দুই বোন হত্যা: সিসিটিভিতে ধরা পড়া যুবক আটক

অপরাধ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ১৫:৫১:৪৩
দুই বোন হত্যা: সিসিটিভিতে ধরা পড়া যুবক আটক

সত্য নিউজ: রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোন—মরিয়ম বেগম ও সুফিয়া বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তরুণ গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৮), নিহতদের ছোট বোনের ছেলে। রবিবার গভীর রাতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বিকেল ৪টায় মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে নিহতদের বাসার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গোলাম রব্বানী বাড়িতে প্রবেশ করছেন। পরে তিনি দুই খালাকে ছুরিকাঘাত ও শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যান। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহের স্মৃতি এখনও জাতির মনে জেগে থাকলেও, এ ধরনের পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে ঘটে যাওয়া নৃশংসতা নতুন করে সমাজে উদ্বেগ তৈরি করছে। পুলিশ জানিয়েছে, রব্বানী মুঠোফোনে আসক্ত ও আগ্রাসী স্বভাবের, এমনকি একসময় বিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।

ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ির সিসিটিভিতে দেখা যায়, নীল জিনস ও গাঢ় নীল শার্ট পরিহিত একজন ব্যক্তি কমলা রঙের ক্যাপ ও মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পোশাক বদলে আবার বের হয়ে যান। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ব্যক্তিই গোলাম রব্বানী।

এ ঘটনায় নিহত মরিয়ম বেগমের স্বামী কাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরে বলেন, "আমার মা ছোটবেলা থেকে ওকে (গোলাম রব্বানী) আদর করতেন, অথচ সে-ই তাঁদের জীবন কেড়ে নিল। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।"

বাসায় তখন মরিয়মের স্বামী ও মেয়ে নুসরাত বাইরে ছিলেন। রাতে নুসরাত বাসায় ফিরে কলিংবেল বাজিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে বিকল্প চাবি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ ডাইনিং রুমে এবং খালার লাশ শোবার ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। শরবতের গ্লাস ও রক্তমাখা ছুরি–শিলনোড়া ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।

নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হিমঘরে রাখা হয়েছে এবং তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ভবিষ্যতে এই ঘটনার নেপথ্য কারণ ও আসামির মানসিক অবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত