জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:২৭:৫১
জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?
ছবি: সংগৃহীত

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে—এই প্রবাদটি বহু পুরোনো। তবে আধুনিক যুগে সংসার সুখের হয় স্বামী-স্ত্রী দুজনের প্রচেষ্টায়। যদিও পরিবারের গুরুদায়িত্বের অনেকটাই এখনো স্ত্রীর ওপর থাকে। তাই স্ত্রীকে সম্মান জানাতে এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আজ একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্ত্রী প্রশংসা দিবস।

কীভাবে এলো এই দিবস?

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। এরপর থেকে এটি অনেক দেশেই পালিত হয়ে আসছে। এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীদের সম্মান জানানো, তাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। বিয়ের বয়স যত পুরোনোই হোক না কেন, সম্পর্ক সতেজ রাখতে স্ত্রীর প্রশংসা করা সব সময় জরুরি।

স্ত্রীর প্রশংসা করবেন যেভাবে

দিবসটি উদযাপনের জন্য এখানে কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হলো:

উপহার দিন: স্ত্রীকে উপহার হিসেবে একটি ফুলের তোড়া দিতে পারেন। প্রতিদিন তিনি যে কাজের কথা মনে করিয়ে দেন, তা নিজে থেকে করে তাকে অবাক করে দিন।

একসঙ্গে ঘুরতে যান: সুযোগ পেলে স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে পারেন বা ঘুরতে যেতে পারেন। এতে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হবে।

কাজে সাহায্য করুন: ঘরের কাজে স্ত্রীকে সহযোগিতা করুন। এতে তিনি অনুভব করবেন যে তার কাজ সহজ নয়, যা তাকে খুশি করবে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনের দক্ষ হাতেই সংসার চলে। তবে আজকের দিনটি বিশেষ করে স্বামীদের জন্য। এ দিনে স্ত্রীর প্রশংসা করলে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বাড়ে, এবং সম্পর্ক আরও ভালো থাকে।


ব্রণ, বলিরেখা ও সানবার্ন থেকে মুক্তি; ত্বকের যত্নে আইস কিউব ব্যবহারের ১০ সহজ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২০:৩৪:৫৪
ব্রণ, বলিরেখা ও সানবার্ন থেকে মুক্তি; ত্বকের যত্নে আইস কিউব ব্যবহারের ১০ সহজ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের আগমনের এই সময়ে রূপচর্চায় শীতলতা যোগ করতে পারে বরফ। বরফের মাধ্যমে ত্বকের লাবণ্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব এবং এটি রূপচর্চার একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ সংকুচিত করা, মেকআপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখা এবং অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা সমাধানে বরফ অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

বিভিন্ন ফলের রস অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বরফের কিউব বা আইস কিউব তৈরি করে রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিটি সহজ এবং সময়ও বাঁচায়। কিশোরী বয়স থেকে যেকোনো ত্বকের অধিকারী ব্যক্তি বরফের মাধ্যমে রূপচর্চা করতে পারবেন। তবে সাইনাস বা মাইগ্রেনের কারণে যারা মাথা ব্যথায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার না করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাইরে রোদ থেকে ঘরে ফিরেও বরফ ব্যবহার করা যাবে।

ত্বকের যত্নে বরফের ১০টি উপকারিতা

১. ব্রণের ফোলাভাব হ্রাস

বরফ ব্রণের ফোলাভাব কমাতে দারুণ সহায়ক। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে ব্রণের ওপর হালকা করে চেপে ধরলে ব্রণ সংকুচিত হয়।

২. ত্বকের দীপ্তি বৃদ্ধি

বরফ ঘষলে ত্বকে দ্রুত দীপ্তি ফিরে আসে। পরিষ্কার করার পর ত্বকে এক টুকরা বরফ ঘষে নিলে স্নিগ্ধতা আসে। বরফ ঘষার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ফলে ত্বক সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকে।

৩. বলিরেখা দূরীকরণ

নিয়মিত বরফ ব্যবহার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা দূর করতে বেশ উপকারী।

৪. ভ্রু প্লাকের ব্যথা হ্রাস

ভ্রু প্লাক করার সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কমাতে প্লাক করার শুরুতে এক টুকরা বরফ ঘষে নেওয়া উচিত। এতে ভ্রুর অংশ খানিকটা অবশ হয়ে আসে, ফলে ব্যথা কম হয়।

৫. চোখের ফোলাভাব কমানো

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে অনেক সময় চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে। চোখের এই ফোলাভাব কমাতে বরফ চেপে ধরলে চোখে আরাম আসে এবং ত্বক টানটান হয়।

৬. রোদে পোড়াভাব দূর

সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরও ত্বক পুড়ে গেলে বা জ্বালাভাব এলে তা কমাতে বরফ কাজে আসে। রোদ থেকে ঘরে ফিরে ত্বকে খানিকটা বরফ ঘষে নিলে জ্বালাভাব কমে আসে এবং পোড়াভাবও দূর হয়।

৭. মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী

মেকআপের শুরুতে মুখে বরফ ঘষে নিলে তা লোমকূপ সংকুচিত করে এবং ত্বক শীতল হয়। এর ফলে ত্বকে মেকআপ সহজেই বসে এবং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।

৮. নেইলপলিশ দ্রুত শুকানো

নখে নেইলপলিশ লাগানোর পর দ্রুত শুকানোর জন্য নেইলপলিশ দেওয়া হাত কিছুক্ষণ বরফ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

৯. লালচেভাব ও র‌্যাশ কমানো

রোদ, অ্যালার্জি, ওয়্যাক্সিং বা প্লাকিং ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ত্বকে লালচেভাব হতে পারে। এমন সমস্যায় বরফ কাপড়ে মুড়ে ত্বকে ঘষে নিলে লালচেভাব এবং র‌্যাশ কমে আসে।

১০. লোমকূপ সংকুচিত করা

বরফ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি ত্বকের বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে।

বরফ ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

বরফ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও, সঠিকভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে সরাসরি বরফ ঘষে নেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে চামড়ার নিচে থাকা সূক্ষ্ম শিরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বরফ সবসময় পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ঘষে নেওয়া নিরাপদ।


বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৫:৪৩:৩৯
বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
ছবিঃ সংগৃহীত

মানুষের হৃদস্পন্দন সাধারণত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো হৃদপিণ্ডের স্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত, জোরে বা অনিয়মিত অনুভূত হতে পারে। বুক, গলা বা ঘাড়ে এই ধড়ফড় বা দৌড়ঝাঁপের মতো অনুভূতি তৈরি হয়। কখনো আবার মনে হতে পারে যেন হৃদপিণ্ডের একটি স্পন্দন বাদ পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই উপেক্ষিত কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন।

পানিশূন্যতা যেভাবে হৃদস্পন্দন বাড়ায়

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শরীরে তরলের অভাব হলে হৃদপিণ্ডকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ হিসেবে দেখা হয়।

রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত পানি না পেলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়, ফলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: পানিশূন্যতা থাকলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়, বিশেষ করে পটাশিয়াম-এর মাত্রা কমে যায়। এই ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি বড় কারণ। দ্রুত হৃদস্পন্দন তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণও হতে পারে, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের অন্যান্য সাধারণ কারণ

অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন সেবন

উদ্বেগ বা তীব্র মানসিক চাপ

রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া), হাইপারথাইরয়েডিজম বা অন্যান্য হৃদরোগ

ব্যায়াম বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম

রক্তে শর্করা বা অক্সিজেনের ঘাটতি

কিছু ধরনের ওষুধ, যেমন ডিকনজেস্ট্যান্ট-জাতীয় ওষুধ সেবন

পানিশূন্যতার লক্ষণ ও তীব্রতা

গাঢ় রঙের প্রস্রাব বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া

মাথাব্যথা

পেশির টান

ত্বক শুষ্ক ও ঠান্ডা লাগা

মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি

তীব্র পানিশূন্যতা হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হলো:

বিভ্রান্তি বা প্রলাপ

মাথা ঘোরা, বিরক্তি ও দুর্বলতা

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস

ডুবে যাওয়া চোখ, কুঁচকে যাওয়া ত্বক

খুব গাঢ় প্রস্রাব হওয়া

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা শকে চলে যাওয়া

হৃদস্পন্দন হলে করণীয় ও প্রতিরোধের উপায়

হালকা পানিশূন্যতা দূর করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন অথবা ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানীয়, যেমন নারকেলের জল বা ওআরএস (ORS) গ্রহণ করুন।

তবে তীব্র ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। সেখানে শিরাপথে দ্রুত তরল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

হৃদস্পন্দন প্রতিরোধে করণীয়

নিয়মিত পানি পান করুন, বিশেষ করে গরমের সময় বা শারীরিক পরিশ্রমের পরে।

অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন সেবনের মাত্রা কমান।

খাদ্যতালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন কলা বা নারকেল পানি রাখুন।

যদি কোনো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের কারণে ধড়ফড় হয় বলে সন্দেহ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রথমবারের মতো হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে বা এর ধরন পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। তবে কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত এবং অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া আবশ্যক। যদি হৃদস্পন্দনের সঙ্গে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দেয়

বুকে তীব্র ব্যথা,শ্বাসকষ্ট,মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

সূত্র : হেলথ


রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন: এক মাস পর শরীরে দেখা যায় ৪টি আশ্চর্য পরিবর্তন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২১:০১:৩৫
রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন: এক মাস পর শরীরে দেখা যায় ৪টি আশ্চর্য পরিবর্তন
ছবিঃ সংগৃহীত

'রসুন' নামটি কানে এলেই সাধারণত মজাদার খাবারের সুঘ্রাণ ভেসে আসে। রান্নায় ব্যবহৃত হলেও কাঁচা রসুনের তীব্র গন্ধ এবং ঝাঁঝালো স্বাদের কারণে অনেকেই এটি সরাসরি খেতে চান না। কিন্তু পুষ্টিবিদ ও গবেষকরা বলছেন, যদি প্রতিদিন মাত্র এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তাহলে এক মাসের মধ্যেই শরীরে বেশ কিছু আশ্চর্য ও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাতেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে।

কেন কাঁচা রসুনই বেশি কার্যকর?

রসুনকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক গবেষণায় নিশ্চিত হয়েছে যে, রসুনে থাকা সালফার–জাতীয় উপাদানই এর মূল 'গোপন শক্তি'। এই যৌগগুলো—যার মধ্যে অ্যালিসিন অন্যতম—তখনই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়, যখন রসুন কাটা বা পিষে ফেলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন রান্না করলে এই মূল্যবান সালফার–জাতীয় যৌগের একটি বড় অংশ তাপের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কাঁচা রসুন খেলে শরীর এই উপাদানগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। এই কারণেই অনেক পুষ্টিবিদ রসুনের ওষুধি গুণ পুরোপুরি পেতে কাঁচা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এক মাসে শরীরে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে

১.রসুনের সক্রিয় উপাদানগুলো রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমাতে পারে। একইসঙ্গে, এটি খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

২.রসুনে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগগুলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীর আরও সক্ষম হয়ে ওঠে।

৩.নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং এতে থাকা শক্তিশালী উপাদানগুলো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক।

৪.রসুন হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী এবং শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখে।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

তবে বিশেষজ্ঞরা রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা সতর্ক করে বলছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খাওয়া বা একদম খালি পেটে খাওয়ার ফলে কিছু সংবেদনশীল মানুষের পাকস্থলীতে অস্বস্তি, গ্যাস বা ত্বকে জ্বালাপোড়ার মতো মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভূত হতে পারে। তাই এই প্রাকৃতিক ওষুধি গুণের সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে পরিমাণে সংযম এবং নিয়মিততা—এই দুটোই অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র: এনডিটিভি।


সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৬:৫৯:০২
সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম
ছবিঃ সংগৃহীত

সুস্থ শরীরকে সুখী জীবনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম শরীরকে সতেজ রাখে, মেদহীন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় জিমে যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঘরে বসেই কিছু সহজ ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরকে সহজেই ফিট রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের শরীরচর্চা মন ও শরীর উভয়কেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

জেনে নিন এমন ৫টি সহজ ব্যায়ামের কথা, যা ঘরে বসেই আপনাকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে পারে

সুস্থ থাকার ৫টি কার্যকরী অভ্যাস

১. নিয়মিত হাঁটা: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাঁটলে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। হাঁটার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকে এবং বাড়তি ক্যালরি দ্রুত ঝরে যায়। সকালের দিকে বা বিকেলের আলো-আঁধারিতে দ্রুত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়।

২. স্কোয়াট: এই ব্যায়ামটি মূলত শরীরের নিচের অংশকে শক্তিশালী করার জন্য দারুণ কার্যকর। নিয়মিত স্কোয়াট করলে উরু এবং কোমরের পেশি শক্ত হয় এবং এই অংশের জমা মেদ দ্রুত কমে যায়। শরীরের নিম্নভাগের গঠন দৃঢ় করার জন্য স্কোয়াট একটি অপরিহার্য ব্যায়াম।

৩. পুশ-আপ: পুশ-আপ হলো শরীরের উপরের অংশ, অর্থাৎ বুক, বাহু এবং কাঁধের পেশিগুলোর গঠনকে দৃঢ় করার জন্য একটি আদর্শ ব্যায়াম। নিয়মিত পুশ-আপ চর্চা করলে পেশিগুলো শক্ত হয় এবং সামগ্রিকভাবে শরীরের স্ট্যামিনা বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. প্ল্যাঙ্ক: পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে এবং শরীরের ভারসাম্য বা কোর স্টেবিলিটি বজায় রাখতে প্ল্যাঙ্ক ব্যায়ামটি দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র ৩০ সেকেন্ড প্ল্যাঙ্ক করার মাধ্যমে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিলে শরীরের কেন্দ্রীয় পেশি বা 'কোর মাসল' মজবুত হয়।

৫. যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম বা ইয়োগা শরীর ও মনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় ঘটায়। এই চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, ঘুম ভালো করে এবং শরীরের নমনীয়তা (ফ্লেক্সিবিলিটি) বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই শরীর ও মন উভয়কে সুস্থ ও শান্ত রাখতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শরীর সুস্থ রাখতে কেবল নিয়মিত ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক প্রশান্তিও প্রয়োজন। এই সবকিছুর নিয়মিত চর্চাই শরীর ও মনকে প্রাণবন্ত এবং সতেজ রাখতে পারে।


সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৮:২৯:১৭
সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় হালকা গরম পানি খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। তবে অনেকের জন্য খালি পেটে পানি খেলে বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে কিছু বিকল্প পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১. লেবু মধুর পানি: সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রয়োজনে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এই পানীয় ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।

২. গ্রিন টি: সকালের প্রথম চায়ে গ্রিন টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুল ও ত্বকের জন্য উপকারি। পাশাপাশি এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩. নারকেল বা ডাবের পানি: সকালে অল্প পরিমাণে নারকেল বা ডাবের পানি খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ হয়। তবে অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

৪. সবজির রস, বিশেষ করে বিটের রস: সবজির রস গ্রহণ স্বাস্থ্যকর বিকল্প। নিয়মিত বিটের রস খেলে ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়, শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয় এবং শরীরের ভিতরে জমা দূষিত পদার্থ বের করার মাধ্যমে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।

৫. আদা মিশ্রিত গরম পানি বা ভেষজ চা: আদা কুচি বা আদার রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ দিয়ে তৈরি চা, যেমন দারুচিনি ও গোলমরিচ যুক্ত চা, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে আরাম দেয়।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকালের এই পানীয়গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকবে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হবে এবং দৈনন্দিন জীবনশৈলীতে সতেজতা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ ডিটক্সিফিকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২১:৪৩:৩৪
নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান? সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে ৫টি কার্যকর পদক্ষেপ
ছবিঃ সংগৃহীত

নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন, কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, গভীরভাবে যাচাই এবং সঠিক প্রস্তুতি। কেবল একটি ভালো ব্যবসায়িক ধারণা থাকলেই সফলতা আসে না, বরং কীভাবে সেই ধারণাটিকে বাজারে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটিই নির্ধারণ করে একজন উদ্যোক্তার ভাগ্য। তাই ব্যবসা শুরুর পথে প্রথম ধাপেই ভুল এড়াতে চাইলে নতুন উদ্যোগ শুরু করার সবচেয়ে কার্যকর পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক।

উদ্যোক্তা হওয়ার পথে প্রথম ৫ ধাপ

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সফল এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসার ভিত্তি স্থাপনের জন্য এই পাঁচটি ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

১. নিজের শক্তি ও সীমা চিহ্নিত করা: একটি ব্যবসা শুরু করার আগে সবচেয়ে জরুরি কাজটি হলো নিজেকে জানা। আপনার ব্যক্তিগত দক্ষতা, আগ্রহ এবং অভিজ্ঞতা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার কোন যোগ্যতা বা বিশেষ অভিজ্ঞতাটি প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। নিজের সক্ষমতা এবং সীমাবদ্ধতা পরিষ্কারভাবে বোঝার মধ্য দিয়েই একটি দৃঢ় এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসার ভিত্তি গড়ে ওঠে।

২. পণ্যের অনন্য মূল্য বা উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা: আপনার ব্যবসাটি বাজারে কেন আলাদা বা ব্যতিক্রমী? গ্রাহক কেন আপনার পণ্য বা সেবা অন্য কারো কাছ থেকে না কিনে আপনার কাছ থেকে কিনবে? এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তরই আপনার ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আপনার পণ্য বা সেবা কীভাবে মানুষের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করবে বা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সহজতা আনবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। একটি পরিষ্কার এবং অনন্য মূল্য প্রস্তাব বা 'ভ্যালু প্রপোজিশন' আপনার ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বাজারের ভিড়ে আপনাকে একটি আলাদা পরিচয় এনে দিতে সাহায্য করে।

৩. টেকসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা: একটি সফল ব্যবসা কখনোই কেবল একটি চমৎকার আইডিয়ার ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ওপর। আপনার ব্যবসার আয় কীভাবে হবে, কোথায় কোথায় খরচ হবে, এবং কোন অংশীদার বা সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে আপনি কাজ করবেন—এসব বিষয় পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী ও বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক মডেলই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকিয়ে রাখবে এবং স্থিতিশীলতা দেবে।

৪. বাস্তব পরীক্ষায় ধারণা যাচাই করা: আপনার ব্যবসায়িক ধারণাটি যতই ভালো হোক না কেন, সেটি বাস্তবে বাজারে টিকবে কি না, তা পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। এই কারণে, একটি ন্যূনতম কার্যকরী পণ্য বা 'মিনিমাম ভায়াবল প্রোডাক্ট' (MVP) তৈরি করে ছোট পরিসরে বাজারে পরীক্ষা করা উচিত। সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করুন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে আপনার পণ্য বা সেবাটি উন্নত করুন। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন—আপনার ধারণাটি বাজারে সত্যিই কার্যকর ও গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা।

৫. এক অনুপ্রেরণাদায়ী দল গঠন করা: একটি দ্রুত সফল এবং বড় ব্যবসার পেছনে সবসময় থাকে একটি শক্তিশালী ও নিবেদিত দল। তাই এমন মানুষদের বেছে নেওয়া উচিত যারা আপনার ব্যবসার লক্ষ্য ও মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে। দক্ষ, উদ্যমী, এবং সহযোগিতাপূর্ণ একটি দলই আপনার ব্যবসাকে দ্রুত সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সফল ব্যবসা কেবল আইডিয়া বা প্রচুর মূলধনের ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং অধ্যবসায়ের উপর। তাই উদ্যোগ নেওয়ার আগেই এই পাঁচটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হলে, আপনার ব্যবসার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।


ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২০:৪৭:৪০
ঠোঁট কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে আজ থেকেই শুরু করুন ৪টি সহজ যত্ন
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যবহার করে ঠোঁট রক্ষা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা দিতে পারে ঠোঁট ফাটা এবং রক্তপাতের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠোঁটের যত্ন কেবল ঠান্ডা তীব্র হওয়ার পরই শুরু করলে চলে না, বরং শীতের শুরুতেই এই যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাই পুরো শীতকালজুড়ে ঠোঁট নরম, কোমল ও ফাটামুক্ত রাখতে ৪টি সহজ যত্নের অভ্যাস আজ থেকেই শুরু করা জরুরি।

শীতকালে ঠোঁটের যত্নে ৪টি অত্যাবশ্যকীয় অভ্যাস

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত অনুসরণ করলেই শীতের রুক্ষতা থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা সম্ভব।

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: ঠোঁটের যত্নের ক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরীণ হাইড্রেশন বা জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করা সবচেয়ে জরুরি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে ঠোঁটও দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই শীতকালে তাপমাত্রা কমলেও দিনে অন্তত আট গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। এতে ঠোঁট প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।

২. গুণগত মানের লিপ বাম ব্যবহার: শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করলেই ঠোঁটের যত্ন সম্পূর্ণ হয় না। ঠোঁটের জন্য প্রয়োজন ভালো মানের লিপ বাম, যা দীর্ঘ সময় আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। লিপ বামে যেন শিয়া বাটার, নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা-র মতো উপাদান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, দিনের বেলায় রোদে বের হলে অবশ্যই এসপিএফ (SPF) যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করবে এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করবে।

৩. নিয়মিত ঠোঁট স্ক্রাব করা: মৃত কোষ জমে থাকার কারণে ঠোঁট দ্রুত রুক্ষ ও ফাটা দেখায়। এই সমস্যা এড়াতে সপ্তাহে অন্তত একবার ঠোঁট স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এর জন্য এক চামচ চিনি বা কফির সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে হালকা হাতে ঠোঁটে ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া ঠোঁটের উপরের মৃত কোষের স্তর দূর করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ঠোঁট থাকে মসৃণ ও নরম।

৪. ঠোঁটে জিভ বোলানোর অভ্যাস বাদ দেওয়া: ঠোঁট শুকিয়ে গেলে অনেকে অভ্যাসবশত জিভ বোলান। আপাতদৃষ্টিতে এটি আরামদায়ক মনে হলেও, এই অভ্যাস ঠোঁটকে আরও দ্রুত শুকিয়ে দেয়। এর কারণ হলো, মুখের স্যালিভা বা লালারস বাষ্পীভূত হওয়ার সময় ঠোঁটের নিজস্ব আর্দ্রতাকেও শুষে নেয়। তাই ঠোঁট শুকিয়ে গেলে এই ক্ষতিকর অভ্যাসটি বাদ দিয়ে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শীতকাল মানেই ত্বক শুকনো আর ঠোঁট ফাটা—এই ধারণা বদলানো সম্ভব সামান্য সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে। আজ থেকেই এই সহজ অভ্যাসগুলো শুরু করলে পুরো শীতজুড়ে ঠোঁট থাকবে হাসির মতোই সতেজ।

সূত্র : এই সময় অনলাইন


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৬:২৩:১১
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৬ সালের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বল্পমেয়াদী অনলাইন কোর্সের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। এই উদ্যোগের ফলে এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই অক্সফোর্ডের বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য একটি নিবন্ধন লিংক প্রকাশ করেছে।

শিক্ষার্থীরা যেভাবে উপকৃত হবেন

অক্সফোর্ডের এই অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সুবিধা লাভ করবেন, যার প্রধান আকর্ষণ হলো এটি শতভাগ বিনামূল্যে উপলব্ধ। এই কোর্সগুলো মূলত স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে শেখার স্বাধীনতা ও নমনীয় পরিবেশ পাবেন। ফলস্বরূপ, কর্মব্যস্ততা বা অন্যান্য বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা সহজে তাদের জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

এই কোর্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শিক্ষার্থীরা সরাসরি অক্সফোর্ডের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এটি একটি বিরল সুযোগ, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের একাডেমিক অভিজ্ঞতার অংশীদার করে তুলবে। বিনা খরচে এই সুযোগ পাওয়ায় বিশ্বমানের শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার প্রসারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আগ্রহীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। কোর্সে অংশগ্রহণ করতে এখানে ক্লিক করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে: https://bit.ly/47BodV4

তথ্যসূত্র: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University)


ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১২:০৪:৩৩
ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়
ছবি: সংগৃহীত

আসছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধনবিহীন বা অনুমোদনবিহীন মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন থেকে কার্যকর হবে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর) ব্যবস্থা, যা দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।

বিটিআরসি জানায়, প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ব্যবহারকৃত সিমকার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই শনাক্তযোগ্য হবে।

১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন যে কোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। বৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের আলাদা কোনো নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন হবে না।

যদি গ্রাহকের হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে যায়, তবে তারা neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটের সিটিজেন পোর্টাল, এনইআইআর মোবাইল অ্যাপ অথবা মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোনো সময়ে সেটি লক বা আনলক করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ব্যবহারকারীরাও ইউএসএসডি চ্যানেল (*১২১# ডায়াল করে) অথবা নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এনইআইআর কার্যকর হওয়ার ফলে দেশের বাজারে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে, চুরি ও অবৈধ ফোন ব্যবহারের মাত্রা কমবে এবং নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মাণে সহায়ক হবে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন

বর্তমানে কম বয়সের মধ্যেই হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তীব্র মানসিক চাপ এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক চলাফেরার মতো কারণগুলো... বিস্তারিত