গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের ঘোষিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে। গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (প্রায় ২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে এই ত্রাণবাহী নৌবহর। এতে অংশগ্রহণকারী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ আন্তর্জাতিক সক্রিয়রা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলের হুমকির কারণে যেকোনো মুহূর্তে নৌবহর বাধার মুখে পড়তে পারে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নৌবহরের সব জাহাজে অংশগ্রহণকারীরা অবস্থান করছেন এবং যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। জাহাজগুলোতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি সরঞ্জামসহ মানবিক সহায়তা বহন করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইন ও ইসরায়েলি অবস্থান
নৌবহরের একটি জাহাজে থাকা ক্রোয়েশিয়ার আইনজীবী মোরানা মিলজানোভিচ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলসীমা বা অন্য দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজ আটকানোর কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই।
তিনি বলেন, “ইসরায়েল কেবল তখনই আটকাতে পারে, যদি কোনো অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রমাণিত হুমকি থাকে। এখানে এমন কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের চারপাশের নৌবহর মানবিক সহায়তা বহন করছে। তাই এটি নিছক মানবিক উদ্যোগ। অংশগ্রহণকারীদের ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও তা প্রাসঙ্গিক নয়।”
নৌবহরটি গাজার উপকূলে পৌঁছানোর মাধ্যমে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কাড়ার পাশাপাশি এই উদ্যোগ ইসরায়েলি নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
সূত্র : আল জাজিরা
ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?
গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০-দফার একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবকে 'ঐতিহাসিক' উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, আপাত শান্তির এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু অস্পষ্টতা এবং চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যা ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।
হোয়াইট হাউসে ঘোষিত এই পরিকল্পনার মূল কাঠামো চমকপ্রদ:
প্রথম ধাপ: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে মুক্তি পাবে ফিলিস্তিনি বন্দিরা।
শাসনের ভার: গাজার শাসনের ভার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে না দিয়ে একটি অস্থায়ী টেকনোক্র্যাট কমিটি গঠন করা হবে। এই প্রশাসনিক কমিটির তদারকির জন্য ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গঠিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’। তবে কমিটি কীভাবে গঠিত হবে এবং তাদের দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া কী হবে, তা স্পষ্ট নয়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্বীকৃতি: নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবেন না, যা ফিলিস্তিনিদের মূল দাবির পরিপন্থী।
মূল চ্যালেঞ্জ ও শর্ত
এই শান্তি প্রস্তাবে বহু 'কিন্তু' রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো দখলদারিত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয়।
কর্তৃত্বের মানদণ্ড: মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজার দায়িত্ব দেওয়া হবে না—যতক্ষণ না তারা 'সংস্কার' এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করছে। কিন্তু এই মানদণ্ড কে নির্ধারণ করবে বা এর সময়সীমা কী—তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
নিরাপত্তা বাহিনী: নিরাপত্তার জন্য ‘অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ (আইএসএফ) নিযুক্ত হবে গাজায়। কিন্তু এই বাহিনীতে কারা থাকবে, তাদের ক্ষমতা কতটা হবে, কিংবা তারা ইসরায়েলি সেনা হিসেবে কাজ করবে নাকি পর্যবেক্ষক হিসেবে— সে বিষয়েও কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।
সেনা প্রত্যাহার: গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও প্রস্তাবে নেই; বরং তা নির্ভর করছে ‘নিরস্ত্রীকরণের মান’ পূরণের ওপর।
এই পরিস্থিতিতে, শান্তি প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেবে কি না—তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। তবে সৌদি আরব, কাতার, মিসরসহ বেশ কয়েকটি দেশের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো আশার সঞ্চার করেছে।
পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, অভিযোগ ভারতের দিকে
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত এবং প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) সদর দপ্তরের কাছে এই হামলা হয়। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের ভবন কেঁপে ওঠে।
বিস্ফোরণের তীব্রতা ও অভিযান
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, কোয়েটার মডেল টাউন থেকে হালি রোডে প্রবেশের সময় বিস্ফোরকবোঝাই একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই ছিল যে, নিকটবর্তী গাড়ি, দোকানপাট ও ভবনের জানালা মুহূর্তেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং অভিযান চালিয়ে চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।
বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত মুহাম্মদ কাকার জানিয়েছেন, নিহত ও আহতদের কোয়েটার সিভিল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পরপরই প্রদেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি একটি সুস্পষ্ট সন্ত্রাসী হামলা। পাকিস্তানি জাতির মনোবল দুর্বল করতে এ ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা কখনো সফল হবে না।”
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিও এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই হামলার পেছনে রয়েছে। ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ ও ভারতের স্বার্থে কাজ করা উগ্রপন্থিরা পাকিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।”
বর্তমানে পুরো কোয়েটা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
গাজা শান্তি পরিকল্পনা: ট্রাম্পের ২১-দফা প্রস্তাবে ভারত ও ইসরায়েল
গাজা-ইসরায়েলের সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের পর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি বলেন:
“গাজা সংঘাতের অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এবং বৃহত্তর পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের একটি কার্যকর পথ প্রদান করবে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগকে সমর্থন করবেন।”
এই শান্তি পরিকল্পনার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিচে তুলে ধরা হলো:
যুদ্ধবিরতি ও প্রত্যাহার: উভয়পক্ষ সম্মত হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। জিম্মি মুক্তির প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করবে এবং বিমান ও কামান হামলাসহ সকল সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে।
জিম্মি ও বন্দি মুক্তি: ইসরায়েল এই চুক্তি প্রকাশ্যে গ্রহণ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস জীবিত ও মৃত সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে দেবে। জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীকে এবং ৭ অক্টোবর ২০২৩-এর পর আটক ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে। মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন নিহত গাজার নাগরিকের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেবে।
হামাসের দায়মুক্তি: শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অস্ত্র ত্যাগে সম্মত হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। গাজা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক হামাস সদস্যদের গ্রহণকারী দেশগুলোতে নিরাপদে যাওয়ার পথ দেওয়া হবে। হামাস গাজার প্রশাসনে কোনো ভূমিকা রাখবে না।
পুনর্গঠন: গাজা একটি উগ্রপন্থী, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল হবে এবং তা পুনর্গঠিত করা হবে। টানেল এবং অস্ত্র উৎপাদন সুবিধাসহ সমস্ত সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে এবং পুনর্নির্মাণ করা হবে না।
শাসনব্যবস্থা: গাজা একটি টেকনোক্র্যাটিক, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটির অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হবে, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তীকালীন সংস্থা ‘শান্তির বোর্ড’। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এর নেতৃত্বে থাকবেন।
হামাসের প্রতি হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা
হোয়াইট হাউস শান্তি পরিকল্পনায় আরও বলেছে, যদি হামাস এই প্রস্তাব বিলম্বিত করে বা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে উপরোক্ত কাজগুলি আন্তর্জাতিক সহায়তা অভিযানসহ এগিয়ে যাবে। গাজার পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, আরব এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করবে।
সূত্র/জি নিউজ
গাজায় শান্তির নকশা না নতুন জটিলতা? ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর ২০ দফা পরিকল্পনা
হোয়াইট হাউস গাজা যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েল ও হামাস যদি পরিকল্পনায় সম্মত হয় তবে যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হবে। গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মি (জীবিত ও নিহতদের মরদেহ) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিতে হবে এবং বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। গাজার প্রশাসন হামাসের হাতে থাকবে না, বরং অস্থায়ীভাবে একটি টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে যাবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে পরিকল্পনায় সম্মতি জানালেও হামাসের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ‘‘শান্তির ঐতিহাসিক দিন’’ আখ্যা দিয়েছেন।
পরিকল্পনার ২০ দফা
১. যুদ্ধবিরতি: উভয় পক্ষ সম্মত হলে যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হবে। ইসরায়েলি বাহিনী নির্দিষ্ট লাইনে সরে যাবে এবং সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে।
২. ৭২ ঘণ্টার শর্ত: ইসরায়েল প্রকাশ্যে সম্মতি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জীবিত জিম্মি ও মরদেহ ফেরত দিতে হবে।
৩. বন্দি বিনিময়: সব জিম্মি ফেরত এলে ইসরায়েল ২৫০ জন যাবজ্জীবন বন্দি ও ১,৭০০ জন গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও থাকবে। প্রতিটি ইসরায়েলি মরদেহের বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
৪. হামাস সদস্যদের শর্ত: যারা অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেবে তাদের ক্ষমা করা হবে। কেউ গাজা ছেড়ে যেতে চাইলে নিরাপদ পথ দেওয়া হবে।
৫. মানবিক সাহায্য: পরিকল্পনা গৃহীত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ সহায়তা প্রবাহ শুরু হবে। পানি, বিদ্যুৎ, স্যুয়ারেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা সংস্কারে সহায়তা আসবে।
৬. জাতিসংঘ তত্ত্বাবধান: সহায়তা প্রবাহ জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে হবে। রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে।
৭. অস্থায়ী প্রশাসন: গাজা একটি টেকনোক্র্যাট কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যেখানে ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি থাকবেন।
৮. বোর্ড অব পিস: এই কমিটির ওপর নজরদারি করবে ‘‘বোর্ড অব পিস’’ নামে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও থাকবেন।
৯. তহবিল ও কাঠামো: গাজা পুনর্গঠনের জন্য তহবিল পরিচালনা করবে ‘‘বোর্ড অব পিস’’। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার সম্পন্ন করার পর দায়িত্ব নেবে।
১০. অর্থনৈতিক পরিকল্পনা: গাজা পুনর্গঠনে মধ্যপ্রাচ্যের সফল নগর পরিকল্পনাকারী বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হবেন। কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করা হবে।
১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: গাজায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হবে, যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেওয়া হবে।
১২. বাসিন্দাদের স্বাধীনতা: কাউকে গাজা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। চাইলে থাকতে পারবে, আবার চাইলে বের হয়ে পুনরায় ফিরতেও পারবে।
১৩. হামাসের নিষেধাজ্ঞা: হামাস বা অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর কোনোভাবেই গাজা শাসনে ভূমিকা থাকবে না।
১৪. সশস্ত্র অবকাঠামো ধ্বংস: সব টানেল, অস্ত্র কারখানা ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে এবং পুনর্নির্মাণ করা যাবে না।
১৫. নিরস্ত্রীকরণ: গাজা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে নিরস্ত্রীকরণ হবে। অস্ত্র ধ্বংস ও কিনে নেওয়ার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হবে।
১৬. শান্তিপূর্ণ অর্থনীতি: ‘‘নিউ গাজা’’ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। আঞ্চলিক অংশীদাররা গ্যারান্টি দেবে।
১৭. আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী (ISF): যুক্তরাষ্ট্র, আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন হবে। তারা ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে।
১৮. সীমান্ত সুরক্ষা: ISF, ইসরায়েল ও মিশর একসাথে সীমান্ত সুরক্ষা ও অস্ত্র প্রবাহ বন্ধে কাজ করবে। দ্রুত পণ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
১৯. ইসরায়েলের প্রত্যাহার: ইসরায়েল গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না। নির্দিষ্ট শর্ত ও সময়সীমা অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করবে। নিরাপত্তা বেষ্টনী কেবল অস্থায়ী থাকবে।
২০. ধর্মীয় সহাবস্থান ও রাষ্ট্রগঠন: সহাবস্থান ও সহনশীলতার ভিত্তিতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার সম্পন্ন করলে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্রগঠনের পথ খুলবে। যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিগন্ত তৈরি করবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে প্রশাসন থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়ায় বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে।
৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর শান্তি পরিকল্পনা নতুন আলোচনার দ্বার খুলেছে। তবে চূড়ান্ত শান্তি নির্ভর করছে হামাসের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপর।
ফাঁস হলো ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা: চুক্তি হলে হামাস নেতাদের নিরাপদ প্রস্থান!
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আতিথ্য দেবেন। আলোচনায় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনার ওপর জোর দেবেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে নেতানিয়াহু গতকাল রোববার বলেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের প্রস্তাবটি পাঠানো হয়নি।
ফাঁস হওয়া চুক্তির বিবরণ
মার্কিন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পরিকল্পনার ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, চুক্তি নিশ্চিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাতে আটক সকল বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বন্দিদের ফেরত পাঠানোর পর ইসরায়েল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শত শত ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
ফাঁস হওয়া তথ্যে আরও ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে:
হামাসের দায়মুক্তি: শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হামাস সদস্যদের ‘দায়মুক্তি এবং গাজা থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসার সুযোগ’ দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
সেনা প্রত্যাহার: দখলদার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ধীরে ধীরে গাজা ত্যাগ করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার: গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে।
নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনাটি আংশিকভাবে নিশ্চিত করে বলেন, “যদি হামাস নেতারা যুদ্ধ শেষ করে এবং সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে আমরা তাদের ছেড়ে দেব। আমি মনে করি, এই সবকিছুই পরিকল্পনার অংশ।”
মানবিক পরিস্থিতি ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
এই পরিকল্পনাটি নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অবস্থানের একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করার পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করছে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কঠোরতা আনছে যুক্তরাজ্য, থাকতে হবে কঠোর শর্ত
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাস বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির নিয়মে কঠোরতা আনার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এখন থেকে আবেদনকারীদের অবশ্যই সমাজ ও অর্থনীতিতে তাদের অবদান প্রমাণ করতে হবে। সোমবার লেবার পার্টির সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ এই প্রস্তাব তুলে ধরবেন।
নতুন নিয়মে কী কী থাকছে?
বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী পাঁচ বছর ব্রিটেনে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বা ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর)-এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নতুন নিয়মে নিম্নলিখিত শর্তগুলো যুক্ত হতে পারে:
অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবদান: আবেদনকারীকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখার প্রমাণ দিতে হবে।
সততা ও স্বচ্ছতা: কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত না থাকা এবং সরকারি সুবিধা দাবি না করার শর্ত যুক্ত হবে।
ভাষা ও দক্ষতা: আবেদনকারীদের উচ্চমানের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ: স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের রেকর্ড দেখাতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রাজনৈতিক চাপ
বিশ্লেষকরা বলছেন, কট্টর অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের জনপ্রিয়তা মোকাবিলায় লেবার পার্টি এই উদ্যোগ নিয়েছে। রিফর্ম ইউকের নেতা নাইজেল ফারাজ সম্প্রতি প্রস্তাব করেছিলেন, স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাতিল করে পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য কাজের ভিসা চালু করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার রিফর্ম ইউকের গণ-নির্বাসন নীতিকে ‘বর্ণবাদী’ এবং দেশকে বিভক্তকারী বলে মন্তব্য করেছেন।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো ছেড়ে দিয়েছি: গাজাবাসীি
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের দুর্ভোগ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় গাজাবাসী আবু মোহাম্মদ সামুর প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কে অনুমতি দিল? কেমন মৃত্যু, কেমন অন্যায্য এই দুনিয়া? আমরা আর বিশ্বের কাছে আবেদন করি না। আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি।”
আবু আম্মার খুদিয়ার নামে আরেক ব্যক্তি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় শিশু, বৃদ্ধ ও নারী—সবাই লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।
নিরাপদ এলাকাতেও হামলা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে, তার অর্ধেকই হয়েছে ইসরায়েল ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল বা ‘বাফার জোনে’। গত শনিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েল গাজা সিটি থেকে মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে এসব জায়গাগুলোকে ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তবে সেই এলাকাগুলোকেই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।
ইসরায়েলি হামলা তীব্র হওয়ার কারণে গাজা সিটির অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত হামলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের দুর্ভোগ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি হামলায় গাজাবাসী আবু মোহাম্মদ সামুর প্রশ্ন তুলেছেন, “এটা কে অনুমতি দিল? কেমন মৃত্যু, কেমন অন্যায্য এই দুনিয়া? আমরা আর বিশ্বের কাছে আবেদন করি না। আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি।”
আবু আম্মার খুদিয়ার নামে আরেক ব্যক্তি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় শিশু, বৃদ্ধ ও নারী—সবাই লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।
নিরাপদ এলাকাতেও হামলা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে, তার অর্ধেকই হয়েছে ইসরায়েল ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল বা ‘বাফার জোনে’। গত শনিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন কমপক্ষে ৪৫ জন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরায়েল গাজা সিটি থেকে মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে এসব জায়গাগুলোকে ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’ হিসেবে প্রচার করলেও বাস্তবে সেই এলাকাগুলোকেই তারা হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।
ইসরায়েলি হামলা তীব্র হওয়ার কারণে গাজা সিটির অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত হামলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
সূত্র : আলজাজিরা
নেতানিয়াহুর টার্গেট এবার ইরাক
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ভাষণের শুরুতেই ইরান ও আঞ্চলিক প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে তিনি ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি হামলার হুমকি দেন এবং প্রকাশ্যে তাদের লক্ষ্যবস্তু করার ঘোষণা করেন।
এই হুমকিকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বাগদাদ। ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন সতর্ক করে বলেছেন, “ইরাকের যে কোনো নাগরিকের ওপর হামলা গোটা জাতির ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
ইসরায়েলের সুদূরপ্রসারী ও ‘ডেভিড করিডোর’ পরিকল্পনা
বিশ্লেষক মোহাম্মদ বাঘের হেইদারি জানান, নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য নতুন নয়। ইসরায়েলের ইরাক সংক্রান্ত নীতির দুটি দিক রয়েছে—আঞ্চলিক এবং অভ্যন্তরীণ।
আঞ্চলিক লক্ষ্য: ইসরায়েল গোটা অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তার করতে ‘গ্রেটার মিডল ইস্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কথিত ‘ডেভিড করিডোর’ গঠনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই করিডোর সিরিয়ার একটি বড় অংশ থেকে শুরু করে ইরাকের এরবিল ও সুলাইমানিয়া হয়ে পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
সামরিক ফ্রন্ট: হেইদারি ব্যাখ্যা করেন, ইসরায়েল আগেই ঘোষণা করেছিল যে তারা সাতটি ফ্রন্টে সামরিকভাবে সক্রিয় হবে। এর মধ্যে গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানসহ ছয়টিতে ইতোমধ্যেই অভিযান চালিয়েছে। একমাত্র বাকি ছিল ইরাক, যেটিতে ঢোকার ঘোষণা তারা আগেই দিয়েছিল।
ইরাকের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এই হুমকি ইরাকের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার কৌশল হিসেবেও আসতে পারে। কারণ, সমন্বয় ফ্রেমওয়ার্ক জোট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা ইসরায়েলের জন্য অস্বস্তিকর। যদি নির্বাচন ব্যাহত হয়, বর্তমান সরকার সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তর্বর্তী সরকারে পরিণত হবে, যা দেশে নতুন অস্থিতিশীলতার জন্ম দেবে।
এক বছর আগে ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির একটি সমঝোতা হয়েছিল। গাজায় ইসরায়েলি হামলার সময় এই গোষ্ঠীগুলো ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স অব ইরাক’ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। বিশ্লেষকদের মতে, এই হুমকিতে ইরাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, এমন সম্ভাবনা কম।
মার্কিন মাটিতে সহিংসতার মহামারী: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ভয়াবহতা আবারও নতুন করে শোকস্তব্ধ করে দিল দেশটিকে। রবিবার মিশিগানের গ্র্যান্ড ব্লাঙ্কে মরমনদের একটি গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্র্যান্ড ব্লাঙ্ক পুলিশের প্রধান উইলিয়াম রেনিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হামলাকারী প্রথমে নিজের ট্রাক দিয়ে গির্জার দেয়ালে ধাক্কা মারে, এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালায় এবং পরে ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার মাত্র আট মিনিটের মধ্যে গির্জার পার্কিং লটে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়।
এ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন রেনিয়ে। হামলার সময় শত শত মানুষ গির্জায় উপস্থিত ছিলেন, ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে—তার নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০)। তিনি স্থানীয়ভাবে বড় হয়েছেন এবং সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। হামলার পরপরই এফবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেয় এবং এটিকে “পরিকল্পিত টার্গেটেড সহিংসতা” হিসেবে বর্ণনা করে।
হামলার পর তোলা ছবিতে দেখা গেছে, যীশুখ্রিষ্টের পরবর্তী যুগের সাধুগণদের গির্জাটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ট্রাকটির পেছনে দুইটি মার্কিন পতাকা লাগানো ছিল, যা দিয়ে গির্জায় আঘাত করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে তদন্তকারীরা।
এই গির্জার নেতা আগের রাতেই ১০১ বছর বয়সে মারা যান। গির্জা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে “দুর্ভাগ্যজনক সহিংসতা” বলে উল্লেখ করে লিখেছে, “উপাসনালয় শান্তি, প্রার্থনা ও সংযোগের স্থান। আমরা শান্তি ও আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছি।”
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে “ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর আরেকটি টার্গেটেড হামলা।” তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “আমাদের দেশে এই সহিংসতার মহামারী এখনই বন্ধ করতে হবে!”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ধারাবাহিক বন্দুক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে উটাহতে ডানপন্থী কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যার পাশাপাশি টেক্সাসে অভিবাসন দপ্তরে ভয়াবহ গুলি চালানো হয়। গত মাসে মিনেসোটা রাজ্যে একটি ক্যাথলিক গির্জা ও স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত হয়। এই ধারাবাহিক সহিংসতা মার্কিন সমাজে বিভাজন আরও ঘনীভূত করছে এবং রাজনৈতিক বিতর্ককে তীব্র করছে।
-আলমগীর হোসেন
পাঠকের মতামত:
- গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল
- ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?
- ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি: সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু
- জিন চিকিৎসা’র নামে প্রতারণা: জয়পুরহাটে রমরমা ব্যবসা
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- দিনে তিনি কানাডায় সাধারণ মালি, রাতে আফ্রিকার এক গোত্রের রাজা!
- দুই দল পেল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন, অংশ নিতে পারবে আগামী নির্বাচনে
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রপ্ত করুন এই একটি অভ্যাস
- ফাইনালে খেলতে না পারাটা ছিল ভীষণ কষ্টের: চোট নিয়ে লিখলেন লিটন দাস
- বিদেশ থেকে চলছে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র: শফিকুল আলম
- ক্রিকেট বিশ্বে সৌদির আলোড়ন: আইএল টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কৌশলগত জোট
- ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন: রাশেদ খান
- মুখের যে জায়গার ব্রণ ভুলেও ফাটাবেন না
- বর্ষায় কাপড় শুকানোর ৫টি জরুরি কৌশল, দূর হবে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ
- পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ
- পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, অভিযোগ ভারতের দিকে
- গাজা শান্তি পরিকল্পনা: ট্রাম্পের ২১-দফা প্রস্তাবে ভারত ও ইসরায়েল
- আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য
- যে কোনো সময় সচল হতে পারে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস
- ভূতের সঙ্গে যোগাযোগ: ভিক্টোরিয়ান যুগে ব্যবহৃত ৪টি রহস্যময় সরঞ্জাম
- বিস্কুটের টিন দিয়ে তৈরি টিভি, প্রথম যে মানুষটিকে দেখা গিয়েছিল পর্দায়
- রক্তনালী পরিষ্কার করবে যে ৫ খাবার
- ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরার ইঙ্গিত দিল মঙ্গলবারের লেনদেন
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডায়েট বা জিম নয়, এই ৭ অভ্যাসেই কমবে পেটের চর্বি
- ১৮ মাস লাগছে কেন? সমালোচনার জবাবে ড. ইউনূসের ব্যাখ্যা
- বাংলাদেশকে কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না: রিজভী
- ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত: অর্থ উপদেষ্টার
- এডিবি’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস
- গাজায় শান্তির নকশা না নতুন জটিলতা? ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর ২০ দফা পরিকল্পনা
- রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিসের আগামী ৪ দিনের পূর্বাভাস
- রহস্যময় চিকুনগুনিয়া: হঠাৎ জ্বর-ব্যথায় কাঁপছে দেশ
- ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য
- যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ঘিরে ইসলামী ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও ওএসডি
- ২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকেছে: ব্যারিস্টার খোকন
- এশিয়া কাপ শেষে গৌতম গম্ভীর: বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে স্পষ্ট মতামত
- ঘুম ভাঙলেই অসহ্য মাথা ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে যুদ্ধে নিহত বাংলাদেশি তরুণ, জানতেন না পরিবারও
- সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন নুরের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
- জুলাই আন্দোলন দমনে পুলিশ সারাদেশে ৩ লাখের বেশি গুলি ছুড়েছিল
- ফাঁস হলো ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা: চুক্তি হলে হামাস নেতাদের নিরাপদ প্রস্থান!
- ভারত শুধু বড় দাদা না হয়ে বন্ধু হোক: মির্জা ফখরুল
- চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প, ফিল্ড সার্ভে শুরু
- ‘দুর্নীতিবাজ’ হারুনের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন
- আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, রাজনীতিতে জড়াইনি
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর ২১ চিকিৎসকের মনোনয়ন স্থগিত
- রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য এডিবি’র ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
- খুঁজে খুঁজে জামায়াত-শিবির মতাদর্শের কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বসানো হয়েছে: রিজভী
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাগরের ভূরাজনীতিতে নতুন অক্ষ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- প্রিমিয়ার গ্রুপের প্রতিবাদ: ২৮৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ভিত্তিহীন