‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব

জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই যুগান্তকারী গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়োকম্পিউটিং’। সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য হলো এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করা, যা চলবে ‘জীবন্ত’ সার্ভারে এবং প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় সামান্য শক্তি ব্যবহার করবে।
এই গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন ডেটা সেন্টার দেখা যাবে, যেখানে এই ‘জীবন্ত’ সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেভাবে শেখে, তার কিছু দিক অনুকরণ করবে।
‘ওয়েটওয়্যার’: মস্তিষ্কের মতো উপাদান
কম্পিউটারের উপাদানগুলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে বিভক্ত। তবে এই বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে গবেষক দল নতুন শব্দ ‘ওয়েটওয়্যার’ (Wetware) ব্যবহার করছেন। ফাইনালস্পার্ক ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ফ্রেড জর্ডান ব্যাখ্যা করেন, এই ‘ওয়েটওয়্যার’ হলো ল্যাবরেটরিতে স্টেম সেল থেকে উৎপাদিত নিউরন দিয়ে তৈরি ‘অর্গানয়েড’—যা মূলত নিউরন ও সহায়ক কোষের ক্লাস্টার। অর্গানয়েডগুলোকে ইলেকট্রোডে (তড়িৎদণ্ড) যুক্ত করে মিনি কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ড. জর্ডান স্বীকার করেন, বায়োকম্পিউটিং ধারণাটা অনেকের কাছে অদ্ভুত শোনাবে। তিনি বলেন, “যখন আপনি বলেন যে, আমি একটি নিউরনকে ছোট একটি যন্ত্রের মতো ব্যবহার করব, তখন এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেয়।”
গবেষণার পদ্ধতি ও অগ্রগতি
ফাইনালস্পার্ক ল্যাবে এই বায়োকম্পিউটার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের ত্বক থেকে নেওয়া স্টেম সেল থেকে। এই মিনি ব্রেইনগুলো কয়েক মাসের প্রক্রিয়ার পর তড়িৎদ্বারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত হয়। গবেষকেরা বলছেন, এই মিনি ব্রেইনগুলো সরল কি-বোর্ড কমান্ডের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হয়।
স্ক্রিনে প্রদর্শিত কার্যকলাপের গ্রাফটি অনেকটা ইইজির (ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাম) মতো দেখতে। ড. জর্ডান জানান, তারা এখনো অনেক কিছু বুঝতে পারছেন না যে অর্গানয়েডগুলো কী করছে। তবে আপাতত এই মিনি ব্রেইনে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘রক্তনালী’
সাধারণ কম্পিউটার চালু রাখা সহজ হলেও, বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে অর্গানয়েড কীভাবে টিকে থাকবে বা শক্তি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক সাইমন শুল্জ বলেন, “অর্গানয়েডে রক্তনালি নেই। মানব মস্তিষ্কে রক্তনালি পুষ্টি সরবরাহ করে। আমরা এখনো সেগুলো ঠিকমতো তৈরি করতে পারি না। এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
ফাইনালস্পার্ক গত চার বছরে কিছু অগ্রগতি করেছে; তাদের অর্গানয়েড এখন চার মাস পর্যন্ত বাঁচে। তবে এগুলো মারা যাওয়ার সময় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যেমন হঠাৎ করে কার্যক্রম খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ফাইনালস্পার্ক একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। অস্ট্রেলিয়ার কর্টিক্যাল ল্যাবস ২০২২ সালে ঘোষণা করেছিল, তারা ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত নিউরনকে দিয়ে প্রাথমিক কম্পিউটার গেম ‘পং’ খেলাতে সক্ষম হয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ড. লেনা স্মিরনোভা মনে করেন, বায়োকম্পিউটিং সিলিকন এআই-এর বিকল্প নয় বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এটি আলঝেইমার এবং অটিজমের মতো স্নায়বিক রোগের ওষুধ উন্নয়ন এবং রোগ নির্ণয় মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
স্ক্রিনে ভাসছে 'এরর' বার্তা, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের আসল কারণ কী?
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হঠাৎ করেই বিশ্বের জনপ্রিয় বেশ কিছু ওয়েবসাইট অচল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মূলত ক্লাউডফ্লেয়ার নামের একটি ইন্টারনেট অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কারণেই এই বিপর্যয় দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বা সাবেক টুইটার এবং চলচ্চিত্র পর্যালোচনার জনপ্রিয় সাইট লেটারবক্সডসহ অসংখ্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গিয়ে ব্যবহারকারীরা বাধার মুখে পড়েছেন।
ব্যবহারকারীরা যখন এই সাইটগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তখন তাদের সামনে একটি ত্রুটি বা এরর বার্তা ভেসে উঠছিল। সেখানে বলা হচ্ছিল যে ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে পেজটি লোড করা সম্ভব হচ্ছে না। ইন্টারনেট জগতের নিরাপত্তা ও গতি রক্ষায় ক্লাউডফ্লেয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাইবার আক্রমণ ঠেকানো থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের বাড়তি ট্রাফিক বা চাপ সামলানোর কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে তাদের সিস্টেমে সামান্য কোনো ত্রুটি দেখা দিলেও সেটির প্রভাব একসাথে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের ওপর গিয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পর ক্লাউডফ্লেয়ার কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে যে তারা সমস্যাটির বিষয়ে অবগত আছে এবং এটি অনেক গ্রাহকের সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে তদন্ত চলছে এবং নতুন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ওয়েবসাইট সচল আছে কি না তা পর্যবেক্ষণকারী প্ল্যাটফর্ম ডাউন ডিটেক্টরও শুরুতে এই একই সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তবে কিছুক্ষণ পর সাইটটি সচল হলে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের অভিযোগ বা রিপোর্টের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবহারকারীরা স্ক্রিনে এমন বার্তাও দেখেছেন যেখানে উল্লেখ ছিল যে ক্লাউডফ্লেয়ারের নেটওয়ার্কে অভ্যন্তরীণ সার্ভার ত্রুটি দেখা দিয়েছে। সেখানে ব্যবহারকারীদের কয়েক মিনিট পর পুনরায় চেষ্টা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে ঠিক কতগুলো ওয়েবসাইট এই বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে, তার সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্লাউডফ্লেয়ারের সিস্টেমে বড় ধরনের গোলযোগের কারণে বিশ্বজুড়ে একযোগে বহু সাইট অচল হয়ে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়।
নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আমাদের প্রতিদিনের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে এবং প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো গুগল ফটোস। এই জনপ্রিয় অ্যাপটিতে নতুন এআই ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে, যা ছবি সম্পাদনার কাজকে আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।
গুগল ফটোস অ্যাপে এমন একাধিক এআই-চালিত সুবিধা আনা হয়েছে, যা ছবি তোলা ও সম্পাদনার ধারণায় বড় পরিবর্তন আনবে। প্রায়ই এমন হয় যে ছবি তোলার সময় গ্রুপের কেউ চোখ বন্ধ করে ফেলেছেন, কারও মুখে হাসি নেই বা কেউ হয়তো ভুলবশত সানগ্লাস পরে আছেন। আগে এই ধরনের ছবি ঠিক করার জন্য জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন গুগল ফটোসের ভেতরেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
ব্যবহারকারীরা এখন শুধু 'হেল্প মি এডিট' (Help me edit) অপশন ব্যবহার করে 'রিমুভ সানগ্লাসেস' (সানগ্লাস সরান), 'ওপেন মাই আইস' (চোখ খুলুন) বা 'অ্যাডেড স্মাইল' (হাসি যোগ করুন) এর মতো সাধারণ নির্দেশ দিলেই চলবে। এআই প্রযুক্তি নিজে থেকেই ছবিটিকে প্রাকৃতিকভাবে ঠিক করে দেবে।
এই সুবিধার ফলে ব্যবহারকারীরা এখন মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যেকোনো ছবিকে নিখুঁত করে তুলতে পারবেন, যার জন্য নতুন করে ছবি তোলার প্রয়োজন হবে না। পারিবারিক ছবি, ভ্রমণের স্মৃতি বা বিশেষ কোনো দিনের ছবিকে সহজেই পারফেক্ট করে তোলা সম্ভব হবে।
গুগলের নিজস্ব জনপ্রিয় ইমেজ জেনারেটর 'ন্যানো বানানা' (Nano Banana) এখন সরাসরি গুগল ফটোস অ্যাপের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এআই কয়েক মুহূর্তেই যেকোনো সাধারণ ছবিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্টাইলে সাজিয়ে দিতে পারে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, কোনো আলাদা সফটওয়্যার বা বিশেষ ডিজাইন দক্ষতা ছাড়াই সাধারণ ছবি ব্যবহার করে কাল্পনিক চিত্র বা সামাজিক মাধ্যমের জন্য পোস্ট তৈরি করা যাবে।
এছাড়া, আইওএস (iOS) ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল 'ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং' সুবিধা নিয়ে এসেছে। এর ফলে এখন শুধু মুখে নির্দেশ দিলেই এআই ছবি সম্পাদনা করে দেবে। এর পাশাপাশি, একটি নতুন ফটো এডিটর ইন্টারফেসও আনা হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা স্পর্শ বা জেসচারের মাধ্যমে ছবিতে পরিবর্তন আনতে পারবেন। এর ফলে যারা ছবি সম্পাদনার কাজে খুব বেশি অভ্যস্ত নন, তারাও খুব সহজেই নিজেদের ছবিগুলোকে পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।
সূত্র: লাইভমিন্ট
আইনস্টাইনও কি ভুল ব্ল্যাক হোলের ছায়া নিয়ে নতুন তত্ত্বে চাঞ্চল্য
প্রায় এক শতাব্দী আগে বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে যে ধারণা দিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় তার অধিকাংশ তথ্য অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলেও তার কিছু অনুমান ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন একদল গবেষক। নিখুঁত পরীক্ষানিরীক্ষার পর আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের তত্ত্বের প্রায় সমস্ত দিক প্রমাণিত হলেও, ব্ল্যাক হোলের আকার সংক্রান্ত একটি বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার ধ্রুপদী তত্ত্ব
জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার ধ্রুপদী তত্ত্ব অনুযায়ী, ব্ল্যাক হোলের চেহারা বলতে বোঝায় খাবারের সেই থালা, যার কানাটির নাম ইভেন্ট হরাইজন। এই চৌহদ্দির মধ্যে একবার গিয়ে পড়লে আর রেহাই নেই। তখন কেবলই পতন ঘটে।
ব্ল্যাক হোল হলো মহাকাশের এমন একটি অঞ্চল যেখানে বিশাল পরিমাণ ভর একটি ক্ষুদ্র আয়তনে জড়ো থাকে। এর অভিকর্ষ বলের টানে আশপাশের গ্যাসের মেঘ, নক্ষত্রদের গিলে খায়।
ব্ল্যাক হোলের অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে বেরিয়ে আসতে পারে না এমনকি আলোও। স্থান-কালও দুমড়ে মিলিয়ে যায় সেখানে।
ব্ল্যাক হোলকে সরাসরি দেখা সম্ভব নয়, কারণ এর মহাকর্ষীয় টান থেকে আলোও পার পায় না। তবে বিজ্ঞানীরা এর আভাস পান অন্যভাবে
ব্ল্যাক হোল যখন কোনো নক্ষত্রের সঙ্গী হয়, তখন সঙ্গী নক্ষত্র থেকে প্রবল আকর্ষণে টুকরো-টুকরো অংশ টেনে নিতে থাকে। সেই সব অংশগুলো প্রবল মাধ্যাকর্ষণের টানে বলয়াকারে ঘুরতে ঘুরতে তৈরি করে অ্যাক্রিশন ডিস্ক।
সেই সব পদার্থনির্গত এক্স রশ্মি মহাকাশ দূরবীনে ধরা পড়ে এবং বিজ্ঞানীরা সেখান থেকেই ব্ল্যাক হোলের আভাস পান।
আইনস্টাইনের ধারণা ও নতুন বিতর্ক
আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে জানানো হয়েছিল, ব্ল্যাক হোলের চারপাশে থাকা গ্যাস আর প্লাজমা দিয়ে তৈরি আলোর রিং বা বলয় দেখা যায়। আর তার মাঝখানে থাকে কালো গাঢ় অংশ, অর্থাৎ ছায়া। আইনস্টাইন জানিয়েছিলেন
"এই ছায়া অংশের আকার-আয়তন দেখেই ব্ল্যাক হোলের আয়তন বোঝা সম্ভব। এ সমস্ত কিছুই নির্ভর করে অভিকর্ষ বলের উপর।"
আইনস্টাইনের এই মতামত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুসিয়ানো রেজজোল্লা। পৃথিবীর মাপের সুবিশাল টেলিস্কোপ ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ দিয়ে দু’টি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা হয়েছে সম্প্রতি। ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজজোল্লা এবং তাঁর দল সেই ছবি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন।
এই পরীক্ষানিরীক্ষার ভিত্তিতে তাঁদের দাবি, ব্ল্যাক হোলের আকার-আয়তন সম্পর্কে আইনস্টাইনের অনুমান ভুল হলেও হতে পারে।
এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৫-ভিত্তিক HyperOS 3 নিয়ে চুপিসারে বড় আপডেট আনছে শাওমি!
বছরের শেষ প্রান্তেও গতি কমাচ্ছে না শাওমি। সাম্প্রতিক পরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক HyperOS 3-এর অভ্যন্তরীণ বিল্ড পরীক্ষা শুরু করেছে। শাওমি, রেডমি, পোকো ও প্যাড সিরিজের অন্তত এক ডজন ডিভাইস এ পর্যায়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। অনেক ডিভাইসের জন্য এটিই হতে পারে তাদের শেষ বড় সফটওয়্যার আপডেট।
হাইপারওএস ৩: কেবল একটি আপডেট নয়
এটি কেবল একটি সাধারণ সফটওয়্যার আপডেট নয়, বরং গত বছর MIUI-র পরিবর্তে HyperOS চালু হওয়ার পর থেকে এটি শাওমির সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম আপডেট। কোম্পানি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, নতুন ফ্ল্যাগশিপগুলো ভবিষ্যতে অ্যান্ড্রয়েড ১৬-তে যাবে। তবে বেশিরভাগ মিডরেঞ্জ ও পুরনো মডেলের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ১৫-ই হবে শেষ গন্তব্য।
সাধারণত শাওমির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার পর জনসাধারণের জন্য বেটা সংস্করণ খুব বেশি দেরি করে না। আগের ধারা অনুযায়ী, চতুর্থ প্রান্তিকের (Q4) শেষে ফাইনাল বিল্ড সম্পন্ন হয় এবং পরবর্তী বসন্তে ধাপে ধাপে রোলআউট শুরু হয়।
যেসব ডিভাইসে চলছে প্রথম ধাপের পরীক্ষা
শাওমির অভ্যন্তরীণ সার্ভার থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, HyperOS 3 পরীক্ষার প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-
- Redmi Note 13 5G / Note 13R Pro / POCO X6 Neo (China OS3.0.0.4.VNQCNXM | Global OS3.0.0.2.VNQMIXM | EEA OS3.0.0.2.VNQEUXM)
- POCO F5 Pro / Redmi K60 (China OS3.0.0.4.VMNCNXM | Global OS3.0.0.1.VMNMIXM)
- Xiaomi 13 Lite / Civi 2 (EEA OS3.0.0.1.VLLEUXM)
- Xiaomi 12T Pro / Redmi K50 Ultra (China OS3.0.0.1.VLFCNXM)
- Xiaomi 12 Pro / 12 / 12S Ultra (বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক বিল্ড)
- Redmi K60 Pro, Note 12T Pro, MIX Fold 2, Xiaomi Pad 6 Pro, এবং Civi 3
এদের মধ্যে Redmi Note 13 5G গ্লোবাল পর্যায়ে পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সম্ভবত এটিই হবে প্রথম ফোন যা চীনের বাইরে অ্যান্ড্রয়েড ১৫-ভিত্তিক HyperOS 3 OTA আপডেট পাবে।
যেসব মডেল তালিকায় নেই
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, Xiaomi 12S, 12S Pro, POCO F5, POCO M6 Pro, Redmi Note 12 Turbo, এবং Xiaomi 12T-এর মতো জনপ্রিয় ফোনগুলো এখনো পরীক্ষার তালিকায় নেই। এর মানে হতে পারে, হয়তো পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি, অথবা এই ডিভাইসগুলো অ্যান্ড্রয়েড ১৫ আপডেট পাবে না।শাওমির সাধারণ দুই-অ্যান্ড্রয়েড আপডেট নীতির কারণে অনেক মিডরেঞ্জ ফোনের জন্য এটিই হতে পারে শেষ বড় আপডেট।
HyperOS 3-এ কী আসছে
যদিও শাওমি এখনো সব ফিচার বিস্তারিত জানায়নি, তবুও অ্যান্ড্রয়েড ১৫ নিজেই নিয়ে আসছে পারফরম্যান্স, প্রাইভেসি ও ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি। তার ওপর HyperOS 3 যোগ করছে নতুন ডিজাইন ভাষা, উন্নত অ্যানিমেশন, পরিচ্ছন্ন আইকন এবং ফোন, ট্যাব ও স্মার্ট ডিভাইসের মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয়।
ব্যবহারকারীরা পাবেন আরও মসৃণ পারফরম্যান্স, বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ডিভাইসগুলোর মধ্যে দ্রুত সিঙ্কিং। তবে শাওমি ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, অনেক মডেলের জন্য এটিই হতে পারে শেষ আপডেট এরপর আর অ্যান্ড্রয়েড ১৬ বা HyperOS 3.1 আসবে না।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
এই আপডেট শাওমির জন্য শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ১৫ সরবরাহের বিষয় নয়, বরং তাদের বিশাল ইকোসিস্টেমে একীভূত ও ধারাবাহিক আপডেট ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা প্রমাণের বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটিতেই শাওমির দুর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার কোম্পানিটি তুলনামূলকভাবে অনেক সংগঠিত-এটা বোঝা যাচ্ছে বিল্ড নম্বর ও পরীক্ষার ধরণ দেখে।
সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে, ২০২৬ সালের বসন্তেই প্রথম OTA রোলআউট শুরু হতে পারে। মিডরেঞ্জ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি হবে একপ্রকার “শেষ আনন্দের আপডেট”- HyperOS 3-এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ পাওয়া মানে নতুন যুগে প্রবেশের আগে এক ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জয়।
ক্ষত সারাতে লাগবে না অস্ত্রোপচার: শরীর নিজেই গজাবে নতুন টিস্যু, যুগান্তকারী আবিষ্কার
মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা টিস্যু ভবিষ্যতে পুনরায় গজানো সম্ভব করতে পারে—এমন একটি যুগান্তকারী জিনের আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। CYP26B1 নামের এই জিন নিয়ে আবিষ্কারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক বিশাল অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। গবেষকদের মতে, এটি পুনর্জন্ম চিকিৎসা বা রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এর মাধ্যমে ক্ষত নিরাময়, অঙ্গ পুনর্গঠন এমনকি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিকল্প সমাধানও পাওয়া যেতে পারে।
যেভাবে কাজ করে CYP26B1 জিন
এই জিনটি শরীরে রেটিনয়িক অ্যাসিড নামের এক যৌগ নিয়ন্ত্রণ করে, যা কোষের বৃদ্ধি ও নতুন টিস্যু তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, CYP26B1 জিনকে সক্রিয় বা পরিবর্তন করা গেলে শরীরে এমন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, যা সালামান্ডারের মতো প্রাণীদের অঙ্গ পুনর্গঠনের ক্ষমতার সঙ্গে মিলে যায়। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রক্রিয়া একদিন মানুষকেও তার নিজের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা অঙ্গ পুনর্গঠন করতে সক্ষম করে তুলবে, যেখানে বর্তমানে জটিল অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে আঘাত, জন্মগত ত্রুটি বা অবক্ষয়জনিত রোগের চিকিৎসায় বিপ্লব আনতে পারে। কৃত্রিম অঙ্গ বা প্রতিস্থাপনের পরিবর্তে শরীরের নিজস্ব কোষকেই কাজে লাগিয়ে ক্ষত সারানো সম্ভব হলে রোগীর সুস্থ হতে সময় কম লাগবে এবং চিকিৎসার ফলও হবে আরও কার্যকর।
জটিলতা ও ভবিষ্যতের গবেষণা
গবেষকেরা বর্তমানে খুঁজে দেখছেন, CYP26B1 কীভাবে অন্যান্য জিন ও সংকেত প্রক্রিয়ার সঙ্গে মিলে কোষের বৃদ্ধি, বিভাজন এবং টিস্যুর গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। এই সম্পর্ক বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল প্রয়োগ হলে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টিউমার তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এই গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে, তবুও বিজ্ঞানীরা এটিকে পুনর্জন্ম চিকিৎসার পথে বিশাল এক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। তাদের বিশ্বাস, একদিন এই জিনের সাহায্যে মানবদেহ নিজেই নিজের ক্ষতি সারানোর সক্ষমতা অর্জন করবে—যা একসময় শুধুই কল্পবিজ্ঞান মনে করা হতো। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, CYP26B1 জিন হয়তো একদিন আঘাত, রোগ ও বার্ধক্যের চিকিৎসার ধারণাকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে।
৫০ লাখ আসক্ত: জুয়া-পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে ফেসবুক-গুগলকে কঠোর বার্তা বিটিআরসি'র
বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সমাজে আর্থিক ক্ষতি, পারিবারিক কলহ এবং অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটি ইতোমধ্যে ফেসবুক, গুগল ও টিকটকের মতো আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে। গত ৩ নভেম্বর পাঠানো ওই চিঠিতে পর্নোগ্রাফি ও অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন, প্রচার এবং সাইট বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ
বিটিআরসি'র চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাশাপাশি, পর্নোগ্রাফি ও অনলাইন জুয়ার কারণে সমাজে আত্মহত্যা, পারিবারিক বিরোধ, আর্থিক ক্ষতি এবং সামগ্রিক সামাজিক অবক্ষয় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, "বিটিআরসি থেকে নিয়মিতভাবে ফেসবুক, গুগল, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে ই-মেইল পাঠানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
মোবাইল অপারেটর ও এমএফএস-এর ওপর নজরদারি
শুধু আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নয়, মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে। রবির করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক শাহ মো. ফজলে খুদা জানান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার সাইটগুলো ব্লক করার কাজ চলছে।
এদিকে, এমএফএস প্রতিষ্ঠান উপায়-এর হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ সামসুজ্জোহা বলেন, অনলাইন জুয়ার সাইটে ডেটা অ্যাক্সেস বন্ধ করা সম্ভব। তবে এর পাশাপাশি বিকল্প লেনদেন চ্যানেলগুলোও (ESSD) নিয়ন্ত্রণে আনা অপরিহার্য।
স্বতন্ত্র এজেন্সি গঠনের প্রস্তাব
সম্প্রতি বিটিআরসি'র এক সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মতোই অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা বা এজেন্সি গঠন করা উচিত।
সরকারি মহল মনে করছে, সমাজে ক্রমবর্ধমান এই আসক্তি রোধ করতে প্রযুক্তিনির্ভর কঠোর নজরদারি এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত আইন প্রয়োগই একমাত্র কার্যকর সমাধান।
আপনার সুরক্ষা এখন ক্রোমের হাতে: অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢুকতে দেবে না নতুন ফিচার
ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে আসছে নতুন শক্তিশালী নিরাপত্তা ফিচার 'Always Use Secure Connections'। ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ক্রোমের ১৫৪তম সংস্করণে এই নতুন সুবিধাটি যুক্ত হবে। গুগল আশা করছে, এই ফিচারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে আরও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফিচারটি সক্রিয় করা থাকলে, কোনো ওয়েবসাইট যদি নিরাপদ HTTPS সংযোগ ব্যবহার না করে (অর্থাৎ HTTP সংযোগ ব্যবহার করে), তবে ব্রাউজার ব্যবহারকারীকে আগে থেকেই সতর্ক করবে এবং সেই সাইটে প্রবেশের অনুমতি চাইবে।
কেন প্রয়োজন এই নতুন ফিচার?
গুগলের মতে, অনিরাপদ বা HTTP সাইটে প্রবেশ করলে হ্যাকাররা সহজেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করতে পারে বা ক্ষতিকর কনটেন্ট পাঠাতে পারে। এতে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, ফিশিং বা ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। নতুন ফিচারটির ফলে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ সাইটে ঢোকার আগেই সতর্কবার্তা পাবেন, যা অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ক্রোম এই সতর্কবার্তা বারবার একই সাইটের জন্য দেবে না। ব্যবহারকারী যদি কোনো অনিরাপদ ওয়েবসাইট নিয়মিত ব্যবহার করেন, তবে পরবর্তীতে সেই সতর্কতা আর দেখা যাবে না। কিন্তু নতুন বা অচেনা কোনো অনিরাপদ সাইটে ঢোকার সময় সতর্কবার্তা দেখা যাবে।
ব্যবহারকারীরা চাইলে এই ফিচারটি শুধুমাত্র পাবলিক ওয়েবসাইটের জন্য চালু রাখতে পারেন, অথবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কসহ (Personal Network) সব সাইটের জন্যও সক্রিয় করতে পারেন। ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক সাধারণত কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য এই ফিচারটি সক্রিয় করা কার্যকর হতে পারে।
ওয়েব ডেভেলপারদের প্রতি পরামর্শ
বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রায় ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ওয়েবসাইটই নিরাপদ HTTPS সংযোগ ব্যবহার করছে। যেখানে ২০১৫ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ। এই কারণে গুগল মনে করছে, অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্য এই নতুন নিরাপত্তা পরিবর্তনটি খুব একটা ঝামেলা তৈরি করবে না।
গুগল জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই ক্রোম ১৪৭ সংস্করণ থেকে Enhanced Safe Browsing ফিচারের মাধ্যমে প্রায় একশ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য এই সিকিউর কানেকশন সুবিধা চালু হবে। তাই ওয়েব ডেভেলপারদের এখন থেকেই তাদের সাইটগুলো পরীক্ষা করে নিরাপদ সংযোগ বা HTTPS নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুগল HTTPS Upgrade ফিচার চালু করেছিল, যা ওয়েবপেজের ভেতরের HTTP লিংকগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে HTTPS-এ রূপান্তর করে দিত।
সূত্র : প্রযুক্তি
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
নতুন টেলিকম পলিসি বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ ২০ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম গণমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পলিসি সংশোধন না করা হলে ইন্টারনেট সেবার খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে।
খরচের হিসাব তাঁর হিসাব অনুযায়ী, ৫০০ টাকার ইন্টারনেট সংযোগে গ্রাহকদের খরচ বাড়বে ১০০ টাকা এবং এক হাজার টাকার সংযোগে এই খরচ বাড়বে ২০০ টাকা।
ডিজিটাল শাটডাউন আইএসপিএবি সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, টেলিকম পলিসি সংশোধন না করলে বাংলাদেশ ডিজিটালি শাটডাউন হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে পলিসির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করা হলে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন।
ভিডিও ডাউনলোডের ঝামেলা শেষ কম ডেটায় দ্রুত কাজ করবে এই অ্যাপগুলো
আজকাল ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার প্রয়োজন খুবই সাধারণ। তবে নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করতে না পারলে এই কাজটি বেশ ঝামেলার হতে পারে। বাজারে প্রচলিত অসংখ্য অ্যাপের মধ্যে থেকে এখানে আমরা সাতটি জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপের কথা সহজ ভাষায় তুলে ধরছি, যা আপনার সময় ও ডেটা সাশ্রয় করবে।
৭টি জনপ্রিয় ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপ
১. স্ন্যাপটিউব (Snaptube) এই অ্যাপটির মাধ্যমে ভিডিও ফাইলকে সরাসরি এমপি৩ বা এম৪এ ফরম্যাটে ডাউনলোড করা যায়, যা মিউজিকপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। এটি পিকচার-ইন-পিকচার মোড, ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড এবং একটি কার্যকর ফাইল ম্যানেজার সুবিধাও প্রদান করে।
২. নিউপাইপ (NewPipe) যারা বিজ্ঞাপনমুক্ত এবং ঝামেলাবিহীন ডাউনলোড পছন্দ করেন, তাদের জন্য নিউপাইপ একটি আদর্শ অ্যাপ। এতে কোনো বিজ্ঞাপন বা পপআপ নেই এবং ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয় না। অ্যাপটি কম র্যাম ও ব্যাটারি ব্যবহার করায় পুরোনো ফোনেও দ্রুত কাজ করে।
৩. ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি – ভিডো (Viddio) এই অ্যাপটির ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ। ব্যবহারকারীরা কেবল ভিডিওর ইউআরএল (URL) পেস্ট করেই নির্দিষ্ট রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন। এর সহজ কাঠামো এটিকে কম প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোনেও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করে।
৪. ভিডিওডার (Videoder) আধুনিক এবং কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেসের জন্য ভিডিওডার পরিচিত। এটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট সমর্থন করে এবং ভিডিও ফাইলকে কনভার্ট করার সুযোগ দেয়। একাধিক ভিডিও একসঙ্গে ডাউনলোডের জন্য এতে ব্যাচ ডাউনলোডিং সুবিধা রয়েছে।
৫. হিটিউব (Hitube) হিটিউব বিশেষভাবে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটি দ্রুত কাজ করে। এটি একাধিক ফরম্যাটে ডাউনলোড সুবিধা দেয় এবং ভিডিও কম জায়গায় সেভ হয়।
৬. স্ন্যাপডাউনলোডার (SnapDownloader) এই অ্যাপটি শুধু মোবাইলে নয়, উইন্ডোজ ও ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও ব্যবহার করা যায়। যারা উচ্চ রেজল্যুশনের ভিডিও পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি দারুণ। অ্যাপটি ৪কে ও ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে এবং এতে ফাইল কনভার্ট ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইলের নাম পরিবর্তনের (অটো রিনেমিং) সুবিধা রয়েছে।
৭. ভিডিও ও মিউজিক ডাউনলোডার (Video & Music Downloader) সহজ ইন্টারফেস ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য অ্যাপটি জনপ্রিয়। সাধারণ ও এইচডি উভয় মানের ভিডিও ডাউনলোড করা যায় এতে। এটি ফাইল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা দিলেও প্লেলিস্ট ক্যাপচার বা ডাউনলোডের সুবিধা নেই।
ভিডিও ডাউনলোড শুরু করার আগে অ্যাপটির নিরাপত্তা এবং আপনি যে ফরম্যাট সমর্থন চান, তা যাচাই করে নিন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক অ্যাপ নির্বাচন করলে সময়, ইন্টারনেট ডেটা এবং স্টোরেজ—তিনটিই সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
সূত্র : প্রযুক্তি
পাঠকের মতামত:
- জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণা, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- চুক্তি খাতায়-কলমে, বাস্তবে আগ্রাসন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
- বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন মিথিলা, সঙ্গী ঐতিহ্যবাহী জামদানি
- বিশৃঙ্খলা হলে আরেকটি বিপ্লব ঘটবে, নির্বাচন কমিশনকে এনসিপির হুঁশিয়ারি
- শততম টেস্টে মুশফিকের ফিফটি, মুমিনুলের বিদায়ের পর লিটনের মাইলফলক
- নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ গাছে কাঁঠাল রেখে গোঁফে তেল দিচ্ছেন: জামায়াত আমির
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামজা-মোরসালিনদের জয়ে ভাসছে দেশ, অথচ 'পুকুর শুকিয়ে' মরছে ঘরোয়া ফুটবল
- গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
- বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়া থেকে বাঁচাতে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল
- দিল্লির ‘কাঁটা’ শেখ হাসিনা, সম্পর্কে টানাপোড়েন কতদিন?
- সারা দেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা
- জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আজ বন্ধ ক্রেতাদের জন্য সতর্কতা
- ট্রুডোর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী
- যে আসন থেকে লড়বেন নুরুল হক নুর
- গুলিস্তানের মার্কেটে মধ্যরাতের আগুন আতঙ্ক
- ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়
- সময়সীমা পার হলে কী হবে? শেখ হাসিনার আপিল নিয়ে প্রসিকিউটরের ব্যাখ্যা
- বন্ধু দেশেই অপহরণের ফাঁদ! বাধ্য হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইরানের কঠোর পদক্ষেপ
- যারা দেয়াল রাঙিয়েছে, তারাই ভোট দেবে, নির্বাচনের আগে ইউনূসের বার্তা
- তিন অধিনায়কের তিন সহকারী চূড়ান্ত, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন সমীকরণ
- স্ক্রিনে ভাসছে 'এরর' বার্তা, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট বিভ্রাটের আসল কারণ কী?
- ডায়রিয়া থেকে ডায়াবেটিস: এক ভুসি, সমাধান অনেক! কিন্তু খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
- অভিমান ভুলে কি ট্রাম্পের ডিনারে যাবেন মাস্ক? নজর এখন হোয়াইট হাউসে
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- কাল থেকে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন? জেনে নিন কোন দেশে কখন সুযোগ
- আগের চিঠির জবাব আসেনি, দণ্ডিত হাসিনাকে ফেরাতে এবার কী করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? এই একটি ফলেই মিলবে সহজ সমাধান
- যাচাই-বাছাইয়ে অসংগতি, প্রথমবারের মতো বাতিল হলো জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট
- ১০ দিনের আল্টিমেটাম: হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ৪ ছাত্রসংসদের কঠোর ঘোষণা
- ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
- নিজ দায়িত্বে পোস্টার না সরালে জরিমানা, ডিএনসিসির কঠোর হুঁশিয়ারি
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড 'খুবই উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক': শশী থারুর
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নারী না পুরুষ, সংখ্যায় কারা এগিয়ে?
- পটুয়াখালী-৩: জোটের বলি নাকি দলের প্রার্থী? হাসান মামুন ও ভিপি নুরের অঘোষিত লড়াই
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কি ভোট? জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামনেই ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শীতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুস্থ থাকার সহজ ১০টি উপায়
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৮ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনার নামে কত সম্পদ আছে? দেখুন হলফনামার পূর্ণ বিবরণ
- এত অর্জন কোনো সরকার করতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন শফিকুল আলম
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে উঠল 'দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব'
- একটি 'হ্যাঁ' বা 'না' ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধানের সংস্কার: ব্যালটে থাকছে যে ৪ প্রস্তাব
- নির্বাচনের আগে আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কিনছে সরকার
- দোহায় কাতার–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা আলোচনা: সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি
- ভুয়া ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোকে এনসিএসএর কঠোর সতর্কতা
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- ভারত ম্যাচের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে একাদশে কারা








