এসএসসি ও সমমান পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল জানতে পারবেন যেভাবে

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল আজ সকাল ১০টায় প্রকাশিত হবে। দেশের ৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্গত পরীক্ষার্থীরা তাদের রোল নম্বরের মাধ্যমে ফলাফল দেখতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের তাদের পরীক্ষার ফল পুনরায় যাচাই করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত টেলিটক মোবাইল সেবার মাধ্যমে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রতি বিষয় প্রতি ১৫০ টাকা ফি দিয়ে এবার রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। মোট দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের প্রতি বৃদ্ধি পাওয়া আগ্রহ ও আস্থার পরিচায়ক।
পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সর্বোচ্চ আবেদন এসেছে গণিত বিষয়ে—৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা। এছাড়াও ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। অন্যদিকে, চারু ও কারুকলা বিষয়ে সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে, মাত্র ৬টি। এতে দেখা যায় যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাণিতিক এবং ভাষাগত বিষয়গুলোর ফল পুনঃমূল্যায়নে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতার নম্বর পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না, বরং নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কিনা, কোনো প্রশ্ন বাদ পড়েছে কি না, এবং ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না—এসব বিষয় যাচাই করা হয়। প্রয়োজনে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের সঠিক ফল পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়।
দেশব্যাপী শিক্ষাবোর্ডের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ৬ লাখ ৬৬০ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্র তিন লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন। এই তথ্য শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নতির প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
-শরিফুল
এসএসসি খাতা পুনর্মূল্যায়নের ফল কাল প্রকাশ, জানুন ফল দেখার নিয়ম
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল আগামীকাল রবিবার প্রকাশ করা হবে। শনিবার (৯ আগস্ট) আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষণ সম্পন্ন করতে হয়, তাই সময়সীমা মেনে আগামীকাল ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার আরও জানান, যারা মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদের ওই নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে পরিবর্তিত ফল জানানো হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোও তাদের ওয়েবসাইটে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে ৯২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে, তবে অন্যান্য বোর্ডের আবেদনসংখ্যা এখনও জানা যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল গত ১০ জুলাই প্রকাশ করা হয়েছিল। ফলের প্রতি সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়। এইবার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় ছিল ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত, যা এসএমএস পদ্ধতি এবং শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ৬ লাখ ৬৬০ শিক্ষার্থী ফেল করেছে, যাদের মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন।
/আশিক
বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের ঘোষণা
দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। একই পাঠ্যক্রম, সমান ক্লাসঘণ্টা ও দায়িত্ব পালন করেও সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের আয় অনেক কম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা শুরুর বেতন, বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র এক হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকায় জীবনযাপন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, “এই সামান্য ভাতায় শহর তো দূরের কথা, গ্রামেও মানসম্মত বাড়িভাড়া বা চিকিৎসা খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব। অথচ এই কষ্ট কেউ বোঝে না।” তার মতে, শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই।
এই অসন্তোষের কারণে প্রায় পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি হতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস রিজার্ভ করে শিক্ষকরা ঢাকায় আসবেন, আর শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) জানায়, মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়। দেশে বেসরকারি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার, যেখানে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো এই প্রতিষ্ঠানগুলো, আর এর প্রাণভোমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থাতেই রয়ে গেছে গভীর বৈষম্য। সরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের শতভাগ হলেও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা মাত্র এক-চতুর্থাংশ, আর কর্মচারীদের জন্য অর্ধেক। এতে শিক্ষকরা বঞ্চনার চক্রে আটকে পড়ছেন।
শিক্ষক নেতা ও শিক্ষাবিদরা বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন—
১. সরকারি শিক্ষকদের মতো পূর্ণাঙ্গ জাতীয় বেতন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তি ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন নির্ধারণ।
২. বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা সরকারি শিক্ষকদের সমপর্যায়ে উন্নীত করা এবং বদলি ও পেনশন সুবিধা চালু।
৩. এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করা।
৪. শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া।
৫. নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষকদের সমস্যাগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকরা যদি বঞ্চনার শিকার হন, তবে দেশের শিক্ষা নামক ‘মেরুদণ্ড’ দুর্বল হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ এখন সময়ের দাবি। তারা মনে করেন, শিক্ষকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই উন্নত ও শিক্ষিত জাতি গড়া সম্ভব।
/আশিক
ঢাকার সাত সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ
ঢাকা মহানগরীর সরকারি সাত কলেজকে কেন্দ্র করে গঠনের প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’-এর শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে যুগোপযোগী পরিবর্তন। হাইব্রিড ও আন্তঃবিভাগীয় (ইন্টারডিসিপ্লিনারি) পাঠক্রমের মডেলে পরিচালিত হবে নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। এতে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে এবং বাকি ৬০ শতাংশ সশরীরে ক্যাম্পাসে।
সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান, যিনি সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন, এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম হবে সম্পূর্ণ নতুন কাঠামোতে গঠিত, যেখানে ভার্চুয়াল ও অফলাইন উভয় মাধ্যমের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সব ধরনের পরীক্ষা হবে সশরীরে এবং একাডেমিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে শারীরিক উপস্থিতির ওপর জোর দেওয়া হবে। তবে ক্লাস পরিচালনায় প্রযুক্তিনির্ভরতা বাড়ানো হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সময় ও জ্ঞান উভয় দিক থেকেই উপকৃত হতে পারেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম কাঠামো সম্পর্কে তিনি জানান, এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী প্রথম চারটি সেমিস্টারে ‘নন-মেজর’ কোর্সসমূহ অধ্যয়ন করবে। এতে মূলত বহুমুখী দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকবে এবং ভিন্ন বিষয়ের প্রাথমিক ধারণা তৈরি হবে। এরপর পরবর্তী চারটি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ‘মেজর’ ডিসিপ্লিন অনুযায়ী পড়াশোনা করবেন।
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের মেজর পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন পঞ্চম সেমিস্টার থেকে, যদি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করেন। এই পরিবর্তনের সুযোগ শুধুমাত্র বিষয়ের (ডিসিপ্লিনের) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে; ক্যাম্পাস পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না।
-রফিক
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু, ফি পরিশোধে সুখবর!
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণি ও কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ৩০ জুলাই থেকে এবং তা চলবে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত। পাশাপাশি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) অধীন কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে একই তারিখে, যা চলবে ১৪ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত।
ভর্তির আবেদন ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম সহজ এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে থাকছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ। শিক্ষার্থীরা সহজেই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই আবেদন ফি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথমে শিক্ষার্থীকে https://xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদন ফি পরিশোধের জন্য বিকাশ অ্যাপে ‘এডুকেশন ফি’ অপশনে গিয়ে ‘XI Class Admission’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর বোর্ডের নাম, পাসের বছর, এসএসসি রোল নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
স্ক্রিনে নির্ধারিত ফি প্রদর্শিত হলে বিকাশ পিন দিয়ে ‘চেপে ধরে রাখুন’ অপশনে ট্যাপ করে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। পেমেন্ট সফল হলে নিশ্চিতকরণ বার্তা এবং একটি ডিজিটাল রিসিট পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণযোগ্য।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদনেও প্রক্রিয়া প্রায় একই। বিকাশ অ্যাপে ‘এডুকেশন ফি’ অপশন থেকে ‘BTEB’ নির্বাচন করতে হবে এবং নির্ধারিত পেমেন্ট কোড (যেমন: প্রোগ্রাম কোড + পাসের বছর + বোর্ড কোড + রোল নম্বর) লিখে ফি-এর পরিমাণ দেখে নেওয়ার পর বিকাশ পিন দিয়ে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। সফলভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন হলে নিশ্চিতকরণ বার্তা ও ডিজিটাল রিসিট প্রদান করা হবে। পরে শিক্ষার্থীকে http://btebadmission.gov.bd/website লিঙ্কে গিয়ে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে বিষয়ে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাস থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্বীকৃত ও অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসা (F-1) আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন ও অনুমোদনের একটি নির্ধারিত সময়সীমা রয়েছে। প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হয় এবং কিছু সময় ব্যয় হয় বিধায় নির্ধারিত সেমিস্টার শুরুর আগেই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করা অপরিহার্য। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সময়মতো তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন এবং শিক্ষাজীবনের সূচনাতেই কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
দূতাবাস আরও সতর্ক করে বলেছে, অনেক সময় শেষ মুহূর্তে ভিসা আবেদনের কারণে জটিলতা দেখা দেয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ঘটে, যা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যথাসময়ে আবেদন করলে এই ধরনের অপ্রত্যাশিত বিলম্ব এড়ানো সম্ভব হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী এসব শিক্ষার্থীর সুবিধার্থে মার্কিন দূতাবাস নিয়মিতভাবে তথ্যভিত্তিক সহায়তা প্রদান করে এবং স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করতে সচেষ্ট থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তথ্য পাওয়ার জন্য দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেকোনো বিভ্রান্তি এড়াতে শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-রাফসান
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য নতুন যুগের সূচনা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দেশের প্রায় ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ের জন্য এই সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ হিসেবে দেখছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মতে, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এই পদক্ষেপ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের পেশাগত মর্যাদা সুসংহত করবে।
এই সিদ্ধান্তে প্রাথমিক শিক্ষক মহলে স্বস্তি নেমে এসেছে। তারা সরকারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলছেন, এটি তাদের আত্মমর্যাদা ও পেশাদারিত্বে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তবে তারা আরও কিছু দাবি বাস্তবায়নের তাগিদ দিচ্ছেন, বিশেষ করে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড নিশ্চিত করা, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি এবং দীর্ঘ মেয়াদে চাকরি করলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুযোগ।
বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫০২টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৬ জন। তাদের কেউ ১২তম, কেউ ১১তম, আবার কেউ কেউ ইতিমধ্যে ৮ম, ৯ম ও ১০ম গ্রেডে রয়েছেন।
১২তম গ্রেডে থাকা প্রধান শিক্ষকরা এখন দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার ফলে তাদের মূল বেতন গড়ে ৪ হাজার ৭০০ টাকা বাড়ছে। বাড়িভাড়া ভাতা গড়ে ১ হাজার ৬৩৫ টাকা বাড়ছে, উৎসব ভাতা বাড়ছে ৪ হাজার ৭০০ টাকা, বিশেষ ভাতা ৭০৫ টাকা এবং নববর্ষ ভাতা ৯৪০ টাকা বাড়বে।
এই ক্যাটাগরির মাত্র ১ হাজার ১৫৪ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য সরকারের বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ১১ কোটি টাকা।
১১তম গ্রেডে থাকা প্রধান শিক্ষক যারা এবার দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন, তাদের সংখ্যাও বড়—১৩ হাজার ৮৫৪ জন। এদের মূল বেতন গড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা বাড়বে। বাড়িভাড়া ১ হাজার ৯৫ টাকা, উৎসব ভাতা ৩ হাজার ৫০০ টাকা, বিশেষ ভাতা ৫২৫ টাকা এবং নববর্ষ ভাতা ৭০০ টাকা করে বাড়বে।
এই গ্রুপের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিতে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা।
এদিকে যেসব প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যেই উচ্চতর গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, যেমন অষ্টম বা নবম গ্রেড, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন সিদ্ধান্তের প্রভাব নেই। তারা আগের মতোই তাদের গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পেতে থাকবেন।
এই মুহূর্তে প্রধান শিক্ষক পদের ৩৪ হাজার ১০৬টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে। এদের সবাই বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১১তম গ্রেডে বেতন পান। পদোন্নতি পেয়ে তারা দশম গ্রেডে এলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ২১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ রয়েছে ২ হাজার ৬৪৭টি। এসব পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা পূর্বে ১২তম গ্রেডে বেতন পেতেন। এখন তারা সরাসরি দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। এতে সরকারের বাড়তি খরচ হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
মোট ব্যয় হিসাব করলে দেখা যায়, কর্মরত প্রধান শিক্ষক, পদোন্নতিযোগ্য শূন্যপদ এবং সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ মিলিয়ে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন। এরপর শিক্ষকরা সমবেত হয়ে সব প্রধান শিক্ষকের জন্য একই সুবিধা দাবি করেন এবং রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বড় ধরনের শিক্ষক সমাবেশ করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে একটি সুসংহত প্রস্তাব তৈরি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় এর অনুমোদন দেয় এবং তা বাস্তবায়নের পথ সুগম হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে শিক্ষকদের পেশাগত উদ্দীপনা বাড়বে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তারা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।"
এছাড়াও মন্ত্রণালয় একে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা বলছে, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে সরকার তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করেছে।”
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, “প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করায় আমরা কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের আরও দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, জ্যেষ্ঠদের শতভাগ পদোন্নতি এবং চাকরির বয়স বিবেচনায় উচ্চতর গ্রেডের বিষয়টি আমরা সরকারকে সময়সীমা বেঁধে জানিয়ে দিয়েছি।”
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, “শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অধিদপ্তরও আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে। এবার উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে প্রস্তাব তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দিয়েছে।”
-রফিক
অবশেষে দশম গ্রেড পাচ্ছেন প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকরা, কিন্তু আছে কিছু শর্ত!
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, শর্ত পূরণে মিলবে সুবিধাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডের বেতন-ভাতার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে এখন থেকে তারা দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। উপসচিব খালেদা নাছরিনের সই করা আদেশটি প্রকাশের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে এই সুবিধা পেতে প্রধান শিক্ষকদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে—
প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টার সম্মতি নেওয়া
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ
প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ
অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা কর্তৃক বেতন স্কেল যাচাই ও নির্ধারণ
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে চার কপি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করে অর্থ বিভাগের পৃষ্ঠাঙ্কন গ্রহণ
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের টিওঅ্যান্ডই হালনাগাদ করে উন্নীত পদ অন্তর্ভুক্ত করা
বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংশোধন করে নতুন গ্রেড অন্তর্ভুক্ত করা
যারা এখনো প্রশিক্ষণ নেননি, তাদের ১৮ মাসের মধ্যে বিটিপিটি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব শর্ত মেনে চলা
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব শর্ত পূরণ সাপেক্ষেই প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেতন ও সুবিধা পাবেন। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।
/আশিক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: কোটা নীতিমালায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য আবেদন, নির্বাচন, নিশ্চয়ন এবং শেষে চূড়ান্ত ভর্তি—এই ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এবারও ভর্তিতে ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা শুধু তাঁদের ছেলে-মেয়েরা পাবেন, নাতি-নাতনিরা এই কোটার আওতায় আসবে না।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে সেই আসন ফাঁকা না রেখে মেধা তালিকা অনুযায়ী অন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে হবে। একইভাবে, পোষ্য কোটায়ও প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে তাদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করতে হবে। পোষ্য কোটার জন্য নির্ধারিত দপ্তর থেকে প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জুলাই মাসের শিক্ষার্থী আন্দোলনে আহত ও হতাহতদের পরিবারের জন্য প্রস্তাবিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা’ নীতিমালায় রাখা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে শিক্ষা বোর্ডের প্রস্তাবিত খসড়ার ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে তা বাদ দেওয়া হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত থাকবে এবং তা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নিশ্চিত করা হবে। তবে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পোষ্য কোটার আওতায় ২ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে, যদি তারা ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করে।
মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত গেজেট বা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে এবং ভর্তি চলাকালে মূল কপি দেখাতে হবে। সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে কোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব বলেন, "প্রাথমিক খসড়া তৈরির সময় শিক্ষা বোর্ড কিছু সুপারিশ করেছিল। পরে সেসব বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত আলোচনা করে চূড়ান্ত নীতিমালা করা হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো বিতর্ক না হয়।"
/আশিক
বিমান দুর্ঘটনায় পিছিয়ে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২৩ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের নির্ধারিত এইচএসসি পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ১৭ ও ১৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। দুর্ঘটনার কারণে স্থগিত হওয়া লিখিত পরীক্ষার কারণে ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়ও পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এ পরীক্ষার নম্বর ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আপলোড করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক খাতা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র রোল নম্বর অনুসারে সাজিয়ে কেন্দ্র সচিব বা তার মনোনীত প্রতিনিধির কাছে জমা দিতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে পরীক্ষাগুলো পরিচালনা এবং ফলাফল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার নিরাপত্তা, প্রশ্নপত্র বিতরণ ও সময়মতো পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-হাসানুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
- এসএসসি ও সমমান পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল জানতে পারবেন যেভাবে
- ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যে শুল্ক যুদ্ধে নতুন ধোঁয়াশা
- ফেনীতে সাংবাদিক হত্যা পরিকল্পনায় ছাত্রলীগ নেতাদের নাম
- রান্নাঘরের আড়ালে অস্ত্রের গুদাম, নিউমার্কেটে সেনাবাহিনীর বড় অভিযান
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছুঁলো নতুন উচ্চতা
- এসএসসি খাতা পুনর্মূল্যায়নের ফল কাল প্রকাশ, জানুন ফল দেখার নিয়ম
- গত মাসে মক্কা-মদিনায় পবিত্র স্থানগুলোতে ছয় কোটি মুসল্লির উপস্থিতি
- প্রথমবারের মতো ৫ কোটি শিশু পাচ্ছে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা
- উত্তরবঙ্গে রাজশাহী ও দক্ষিণে বরিশাল-খুলনায় বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা: আসিফ মাহমুদ
- সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই বুক ধড়ফড়ায়? সমস্যা বাড়ার আগে যা করণীয়
- কেন বিড়াল-কুকুর ঘাস খায়, বিজ্ঞান কী বলে?
- গাজা দখল রুখতে ওআইসির জরুরি সভার ঘোষণা
- শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা: মির্জা আব্বাস
- মাত্র ১৯ দিন হাতে, অর্থনৈতিক আঘাত এড়ানোর উপায় খুঁজছে ভারত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সিইসি
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- নাটোরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুষ্ঠান বয়কট করলো জেলা বিএনপি
- পার্বত্য এলাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিন আহমদের সতর্কবার্তা
- দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীন আটক হল যেভাবে
- ছাত্রলীগমুক্ত হল - শিক্ষার্থীদের বিজয়ের রাতের গল্প
- ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
- লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি, প্রাণ সংকটে কপিল শর্মা
- যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু
- তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
- গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে
- মাসিক আয় থেকে সঞ্চয় করার সহজ ছয়টি উপায়
- অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার
- রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
- ফেসবুক প্রেমে ফাঁদ, ৯ কোটি রুপি হারালেন বৃদ্ধ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার
- বড় কিছু নিয়ে ফিরছেন শাকিব খান, ভক্তদের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন
- নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা
- আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
- ছবিতে প্রথমে যা দেখলেন, সেটাই বলে দেবে আপনার চরিত্র
- সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
- উপেক্ষার জবাব হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে দিলেন রোনালদো
- আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
- দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
- চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
- হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
- ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল ইরাক
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের ঘোষণা
- নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
- ছয় বছর পর ড্যাবের ভোটযুদ্ধ আজ, চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা
- ১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- মোদিকে গোপন পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
- আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের মনোবিশ্লেষণমূলক পাঠ: একটি প্রজন্মের অবচেতনের বিস্ফোরণ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির সময়মতো ডিভিডেন্ড
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?