রাকসুতে নতুন নেতৃত্ব:নবনির্বাচিত জিএস ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের প্রতি উৎসর্গ করলেন বিজয়

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৪:০৮:৪৪
রাকসুতে নতুন নেতৃত্ব:নবনির্বাচিত জিএস ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের প্রতি উৎসর্গ করলেন বিজয়
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের উন্নয়নে পরাজিত প্রার্থীদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান।

ঐক্য ও বিজয়ের বার্তা

নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “যারা বিজয়ী হয়েছেন, তারা নিজ ধর্ম অনুযায়ী উদযাপন করুন। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক। আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসকে গড়ে তুলব।”

নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন:

“আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো শত্রু নেই; সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ব।”

তিনি নিজের বিজয় উৎসর্গ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী’ আন্দোলনে থাকা সকলকে, ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের পাশাপাশি নিজের বাবা-মাতাকেও।

নির্বাচনের ফল

সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদে জয় লাভ করেছে।

ভিপি: নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

জিএস: নির্বাচিত হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার।

অন্যান্য: বাকি তিনটি পদের মধ্যে ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রদলের নার্গিস খাতুন, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।


 লন্ডন বা দিল্লি বসে আর কোন রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:৪৪:৩০
 লন্ডন বা দিল্লি বসে আর কোন রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম
ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বা ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন এই দেশে এসে রাজনীতি করতে হবে। লন্ডন দিল্লি বা পিন্ডিতে বসে আর কোনো রাজনীতি চলবে না। তিনি মন্তব্য করেন আমরা তরুণরা গত ১৬ বছরে ভোট দিতে পারিনি তাই আজকে তরুণদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার ৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ মিনি স্টেডিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক কায়েম বলেন বাংলাদেশে ইনসাফকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তবে এদেশের মাটি ও মানুষের ভাষাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে এবং এই দেশে এসে রাজনীতি করতে হবে। তিনি বিগত সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন গত ১৬ বছর যে ফ্যাসিবাদী কায়েম ছিল সেই ফ্যাসিবাদী কাঠামোর মাধ্যমে আমাদের সব ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা অর্থ ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণের জন্য ইনসাফের প্রতিনিধিদের বাছাই করতে হবে।

ভারত বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে ডাকসু ভিপি বলেন বিশেষ করে এ অঞ্চলে গত ৫৪ বছরে ভারত যেভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন করেছে তার প্রতিবাদ আমাদের ইনসাফের প্রতিনিধিরা করেছে। সেজন্য আমাদের ইনসাফের প্রতিনিধিদের ব্যাপকভাবে বিজয়ী করে আনতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন তরুণরা যে দিকে যাবে বাংলাদেশও সেদিকে যাবে।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেন আমরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের কোনো নেতৃত্ব চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতিমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করেছি এবং আগামী দিনেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করা হবে ইনশাআল্লাহ। তারুণ্য উৎসব ও নির্বাচনী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বেলাল উদ্দিন প্রধান সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন এবং ঠাকুরগাঁও ২ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।


সাইবার মামলা তুলে সাদিক কায়েমকে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম ছাত্রদলের

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৬:০৩:০৫
সাইবার মামলা তুলে সাদিক কায়েমকে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বা ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম কর্তৃক অনলাইনে অপপ্রচার ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। এর আগে গতকাল সোমবার ১ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় অনলাইনে অপপ্রচার ও নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ডাকসু কণ্ঠস্বর বঙ্গোগ্রাফ আমার ডাকসু কাঁঠেরকেল্লা ও রৌমারিসহ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও আইডির বিরুদ্ধে মামলা করেন ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম।

বিবৃতিতে ছাত্রদল বলেছে ডাকসুর ভিপি পদধারী কোনো ছাত্রনেতা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা দায়ের করা ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা। তারা মন্তব্য করে যে সাদিক কায়েম ডাকসুর ভিপি পদকে কলঙ্কিত করেছেন এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ফ্রিডম অব অনলাইন এক্সপ্রেশনের অধিকারকে অবজ্ঞা করেছেন।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয় সাদিক কায়েম সাইবার মামলা করে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। ছাত্রদলের দাবি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থেকে বাকস্বাধীনতা হরণের আওয়ামী বাকশালী কৌশল রপ্ত করেছেন সাদিক কায়েম। তাঁর এই মামলা সন্ত্রাস থেকে মিম পেজ ও ট্রল পেজও রেহাই পায়নি। ছাত্রদল নেতারা সাদিক কায়েমের এই কর্মকাণ্ডকে ছাত্রশিবিরের অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিহিত করেছেন।

নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী আমলের সাইবার আইন বিলুপ্ত করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথ উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে সাইবার আইনে মানহানি সংক্রান্ত কোনো মামলা দায়ের করার সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার করে সাদিক কায়েম শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। বিবৃতিতে দাবি করা হয় সাদিক কায়েম যে বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তা সাইবার সুরক্ষা আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হয় না। আইনি প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই তাঁর উদ্দেশ্য বলে মনে করছে ছাত্রদল।


ভূমিকম্পের পর ঢাবিতে অনলাইন ক্লাস চালু আজ

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ৩০ ০৯:১৭:৫৮
ভূমিকম্পের পর ঢাবিতে অনলাইন ক্লাস চালু আজ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পর্যায়ের শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আজ রবিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও আফটারশকের পর ক্যাম্পাসের একাধিক ভবনে ক্ষতির চিহ্ন দেখা যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপাতত অনলাইন শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট ডিনদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিজ নিজ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অনলাইন শিক্ষাক্রম অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে দ্রুত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো সংস্কারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পরিদর্শন টিম গঠন করা হয়েছে। দলটি প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ঝুঁকির মাত্রা, কাঠামোগত অবস্থা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সুপারিশ দেবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে শীতকালীন ছুটির তারিখ ও সময়সীমা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানানো হবে।

ভূমিকম্পের পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তাই স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

-শরিফুল


রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ২০:৫১:০৮
রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণে বক্তব্য দেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম মন্তব্য করেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন 'ফ্যাসিবাদের ভাষায়' কথা বলছে এবং তাদের 'দোসররা' এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আপনারা খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের মতো ভুল করবেন না।"

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত এক নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সাদিক কায়েম আরও বলেন, "আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ভুলে যাচ্ছি, ছাত্র সংগঠনগুলোতে দেখা দিচ্ছে দাম্ভিকতা।" তিনি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং 'জুলাইয়ের স্পিরিট' ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জারি রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, "বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে খুনি হাসিনা, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তাদের দোসররা দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছিল।" তিনি অভিযোগ করেন, "গণরুম-গেস্টরুম কালচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হতো। সে সময়ে ক্যাম্পাসে ইসলাম চর্চা করা যেত না; কেউ নামাজ পড়লে বা আল্লাহ-রাসুলের কথা বললে তাকে বিভিন্নভাবে ট্যাগিং করা হতো।"

ডাকসু ভিপি আরও উল্লেখ করেন, "জুলাই বিপ্লব ও অসংখ্য ভাই-বোনের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমাদের প্রকৃত মুক্তি আসেনি।"

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "অতীতে হলে উঠতে শিক্ষার্থীদের ৮-১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। কোটি কোটি টাকার সিটবাণিজ্য চলত।" তিনি জানান, "এখন আমরা মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন চালু করেছি, ফলে সিটবাণিজ্য বন্ধ হয়েছে।"

উপ-উপাচার্য আরও বলেন, "তুচ্ছ কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন দিতে হয়েছে অতীতে। পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ উত্তোলন করে সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মানুষ খুন করা হয়েছিল। আগস্ট বিপ্লবের পরে এসব সংস্কৃতি বদলেছে।" তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহেই প্রক্টোরিয়াল বডি গাঁজাসহ ১০ জনকে আটক করেছে, কারণ এই ক্যাম্পাস একসময় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। তিনি নতুন শিক্ষার্থীদের এসব থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করেন এবং রাকসুতে জয়ীদের শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি, রাকসুর ভিপি ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, "১৯৮২ সালের ১১ মার্চ রাবি শাখা নবীনবরণ আয়োজন করতে চেয়েছিল।" তিনি সেই সময়ের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, "কিন্তু অনেকেই জানেন সেদিন কী হয়েছিল— সে ঘটনায় আমাদের চার ভাই সাব্বির, হামিদ, আইয়ুব ও জব্বার শহীদ হন। তারা ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সারা দেশের প্রথম শহীদ হিসেবে বিবেচিত।" তিনি জানান, তখন থেকে প্রতি বছর ১১ মার্চ 'শহীদ দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আরও বলেন, "আজ সেই দিন পাল্টে গেছে। যে নবীনবরণে অংশ নিতে গিয়ে আমাদের ভাইদের জীবন দিতে হয়েছিল— আজ আমরা সেই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে পেরেছি।" তিনি দাবি করেন, "১৯৮২ সালের পর এটাই প্রথম ক্যাম্পাসের ভেতরে এত বৃহৎ নবীনবরণ। এর আগে ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন করলেও আমাদের বোনদের রাখার সুযোগ হতো না; এবার তা সম্ভব হয়েছে— আলহামদুলিল্লাহ।"

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাকসু ভিপির পাশাপাশি চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনিও উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শাখা শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উপহার সামগ্রী প্রদান, ক্যারিয়ার গাইডলাইন এবং দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।


ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২৩:১০:১৩
ঢাবি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের রাত: দুই বিস্ফোরণ ঘিরে নানা গুঞ্জন

বুধবার রাত প্রায় ১০টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকায় পরপর দুটি ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থল ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডিউটি অফিসার ও টহল টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পর কয়েকজনকে দ্রুত সরে যেতে দেখা গেছে, তবে তাদের পরিচয় বা সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। একই রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ছিটেফোঁটা খবরও আসে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিকভাবে যাচাই করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, নিকটবর্তী সুবিশাল উন্মুক্ত এলাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিক থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হতে পারে। ঘটনাপরবর্তী সময় টিএসসি চত্বর ও আশপাশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে তাৎক্ষণিক মিছিল করেন এবং সন্দেহভাজনদের ধরার চেষ্টা চালান, যদিও কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, স্প্লিন্টার ও অবশিষ্টাংশ জব্দ এবং ফরেনসিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে বিস্ফোরকের ধরন, তৈরির কৌশল ও সম্ভাব্য রুট শনাক্ত করা যায়।

নভেম্বর জুড়ে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে ককটেল ও ক্রুড বোমা উদ্ধার, নিষ্ক্রিয়করণ বা বিস্ফোরণের বিচ্ছিন্ন শিরোনাম আগে থেকেই নজরে আসছিল। ঘটনাগুলোর ভৌগোলিক ছড়িয়ে পড়া ও সময়ের কাছাকাছি সংঘটন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ালেও, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, প্রতিটি ঘটনার আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই টিএসসি এলাকার বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দ্রুত কেস-লিংক বিশ্লেষণ, রাসায়নিক ট্রেস ও ডিটোনেশন স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে কোনো সমন্বিত নেটওয়ার্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা যায়।

ঘটনার পরামর্শ ও নিরাপত্তা নির্দেশনা: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ভিড় বা মিছিলের মধ্যে সন্দেহজনক ব্যাগ, প্যাকেট বা ফেলে রাখা বস্তু থেকে দূরে থাকা, তৎক্ষণাৎ ৯৯৯ বা নিকটস্থ থানায় জানানো, এবং ক্যাম্পাসের নির্ধারিত নিরাপত্তা পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াতের অনুরোধ জানানো হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, গ্রন্থাগার সংলগ্ন এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে রাতের শিফটে অতিরিক্ত টহল, ভিডিও নজরদারি ও স্ট্যাটিক পোস্ট বসানোর কথাও বিবেচনায় আছে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক চিত্রে যা বোঝা যায়: বিস্ফোরণের সময় নির্বাচনপূর্ব রাজনীতি, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি এবং জনসমাগমের ঘনত্ব—সব মিলিয়ে টিএসসি এলাকায় প্রতীকী তৎপরতা দেখাতে কোনো গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে সময় ও স্থান বেছে নিতে পারে। তবে উদ্দেশ্য রাজনৈতিক বার্তা, আতঙ্ক ছড়ানো, নাকি নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে—এসব বিষয়ে এখনই নিশ্চিত বক্তব্য দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে নেই। পুলিশ ও ফরেনসিক টিমের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলে পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার হবে।


আওয়ামী লীগের লকডাউন ঠেকাতে মাঠে ডাকসু ভিপি কায়েমের পাল্টা কর্মসূচি

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:০১:৩৬
আওয়ামী লীগের লকডাউন ঠেকাতে মাঠে ডাকসু ভিপি কায়েমের পাল্টা কর্মসূচি

বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত 'লকডাউন' কর্মসূচি ঠেকাতে নিজেদের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বা ডাকসু সহ-সভাপতি বা ভিপি আবু সাদিক কায়েম।

বুধবার ১২ নভেম্বর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।

ডাকসুর পাল্টা কর্মসূচি

ডাকসু ভিপি জানান, নিষিদ্ধ ও বিতাড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মূল এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির মূলোৎপাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল ১৩ নভেম্বর মাঠে থাকবে ডাকসু।

তিনি কর্মসূচির বিস্তারিত জানিয়েছেন

রাত আটটায় ডাকসু ভবনের সামনে গণজমায়েত এবং রাত নয়টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হবে।

আজ রাতে এবং আগামীকাল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করা হবে।

আবু সাদিক কায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে "দেশবিরোধী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দলবেঁধে নেমে আসার" আহ্বান জানিয়েছেন।

ক্যাম্পাসের ভবনে তালা ঝুলানোর ঘটনা

এর আগে মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তালা লাগানোর ঘটনাগুলো ঘটেছে চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট এবং বিজ্ঞান ভবনে। এই ঘটনার পরই ডাকসু ভিপি পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।


বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন ৭ নভেম্বরের চেতনায় ৫ আগস্ট অর্জিত: রিজভী

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২০:৩৫:১৪
বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন ৭ নভেম্বরের চেতনায় ৫ আগস্ট অর্জিত: রিজভী
রাবি টিএসসিসি ভবনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : কালবেলা

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন একটি রাজনৈতিক দল। তিনি মন্তব্য করেছেন, গণতন্ত্র আর বিএনপি অবিভাজ্য একটি বিষয় এবং ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন অর্জিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বা রাবি টিএসসিসি ভবনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত '৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এর ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র ও অবিভাজ্য সংকল্প

রিজভী বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র আর জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অবিভাজ্য একটি সংকল্প। তিনি উল্লেখ করেন

"গণতন্ত্রের প্রশ্নে এরশাদের সঙ্গে যেমন কোনো আপস করেনি, তেমনি রক্তচোষা হাসিনার সঙ্গেও কোনো আপস করেনি খালেদা জিয়া।"

তিনি বলেন, সেই প্রেরণা নিয়ে বিএনপি কাজ করছে এবং ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

৭ নভেম্বর ও জিয়াউর রহমানের ভূমিকা

রুহুল কবির রিজভী ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরেই বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে।

" তিনি দাবি করেন স্বাধীনতার একজন তূর্যবাদক লাগে, যিনি নির্ভয়ে সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতার যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ৭১ সালে নির্দ্বিধায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া বলেছিলেন 'আমি জিয়া বলছি, আমি স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।' ঠিক একইভাবে ৭ নভেম্বরও একই ব্যক্তি আবারও রেডিওতে ভেসে উঠলো 'আমি মেজর জিয়া বলছি' বলে। ৭ নভেম্বরের অবদানের মূল নায়ক জিয়াউর রহমান।"

ফ্যাসিবাদী শাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

রিজভী সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারকে একনায়কতন্ত্রের চেয়েও খারাপ অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী শাসন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের ছোবলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন, সংবাদপত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আক্রান্ত হয়েছিল, যার প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পড়েছিল।

তিনি বলেন, "সেসময় ক্যাম্পাসে কোনো সহাবস্থান ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেনি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্লাসরুম, লাইব্রেরিতে নির্বিঘ্নে যেতে পারেনি।"

তিনি বর্তমানে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সহাবস্থান তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন, যা ফ্যাসিবাদ আমলে ছিল না।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য

আলোচনা সভায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, জুলাই আগস্টে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে তাঁদের ১৪২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে অনিয়ম ও ষড়যন্ত্রের কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি।

তিনি মনে করেন, "হয়তো চারটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি এ পরাজয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।"

রাবি ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ যখন শহীদ জিয়াউর রহমানকে বন্দি করেছিলেন, তখন ঐক্যবদ্ধ সিপাহী জনতা ৭ নভেম্বর তাঁকে মুক্ত করে এনেছিলেন। তিনি বলেন, এই দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রকাশ করে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলিম, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, জিয়া পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী।


ঢাবির এক আবাসিক হলে ধূমপান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১০ ১১:১০:৩৮
ঢাবির এক আবাসিক হলে ধূমপান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হল প্রশাসন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি আবাসিক হলকে ‘ধূমপানমুক্ত প্রাঙ্গণ’ হিসেবে ঘোষণা করা হলো। রবিবার (৯ নভেম্বর) হল প্রশাসনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রের মাধ্যমে হল প্রাঙ্গণে ধূমপান ও মাদক নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই হল প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলকে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জানানো হয়, এখন থেকে হল প্রাঙ্গণে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে হলের প্রধান প্রবেশদ্বারে ‘ধূমপান নিষিদ্ধ’ লেখা সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ধূমপানরত অবস্থায় ধরা পড়লে ৩০০ টাকা জরিমানা এবং মাদকসহ ধরা পড়লে অভিভাবক ডেকে হল থেকে বহিষ্কারের বিধান করা হয়। এই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর থেকে হলে ধূমপান ও মাদক সেবনের প্রবণতা কমে এসেছে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন।

তারও আগে, গত ২৭ জুন ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলে শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা গেলে ২০০ টাকা জরিমানা এবং কোনো প্রকার মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিভাবকের উপস্থিতিতে হল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ)।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সুস্থ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য আবাসিক হলেও ধূমপান ও মাদকবিরোধী নীতিমালা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।


এদের সরাতে লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই: ডাকসু সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা

ক্যাম্পাস ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৪:০৯:৪৪
এদের সরাতে লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই: ডাকসু সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা তার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে, পাগল এবং মাদকাসক্ত মুক্ত দেখতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হওয়ার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়, বরং একটি নিরাপদ পরিবেশ গঠনেই কাজ করছেন।

নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার প্রচেষ্টা

সর্ব মিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি প্রতিদিন রাতে মেট্রো স্টেশন এলাকা থেকে দুজন ভবঘুরে বৃদ্ধকে সরানোর চেষ্টা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এদের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত এবং একবার তার কাছ থেকে গাঁজা পাওয়াও গিয়েছিল।

তিনি জানান, "এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই, লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়ই না।" নিজের প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, "আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নাই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু।" তিনি বলেন, "আজ আমাদের নারী শিক্ষার্থী দু'জন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন। আমার চাওয়া, এই ভবঘুরে-পাগল-হ্যারাসারমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া।"

বিতর্ক এড়াতে মাঠের কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা

ডাকসু নেতা সর্ব মিত্র চাকমা এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনের ওপর প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "কিন্তু, এরকম প্রতিনিয়ত বিতর্ক আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে।"

তিনি আরও বলেন, এভাবে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না, তবে তার এখতিয়ারের বাইরেও নয়। লাঠি হাতে নিতে বাধ্য হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, কিছুদিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তুলতে গিয়েছিলেন এবং সেবারও পোস্ট করে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, "এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না, যারা মাঠে কাজ করে তারাই জানে এটা কতটুকু কঠিন।"

অবশেষে তিনি ঘোষণা দেন, "একজন সদস্য হিসেবে আমি নিশ্চয় নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমার তরফ থেকে কাজ করবো, কিন্তু মাঠে আমি আর থাকছি না। ধন্যবাদ।"

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত