জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সিদ্ধান্ত!

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৪ ১৩:০৩:০৩
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সিদ্ধান্ত!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। বহুদিনের আলোচিত এই দাবির বাস্তবায়ন উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৯৭তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী নির্দেশনার ভিত্তিতে এই সময়বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী যেসব শিক্ষার্থী অটিজম, ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসির মতো নিউরোডেভেলপমেন্টাল বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত, তাদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। তবে এই সুবিধা লাভের জন্য নির্ধারিত কয়েকটি আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই পালন করতে হবে।

প্রথমত, শিক্ষার্থীর অবশ্যই সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ প্রতিবন্ধী সনদ থাকতে হবে। পরীক্ষার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও প্রতিবন্ধী সনদ যাচাই করে তা পরীক্ষার নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠাবেন। যাচাইকৃত কাগজপত্রের মধ্যে থাকবে প্রবেশপত্রের কপি এবং প্রতিবন্ধী সনদের কপি।

তদ্ব্যতীত, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে শনাক্তযোগ্যভাবে সিলগালা করে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লাল কালি দিয়ে স্পষ্টভাবে খামের ওপর “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র” লিখে তা পাঠাতে হবে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অনার্স পার্ট-৪) মো. শামীম আহমেদের ঠিকানায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৪০৭।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবিক এবং ন্যায্য করে তুলতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এ সিদ্ধান্ত শুধু মানবিকতা নয়, বরং এক ধরনের নীতিগত দায়বদ্ধতার প্রতিফলন, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক করে তুলবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাবিদরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সময়সীমা পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ