রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রপ্ত করুন এই একটি অভ্যাস

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৯:০৯:১৭
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রপ্ত করুন এই একটি অভ্যাস
ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সবসময় জটিল পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না, কখনও কখনও আমাদের খাদ্যাভ্যাসে একটি সাধারণ পরিবর্তনই যথেষ্ট। যেমন, সাধারণ লবণের বদলে তার বিকল্প ব্যবহার করা। কিন্তু নতুন গবেষণা দেখাচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে সোডিয়ামের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়লেও, লবণের বিকল্প এখনও আমেরিকানদের মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে কম ব্যবহৃত হচ্ছে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর হাইপারটেনশন সায়েন্টিফিক সেশনস ২০২৫-এ উপস্থাপিত একটি বৃহৎ-মাত্রার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মাত্র ৫ শতাংশেরও কম আমেরিকান তাদের দৈনন্দিন জীবনে লবণের বিকল্প ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন। গবেষকদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে এই সামান্য পরিবর্তন রক্তচাপ কমানোর জন্য একটি দারুণ উপায় হতে পারে, কিন্তু এটিকে অবহেলা করা হচ্ছে।

লবণের বিকল্প ব্যবহারে অনীহা

এই গবেষণার জন্য ২০০৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভে (NHANES)-তে অংশগ্রহণকারী ৩৭,০৮০ প্রাপ্তবয়স্কের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, লবণের বিকল্প ব্যবহারের হার ২০১৩-২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৫.৪ শতাংশ ছিল, কিন্তু ২০২০ সালের শুরুতে তা কমে মাত্র ২.৫ শতাংশে নেমে আসে।

গবেষকরা বিশেষভাবে উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করেছেন, যারা নিরাপদে লবণের বিকল্প ব্যবহার করতে পারবেন (যেমন সুস্থ কিডনিযুক্ত ব্যক্তি এবং যাদের পটাশিয়ামের মাত্রায় হস্তক্ষেপ করে এমন ওষুধ সেবন করতে হয় না)।

স্বাস্থ্য ও সুবিধার দিক

লবণের বিকল্প হলো সোডিয়ামের ব্যবহার কমানোর এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়ানোর একটি সহজ পদ্ধতি। এই দুটি খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন রক্তচাপ কমার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত। বেশিরভাগ ব্যক্তির জন্য, এই পরিবর্তনটি স্বাদ বা সুবিধার সঙ্গে আপস না করেই করা সম্ভব, বিশেষ করে যখন বাড়িতে খাবার তৈরি করা হয়।

তবে এই বিকল্প হৃদরোগের জন্য উপকারী হলেও, এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কিডনি রোগ বা পটাশিয়ামের মাত্রা প্রভাবিত করে এমন ওষুধ ব্যবহার করেন এমন ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত পটাশিয়াম গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


মুখের যে জায়গার ব্রণ ভুলেও ফাটাবেন না

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৭:৩২:২১
মুখের যে জায়গার ব্রণ ভুলেও ফাটাবেন না
ছবি: সংগৃহীত

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মুখমণ্ডলে ব্রণ তৈরি হয়, এবং অনেকেই সেই অবাঞ্ছিত ব্রণ ফাটিয়ে ফেলার অভ্যাসে ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, মুখমণ্ডলের একটি বিশেষ স্থানের ব্রণ ফাটানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা পক্ষাঘাতের কারণ হতে পারে।

কেন এটি বিপজ্জনক?

মুখের ব্রণ ফাটানোর অভ্যাস থেকে নানা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যদি দুই ভ্রুর মাঝে কোনো ব্রণ তৈরি হয়, তা না ফাটানোই শ্রেয়।

গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুর মিলনস্থল: ভ্রুর সংযোগস্থলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুগুলি মিলিত হয়েছে। এই স্নায়ুগুলি সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত।

সংক্রমণের ঝুঁকি: ত্বকে কোনো সংক্রমণ থেকে ব্রণ তৈরি হয়। এখানকার কোনো ব্রণ ফাটালে সেই সংক্রমণ খুব দ্রুত মস্তিষ্কে চাপ তৈরি করতে পারে।

ভয়াবহ পরিণতি: এর ফলে দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত (প্যারালাইজড) হয়ে পড়তে পারে এবং ঘন ঘন খিঁচুনি হতে পারে। একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকেরই মস্তিষ্কের একটি অংশ চিরকালের জন্য পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছে।

কী করা উচিত

দুই ভ্রুর মাঝে ফুসকুড়ি তৈরি হলে তা না ফাটিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। যদি ব্রণের সংখ্যা বা আকার বড় হয়, তবে দেরি না করে চর্মরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা আবশ্যক।


রক্তনালী পরিষ্কার করবে যে ৫ খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৫:৩০:১৩
রক্তনালী পরিষ্কার করবে যে ৫ খাবার
ছবি: সংগৃহীত

রক্তনালী সুস্থ থাকা মানে শুধু হার্ট ভালো থাকা নয়, পুরো শরীরের স্বাস্থ্যই ঠিক থাকা। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং স্ট্রেসের কারণে ধমনীতে ধীরে ধীরে প্ল্যাক বা চর্বি জমতে শুরু করে, যা কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ নানা গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে নিয়মিত কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ধমনী পরিষ্কার রাখা এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা সম্ভব।

চলুন জেনে নিই ৫টি খাবার যা নিয়মিত গ্রহণ করলে ধমনী পরিষ্কার ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা সম্ভব:

১. ওটস: ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওটস খেলে মোট কোলেস্টেরল ৫% এবং LDL কোলেস্টেরল ৭% পর্যন্ত কমতে পারে। বেটা-গ্লুকান ধমনীতে প্ল্যাক জমা কমাতেও সাহায্য করে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য হোল রোলড বা স্টিল-কাট ওটস ব্যবহার করা উত্তম।

২. মরিঙ্গা (সজনা): মরিঙ্গা ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ যৌগে সমৃদ্ধ। এতে থাকা কেরসেটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়, রক্তনালীর নমনীয়তা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মরিঙ্গা ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়িয়ে সামগ্রিক কোলেস্টেরল ব্যালান্সে রাখে।

৩. আখরোট: আখরোট আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট খেলে LDL কমে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং প্রদাহ কমে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষভাবে সহায়ক। ক্যালরি বেশি থাকায় পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচা বা ভিজিয়ে খাওয়া উত্তম।

৪. মেথি (ফেনুগ্রিক): মেথি বীজে থাকা যৌগ কোলেস্টেরল কমাতে সক্ষম এবং নিয়মিত গ্রহণে লিপিড প্রোফাইল উন্নত থাকে। মেথি বীজ রাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে সকালে খেতে পারেন বা পাতা সবজি ও ডালে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. কারি পাতা: এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরল অক্সিডেশন কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এতে থাকা ক্যাম্পফেরল প্রদাহ কমায় এবং LDL কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তনালী পরিষ্কার রাখা হৃদযন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। এই পাঁচটি খাবার নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।


রহস্যময় চিকুনগুনিয়া: হঠাৎ জ্বর-ব্যথায় কাঁপছে দেশ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ০৮:৩২:১৩
রহস্যময় চিকুনগুনিয়া: হঠাৎ জ্বর-ব্যথায় কাঁপছে দেশ

বর্ষা মৌসুম এলেই আবারও ফিরে এসেছে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক। ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া জ্বরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ উচ্চ জ্বর, অস্থিসন্ধিতে অসহ্য ব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি—এই উপসর্গগুলো অনেককে কৌতূহল ও বিভ্রান্তিতে ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এটি সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী জয়েন্টের ব্যথা ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

চিকুনগুনিয়া এক ধরনের ভাইরাসজনিত জ্বর, যা এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস নামের মশার কামড়ে ছড়ায়। 1952 সালে পূর্ব আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভাইরাস বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে এর প্রকোপ দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কামড়ের ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে আকস্মিক উচ্চ জ্বর (প্রায় ১০০–১০৪°F), তীব্র অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়ি। হাত, হাঁটু, কবজি বা গোড়ালিতে ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে রোগী স্বাভাবিক চলাফেরা করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে বমি, ডায়রিয়া এবং চোখ লাল হওয়ার মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

যদিও সাধারণত প্রাণঘাতী নয়, তবে বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা মানুষের জন্য এটি বড় ঝুঁকি তৈরি করে। গবেষণা বলছে, প্রায় ১৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়, যা মাস বা বছরজুড়ে ভোগায়। বিরল ক্ষেত্রে লিভারের প্রদাহ, স্নায়বিক সমস্যা বা রক্তক্ষরণের ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে।

রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীর ইতিহাস ও উপসর্গ প্রধান ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ELISA পরীক্ষায় অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা যায় এবং RT-PCR পরীক্ষায় ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। চিকিৎসা নির্দিষ্ট নয়, বরং লক্ষণভিত্তিক। জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে অ্যাসপিরিন বা স্টেরয়েড এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রচুর তরল পান করা সুস্থতার জন্য জরুরি। গুরুতর জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিরোধই চিকুনগুনিয়ার প্রধান সমাধান। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, বাড়ির আশপাশে পানি জমতে না দেওয়া, লম্বা হাতার জামা ও প্যান্ট পরা, মশারি ব্যবহার, DEET সমৃদ্ধ রিপেলেন্ট ব্যবহার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখাই এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি, তবে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে।

চিকুনগুনিয়া প্রাণঘাতী না হলেও এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও কষ্ট মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকুনগুনিয়া মোকাবিলার একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, মশার প্রজনন বন্ধ করা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করলেই এই রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

-ডাঃ সালেহ উদ্দিন।


ঘুম ভাঙলেই অসহ্য মাথা ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ২১:২৩:৪৮
ঘুম ভাঙলেই অসহ্য মাথা ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুম থেকে ওঠার পরই তীব্র মাথা ব্যথা শুরু হয়। কখনো কখনো এটি এতটাই কষ্টকর হয় যে মনে হয় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে। ঘুমের সময় কোনো সমস্যা না হলেও, ঘুম ভাঙার পর মাথা ভার হয়ে থাকে অথবা সারাদিন ধরে যন্ত্রণা করে। এমন সমস্যার শিকার হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এর আগে প্রাথমিকভাবে জেনে নিন, ঘুম ভাঙার পর মাথা ব্যথার পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে।

মাথা ব্যথার ৫টি প্রধান কারণ

১. মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হওয়ার অন্যতম প্রধান উপসর্গ হলো সকালে মাথা যন্ত্রণা। অনেক সময় মাইগ্রেন হলে দৃষ্টিশক্তিও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সকালে মাথা যন্ত্রণা বিশেষত মাইগ্রেনের কারণেই হয়ে থাকে।

২. ওভার মেডিকেশন: যাদের প্রায়শই মাথা যন্ত্রণার সমস্যা হয়, তারা অতিরিক্ত ওষুধ খাচ্ছেন কি না, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত ওষুধের ফলেও অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা হতে পারে।

৩. স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়া, বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া এবং নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. ব্রেন টিউমার: ব্রেন টিউমারের অন্যতম উপসর্গ হলো মাথা যন্ত্রণা। প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৫ জনের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। এ সময় কথা জড়িয়ে যাওয়া, বমি, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. হ্যাঙ্গওভার: ঘুমাতে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথা যন্ত্রণা হতেই পারে। এটি হ্যাঙ্গওভারের একটি সাধারণ লক্ষণ। ঘুম ভাঙলে লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি বা স্যালাইন পান করলে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।

সূত্র : নিউজ ১৮


নীরবে বাড়ে চোখের ক্যানসার, যে লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিতে হবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৭:২৯:৪৩
নীরবে বাড়ে চোখের ক্যানসার, যে লক্ষণগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

চোখের চারপাশের কোষগুলো যখন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে এবং একটি টিউমার তৈরি করে, তখনই চোখের ক্যানসার হয়। এই ধরনের উপদ্রব দ্রুত শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো শনাক্ত হলে চোখের ক্যানসারের চিকিৎসা কার্যকর হয় এবং দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সম্ভব।

চোখের ক্যানসার অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। কিন্তু নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করালে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই সমস্যা শনাক্ত করা যায়, ফলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয় এবং সুস্থতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

চোখের ক্যানসারের সাধারণ লক্ষণ

চোখের ক্যানসার বিভিন্ন উপসর্গে ধরা দিতে পারে। হঠাৎ ঝাপসা দেখা, পাশের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, বিকৃত দেখা বা একেবারে দৃষ্টিশক্তি হারানো এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া, অনেক সময় চোখের সামনে ‘ফ্লোটার’ বা আলো ঝলকানির মতো অনুভূতি হতে পারে।

অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

চোখের রঙ বা পিউপিলের আকারে পরিবর্তন।

চোখ ফুলে যাওয়া, লালভাব বা দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি।

চোখ বা পলকের নিচে গাঁট বা গুটি দেখা যাওয়া।

চোখ নাড়াতে সমস্যা হওয়া।

কারা বেশি ঝুঁকিতে?

চোখের ক্যানসার যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। আবার ৫ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে ‘রেটিনোব্লাস্টোমা’ নামে এক ধরনের চোখের ক্যানসার দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে:

যাদের ত্বক হালকা এবং চোখ নীল বা সবুজ, তাদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বংশগতভাবে কিছু জিনগত সমস্যা (যেমন BAP1 টিউমার সিনড্রোম) থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।

সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির অতিরিক্ত সংস্পর্শও চোখের মেলানোমা জাতীয় ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়াতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, চোখের ক্যানসার প্রতিরোধ একটি জটিল বিষয়। তবে ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া চোখ ও দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে সাহায্য করে।

সূত্র : ডেইলি মেইল ও দ্য ওয়াল


এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:৪৯:৪২
এই ৩টি উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন: লিভার ড্যামেজের নীরব সংকেত
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা এবং হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার (যকৃৎ)। লিভারের সমস্যাগুলো প্রায়শই নীরবে শুরু হয়। তবে সময়মতো সংকেতগুলো চিনতে পারলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব। লিভার ড্যামেজ বা কোনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এমন তিনটি প্রধান উপসর্গ নিচে তুলে ধরা হলো, যা দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

১. পেটে ফোলাভাব ও তরল জমা (Ascites)

পেট ফোলা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, যদি তা লিভারের সমস্যা থেকে হয়, তবে তা গুরুতর হতে পারে।

পেটে তরল জমা: লিভার ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে রক্তনালীগুলোতে চাপ বাড়ে, যার ফলে রক্তরস পেটের ভেতরে জমা হতে শুরু করে। একে বলা হয় অ্যাসাইটিস।

আকার বৃদ্ধি ও অস্বস্তি: এর কারণে পেটের আকার অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায় এবং চাপ দিলে তরল অনুভব হতে পারে। এর সঙ্গে পেটে ভারী লাগা এবং ব্যথাও থাকতে পারে।

কারণ: অ্যাসাইটিস সাধারণত সিরোসিস বা লিভারের কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার একটি গুরুতর লক্ষণ।

২. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দীর্ঘস্থায়ী অবসাদ (Chronic Fatigue)

লিভারের সমস্যা হলে শরীর সবসময় অতিরিক্ত ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে, যা পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুমের পরেও কাটে না।

টক্সিন জমা: লিভার যখন রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ সরাতে পারে না, তখন এই টক্সিনগুলি রক্তপ্রবাহে জমা হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।

শক্তি হ্রাস: হজম ও বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায় শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করতে পারে না। ফলে সারাক্ষণ তীব্র অবসাদ ও আলস্য দেখা যায়।

হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি: গুরুতর ক্ষেত্রে, টক্সিন জমা হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের কাজে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, যা হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি নামে পরিচিত। এর ফলে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া, এমনকি আচরণগত পরিবর্তনও হতে পারে।

৩. জন্ডিস বা ত্বকের হলুদাভ রঙ (Jaundice)

লিভারের সমস্যার সবচেয়ে পরিচিত ও দৃশ্যমান লক্ষণ হলো জন্ডিস। এর কারণ হলো লিভার যখন রক্ত থেকে বিলিরুবিন (পিত্তের একটি বর্জ্য পদার্থ) সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন করতে পারে না, তখন এটি শরীরে জমা হতে শুরু করে। এর ফলে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদাভ হয়ে যায়।


নীরব ঘাতক প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৯:১৩:০৮
নীরব ঘাতক প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
ছবি: সংগৃহীত

পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়া ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হলো প্রোস্টেট ক্যান্সার। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য এটি এক বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। সমস্যা হলো, এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় নীরব থাকে। অনেক সময় কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না, ফলে বেশিরভাগ পুরুষই বুঝতে পারেন না যে ভেতরে ভেতরে একটি বড় বিপদ বাড়ছে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা এবং সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি।

প্রোস্টেট গ্রন্থি মূত্রথলির নিচে অবস্থিত এবং এটি মূত্রনালিকে ঘিরে রাখে। টিউমার সাধারণত গ্রন্থির বাইরের দিকে তৈরি হয়, তাই শুরুর দিকে প্রস্রাবের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। ফলে কোনো অস্বাভাবিকতা টের পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় যখন লক্ষণ চোখে পড়ে, তখন ক্যান্সার অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্যই নিয়মিত পিএসএ রক্ত পরীক্ষা বা ডিজিটাল রেক্টাল এক্সাম (ডিআরই) গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি কোনো সমস্যা না থাকে।

যে লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে

অনেক পুরুষই প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রথম দিকের লক্ষণগুলোকে বয়সজনিত সমস্যা বা প্রোস্টেট বড় হওয়ার স্বাভাবিক প্রভাব ভেবে এড়িয়ে যান। অথচ এগুলোকে অবহেলা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন: প্রস্রাব শুরু বা থামাতে সমস্যা, প্রবাহ দুর্বল হওয়া বা থেমে থেমে আসা, বারবার প্রস্রাবের চাপ, হঠাৎ নিয়ন্ত্রণহীন প্রস্রাবের তাগিদ।

ব্যথা বা জ্বালা: প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় অস্বস্তি শুধু সংক্রমণের কারণ নয়, প্রোস্টেট ক্যান্সারেরও ইঙ্গিত হতে পারে।

প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত: প্রস্রাব বা বীর্যে সামান্য রক্তও অবহেলা করা যাবে না, দ্রুত পরীক্ষা প্রয়োজন।

যৌন সমস্যা: হঠাৎ করে ইরেকশন ধরে রাখতে না পারা বা যৌন জীবনে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।

অকারণ ব্যথা: কোমর, শ্রোণি বা উরুতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।

ঝুঁকিতে কারা?

যে কেউ প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে কিছু বিষয় ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বয়স: সাধারণত ৫০-এর পর ঝুঁকি বাড়ে।

পারিবারিক ইতিহাস: বাবা বা ভাইয়ের এই রোগ থাকলে ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত ওজন: স্থূলতা ঝুঁকি বাড়ানোর অন্যতম কারণ।

এই উপসর্গগুলো সবসময় ক্যান্সারের কারণে নাও হতে পারে। প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া (বিপিএইচ) বা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। তাই নিজে নিজে অনুমান না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।

কেন প্রাথমিক অবস্থায় ধরা জরুরি?

প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত ধীরে বাড়ে। তবে শুরুতেই ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয়, ঝুঁকি কমে এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। দেরি হলে চিকিৎসা জটিল হয়ে যায় এবং সুস্থ হতে সময়ও বেশি লাগে।

তাই ৫০ বছরের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের আরও আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন, যৌন সমস্যা বা অকারণ ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি।

সূত্র:https://tinyurl.com/at99rr53


ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১১:২৫:৪৯
ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এটি সঠিকভাবে কাজ না করলে বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না এবং বর্জ্য পদার্থ জমা হতে শুরু করে। এর ফলে কিছু সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা দেয়, যা সময়মতো চিহ্নিত করা জরুরি।

কিডনি সমস্যার প্রধান লক্ষণসমূহ

১. ফোলাভাব: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। এর ফলে পা, গোড়ালি, হাত বা চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ফুলে থাকলে, সেটি উপেক্ষা করবেন না।

২. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে ক্লান্তি আসে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির (রক্তাল্পতা) কারণেও দুর্বলতা বাড়ে।

৩. ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি বমি ভাব: কিডনির সমস্যায় শরীরে টক্সিন জমা হয়। ফলে ক্ষুধা মরে যায়, মুখে ধাতব স্বাদ আসে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।

৪. ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে যাওয়া: কিডনি খনিজের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারলে ফসফরাস বেড়ে যায়। এতে ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কভাব দেখা দেয়।

৫. শ্বাসকষ্ট: কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে জমে থাকা পানি ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট বা বুক ভারী লাগার সমস্যা হতে পারে।

কিডনি সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।

রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে কিডনিকে সুস্থ রাখা সম্ভব এবং সম্ভাব্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে।


মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৯:৫৩:২৬
মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি
ছবি: সংগৃহীত

আপনি কি শৌচালয়ে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রল করেন? গবেষণা বলছে, এই অভ্যাসটি পাইলস বা অর্শের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা প্রাতঃকৃত্য বা অন্যান্য কাজের জন্য দীর্ঘসময় কমোডে বসে থাকেন, তাঁদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা।

পাইলস কী ও কেন হয়?

পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারের চারপাশের শিরা ফুলে যাওয়া, যা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে হয়ে থাকে। শিরা ফুলে গেলে মলত্যাগের সময় প্রবল চাপ এবং তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে মলের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় কমোডে বসে মোবাইল ব্যবহার করলে পায়ুদ্বারের শিরার ওপর চাপ আরও বাড়ে। সামনের দিকে ঝুঁকে বসার ভঙ্গি এই চাপকে তীব্র করে তোলে এবং অর্শের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

অর্শের অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফাইবারহীন খাদ্যাভ্যাস, স্থূলত্ব এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার কারণে শরীরে অতিরিক্ত চাপ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

১. সময় সীমিত করুন: কমোডে অকারণে দীর্ঘ সময় বসবেন না; প্রাতঃকৃত্যের জন্য ৫ মিনিট বরাদ্দ করুন।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: খাদ্যে রাখুন সলিউবল ফাইবারযুক্ত খাবার, সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।

৩. শারীরিক সক্রিয়তা: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি, যাতে মলদ্বারের শিরাগুলোর ওপর চাপ কমানো যায়।

গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন না আনা হলে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শারীরিক ও খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।

সূত্র: এই সময়।

পাঠকের মতামত: