বিচার: অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে সেনাপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রশংসনীয়। তিনি জানান, তাদের সাবজেলে রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সেনা হেফাজতে থাকা এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কারাগারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া
আত্মসমর্পণ: ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “৮ অক্টোবর তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি।”
আবেদন: আইনজীবী জানান, আদালত তাদের ওকালতনামা স্বাক্ষর করার অনুমতি দিয়েছেন। তারা তিনটি আবেদন করেছেন—এর মধ্যে একটি জামিনের আবেদন, প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন এবং তাদের যেন সাব-জেলে রাখা হয়। এই আবেদনগুলোর শুনানি পরবর্তী তারিখে হবে।
প্রশাসনিক সুবিধা: আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক সুবিধার কারণে কর্মকর্তাদের একটি গাড়িতে করে আনা হয়েছে।
সাব-জেল ও পরবর্তী শুনানি
আদালত এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাব-জেল নিয়ে আইনজীবী বলেন, “এ ব্যাপারটি জেল কর্তৃপক্ষ দেখবে। এখন তাদের সেনানিবাসে যে সাব-জেল (উপকারাগার) ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, পলাতক আসামিদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির তারিখ রয়েছে এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার শুনানি ও পরবর্তী তারিখ
গুম সংক্রান্ত এই দুটি মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে এই তিনটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের (ফর্মাল চার্জ) ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের হাজিরার নির্দেশ
আদালত এই ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
সেনাবাহিনীর পূর্বের বক্তব্য
এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানিয়েছিলেন, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিয়েন পিওরিয়ডে (LPR) থাকা একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছিল।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন সেনা সদরে এসেছেন এবং তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এটাই প্রথম।
দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ‘১০টি চুক্তি বা প্রকল্প বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, প্রকৃতপক্ষে শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চুক্তি বাতিলের সত্যতা
এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে দাবি করেছিলেন, হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য: এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “যে তালিকাটি এসেছে, সম্ভবত একজন উপদেষ্টা তা প্রচার করেছেন। হয়তো এটা তিনি না করলেও পারতেন। তবে যে তালিকা সেখানে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। এর অধিকাংশ চুক্তিই বাস্তবে নেই।”
বাতিল হওয়া চুক্তি: তিনি নিশ্চিত করেন, শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, সেটি হলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আসিফ মাহমুদের প্রকাশিত তালিকা
গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাতিল ও বিবেচনাধীন চুক্তি/প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় তিনি ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (মিরসরাই ও মোংলা আইইজেড) মোট ১০টি চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
পাঠকের মতামত:
- ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাইবার হামলা ঠেকাতে মেটার নতুন পাসকি ও সতর্কতা সুবিধা চালু
- জামায়াতের হুঁশিয়ারি: কিছু উপদেষ্টা একটি দলের পক্ষে কাজ করছে
- নাহিদ ইসলামের বিস্ফোরক দাবি: জানালেন কেন নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করা জরুরি
- ফরজ গোসলে দেরি করলে কি গুনাহ হয়? জেনে নিন ইসলামি স্কলারদের মত
- ‘৩আই/অ্যাটলাস’ কি এলিয়েনদের তৈরি? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর অভিযোগে নতুন মোড়
- সারজিসের নতুন বার্তা: নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবিধি নিয়ে কী বললেন?
- সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া সই নয়: জুলাই সনদে এনসিপি’র শর্ত
- কাশির সিরাপ কি শিশুদের জন্য নিরাপদ? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা
- ত্বকের যত্নে ‘বেসিক’ রুটিন: কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই ত্বককে রাখবেন সতেজ ও উজ্জ্বল
- জাপান সাগরে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
- জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল যমুনায়
- বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, শুধু নিরপেক্ষতা চেয়েছে: ড. আসিফ নজরুল
- সরকারে দলীয় লোকজন থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
- তারেক রহমানের নির্দেশে প্রার্থী বাছাই ২০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত
- কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়, ইউএনওদের প্রতি সিইসি’র কঠোর নির্দেশ
- ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ক্লান্তি? ঘুমের গুণমান নষ্ট করছে ৬টি অভ্যাস
- শুষ্ক কাশির সমাধান: এই ৪টি ঘরোয়া উপাদানই যথেষ্ট
- পেটের মেদ কমাবে ৫ পানীয়: সকালে পান করলেই মিলবে চমকপ্রদ ফল
- ২২ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি’র সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ: জুলাই সনদের সমাধান কী আসবে?
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন: অ্যাপ চালু নিয়ে ইসি’র বড় ঘোষণা
- সত্যিকারের অপরাধী ভারতে,আত্মসমর্পণ করা ১৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন
- আইন উপদেষ্টা: রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়
- ফারমিনের হ্যাটট্রিক, রাশফোর্ডের জোড়া—এল ক্লাসিকোর আগে উড়ছে বার্সেলোনা
- নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই ট্রাম্পের মামলা: মার্কিন রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা
- কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে লাঠিপেটা করলেন যুবলীগ নেতা
- “অবৈধ অনুপ্রবেশ”–অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চীনের অভিযোগে কূটনৈতিক টানাপোড়েন
- সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
- শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
- ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ