আজকের স্বর্ণের বাজারদর এক নজরে

বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ সমন্বয় করা হয়েছে, যা দেশের জুয়েলারি খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত ৫ জুন রাতে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। এতে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা, যা আগের থেকে ২ হাজার ৪১৫ টাকা বেশি। এর পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা।
স্বর্ণের এই নতুন মূল্য আগামীকাল শনিবার (১৪ জুন) থেকে দেশের বিভিন্ন বাজারে কার্যকর হচ্ছে। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বর্ণ বিক্রয়ের মূল্যের সঙ্গে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মান অনুযায়ী মজুরির হার পরিবর্তিত হতে পারে, যা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে আলাদা আলাদা হতে পারে।
এ বিষয়ে বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারেও এর দাম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রার মূল্য পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংকটের প্রভাবও দেশের স্বর্ণ বাজারে প্রভাব ফেলছে।
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশের বাজারে মোট ৩৭ বার স্বর্ণের দাম পরিবর্তিত হয়েছে, যার মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৫ বার এবং কমানো হয়েছে ১২ বার। তুলনামূলকভাবে ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বৃদ্ধি এবং ২৭ বার দাম হ্রাস করা হয়েছিল। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, স্বর্ণের মূল্য বাজারে উঠানামা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে, রুপার দাম গত কয়েক মাস ধরে স্থির রয়েছে। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট রুপার প্রতি ভরি দাম রয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা। রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকায় বিনিয়োগকারীদের অনেকেই রুপার দিকে ঝুঁকছেন বলে জানান বাজার বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এসব কারণে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশে যদিও স্বর্ণের আমদানি সীমিত এবং শুল্কভুক্ত, তবুও আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে দেশের বাজারে।
এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে গহনা শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের জন্যও দামি হয়ে উঠছে স্বর্ণালংকার। বিশেষ করে বিয়ের মৌসুম ও উৎসব উপলক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব ব্যবসায়ীদের ওপর পড়তে পারে। তাই ক্রেতাদের সচেতন ও বাজারে দাম সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সর্বশেষ সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি হলেও, রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে দুই পণ্যের প্রতি ভিন্ন ভিন্ন মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে দেশীয় স্বর্ণ ও রুপার বাজারে কেমন প্রভাব পড়বে, তা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা