আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১৩:৫৬:৫৯
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–এর ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের বিবিএ প্রোগ্রামে ভর্তির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক অনলাইন পোর্টালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যার মাধ্যমে আইবিএ ইউনিটে ভর্তিপ্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হলো।

ভর্তি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর আইবিএ বিবিএ প্রোগ্রামের লিখিত পরীক্ষার প্রাথমিক ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭ ডিসেম্বর নেওয়া হয় কমিউনিকেশন স্কিল টেস্ট। এই দুই ধাপের ফলাফল সমন্বয় করেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ইউজার আইডি ব্যবহার করে অনলাইনে লগইন করে ফলাফল দেখতে পারবেন। পাশাপাশি টেলিটক, বাংলালিংক অথবা গ্রামীণফোন নম্বর থেকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ জন্য ‘DU IBA <পরীক্ষার রোল নম্বর’ লিখে ১৬৩২১ নম্বরে পাঠালে ফিরতি বার্তায় ফলাফল জানানো হবে।

উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে আইবিএর বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ নভেম্বর। অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই ইউনিটে মাত্র ১২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৯ হাজার ৫২টি, যা প্রতি আসনের বিপরীতে বিপুল প্রতিযোগিতার চিত্র তুলে ধরে।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের (ক–ইউনিট) প্রথম বর্ষ স্নাতক পর্যায়ের যে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল, তার নতুন তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

-রাফসান


নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১১:৫২:১৩
নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অন্তত তিন মাস পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা শুরু হলেও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন যে দৃশ্যত ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের জটিলতার পর এবার পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে নতুন এই সংকট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা এবার আগের মতো দশম শ্রেণির মাত্র এক বছরের সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষায় অংশ নেবে। বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে নির্বাচনের পরপরই রমজান মাস শুরু হওয়ায় এবং এরপর ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি থাকায় এপ্রিলের আগে পরীক্ষা শুরু করা প্রায় অসম্ভব। ফলে মে মাসের শুরুর দিকে পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে জানান যে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহ অথবা আগামী সপ্তাহে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে এর আগেও করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার সময়সূচিতে বড় ধরণের ওলট-পালট হয়েছিল। ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে এবং ঈদুল আজহার আগেই পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করার একটি পরিকল্পনা বোর্ডের মাথায় রয়েছে। তাই এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুতে পরীক্ষা শুরু করে এক মাস ১০ দিনের মধ্যে তা শেষ করার ছক কষা হচ্ছে।

পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত না হলেও ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই প্রক্রিয়া চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে সময়সূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তারা যেন মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি বাস্তবসম্মত রুটিন প্রকাশ করবে যাতে নির্বাচন ও ধর্মীয় উৎসবের কোনো প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর না পড়ে।


স্থগিত হওয়া ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা: জানুন নিয়ম

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৮:০৫:৫৪
স্থগিত হওয়া ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা: জানুন নিয়ম
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে সকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ভর্তি পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কেন্দ্র পরিবর্তনের বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে যেসব পরীক্ষার্থীর আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে, তারা চাইলে নিজেদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে সিট পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই সুযোগ রাখা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ভর্তি ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি আপলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে বিজ্ঞান ইউনিটের এই পরীক্ষাটি গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশজুড়ে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করায় শুক্রবার আকস্মিকভাবে এই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শোক কাটিয়ে ওঠার পর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষাগুলো ইতোমধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১৩ ডিসেম্বর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট এবং নভেম্বরের শেষ দিকে চারুকলা ও আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস জানিয়েছে যে ২৭ ডিসেম্বরের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সময়মতো কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


জাবিতে শুরু হচ্ছে ভর্তি যুদ্ধ: পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ও আসন বিন্যাস জানুন

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১০:৩৯:০৩
জাবিতে শুরু হচ্ছে ভর্তি যুদ্ধ: পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ও আসন বিন্যাস জানুন
ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এই ভর্তি যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে যা আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাতটি ইউনিটের ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে এবার প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করবেন গড়ে ১১৯ জন শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির তথ্য অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ‘বি’ ও ‘ই’ ইউনিট এবং ২৩ ডিসেম্বর ‘সি১’ ও ‘ডি’ ইউনিটের একাংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ডিসেম্বর ‘ডি’ ইউনিটের বাকি অংশ এবং ২৮ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের একাংশ ও আইবিএ-জেইউ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। ২৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের অবশিষ্ট অংশের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে। এবার জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে প্রতিযোগিতার হার সবচেয়ে বেশি যেখানে ৩১০টি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৭০ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ এই ইউনিটে প্রতিটি আসনের বিপরীতে ২২৭ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধ এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমের সভাপতিত্বে ৪৪ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ২৫০ জন পুলিশ এবং ৬০ জন আনসার সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মোতায়েন থাকবেন। বিশেষ করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।

জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা সবসময় প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে যে প্রতিদিন একাধিক শিফটে এই পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ১ হাজার ৮১৪টি আসনের বিপরীতে আসনপ্রতি প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন যা এবার কমে ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশা করছে যে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়েই এই বছরের মেধা যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় সময়সূচি পরিবর্তন, যেদিন হবে

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৭:৫৫:৫০
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় সময়সূচি পরিবর্তন, যেদিন হবে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নোটিশ আগামী রোববার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ঘোষিত একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই দিনের সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক সভায় পরীক্ষা পুনর্নির্ধারণ করে ২৭ ডিসেম্বর নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।

একই দিনে সকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে বিজ্ঞান বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জানান, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ঢাকার বাইরে কোনো বিভাগীয় কেন্দ্রে আবেদন করেছিলেন এবং একই দিনে এমআইএসটির পরীক্ষায় অংশ নেবেন, তাদের জন্য ঢাকার কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। এতে করে পরীক্ষার্থীরা সময় ও যাতায়াতজনিত জটিলতা ছাড়াই উভয় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা ছাড়াও মোট আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে এমআইএসটির ভর্তি পরীক্ষা কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক। পরীক্ষার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, নতুন তারিখ ও বিশেষ ব্যবস্থার ফলে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

-শরিফুল


শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ২১:১৪:১১
শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল (অনার্স) ২০২৪ সালের পরীক্ষা, যা শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্রহণ করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী জানান, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থগিত হওয়া ফাজিল (অনার্স) পরীক্ষার নতুন তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদেরকে নিয়মিতভাবে অফিসিয়াল নোটিশ ও বিজ্ঞপ্তির দিকে নজর রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরবর্তী আপডেট সম্পর্কে তারা সময়মতো অবগত হতে পারেন।

-রাফসান


বিপাকে ৩,৫০০ শিক্ষক-সাংবাদিক: হাই কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১১:৩৭:০৮
বিপাকে ৩,৫০০ শিক্ষক-সাংবাদিক: হাই কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি
ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন ‘এমপিও নীতিমালা-২০২৫’ জারির পর দেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মফস্বল সাংবাদিক তথা এমপিওভুক্ত শিক্ষক চরম পেশাগত সংকটে পড়েছেন। গত ৭ ডিসেম্বর জারি করা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক চাকরি বা সাংবাদিকতা ও আইন পেশার মতো লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করার কঠোর বিধান রাখা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সারা দেশের হাজার হাজার শিক্ষক-সাংবাদিকের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং তারা এই নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইতিমধ্যে এই সংকট মোকাবিলায় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-সাংবাদিক গ্রুপ’ এবং ‘বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-সাংবাদিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম’ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্রুপটির আহ্বায়ক এবং শেরপুর মডেল গার্লস কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ হাসান বাদল দাবি করেন, প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক বর্তমানে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। তার মতে, মফস্বল পর্যায়ে সাংবাদিকতা কোনো লাভজনক বা দ্বৈত পেশা নয়, বরং তারা এখান থেকে নামমাত্র সম্মানী পান। শিক্ষকদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি বা কাজি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকলেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের একটি অংশের ক্ষোভের প্রতিফলন। মাদারীপুরের এক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি চিকিৎসকরা যদি দায়িত্ব শেষে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে পারেন, তবে শিক্ষকদের সৃজনশীল কাজ বা সাংবাদিকতা কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এদিকে নীতিমালা জারির পরপরই মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইতিমধ্যে তার আওতাধীন সাত উপজেলায় কতজন শিক্ষক সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় যুক্ত আছেন, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মতে, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক লাভজনক অন্য পেশায় যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং তথ্য যাচাই শেষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনিক তদন্তে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ডিসিদের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতেই সরকার এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মতবিনিময় সভায় যুক্তি দেওয়া হয় যে, শিক্ষকরা জাতীয় নির্বাচনে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাই তারা যদি প্রকাশ্যে সাংবাদিকতা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকেন, তবে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।

নতুন এই নীতিমালা নিয়ে শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একপক্ষ মনে করছে, এটি শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে অন্যপক্ষ আশঙ্কা করছে, এর ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতার মান নিচে নেমে যাবে। কারণ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব ও সাংবাদিকতায় শিক্ষিত শিক্ষকরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা মনে করছেন, সাংবাদিকতা ও আইন পেশাকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত, অন্যথায় স্থানীয় গণমাধ্যম দুর্বল হয়ে পড়বে এবং শিক্ষকসমাজে অস্থিরতা তৈরি হবে।


৫৪ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হয়নি: রাবি উপাচার্য

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১৮:৪৯:৪০
৫৪ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হয়নি: রাবি উপাচার্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। ছবি : কালবেলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন যে বিজয়ের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতি হিসেবে আমরা মুক্তিযুদ্ধের একটি সুস্থ ও সঠিক ইতিহাস গড়ে তুলতে পারিনি যা রাষ্ট্রের জন্য মোটেও সুখকর কোনো সংবাদ নয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন যে দীর্ঘ সময় পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের একটি স্পষ্ট ও সর্বজনগ্রাহ্য ব্যাখ্যা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত অনেক বই ও দলিলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। উপাচার্য জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যে যারা রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন তারা ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছেন তাই নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার গুরুদায়িত্ব এখন তাদেরই পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান অকপটে স্বীকার করেন যে মুক্তিযোদ্ধারা একটি সুন্দর ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন ৫৪ বছরেও আমরা একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে পারিনি যার ফলশ্রুতিতে দেশের প্রয়োজনে আমাদের ছাত্রদের বারবার রক্ত দিতে হচ্ছে। জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মামুনুল কেরামত। তিনি ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বলেন যে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান—সবই একই সূত্রে গাঁথা যেখানে আবু সাঈদসহ হাজারো মানুষ সাম্য ও ন্যায়বিচারের জন্য জীবন দিয়েছেন।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় যা ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আবেগঘন মুহূর্ত। বক্তারা জুলাই ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই ধারাবাহিকতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে দেশের মানুষ যাতে অর্থনৈতিক মুক্তি পায় এবং সবাই যেন সমতায় চলতে পারে সেই লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের নিয়ম জানুন

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১০:৫৫:৫৩
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের নিয়ম জানুন
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। রোববার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে জানান, ভর্তিচ্ছুরা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেদের ফলাফল জানতে পারবেন। ফলাফল দেখার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd ছাড়াও নির্ধারিত ফলাফল সার্ভার result.dghs.gov.bd ব্যবহার করা যাবে।

অনলাইনে ফল জানার ক্ষেত্রে প্রথমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখানে প্রদর্শিত MBBS Result 2025 2026 শীর্ষক লিংকে ক্লিক করতে হবে। নির্ধারিত ঘরে নিজের অ্যাডমিশন রোল নম্বর প্রবেশ করিয়ে রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ফলাফল দেখা যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ফলাফল ডাউনলোড করা কিংবা স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করা যাবে।

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকার পূর্ণাঙ্গ পিডিএফ কপি result.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুরা সেখানে গিয়ে সামগ্রিক মেরিট অবস্থান যাচাই করতে পারবেন।

ফলাফল নিয়ে কোনো সংশয় থাকলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগও রাখা হয়েছে। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। আবেদন করতে প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে DGHS RSC রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। এর পর ফিরতি বার্তায় একটি পিন নম্বর পাওয়া যাবে। সেই পিন নম্বর ব্যবহার করে দ্বিতীয় এসএমএসে DGHS RSC YES পিন নম্বর লিখে পুনরায় ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে আবেদন সম্পন্ন হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদন ফি হিসেবে ১০০০ টাকা মোবাইল ব্যালেন্স থেকে কেটে নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে সময়মতো আবেদন করলে ফল পুনর্নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

-রাফসান


টাকার জন্য পরীক্ষায় বসতে পারল না সপ্তম শ্রেণির হাসিবুল

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ১৮:১০:০৫
টাকার জন্য পরীক্ষায় বসতে পারল না সপ্তম শ্রেণির হাসিবুল
ছবি : সংগৃহীত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে না পারায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ১ হাজার ৬২০ টাকার জন্য ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হওয়ার এই ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

টাকার অভাবে পরীক্ষা বন্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসিবুল বাসার আব্দুল্লাহ ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালীপাড়া মহল্লার দুদু মিয়ার নাতি। তার মা লাভলী আক্তার দিনমজুর স্বামীর স্বল্প আয়ের কারণে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছেন। দরিদ্রতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বেতন সেশন ফি ও পাঠ্যসহায়ক বইয়ের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবারটি।

জানা গেছে চলতি শিক্ষাবর্ষে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হাসিবুলের মা পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন হিসাব সহকারী জানান সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি বাবদ ১ হাজার ৬২০ টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় বসা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে মা ছেলেকে নানির কাছে রেখে চলে যান। পরবর্তীতে হাসিবুলের নানি সুফিয়া বেগম অনেক কষ্টে এক হাজার টাকা জোগাড় করে স্কুলে গিয়ে অনুরোধ জানালেও তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি হাসিবুল।

শিক্ষার্থীর কান্না ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাসিবুল জানায় সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে পরীক্ষা দিতে না পারায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এভাবে সপ্তম শ্রেণিতেই আটকে গেলে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে এই কিশোর।

অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা ও দায় এড়ানোর চেষ্টা এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জুলফিকার রহমান দাবি করেন বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। তিনি বলেন পরীক্ষার জন্য আলাদা কমিটি ছিল। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ফি মওকুফের তহবিল রয়েছে এবং পরিবার আবেদন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সুযোগ ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারি স্কুলে অর্থের অভাবে পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

ডিএসই–৩০ তালিকায় অধিকাংশ শেয়ারের দর যেমন

ডিএসই–৩০ তালিকায় অধিকাংশ শেয়ারের দর যেমন

ঢাকা শেয়ারবাজারে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসই–৩০–এ অন্তর্ভুক্ত শেয়ারগুলোতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্ন পর্যন্ত সক্রিয় লেনদেন ও দরের উত্থান-পতনের মিশ্র চিত্র... বিস্তারিত