সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৯:২৮:৩১
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন বিএনপি প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ–আশাশুনি) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন। মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় কাজী আলাউদ্দিন বলেন, দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে কালিগঞ্জ ও আশাশুনির সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে সংগঠিতভাবে কাজ করতে চান তিনি। জনগণের দোয়া, ভালোবাসা ও সক্রিয় সমর্থনই তাঁর রাজনৈতিক পথচলার সবচেয়ে বড় শক্তি হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও জানান, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মানুষের সেবা, এলাকার সার্বিক উন্নয়ন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল থাকতে চান। স্থানীয় জনগণ যদি আবারও তাঁকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেন, তবে কালিগঞ্জ ও আশাশুনির উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার জন্য তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে সাতক্ষীরা-৩ আসনের এই বিএনপি প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তাঁর নির্বাচনী যাত্রা ও এলাকার শান্তি, অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

-রফিক


নির্বাচন নয় বরং এনসিপির কান্ডারি হলেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:৫২:৩৬
নির্বাচন নয় বরং এনসিপির কান্ডারি হলেন আসিফ মাহমুদ
ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতিতে দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বাংলামোটরস্থ এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসিফ মাহমুদ এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। পরিবর্তে তিনি এনসিপির নতুন ‘মুখপাত্র’ এবং ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান’ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে আসিফ মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তাঁর সমর্থকরা কুমিল্লা-৩ আসন থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত তিনি কোনো আসনেই আবেদনপত্র জমা দেননি। সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে এবং নির্বাচনী কৌশল সাজাতে আসিফ মাহমুদের মতো দক্ষ নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রয়োজন।

জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করেন যে, এটি কোনো আদর্শিক ঐক্য নয়, বরং স্রেফ একটি ‘নির্বাচনী সমঝোতা’। তিনি বলেন, “আমাদের ন্যূনতম কিছু বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে, যা মূলত সংস্কার, বিচার এবং আধিপত্যবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি। নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যেই আমরা একত্রে কাজ করছি।” এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী করতে এবং ‘জুলাই সনদ’-এর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এনসিপি রাজপথে সক্রিয় থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আসিফ মাহমুদের এই যোগদানের মাধ্যমে এনসিপি নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


জামায়াতের সাথে জোট কেন ও পদত্যাগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:৪৫:৩০
জামায়াতের সাথে জোট কেন ও পদত্যাগ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি নেতা
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ (মতিঝিল-রমনা) আসনে রাজনৈতিক লড়াইয়ের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১১-দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেন। এই আসনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “আমাদের এই ১১-দলীয় জোটের সরকার গঠনের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর বক্তব্যে ঢাকা-৮ আসনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই আসনটি বর্তমানে মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। আমরা এখানে আর কোনো রক্তপাত বা মৃত্যু চাই না।” তিনি নির্বাচিত হলে হাদি ও সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং ঢাকা-৮ আসনকে নগরের সবচেয়ে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

এনসিপি থেকে কিছু নেতার পদত্যাগ এবং জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, এটি কোনো অন্ধ আদর্শিক জোট নয়, বরং সংস্কার, বিচার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি কৌশলগত নির্বাচনী সমঝোতা। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অভিন্ন লক্ষ্যে তাঁরা একমত হয়েছেন। মূলত ঢাকা-১৮ আসন থেকে প্রচারণায় নামলেও শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক সমীকরণে ঢাকা-৮ আসন থেকেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তরুণ নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই অংশগ্রহণ ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনী লড়াইকে দ্বিমুখী থেকে ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দিল।


শুধু এতটুকু বলব আসুন দেশটাকে গড়ে তুলি: তারেক রহমান 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:২৯:২৮
শুধু এতটুকু বলব আসুন দেশটাকে গড়ে তুলি: তারেক রহমান 
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন ও প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই আগমনকে ঘিরে দুপুর থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় সাজসাজ রব ও নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিনি যখন কার্যালয়ে পৌঁছান, তখন স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ফুল দিয়ে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

কার্যালয়ে প্রবেশের পর তারেক রহমান সরাসরি দোতলার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ান এবং সেখানে সমবেত হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক ভাষণ না দিলেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেশ গড়ার এক অভিনব ও সৃজনশীল বার্তা দেন। তারেক রহমান বলেন, “আজ কোনো দলীয় কর্মসূচি নেই, তবুও আপনাদের উদ্দেশে শুধু এতটুকুই বলব—আসুন দেশটাকে নতুন করে গড়ে তুলি। যার যতটুকু অবস্থান আছে, সেখান থেকেই সচেষ্ট হই। রাস্তায় যদি এক টুকরো ময়লা বা কাগজ পড়ে থাকে, আমরা যেন তা সরিয়ে দিই। এভাবে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই আমাদের দেশটাকে গড়তে হবে।”

এর আগে বিকেল ৩টায় তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওনা হন, তবে জনস্রোতের কারণে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে তাঁর কিছুটা সময় বেশি লাগে। নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্যের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। তারেক রহমানের এই সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি এবং পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ার বার্তাটি উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় আন্দোলনের প্রস্তুতির আগে নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল ও নাগরিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার এটি একটি বড় কৌশল।


সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:৪৮:০০
সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর একমাত্র কন্যা জাইমা রহমান সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তাঁদের পরিবারের পোষা সাইবেরিয়ান বিড়াল ‘জেবু’র বেড়ে ওঠার এক আবেগঘন ও মানবিক গল্প। ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এই লেখায় জেবুর শৈশব, দৈনন্দিন অভ্যাস, স্বভাব-প্রকৃতি এবং পরিবারের সঙ্গে তার গভীর আবেগী সম্পর্ক অত্যন্ত জীবন্তভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর গত ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে দেশে ফেরেন। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইটে তাঁদের সঙ্গেই আসে পরিবারের বিশেষ সদস্য, লোমশ সাইবেরিয়ান বিড়াল ‘জেবু’। দেশে ফেরার পরপরই জেবুর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা নেটদুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

জাইমা রহমানের বর্ণনায় উঠে আসে, জেবু রাশিয়ায় উৎপত্তি হওয়া সাইবেরিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল, যার বয়স প্রায় সাত বছর। এই জাতের বিড়াল সাধারণত আকারে বড়, শরীরজুড়ে ঘন ও নরম তিন স্তরের লোমে ঢাকা থাকে। স্বভাবগতভাবে শান্ত হলেও এরা আত্মবিশ্বাসী এবং মানুষের আবেগ বুঝতে বিশেষভাবে পারদর্শী। সে কারণেই অনেক প্রাণীপ্রেমী সাইবেরিয়ান বিড়ালকে ‘ইমোশনাল কম্প্যানিয়ন’ হিসেবে বিবেচনা করেন।

নিজের লেখায় জাইমা উল্লেখ করেন, জেবুকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ দেখে তিনি যেমন বিস্মিত, তেমনি আনন্দিতও। ছোট্ট বিড়ালছানা হিসেবে জেবুকে বাড়িতে আনার সময় তিনি ভাবেননি, এই প্রাণীটি একদিন তাঁদের পরিবারের এতটা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবে। এমনকি অনেক সময় তাঁর বাবা-মা বাসায় ফিরে প্রথমেই জেবুর খোঁজ নিতেন, পরে তাঁর।

পরিবারের সঙ্গে জেবুর সম্পর্কের নানা দৃশ্যও তুলে ধরেছেন জাইমা। তিনি লিখেছেন, তারেক রহমানের অনলাইন মিটিং চলাকালে জেবু প্রায়ই তাঁর কোলে গুটিসুটি মেরে বসে থাকত এবং আদর উপভোগ করত। অন্যদিকে, জাইমার সঙ্গে জেবুর সম্পর্ক ছিল আরও নিবিড়। তাঁর মন খারাপ থাকলে বা ক্লান্তির সময় জেবু যেন তা বুঝে নিত এবং নীরবে সঙ্গ দিত তার কোমল স্পর্শে।

জাইমা রহমান লেখেন, পোষা প্রাণী নিয়ে বাসা বদলানো যে কতটা কঠিন, তা প্রাণীপ্রেমীরাই ভালো বোঝেন। জেবু এখন মহাদেশ পেরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক পরিবেশে এসেছে। এই পরিবর্তন তার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে মানিয়ে নিতে সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।

জেবুর মাধ্যমে পরিবার যে শিক্ষা পেয়েছে, সেটিও তুলে ধরেছেন জাইমা। তাঁর ভাষায়, জেবু তাঁদের ধৈর্য, মমতা এবং ভাষা ও প্রজাতির সীমা ছাড়িয়ে ভালোবাসার অর্থ শিখিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যে মানুষ অন্য কোনো জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পায়, সে নিজের সম্পর্কেও অনেক অজানা দিক আবিষ্কার করে।

লেখার শেষাংশে জাইমা শেয়ার করেন জেবুকে নিয়ে একটি মজার তথ্য। জেবু কখনোই সাধারণ বিড়ালের মতো ‘মিউ মিউ’ শব্দ করে না। বরং খুশি বা বিস্মিত হলে সে পাখির মতো নরম আওয়াজ করে। অনুমতি ছাড়া কোলে নিলে হালকা গোঁ গোঁ করে বিরক্তি প্রকাশ করে, আর যেসব বিড়ালকে তার পছন্দ নয়, তাদের দিকে সে বেশ জোরেই চিৎকার করে ওঠে।

-রাফসান


ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৪:২৫:১৭
ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৫ আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক তৎপরতা দ্রুত বাড়ছে। এই আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবদলের নেতা শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন। একই সঙ্গে একই আসনে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফলে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণে নির্বাচনী লড়াই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। মো. ইউনুচ আলী একই সঙ্গে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। মনোনয়ন দাখিলের সময় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জামায়াতের আমিরের মতো প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করতে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন বলেন, তিনি বিএনপির পক্ষ থেকেই নির্বাচন করছেন এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো ধরনের চাপ বোধ করছেন না। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেই তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন এবং ভোটারদের সমর্থনের ওপরই তিনি আস্থা রাখছেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শুধু বিএনপি ও জামায়াত নয়, আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা বা সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আলমগীর ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এস এম ফজলুল হক, গণফোরামের একেএম শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তানজিল ইসলাম এবং খান শোয়েব আমান উল্লাহ।

-রফিক


হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:২৫:২২
হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে এক নজিরবিহীন জোটবদ্ধ লড়াইয়ের দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের (শহিদ) সরে দাঁড়ানোর ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের সঙ্গে এনসিপির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী সমঝোতা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসে।

সাইফুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিচরণ ও এলাকায় শক্তিশালী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থ ও জোটের ঐক্য রক্ষায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। রোবাবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক আবেগঘন পোস্টে তিনি লেখেন, “কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে আড়াল করে নিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্ত সর্বদা কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

উল্লেখ্য, কুমিল্লা-৪ আসনটি হাসনাত আবদুল্লাহর নিজের এলাকা এবং গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। একই সময়ে জামায়াতের পক্ষেও সাইফুল ইসলামের জন্য মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছিল, যা নিয়ে দেবীদ্বারের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে জামায়াতের এই আত্মত্যাগী সিদ্ধান্তের ফলে এখন এই আসনে নির্বাচনী মেরুকরণ সম্পূর্ণ হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে চলে গেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসনাত আবদুল্লাহর মতো তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্বের জন্য জামায়াতের এই ছাড় দেবীদ্বারে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও দেবীদ্বারের মানুষের কল্যাণে সর্বদা পাশে থাকবেন এবং সংগঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এখন থেকে হাসনাত আবদুল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় জোটবদ্ধভাবে কাজ করবেন। এই সমঝোতা কেবল দেবীদ্বারে নয়, বরং সারা দেশের আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে এক নতুন নজির স্থাপন করল।


এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১১:৩৭:০১
এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রথম দৃশ্যমান আত্মত্যাগ দেখা গেল ঢাকা-১১ (রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা ও হাতিরঝিল আংশিক) আসনে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের জন্য এই আসনটি ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ ও আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আতিকুর রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, সংগঠনের নির্দেশে গত ১০ মাস ২২ দিন ধরে তিনি এই আসনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের পক্ষে জনমত গঠন করতে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। জরিপে তাঁর পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন উঠে আসলেও বৃহত্তর জোটের স্বার্থে এবং ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি একটি বড় জবাবদিহিতার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ আনুগত্য ও আস্থা রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান থাকা সত্ত্বেও এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলামের জয়ের পথ সুগম করতে এই আসন সমঝোতা করা হয়েছে। আতিকুর রহমান তাঁর প্রচারণায় যুক্ত নারী কর্মীসহ সকল সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এখন থেকে তাঁর পুরো টিম নাহিদ ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণায় ঝাপিয়ে পড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের ভোটব্যাংক নাহিদ ইসলামের পক্ষে গেলে এটি বিএনপির প্রার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জামায়াতের এই ছাড় দেওয়ার নীতি জোটের অন্যান্য শরিকদের মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, জামায়াতের এই সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে নাহিদ ইসলাম কতটা সফল হতে পারেন।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৮:৫৯:৫৮
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য সময়টা যেন মোটেও ভালো যাচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই দলটির ভেতরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন ও বিদ্রোহ। নওগাঁ-৫ আসনের প্রার্থী মনিরা শারমিনের পর এবার খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসন থেকে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মনজিলা ঝুমা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এনসিপি প্রাথমিকভাবে তাঁকে খাগড়াছড়ি থেকে ‘শাপলা কলি’ মার্কা নিয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনীত করেছিল এবং গত ২৪ ডিসেম্বর তাঁর পক্ষে দলের জেলা আহ্বায়ক মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আজ (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনজিলা বলেন, “আমি প্রায় দুই ঘণ্টা আগে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।”

এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেত্রীর সরে দাঁড়ানোর ফলে খাগড়াছড়িতে দলটির নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। এর আগে জামায়াত-জোটের বিরোধিতা করে দলটির শীর্ষ নেত্রী তাজনূভা জাবীন ও তাসনিম জারা পদত্যাগ করেছেন এবং নুসরাত তাবাসসুম নির্বাচনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে নিষ্ক্রিয় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি এবং আদর্শিক মিল না থাকাকেই এই বিদ্রোহের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এনসিপি এই জোটে ৩০-৩৫টি আসন পাওয়ার কথা থাকলেও যোগ্য প্রার্থীদের একের পর এক সরে যাওয়া দলটিকে চরম অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে।

সবশেষে মনজিলা ঝুমা এক আশাবাদী বার্তার মাধ্যমে তাঁর পোস্ট শেষ করেন। তিনি লিখেন, “আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।” তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণ নেতৃত্বাধীন এই দলটির ইমেজ এবং ভোটারদের আস্থা কতটুকু বজায় থাকবে, তা নিয়ে খোদ এনসিপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে।


দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৮:৪৬:২০
দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নজিরবিহীন মেরুকরণ ঘটেছে। মূলত দুটি শক্তিশালী নির্বাচনি বলয় এখন মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে ২৯টি রাজনৈতিক দলের একটি বিশাল বলয় তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি দলের সঙ্গে সরাসরি আসন সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদ, বিজেপি, নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের মতো দলগুলো রয়েছে। বিশেষ চমক হিসেবে মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ববি হাজ্জাজের মতো নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি এলডিপি ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা নিজেদের দল বিলুপ্ত করে সরাসরি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ১০ দলের এক নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গত কয়েক মাস ধরে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৮টি দলের সঙ্গে গতকাল রোববার যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি ও আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, এটি কেবল নির্বাচনের নয় বরং দেশ গঠনের একটি দীর্ঘমেয়াদী জোট। তবে এই জোটকে কেন্দ্র করে এনসিপির ভেতরে চরম গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার প্রতিবাদে তাজনূভা জাবীন ও মনিরা শারমিনের মতো প্রার্থীরা পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোটে থাকলেও কিছুটা ভিন্ন সুর বজায় রেখেছে। তারা ৩০০ আসনেই মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও আসন সমঝোতার আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতেই সবাই সবার হাতে আসন তুলে দেবেন। তবে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনের মতো এবার ভোট চুরির চেষ্টা হলে জাতি তা বরদাশত করবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এলডিপি ও এনসিপির মতো দলগুলোর জামায়াতমুখী হওয়া বিএনপির জন্য একটি বড় ধাক্কা। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদের মতো নেতার জামায়াত জোটে উপস্থিতি নির্বাচনি সমীকরণকে জটিল করে তুলেছে। অন্যদিকে, বিএনপি তাদের পুরোনো মিত্রদের ধরে রাখতে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি ও সাইফুল হককে গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়ে দিয়ে পাল্টা চাল দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই আসন সমঝোতা কতটা টেকসই হয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দিতে দলগুলো কতটা সফল হয়।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত