আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৬:১৯:৩৫
আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? বলে দেবে হাতের আঙুলের দৈর্ঘ্য
ছবি: সংগৃহীত

আমরা প্রায়শই নানা ধরনের গবেষণার ফলাফলের সম্মুখীন হই, যার মধ্যে কিছু ফলাফল কৌতূহলোদ্দীপক হতে পারে। তেমনই একটি মজার গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আপনার হাত আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারে। আর এই রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্যের পার্থক্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এই দৈর্ঘ্য মূলত পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রার ইঙ্গিত দেয়। এই গবেষণার ভিত্তিতে তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়: A, B এবং C।

আঙুলের দৈর্ঘ্যে ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদ

A. অনামিকা (Ring finger) তর্জনী (Index finger) থেকে লম্বা

এই ধরনের পুরুষরা সাধারণত আকর্ষণীয় এবং মিশুক হন। তারা সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন, তবে তাদের মধ্যে কিছুটা আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের সহকর্মীদের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেন, যাদের অনামিকা ছোট।

B. অনামিকা তর্জনী থেকে ছোট

এই পুরুষরা খুব আত্মবিশ্বাসী, এমনকি সামান্য আত্মকেন্দ্রিকও হতে পারেন। একা থাকতে তারা কোনো সমস্যা বোধ করেন না এবং কেউ তাদের বিরক্ত করুক তা পছন্দ করেন না। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে তারা তুলনামূলকভাবে কম আত্মবিশ্বাসী, কারণ তারা সহজে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বা উদ্যোগ নিতে পারেন না।

C. অনামিকা ও তর্জনী একই দৈর্ঘ্যের

যাদের আঙুলের দৈর্ঘ্য সমান, তারা সাধারণত ভালো মধ্যস্থতাকারী, অত্যন্ত অনুগত এবং প্রেমময় হন। এই ধরনের ব্যক্তিত্বে সবকিছু সুষম এবং শান্ত থাকে। তাদের সবকিছু মসৃণভাবে চলে, যেন সবকিছু আগে থেকেই সুসংগঠিত।

আপনি কি নিজেকে বা আপনার প্রিয় কাউকে এই শ্রেণীগুলোর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন?


শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৪৯:৫৪
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল মানেই ঠান্ডা হাওয়া, কাঁপুনি আর গরম কম্বলের আরাম। এমন একটি ঋতুতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের কথা মনে হলেই বেশিরভাগ মানুষের গা শিউরে ওঠে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, বিশ্বের অনেক দেশেই বহু মানুষ নিয়মিত এই কাজটি করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এতে শরীর আরও শক্তিশালী হয় এবং মন সতেজ থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের মধ্যে ‘কোল্ড শাওয়ার’ নামে এই অভ্যাসটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই দাবি করেন, ঠান্ডা পানি শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে, মনোযোগের ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো, শীতের এই সময়ে সবাই কি এই অভ্যাসটি মেনে চলতে পারবেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর খুব দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। নিয়মিত ঠান্ডা পানি সহ্য করার অভ্যাস গড়ে তুললে তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা পানি ত্বকের ছিদ্র (পোরস) টাইট রাখে এবং চুলকেও মজবুত করে। হঠাৎ করে শরীরে লাগা এই ঠান্ডা ঝাঁকুনি মস্তিষ্ককে সজাগ করে তোলে, যার ফলে মন সতেজ হয় এবং এনার্জি বাড়ে।

তবে এই অভ্যাসের যেমন উপকার আছে, তেমনি কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষ করে যারা দুর্বল, অসুস্থ অথবা সর্দি-জ্বর, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন, ঠান্ডা পানি তাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। শীতের আবহাওয়ায় এমনিতেই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তার ওপর ঠান্ডা পানির ব্যবহার শরীরকে আরও দ্রুত ঠান্ডা করে ফেলে। এছাড়া, হঠাৎ ঠান্ডার এই ঝটকা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও শীতকালে এই অভ্যাস সবার জন্য উপযুক্ত নয়। যাদের শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো এবং ঠান্ডাজনিত কোনো বড় সমস্যা নেই, তারা চাইলে এই অভ্যাসটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে, যাদের শরীর দুর্বল, অসুস্থ বা যাদের হার্ট ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ঠান্ডা পানির গোসল এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ হবে।


শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২১:৩৯:৪২
শীতে শুষ্ক ঠোঁট নরম থাকবে ঘরোয়া উপায় ও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতায়
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটা ও শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নানা ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসা কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং ঐতিহ্যবাহী ঠোঁটের যত্নের পদ্ধতি এখনো অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পদ্ধতিগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, ব্যবহার করা সহজ এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারকও নয়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই শীতে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁট নরম রাখা যায়

১. নাভিতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ

বয়স্করা নাভিকে শরীরের অনেক স্নায়ুর কেন্দ্র বলে মনে করেন। এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি শীতকালে ফাটা ঠোঁটের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে দুই বা তিন ফোঁটা সরিষার তেল আলতো করে ম্যাসাজ করুন।

এই ঘরোয়া প্রতিকারটি শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতা ও ফাটার মতো সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। নিয়মিত এটি অনুসরণ করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

২. ঘিয়ের ব্যবহার

পাহাড়ি বাড়িতে ব্যবহৃত ঘি কেবল ভোজ্যই নয়, এর ঠোঁটের জন্য অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

ফাটা ঠোঁটে গরম ঘি লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে আর্দ্রতা পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে যদি ঘি লাগান, তাহলে সকালে ঠোঁটের স্তর নরম থাকবে এবং ফাটা কমবে।

৩. মধুর প্রলেপ

মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আপনার ঠোঁট যদি ফাটা ও শুষ্ক থাকে, তাহলে সামান্য মধু লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। মধু কেবল আপনার ঠোঁটকে আর্দ্রতা দেয় না বরং দ্রুত নিরাময়েও সাহায্য করে।

৪. দুধের ক্রিম বা সর

শীতকালে ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য দুধের ক্রিম বা সর ব্যবহার করা হয়।

এই ক্রিমটি ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করা উচিত। ক্রিমের প্রাকৃতিক চর্বি ঠোঁটের হারানো রং পুনরুদ্ধার করে এবং নরম করে।

উপরন্তু, ফাটা ঠোঁটের জন্য গুড় ও সরিষার তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করাও উপকারী।

সূত্র : নিউজ ১৮


রাশিফল: আজকের দিনে আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১১:১০:৩৩
রাশিফল: আজকের দিনে আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

আপনার আর্থিক ভিত মজবুত হবে। কর্ম ব্যবসায় তরতাজা উন্নতি করবেন। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালংকার আসতে পারে। হারানো পিতৃমাতৃ ধন সম্পদ ফিরে পাবেন। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরতে পারে। শিক্ষার্থীরা মনের মতো কলেজ-ভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

জীবনসাথী ও শ্বশুরালয় থেকে সহযোগিতা পাবেন। ধৈর্য সাহস মনোবল বাড়বে। গৃহবাড়িতে অনুষ্ঠান হওয়ায় সাজ সাজ রব করবে। মামলা মোকদ্দমা মীমাংসার দিকে ধাবিত হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি জাগ্রত হবে।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

গৃহবাড়িতে অনুষ্ঠান হবে। কর্ম অর্থ মোক্ষ লাভের পথ খুলে দেবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। ভাইবোনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা আপনার স্বপ্ন পূরণ করবে। লটারি, জুয়া, রেস, শেয়ার হাউসিং এড়িয়ে চলুন।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

গৃহবাড়ি, যানবাহন ও বস্ত্রালংকার ক্রয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। হাতে থাকা প্রতিটা কাজ সহজে সম্পন্ন হবে। মনোবল, জনবল, অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হবে। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে। প্রেম, রোমান্স, বিনোদন মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

আয় উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা কঠিন হবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা আসতে পারে। ধারকর্জ ঋণের জালে আটকে পড়তে হবে। পরিবারের কোনো বয়স্কলোকের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

ব্যবসায় মজুত মালের দাম বাড়বে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। আটকে থাকা কাজ সচল হবে। নিত্যনতুন সুযোগ আসবে হাতের মুঠোয়। পাওনা টাকা আদায় হবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণের জন্য দিনটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। কর্ম, অর্থ, যশ, খ্যাতি, প্রতিষ্ঠা হাতের মুঠোয় আসবে। বাড়ি, গাড়ি, ভূ-সম্পত্তি ক্রয়ের পথ খুলবে। শত্রু ও বিরোধী পক্ষের প্রায় সিংহভাগ কুপরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। ধার, কর্জ, ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। গোটা পরিবারে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত হবে। বিজয়ের বরমাল্য হাত বাড়িয়ে ধরবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কর্ম ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন। বাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা কমবে। পিতা-মাতার সহযোগিতা ও আশীর্বাদ পাবেন।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দাম্পত্য সুখ শান্তি বজায় রাখতে জীবন সঙ্গীর মতকে গুরুত্ব দিন। অর্থ কড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্য উদ্ধার করুন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক, ইউটিউব, প্রেম প্রসঙ্গ ও অনুচিত কাজবাজের প্রতি ঝুঁকবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। অংশীদারি ব্যবসার বহুল প্রচার ঘটবে। দাম্পত্য কলহ-বিবাদের মীমাংসা হবে। জীবন সঙ্গীর কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে। কন্যা সন্তানরা অধিক প্রতিষ্ঠা পাবে। প্রেমীযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক প্রমাণিত হবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কার্য উদ্ধার করতে হবে। বিষাক্ত কীট পতঙ্গের দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন।


শীতকালে কমলা খাওয়ার ৫ উপকারিতা যা আপনার জানা নেই

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৯:৫৯:৩৮
শীতকালে কমলা খাওয়ার ৫ উপকারিতা যা আপনার জানা নেই
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্বক, চুল ও হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য কমলা ভীষণ একটি উপকারী ফল। এতে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট—এই ফলটির উপকারিতার মূল কারণ। প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খাওয়া একটি আদর্শ অভ্যাস। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে কমলালেবু সহজে পাওয়া যায় এবং গুণমানও ভালো থাকে।

ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারিতা

১. উজ্জ্বল ত্বক ও বলিরেখা হ্রাস

কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক দেখায় তারুণ্য ও উজ্জ্বল্যতা।

২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সুরক্ষা

কমলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে, যা অকাল বার্ধক্যের একটি অন্যতম কারণ। এটি ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।

৩. ব্রণ ও দাগ দূরীকরণ

কমলার খোসাতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। কমলার রস বা খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করলে কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

৪. চুল ও শক্তি বৃদ্ধি

কমলাতে থাকা ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন চুলের ফলিকলে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং পুষ্টি জোগায়, যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে ও চুল পড়া রোধ করে।

৫. খুশকি নিয়ন্ত্রণ

কমলার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান খুশকি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। চুলের তেল বা শ্যাম্পুর সাথে কমলার রস বা খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

হার্ট ও সার্বিক স্বাস্থ্যে ভূমিকা

১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

কমলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

এতে থাকা পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ভিটামিন সি-ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৩. রক্তনালি সুস্থ রাখা

কমলা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তনালি সুস্থ রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. ইমিউনিটি বৃদ্ধি

কমলার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।


প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ২১:২৮:২৭
প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ২১ দিনের কৌশল: যে ৪ অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বা হু এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৯০ সালে যেখানে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি, সেখানে ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ কোটি। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।

চিকিৎসকদের মতে, অনেকেই বুঝতেই পারেন না, তারা আসলে প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়ে আছেন—অর্থাৎ এমন এক অবস্থায়, যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে তা পূর্ণ ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে। তবে সুখবর হলো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন মানলে মাত্র ২১ দিনেই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যগ্রহণ এবং দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়:

১. ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রোটিনযুক্ত জলখাবার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রোটিন-সমৃদ্ধ জলখাবার খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ২০২২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোটিন হজম হতে সময় নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এবং অযথা মিষ্টির প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এতে দিনের পরবর্তী অংশে গ্লুকোজ স্পাইক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।

২. প্রতি খাবারের পর ১০ মিনিট হাঁটা

প্রতিটি খাবারের পর মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধারণভাবে কার্যকর। হাঁটার মাধ্যমে শরীর গ্লুকোজ ব্যবহার করে ফেলে, যা খাবারের পরের 'ব্লাড সুগার স্পাইক' প্রতিরোধে সাহায্য করে। ২০২৫ সালের এক র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়ালে এই তথ্যের প্রমাণ মিলেছে।

৩. খাবার খাওয়ার সঠিক ক্রম

খাবার খাওয়ার ক্রম বা অর্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো:

খাবার শুরু করুন সবজি দিয়ে।

তারপর প্রোটিন খান।

সবশেষে কার্বোহাইড্রেট খান।

এতে শরীর ধীরে ধীরে শর্করা শোষণ করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

৪. ফাইবারযুক্ত শস্য নির্বাচন

শুধুই খাওয়ার ক্রম নয়, খেয়াল রাখতে হবে কী খাচ্ছেন। সাদা চাল, সাদা রুটি বা ময়দার তৈরি খাবারের পরিবর্তে বেছে নিন ফাইবারযুক্ত শস্য। যেমন ওটস, বাজরা বা কুইনোয়া। এগুলো ধীরে হজম হয়, দীর্ঘ সময় তৃপ্ত রাখে এবং হঠাৎ করে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস


রক্তকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৭:২১:০৪
রক্তকে ভেতর থেকে শুদ্ধ করবে যেসব খাবার
ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের শরীরের প্রাণশক্তি হলো রক্ত। এই রক্তের মাধ্যমেই পুষ্টি ও অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছায়। কিন্তু বর্তমান সময়ের দূষিত পরিবেশ এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়, যা রক্তের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এর ফলে ত্বকে ব্রণ, ক্লান্তি এবং হজমে সমস্যার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে রক্ত বিশুদ্ধ রাখা জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে চাইলে প্রকৃতির খাবারই সবচেয়ে বড় ওষুধ।

নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই রক্ত পরিষ্কার রাখা সম্ভব। সেইসব খাবার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

১. বিট

লালচে এই সবজিটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। বিটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও নাইট্রেট রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং রক্তে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

২. পাতাজাতীয় সবজি

পালংশাক, ধনে পাতা, কেলে বা ব্রকলির মতো পাতা জাতীয় সবজির মধ্যে থাকা ক্লোরোফিল শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক শোষণ করে শরীর থেকে বের করে দেয়।

৩. রসুন ও হলুদ

রসুন হলো রক্ত পরিষ্কারের দারুণ উপাদান। এতে থাকা 'অ্যালিসিন' যৌগ লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, হলুদের 'কারকিউমিন' উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং রক্তকে জীবাণুমুক্ত রাখে।

৪. সাইট্রাস ফল

লেবু বা অন্যান্য সাইট্রাস ফলও রক্ত পরিষ্কারে কার্যকর। ভিটামিন সি লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে অম্ল পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।

রক্ত পরিশোধনে অন্যান্য টিপস

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এতে কিডনি সহজে বর্জ্য ফিল্টার করতে পারে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য ফাস্টফুড বা অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তার পরিবর্তে তাজা সবজি, ফল, বাদাম, ডাল ও শস্যজাত খাবার খাওয়া উচিত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শরীরের নিজস্ব পরিশোধন ব্যবস্থা অর্থাৎ লিভার ও কিডনিকে সুস্থ রাখা। কোনো তথাকথিত 'ব্লাড পিউরিফায়ার ডিটক্স ড্রিংক' বা ওষুধের ওপর ভরসা না করে প্রাকৃতিক খাবার ও সুষম ডায়েটই হতে পারে রক্ত পরিষ্কারের সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।


শীতের বাতের ব্যথা কমাতে ৫ খাবার রাখুন পাতে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৭:০৩:৫৬
শীতের বাতের ব্যথা কমাতে ৫ খাবার রাখুন পাতে
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতকাল এলে অনেকেরই বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস বেড়ে যায়। এই সময়ে ক্লান্তি, আলস্য ও শরীরের জড়তা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হয়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন, তাদের পায়ের পাতায় ও গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা বাড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা রাখলেই গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং হাঁটতে গেলে টান ধরে।

হাত, কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন অংশেও ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যায় নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে বরং দৈনন্দিন খাবারেই উপশম খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

বাতের ব্যথা কেন বাড়ে

হাড়ের সংযোগস্থলে সাদা রঙের স্থিতিস্থাপক যে তন্তু থাকে, তাকে কার্টিলেজ বলা হয়। এটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমায় এবং আঘাত লাগলে শক অ্যাবজরবারের মতো কাজ করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কার্টিলেজ ক্ষয়ে যেতে শুরু করে, ফলে হাড়ে ঘর্ষণ বাড়ে এবং বাতের ব্যথা দেখা দেয়। এ অবস্থায় এমন কিছু খাবার খাওয়া জরুরি, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ভারসাম্য ঠিক রাখে।

চলুন, জেনে নিই বাতের ব্যথা কমাতে সহায়ক কয়েকটি খাবার

১. সয়া প্রোটিন

সয়া প্রোটিন হাড় ও অস্থিসন্ধির জন্য খুব উপকারী। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এক কাপ সয়াবিনে প্রায় ৮ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে এবং আধা কাপ টোফুতে পাওয়া যায় ১০ গ্রাম প্রোটিন। তবে প্রতিদিন বেশি পরিমাণে না খেয়ে সপ্তাহে এক দিন খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।

২. আখরোট

আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি রিউমাটয়েড বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসসহ যেকোনো ধরনের বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকর। এ ছাড়া আখরোট হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৩. ওটস

ওটস স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের নিয়মিত খাবারে থাকা উচিত। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমায় এবং এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে প্রদাহ কমায়। এটি নিরামিষভোজীদের জন্য প্রোটিনের একটি ভালো উৎস।

৪. গ্রিন টি

ওজন কমানোর পাশাপাশি গ্রিন টি বাতের ব্যথা কমাতেও কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।

৫. ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার

আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, চেরি, বেল পেপার ও ফুলকপিজাতীয় খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

নিয়ন্ত্রণের উপায়

শীতে শরীর গরম রাখা, হালকা ব্যায়াম করা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললেই বাতের ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সূত্র : আনন্দবাজার


শীতকালে কেন স্ট্রবেরি খাবেন জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এটি জরুরি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৬:৪১:০৪
শীতকালে কেন স্ট্রবেরি খাবেন জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এটি জরুরি
স্ট্রবেরি

শীতকাল এলেই আমাদের শরীরের চাহিদা ও প্রকৃতিতে কিছু পরিবর্তন আসে। এই সময়ে ত্বক শুষ্ক হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়া স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবারের দারুণ পছন্দ হতে পারে স্ট্রবেরি, যা শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে স্ট্রবেরি খাওয়ার নানা উপকারী দিক:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ, ঠান্ডা, ফ্লু বা অন্যান্য মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

২. ত্বকের জন্য উপকারী

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। স্ট্রবেরি এই সময়ে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। এর ফলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল।

৩. প্রদাহ কমায়

স্ট্রবেরিতে থাকা এলাজিক অ্যাসিড এবং অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদানগুলো শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। শীতকালে এই ধরনের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্ট্রবেরি নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।

৪. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়

স্ট্রবেরি এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এটি স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতেও সহায়তা করে। তাই হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে স্ট্রবেরি খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।

৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে

স্ট্রবেরির গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। এতে থাকা পলিফেনল উপাদান ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এটি পরিমিতভাবে খাওয়া হলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে।

৬. হজমশক্তি উন্নত করে

শীতকালে পানির অভাব এবং ভারী খাবারের কারণে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। স্ট্রবেরিতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে। এই সময় হজম সমস্যা প্রতিরোধে নিয়মিত স্ট্রবেরি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।


খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১১:০৯:৩০
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

খালি পেটে খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ভিটামিন, খনিজ, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে দ্রুত পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার সাতটি প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো-

১. তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান

খেজুরে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করে। সকালে খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেলে শরীর মুহূর্তেই সক্রিয় হয়ে ওঠে, দূর হয় ক্লান্তি ও অবসাদ।

২. হজমশক্তি বৃদ্ধি

খেজুরের প্রাকৃতিক ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে। খালি পেটে খেলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

৩. পেটের সমস্যা কমায়

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় খেজুর পেটের গ্যাস, এসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

খেজুরে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। একইসঙ্গে এতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে খালি পেটে খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধেও কার্যকর।

৫. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। খালি পেটে খেজুর খেলে মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয় এবং মানসিক চাপ কমে।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

খেজুর পেট ভরা রাখে, ফলে অপ্রয়োজনে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে।

৭. ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। নিয়মিত খালি পেটে খেলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও সুস্থ, আর চুলের গোড়া হয় শক্ত ও ঘন।

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। পরিমিত পরিমাণে (১–২টি) খেজুর খেলে উপকার পাওয়া যায়, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত