মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১২ ১৫:৫১:৩৮
মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: প্রথম আলো

দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের দিন সিসি ফুটেজ দেখার দাবি, কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ ৯ দফা দাবি

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকরা মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মানববন্ধনের মাধ্যমে নয় দফা দাবি জানিয়েছেন। তারা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার দিন স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চেয়েছেন এবং মাইলস্টোনসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবি তুলেছেন।

দাবিগুলোতে রয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি, নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি। একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহত শিক্ষার্থীর জন্য দুই কোটি টাকা এবং আহতদের জন্য এক কোটি টাকা জরিমানা আরোপের দাবি জানানো হয়েছে।

অভিভাবকরা স্কুলের রানওয়ে থেকে দূরে সরানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, অথবা রানওয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। কোচিং ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা মিসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্তের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে। এছাড়া, স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর দাবি এবং বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ জনবসতি থেকে দূরে করার দাবি তোলা হয়েছে।

মানববন্ধনে নিহত শিক্ষার্থী মারিয়াম উম্মে আফিয়ার মা উম্মে তামিমা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে কোচিংয়ে যেতে পছন্দ করত কারণ মিসরা কোচিং না করলে আদর করত না।’ তিনি আরও জানান, স্কুলে পরীক্ষায় খারাপ করলে অভিভাবকদের কোচিংয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। নিহত বোরহান উদ্দীন বাপ্পীর বাবা মোহাম্মদ আবু শাহীন বলেন, ‘শিক্ষকরা বলে আমাদের ছেলে ক্লাসে পড়তে পারে না, তাই কোচিং করাতে বাধ্য করা হয়।’

অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, কোচিংয়ের জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা হয় এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাদিজা মিস কোচিং ব্যবসার মূল হোতা। মানববন্ধনের সময় অভিভাবকদের সঙ্গে এক শিক্ষককের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যার জন্য ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করা হয়েছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা নিহতদের ছবি বহন করে ‘কোচিংয়ের নামে ব্যবসা বন্ধ কর’, ‘শিক্ষা না ব্যবসা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুল কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে গেছে এবং কোনো প্রতিনিধির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি।

/আশিক


রাজধানীতে আজ কোথায় কী: জেনে নিন আজকের ব্যস্ত সূচি

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ০৯:২৬:০১
রাজধানীতে আজ কোথায় কী: জেনে নিন আজকের ব্যস্ত সূচি
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার রাজপথ আজ বেশ কিছু রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মসূচির কারণে সরগরম থাকবে। বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরবর্তী ব্যস্ত সূচি এবং নাগরিক ঐক্যের সংবাদ সম্মেলন যাতায়াতে প্রভাব ফেলতে পারে। আজ শনিবার সকাল ১১টায় তারেক রহমান শাহবাগ এলাকায় সমাহিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতেই তাঁর এই কর্মসূচি।

এরপর তিনি সরাসরি আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবেন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও ও মিরপুর এলাকায় নেতাকর্মীদের ব্যাপক জনসমাগম হতে পারে, যা মিরপুর রোডে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি তৈরি করার আশঙ্কা রয়েছে। এনআইডি নিবন্ধন শেষে তারেক রহমান শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যাবেন। সেখানে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেবেন এবং তাঁদের পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন।

অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে নাগরিক ঐক্য। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সম্মেলনে সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না কথা বলবেন। সমসাময়িক রাজনীতি ও পরবর্তী নির্বাচনী প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তোপখানা রোড সংলগ্ন নাগরিক ঐক্যের কার্যালয় এলাকায় এই সময় বাড়তি ভিড় থাকতে পারে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাগুলোতে আজ সাধারণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিশেষ করে পঙ্গু হাসপাতাল ও নির্বাচন কমিশন এলাকা শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত হওয়ায় ওই নির্দিষ্ট সময়ে মিরপুর রোডে বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১২:০৯:৫৯
তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব
জনসমুদ্রে পরিণত ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকা

রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ বা ৩০০ ফিট সড়ক আজ যেন একটি মহাসাগরে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসে কাটানো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক নজর দেখতে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত প্রতিটি জনপদ থেকে মানুষের মিছিল রাজধানীতে আছড়ে পড়ছে। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই কুড়িল থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ের বিশাল এলাকাজুড়ে তিল ধারণের কোনো জায়গা নেই। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে আসা আকতারুল ইসলাম কিংবা পটুয়াখালী থেকে আসা সুবিধ মাস্টারের মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ কেবল তাদের প্রিয় নেতাকে চোখের সামনে থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষায় বিনিদ্র রাত কাটিয়ে সংবর্ধনাস্থলে হাজির হয়েছেন।

সংবর্ধনার জন্য কুড়িল মোড় সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের এক বিশাল মঞ্চ। রাজকীয় এই মঞ্চে ১৯টি চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে যেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে বসবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঞ্চের চারপাশ এবং সংলগ্ন এলাকা কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের বিশেষ ইউনিট। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফ-এর সদস্যরাও মঞ্চের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। সংবর্ধনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় শতাধিক মাইক এবং একাধিক ইলেকট্রনিক স্ক্রিন বসানো হয়েছে যাতে দূরে অবস্থানকারী নেতাকর্মীরাও প্রিয় নেতার ভাষণ শুনতে ও দেখতে পারেন।

বরিশাল, রাজশাহী, দিনাজপুর ও চট্টগ্রাম থেকে আসা বিশেষ ট্রেন এবং ট্রাক-বাসের দীর্ঘ বহর ইতিমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পৌঁছেছে। ব্যান্ড সংগীতের দল আর নেতাকর্মীদের ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’—এমন গগণবিদারী স্লোগানে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। অনেক কর্মী শীতের মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন শুধুমাত্র সংবর্ধনা মঞ্চের কাছাকাছি জায়গা পাওয়ার আশায়। উপস্থিত জনতা বলছে যে এটি কেবল একজন নেতার ফিরে আসা নয় বরং এটি দীর্ঘ ১৬ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জয়োল্লাস।

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে ভিআইপি লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি এই ৩০০ ফিট সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। এরপর তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন। সূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তিনি এখানে অবস্থান করবেন এবং এরপর সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়ার পাশে যাবেন। আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করছে যে তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে তৃনমূলের মানুষের মাঝে রয়েছে এক বিশাল আবেগ ও অদম্য প্রত্যাশা।


হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২০:৩১:৩৮
হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি
গ্রেপ্তার যুবলীগ কর্মী হিমন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোটরসাইকেল চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জুয়েল রানা এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হিমন আদাবর থানা যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী এবং হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের পূর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে হিমন প্রায় দুই মাস আগে দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফেরেন এবং হাদি হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে তিনি আদাবরের রাজ্জাক হোটেলে আত্মগোপন করে আছেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হিমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে আদাবরের ১৭/বি এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত এই আগ্নেয়াস্ত্র হাদি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক বিভাগ।

এডিসি মো. জুয়েল রানা সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে হাদি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালক আলমগীরের সঙ্গে হিমনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পলাতক মূল খুনি ফয়সাল করিম মাসুদ এবং আলমগীরের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এই হত্যাকাণ্ডটি একটি রাজনৈতিক নীল নকশার অংশ ছিল যেখানে পেশাদার খুনিদের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক ক্যাডারদের ব্যবহার করা হয়েছিল। হাদিকে গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগরে চলন্ত রিকশায় গুলি করা হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে মারা যান।

উল্লেখ্য যে ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ব্যাংক হিসাব ইতিমধ্যে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। হিমনের এই গ্রেপ্তারকে এই মামলার তদন্তে একটি বড় ধরণের অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট প্রদান এবং জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গঠিত ইনকিলাব মঞ্চের এই নেতার মৃত্যুতে দেশজুড়ে যে শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল তা হিমনের গ্রেপ্তারের পর ন্যায়বিচারের পথকে আরও সুগম করল।


মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ এখন ঘরে বসেই: জানুন সহজ নিয়ম

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:১১:৩৬
মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ এখন ঘরে বসেই: জানুন সহজ নিয়ম
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকাবাসীর দৈনন্দিন যাতায়াতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে মেট্রোরেল এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এখন থেকে স্টেশনের কাউন্টারে লাইনে না দাঁড়িয়েই ঘরে বসে অনলাইনে র‍্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস রিচার্জ করা সম্ভব হচ্ছে। গত ২৫ নভেম্বর থেকে ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে এই রিচার্জ সুবিধা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী স্টেশনের দীর্ঘ লাইনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন এবং সময় সাশ্রয় করতে পারছেন।

অনলাইনে রিচার্জ করার জন্য যাত্রীদের প্রথমেই র‍্যাপিড পাসের নির্ধারিত

ওয়েবসাইটে(https://www.rapidpass.com.bd/) গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য এবং মোবাইল ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড দিয়ে একবার নিবন্ধন সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে শুধু লগইন করেই রিচার্জ করা যাবে। বিশেষ করে বিকাশ অ্যাপের সাজেশন সেকশন থেকে সরাসরি ‘মেট্রোরেল’ অপশন নির্বাচন করে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা সম্ভব। রিচার্জ অপশনে গিয়ে কার্ডের তথ্য ও টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করা যায়। রিচার্জ সফল হলে ব্যবহারকারীর মোবাইলে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিতকরণ খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

অনলাইন রিচার্জের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিকাশ ব্যবহার করে রিচার্জ করলে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগও রয়েছে। তবে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার পর কার্ডটি স্টেশনের অ্যাড ভ্যালু মেশিন বা এভিএম-এ একবার স্পর্শ করতে হবে। এই মেশিন স্পর্শ করার আগ পর্যন্ত রিচার্জটি ‘পেন্ডিং’ হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। একটি পেন্ডিং রিচার্জ সফলভাবে কার্ডে যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে পুনরায় অনলাইন রিচার্জ করা যাবে না।

নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কিছু বিশেষ শর্তারোপ করেছে। ব্ল্যাকলিস্টেড বা অবৈধ কোনো কার্ড অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে না। কোনো যাত্রী যদি এভিএম-এ কার্ড স্পর্শ করার আগে ভুলবশত করা রিচার্জ বাতিল করতে চান, তবে সাত দিনের মধ্যে অনুরোধ সাপেক্ষে তা বাতিল করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মূল টাকা থেকে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। বর্তমানে কার্ড রিফান্ড কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও অনলাইন রিচার্জের এই আধুনিকায়ন সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আরও এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


কর্মচারীর ভুলেই খাঁচার বাইরে সিংহী

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৪:৪০:৩৫
কর্মচারীর ভুলেই খাঁচার বাইরে সিংহী
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানায় সিংহীর খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ার ঘটনায় দায়িত্বশীল এক কর্মচারীর বড় ধরনের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে উঠে এসেছে আবু বক্কর নামে ওই কর্মচারী সিংহীর খাঁচা লক করতে ভুলে গিয়েছিলেন যার ফলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।

গাফিলতির প্রমাণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ঘটনার দিন ৫ ডিসেম্বর জাতীয় চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে ডেইজি নামের সিংহীটি বেরিয়ে পড়লে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির নেতৃত্ব দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান। গত বুধবার ১০ ডিসেম্বর তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান তিনি জেনেছেন তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে স্থায়ী দৈনিক শ্রমিক আবু বক্কর সিংহীর খাঁচা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও সুপারিশ

তদন্ত প্রতিবেদনে নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডাবল চেক বা দ্বৈত যাচাই পদ্ধতি চালু করা। সুপারিশে বলা হয়েছে ভবিষ্যতে যিনি খাঁচার দরজা বন্ধ করবেন তার পাশাপাশি অন্য একজন কর্মচারী তা পরীক্ষা করে দেখবেন দরজাটি ঠিকভাবে লক হয়েছে কি না।

এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মচারীদের জন্য নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানার বেশিরভাগ খাঁচা পুরোনো হওয়ায় সেগুলো দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।

ঘটনার পেছনের কথা

গত ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিংহী ডেইজি খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়লে চিড়িয়াখানায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রানকুইলাইজার গান ব্যবহার করে সিংহীটিকে অচেতন করা হয় এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে নিরাপদে আবার খাঁচায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।


ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৬:০৪:০৭
ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসন থেকে প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা এবং প্রার্থীর শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে চড়ে আসা দুর্বৃত্তরা হাদির অবস্থান শনাক্ত করে। তাদের একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। হামলার পর তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনো কোনো গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ হামলার যথাযথ তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে।


দিল্লি ও লাহোরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণে ধুঁকছে ঢাকা

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ০৯:৩৫:২৯
দিল্লি ও লাহোরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণে ধুঁকছে ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ এবং দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও এই দূষণের কবলে রয়েছে। কিছু দিন আগে শহরটির বায়ুমান কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও সম্প্রতি শহরটির বাতাসে ফের বাড়ছে দূষণ। বুধবার ৩ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ২৩৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। বায়ুমানের এ স্কোর খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হয়।

একই সময়ে ২৮৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ২৩৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা আর পাকিস্তানের লাহোর ২২৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতের আরেকটি শহর কলকাতা ২২৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ২০২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২১ ১২:৩৬:২১
ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে

রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় ভূমিকম্পের সময় সাততলা একটি ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ায় তিন পথচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করেন।

বংশাল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আশিস কুমার ঘোষ জানান, ভূমিকম্পের সময় ভবনের ওপরের অংশ কেঁপে ওঠে এবং ছাদের রেলিং ভেঙে নিচে থাকা তিনজনের ওপর পড়ে। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার পর বংশাল এলাকার সড়কজুড়ে শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মৃতরা সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ভূমিকম্পের তীব্রতায় যখন চারপাশ দুলছিল, তখনই ভবনের উপরের রেলিং ভেঙে পুরোটা নিচে পড়ে। ধাতব ও কংক্রিটের অংশগুলো পড়ার শব্দে আশপাশের মানুষ দৌড়ে বেরিয়ে আসেন।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ঘিরে ফেলে এবং আশপাশের এলাকা নিরাপদ করতে কাজ শুরু করে। ভবনের অন্যান্য অংশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে যায়।

শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭, যা রাজধানীসহ দেশের বিস্তৃত এলাকায় অনুভূত হয়। তিনি বলেন, এই ধরনের ভূমিকম্পে হালকা আফটার শকের সম্ভাবনা থাকলেও আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। সবাইকে সতর্কভাবে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার পরামর্শ দেন তিনি।

ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভবনে ফাটল ধরা, দেয়াল খসে পড়া এবং পুরোনো ভবনের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বহু এলাকায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে বের হয়ে সড়কে অবস্থান করেন এবং চারদিকে আজানের ধ্বনি শোনা যায়।

বংশালের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার পুরোনো ভবনগুলো নিয়মিত কাঠামোগত মূল্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় না আনলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের ঝুঁকি থেকে যাবে।


বিএনপির দুর্গে হানা দিলেন সারজিস? পঞ্চগড়-১ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস

রাজধানী ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৮:৪৩:১০
বিএনপির দুর্গে হানা দিলেন সারজিস? পঞ্চগড়-১ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়-১ আসনটি এখন জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের' অন্যতম নায়ক ও ছাত্রনেতা সারজিস আলমের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই আসনটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সদর উপজেলা, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসনে এবার প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে নতুন ধারার রাজনীতির এক বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে এই আসনে লড়বেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ২৩৭টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে নওশাদ জমিরের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তিনি প্রয়াত স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে এবং এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার পেছনে তার দীর্ঘদিনের ভূমিকা রয়েছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে নওশাদ জমির এই আসনে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।

তবে নির্বাচনী সমীকরণ হঠাৎ করেই বদলে যায় গত রোববার (১৬ নভেম্বর), যখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এই আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সারজিস আলম সারা দেশেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং 'জুলাই স্পিরিট'-এর প্রতীক হিসেবে তার অবস্থান তাকে এই আসনের অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পঞ্চগড়-১ আসনে এবার লড়াই হবে মূলত 'অভিজ্ঞতা বনাম তারুণ্যের'। ব্যারিস্টার নওশাদ জমির যেখানে বিএনপির দীর্ঘদিনের ভোটব্যাংক এবং দলীয় কাঠামোর ওপর নির্ভর করবেন, সেখানে সারজিস আলম নির্ভর করবেন তরুণ ভোটার এবং সাধারণ মানুষের আবেগ ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার ওপর। এনসিপি মনে করছে, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে মানুষ প্রথাগত রাজনীতির ওপর বিরক্ত, তাই তারা সারজিসের মতো নতুন নেতৃত্বকে বেছে নেবে। অন্যদিকে, বিএনপির দাবি, জনগণ ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামে বিএনপির ত্যাগকে মূল্যায়ন করবে।

এই আসনে নির্বাচনের ফলাফল শুধু একটি জয়-পরাজয় নয়, বরং এটি হবে ভবিষ্যতের রাজনীতির এক নির্দেশক। সারজিস আলম যদি এই আসনে জয়ী হতে পারেন বা বিএনপির প্রার্থীকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন, তবে তা প্রমাণ করবে যে দেশের মানুষ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চাইছে। আবার বিএনপি যদি বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে, তবে তা প্রমাণ করবে যে দলটির সাংগঠনিক শক্তি এবং জনসমর্থন এখনো অটুট। সব মিলিয়ে, হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ের এই আসনে ভোটের উত্তাপ এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত