শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৪:০৭:০৪
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।

সমঝোতা ও কার্যকরের সময়

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ এবং পরবর্তী জুলাই মাস থেকে ১৫ শতাংশ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।

আহ্বান: সিআর আবরার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ইতি টেনে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি, যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার।”

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য: তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সমঝোতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং গুণগত মানসম্মত শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক নতুন সূচনা করবে।

আগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছিল, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষকরা ওই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন এই ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মূল দাবির (২০ শতাংশ) কাছাকাছি পৌঁছেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, উক্ত বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে এবং এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

Holiday Village

প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন: অ্যাপ চালু নিয়ে ইসি’র বড় ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৪:২৯:০৩
প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন: অ্যাপ চালু নিয়ে ইসি’র বড় ঘোষণা
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য নির্বাচনী অ্যাপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং অ্যাপটিতে ভোট দিতে চান কি না, সেই সংক্রান্ত ‘হ্যাঁ অথবা না’-এর বিধানও থাকবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সিইসি’র হুঁশিয়ারি ও নিরপেক্ষতার আহ্বান

এই নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসের দৃষ্টান্তমূলক করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

চাপ মোকাবিলা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন দায়িত্ব পালনের সময় কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করেন। সিইসি বলেন, বেআইনি কোনো নির্দেশনা কমিশন দেবে না এবং আইন অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: সিইসি বলেন, দেশের এই দূরবস্থা তৈরি হয়েছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকার কারণে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে, ভোট বাক্স দখলের আগেই ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ ও সমালোচনা

পুরস্কারের ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৫ আগস্টের পর ভয় কেটে গেছে। এবারের নির্বাচনে ভালো দায়িত্ব পালন করতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে। তিনি ইউএনওদের উদ্দেশ্যমূলক কাজ না করার সতর্ক করেন এবং জনগণের চাকর হিসেবে নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।

রাতের ভোট নিয়ে সমালোচনা: নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অসন্তোষ রয়েই গেছে। রাতের ভোট কে করেছে? নির্বাচন কমিশন কি গিয়ে ব্যালট মেরেছে?” তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই, কারণ “দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।”

আগের প্রশিক্ষণ ভুলে যেতে আহ্বান: আরেক নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, “আগের ভোটের প্রশিক্ষণ ভুলে গিয়ে এবারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। আগের নির্বাচন সবাই মিলে নষ্ট করেছি।”


ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৪:১৫:০১
ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের সড়ককে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, লাইসেন্স নিতে হলে চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিপ্তরে জাতীয় সড়ক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক সংস্থা

৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করা হবে। এর মূল কাজ হবে প্রশিক্ষণ এবং তার জন্য যেসব আনুষঙ্গিক কমিটি আছে সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। আর ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে লাইসেন্স নিতে হলে।” প্রশিক্ষণকালীন ভাতাও দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

প্রশিক্ষণের ধরন: দুই ধরনের প্রশিক্ষণ হবে—সড়কের সাইন বোঝা এবং গাড়িকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করা। এর সঙ্গে শারীরিক সামর্থ্য ও ডোপ টেস্ট করা হবে। তিনি আশা করেন, আগামী মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করা সম্ভব হবে।

বিআরটিএ সংস্কার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, তারা বিআরটিএকে নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা থেকে সেবামূলক সংস্থায় রূপান্তর করতে চান। প্রশিক্ষণ বিআরটিসি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেওয়া হবে।

নিরাপত্তা ও অন্যান্য উদ্যোগ

ফিটনেসবিহীন গাড়ি: ফিটনেসবিহীন গাড়িকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

হেলমেট: দেশে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার বাড়ায় মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সরকার সচেতনতা সৃষ্টি করতে আরোহীদের ১০ হাজার হেলমেট দেবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখশ চৌধুরী।


আইন উপদেষ্টা: রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৪:০৮:০৯
আইন উপদেষ্টা: রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির জবাব দিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই দায়িত্ব পালন করছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সরকার

বিএনপির দাবি: আইন উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি; বরং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নিরপেক্ষ আচরণ আশা করেছে। বর্তমান সরকার সে অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টার নজরদারি: তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনের সব কার্যক্রম এখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

নির্বাচন ও আইনি প্রক্রিয়া

নির্বাচনে সংশয়: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগোলে সেই সংশয় কাটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার: অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে সেনাপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রশংসনীয়। তিনি জানান, তাদের সাবজেলে রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।


সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১১:৩৯:৪৬
সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সেনা হেফাজতে থাকা এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কারাগারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া

আত্মসমর্পণ: ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “৮ অক্টোবর তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি।”

আবেদন: আইনজীবী জানান, আদালত তাদের ওকালতনামা স্বাক্ষর করার অনুমতি দিয়েছেন। তারা তিনটি আবেদন করেছেন—এর মধ্যে একটি জামিনের আবেদন, প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন এবং তাদের যেন সাব-জেলে রাখা হয়। এই আবেদনগুলোর শুনানি পরবর্তী তারিখে হবে।

প্রশাসনিক সুবিধা: আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক সুবিধার কারণে কর্মকর্তাদের একটি গাড়িতে করে আনা হয়েছে।

সাব-জেল ও পরবর্তী শুনানি

আদালত এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাব-জেল নিয়ে আইনজীবী বলেন, “এ ব্যাপারটি জেল কর্তৃপক্ষ দেখবে। এখন তাদের সেনানিবাসে যে সাব-জেল (উপকারাগার) ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, পলাতক আসামিদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির তারিখ রয়েছে এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।


শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১১:৩৪:২৬
শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার শুনানি ও পরবর্তী তারিখ

গুম সংক্রান্ত এই দুটি মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে এই তিনটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের (ফর্মাল চার্জ) ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।


১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১১:২৮:৩৩
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের হাজিরার নির্দেশ

আদালত এই ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।

সেনাবাহিনীর পূর্বের বক্তব্য

এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানিয়েছিলেন, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিয়েন পিওরিয়ডে (LPR) থাকা একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছিল।

মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন সেনা সদরে এসেছেন এবং তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এটাই প্রথম।


দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৯:১১:২৮
দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
ছবিঃ সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ‘১০টি চুক্তি বা প্রকল্প বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, প্রকৃতপক্ষে শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

চুক্তি বাতিলের সত্যতা

এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে দাবি করেছিলেন, হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য: এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “যে তালিকাটি এসেছে, সম্ভবত একজন উপদেষ্টা তা প্রচার করেছেন। হয়তো এটা তিনি না করলেও পারতেন। তবে যে তালিকা সেখানে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। এর অধিকাংশ চুক্তিই বাস্তবে নেই।”

বাতিল হওয়া চুক্তি: তিনি নিশ্চিত করেন, শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, সেটি হলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আসিফ মাহমুদের প্রকাশিত তালিকা

গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাতিল ও বিবেচনাধীন চুক্তি/প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় তিনি ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (মিরসরাই ও মোংলা আইইজেড) মোট ১০টি চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।


১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৬:১২:৪১
১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
ছবিঃ সংগৃহীত

গ্রামীণ মাটির রাস্তা সংস্কারসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫৩ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অনুমোদিত প্রধান প্রকল্পগুলো

একনেকে অনুমোদিত ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:

খাদ্য ও কৃষি: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেংদেনিং থ্রো অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প।

নগর উন্নয়ন: খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১-৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ, এবং উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প।

স্বাস্থ্য: পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প।

যোগাযোগ ও রেলওয়ে: কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন প্রকল্প।

অন্যান্য: ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ, এবং বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণ।


আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে? 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৪:২৭:৩২
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে? 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।

এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকএর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনাবৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।

একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।

সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদযেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছেরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।

মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।

বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।

পাঠকের মতামত: