স্বাস্থ্য শিক্ষা

নীরবে বাড়ছে আপনার প্রোস্টেট ক্যানসার: যে ৫ লক্ষণ দেখলেই অবহেলা নয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৬ ১৬:৫৬:২১
নীরবে বাড়ছে আপনার প্রোস্টেট ক্যানসার: যে ৫ লক্ষণ দেখলেই অবহেলা নয়
ছবিঃ সংগৃহীত

পুরুষদের জন্য মারাত্মক এক স্বাস্থ্যঝুঁকি হলো প্রোস্টেট ক্যানসার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৮ জন পুরুষের মধ্যে প্রায় ১ জন এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো লক্ষণ ছাড়াই বিকাশ লাভ করে। তাই নিয়মিত স্ক্রিনিং—যেমন PSA ব্লাড টেস্ট এবং ডিজিটাল রেক্টাল এক্সাম (DRE)—জীবন রক্ষার বড় উপায়।

কেন প্রাথমিক লক্ষণ বোঝা কঠিন?

প্রোস্টেট গ্রন্থি মূত্রাশয়ের নিচে ও মূত্রনালীর চারপাশে অবস্থান করে। ক্যানসারের টিউমার সাধারণত বাইরের দিক থেকে শুরু হয়, যা শুরুতে মূত্রত্যাগে সমস্যা তৈরি করে না। তাই অনেক পুরুষ কোনো অস্বাভাবিকতা টের পান না। যখন উপসর্গ স্পষ্ট হয়, তখন ক্যানসার অনেকটা অগ্রসর হতে পারে।

৬টি প্রাথমিক লক্ষণ, যা খেয়াল রাখবেন

পুরুষরা অনেক সময় বয়সজনিত সমস্যা ভেবে এই উপসর্গগুলো এড়িয়ে যান। কিন্তু এগুলো উপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি:

১. মূত্রত্যাগে পরিবর্তন: * প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে সমস্যা হওয়া। * দুর্বল বা ভাঙা-ভাঙা প্রবাহ দেখা। * মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি না হওয়ার অনুভূতি। * রাতে বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া।

২. ব্যথা বা জ্বালা: * প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় ব্যথা অনুভব করা।

৩. রক্ত দেখা: * প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত থাকা (অতি সামান্য হলেও)।

৪. হঠাৎ যৌন সমস্যা: * ইরেকশন সমস্যা বা তা বজায় রাখতে না পারা।

৫. অজানা ব্যথা: * কোমর, নিতম্ব, পেলভিস বা উরুতে স্থায়ী অস্বস্তি।

৬. দ্বিতীয় স্তরের সতর্কতা (উন্নত পর্যায়ে): বেদনাদায়ক বীর্যপাত, প্রস্রাবে হঠাৎ তাড়াহুড়োর অনুভূতি বা বসার সময় পেলভিসে অস্বস্তি।

কারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে?

বয়স: ৫০ বছরের পর ঝুঁকি বাড়ে।

পারিবারিক ইতিহাস: বাবা বা ভাই আক্রান্ত থাকলে ঝুঁকি বেশি।

স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন ঝুঁকি বাড়ায়।

পুরুষদের করণীয়

প্রোস্টেট ক্যানসার ধীরে বৃদ্ধি পেলেও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে চিকিৎসা সহজ ও কার্যকর হয়।

নিয়মিত পরীক্ষা: ৫০ বছরের পর (বা ঝুঁকি বেশি হলে আগে) PSA টেস্ট ও DRE করুন।

উপসর্গ লিখে রাখুন: প্রস্রাবে পরিবর্তন, ব্যথা বা যৌন সমস্যা হলে নোট করুন।

জীবনযাত্রা বদলান: ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

চিকিৎসা: ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী প্রস্রাব বা পেলভিসের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।


ওষুধ নয় প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালার্জি কমাবে রান্নাঘরের ৭ সুপারফুড

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১২:২৩:৪৪
ওষুধ নয় প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালার্জি কমাবে রান্নাঘরের ৭ সুপারফুড
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অ্যালার্জি যেন অনেকেরই নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁচি-কাশি, চোখ-নাক জ্বালা করা কিংবা ত্বকের র‍্যাশ—এসব উপসর্গ নিয়ে প্রায়শই আমরা অস্বস্তিতে ভুগি। অবাক হলেও সত্যি, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সব সময় ওষুধের প্রয়োজন হয় না; বরং প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে অ্যালার্জি থেকে মুক্তির সহজ উপায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের প্রদাহ কমায়, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যালার্জির উপসর্গ উল্লেখযোগ্যভাবে উপশম করতে পারে। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে এই সুপারফুডগুলো রাখলে শরীর ধীরে ধীরে ফিরে পেতে পারে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও স্বস্তি।

অ্যালার্জি সাধারণত নির্দিষ্ট খাবার (যেমন চিংড়ি, গরুর মাংস, বাদাম, বেগুন) ছাড়াও ধুলাবালি, পশুপাখি বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে দেখা দেয়। ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, চোখ ফোলা, শ্বাসকষ্ট বা মুখে জ্বালার মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অ্যালার্জি কমাতে কার্যকর ৭টি সুপারফুড

১. মধু – প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী শক্তি মধুতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে মৌসুমি অ্যালার্জি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

২. আদা – প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি আদা শরীরের প্রদাহ কমিয়ে শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত আদা চা পান করলে শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি-জনিত সর্দি-কাশি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩. সামুদ্রিক মাছ ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার স্যামন, টুনা মাছ, আখরোট, চিয়াসিড ও সয়াবিনে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং শ্বাসনালীর স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৪. দই – প্রোবায়োটিক শক্তি বাড়ায় দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত দই খাওয়া অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৫. হলুদ – প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারে অল্প পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করলে শরীরের সামগ্রিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৬. টকজাতীয় ফল ও সবুজ শাকসবজি লেবু, কমলা, আনারস, জাম্বুরা, পেঁয়াজ, রসুন ও কুমড়ার বীজের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা অ্যালার্জি প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।

৭. মৌরি – রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক সহায়ক নিয়মিত মৌরি খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং এটি শরীরের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া অনেকটাই কমিয়ে দেয়। মৌরি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে।

অ্যালার্জি মোকাবেলায় ওষুধই একমাত্র সমাধান নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে এই সাতটি সুপারফুড যুক্ত করলে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রদাহ ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে কমে যাবে।


দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার জেনে নিন সতর্কতার সংকেত

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১০:৩৮:৪২
দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার জেনে নিন সতর্কতার সংকেত
ছবিঃ সংগৃহীত

সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডা লাগার মতো সাধারণ উপসর্গগুলো সাধারণত আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন যে, কাশি যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থায়ী হয়, তবে তা ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দীর্ঘদিন ধরে থাকা কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টকে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, কাশি এবং বুকে ব্যথা একসঙ্গে দেখা দিলে তা ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকার ইঙ্গিত দেয়।

সাধারণ কাশি ও ক্যান্সারের কাশির পার্থক্য

সাধারণ কাশি সাধারণত সর্দি, গরম-ঠান্ডা পরিবর্তন বা অ্যালার্জির কারণে দেখা দেয় এবং সাধারণত সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে কমে যায়। কিন্তু যদি কাশির সঙ্গে বুকে, কাঁধে বা পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়, তবে সেটি সাধারণ কাশি নয়, বরং গভীর কোনো শারীরিক সমস্যার সংকেত হতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানিয়েছে, কাশির সঙ্গে যদি কাঁধ, পিঠ বা হাতে ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষ করে রাতে ব্যথা বাড়ে বা হাতে ঝিনঝিনানি হয়, তবে সেটি ফুসফুসের ওপরের অংশে থাকা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।

যেসব লক্ষণে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাবেন

কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হওয়া।

সময়ের সঙ্গে কাশির তীব্রতা আরও বেড়ে যাওয়া।

কাশির সঙ্গে রক্ত বা মরচে রঙের থুতু আসা।

জোরে হাসলে বা শ্বাস নিলে দম ফুরিয়ে যাওয়া।

বারবার ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়া।

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা কোনো অজানা ক্লান্তি অনুভূত হওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালার্জি বা ভাইরাসজনিত কাশি ওষুধ ছাড়াই দ্রুত সেরে যায়। কিন্তু কাশি যদি তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়, ওষুধে না কমে এবং সঙ্গে রক্ত আসে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে তা ক্যান্সারজনিত কাশি হতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে বিলম্ব না করে ফুসফুস বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া এবং প্রয়োজনে এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া। যদিও সব দীর্ঘমেয়াদি কাশিই ক্যান্সারের লক্ষণ নয়, তবুও অবহেলা মারাত্মক হতে পারে। ফুসফুস ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ ও কার্যকর হয়।

সূত্র : এবিপি লাইভ


উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১২:০৬:৫৫
উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন
ছবিঃ সংগৃহীত

অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন যে, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কারণেই যেকোনো সময় স্ট্রোক হতে পারে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে এই পরিস্থিতি প্রাণঘাতী হতে পারে।

চিকিৎসক দেবর্ষি জানান, স্ট্রোক মূলত দুই ধরনের হয়—ইস্কেমিক এবং হেমারেজিক। ইস্কেমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, অন্যদিকে হেমারেজিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে। তিনি গুরুত্বারোপ করেন যে, উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরি, অন্যথায় প্রাণহানির ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

উচ্চ রক্তচাপই মূল শত্রু

ডা. দেবর্ষি চট্টোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেন, "হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। প্রেশারের ওষুধ একদিনও বন্ধ করা যাবে না। গর্ভাবস্থা বা অন্য কোনো অসুস্থতার সময় রক্তচাপ বেড়ে গেলেও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।"

কম বয়সীদের ঝুঁকি বৃদ্ধি

সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মধ্যেও স্ট্রোকের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। অনেকেই ৪০ বছর বয়সের আগেই এই মারাত্মক অবস্থার শিকার হচ্ছেন। ডা. দেবর্ষির মতে, "অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এর মূল কারণ। যেমন—দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, শরীরচর্চার অভাব এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ—এগুলোই তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।"

যে অভ্যাসে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি

বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি জীবনযাত্রার অভ্যাসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়:

১. উচ্চ রক্তচাপ: যাদের পরিবারে হাই ব্লাড প্রেশারের ইতিহাস আছে, তাদের নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

৩. অলস জীবনযাপন: সারাদিন বসে থাকা বা শুয়ে থাকার অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

৪. ধূমপান ও মদ্যপান: এই দুটি অভ্যাস রক্তচাপ বাড়ায় এবং রক্তনালির ক্ষতি করে, ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সক্রিয় জীবনযাপনই স্ট্রোক প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাদের পরামর্শ, স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে একজন নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র : এই সময়


ফিটনেস জগতে আলোড়ন: জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডারে ক্ষতিকর সীসার মাত্রা ফাঁস

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১০:৩২:২৫
ফিটনেস জগতে আলোড়ন: জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডারে ক্ষতিকর সীসার মাত্রা ফাঁস
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীরচর্চা বা ফিটনেস ধরে রাখার জন্য প্রোটিন পাউডার বিশ্বজুড়ে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাদ্য সম্পূরক হলেও, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা এই জনপ্রিয়তায় গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারের বহু জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডার এবং শেক-এ ক্ষতিকর মাত্রার সীসা (Lead) বিদ্যমান, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বাধীন ভোক্তা সংস্থা ‘কনস্যুমার রিপোর্ট’ ২৩টি বহুল প্রচলিত প্রোটিন পাউডার ও শেক পরীক্ষা করে দেখেছে যে, এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্র্যান্ডের পণ্যে সীসার মাত্রা নিরাপদ সীমার তুলনায় অনেক বেশি।

সংস্থাটির খাদ্য নিরাপত্তা গবেষণা ও পরীক্ষার প্রধান সানা মুজাহিদ জানান, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাৎক্ষণিক ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে এই পাউডারগুলো ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

কোন পাউডারে সীসার মাত্রা সর্বাধিক? ‘কনস্যুমার রিপোর্টস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে Naked Nutrition-এর Vegan Mass Gainer পাউডারে (প্রতি সেবায় ৭.৭ মাইক্রোগ্রাম) এবং Huel-এর Black Edition পাউডারে (৬.৩ মাইক্রোগ্রাম/সেবা)। অন্যান্য পরীক্ষিত পাউডারে সীসার মাত্রা ০.৫ থেকে ৩ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে ছিল।

বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের উদ্বেগ: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান অধ্যাপক ড. স্টিফেন লুবি এই ফলাফলকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপক ড. পিটার কোহেন সতর্ক করে বলেছেন, প্রোটিন সাপ্লিমেন্টগুলোর মধ্যে সীসা এবং অন্যান্য ভারী ধাতু সহজেই প্রবেশ করতে পারে। তাই ক্রেতাদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকা অপরিহার্য।

তিনি আরও পরামর্শ দেন যে, ইউএসপি (USP) বা এনএসএফ (NSF)-এর মতো তৃতীয় পক্ষের মান যাচাইয়ের প্রমাণ রয়েছে—এমন কোম্পানির পণ্য বেছে নিলে তা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হতে পারে।

গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য বিশেষ সতর্কতা: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সীসা বিষক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করা গবেষক জেনা ফোরসাইথ বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেছেন, গর্ভবতী বা যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন, তাদের এই ধরনের প্রোটিন পাউডার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত।

ড. লুবি ভোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পাউডার ব্যবহার করাটা আদৌ কোনো ঝুঁকি তৈরি করছে কি না, তা ভেবে দেখা উচিত। কারণ, প্রোটিনের জন্য অন্যান্য সাধারণ খাবারও প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে।

সোর্স: নিউইয়র্ক টাইমস


কিসমিসের ম্যাজিক: ভেজানো কিসমিস খেলে যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ২০:৫১:৫৩
কিসমিসের ম্যাজিক: ভেজানো কিসমিস খেলে যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিদিনের খাবারে কিসমিস অনেকেরই পছন্দ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস সকালে খেলে শরীর পায় অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ ও নানা উপকার। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার দেহের জন্য বিশেষ উপকারী। সুস্থ থাকতে আজ থেকেই এই অভ্যাস শুরু করা যেতে পারে।

ভেজানো কিসমিস খাওয়ার ৫ উপকারিতা

১. কিসমিসে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরকে সকালের কর্মশক্তি দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে দিনভর সতেজ রাখে।

২.এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে, যা পেট পরিষ্কার রাখে।

৩.কিসমিস আয়রনের একটি ভালো উৎস। নিয়মিত ভেজানো কিসমিস খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়।

৪.এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং অঙ্গকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

৫.কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে ৮-১০টি ভেজানো কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। তবে কিসমিস যেহেতু প্রাকৃতিক শর্করাসমৃদ্ধ, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি খাওয়া উচিত।


ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: কখন ও কিভাবে খেলে বেশি উপকার পেতে পারেন,জানালেন বিশেষজ্ঞরা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১৭:১৩:২৬
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: কখন ও কিভাবে খেলে বেশি উপকার পেতে পারেন,জানালেন বিশেষজ্ঞরা
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এর ফলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। অথচ পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন নিয়ে সচেতন থাকলেও ভিটামিন নিয়ে অবহেলা থেকেই যায়। শুধু সাপ্লিমেন্ট খেলেই হবে না, সঠিক সময়ে ও নিয়মে খেলে তবেই শরীর উপকৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা এখন জানাচ্ছেন, ভিটামিনের ধরন অনুযায়ী কখন তা সেবন করা উচিত।

১. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (Vitamin C & B Complex)

ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স (বি-৬, বি-১২, রাইবোফ্ল্যাভিন, ফোলেট) পানিতে দ্রবণীয়, তাই এগুলো শরীরে জমা থাকে না এবং প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন।

সেরা সময়: এ ধরনের ভিটামিন খালি পেটে সবচেয়ে ভালোভাবে শোষিত হয়। তাই সকালে বিশেষ করে সকালের নাশতার আগে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে কারো খালি পেটে অস্বস্তি হলে হালকা খাবারের পর খাওয়া যেতে পারে।

উপকারিতা: বি কমপ্লেক্স শরীরে শক্তি জোগায়, তাই সকালে খেলে সারাদিন ক্লান্তি দূর হয়।

২. ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন (Vitamin A, D, E & K)

ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে ফ্যাট দ্রবণীয়। এগুলো শরীরের চর্বি ও লিভারে জমা থাকে, তাই প্রতিদিন খাওয়ার দরকার হয় না।

সেরা সময়: এগুলো ফ্যাটযুক্ত খাবারের সঙ্গে খেলে সবচেয়ে ভালোভাবে শোষিত হয়। অলিভ অয়েল, ডিম, বাদাম বা অ্যাভোকাডোর মতো খাবারের সঙ্গে খেলে এই ভিটামিনগুলো বেশি কার্যকর হয়।

উদাহরণ: ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট লাঞ্চ বা ডিনারের সঙ্গে খেলে ভালোভাবে শোষিত হয়।

৩. মাল্টিভিটামিন

মাল্টিভিটামিনে জল ও ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ থাকে।

সেরা সময়: ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চের পরে মাল্টিভিটামিন খাওয়ার পরামর্শ দেন।

সতর্কতা: সন্ধ্যায় না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে থাকা কিছু বি ভিটামিন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

৪. আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম

আয়রন: আয়রন সাপ্লিমেন্ট খালি পেটে খেলে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। পেটের সমস্যা হলে হালকা খাবারের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। তবে দুধ বা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়, কারণ ক্যালসিয়াম আয়রন শোষণে বাধা দেয়।

ম্যাগনেশিয়াম: ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে শান্ত করে, তাই রাতে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ঘুমও ভালো হয়।

যেকোনো সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

সূত্র : আজকাল


শীতের আগে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতা দূর করে কোমলতা আনবে ৪ ঘরোয়া উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৭:০৫:২৩
শীতের আগে ঠোঁটের যত্ন: রুক্ষতা দূর করে কোমলতা আনবে ৪ ঘরোয়া উপায়
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল চলছে। শীত আসার আগে এই সময়টায় ত্বকের সঙ্গে অনেকের ঠোঁটেও দেখা দেয় রুক্ষতা। ঠোঁট ফাটছে বা শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে—এমন সমস্যা যাদের হচ্ছে, তারা ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নিয়মিত যত্ন নিলে ঠোঁট হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও কোমল।

ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করার ৪ উপায়

১. অলিভ অয়েল ও চিনির স্ক্রাব: ঠোঁটের মরা চামড়া তুলতে স্ক্রাব খুবই কার্যকর। এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ চিনি এবং আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ঠোঁটে মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু-এক দিন করতে পারেন।

২. নারকেল বা ভিটামিন ই তেল: রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে নারকেল তেল বা ভিটামিন ই অয়েল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩. বিটরুট ও গোলাপের ভ্যাসলিন: ঠোঁটকে নরম রাখতে বিটরুটের রস এবং গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ঠান্ডা হলে এটি ভ্যাসলিনের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকবে এবং তার স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখবে।

৪. নিয়মিত ভ্যাসলিন/লিপজেল ব্যবহার: শীতকালে ঠোঁটকে নরম ও কোমল রাখতে নিয়মিত ভ্যাসলিন বা ভালো মানের লিপজেল ব্যবহার করতে পারেন।

দৈনন্দিন যত্নে যা জরুরি

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: এই অভ্যাস ঠোঁটের ক্ষতি করে, তাই এড়িয়ে চলুন।

সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা: বাইরে বেরোনোর সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।


গভীর ঘুম সত্ত্বেও কাটছে না ক্লান্তি? হতে পারে বিরল রোগ ‘ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া’

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৪:৫৬:১৮
গভীর ঘুম সত্ত্বেও কাটছে না ক্লান্তি? হতে পারে বিরল রোগ ‘ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া’
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকাল অনেকেই অনুভব করেন, সারারাত গভীর ঘুম হওয়ার পরও সকালে ওঠার সময় ফ্রেশ লাগছে না। এমনকি ঘুমানোর পরও শরীর যেন ফের শুয়ে পড়ার আহ্বান জানায়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে সাধারণ ক্লান্তি নয়, বরং এক ধরনের বিরল নিউরোলজিক্যাল ঘুমের সমস্যা ‘ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া’ (Idiopathic Hypersomnia, IH) বলে অভিহিত করছেন।

ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া কী?

ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া হলো মস্তিষ্কের এমন একটি সমস্যা, যেখানে একজন ব্যক্তি পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও দিনের বেলা ক্রমাগত ক্লান্তি অনুভব করেন। রোগীরা প্রায়শই দীর্ঘ সময় ঘুমান এবং জাগ্রত অবস্থায় বিভ্রান্তি বা মনোযোগহীনতার মতো লক্ষণ দেখান। অনেক ক্ষেত্রেই ডায়াগনোসিসে দেরি হয়, কারণ লক্ষণগুলো অন্যান্য ঘুমের রোগ বা মানসিক সমস্যার সঙ্গে মিলে যায়।

প্রধান লক্ষণগুলো

দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম: সারারাত ঘুম হলেও দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম প্রয়োজন।

মানসিক অবস্থা: জাগ্রত থাকার সময় বিভ্রান্তি বা মনোযোগহীনতা অনুভব করা।

দৈনন্দিন কার্যক্রম: দীর্ঘমেয়াদে দৈনন্দিন কার্যক্রমে অসুবিধা সৃষ্টি হওয়া।

অন্যান্য: সাধারণ ঘুমের রোগ বা মানসিক সমস্যার সঙ্গে মিলে যাওয়া লক্ষণ।

কারণ ও প্রতিকার

এই রোগের সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মস্তিষ্কের ঘুম এবং জাগরণের সাইকেল নিয়ন্ত্রণের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, বিশেষজ্ঞরা জীবনধারার পরিবর্তন এবং ঘুমের নিয়মিত রুটিনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন:

১. নির্দিষ্ট রুটিন: প্রতিদিন সঠিক সময়ে ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠা।

২. পরিবেশ: পরিষ্কার ও আরামদায়ক বিছানা ব্যবহার করা।

৩. সক্রিয়তা: দিনের সময় ছোট ছোট বিরতিতে কাজের উপর মনোযোগ রাখা।


হার্ট অ্যাটাকের ৫ বছর আগেই সংকেত: যে ৩টি নীরব লক্ষণ অবহেলা করা বিপজ্জনক

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৯:১৩:০২
হার্ট অ্যাটাকের ৫ বছর আগেই সংকেত: যে ৩টি নীরব লক্ষণ অবহেলা করা বিপজ্জনক
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এখনো হার্টের রোগ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই মারাত্মক রোগটি বেশিরভাগ সময় নিঃশব্দে শুরু হয় শরীরের ছোট ছোট সংকেতের মাধ্যমে। কার্ডিওভাসকুলার গবেষক ড. জেমস ডি'নিকোলান্টোনিও সতর্ক করেছেন, এই সূক্ষ্ম ও প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিনে ফেলতে পারলেই বড় ধরনের হার্টের জটিলতা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি এই সংকেতগুলোকে ‘দেহের নীরব বার্তা’ বলে উল্লেখ করেছেন, যা উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের ৩টি প্রাথমিক সংকেত

১. যৌন দুর্বলতা হার্টের লুকানো ইঙ্গিত: ড. ডি'নিকোলান্টোনিওর মতে, ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা যৌন দুর্বলতা প্রায়ই হার্টের সমস্যার প্রথম ইঙ্গিত হতে পারে। তিনি বলেন, “হার্টের রোগে আক্রান্ত প্রতি দুই জনের একজন যৌন দুর্বলতায় ভোগেন, এবং এটি হার্টের সমস্যার পাঁচ বছর আগেও দেখা দিতে পারে।” এর কারণ, ছোট রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহের সমস্যা হার্টের ধমনীর অবস্থার প্রতিফলন ঘটায়।

২. সামান্য পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট: অনেকে এটিকে “ক্লান্তি” বা “ফিটনেস কমে যাওয়া” বলে উড়িয়ে দেন, কিন্তু হালকা কাজের সময় শ্বাসকষ্ট হওয়াও হতে পারে হার্টের দুর্বলতার সংকেত। বিশেষজ্ঞ জানান, “কয়েক ধাপ সিঁড়ি ওঠা বা অল্প ব্যায়ামের পর যদি অস্বাভাবিকভাবে হাঁপিয়ে যান, তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট রক্ত পাম্প করতে কষ্ট পাচ্ছে।” এটি হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ।

৩. পা, গোড়ালি বা পায়ের নিচে ফোলাভাব: পা বা গোড়ালিতে ফোলাভাব কখনো কখনো হার্টের গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। হার্ট ফেইলিউর বা কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে শরীরে তরল জমে থাকে, যার ফলে এই ফোলাভাব দেখা দেয়। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের এক প্রতিবেদনে এই ফোলাভাবকে হার্ট ফেইলিউরের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদি এই ফোলাভাব স্থায়ী হয়, বিশেষ করে এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা অতিরিক্ত ক্লান্তি দেখা দেয়, তবে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।

কেন আগাম সতর্কতা জরুরি?

চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে, বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক বা ফেইলিউরের আগে হার্ট নীরব সংকেত পাঠায়। এই সামান্য পরিবর্তনগুলো দ্রুত চিনে চিকিৎসা শুরু করা গেলে, জীবনযাপন ও ওষুধের মাধ্যমে বড় ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ড. ডি'নিকোলান্টোনিওর কথায়, “এই সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিলে গল্পটাই বদলে যেতে পারে।”

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত