আপনার সুরক্ষা এখন ক্রোমের হাতে: অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢুকতে দেবে না নতুন ফিচার

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৮:৩০:২২
আপনার সুরক্ষা এখন ক্রোমের হাতে: অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢুকতে দেবে না নতুন ফিচার
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে আসছে নতুন শক্তিশালী নিরাপত্তা ফিচার 'Always Use Secure Connections'। ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ক্রোমের ১৫৪তম সংস্করণে এই নতুন সুবিধাটি যুক্ত হবে। গুগল আশা করছে, এই ফিচারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে আরও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।

গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফিচারটি সক্রিয় করা থাকলে, কোনো ওয়েবসাইট যদি নিরাপদ HTTPS সংযোগ ব্যবহার না করে (অর্থাৎ HTTP সংযোগ ব্যবহার করে), তবে ব্রাউজার ব্যবহারকারীকে আগে থেকেই সতর্ক করবে এবং সেই সাইটে প্রবেশের অনুমতি চাইবে।

কেন প্রয়োজন এই নতুন ফিচার?

গুগলের মতে, অনিরাপদ বা HTTP সাইটে প্রবেশ করলে হ্যাকাররা সহজেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করতে পারে বা ক্ষতিকর কনটেন্ট পাঠাতে পারে। এতে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, ফিশিং বা ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। নতুন ফিচারটির ফলে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ সাইটে ঢোকার আগেই সতর্কবার্তা পাবেন, যা অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে ক্রোম এই সতর্কবার্তা বারবার একই সাইটের জন্য দেবে না। ব্যবহারকারী যদি কোনো অনিরাপদ ওয়েবসাইট নিয়মিত ব্যবহার করেন, তবে পরবর্তীতে সেই সতর্কতা আর দেখা যাবে না। কিন্তু নতুন বা অচেনা কোনো অনিরাপদ সাইটে ঢোকার সময় সতর্কবার্তা দেখা যাবে।

ব্যবহারকারীরা চাইলে এই ফিচারটি শুধুমাত্র পাবলিক ওয়েবসাইটের জন্য চালু রাখতে পারেন, অথবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কসহ (Personal Network) সব সাইটের জন্যও সক্রিয় করতে পারেন। ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক সাধারণত কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য এই ফিচারটি সক্রিয় করা কার্যকর হতে পারে।

ওয়েব ডেভেলপারদের প্রতি পরামর্শ

বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রায় ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ওয়েবসাইটই নিরাপদ HTTPS সংযোগ ব্যবহার করছে। যেখানে ২০১৫ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ। এই কারণে গুগল মনে করছে, অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্য এই নতুন নিরাপত্তা পরিবর্তনটি খুব একটা ঝামেলা তৈরি করবে না।

গুগল জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই ক্রোম ১৪৭ সংস্করণ থেকে Enhanced Safe Browsing ফিচারের মাধ্যমে প্রায় একশ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য এই সিকিউর কানেকশন সুবিধা চালু হবে। তাই ওয়েব ডেভেলপারদের এখন থেকেই তাদের সাইটগুলো পরীক্ষা করে নিরাপদ সংযোগ বা HTTPS নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুগল HTTPS Upgrade ফিচার চালু করেছিল, যা ওয়েবপেজের ভেতরের HTTP লিংকগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে HTTPS-এ রূপান্তর করে দিত।

সূত্র : প্রযুক্তি


বদলে গেল ইতিহাস: পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন দাবি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ০৯:৪৯:৩২
বদলে গেল ইতিহাস: পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন দাবি
ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর বুকে প্রাণের উদ্ভব ঠিক কবে হয়েছিল, তা নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারণা পাল্টে দিয়েছে নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এতদিন মনে করা হতো পৃথিবী সৃষ্টির অনেক পরে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন দাবি করছেন যে আমাদের ভাবনারও অনেক আগে—পৃথিবী সৃষ্টির মাত্র ৪০ কোটি বছর পরেই—প্রাণের স্পন্দন শুরু হয়েছিল। সাম্প্রতিক এই গবেষণায় উঠে এসেছে ‘লাস্ট ইউনিভার্সাল কমন অ্যানসেস্টর’ বা সংক্ষেপে ‘লুকা’র নাম, যাকে বর্তমান বিশ্বের সব প্রাণের আদিমতম পূর্বপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিশালাকায় নীল তিমি থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত সবার মূলেই রয়েছে এই এককোষী অণুজীব।

ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত এবং ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, আজ থেকে প্রায় ৪২০ কোটি বছর আগেই ‘লুকা’ পৃথিবীর বুকে অস্তিত্বশীল ছিল। পৃথিবীর বয়স আনুমানিক ৪৬০ কোটি বছর। আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ৪০০ কোটি বছর আগে প্রাণের জন্ম হয়। কিন্তু নতুন এই তথ্য প্রাণের সময়কালকে অন্তত ২০ কোটি বছর এগিয়ে এনেছে। এত প্রাচীন সময়ের কোনো জীবাশ্ম বা ফসিল পাওয়া অসম্ভব। তাই বিজ্ঞানীরা আণুবীক্ষণিক ফাইলোজেনেটিক্স কৌশল এবং বিবর্তনের জটিল গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে বর্তমান প্রাণীদের জিনের বিশ্লেষণ ঘটিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

রহস্যময় এই ‘লুকা’ ছিল মূলত একটি সরল এককোষী অণুজীব বা প্রোক্যারিওট। তবে গঠন সরল হলেও এর মধ্যে এক ধরনের আদিম রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা, যা বেশ চমকপ্রদ। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, সে সময় লুকা একাই পৃথিবীতে ছিল না। বিজ্ঞানীদের অনুমান, লুকার বর্জ্যের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকত এমন আরও কিছু অণুজীব তখন বিদ্যমান ছিল। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, সৃষ্টির একদম শুরুর দিকেই পৃথিবীতে একটি প্রাথমিক বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছিল। ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের কয়েকশ কোটি বছর আগেই যে প্রাণ তার ডালপালা মেলতে শুরু করেছিল, এই আবিষ্কার তা নতুন করে প্রমাণ করল।


মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১২:০০:৫৫
মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
ছবি : সংগৃহীত

মহাবিশ্বের একেবারে শুরুর দিকে এমন কিছু নক্ষত্রের অস্তিত্ব ছিল যা বর্তমানের নক্ষত্রগুলোর তুলনায় ছিল অকল্পনীয় রকমের বিশাল ও শক্তিশালী। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমনই কিছু ‘মহাজাগতিক দৈত্যের’ সন্ধান পেয়েছেন। গবেষকরা আকৃতি ও প্রকৃতির বিশালতার কারণে এই আদিম নক্ষত্রগুলোকে পৃথিবীর ডাইনোসরের সঙ্গে তুলনা করছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই নক্ষত্রগুলোর ভর ছিল সূর্যের তুলনায় এক হাজার থেকে দশ হাজার গুণ বেশি, যা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণাকেও পাল্টে দিচ্ছে।

এসব নক্ষত্রের জীবনকাল ছিল মহাজাগতিক সময়ের হিসেবে খুবই সংক্ষিপ্ত। গবেষকদের মতে, এগুলো মাত্র দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার বছরের মতো টিকে থাকত। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, মৃত্যুর সময় এই নক্ষত্রগুলোতে সাধারণ নক্ষত্রের মতো কোনো সুপারনোভা বা বিস্ফোরণ ঘটত না। বরং বিশাল ভরের কারণে নিজস্ব অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে এগুলো সরাসরি ব্ল্যাক হোলে রূপান্তরিত হতো। পৃথিবী থেকে প্রায় ১২.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত GS 3073 নামের একটি গ্যালাক্সি থেকে এই যুগান্তকারী তথ্য পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো, বিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মাত্র ১.১ বিলিয়ন বছর পরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে ওই গ্যালাক্সির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত অসামঞ্জস্য খুঁজে পান। সেখানে অক্সিজেনের তুলনায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। সাধারণ নক্ষত্র বা পরিচিত কোনো নক্ষত্র-বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব ছিল না। পরে কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, সূর্যের চেয়ে হাজার গুণ ভারী নক্ষত্রের ভেতরে চলা বিশেষ পারমাণবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেবল এত বিপুল পরিমাণ নাইট্রোজেন তৈরি হওয়া সম্ভব।

এই গবেষণাটি মহাবিশ্বের সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা অতিভরের কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত তৈরি হয়েছিল, সেই রহস্য উন্মোচনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষকদের ধারণা, আদিম যুগের এই বিশাল নক্ষত্রগুলো সরাসরি ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতো এবং পরবর্তীতে এসব ব্ল্যাক হোল একে অপরের সঙ্গে মিশে গিয়ে দ্রুততম সময়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলগুলো তৈরি করত। GS 3073 গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা বিশাল ব্ল্যাক হোলটিও সম্ভবত এভাবেই গঠিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


ভিডিও এডিটিং এখন আরও সহজ: অ্যাডোবির ফায়ারফ্লাই নতুন রূপে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:১৫:০৬
ভিডিও এডিটিং এখন আরও সহজ: অ্যাডোবির ফায়ারফ্লাই নতুন রূপে
ছবি : সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির জগতে বড় ধরনের চমক নিয়ে এল অ্যাডোবি। তাদের জনপ্রিয় ভিডিও টুল ফায়ারফ্লাইয়ে যুক্ত হয়েছে এক নতুন আপডেট। এখন থেকে ব্যবহারকারীরা কেবল টেক্সট বা লেখা কমান্ড দিয়েই ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশে পরিবর্তন আনতে পারবেন।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ছোট কোনো পরিবর্তনের জন্য এখন আর পুরো ভিডিও নতুন করে তৈরি করার প্রয়োজন হবে না। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আগের সংস্করণের সেই বড় সীমাবদ্ধতা এবার দূর করা হয়েছে।

নতুন এই এডিটরের মাধ্যমে ভিডিওর রং পরিবর্তন, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ঠিক করা কিংবা ভিডিওর ভেতরের কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বদলে ফেলার মতো জটিল কাজগুলো এখন মুহূর্তেই করা সম্ভব। ভিডিও নির্মাতাদের কাজ সহজ করতে এতে একটি টাইমলাইন সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে।

এই টাইমলাইনের সাহায্যে ভিডিওর ফ্রেম, অডিওসহ বিভিন্ন কারিগরি দিক আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। গত অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই এডিটরটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে অ্যাডোবি।

শুধু নিজেদের প্রযুক্তি নয়, ফায়ারফ্লাইয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী কিছু এআই মডেলও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছবি তৈরির জন্য রয়েছে ‘ফ্লাক্স.২’ এবং ভিডিওর মান বাড়িয়ে ১০৮০পি বা ৪কে রেজল্যুশনে রূপান্তর করার জন্য যুক্ত হয়েছে ‘অ্যাস্ট্রা’ মডেল।

এছড়াও ফায়ারফ্লাই ভিডিও টুলে ক্যামেরার মুভমেন্ট বা নড়াচড়া আরও উন্নত ও মসৃণ করার সুবিধা যোগ হয়েছে। অ্যাডোবি আশা করছে, যুগান্তকারী এই আপডেট ভিডিও নির্মাতাদের সময় বাঁচাবে এবং কাজের গতি বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে।


ডায়মন্ড অ্যানভিল সেলে জানা গেল পৃথিবীর জন্মরহস্য

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ২১:২৭:২১
ডায়মন্ড অ্যানভিল সেলে জানা গেল পৃথিবীর জন্মরহস্য
ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর গভীরতম স্তরে বিদ্যমান খনিজ ‘ব্রিজম্যানাইট’ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই খনিজটি আগের ধারণার চেয়ে ৫ থেকে ১০০ গুণ বেশি পানি ধারণ করে রেখেছিল। ১২ ডিসেম্বর বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এই চাঞ্চল্যকর গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে এই আবিষ্কার পৃথিবীতে পানি কীভাবে টিকে ছিল এবং গ্রহটি কীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠল সেই ধারণায় আমূল পরিবর্তন আনছে। চীনের গুয়াংঝু ইনস্টিটিউট অব জিওকেমিস্ট্রির গবেষক ওয়েনহুয়া লু ও অধ্যাপক দু ঝিশুয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণাটি পৃথিবীর জন্মলগ্নের রহস্য উন্মোচনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে যখন গ্রহটির পৃষ্ঠ গলিত ম্যাগমা বা আগুনের সাগরে ঢাকা ছিল তখনও উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি হওয়া ব্রিজম্যানাইট তার ভেতরে বিপুল পরিমাণ পানি আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

গবেষণাগারে এই তত্ত্ব যাচাই করতে বিজ্ঞানীরা ‘ডায়মন্ড অ্যানভিল সেল’ নামক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে লেজারের সাহায্যে ৪ হাজার ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা ও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে এত চরম তাপমাত্রায় ব্রিজম্যানাইটের আণবিক গঠন এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যাতে পানির অণু সহজেই তার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। পূর্ববর্তী গবেষণায় ধারণা করা হতো যে এই খনিজে পানির পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিয়নে ২২০ ভাগের কম কিন্তু নতুন ফলাফলে দেখা গেছে পৃথিবীর নিচের ম্যান্টলে বা লোয়ার ম্যান্টলে জমে থাকা পানির পরিমাণ বর্তমান পৃথিবীর সব মহাসাগরের মোট পানির ০.০৮ থেকে ১ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। গবেষকরা মনে করছেন এই গভীর পানিই পৃথিবীর ভূ-অভ্যন্তরের চলাচল সহজ করেছিল এবং শিলাকে নরম করে গলনাঙ্ক কমানোর পাশাপাশি প্লেট টেকটনিকস বা ভূত্বকের প্লেটের চলাচল সক্রিয় রাখতে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় এই আবদ্ধ পানিই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে উঠে এসে বায়ুমন্ডল ও আজকের বিশাল মহাসাগর গঠনে সহায়তা করেছে যা পৃথিবীকে প্রাণের জন্য বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই বিপদ: জানুন কেন

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ২১:১১:২২
ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই বিপদ: জানুন কেন

ডিজিটাল বিপ্লবের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ ও দ্রুততর করলেও এর অন্তরালে ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে অনলাইন প্রতারণার কালো ছায়া। প্রযুক্তির আশীর্বাদকে পুঁজি করে এক শ্রেণির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ভার্চুয়াল জগতকে অপরাধের নতুন চারণক্ষেত্রে পরিণত করেছে যেখানে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে গড়ে ওঠা সাধারণ সখ্যতা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে বড় ধরনের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রতারকরা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে অত্যন্ত সুচতুরভাবে প্রবাসী ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করছে। কখনো বন্ধুত্ব আবার কখনো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলে যা আসলে এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।

বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের অপরাধের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন যে প্রতারকরা এখন আর তাড়াহুড়ো করে না বরং তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর মনে এমনভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ না থাকে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা হঠাৎ করে নিজের মিথ্যা অসুস্থতা ব্যবসায়িক বড় ক্ষতি বা আইনি জটিলতার মতো জরুরি পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ সহায়তা চেয়ে বসে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ভুয়া নথিপত্র ছবি বা ভিডিও পাঠাতেও দ্বিধা করে না। প্রতারণার আরেকটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে তারা ভিডিও কলকে বেছে নিচ্ছে যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বা আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ইউনিটের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে অনলাইন প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না বা লজ্জায় এড়িয়ে যান যার ফলে অপরাধীরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। পুলিশের পক্ষ থেকে অপরিচিত কারও অনুরোধে হুট করে অর্থ পাঠানো ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য শেয়ার করা কিংবা যাচাই না করে কোনো সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অনলাইনে পরিচয় হওয়াটা দোষের কিছু না হলেও বাস্তব জীবনে সেই ব্যক্তির পরিচয় ও পটভূমি যাচাই না করে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন বা গভীর সম্পর্কে জড়ানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই একমাত্র সচেতনতাই পারে এই ডিজিটাল ফাঁদ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।


সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলকের পথে নাসা

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ১১:৩৩:৩০
সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলকের পথে নাসা
ছবি : সংগৃহীত

মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছে মানবজাতির তৈরি সবচেয়ে দূরবর্তী বস্তু ভয়েজার-১। ১৯৭৭ সালে পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া এই মহাকাশযানটি ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে এমন এক মহাজাগতিক অবস্থানে পৌঁছাবে যেখানে আলো বা রেডিও সংকেতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে পূর্ণ ২৪ ঘণ্টা। বিজ্ঞানের ভাষায় এই বিশাল দূরত্বকে বলা হয় এক লাইট-ডে বা আলোক-দিবস যা প্রায় ১৬ বিলিয়ন মাইল বা ২৬ বিলিয়ন কিলোমিটারের সমান। বর্তমানে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫.৮ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করা এই নভোযানটি আমাদের সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রের সুরক্ষাবলয় বা হেলিওস্ফিয়ার অতিক্রম করে এখন নক্ষত্রমন্ডলীর মধ্যবর্তী বা ইন্টারস্টেলার স্পেসের গভীর অন্ধকারে বিচরণ করছে।

এই বিপুল দূরত্বের কারণে ভয়েজার-১ এর সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন এক চরম ধৈর্যের পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজি ডড বিষয়টিকে সহজ করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান যে পৃথিবী থেকে কোনো নির্দেশ পাঠালে তা মহাকাশযানে পৌঁছাতে এবং সেখান থেকে উত্তর ফিরে আসতে সময় লাগে প্রায় দুই দিন। উদাহরণস্বরূপ সোমবার সকাল ৮টায় পৃথিবী থেকে শুভ সকাল বার্তা পাঠালে তার প্রতিউত্তরের জন্য বিজ্ঞানীদের অপেক্ষা করতে হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত। মহাকাশযানটি এবং এর যমজ ভয়েজার-২ প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে চালু থাকায় এদের শক্তি ভান্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে যার ফলে প্রকৌশলীরা বাধ্য হয়েই একের পর এক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিচ্ছেন যাতে ন্যূনতম শক্তিতেও এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।

ভয়েজার-১ এর বেঁচে থাকার লড়াইটা অত্যন্ত প্রযুক্তিগত ও সূক্ষ্ম কারণ এর অ্যান্টেনাটিকে সবসময় নিখুঁতভাবে পৃথিবীর দিকে তাক করে রাখতে হয়। মহাকাশের চরম ঠান্ডায় যদি জ্বালানি সরবরাহকারী পাইপগুলো জমে যায় এবং অ্যান্টেনার দিক সামান্যতমও সরে যায় তবে পৃথিবীর সঙ্গে এর সংযোগ চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং মিশনটি সমাপ্ত বলে গণ্য হবে। এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও মাত্র ১৬০ বিট প্রতি সেকেন্ড গতিতে বা পুরনো আমলের ডায়াল আপ ইন্টারনেটের মতো ধীরগতিতে এটি এখনও হেলিওপজ বা সূর্যের প্রভাবসীমার বাইরের অজানা তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়ে যাচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানী দল আশা করছেন অন্তত ২০২৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশযানটির বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সচল রাখা সম্ভব হবে এবং কেউ কেউ আশাবাদী যে এটি আরও দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আমাদের তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করবে। শেষ পর্যন্ত ভয়েজার শুধু একটি যন্ত্র নয় বরং এটি অসীম মহাকাশে পৃথিবীর এক নিঃসঙ্গ দূত যা মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জানান দিয়ে চলেছে।


পড়ালেখা ও কাজে এআই ব্যবহারের ১০ কার্যকর কৌশল

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৯:০৪:৫৯
পড়ালেখা ও কাজে এআই ব্যবহারের ১০ কার্যকর কৌশল
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা ও পেশাজীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং একটি কার্যকর সহায়ক শক্তি। পড়ালেখা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, গবেষণা কিংবা সৃজনশীল উপস্থাপনা সব ক্ষেত্রেই এআই ব্যবহার সময় বাঁচাচ্ছে, কাজকে করছে আরও নিখুঁত ও আধুনিক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই কখনোই মানুষের বিকল্প নয়; বরং এটি হতে পারে দক্ষতার পরিপূরক। কীভাবে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে এআই ব্যবহার করে নিজেকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় জেনে নেওয়া যাক ১০টি কার্যকর উপায়।

১. স্মার্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি

এখন প্রেজেন্টেশন বানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্লাইড ডিজাইনে সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গামা এআই কিংবা ক্যানভার মতো প্ল্যাটফর্মে বিষয় ও নির্দেশনা দিলেই এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লাইডের কাঠামো, ডিজাইন ও লেআউট তৈরি করে দেয়। প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রভাষক জিনাত সানজিদা মনে করেন, নিজের চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে এআই যুক্ত করলে উপস্থাপনা আরও শক্তিশালী হয়। তবে পুরো কাজ এআইয়ের ওপর ছেড়ে না দিয়ে এটিকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের।

২. ক্লাসওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্টে সহায়তা

চ্যাটজিপিটি, জেমিনি বা এক্সামএআইয়ের মতো টুল শিক্ষার্থীদের লেখালেখি, বিশ্লেষণ ও তথ্যসংগ্রহে সহায়তা করে। ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের শিক্ষক এইচ এম আতিফ ওয়াফিক জানান, এসব টুল সৃজনশীল চিন্তাকে উসকে দিতে পারে, তবে সরাসরি কপি করলে ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকে। এআই থেকে পাওয়া ধারণা যাচাই করে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই সঠিক পন্থা।

৩. বানান ও ব্যাকরণ সংশোধন

ইংরেজি লেখায় দুর্বলতা কাটাতে গ্রামারলি ও কুইলবট অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো শুধু ভুল ধরিয়ে দেয় না, বরং বাক্য গঠনের উন্নয়নেও সহায়তা করে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বুশরা হুমায়রা বলেন, এসব টুল শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে, তবে ভুলের কারণ বোঝার চেষ্টাও জরুরি।

৪. বড় পিডিএফ সহজে বোঝা

গবেষণাপত্র বা বইয়ের দীর্ঘ পিডিএফ পড়তে গিয়ে সময় সংকট হলে চ্যাটপিডিএফ বড় সহায়ক। এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ফলাফল ও উপসংহার আলাদা করে দেখায়। নির্দিষ্ট প্রশ্ন করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়।

৫. ভিডিও থেকে নোট ও বিশ্লেষণ

ভিডিও লেকচার বা পডকাস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ সহজ করতে অটার এআই ও নোটবুকএলএম ব্যবহার করা যায়। এগুলো ভিডিওর সম্পূর্ণ ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করে এবং বিভিন্ন বক্তার কণ্ঠ আলাদা করে শনাক্ত করতে পারে।

৬. পেশাদার সিভি তৈরি

জেটি বা রেজুমে ডট আইও–এর মতো এআই টুল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সিভি তৈরিকে সহজ করেছে। এআইইউবির শিক্ষক মোহাম্মাদ আলীর মতে, এসব টুল শুধু ফরম্যাটই নয়, বরং নির্দিষ্ট চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাও তুলে ধরতে সাহায্য করে।

৭. গবেষণায় এআই সহকারী

গবেষণার সবচেয়ে কঠিন ধাপ হলো প্রাসঙ্গিক লিটারেচার খোঁজা। ইলিসিট ও রিসার্চর‍্যাবিট গবেষণাপত্র খুঁজে দেওয়া, রেফারেন্স ম্যাপ করা ও সারাংশ তৈরিতে দ্রুত সহায়তা দেয়।

৮. কথা থেকে লেখা রূপান্তর

লেকচার বা সাক্ষাৎকার রেকর্ড থেকে লেখা বানাতে স্পিচনোটস কার্যকর একটি টুল। অডিও আপলোড করলেই এটি লিখিত রূপে সাজিয়ে দেয়।

৯. ছবি ও ইনফোগ্রাফিক তৈরি

প্রেজেন্টেশন ও অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ক্যানভা, অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাই কিংবা মিডজার্নি ব্যবহার করে সহজেই ইনফোগ্রাফিক, পোস্টার ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা যায়।

১০. দলীয় কাজ ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা

নোশন এআই পড়ালেখা ও অফিসের দলীয় কাজকে আরও সংগঠিত করে। নোট নেওয়া, ডেটাবেজ তৈরি, কাজের সময়সূচি ঠিক রাখা ও রিমাইন্ডার দেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রোডাকটিভিটি বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এআই দক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারলে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। তবে প্রযুক্তির ওপর অন্ধ নির্ভরশীল না হয়ে মানবিক বিচার, বিশ্লেষণ ও সৃজনশীলতার সঙ্গে এআইকে যুক্ত করাই দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে ফলপ্রসূ পথ।


মহাবিশ্বের প্রসারণে নতুন সংকট: হাবল টেনশন

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১০:৪৯:৪৬
মহাবিশ্বের প্রসারণে নতুন সংকট: হাবল টেনশন
ছবি: সংগৃহীত

মহাবিশ্ব যে ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে তা আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক সত্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে অনেক আগেই। এই প্রসারণ কত দ্রুত ঘটে তা নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীরা হাবল ধ্রুবক নামের বিশেষ একটি মান ব্যবহার করেন। প্রথমদিকে এই ধ্রুবক নির্ণয় করা তুলনামূলকভাবে সহজ মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আধুনিক মহাকাশবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল প্রশ্নগুলোর একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঐতিহাসিকভাবে এডউইন হাবল এবং তাঁর সহকর্মী মিল্টন হিউমেসন মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলো পৃথিবী থেকে যে গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাদের দূরত্বের সরাসরি সম্পর্ক খুঁজে পান। তারা দেখান যে কোনো গ্যালাক্সি যত দূরে অবস্থান করে তার পলায়নগতি তত বেশি হয়। এই পর্যবেক্ষণই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।

হাবল প্রথম যে মান নির্ণয় করেছিলেন তাতে হাবল ধ্রুবক ছিল প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। পরবর্তী পর্যবেক্ষণে এই মান অনেকটাই কমে আসে এবং ষাটের দশক নাগাদ এটি প্রায় একশ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেকের ঘরে পৌঁছে যায়। কিন্তু তখনও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেননি। কেউ বলছিলেন আসল মান একশ এর কাছাকাছি আবার কেউ বলছিলেন আসল মান পঞ্চাশের ঘরে।

হাবল ধ্রুবকের সঠিক মান নির্ধারণের দায়িত্ব পরে দেওয়া হয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপকে। বহু বছর ধরে সুপারনোভা এবং সেফিড তারার আলো বিশ্লেষণ করে তারা দুই হাজার এক সালে ঘোষণা করেন যে ধ্রুবকের মান প্রায় বাহাত্তর কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। তখন মনে করা হয়েছিল সমস্যার সমাধান পাওয়া গেছে এবং বিজ্ঞানীরা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

কিন্তু অল্প কিছু বছর পরই দেখা গেল মহাবিশ্বের প্রাচীন বিকিরণ অর্থাৎ কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বিশ্লেষণ করে পাওয়া মান প্রায় আটষট্টি কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করে এখনও পাওয়া যাচ্ছে বাহাত্তর এর কাছাকাছি মান। দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে পাওয়া দুটি আলাদা মান কোনোভাবেই মিলছে না।

এই অমিলকে বিজ্ঞানীরা হাবল টেনশন নাম দিয়েছেন। তাদের ধারণা মহাবিশ্বের প্রসারণ সম্পর্কে এখনো এমন কিছু রহস্য আছে যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান পুরোপুরি ব্যাখ্যা করতে পারেনি। কেউ মনে করছেন হয়তো মহাবিশ্বের প্রসারণ সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে আবার কেউ বলছেন অদৃশ্য শক্তি বা পদার্থ এর পেছনে কাজ করছে। কেউ কেউ মনে করছেন প্রচলিত তত্ত্বের কোথাও গুরুতর ফাঁক রয়ে গেছে যা নতুন পদার্থবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করছে।

বর্তমানে এই প্রশ্ন মহাজাগতিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় জটিলতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং গবেষকরা আশা করছেন ভবিষ্যতের উন্নত টেলিস্কোপ এবং মহাকাশযান এই রহস্যের সমাধান এনে দেবে।

সূত্র: ব্রিটানিকা


২০২৫ সালের জন্য গুগলের ফ্রি অনলাইন কোর্স, ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:৩৫:২২
২০২৫ সালের জন্য গুগলের ফ্রি অনলাইন কোর্স, ক্যারিয়ার গড়ার হাতছানি
ছবি : সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ২০২৫ ও ২৬ সালের জন্য নতুন ফ্রি অনলাইন কোর্স ঘোষণা করেছে যা বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য এক বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করার জন্য কোনো ভর্তি বা রেজিস্ট্রেশন ফি প্রয়োজন নেই বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিনা খরচে আইটি ও এআই শেখার সুযোগ

গুগলের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ ফ্রি এই অনলাইন কোর্সগুলোতে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইটি সাপোর্ট ডেটা অ্যানালিটিক্স ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়। প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই কোর্সগুলো অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেলফ পেসড লার্নিং বা নিজের গতিতে শেখা

এই কোর্সগুলোর অন্যতম বড় সুবিধা হলো সেলফ পেসড শেখার ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে এই কোর্সগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যে কেউ এই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন।

কারা করতে পারবেন

এই কোর্স গুগল জানিয়েছে এই কোর্সগুলো শুরুয়াতি শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবী উভয়ের জন্যই উপযুক্ত। যারা একদম নতুন করে কোনো দক্ষতা অর্জন করতে চান অথবা যারা নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে চান তাদের সবার জন্যই এই কোর্সগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এতে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি নেই ফলে আর্থিক চিন্তা ছাড়াই শেখার সুযোগ মিলছে।

সার্টিফিকেট ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন

কোর্স সম্পন্ন করলে গুগল থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার সুযোগও রয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে। এই সার্টিফিকেশন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যা সিভি বা রিজিউমে যুক্ত করলে চাকরির বাজারে প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করবে। গুগলের এই কোর্সের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা নতুন দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের ক্যারিয়ারকে আরও সুদৃঢ় করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আবেদনের লিঙ্ক:Apply Here

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত