অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা:দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুঁশিয়ারি

সত্য নিউজ: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে অচলাবস্থা সৃষ্টির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার (১২ মে) দুপুরে এক সংহতি সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি অংশ একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সমাবেশ শেষে প্রায় দুই ঘণ্টার আলোচনা ও বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা ‘দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জানানো হয়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে কার্যত দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় অচলাবস্থা তৈরি করা হবে।
শিক্ষার্থীদের চলমান একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগে নির্ধারিত সেমিস্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ক্লাস কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্থবির হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নেননি, আর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কার্যত কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, "উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সরাসরি যোগাযোগ না করে, শেষ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন—এমন ভণ্ডামি আমরা মেনে নেব না।"
আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, "উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা—সবাই অসন্তুষ্ট। এই ফ্যাসিবাদী শাসন মানা যায় না।"
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, “যে উপাচার্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আস্থা হারিয়েছেন, তাঁর দায়িত্বে থাকার নৈতিক ভিত্তি নেই। অবিলম্বে তাঁকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”
সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মুস্তাকিন বিল্লাহ জানান, টানা ২৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে শিক্ষকরাও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনের পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে। তাঁদের মতে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে যথাযথ তদন্ত কিংবা পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০৫ কোটি টাকার লোকসান
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম