উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা, বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর পদ্ধতি’-তে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার ও বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে সরকারের একজন উপদেষ্টা এই অনুরোধ জানান।
উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে মতভিন্নতা
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও, উচ্চকক্ষের নির্বাচন বা গঠনপদ্ধতি নিয়ে তীব্র মতভিন্নতা রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, উচ্চকক্ষ বা সিনেট হবে ১০০ সদস্যের, যারা নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন।
তবে বিএনপি ও এনডিএম এই পদ্ধতির সঙ্গে একমত নয়। তারা চায়, নিম্নকক্ষে একটি দল যত আসন পাবে, তার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন করা হোক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির এই চাওয়া অনুযায়ী উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে তা হবে নিম্নকক্ষেরই প্রতিচ্ছবি এবং এটি অনর্থক হবে। আইনসভায় ভারসাম্য আনা এবং একক দলের ক্ষমতা কমানোর জন্যই উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
লন্ডন বৈঠক ও বিএনপির শক্ত অবস্থান
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে, গত জুন মাসে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর থেকে সরকার সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এর ফলে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিশেষ সমঝোতা হয়েছে।
সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। জামায়াত ও এনসিপি চায়, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট বা রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হোক। অন্যদিকে, বিএনপি মনে করে সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো আগামী সংসদ ছাড়া বাস্তবায়নের কোনো বৈধ পথ নেই। তারা আগামী সংসদ গঠিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের পক্ষে। এই মতভিন্নতার কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা বাড়ছে এবং নির্বাচন নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সামগ্রিকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তারা সুপারিশ দেবেন। তারা আশা করছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে একটি পথ-পদ্ধতি পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, উচ্চকক্ষ গঠনের পদ্ধতি ও ক্ষমতা নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত খুবই ভালো, কারণ এতে সংসদে ভারসাম্য থাকবে।

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন।” তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না, কারণ জামায়াত ঘুষ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে না।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে খুলনা-৫ আসনের শাহপুর আঞ্চলিক অফিসে ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, রঘুনাথপুর ও রুদাঘরা ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশ পরিচালনায় পরিবর্তনের আহ্বান
গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে তিনটি দল—আওয়ামী লীগ ২১ বছর, বিএনপি ১৫ বছর এবং জাতীয় পার্টি ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি, শুধু নিজেদের পরিবর্তন করেছে।
তিনি বলেন:
“ক্ষমতায় যায়নি শুধু জামায়াতে ইসলামী। এবার জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন। দেশের মানুষকে ভালো রাখবে, ইনশাআল্লাহ।”
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, একটি পক্ষ জামায়াতের গণজোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াত ঘর দখল করে না, জমি দখল করে না, বালু উত্তোলন করে না। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর করা হবে। সৃষ্টিকর্তার বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হলে হিন্দু-মুসলিম সবাই ভালো থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই কেয়ারটেকার সরকারের আদলে রূপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
প্রশাসনের নিরপেক্ষতার ওপর জোর
বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল (অন্য দুই সদস্য হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ) সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে রূপ দিতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন হবে প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করা।
সচিবালয় ও জেলা প্রশাসন: তিনি বলেন, সচিবালয় এবং জেলা প্রশাসনে যারা এখনো ‘চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসর’ হিসেবে কাজ করছেন, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আমরা বলেছি।
পুলিশ ও নিয়োগ: পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যে সমস্ত নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।
বিচার বিভাগ: বিএনপি মহাসচিব বিচার বিভাগ, বিশেষ করে বিচার বিভাগের উচ্চপর্যায়ে এখনো থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারক দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিও জানান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এবং সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাদের অপসারণ করার জন্য দাবি জানানোই ছিল সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য।
মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিটে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের বাকি দুজন হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। ধারণা করা হচ্ছে, এই সাক্ষাতে তারা সরকারের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরবেন।
আইআরআইয়ের সঙ্গে বৈঠক
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ঢাকায় সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে। গুলশান চেয়ারপারসনের অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এই বৈঠকে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি (সিএনএএস)-এর ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগানসহ নয়জন সদস্য।
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।
এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক—এর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ—যেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছে—রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।
বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।
নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
জাপানের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মঙ্গলবার তাঁকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিক ও চীনবিরোধী কণ্ঠস্বর অপ্রত্যাশিতভাবে প্রথম দফার ভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান।
নির্বাচনের পর মঙ্গলবারই সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাকাইচি। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানি রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্বে দেশটির সরকার পরিচালিত হবে।
রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) দীর্ঘদিনের সদস্য তাকাইচি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা এবং জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে তাঁর অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আলোচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাকাইচির নেতৃত্বে জাপান আরও দৃঢ় পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে। পাশাপাশি, তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া জাপানের সামাজিক কাঠামোতেও নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
-হাসানুজ্জামান
বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কেউ এককভাবে দেশ পরিচালনা করার মতো শক্তিশালী নয়। তিনি বলেন, আপাতত দৃষ্টিতে যা দেখা যায় আর মাঠের বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়ায় এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন
সারজিস আলম বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তিনি বলেন:
“এই জায়গায় এনসিপির শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব রাজপথে যেমন লাগবে, সংসদেও প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, আগামীর সংসদে তরুণরা যদি প্রতিনিধিত্ব করতে না পারে, তাহলে গতানুগতিক কালচার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এনসিপি দেশের মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে।
জুলাই সনদ ও আপসহীনতা
এনসিপি নেতা জানান, সংস্কার ও বিচারের জন্য এনসিপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং আগামীতেও করবে। তিনি জুলাই সনদের বিষয়ে এনসিপির কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন:
“জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও আইনগত ভিত্তির প্রশ্নে সকলে একপথে গেলেও এনসিপি সেই স্রোতে গা ভাসায়নি। এনসিপি জনগণের প্রশ্নে আপসহীন থেকে সনদের আইনগত ভিত্তির নিশ্চয়তা চেয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চয়তা না পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত জুলাই সনদে সাক্ষর থাকবে না।”
বগুড়ায় সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগ
সারজিস আলম এদিন জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষে বগুড়ায় আসেন। বগুড়া জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে আরেকটি সমন্বয় সভায় যোগ দিতে বিকেল ৩টায় তিনি সেখানে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে তিনি সমন্বয় সভায় যোগ দেওয়ার পরপরই জেলা পরিষদের পেছনে করতোয়া নদীর পাশ থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
বিস্ফোরণ: ককটেলগুলোর মধ্যে একটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত হয়, তবে অন্যটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়।
আইনশৃঙ্খলা: খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে।
এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেন, বারবার বলার পরও পুলিশ আগে থেকে নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা: মির্জা ফখরুল কেন দায়ী করলেন আমলাতন্ত্রকে?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ এসেছিল, কিন্তু এরপরও রাজনীতিকদের মাঝে যে অনৈক্য, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে সততা ও ঐক্যের আহ্বান
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন:
“রাজনীতির মধ্যে সততা আনা না গেলে রাজনীতি সুন্দর হবে না। সম্পদ তৈরি করার মানসিকতা থাকলে মানুষের ঘৃণা ছাড়া কিছু অর্জন হয় না।”
তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর যে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছিল, তা কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নেই।
শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নিম্ন মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্ন মানের। এর জন্য দায়ী রাজনীতিবিদ এবং আমলাতন্ত্র।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশনে সংহতি জানালেন এ্যানি
তিন দফা দাবিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ও সংহতি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সংহতি প্রকাশ করেন।
আন্দোলনের পরিস্থিতি ও দাবি
শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফেরত যাবেন না।
দাবিসমূহ: মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে আছেন।
সরকারের ঘোষণা: রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (কমপক্ষে ২ হাজার টাকা) দেওয়ার আদেশ জারি করলেও, শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শিক্ষক নেতাদের আহ্বান
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই আন্দোলনকে আরও জোরালো করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষকরা গত রোববার ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন এবং পরে শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
পাঠকের মতামত:
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- আলোয় আলোকিত বলিউড: দীপাবলির ঝলমলে উৎসবে তারকাদের উচ্ছ্বাস
- নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
- ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
- গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
- সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
- ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
- মিরপুরের উইকেট: স্পিনারদের প্রতি মুশতাক আহমেদের বিশেষ বার্তা
- নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
- ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
- জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
- সুখবর: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে বড় ঘোষণা
- বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
- চট্টগ্রামে চবি শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
- কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
- উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
- আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ